৪৩ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু প্রায় ১০ হাজার

গত ৪৩ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রায় ১০ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আর আক্রান্তের সংখ্যা এ সময় বেড়েছে ১ লাখ ২৯ হাজারের বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য এটাই জানাচ্ছে।

এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৬০ হাজার ১১৫ জনে। আর আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ১১ লাখ ৩১ হাজার ৭১৩ জনে।

চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ। দ্রুত বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। এখন তা ১৮১ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

Lifebuoy Soap
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির এর তথ্য অনুযায়ী, ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ছয়টা পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ১৮১টি দেশে ১১ লাখ ৩১ হাজার ৭১৩ জন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর এ সময় করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন ৬০ হাজার ১১৫ জন ব্যক্তি। মাত্র ৪৩ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ৯ হাজার ৮৮৫।

জন হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল এখন ইউরোপ। যদিও ধীরে ধীরে সেই কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠছে যুক্তরাষ্ট্র। মৃত মানুষের সংখ্যার দিক থেকে প্রথম দুটি দেশই ইউরোপের। সবার ওপরে আছে ইতালি, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১৪ হাজার ৬৮১ জন, দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৮২৭ জন।

ইউরোপে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতালির পরই বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে স্পেনে। দেশটিতে আজ ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা পর্যন্ত মারা গেছেন ৬ হাজার ৫২০ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ২৯ জন। এরপরেই মৃতের হার ফ্রান্সে বেশি। দেশটিতে মারা গেছেন এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৫২০ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ২৯ জন। যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৯৮ জন, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ হাজার ৬১২ জন। ইউরোপে আক্রান্ত বেশি কিন্তু মৃত্যুর হার কম এমন দেশ হলো জার্মানি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৯১ হাজার ১৫৯ জন ব্যক্তি আর মারা গেছেন ১ হাজার ২৭৫ জন।

এখন পর্যন্ত ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ হাজার ৭৪৩ জন, দেশটিতে মারা গেছেন ৩ হাজার ৪৫২ জন। আর যে চীনের করোনা ভাইরাসে উৎপত্তি সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৫৪৩ জন, মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৩০ জন।

যুক্তরাষ্ট্রে আজ ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭৮ হাজার ৪৫৮ জন ব্যক্তি, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৭ হাজার ১৫৯ জন।

সুস্থ হওয়ার সংখ্যায় সবার ওপরে রয়েছে চীন। ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৯ জন সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে চীনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। স্পেনে সুস্থ হয়েছেন সাড়ে ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ। জার্মানিতে ২৪ হাজার ৫৭৫ জন, ইতালিতে ১৯ হাজার ৭৯৮ ও ইরানে ১৯ হাজার ৭৭৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৮৯৭ জন ব্যক্তি।

বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০। দেশে গত ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত দেশে আটজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩০ জন।

সুত্র-প্রথম আলো