হালাল ফুডের উদ্যোক্তা মেহেরপুরের পল্লব

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের খুব সাধারণ পরিবারের ছেলে মোঃ পল্লব হোসেন।

বর্তমানে তিনি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইন এগ্রো প্রোসেস এন্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এ অধ্যায়নরত।
করোনাকালীন সময়ে দেশ যখন স্থবির হয়ে গেছিলো,, করোনা মহামারী যখন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিলো তখন পল্লব এর ভার্সিটি বন্ধ ছিলো, ছিলো না কোনো টিউশনি। কিছু একটা করা লাগবে এই ভেবে শুরু করে দেয় ছোট পরিসরে অনলাইন বিজনেস। যার মুল প্রেরণা ছিলো তার স্ত্রী। তিনিও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এবং তার কিছু শুভাকাঙ্খী।
যেহেতু ফুড নিয়ে পড়াশোনা তাই ফুড নিয়েই বিজনেস করা শুরু করে এবং নিরাপদ খাদ্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবার প্রয়াসে কাজ চালিয়ে যায়।

তার প্রোডাক্ট সমুহ প্রাকৃতিক চাকের মধু, লিচু ফুলের, কালো জিরা ফুলের, সুন্দরবন এর খলিশা ফুলের মধু, প্রিমিয়াম কোয়ালিটির হানিনাট, ড্রাই ফ্রুটস, ঘি, বিভিন্ন শরবত আইটেম, বিভিন্ন বাদাম, ছাতু, খেজুর, সরিষার তেল ও সিজনাল ফল।
সব সময় সে নিজে থেকেই সংগ্রহ করার চেস্টা করে অন্যথায় নিজেদের লোক উপস্থিত থাকে।বর্তমানে সে তার নিজ খরচ চালিয়ে ধীরে ধীরে বিজনেস টা বড় করার চেষ্টা করতেছে,,,তার প্রোডাক্ট সারা বাংলাদেশ এ কুরিয়ার এর মাধ্যমে দিয়ে থাকে,সাথে অফলাইনেও সেল দিয়ে থাকে যশোর শহরে।

দেশ ছেড়ে দেশের বাইরেও তার প্রোডাক্ট চলে গেছে, এবং সুনামের সাথে বিজনেস করে যাচ্ছে।বর্তমানে তার বেশ কয়জন রিসেলার আছে যারাও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তারা পাইকারি মধু সহ বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে সেল দিয়ে থাকে। বর্তমানে সে প্রতি মাসে ১০০ এর উপর এ ডেলিভারি দিয়ে থাকে।

ফেসবুক এ HALAL FOOD BD নামে একটা পেজ ও গ্রুপের মাধ্যমে সে বিজনেস পরিচালিত করে। এখন সে স্বাবলম্বী তার মাসিক বিক্রি পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা।