হরিনাকুন্ডুর ফলসী ইউনিয়নে প্রার্থী মনোনয়ন পূন:বিবেচনার জন্য সংবাদ সম্মেলন

আসন্ন ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার ৬নং ফলসী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন পূন:র্বিবেচনার লক্ষ্যে দলের প্রবীন নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড.বজলুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

রোববার বিকাল চারটায় কুলবাড়িয়া বাজারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা এবং দলের হরিনাকুন্ডু উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি, সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড বজলুর রহমান দলীয় প্রধান এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদ সম্মলনে বলেন, গত নির্বাচনে নৌকা বিরোধীদের নানামূখি ষড়যন্ত্র এবং নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে তাকে বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মাত্র ৩৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী অবস্থানের কারণে এবারের নির্বাচনে ফজলুর রহমান তার দলীয় মনোনয়ন না পাবার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিজ অর্থ ব্যয়ে ভোটের মাঠে লড়তে অক্ষম নিমাই চাঁদ মন্ডলকে ড্যামি প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ করানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। প্রকৃত পক্ষে নিমাই বাবুর কোন ভোট নেই, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে তিনি নির্বাচনী এজেন্ট দিতে অক্ষম বলে দাবি করা হয়।

এছাড়া নিমাই বাবু কখনোই নিজেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ইতিপূর্বে ঘোষণা করে নাই। নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে তিনি ঢাকাতে যাননি, দলীয় মনোনয়ন পত্র নিজে কেনেননি,এমনকি তার নামে দাখিলকৃত মনোনয়ন ফরমে তার নিজের স্বাক্ষরের পরিবর্তে নকল স্বাক্ষর যুক্ত করে জমা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়। কোন চাপের মুখে কিম্বা অজ্ঞাত কোন কারণে তিনি শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ছবি প্রদান করেন ।

সংবাদ সম্মলনে অ্যাড. বজলুর রহমান আরও বলেন, স্বার্থন্বেষী একটি মহল মনোনয়ন বোর্ডকে ভুল তথ্য সরবরাহ করে জনসমর্থনহীন এমন ব্যক্তিকে মনোনয়ন পেতে সাহায্য করেছে। আওয়ামী লীগের মত একটি গৌরবান্বিত ঐতিহ্যবাহী দলের প্রার্থী জনসমর্থন বিহীন ব্যক্তি হওয়ায় ইউনিয়নটির হাজার হাজার দলীয় নেতা কর্মী ব্যথিত, মর্মাহত ও বিক্ষুব্ধ। বিষয়টি তদন্ত হওয়ার পাশাপাশি ক্লিন ইমেজের জনপ্রিয় দলীয় ব্যক্তিকে নৌকা প্রতীক বরাদ্দের জন্য দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে দলীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, মানোয়ার হোসেন মন্ডল, রাজু আহমেদসহ জেলা পরিষদ সদস্য আশরাফুল হক জুয়েল, কুলবাড়িয়া বাজার কমিটির সভাপতি সাবেক মেম্বর হবিবর রহমান ও সেক্রেটারি কটন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা ছমিরুল ইসলামসহ বিপুল সংখ্যক নেতৃকর্মী। মনোনয়ন পুন:র্বিবেচনা না করলে উপস্থিত নেতা কর্মীরা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়ার ঘোষণা দেন।