মেহেরপুর বৃদ্ধাশ্রমে বৃদ্ধ বাবাদের দিন কাটছে সন্তানদের প্রতিক্ষায়

মেহেরপুরের একটি বৃদ্ধাশ্রমে চোখে মুখে হতাশা আর ছেলে মেয়ে স্বজনদের প্রতিক্ষায় দিন কাটছে সাতজন বৃদ্ধ বাবার। চাকুরিজিবি ছেলে মেয়েরা বৃদ্ধ বাবা মায়েদের সময় দিতে না পেরে অবশেষে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে গেছেন।

কবে দেখতে আসবেন সে কথা সন্তানরা কখনো বলেনি। তবে কোনো এক সময় হঠাৎ বৃদ্ধাশ্রমে এসে বাবাকে সারপ্রাইজ দেবে ফ্রান্স প্রবাসি মেয়ে গ্লোরিয়া লিপি হালদার। আর সে প্রত্যাশায় বৃদ্ধাশ্রমে দিন কাটছে ৮৬ বছর বয়সি বাবা রবার্ট রঞ্জিত হালদারের। শুধু রবার্ট রঞ্জিত হালদারই নয়, ৯০ বছর বয়সি এ্যাডমিন মনিময় সর্দার,৭৮ বছর বয়সি পল মিত্রের। বিয়ে না করায় জগতে আপন কেউ না থাকায় বৃদ্ধাশ্রমে টেলিভিশন দেখে সময় কাটাতে হয় ৯৫ বছর বয়সি শুসেন সরকারের। তিনিও দিন কাটাচ্ছেন স্বজনদের আশায়।

কষ্টের মাঝেও পরম মমতায় ঘর বাঁধেন যে বাবা মা, এক সময়ে সন্তানের কারণে আপন নিবাস ছেড়ে যেতে হয় তাদের। নিজ ঘরে তখন তারা হয়ে ওঠেন পরবাসী। যে বয়সে নাতি নাতনি আর আপনজনদের সাথে হেসে খেলে একান্তে সময় কাটানোর কথা, সেই বয়সে কাটে তাদের প্রবীণ নিবাস বা বৃদ্ধাশ্রমের ছোট্ট কামরার বিছানায়। ঝাঁপসা চোখে আপনজনদের কথা ভেবে ভেবেই কাটে তাদের সময়।

মেহেরপুর মুজিবনগরের এই বৃদ্ধাশ্রমের অনেক বাবার গল্পই এমনি। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এমন বাস্তব জীবনের মুখোমুখি হতে হবে কোনোদিন ভাবতেও পারেনি বয়সের ভারে নুয়ে পড়া এসব মানুষগুলো। মুজিবনগরের বল্লভপুরের এই বৃদ্ধাশ্রমে জায়গা হয়েছে ২৫ জন বৃদ্ধ মানুষের। এদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ১৮ জন নারী। যাদের থেকেও নেই আপনজন, নেই মাথা গোঁজার ঠাই।

বার্ধক্যের কারণে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন অনেক আগেই। ঢাকা থেকে আসা রবার্ট রঞ্জিত হালদারের একমাত্র মেয়ে থাকেন ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস শহরে। উচ্চবৃত্ত পরিবারের এই ব্যক্তিটিই ছিলেন একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষ। স্ত্রী মারা যান, আর একমাত্র মেয়ে গ্লোরিয়া লিপি হালদারের বিয়ের পরে চলে যান ফ্রান্সে। তাকে দেখা শোনার আর কেউ নেই। পরে ঠাই হয় মুজিবনগরের এই বৃদ্ধাশ্রমে।

সারাদিনই তার সময় কাটে একমাত্র মেয়ের মুখটি দেখার আশায়। মেয়ে দিনে দুবার কল দেন। রাতে গুড নাইট আর সকালে গুড মর্নিং বলেন। অনেক আকুঁতি জানালেও মেয়ে কবে আসবে তার নির্দিষ্ট সময় বলেনা। শুধু বলে কোনো একদিন হঠাৎ এসে তোমাকে সারপ্রাইজ দেবে বাবা। আর ৯০ বছর বয়সি এ্যাডমিন মনিময় সর্দারের খুব মন চাই নাতি নাতনিদের সাথে ফুটবল খেলে আর খুনসুটি করে কাটাতে।

