হরিনাকুন্ডুতে পুকুরে মাছধরাকে কেন্দ্রকরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আহত ৯

ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ৭ নং রঘুনাথপূর ইউনিয়নের কালাপাড়িয়া সরকারী আশ্রয় প্রকল্পঃ (আবাসনের) পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা মোছাঃ রেশমা খাতুন সহ ৯ জন আহত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা আহতদের উদ্ধার করে হরিনাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। এর মধ্যে চম্পা খাতুন নামে এক মহিলা তার ছেলের মাথায় আঘাত করা দেখে স্ট্রোক করেন এবং অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

সংঘর্ষে আহত হয়েছেন, মোঃ মামুন আলী (২৭),। নাজমা খাতুন (৪০), রিমা খাতুন (২৫), চায়না খাতুন (৪৫),মনোয়ারা খাতুন (৫৫), রেশমা খাতুন (২৩), সাঈদ (২২), ও লালন(১৯)।

আহতদের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা রেশমা খাতুন, নাজমা খাতুন ও মামুন বর্তমানে হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। অনান্য আহতদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে নিজ নিজ বাড়ীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে যেয়ে জানা যাই আহত অন্তঃসত্ত্বা রেশমা ও নাজমা বলেন, গত বিশ বছর পূর্ব থেকে কালাপাড়িয়া আবাসনের পুকুর ও আংশিক জমি নিয়ে স্থানীয় আমিরুল ইসলাম ওরফে (মন্টু) নামের এক ব্যাক্তির সাথে সরকারের মামলা চলমান রয়েছে।

এই জমি ও পুকুর নিয়ে আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দাদের মধ্যে দুটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষ জমি ও পুকুরের দাবীদার আমিরুলের পক্ষে এবং অন্য পক্ষ সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আছে।

এসময় আহত মামুন জানায়, গত বৃহস্পতিবার আনুমানিক ৯.টার সময় জামালের ছেলে সাঈদ, মন্টুর ছেলে আকাশ, ইসলামের ছেলে (বহিরাগত) লালন ও শরাফতের ছেলে রাসেল সহ বেশ কয়েকজন ঐ পুকুরে মাছ ধরতে যায়।

এদিকে ঐ মাছ ধরার খবর পেয়ে আবাসনের জমি ও পুকুরের দাবীদার আমিরুল ইসলাম সহ কিছু স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুরের পাড়ে উপস্থিত হোন।  দুপুর ১ টার সময় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি করার এক পর্যায়ে মামুন আলীর ফুপাতো ভাই রজোপ আলি সাইদের মাথায় আঘত করলে তাদের মধ্যে গোলযোগ শুরু হয় এতে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হয়।

হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জামিনুর রশিদ জানান, আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসে মহিলা সহ ৪ জন ভর্তি হয়, বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ীতে ফেরত যায়।

এ ঘটনায় থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মাছ ধরাকে কেন্দ্রকরে গোলযোগের ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, মূলত গোলযোগে চম্পা খাতুন ও তার ছেলে মামুন আহত হয়েছে বাকীরা মামলা থেকে বাচার জন্য আহত না হয়েও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তিনি আরও জানান অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।