গাংনীতে তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক তাপু মারা গেছেন

গাংনী পৌর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওমর আলী তাপু(৪০) নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না এলাহী রাজিউন)।

তাপু গাংনী উপজেলা শহরের র‌্যাব ক্যাম্পপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে।

মৃত্যুকালে স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ বন্ধু, বান্ধব রাজনৈতিক সহকর্মী ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

শনিবার সকাল ৭ টার দিকে লিভার সমস্যা জনিত রোগে ভুগছিলেন। তাপু একটি ওষধ কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

শনিবার বাদ জোহর গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তাপুর অকাল মৃত্যুতে গাংনীর বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন।




মেহেরপুরে চুরির অভিযোগে দুই যুবক গ্রেফতার

মেহেরপুরে ২৪ ঘন্টার অভিযানে চুরির মামলায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন মেহেরপুর শহরের চক্রপাড়া এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে মুন্না মিয়া (২০) ও স্টেডিয়ামপাড়ার আনসার আলীর ছেলে আনিছুর রহমান (২১)।

দুজনের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে সদর থানার মামলা নং ৫, তারিখ ০৭/০৫/২৩ ইং, ধারা ৪৫৭/৩৮০/৪১১।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন সঙ্গীয় ফোর্সসহ গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে আনিছুর রহমান ও মুন্না মিয়াকে গ্রেফতার করেছেন।

গ্রেফতারকৃতদের আজ শনিবার (৮ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গায় দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ বিতরণ কর্মসূচি পালিত

চুয়াডাঙ্গা জেলার দ্বীনি ও সেবামূলক সংগঠন সম্মিলিত উলামা কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে দিনব্যাপী এ কর্মসূচী পালন করে সংগঠনটি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পরিষদের মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম।

জানা গেছে, বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগঠনের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকায় ফলদ ও বনজ গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ করা হয়েছে। বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচির পূর্ব এক জমায়েতে সংগঠনটির সভাপতি মাওলানা হাসানুজ্জামান বলেন, তীব্র দাবদাহের কারণে চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসী অতিষ্ঠ। বর্তমানে বর্ষার কারণে কিছুটা স্বস্তি মিললেও খড়ার সময় তা বিপরীত হয়ে যায়। যেহেতু গাছ রোপণের উপযুক্ত সময় বর্ষাকাল; সেহেতু আমরা এই সময়টা জেলাবাসীর কল্যানে ব্যয় করবো। আমরা আশা করছি, এই বৃক্ষ একদিন আমাদেরকে তীব্র তাপমাত্রা থেকে রক্ষা করার উসিলা হবে, ইনশাআল্লাহ। এসময় চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীকে বেশী বেশী বৃক্ষরোপণ করে পরিবেশ রক্ষা করার আহবান জানান মাওলানা হাসানুজ্জামান।
বিশ্ব উষ্ণতা মানুষের জন্য ব্যাপক অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে সম্মিলিত উলামা কল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা সারওয়ার হুসাইন বলেন, গাছপালা আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ নেয়ামত। আল্লাহ তায়ালা এর মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করেন। সুতরাং আমরা বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করবো; এর দ্বারা আবহাওয়া ঠান্ডা থাকবে।
বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচিতে আরও অংশগ্রহণ করেছেন হাফেজ মাওলানা জাকির হোসেন, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা ফয়জুল্লাহ আল মুনির ও মাওলানা জামালুদ্দিন প্রমুখ।




নিয়োগ নিয়ে আবারও পায়তারা করছেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি

মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪টি পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদান করা হলেও নির্ধারিত কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ধারনা করা হচ্ছে পরীক্ষা না নিয়ে অর্থ গ্রহণ করা প্রার্থীদেরকেই নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

গতকাল শুক্রবার মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে এ নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রার্থীদের প্রবেশ পত্র প্রদান করা হয়। খবর পেয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রতিনিধি নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলেও কেন্দ্রের গেটে তালা লাগানো দেখতে পান। সেখানে প্রায় দেড় ঘন্টা অবস্থান করেও কোন পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন কিছুই দেখতে পাননি।