কিন্তু সেই ভাগ্য তার হয়ে ওঠেনি। কানাডা প্রবাসী ছেলে তার সন্তানদের বৃদ্ধ দাদুর কাছে আসতে দেননা, সময় নেই তাদের। আশ্রমের এসব বৃদ্ধদরা নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। তারপরেও বৃদ্ধাশ্রমে নি:সঙ্গ জীবন যাপন করছেন এসব বৃদ্ধরা। জৈষ্ঠ সেবিকা আন্না মন্ডল বলেন, পরিবারের চেয়ে এখানেই ভাল আছেন তারা। তবুও স্বজনদের প্রতিক্ষার প্রহর গুনতে হয় তাদের। এটাই সংসার জগত,এটাই মায়া। নিজের দাদা,বাবাদের মতই আদর যত্ন আর খুনশুটি করেন প্রশিক্ষনার্থী সেবিকা প্রিয়া মন্ডল,পিউ মল্লিকসহ অনেকে।

তবে পিএসকেএসএর নির্বাহী পরিচালক মুহাঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, মানুষ বৃদ্ধ হয়ে পড়লে শিশুর মত অসহায় হয়ে পড়ে। তখন পরিবার সন্তানদের সঙগ খুবই জরুরী। প্রতিটি বাবা মায়ের জন্য পরিবারই হয়ে উঠুক সহায় আমরা এটাই প্রত্যাশা করি। শেষ বয়সে পিতা মাতার এবমাত্র ভরসা সন্তান সন্ততি।




দামুড়হুদায় স্কুল শিক্ষিকাকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

দামুড়হুদা উপজেলার কোষাঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা, দুই সন্তানের জননী, পরকীয়ার জেরে ভাসুরের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় একজন শিক্ষিকার এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর উদ্যোগে স্কুলের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নিয়ে ইউএনও, উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং দামুড়হুদা মডেল থানার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

রোববার সকাল ১০টার দিকে কোষাঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার কোষাঘাটা গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে জালালের সঙ্গে দীর্ঘ ২৩ বছর আগে চুয়াডাঙ্গা ঈদগা পাড়ার রবিউলের মেয়ে সানজিদা খাতুন পলির বিয়ে হয়। ২০০৫ সালে জালালের পিতা শুকুর আলী ছেলে ও পুত্রবধূর সুখের কথা চিন্তা করে কোষাঘাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ বিঘা জমি দান করেন। এই জমির বদৌলতে বউমা সানজিদা খাতুন পলির চাকরি হয়।

দীর্ঘ আট বছর ওই স্কুলের কোনো শিক্ষকের বেতন হতো না। পরে ২০১৩ সালে কোষাঘাটা প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিভাবে নিবন্ধিত হওয়ার পর থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন চালু হয়। এরপর থেকে প্রতিমাসে বেতন তুলে সংসার ভালোভাবেই চালিয়ে যাচ্ছিলেন দম্পতি। তাঁদের ঘরে জন্ম নেয় দুটি ছেলে সন্তান বড় ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র এবং ছোট ছেলে প্রথম শ্রেণির ছাত্র।

তাদের রেখে ২০২৪ সালের শুরু থেকে সানজিদা খাতুন পলি, জুরানপুর গ্রামের আত্তাব মল্লিকের ছেলে, তিন সন্তানের জনক হাসিবুরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত ২১/০২/২৫ তারিখে সানজিদা খাতুন পলি স্বাক্ষরিত তালাকনামা গোপন রেখে জালালের সঙ্গে সংসার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে ০২/০৫/২৫ তারিখে তিনি ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান হাসিবুরের সঙ্গে।

এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে স্কুলের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের দাবি তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ করতে হবে। কোনো শিক্ষক বা শিক্ষিকা যেন এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত না হন, সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চান তারা।

