১১ জন কারাগা‌রে, ৭ কি‌শোরকে উন্নয়ন কে‌ন্দ্রে

মেহেরপুরে আটক ১৮ জন শিবির সদস্যদের মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় ৭ কিশোর সদস্যদের যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

রবিবার সন্ধায় মেহেরপুর দায়রা জজ আদালতে তাদের নিয়ে আসা হলে ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আব্দুস সালাম এ আদেশ দেন। ৭ কিশোর শিবির সদস্য হলো, মেহেরপুর শহরের গড়পাড়ার মাহাবুবুল হাসানের ছেলে সৈয়দ জোবায়ের হাসান (১৫), নতুনপাড়ার লাল মিয়ার ছেলে হৃদয় (১৫), মেহেরপুর শহরের তাতিপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে কামরুল ইসলাম নাহিদ (১৬), চকশ্যামনগর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রোমান (১৪), গ্রামের বজলুর রশিদের ছেলে আবু জাফর (১৬), বন্দর গ্রামের তোরাফ আলীর ছেলে আল সাইফ, মেহেরপুর নতুন পাড়ার সেলিম রেজার ছেলে মাসুদ (১৫)।

এর আগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা বাকি ১১ জন প্রাপ্ত বয়স্ক শিবির সদস্যদের মেহেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাকি ১১ জন শিবির সদস্য হলো, মেহেরপুর পৌরসভার ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর শিউলি আক্তার(৩২), মেহেরপুর ৫নং ওয়ার্ডের আব্দুর ওহাব মন্ডল এর ছেলে মেহেদী হাসান (২২), সানোয়ার হোসেন এর ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (২২), হঠাৎ পাড়ার গিয়াস উদ্দীনের ছেলে আব্দুল্লাহ (১৮), মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামে আবুল কালামের ছেলে রাজু আহমেদ (২২), একই গ্রামের পোড়াপাড়ার আক্কাস আলির ছেলে আবুল হাসান (২২), মসজিদ পাড়ার রফিস উদ্দীন এর ছেলে মাহাবুব (১৮), আজিজুল হকের ছেলে ইকবাল হোসেন (১৮), সদর উপজেলার কামদেবপুর গ্রামে আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আবুল বাসার (২০), সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামের আজিবার আলির ছেলে সাইদুল ইসলাম (১৯), সদর উপজেলা কোলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে খালিদ সাইফুল্লাহ (১৮)।

উল্লেখ্য, গত শনিবার মেহেরপুর শহরের শেখ পাড়ার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে নাশকতার পরিকল্পনা চলাকালিন সময়ে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হয় শিবিরের ১৮ জন সদস্য। পরে জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ রবিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।