আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে টানা তৃতীয় সিরিজ জয় বাংলাদেশের

দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে ৬উইকেটে হারিয়ে হ্যাটট্রিক সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ।

আজ (রোববার) টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বৃষ্টির কারণে ১৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান করে আফগানরা। তবে বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১১৯ রানে। সেই লক্ষ্য ৪ উইকেট হারিয়ে পৌঁছে যায় টাইগাররা।

১১৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয় দুই ওপেনার লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। প্রথম ওভারে দুই চারের সাহায্যে ৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে আরও আগ্রাসী হন লিটন। এই ওভারে ৩ চারের মারেন তিনি। দুই ওভারে থেকে ২৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

এরপরেও আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান এই দুই ওপেনার। দলীয় ৬৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩৬ বলে ৩৫ রান করে আউট হন তিনি। এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারায় টাইগাররা।

তবে তাওহিদ হৃদয় ও সাকিবের ব্যাটে জয়ের পথে থাকে বাংলাদেশ। দলীয় ১০৭ রানে ১৭ বলে ১৯ রান করে হৃদয় আউট হলেও শামিমকে নিয়ে বাংলাদেশকে জয় এনে দেন সাকিব। শামিম ৭ বলে ৭ ও সাকিব ১১ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুর মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় ও জেলা কর্ণধর কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর জেলার মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভা ও জেলা কর্ণধর কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকাল থেকে পর্যায়ক্রমে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ১০ টার সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভা ও জেলা কর্ণধর কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহা: আব্দুস সালাম, মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শামীম রেজা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাস, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভু রামপাল, আরএমও ডাঃ মোখলেছুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেন, মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস, মেহেরপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক, বিআরডিবির উপ-পরিচালক জাকিরুল ইসলাম, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নীলা হাফিয়া, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওয়ালিউল্লাহ, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বিসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে সাবেক চেয়ারম্যানসহ বিএনপির তিন নেতা কারাগারে

বিস্ফোরক আইনে পুলিশের দায়ের করা মামলায় মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামসহ বিএনপির ৩ নেতাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

আজ রবিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শহিদুুল্লাহ’র আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন আবেদন না মুঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এরা হলেন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও আমঝুপি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, মেহেরপুর শহরের খাঁপাড়ার মৃতু শান্ত খাঁ’র ছেলে বিএনপি নেতা আলিফ ও বোসপাড়ার মৃতু জামশেদ আলীর ছেলে রাজন।

এর আগে এই তিন আসামি হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের অন্তবর্তিকালীন জামিনে ছিলেন।

এই তিন নেতার নামে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদী আইনের ৪/৫ ধারায় মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা রয়েছে। মেহেরপুর সদর থানার মামলা নং জিআর ৩১, তারিখ ২৬/০৫/২০২৩ ইং।




দর্শনায় ৪০ লিটার বাংলা মদসহ গ্রেফতার ১

দর্শনার রামনগরে কাঠের দোকানে অভিযান চালিয়ে ৪০ লিটার বাংলামদসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে দর্শনা থানা পুলিশ।

জানাগেছে গতকাল শনিবার সন্ধা ৭ টার দিকে দর্শনা রামনগরে থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৪০ (চল্লিশ) লিটার বাংলামদসহ বাদল শেখ(৫০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে । গ্রেপ্তারকৃত বাদল শেখ দর্শনা পৌর এলাকার রামনগর গ্রামের মৃত হায়াত আলী ছেলে।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালায় দর্শনা পৌরসভার রামনগর মোড়ে একটি কাঠের দোকানে। এ সময় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ এর নেতৃত্বে এসআই ফাহিম হোসেন, এএসআই, আশিকুর রহমান ফোর্সসহ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে দর্শনা থানাধীন রামনগর গ্রামস্থ রামনগর মোড়ের একটি কাঠের দোকানে।

এসময় দোকানের ভিতরে হতে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৪০ (চল্লিশ) লিটার বাংলা মদসহ একই গ্রামের (মাঝপাড়া) মৃত হায়াত আলীর ছেলে বাদল শেখকে গ্রেফতার করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মাদকদ্রব্য আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।