এ বিষয়ে জালাল উদ্দিন বলেন, “আমার বাবার নিজের জমি দিয়ে আমার স্ত্রীকে চাকরি দিয়েছিলাম। আর সে এখন আমার ঘর থেকে টাকা ও আমার মায়ের গয়না নিয়ে অন্য পুরুষের হাত ধরে পালিয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”

কোষাঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সানজিদা খাতুন পলির মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “এই ধরনের ঘটনা শোনার পর স্কুলে আসতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। এলাকার মানুষ নানা ধরনের কথা বলছে। স্কুলের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া প্রয়োজন। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”

উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু হাসান বলেন, “বর্তমানে আমাদের স্কুল ছুটিতে রয়েছে। এই অবস্থায় কে কোথায় যাচ্ছে, তা আমাদের জানা নেই। তবে ঘটনা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিথি মিত্র বলেন, “ঘটনাটি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”




চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জালশুকা গ্রামে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে সাফিদ আহমেদ সাম্য (১৮) নামের এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রের আত্মহত্যা করেছে।

রবিবার ভোরে নিজ শয়নকক্ষের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি।

সাফিদ আহমেদ সাম্য চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের স্কুলপাড়ার পল্লি চিকিৎসক ও এনজিও কর্মী আব্দুল মান্নানের বড় ছেলে। তিনি মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর মা একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ মোটরসাইকেল কেনার জন্য বাবা-মায়ের নিকট আবদার করছিল সাফিদ আহমেদ সাম্য। এ বিষয়টি নিয়ে শনিবার রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য হয় তাঁর। রাতেই এক বন্ধুকে মুঠোফোনে আত্মহত্যার বিষয়ে ইঙ্গিত দেন সাম্য। পরে সাম্যর এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাঁর পরিবারকে আত্মহত্যার বিষয়ে জানানো হয়। পরে ভোরে পরিবারের সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় কলেজ ছাত্র সাম্যর মরদেহ উদ্ধার করে।

সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বাবলু সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে সে আত্মহত্যা করেছে। মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়েছেন। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, মোটরসাইকেল কেনা নিয়ে বাবা-মায়ের উপর অভিমানে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




মেহেরপুরে আষাঢ়ের শুরুতে স্বস্তির বৃষ্টি

আজ পহেলা আষাঢ়। সকালটা শুরু হয় রোদের তীব্রতা আর ভ্যাপসা গরম নিয়ে। মানুষের মাঝে ছিল অসহনীয় অস্বস্তি। রোদ আর গরমে ক্লান্ত হয়ে ওঠে কর্মজীবী মানুষ। ঈদের দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে অফিসপাড়াতেও ভিড়। কপালের ঘাম মুছতে মুছতে অফিসের প্রয়োজনে আসেন অনেকেই। ক্লান্তি ও গরমের মাঝে হঠাৎ হালকা মেঘে ঝরতে শুরু করে বৃষ্টি। পরে মেহেরপুরের আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে।

মেহেরপুরে আষাঢ়ের শুরুর দিনেই দেখা মিলেছে বৃষ্টির। আজ রোববার দুপুর ১টায় কালো মেঘে ঢেকে যায় মেহেরপুরের আকাশ। থেমে থেমে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলে বৃষ্টি। দীর্ঘসময়ের তীব্র রোদ আর ভ্যাপসা গরমের পর এই বৃষ্টি স্বস্তি এনে দিয়েছে মানুষের মাঝে। স্বস্তি নিয়েই কাজে বের হয়েছেন শ্রমজীবী মানুষ।

গাংনী বাজারের ভ্যানচালক রমজান আলী বলেন, “অন্যান্য বছর ঈদে অনেক টাকার ভাড়া হয়। প্রতিদিন ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত। এবার রোদ আর গরমে মানুষ বের না হওয়ায় ২০০-৩০০ টাকার বেশি হয়নি। ঈদের দশ দিনেও ভালো যাত্রী পাইনি।”

