আলমডাঙ্গায় জাতীয় গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তুতমূলক সভা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক ও বালিকা (অনূর্ধ্ব ১৭) আয়োজনের প্রস্তুতমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় আলমডাঙ্গা উপজেলা সভা কক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রস্তুতমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ নাজনীন সুলতানা, আলমডাঙ্গা থানা এস আই আমিনুর রহমান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুজ্জামান ওল্টু, মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দার, মিনাজ উদ্দিন, সোহানুর রহমান, হাসানুজ্জামান সরোয়ার, মুন্সি এমদাদুল হক, নজরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য দোলন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার জিহাদ-ই-জুলফিকার টুটুল, আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান, আলমডাঙ্গা কলেজিয়েট স্কুলের অধ্যক্ষ শামীম রেজা, সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রাসার ক্রীড়া শিক্ষক মহসিন কামাল, ক্রীড়া সংগঠক শরিফুল ইসলাম, মিজানুল হক, সোহাগ আলী, মামুনুর রশিদ মন্ডল ও আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ। আগামী ১০ ই জুলাই আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিটিম মাঠে দুপুর ২:৩০ মিনিটের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক / বালিকা (অনূর্ধ্ব ১৭) উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত হবে।




আলমডাঙ্গায় গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

আলমডাঙ্গার বড়গাংনী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ২শ গ্রাম গাঁজাসহ নান্দবার গ্রামের আবু বক্করকে আটক করেছে। গতকাল নান্দবার ভিটাপাড়ার বিল্লাল মোড় থেকে তাকে মাদক থেকে আটক করা হয়।

জানাগেছে, উপজেলার নান্দবার গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আবু বক্কর(৩৭) দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। বড়গাংনী তদন্ত কেন্দ্রের এসআই শহিদুল ইসলাম ও এএসআই বাদশা আলমগীর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নান্দবার গ্রামে অভিযান চালায়।

এসময় আবু বক্কর পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাকে আটক করে। আটকের পর তার নিকট থেকে ২শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে।

এবিষয়ে আবু বক্করের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের ট্যাবলেট বিতরণ

“স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য” প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে সরকারি ও এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সমমানের মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও পরিসংখ্যান কার্যালয়ের আয়োজনে আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের হলরুমে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১ প্রকল্পের এ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়।

আলমডাঙ্গা উপজেলার ৪৭ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৭ টি মাদ্রাসার মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ১শ ১১টি ট্যাবলেট বিতরন করা হয়।

ট্যাবলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ¯স্নিগ্ধা দাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।

এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে বর্তমান সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। শিক্ষা সম্প্রসারণে বছরের প্রথম দিনে যেমন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক, তেমনই বিনামূল্যে ট্যাব বিতরণের কর্মসূচিও শুরু করা হয়েছে। পর্যায় ক্রমে সকল শিক্ষার্থীদের হাতে ট্যাব তুলে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব নিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিদীপ্ত, সাশ্রয়ী, সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী মানসিকতায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে।

বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারি কমিশনার রেজওয়ানা নাহিদ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা মফিজুল হক। কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যাক্ষ শামীম রেজার উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষকা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকসহ ৫৬টি শিক্ষা মেধাবী শিক্ষার্থী।




আলমডাঙ্গা জেহালা ইউপি চেয়ারম্যান সিলনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি মকলেছুর রহমান সিলনের বিরুদ্ধে প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ এনেছেন যুবলীগ কর্মী মো. কামাল হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী কামাল হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। চেয়ারম্যানের মাদক ব্যবসা না করায় বিভিন্ন ভাবে তার ওপর হামলা চালিয়ে জীবন নাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও তার বাড়িতে রাত-দিনে পুলিশ পাঠিয়ে হয়রাণীর শিকার হচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে কামাল হোসেন বলেন, গত ২০২১ সালে জেহালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মকলেছুর রহমান সিলন বিজয়ী হন। তিনি জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্বপালন করছেন। চেয়ারম্যান সিলন নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর থেকে মাদকব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু আমি কৃষি কাজ করে পরিবারের সংসার চালায়। সে আমাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে চলাচল করতে বলে।