মেহেরপুরে শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

১৬ জুলাই, গণতন্ত্রের মানষ কন্য শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার (১৬ জুলাই) বিকালে আওয়ামীলীগের মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের এই আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি আরিফুল ইসলাম সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষায়ক সম্পাদক মোছা: নাছিমা খাতুন, সদর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক সানোয়ার হোসেন,গাংনী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক তৌহিদুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক রহমান মতিউর রহমান সহ রুবেল হোসেন, রিয়াদ আজিম, রাশেদুল ইসলাম, শাহিন তানিম,আহার হোসেন, জীবন আকবর, আশিকুর রহমান প্রমূখ।




গাংনীতে দ্রুতগতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা; আহত ৩

গাংনী উপজেলার বামন্দী কাজিপুর সড়কের সাহেবনগর তালতলা নামক স্থানে দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাঁঠাল গাছে ধাক্কা লেগে ৩ কিশোর গুরুতর আহত হয়েছে।

আহতরা হলেন, কাজিপুর হালসানা পাড়ার শিপন আলীর ছেলে শুভ (১৩), একই এলাকার স্বপন আলীর ছেলে জয় (১৪) এবং নওদাপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে হাসিব (১৬)।

আজ রবিবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে সাহেবনগর তালতলা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, এক মোটরসাইকেলে ৩ জন দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাঁঠাল গাছে ধাক্কা দেয়। ঘটনা স্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে বামন্দীর একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শুভকে রাজশাহীতে এবং জয়কে কুষ্টিয়ায় রের্ফাড করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।




গাংনীতে ফেয়ার সমবায় সমিতির নামে ১৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে কর্মীরা লাপাত্তা

মেহেরপুরের গাংনীর পোড়াপাড়া গ্রামে অফিস পরিচয় দিয়ে ১৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা কয়েক ব্যক্তি। ফেয়ার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি নাম পরিচয়ে ঋণ দেওয়ার প্রলোভনে এ টাকা হাতিয়ে নেয় অজ্ঞাত কয়েক ব্যক্তি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার (১৫ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে অফিস উদ্বোধন ও ঋণ বিতরণের কথা বলে পোড়াপাড়া গ্রামের একটি বাড়ির সামনে তৈরী করা হয় গেট। অফিসে রাখা হয় ডেকোরেশন থেকে আনা কয়েকটি টেবিল। তার উপরে কয়েকটি খালি ফাইল, রেজিস্ট্রার ও ফাইল বক্স। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সমিতির কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা এলাকায় থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

জানা গেছে, গাড়াডোব পোড়াপাড়া গ্রামের কথিত কবিরাজ শাবানা ওরফে পানসির বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা বলে আস্তানা গাড়ে চার ব্যক্তি। যারা নিজেদেরকে ফেয়ার সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির কর্মকর্তা পরিচয় দেন। বাড়ি ভাড়ার চুক্তিনামা করার আলোচনার মধ্য দিয়ে কেটে যায় কয়েকদিন। এ ফাঁকে তারা গাড়াডোব, আলমপুর, শ্যামপুর ও সাহারবাটিসহ বিভিন্ন গ্রামে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতে থাকেন। এক লাখ টাকা ঋণের বিপরিতে সঞ্চয় জমা করতে হবে ১২ হাজর টাকা। এমন শর্তে ওই গ্রামগুলোর অসংখ্য মানুষ অজানা-অচেনা মানুষগুলোর হাতে তুলে দেয় টাকা। এলাকার মানুষের মৌখিক হিসেবে এ টাকার পরিমাণ ১৫ লক্ষাধিক বলে জানা গেছে।

টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফাঁদে পড়া উল্লেখ গাড়ডোব গ্রামের জলিবিল পাড়ার আলমগীর হোসেন বলেন, বুধবার (১২ জুলাই) আমাদের পাড়ায় এক ব্যক্তি গিয়ে ওই সমবায় সমিতির পরিচয় দিয়ে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেয়। পানসি কবিরাজের বাড়িতে ১০ লাখ টাকা সিকিউরিটি দিয়ে তারা অফিস নিয়েছেন বলে জানায় আমাদের। ঋণ পাওয়ার জন্য আমরা লাখ প্রতি সাড়ে ১১ হাজার করে টাকা দেই।

