হালকা বৃষ্টিতে মরণফাঁদ হয়ে ওঠে গাংনীর পাকা সড়ক

মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামগঞ্জ ছড়াও মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়ক হয়ে উঠেছে মরণফাঁদ। অবৈধ ইট ভাটার মাটিতে গাংনী উপজেলার কোন রাস্তা নেই চলার মত। হালকা বৃষ্টিতে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। আর এ সব দেখেও নিরব প্রশাসন। কথায় কথায় বলে লিখিত অভিযোগ, লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও নেয়া হয় না সেই ইট ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা।

গাড়াডোব গ্রামের শফিউর রহমান জানান, আমাদের এই মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে প্রতিদিনই ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে। এই রাস্তা দিয়ে অবৈধ ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন অবৈধ জানে করে ইট ভাটাতে প্রতিনিয়ত মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আর সেই মাটির রাস্তায় পড়ে থাকার কারণে কয়েক বছর আগেও সড়ক দুর্ঘটনায় এখানে একজন নিহত হন। নওদা মটমুড়া গ্রামের আল আমিন জানান, ইট ভাটায় মাটি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক সময় মাটি ট্রাক্টর ট্রলি থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে আর হালকা বৃষ্টিতে মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়ায় এই রাস্তা গুলো। তিনি আরো জানান, এটা সরকারি রাস্তা কারো ব্যক্তিগত নয়, যে প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ জানাতে হবে যে এই রাস্তাটি পরিষ্কার করেন। ধানখোলা গ্রামের বদরুদ্দোজা তোতা জানান, গত কয়েকদিন আগের ঘন কুয়াশার শিশির ভেজা এই কাদাযুক্ত রাস্তায় পিছলে পড়ে মোটরসাইকেল, নসিমন-করিমনের বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে। যদি প্রশাসন দ্রুত এই ইট ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে সামনে বৃষ্টি বাদলের দিনে ঘটতে পারে অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা। হিজলবাড়িয়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম জানান, আমরা যে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করি এটি পাকা রাস্তায় কিন্তু ইট ভাটার মাটির কারণে এটি বোঝার উপায় নেই যে পাকা রাস্তা। মনে হয় দেখে কাঁচা রাস্তা। তিনি আরো জানান ইট ভাটা মালিক কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি ধুয়ে পরিষ্কার করে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা কোন প্রকার কর্ণপাত করেন না।

রামনগর গ্রামের মর্ডান ইট ভাটার মালিক জামাল হোসেন জানান, আমরা যে মাটিগুলো ভাটায় নিয়ে আসছি সেগুলো রাস্তায় পড়ে থাকার কথা নয়, আর যেগুলো পড়ছি সেগুলো ধুলো হয়ে উড়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এতে পথচারীদের সমস্যা হলে আমার কিছু করার নেই। গাংনী ইট ভাটা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান আতু জানান, মাটি পড়বে না তো পড়বে কি। ইট ভাটা মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে তারা রাস্তা দিয়ে পরিষ্কার করার কথা আর যদি না করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান জানান, সরকারি রাস্তার কোন ভাবে কেউ নষ্ট করতে পারে না, যদি কেউ এভাবে রাস্তা নষ্ট করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।