জোরপূর্বক ২০২২ সালে গোপনে মোটরসাইকেলে মাদক পাঠিয়ে কেদারনগর গ্রামে পৌঁছে দিতে বলেন। আগেই র্যাবের উপস্থিত রাখেন চেয়ারম্যান সিলন। র্যাব খুঁজছে ও মামলার হুমকি দিয়ে একপর্যায়ে সিলনের নির্দেশে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে আত্নসমর্পন করি। সে নিজেই কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজত থেকে জামিন করে। জেল থেকে বেরিয়ে তার মাদকব্যবসার সাথে জড়িয়ে ফেলে। এছাড়াও সে আমার বিরুদ্ধে কোন মামলা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।

তিনি আরো বলেন, গত দেড় বছর যাবৎ মাদকব্যবসার পাশাপাশি তার অন্যান্য অপরাধ মূলক কাজে জড়িয়ে পড়ি। ইতোমধ্যে পুলিশি অভিযান চলার কারণে আমি পরিবার ও সমাজের চাপে মাদক ব্যবসা থেকে বেরিয়ে আসি। কিন্তু চেয়ারম্যান জোরপূর্বক মাদক ব্যবসা করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দিনে-রাতে অপরিচিত ব্যাক্তি বাড়িতে গিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্শন করছি। আমি স্বাভাবিক জিবনে ফিরে আসা সহ প্রশাসনের মাধ্যমে জানমালের নিরাপত্তা কামণা করছি।




হাসেম রেজার বিরুদ্ধে দর্শনায় মানববন্ধন

প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে জনগনের উপস্থিতিতে সাংবাদিকের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা সহ চাঁদাবাজি মামলাবাজ ঘরবাড়ি লুণ্ঠন জোর করে জমি জায়গা দখল সহ অসংখ্য মানুষকে মেরে আহত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন কুড়ালগাছি ইউনিয়নের জনগণ।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে দর্শনা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন কুড়ালগাছি ইউনিয়নের জনগণ।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন আ.লীগের সহ-সভাপতি কাফিউদ্দিন টুটুল, সাংবাদিক শিমুল রেজা, মাসুদ রানা, কফিল উদ্দিন,তারা বলেস, হাসেম রেজা নব্য আ’লীগের তার পরিবারের লোকজন এখনো জামাতপন্থী। তিনি রাতারাতি অবৈধ অর্থ মালিক হয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃস্টি মাধ্যমে নিরীহ জনগণের উপর হামলা মামলা করে চলেছেন। আমাদের দেয়ালে পিঠ গেছে।হাসেম রেজাকে যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রেফতার করা না হবে আমাদের এই আন্দোলন চলতে থাকবে। পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক।

পুলিশের সামনে হাসেম রেজা সাংবাদিক শিমুল রেজার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার চেস্টা করলেও পুলিশ কোন ভূমিকা রাখে নাই। আমরা বারবার মামলা করতে গেলে মামলা গ্রহণ না করে বিভিন্ন তালবাহানা করেই চলেছে। এখনো পর্যন্ত আমাদের গ্রামের দুইজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। স্থানীয় সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ এমপি মহোদয় মামলা গ্রহণের কথা বললেও রহস্যজনক কারণে মামলা গ্রহণ করছে না। পুলিশ যদি মামলা গ্রহন না করে আমরা এসপি অফিসের সামনে অবস্থান ধর্ম ঘাটে যাব। অতিদ্রুত মামলা গ্রহন করে হাসেম রেজা গ্রেফতারে দাবি জানাচ্ছি।

সাংবাদিক শিমুল রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা দুই বন্ধু কার্পাসডাঙ্গা বাজারে বসে ছিলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাশেম রেজা ও তার দুই ছেলে সৈকত (২১) ও শুভ (২২), মোক্তারপুরের আকরাম (২৮), কার্পাসডাঙ্গার মধু (৪২) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে সাথে নিয়ে প্রাইভেটযোগে হাজির হয়। তিনি গাড়ি থেকে নেমেই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। একপর্যায়ে আমাকে জোরপূর্বক টেনে হেঁচড়ে প্রাইভেটে তুলে নেয় এবং একটি সারের গোডাউনে নিয়ে হাত-পা বেঁধে আটকে রাখে। খবর পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে।