একই অভিযোগ করে গাড়াডোব জলিবিল পাড়ার আরেক ভুক্তভোগী সবজি ব্যবসায়ী বকুল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে সমিতির লোকের মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে শুক্রবার সকালে পানসি কবিরাজের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি একটি গেট তৈরী করা হয়েছে। তবে অফিসের কাউকে পাওয়া যায়নি।

পরিচয় নিশ্চিত আর জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কিভাবে ঘর ভাড়া দিলেন জানতে চাইলে পানসি কবিরাজ বলেন, চার জন লোক বুধবারে (১২ জুলাই) আমার বাড়িতে এসে ঘর ভাড়া নেওয়ার আলোচনা করে। কাগজপত্র এবং তাদের ছবিসহ ঘরভাড়া চুক্তিনামা করতে বলে তারা শনিবার (১৫ জুলাই) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সব সম্পন্ন করবে মর্মে আশস্থ করে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার তারা আমার ঘরে ডেকেরেশন থেকে চেয়ার টেবিল নিয়ে এসে ঘরে রাখে। ডেকোরেশনের লোকজন বাড়ির প্রবেশ মুখে গেট করে দেয়। এর পর থেকে তাদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে ভুক্তভোগীরা সাধ্যমত চেষ্টা করেও ওই সমবায় সমিতির কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিদের হদিস পাচ্ছেন না। পরে শনিবার আলমপুরের এক ভুক্তভোগী মেহেরপুর সদর থানায় এবং গাড়াডোব গ্রামের এক ভুক্তভোগী গাংনী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিষটি তদন্ত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




রাসায়নিক উপাদান ছাড়াই ঘর মশামুক্ত রাখার উপায়

ডেঙ্গু সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। চারদিকে ডেঙ্গুর আতঙ্ক। সরকারও এ বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। শুধু মশার ওষুধ ছিটিয়ে আর লাভ হচ্ছে না। হচ্ছে না সমাধান অ্যারোসল বা মশার স্প্রে দিয়ে। আর রাসায়নিক পদ্ধতিতে মশা তাড়ানো স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।

কদিন আগেই পেস্ট কন্ট্রোলের ব্যবহারে দুই শিশুর মৃত্যুর খবর অনেকের মনে রাসায়নিক নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে প্রাকৃতিক উপায়েও মশা ঘর থেকে তাড়ানো যায়।

ঘরে পানি তো অবশ্যই জমতে দেওয়া যাবে না। তবে মশা তাড়ানোর জন্য প্রাকৃতিক কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত। ঘরে যদি শিশু থাকে তাহলে তো প্রাকৃতিক পদ্ধতিই আপনার অনুসরণ করতে হবে। আসুন এই পদ্ধতিগুলো একবার দেখে নেওয়া যাক:

মশা প্রতিরোধকারী ফ্যান ও আলো ব্যবহার
ঠিক প্রাকৃতিক হয়তো একে বলা যায় না। তবে রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার না থাকায় এবং আলো ও বাতাসের মাধ্যমে যদি মশা দূর করা যায় তাহলে তা প্রাকৃতিক বলতে বাঁধা কোথায়। মশা তাড়ানোর বিশেষায়িত এক্সস্ট ফ্যান আছে। এই ফ্যান মশাকে ঘরের ভেতর ঢুকতে দেয় না। মশা যেভাবে উড়ে সেই ওড়ার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। আর ঘরের যেখানে মশার জমাট বাধার সম্ভাবনা থাকে সেখানে হলুদ আলোর বাতি জ্বালিয়ে দিন। এই হলুদ আলো মশা তাড়াতে সাহায্য করে।

জানালায় পর্দা টানান
অনেকে বাড়িতে মশার নেট টানান। তারপরও ঘরের ভেতর জানালার সঙ্গে পর্দা টানিয়ে দিন। দরজাতেও তা করুন। এভাবে ঘরে মশার প্রবেশ করার সুযোগ অনেক কমে যাবে। বিশেষত দরজায় পর্দা লাগালে ও কোনো ফাঁক না রাখলে তো আরও ভাল।

সন্ধ্যা ও ভোরে জানালা বন্ধ
এই দুই সময় মশার একটা উৎপাত বাড়ে। তাই এই সময় জানালা বন্ধ করে দেবেন। যদিও এ সময় ঘরে গুমোট একটা পরিবেশ তৈরি হয়। তখন সিলিং ফ্যান ছেড়ে দেবেন।

