
দর্শনা কেরুজে টানা তৃতীয় দিনের আন্দোলনে শ্রমিকরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসানসহ ব্যবস্থাপনা পর্ষদের কর্তাদের ৯ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শ্রমিকরা এমডি রাব্বিক হাসানসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের অফিসে আটকে রাখে। পরে সেনাবাহিনী ও দর্শনা থানার ওসি (তদন্ত) সুলতান মাহমুদের সহায়তায় তারা অফিস ত্যাগ করেন।
এ সময় এমডি রাব্বিক হাসান বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি, তবে আগামী রবিবার সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে তিনি শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেন। ঘটনার পর কেরু ক্যাম্পাস এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম পিন্স বলেন, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। এটি আমাদের যৌক্তিক দাবি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, এমডি রাব্বিক হাসান হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের রায় মানছেন না এবং নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন।
দেশের ঐতিহ্যবাহী চিনিকল দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানির প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ থাকা শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের দাবিতে শ্রমিকরা লাগাতার বিক্ষোভ, সমাবেশ, অবরোধ ও অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছে। গত বছরের ১৪ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন একজন শ্রমিক নেতার বদলিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতির কারণে ১১ মার্চ নির্বাহী আদেশে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে শ্রমিকপক্ষ হাইকোর্টে রিট করেন এবং আদালত নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেন। শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও কয়েক দফা কেরু পরিদর্শন করে নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ আছে বলে মত দেন।
তবুও প্রায় এক বছর নির্বাচন না হওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং গত কয়েকদিন ধরে তারা ধারাবাহিক আন্দোলনে নেমেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তারা এমডিকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এমডি রাব্বিক হাসান বলেন, নির্বাচন বিষয়ে আমি সিদ্ধান্ত নেব না। সদর দপ্তরকে অবহিত করেছি, তারা যা সিদ্ধান্ত দেবে আমি তা অনুসরণ করব।
আন্দোলনে অংশ নেন সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানসহ ২-৩ শ’ নেতা-কর্মী।