“আজ হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বিকেলে রাস্তায় বের হয়েছি”—এমনটাই জানাচ্ছিলেন ৫০ বছর বয়সী ভ্যানচালক জমিরুল হক।

আজ দুপুর ১২টায় মেহেরপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সারা দেশের ন্যায় খুলনা বিভাগের মেহেরপুরেও বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর।




ঝিনাইদহে বীজ ভান্ডারে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা

“ঝিনাইদহ নার্সারি এন্ড বীজ ভান্ডার” নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

এক কৃষকের অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার (১৫জুন ) অভিযানে গিয়ে নিম্নমানের বীজ বিক্রির সত্যতা পাওয়ায় ঝিনাইদহ ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহরান এই জরিমানা করেন।

উল্লেখ, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি ঝিনাইদহ শহরের ২নং পানির ট্যাঙ্কির সামনে অবস্থিত “ঝিনাইদহ নার্সারি এন্ড বীজ ভান্ডার” থেকে ব্রি-ধান ১০৩ এর বীজ কিনলেও প্রকৃতপক্ষে তাকে আপন সীড স্টোরের ব্রি-ধান ৫১ সরবরাহ করা হয়। এতে তার ফলন ঠিকমত হবেনা বলে জানা যায়। বিষয়টি জানার পর তিনি সরাসরি ঝিনাইদহ জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসে মৌখিক অভিযোগ করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে ১৫ জুন ২০২৫, রোববার দুপুর ১২টার দিকে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহরান, জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেন পলাশ ও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুন নবী যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি আপন সীড বীজের প্যাকেটে স্টিকার লাগিয়ে ভিন্ন নাম্বার ব্যবহার করে বাজারজাত করা হচ্ছে। তদন্তে কৃষকের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় এবং একই সাথে কিছু বীজের বৈধতা না থাকায় প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে অনুমোদনহীন বীজও বিক্রি করছে বলে প্রমাণিত হয়।

এ কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং কৃষক রবিউল ইসলামের বীজ ক্রয়ের সম্পূর্ণ অর্থ তাকে ফেরত প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, কৃষকদের সঙ্গে এধরনের প্রতারণা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অনিয়ম রোধে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি।




শৈলকুপায় ট্রাক চাপায় নারীর মৃত্যু, পরিবারের দাবী পরিকল্পিত হত্যা

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কানাপুকুরিয়া নামক স্থানে ট্রাক চাপায় বন্যা খাতুন (১৯) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার সকালে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের কানাপুকুরিয়া এলাকায় এ ঘটরা ঘটে। নিহত বন্যা খাতুন উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের পদমদি গ্রামের সোহান আলীর স্ত্রী। তবে বন্যার বাবার বাড়ির লোকজনের দাবী তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা এক ব্যক্তি জানায়, অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মোটরসাইকেলের পেছনে বসে বন্যা খাতুন ঝিনাইদহের দিকে যাচ্ছিলো। তার পেছনে একটি ট্রাক ছিলো। কিছুদির যাওয়ার পর তারা এতে দেখে বন্যার লাশ পড়ে আছে। আর যে মোটরসাইকেলে বন্যা যাচ্ছিলো সেটা আবার ফিরে যায়।

নিহতের পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন দাবী করেন, বিয়ের পর থেকেই তার মেয়ের শশুর বাড়ির লোকজন তার উপর নির্যাতন করত। দুই দিন আগেও তাদের নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বন্যা। আমরা মনে করছি তাকে এখানে এনে ট্রাকের নিচে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।

ঝিনাইদহ আরাপপুর হাইওয়ে থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, প্রাথমিক ভাবে সড়ক দুর্ঘটনা মনে হলেও আমরা লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট এলে আর তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ সঠিক ভাবে বলা যাবে।




কালীগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত দুই জনকে নিয়ে জামায়াত-বিএনপির ঠেলাঠেলী

সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুইপক্ষের সংঘর্ষে নিহত হয় দুই ভাই। নিহতরা জামায়াত নাকি বিএনপি কর্মী তা নিয়ে চলছে দল দুদলের ঠেলাঠেলী।