মশা প্রতিরোধী গাছের কথা জানেন?
ইনডোর প্লান্টের শখ থাকলে ত ভাল। ডেকোরেশনের পাশাপাশি যদি মশা তাড়ানোর সুব্যবস্থা থাকে তাহলে তো ঝামেলাই নেই। সিট্রোনেলা ও ল্যাভেন্ডারের কথা। এ ছাড়াও আছে বেসিল, পুদিনা, রোজমেরি ও গাঁদার মতো গাছ প্রাকৃতিক সুগন্ধি ছড়ায় যা মশার কাছে অন্তত প্রীতিকর নয়। এমন গাছ ঘরে বা বারান্দার টবে লাগালে মন্দ হয় না।

মোমবাতিও আছে
সিট্রোনেলা মোমবাতি আজকাল বাজারে পাওয়া যায়। এর শক্তিশালী ঘ্রাণ মশাকে আকৃষ্ট করা কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও ল্যাকটিক অ্যাসিডকে ঢেকে দেয়। বাড়ির আঙিনায় কৌশলে মোমবাতি রেখে বা ডিফিউজারে সিট্রোনেলা তেল ব্যবহার করে কার্যকরভাবে মশা তাড়ানো যেতে পারে।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে পেশাদার দুই ছাগল চোর আটক

কখনো ইজিবাইক নিয়ে, কখনো মোটরসাইকেলে চড়ে ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় বিভিন্ন এলাকায় ছাগল চুরি তাদের পেশা। দুজনেই প্যান্ট পরে ছাগল বিক্রি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছেন পেশাদার দুই ছাগল চোর। ছাগল চোরদের স্থানীয় জনতা আটক করে তুলে দিলেন পুলিশে।

আটক দুই চোর হলেন গাংনী উপজেলার রামদেবপুর গ্রামের আশাদুল ইসলামের ছেলে পারভেজ হোসেন (২০) ও একই গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে রনি আহম্মেদ (২৫)।

আজ রবিবার (১৬ জুলাই) সকালের দিকে এই দুই পেশাদার ছাগল চোর একটি ছাগল বিক্রি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে। পরে ধলা পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।

ধলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, প্যান্ট পরে এই দুই চোর একটি ছাগল খাঁসমহল গ্রামে বিক্রি করতে যায়। তাদের দুজনের প্যান্ট পরা দেখে সন্দেহ হয়। তাদের বিভিন্নভাবে জেরা করার এক পর্যায়ে চুরি করা ছাগল বলে স্বীকার করে। পরে তাদের দুজনকে আমাদের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে মামলা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।




টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের পুনর্জাগরণের চাবিকাঠি সাকিবের নেতৃত্ব

দেরিতে হলেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে উন্নতির পথ খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে আগ্রাসন এবং দক্ষতার অভাবে নিয়মিতভাবে ম্যাচ জিততে না পারার কারণে এক সময় সকলেই বাংলাদেশকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিলো ক্রিকেট বোদ্ধারা।

এছাড়াও পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মত পাওয়ার হিটারের অভাব ছিল বাংলাদেশের। বিশ্বের প্রতিটি দলে অন্তত একজন পাওয়ার হিটার আছে। যিনি দলকে চিন্তামুক্ত রাখে। কিন্তু বাংলাদেশ দলে এমন কেউ না থাকাতেই তাদের বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়াটা সহজ ছিল।

গত বছর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সাকিব আল হাসান স্পষ্ট করেছিলেন, টি-টোয়েন্টি দল হিসেবে গড়ে তুলতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং নিজেদের সংস্কৃতির সাথে মানানসই ক্রিকেট খেলার লক্ষ্য ছিলো তার। শারীরিকভাবে বাংলাদেশিরা খুব বেশি শক্তিশালী নয়। এজন্য এটি খুব স্বাভাবিক যে, আন্দ্রে রাসেল বা ক্রিস গেইলের মতো পাওয়ার হিটার খুঁজে পাবে না বাংলাদেশ।