পরে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী অনিসুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, এ ধরণের কোন পরীক্ষা নেওয়ার কথা বা কোন চিঠি তিনি পাননি। যে কারণে গতকাল শুক্রবার তাঁর প্রতিষ্ঠানে কোন নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহাজ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। একই ভাবে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আমদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আশরাফপুর গ্রামের শিক্ষানুরাগী কয়েকজন জানান, আশরাফপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, নিরাপত্তা প্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রথম বিজ্ঞপ্তিটি অখ্যাত দুটি পত্রিকায় প্রকাশ করে চারটি পদে ৩২ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন সভাপতি আনারুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক তাহাজ উদ্দিন এমন অভিযোগ তোলের গ্রাম বাসী। এ নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশিত হলে তারা ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেন। পরবর্তিতে আবারও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। ওই অভিযোগে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে জিনারুল ইসলাম, নিরাপত্তা প্রহরী পদে ইমাদুল ইসলাম, পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে হাসান আলী ও আয়া পদে আঁখি খাতুন নিয়োগ দেওয়ার জন্য তাদের কাছে থেকে ওই টাকা গ্রহণ করা হয়েছে। ওই চারজনকেই নিয়োগ দিতে আবারও তারা পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু করে গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রার্থীদের নিয়োগপত্র প্রদান করেন।

নিয়োগপত্রে গতকাল শুক্রবার মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করার কথা বলা হয়। কিন্তু পরীক্ষা না নিয়ে তারা তাদের বাছাইকৃত এবং যাদের কাছে থেকে অর্থ গ্রহণ করেছেন তাদেরকেই নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন।




প্রকৌশলী আবু হেনা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কুষ্টিয়া সওজের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং তার স্ত্রী ডা. জোবাঈদা শাহনূর রশীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে এই মামলা হয়।

মামলার আসামি মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বর্তমানে কুষ্টিয়ার সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত এবং মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা গ্রামে সন্তান। এর আগে তিনি সিরাজগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন। আর তার স্ত্রী ডা. জোবাঈদা ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের প্রভাষক।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হক বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় দুদক থেকে ২০২২ সালের ২৩ জুন তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৬ আগস্ট পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

এজাহারে আরও বলা হয়, সম্পদ বিবরণীতে মোস্তফা কামাল স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে দুই কোটি ২১ লাখ ৯৮ হাজার ৩৯২ টাকার সম্পদের হিসাব দেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে মোট তিন কোটি ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৭৩ টাকা সম্পদের তথ্য প্রমাণ মেলে। অর্থাৎ এখানে তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৯১ লাখ ১৩ হাজার ৮১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

এছাড়া আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্ত্রীকে দানসহ পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় হিসাব করলে দুদকের অনুসন্ধানে মোট সাত কোটি ৮৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭৬০ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। যার মধ্যে গ্রহণযোগ্য আয় এক কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার ২৬৭ টাকা বাদ দিলে ছয় কোটি ৩৫ লাখ ৪ হাজার ৪৯৩ টাকার সম্পদের উৎস দেখাতে পারেননি তিনি। যা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে দুদকের কাছে প্রমাণিত হয়।

এজাহারে আরও বলা হয়, একই সঙ্গে অবৈধ ওই সম্পদের মধ্যে আবু হেনা মোস্তফা কামাল তার মায়ের দানকৃত ছয় কোটি ২০ লাখ টাকা তার আয়কর নথির ২০০১-২০০২ করবর্ষ থেকে ২০০৬-২০০৭ করবর্ষ পর্যন্ত প্রদর্শন করেছেন। উক্ত টাকা থেকে তিনি তার স্ত্রী ডা. জোবাঈদা শাহনূর রশীদকে বিভিন্ন সময়ে দুই কোট ৭০ লাখ টাকা দান করেন। যা তাদের উভয়ের আয়কর নথিতে গ্রহণ ও প্রদানের বিষয়টি প্রদর্শিত রয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, তদন্তের সময় সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, আবু হেনা মোস্তফা কামাল ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আয়কে স্থানান্তর, হস্তান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে বৈধতা দানের জন্য অসৎ উদ্দেশ্যে প্রথমে তার মায়ের আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেন। পরবর্তীতে তা দান হিসেবে নিজের আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেন। এরপর উক্ত দান করা টাকার মধ্য থেকে তার স্ত্রী ডা. জোবাঈদা শাহনূর রশীদকে দান করেন এবং স্ত্রীর নামে সম্পদ অর্জন করেন। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এজাহারে আরও বলা হয়, এর মাধ্যমে দুদকের কাছে প্রমাণিত হয়েছে যে, ঘুস ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ আয়কে বৈধতা দানের চেষ্টা করেছেন তারা। যেখানে স্ত্রী হিসেবে জোবাঈদা তার স্বামীকে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন। এ কারণে মামলায় ডা. জোবাঈদাকে প্রথম আসামি ও স্বামী মো. আবু হেনা মোস্তফা কামালকে দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে।

