৫৪৪ দিন পর মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাজলো ছুটির ঘন্টা

দীর্ঘদিন পর শুরু হয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম। তারই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইদহের মহেশপুরের সবচেয়ে পুরাতন ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয় মহেশপুর সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

রবিবার মহেশপুর সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকার ঘোষিত নানা দিক নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদের পদচারনায় আবার মুখরিত হয়ে উঠেছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গন। অনেকদিন পর প্রিয় বিদ্যালয়ে আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত ও উৎফুল্ল শিক্ষার্থীরা।

উপজেলা শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো খোলার আগে থেকেই উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষরা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গন ও পাঠদানের কক্ষ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ অন্যান্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান গেইটে শিক্ষার্থীদের মাস্ক প্রদান, স্প্রে করা, ও শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করে ও ফুলেল শুভেচছা জানিয়ে শ্রেনীকক্ষে কক্ষে প্রবেশ করানো হয়েছে ।এছাড়াও প্রতিটি কক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায় দীর্ঘদিন পরে প্রিয় বিদ্যালয়ে আসতে পেরে তারা খুবই খুশি। সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শিক্ষকরা তাদের শ্রেনি কক্ষে প্রবেশ করিয়েছে। এভাবেই তারা আগামীতেও স্কুলে আসতে চায়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে ১০ টা হতে ১ টা অব্দি পাঠদান করানো হবে। পাঠদানের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের প্রথমেই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করনীয় বিধি ও সরকারের নির্দেশনাগুলো ভালো ভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি। প্রতিদিন আমরা প্রতিটি শ্রেণি কক্ষ জীবানুনাশক দিয়ে পরিস্কার করছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বেঞ্চে চিহ্নত করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মামুনুল করিম বলেন, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে উপজেলার সকল বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামীতেও সকল স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব এবং সরকারের জারি করা নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের জন্য স্ব-স্ব বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করেছি। যেন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মের কোন ব্যাঘাত না ঘটে।