
প্রথম এক ঘণ্টা যেন টটেনহামের উৎসবের মঞ্চ। ইতালির উদিনেতে বুধবার রাতে ইউরোপের দুই শিরোপাধারীর লড়াইয়ের শুরুতে ইংলিশদের দাপটে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না ফরাসি জায়ান্ট পিএসজিকে। তবে শেষ মুহূর্তে ম্যাচে নাটকীয় মোড়—দুই গোল শোধ করে ম্যাচ টেনে নিল টাইব্রেকারে, সেখানেই বাজিমাত করল লুইস এনরিকের দল।
ম্যাচের ৮৪ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল টটেনহাম।
মনে হচ্ছিল, তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ট্রফি হাতে তুলতে যাচ্ছেন রোমেরোরা। কিন্তু ৮৫তম মিনিটে লি কাং-ইন ব্যবধান কমান, আর যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে হেডে সমতা ফেরান গঞ্জালো রামোস। সুপার লিগে অতিরিক্ত সময় না থাকায় নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ গড়ায় সরাসরি টাইব্রেকারে।
পেনাল্টি শুটআউটে পিএসজির প্রথম শট ভিতিনিয়া পোস্টে লাগালেও পরের চার শটে কেউ ভুল করেনি।
টটেনহ্যামের পক্ষে মিকি ফন দে ফেনের শট ঠেকান পিএসজির নতুন গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়ে, আর মাথিয়াস তেলের শট যায় বাইরে। ৪-৩ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করেই প্রথমবারের মতো উয়েফা সুপার কাপ জিতে ইতিহাস গড়ল পিএসজি।
টটেনহামের দুই গোলই আসে ডিফেন্ডারদের থেকে। ৩৯ মিনিটে জোয়াও পালিনিয়ার ভলির রিবাউন্ড থেকে গোল করেন ফন দে ফেন।
বিরতির পর ফ্রি-কিক থেকে পেদ্রো পারোর ক্রসে হেডে জালের দেখা পান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ক্রিস্টিয়ান রোমেরো। কিন্তু এই সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
পুরো ম্যাচে ৭৪ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেছিল পিএসজি, কিন্তু প্রথমার্ধে একটিও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি খেলোয়াড়দের নৈপুণ্যে বদলে যায় চিত্র। আক্রমণে তীব্রতা বাড়ে, আর শেষ মুহূর্তের দুই গোলেই ম্যাচে ফিরে আসে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
মৌসুমের শুরুতে এক ম্যাচের এই মর্যাদার লড়াই সাধারণত হয় আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগ জয়ীর মধ্যে। মে মাসে ইন্টার মিলানকে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল পিএসজি। একই মাসে ১৭ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়ে ইউরোপা লিগ জেতে টটেনহাম।
সন হিউং-মিনের বিদায়ের পর প্রথম ম্যাচেই অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন রোমেরো। কোচ টমাস ফ্র্যাঙ্কের অধীনে এটিই ছিল টটেনহামের প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। ট্রফির ছোঁয়ায় তা রাঙানো হলো না।
এদিকে অল্পের জন্য এক মাসের মধ্যে ইংলিশ ক্লাবের বিপক্ষে আরেকটি ফাইনালে হার এড়াল পিএসজি। গত মাসে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসির কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল তারা। এবার কিন্তু শেষ হাসি তাদেরই।
সূত্র: কালের কন্ঠ