হাসেম রেজার বিরুদ্ধে দর্শনায় মানববন্ধন

হাসেম রেজার বিরুদ্ধে দর্শনায় মানববন্ধন

প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে জনগনের উপস্থিতিতে সাংবাদিকের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা সহ চাঁদাবাজি মামলাবাজ ঘরবাড়ি লুণ্ঠন জোর করে জমি জায়গা দখল সহ অসংখ্য মানুষকে মেরে আহত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন কুড়ালগাছি ইউনিয়নের জনগণ।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে দর্শনা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন কুড়ালগাছি ইউনিয়নের জনগণ।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন আ.লীগের সহ-সভাপতি কাফিউদ্দিন টুটুল, সাংবাদিক শিমুল রেজা, মাসুদ রানা, কফিল উদ্দিন,তারা বলেস, হাসেম রেজা নব্য আ’লীগের তার পরিবারের লোকজন এখনো জামাতপন্থী। তিনি রাতারাতি অবৈধ অর্থ মালিক হয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃস্টি মাধ্যমে নিরীহ জনগণের উপর হামলা মামলা করে চলেছেন। আমাদের দেয়ালে পিঠ গেছে।হাসেম রেজাকে যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রেফতার করা না হবে আমাদের এই আন্দোলন চলতে থাকবে। পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক।

পুলিশের সামনে হাসেম রেজা সাংবাদিক শিমুল রেজার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার চেস্টা করলেও পুলিশ কোন ভূমিকা রাখে নাই। আমরা বারবার মামলা করতে গেলে মামলা গ্রহণ না করে বিভিন্ন তালবাহানা করেই চলেছে। এখনো পর্যন্ত আমাদের গ্রামের দুইজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। স্থানীয় সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ এমপি মহোদয় মামলা গ্রহণের কথা বললেও রহস্যজনক কারণে মামলা গ্রহণ করছে না। পুলিশ যদি মামলা গ্রহন না করে আমরা এসপি অফিসের সামনে অবস্থান ধর্ম ঘাটে যাব। অতিদ্রুত মামলা গ্রহন করে হাসেম রেজা গ্রেফতারে দাবি জানাচ্ছি।

সাংবাদিক শিমুল রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা দুই বন্ধু কার্পাসডাঙ্গা বাজারে বসে ছিলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাশেম রেজা ও তার দুই ছেলে সৈকত (২১) ও শুভ (২২), মোক্তারপুরের আকরাম (২৮), কার্পাসডাঙ্গার মধু (৪২) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে সাথে নিয়ে প্রাইভেটযোগে হাজির হয়। তিনি গাড়ি থেকে নেমেই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। একপর্যায়ে আমাকে জোরপূর্বক টেনে হেঁচড়ে প্রাইভেটে তুলে নেয় এবং একটি সারের গোডাউনে নিয়ে হাত-পা বেঁধে আটকে রাখে। খবর পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে।

উল্লেখ্য সংবাদ প্রকাশের জের ধরে হাশেম রেজা সম্প্রতি শিমুল রেজা নামের এক সাংবাদিককে কার্পাসডাঙ্গা বাজার থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে প্রাইভেটযোগে তুলে নেয় এবং একটি পরিত্যক্ত সারের গোডাউনে নিয়ে হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন চালান সাংবাদিক শিমুল রেজা উপর।

অপহরণের বিষয়টি পুলিশকে জানালে দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধারের করেন। আওয়ামী লীগ নেতা হাশেম রেজা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের সামনেই সাংবাদিক শিমুল রেজাকে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পুলিশের সামনেই সাংবাদিকের মাথায় পিস্তল ঠেকানোর ঘটনায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন পুলিশ কর্মকর্তা দর্শনা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নিরব হোসেন ও এসআই টিপু সুলতান। তিনি হাশেম রেজাকে মাথা গরম করতে নিষেধ করেন।

এবিষয়ে হাসেম রেজা জানান, অপহরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। আমাদের উভয় পক্ষের মামলাগুলো মিমাংসা করার জন্য কার্পাসডাঙ্গা বাজার থেকে আমার গাড়িতে করে কুড়ালগাছি বাজারে নিয়ে আসি। এলাকার মানুষদের সাথে নিয়ে মীমাংসা করার কথা ছিল কিন্তু কে/বা কারা শিমুলকে অপহরন করা হয়েছে মিথ্যা গুজব ছড়াতে থাকে। পুলিশ এসে শিমুলকে রাস্তার পাশে বসা অবস্থা পায়। পরে শিমুল তার দাদার সাথে বাড়িতে চলে যায়।