বিএনপি বলছে নিহতরা জামায়াত কর্মী আর জামায়াত বলছে তারা কোনদিনও তাদের কর্মী ছিলো না। ঘটনাটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জামালা ইউনিয়নের।

জানা যায়, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জামাল ইউনিয়নের বিএনপি নেতা নজরুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপির অপর পক্ষ আরিফ, লিটন, বুলু ও আশরাফের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে পহেলা জুন সকালে ইউনিয়নের নাকোবাড়িয়া গ্রামে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত ৫ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে মহব্বত হোসেন নামের একজনের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরে নেওয়ার পথে তিনি মারা যায়। আহত হয় তার ভাই ইউনুছ আলীসহ আরও ৪ জন। ঘটনার ৩ দিন পর মহব্বত আলীর বড় ভাই ইউনুছ আলী রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

এ ঘটনার পর থেকেই নিহত দুই ভাইকে নিয়ে দায় এড়াতে শুরু হয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের ঠেলাঠেলি। নিহতদের জামায়াত কর্মী বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও, শনিবার সকালে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা জামায়াত সেই দাবি সাফ উড়িয়ে দিয়েছে।

গত ১১ জুন উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে দাবী করা হয় নিহতরা জামায়াত কর্মী। দীর্ঘদিন তারা জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। প্রমাণ হিসেবে জামায়াতের একটি অনুষ্ঠানে নিহত ইউনুছ আলীর উপস্থিতির ছবি তুলে ধরা হয়।

শহরের নলডাঙ্গা সড়কের কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজের দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস রহমান মিঠু।

এদিকে শনিবার সকালে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা জামায়াত সেই দাবি সাফ উড়িয়ে দিয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের বাকুলিয়ায় জামায়াতের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল হক মোল্লা স্পষ্টভাবে বলেন, “নিহত মতব্বত আলী ও ইউনুছ আলী কখনও জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এ হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি জানিয়েছে জামায়াত নেতা বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কখনোই হত্যার রাজনীতি করে না।

কিন্তু গত ১১ জুন উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যগ্ম আহবায়ক ইলিয়াস রহমান মিঠু নিহত ইউনুছ আলীকে জামায়াত কর্মী ও সন্ত্রাসী বলে দাবি করেন। অথচ বিএনপি কর্মী হত্যাকান্ডের পর বিএনপির জেলা ও উপজেলার একাধিক শীর্ষ নেতা নিহত ইউনুছ আলীকে বিএনপির কর্মী বলে উল্লেখ করেন। যার ভিডিও আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশে নিহতের ভাই ইয়াকুব আলী বিশ্বাস বলেন, আমার ভাই বিএনপি কর্মী হওয়ায় আওয়ামী লীগের ভয়ে ১৬ বছর পালিয়ে ছিলেন। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর দেশে এসে তার দল বিএনপি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হলো।

লিখিত বক্তব্যে উপজেলা জামায়াতের আমির জোর দিয়ে বলেন, একজন ব্যক্তি ইচ্ছা করলেই জামায়াতের কর্মী হতে পারে না। জামায়াতের কর্মী হওয়ার জন্য নিদ্দিষ্ট সিলেবাস ও কর্ম প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে আসতে হয়। কোন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বা এমন কোন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ আছে এমন ব্যক্তি জামায়াতের কর্মী হওয়ার ন্যুনতম কোন সুযোগ নেই। অথচ সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস রহমান মিঠু বার বার তাদের দলীয় কর্মীকে জামায়াতের কর্মী বলে প্রচার করার চেষ্টা করেন। এরমধ্যে দিয়ে জামায়াতকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে বিএনপির এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান উপজেলা জামায়াত।




স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে বলায় মায়ের সামনেই ছেলের আত্মহত্যা

দ্বন্দ্বের জের ধরে দুই মাস পূর্বে স্ত্রীকে বাবার বাড়ি তাড়িয়ে দেন স্বামী। স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য চাপ দেওয়াতেই বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন বাদল মল্লিক (৩৪) নামের এক দিনমজুর।