অন্যদিকে দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে মোট দুই কোটি ৪০ লাখ ১৭ হাজার ৭৩১ টাকার সম্পদের তথ্য দেন ডা. জোবাঈদা শাহনূর রশীদ। অনুসন্ধান বা যাচাইকালে তার নামে মোট দুই কোটি ৪৪ লাখ ৬২ হাজার ৩১ টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনি চার লাখ ৪৪ হাজার ৩০০ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করেন।

দুদক অনুসন্ধানে আরও দেখতে পায়, ডা. জোবাঈদার নিট সম্পদ, পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ চার কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ৫০৯ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এরমধ্যে তার গ্রহণযোগ্য আয় এক কোটি ৫২ লাখ ১২ হাজার ৫৭ টাকা বাদ দিলে দুই কোটি ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৫২ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার মধ্যে দুই কোটি ৭০ লাখ টাকা তার স্বামী আবু হেনা মোস্তফা কামাল থেকে দান সূত্রে প্রাপ্ত। তাদের উভয়ের আয়কর নথিতে উক্ত দান গ্রহণ ও প্রদানের বিষয়টি প্রদর্শিত রয়েছে।




সুইডেনে পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননার বিরুদ্ধে দর্শনায় বিক্ষোভ

সুইডেনে পবিত্র কুরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনায় দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মা দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে বক চত্বরে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী কেন্দ্র ঘোষিত চুয়াডাঙ্গা জেলায় দর্শনা সাংগঠনিক থানা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দর্শনা পৌর শাখার আমির গুলজার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সহকারি সেক্রেটারি সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের। এসময় তিনি বলেন, মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল আযহার দিনে সুইডেনে মসজিদ প্রাঙ্গণে মসুলমানদের একমাত্র আসমানী গ্রন্থ পবিত্র কোরআন শরীফ পড়ানো কে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে যে আঘাত হেনেছে তা অকল্পনীয়। সমগ্র মুসলিম জাতি আজ খেপেফুঁসে উঠেছে। কারন মুসলমান হিসাবে কোরআন আমাদের সম্মান, আমাদের অহংকার ও আমাদের সংবিধান। যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন এই কোরআন রক্ষা করার জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করবো। এ সময় উপস্থিত বক্তারা সুইডেন সরকারের প্রতি ও অভিযুক্ত ব্যক্তির ধিক্কার দিয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এসময়

আরো উপস্থিত ছিলেন দর্শনা সাংগঠনিক থানা শাখার সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান টুকু দর্শনা পৌর শাখার আমির গুলজার হোসেন, দর্শনা বাসস্ট্যান্ড মসজিদের পেশ ইমাম ওসমান গনি, দক্ষিণ চাঁদপুর জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাবিবুর রহমান, হল্ট স্টেশনের ইমাম মুকুল হোসেন, আজিজুল ইসলাম ,আব্দুর রহমান,তানজিল আহমেদসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম মুরসুল্লি বৃন্দ।




চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদে ১৪৯৫ তম পদধ্বনি পর্ব অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের কার্যালয় কুঞ্জ আফিয়েতে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় সাপ্তাহিক পদধ্বনি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৪৯৫ তম এই আসরে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি নজমুল হেলাল। স্বরচিত লেখা পাঠ করেন খন্দকার রোকনুজ্জামান, গোলাম কবীর মুকুল, আবু নাসিফ খলিল, সুমন মালিক, হুমায়ুন কবীর, এম এ মামুন, হারুন অর রশিদ, তপন তুমার পাল, শিরোনাম মেহেদী, ডা. তোফাজ্জল হোসেন, সুমন ইকবাল, চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু, আসাদুজ্জামান আসাদ, কাজল মাহমুদ, লিয়ন খন্দকার প্রমুখ। স্বরচিত লেখার উপর বিশদভাবে আলোচনা করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহয়োগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ। ইংরেজি সাহিত্যের উপর আলোচনা করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহয়োগী অধ্যাপক খোন্দকার রোকনুজ্জামান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সহ সাধারণ সম্পাদক সুমন ইকবাল। চিয়ারত সাহিত্য থেকে কবিতা পাঠ করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজির আহমেদ, সহ সভাপতি এ্যাড. বজলুর রহমান এবং খন্দকার রাবিয়া খাতুন রাবু । অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে সভাপতি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।




সুইডেনে পবিত্র কোরআন অবমাননার বিরুদ্ধে জীবননগরে বিক্ষোভ

সুইডেনে পবিত্র কোরআন অবমাননার বিরুদ্ধে জীবননগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে সাধারণ মুসল্লিদের এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। জীবননগরে বিক্ষোভ মিছিল ও বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশ করা হয়।

এতে বক্তব্য দেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, জীবননগর পৌর মেয়র মো. রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা সাজেদুর রহমান, জামায়াত নেতা মাওলানা ইসরাইল হোসেন, পৌর আমির মাওলানা ফিরোজ হোসেন, জামায়াত নেতা নুর ইসলাম চৌধুরী, জীবননগর বাসস্টান্ড মসজিদের ইমাম ওলিউর রহমান প্রমুখ। সমাবেশে বক্তরা বলেন, সকল অপরাধের বিচার হওয়া উচিত। আমরা চাই সুইডেনে কোরআন অবমাননার বিচার হোক। আমার বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে সুইডেনের কোরআন অবমাননার ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের দাবি, তারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে। তারা মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাইবে।




আলমডাঙ্গার জাহাপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

আলমডাঙ্গা উপজেলার জাহাপুর গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শামিম হোসেন (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে এঘটনা ঘটে।

নিহত শামিম হোসেন আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের জাহাপুর গ্রামের মুন্সিপাড়ার সোনা মিয়ার ছেলে।

পারিবারের সদস্যরা জানান, শামিম হোসেনের বাড়িতে বৈদ্যুতিক কাজ চলছিল। জুম্মার নামাজ শেষে শামিম বাড়িতে ঢুকে উঠানে পড়ে থাকা তার সরানোর সময় (বিদ্যুৎ সংযোগ থাকায়) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত শামিমকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, পরিক্ষা-নিরিক্ষার পর শামিমকে মৃত ঘোষনা করা হয়। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় মাদক ব্যবসায়ী কামালের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান সিলনের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

আলমডাঙ্গা জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা কামাল হোসেনের মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন মকলেছুর রহমান সিলন।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২ টায় আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান সিলন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি মকলেছুর রহমান সিলন জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। গত আড়াই মাস যাবৎ জেহালা ইউনিয়ন জুড়ে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় পুলিশ। পুলিশের অভিযানে অনেক মাদক ব্যবসায়ী ও সেবী গ্রেপ্তার হয়। যে কারণে এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামী গড়চাপড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে কামাল হোসেন আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। সে আমাকে সামাজিক ভাবে হেউপ্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে। আমি তাকে কখনো হয়রাণী করিনি। কামাল একজন মাদক বিক্রেতা, সেকারণেই পুলিশ তাকে আটক করার জন্য খুঁজতে পারে। সে দীর্ঘদিন ইউনিয়ন জুড়ে মাদক ব্যবসা করে আসছে। তার বিরুদ্ধে

একাধিক মাদক ও হত্যা মামলা রয়েছে। আমি মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায়, মাদক ব্যবসায়ী কামাল অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের সংগঠিত করে আমাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে।

আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জেহালা ইউনিয়ন থেকে চিন্হিত মাদক ব্যবসায়ী কামালসহ অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার সহ কঠোর আইনী পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।