৮ মাস পার, হয়‌নি জেলা আওয়ামী লীগের পুর্ণাঙ্গ ক‌মি‌টি

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষ হয়েছে ৮ মাস আগে। সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৮ পদের নাম ঘোষনা করা হয়। তবে এখনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়নি। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সম্মেলনও শেষ হয়েছে। তবে শিঘ্রই পুর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা কেন্দ্রে জমা দেওয়া হবে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৬ মে মেহেরপুর ড. শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক উপ্িস্থত ছিলেন। সম্মেলন শেষে আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৮ সদস্যর কমিটি ঘোষণা করেন।

কমিটিতে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপিকে পুনরায় সভাপতি ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান পুনরায় সাধারণ সম্পাদক করা হয়। একই সঙ্গে সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মিয়াজান আলী, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, আব্দুস সালাম বাবলু বিশ্বাস, সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নানকে সহ-সভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন বিশ্বাসকে সহসভাপতি এবং এ্যাড. ইব্রাহিম শাহীনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। একই দিনের জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীনকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নতুন কমিটি ৮ মাস পার করলেও দিবস পালন ছাড়া দলীয় কোন কর্মসূচী করতে দেখা যায়নি। দিবসগুলোও পালন হয়ে থাকে পৃথক পৃথক স্থানে ব্যক্তি কেন্দ্রীক। একই অভিযোগ করেছেন জেলা কমিটির নতুন একাধিক সদস্যও। তাদের দাবী সবার মতামতের ভিত্তিতে দ্রুত পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল করা।

এ ব্যাপারে জেলা কমিটির সহ-সভাপতি এ্যাড মিয়াজান আলী বলেন, ৮ মাস আগে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৮ সদস্যর কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে আমাদের নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কোন মিটিং করা হয়নি। ফলে সাংগঠনিক কার্যক্রম একেবারেই স্থবির হয়ে আছে। শুনেছি কমিটির জন্য খসড়া তালিকা করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আমার কোন মতামত নেওয়া হয়নি। তবে সবার মতামতের ভিত্তিতে কমিটি করা হলে রাজনৈতিক ঐক্যতা বজায় থাকবে এবং দলীয় কার্যক্রমে গতি আসে।

মিয়াজান আলী বলেন, আগেও সম্মেলনের ৪৫দিনের মধ্যে পুর্নাঙ্গ কমিটি করার জন্য মৌখিক নির্দেশনা ছিলো। এবার তা গঠনতন্ত্রে সংশোধনীর মাধ্যমে ৪৫ দিনের মধ্যে কমিটির করার বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের আরেক সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, কয়েকটি দিবস পালন ছাড়া জেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় কোন কার্যক্রম হয়নি। সাংগঠনিক কার্যক্রম পুরোই স্থবির হয়ে আছে। যা পালন করা হয় তা ব্যক্তি কেন্দ্রীক। পুর্নাঙ্গ কমিটি না হলে দলীয় কার্যক্রম গতিশীল হবে না। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে পুর্ণাঙ্গ কমিটি করবেন এটাই নিয়ম। আমরা অপেক্ষায় আছি এ বিষয়ে সভাপতি ও সেক্রেটারী কোন মতামত নেন কিনা। তার আগে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করছি না। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক দুজনের সাথে আমার কথা হয়েছে মেহেরপুর থেকে কোন কমিটি জমা হয়নি বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, সভাপতি-সেক্রেটারী কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সাথে মতামত নিয়ে এ পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করবেন এটাই হওয়ার কথা। যদি তারা আমাদের মতামত না নিয়ে কমিটি জমা দেন, তখন আমরা কেন্দ্রে আমাদের মতামত জানাবো।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ এম এ খালেক বলেন, ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পুর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনের ৪৫ দিনের মধ্যে জেলা কমিটি জমা দেওয়ার কথা। খুব শিঘ্রই পুর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য তালিকা কেন্দ্রে জমা দেওয়া হবে।