বাদল মল্লিক গাংনী পৌর শহরের চৌগাছা ভিটাপাড়া এলাকার পচা মল্লিকের ছেলে।

বাদল মল্লিকের মা ঘিনা খাতুন জানান, আমার ছেলে ও তার স্ত্রীর মধ্যে কলহের জেরে প্রায় দুই মাস পূর্বে তাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিই। এরপর তাকে বারবার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে বলি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল রাত আনুমানিক ১০টার দিকে আমার সামনেই বিষপান করে।

এসময় বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাদল মল্লিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।




গাংনীতে গাঁজা সেবনে নিষেধ করায় একজনকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জালশুকা গ্রামে উমেদুল ইসলাম (৩০) নামের এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার শাফায়েত হোসেন (২৬) এর বিরুদ্ধে।

গতকাল শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে জালশুকা গ্রামের উত্তরপাড়ার মাঠে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত উমেদুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত গোলাম রসুলের ছেলে এবং অভিযুক্ত শাফায়েত হোসেন একই গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, উমেদুল ইসলামকে কৌশলে বাড়ির পাশ থেকে ডেকে মাঠে নিয়ে যায় শাফায়েত। একপর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে তার গলায় আঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালায়। আহত অবস্থায় উমেদুল কোনোমতে পালিয়ে এসে স্থানীয়দের ঘটনার কথা জানায়।

পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাণী ইসরাইল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।




মেহেরপুরে তাপদাহে হাসপাতালে বেড়েছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা

মেহেরপুরে তীব্র রোদ আর ভ্যাপসা গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাস্তা কিংবা মাঠে কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র রোদ আর ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করেই কাজ করতে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষকে। এতে করে হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা। এ সময় রোদে না বের হওয়া, ছায়াযুক্ত স্থানে চলাফেরা করা, তরল খাবার খাওয়া এবং শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি বিশেষভাবে যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু নিয়ে লাইনে দাঁড়ানো ধানখোলা গ্রামের জোসনা খাতুন জানান, তার ১৪ মাস বয়সী শিশু রায়ান দুই দিন যাবৎ জ্বর-সর্দিতে ভুগছে। গত রাতে শুরু হয় পাতলা পায়খানা। আউটডোরে টিকিট কেটে চিকিৎসক দেখালে ভর্তি করে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

ধর্মচাকী গ্রামের সুমাইয়া এসেছেন তার শিশু কন্যা হুজাইফাকে নিয়ে। তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত থেকে বমি করতে থাকে, পরে শুরু হয় পাতলা পায়খানা। চিকিৎসক ভর্তি লিখেছেন। এমন অর্ধশতাধিক শিশু শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছে।

শুধু শিশুই নয়, বেশ কয়েকজন বৃদ্ধকেও হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখা গেছে।

এদিকে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুন পর্যন্ত মেহেরপুরে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। ফলে বেড়েছে রোদের তীব্রতা ও ভ্যাপসা গরম। চরম বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। কৃষকদের খুব সকালে মাঠের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। আর রাস্তায় উপার্জনক্ষম মানুষদের আয় কমে গেছে। ভ্যান ও অটোচালকরা রাস্তায় ঘুরলেও যাত্রী পাচ্ছেন না বলে জানান।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ যাবৎ মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা বেড়েছে। শনিবার বেলা ১২টায় ৩৫ ডিগ্রি এবং বিকেল ৩টায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫২ থেকে ৬৩ শতাংশ। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র শিশু কনসালট্যান্ট ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে তীব্র রোদ আর ভ্যাপসা গরমে সব বয়সের মানুষ জ্বর, সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। সেক্ষেত্রে শিশুদের বেশি করে তরল খাবার, মায়ের দুধ, শাকসবজি খাওয়াতে হবে এবং ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে। এছাড়াও অপ্রয়োজনে রোদে না বের হওয়া ও বেশি পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।