হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ডে আরো এক যুবক গ্রেফতার, এ নিয়ে গ্রেফতার ৭

মেহেরপুরে হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ডে জড়িত অভিযোগে নিহাল আল মুকিত নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)।

গত রবিবার রাতে মেহেরপুর শহরের এশিয়া নেট মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আটক নিহাল আল মুকিত শহরের বড় বাজার এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।

এ নিয়ে হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ডে পুলিশ ৭জনকে আটক করলো। বাকিরা হলেন; কথিত সাংবাদিক নাজনিন খান প্রিয়া, হোটেল মালিক মতিয়ার রহমান, তার ছেলে মামুন, হিজুলির ছন্দা খাতুন, হোটেল কর্মচারী হাসিবুল হক জয়, সাংবাদিক মিজানুর রহমান জনি।

ডিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেহেরপুর ডিবির ওসি সাইফুল আলমের নেতৃত্বে এসআই আশরাফ সহ সঙ্গীফোর্স নিয়ে শহরের বড় বাজার এলাকার এশিয়া নেট মোড়ে অভিযান চালিয়ে নিহালকে গ্রেফতার করা হয়। নিহালের কাছে থেকে মেহেরপুর শহরের আলোচিত আটলান্টিক হোটেল কাণ্ডে তার একাধিক অশ্লীল ভিডিও পাওয়া গেছে এবং আলোচিত হোটেল আটলান্টিকাতে অসামাজিক কার্যকলাপের মিডিয়া হিসেবে কাজ করতো এবং নিজেও এসব কর্মকাণ্ডের সুবিধা নিতো।

ডিবি পুলিশ আরো জানায়, হোটেল আটলান্টিকা মামলার আসামি হাসিবুল হক জয়ের ১৬৪ ধারার জবানবন্দি অনুযায়ী তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং নেহালের মোবাইলে অসংখ্য মেয়েদের সাথে শারীরিক মিলনের অনৈতিক ভিডিও ছবি পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, ২২ নভেম্বর মউকের একটি চাঁদাবাজী মামলার আসামী হিসেবে হোটেল আটলান্টিকায় অসামাজিক কার্যকলাপের অন্যতম হোতো নাজনিন খান প্রিয়াকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। পরে ওই মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হলে ডিবি পুলিশ মামলার তদন্তকালে ৩০ নভেম্বর মেহেরপুরের ওয়াপদা সড়কে আটলান্টিকা কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে হোটেল মালিক মতিয়ার রহমান, তার ছেলে মামুন এবং সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামের এনামুল হকের মেয়ে ছন্দা খাতুনকে গ্রেফতার করে। ছন্দা খাতুনকে ১৬৪ ধারায় জবাবনবন্দীতে হোটেল আটলান্টিকার অসামাজিক কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরেন। তার জবানবন্দীতে উঠে আসে ভয়ংকর সব তথ্য। হোটেল মালিক মতিয়ার ও তার ছেলে মামুন স্থানীয় কিছু সাংবাদিকের সহায়তায় হোটেলে বিভিন্ন মেয়েদের ব্যবহার করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও ধারণ করে সেগুলো সাংবাদিকদের মাধ্যমে চাদাবাজি করে আসছিলেন।

ছন্দা খাতুনের জবানবন্দী নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশ হলে মেহেরপুরসহ আশেপাশের কয়েকটি জেলায় সংবাদটি তোলপাড় সৃষ্টি করে। যার রেশ এখনো চলমান। সংবাদে মেহেরপুরের চার সাংবাদিক ও এক আইনজীবীর কথা উঠে আছে। প্রকাশিত ওই সংবাদের চার সাংবাদিকে একজন এশিয়ান টেলিভিশনের সাংবাদিক মিজানুর রহমান জনিকেও ওই মামলায় শোন এ্যারেষ্ট দেখিয়েছে পুলিশ। আজ হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ড মামলার রিমাণ্ড শুনানী হওয়ার দিন ধার্য রয়েছে।