প্রতিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করতে স্কিল হিটিং এবং আগ্রাসনের উপর জোর দিবে বলে নিশ্চিত করেন সাকিব ও প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপ এবং নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের সব ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর দলের দায়িত্ব নেয় সাকিব। সাকিব দায়িত্ব নেওয়ার পর দ্রুতই সাফল্য পায়নি বাংলাাদেশ।

কিন্তু প্রতিটি ম্যাচেই খেলোয়াড়দের মধ্যে আগ্রাসন লক্ষ্য করা গেছে। প্রথম বল থেকেই প্রতিপক্ষের উপর আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। যদিও দুর্ভাগ্যবশত, ভুল পথেই হেটেছেন তারা।

যে প্রক্রিয়ার কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাফল্য আসলেও শক্তিশালী দলকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু নেদারল্যান্ডস এবং জিম্বাবুয়েকে হারানোর পাশাপাশি ভারতের বিপক্ষে জয়ের অবস্থায় পাওয়া যায় টাইগারদের।
যদিও এখনও অনেকেই মনে করেন, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বিপর্যয়কর ছিলো। তবে সাকিব বলেছেন, তাদের মিশন সফল হয়েছে। আসলে সাকিব বোঝাতে চেয়েছিলেন, দলের প্রক্রিয়া সঠিক ছিল এবং তিনিও শেষ পর্যন্ত সঠিক ছিলেন।

বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ। ওয়ানডে ফরম্যাটে ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ ব্যবধানে হারের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামে টাইগাররা। কয়েক মাস আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় করা ইংল্যান্ডকে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ।

নিজ মাঠে বাংলাদেশ এর আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে। তবে সে সময়কার মন্থর গতির পিচে এ জয়গুলো খুব বেশি একটা হিসেবে ধরা হয়নি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্পোর্টিং পিচে খেলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পিচগুলো টি-টোয়েন্টির জন্য যথার্থ। অনেক পাওয়ার হিটার ও আক্রমণাত্মক বোলার নিয়ে দল গঠন করা সত্ত্বেও বাংলাদেশের স্মার্ট ক্রিকেটের কাছে কঠিন সমস্যায় পড়তে হয়েছে ইংল্যান্ডকে।

ফলাফলের দিকে না তাকিয়ে বাংলাদেশ নিজেদের স্বাভাবিক ও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছে এবং এ কারণেই সাফল্য পেয়েছে। এরপর তুলনামূলক দুর্বল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ম্যাচ হারলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। তবে একই ধারচের ক্রিকেট খেলেছে টাইগাররা।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিষয় ছিল রশিদ খানের নেতৃত্বাধীন স্পিন আক্রমন মোকাবেলা। এ বিষয়ে সাকিব স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, বোলার যেই হোক না কেন তাদেও একই অ্যাপ্রোচ থাকবে। সাকিব এমন একজন অধিনায়ক যিনি পাওয়ার প্লেতেই দল তিন-চার উইকেট পড়ে গেলেও কখনো বিচলিত হন না। তবে সব সময়ই তার চাওয়া একই ধরনের অ্যাপ্রোচ ও আগ্রাসন অব্যাহত থাকুক।

আফগানিস্তানের করা ৭ উইকেটে ১৫৪ রানের জবাবে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ৩৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের এমন অ্যাপ্রোচে এ সময় সাকিবকে বেশ রাগান্বিত দেখা গেছে। মূলত সাহসী পদ্ধতি কিংবা আগ্রাসনের করণে এই টপ অর্ডারটি ছিলো দলের সাফল্যেও মূল চাবিকাঠি। এরপর সাকিব দায়িত্ব নিয়ে ইনিংস বেগবান করেন। অধিনায়ক নিজে মাত্র ১৯ রানে আউট হলেও কিভাবে ব্যাটিং করতে হবে, তাওহীদ হৃদয় ও শামিম পাটোয়ারিকে সেটা দেখিয়েছেন। এমন ধরনের বাজে শুরুর পর বাংলাদেশ খুব কম ম্যাচেই জিততে পেরেছে। তবে ফলাফলের চিন্তা না করে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছে হৃদয় ও শামিম।
হৃদয় বা শামিমের কেউই স্বাভাবিক পাওয়ার হিটার হিসেবে খুব বেশি অভিজ্ঞ নয়। তবে সাকিব ও কোচ হাথুরুর চাওয়া ঠিকই পূরণ করেছে তারা।

সূত্র: ইত্তেফাক