উল্লেখ্য সংবাদ প্রকাশের জের ধরে হাশেম রেজা সম্প্রতি শিমুল রেজা নামের এক সাংবাদিককে কার্পাসডাঙ্গা বাজার থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে প্রাইভেটযোগে তুলে নেয় এবং একটি পরিত্যক্ত সারের গোডাউনে নিয়ে হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন চালান সাংবাদিক শিমুল রেজা উপর।

অপহরণের বিষয়টি পুলিশকে জানালে দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধারের করেন। আওয়ামী লীগ নেতা হাশেম রেজা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের সামনেই সাংবাদিক শিমুল রেজাকে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। পুলিশের সামনেই সাংবাদিকের মাথায় পিস্তল ঠেকানোর ঘটনায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন পুলিশ কর্মকর্তা দর্শনা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নিরব হোসেন ও এসআই টিপু সুলতান। তিনি হাশেম রেজাকে মাথা গরম করতে নিষেধ করেন।

এবিষয়ে হাসেম রেজা জানান, অপহরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। আমাদের উভয় পক্ষের মামলাগুলো মিমাংসা করার জন্য কার্পাসডাঙ্গা বাজার থেকে আমার গাড়িতে করে কুড়ালগাছি বাজারে নিয়ে আসি। এলাকার মানুষদের সাথে নিয়ে মীমাংসা করার কথা ছিল কিন্তু কে/বা কারা শিমুলকে অপহরন করা হয়েছে মিথ্যা গুজব ছড়াতে থাকে। পুলিশ এসে শিমুলকে রাস্তার পাশে বসা অবস্থা পায়। পরে শিমুল তার দাদার সাথে বাড়িতে চলে যায়।




আওয়ামী লীগ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। সর্বশেষ তিনি জাতীর শ্রেষ্ঠ অর্জন আমাদের স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন। আমরা স্বাধীন সার্বভোম বাংলাদেশে বাস করছি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশ আওয়ামী মহিলা যুবলীগের ২১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সাবেক সদস্য সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি সামিউন বাশিরা পলি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুথ শোভা মন্ডল, সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি লতিফন নেছা লতা, সাধারণ সম্পাদক রোজিনা খাতুন, মুজিবনগর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি তকলিমা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক তহমিনা খাতুন, আমদহ ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি রেহেনা খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফা খাতুনসহ অন্যান্যরা।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন জাতীর জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভাল আছি, নিরাপদে আছি। প্রতি মূহূর্তে আমরা উন্নয়নের দিকে যাচ্ছি। নারীদের সংগঠণ যুব মহিলা লীগ শক্তিশালীভাবে কাজ করছেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, সারা বাংলাদেশে যুব মহিলা লীগ চমৎকার সুসংগঠিত একটি সংগঠণ। এই সংগঠণটি প্রধান মন্ত্রীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কাছেও দলটি ইশর্^নিয় সংগঠণ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দলটির প্রতিটি ওয়ার্ডে সব বয়সী নারীরা কমিমিতে রয়েছে। তারা প্রধান মন্ত্রীর উন্নয়ন চিত্র সকলের মধ্যে তুলে ধরছেন।

জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি র‌্যালী শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ফরহাদ হোসেনের বাড়ির সামনে কেক কাটেন।




চুয়াডাঙ্গাসহ ৫ জেলায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ

চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ ৫ জেলায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সার্টিফিকেট বিতরণের উদ্বোধন করেন মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর। তিনি বলেন পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূল ধারায় নিয়ে আসায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য। সেই লক্ষেই বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এই কারনে পিছিয়ে পড়া

জনগোষ্ঠীকে কম্পিউটার ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। যাতে তারা নিজেদের পায়ে দাড়াতে পারেন। তোমরা যারা আজ সার্টিফিকেট পাচ্ছো এর সদ ব্যবহার করবে।

বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক আহমেদ পিপুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফুল্লাহ রাসেল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গায় সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক সিদ্দিকী সোহেলী রশীদ, মাগুরা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক আসাদুল ইসলাম, ঝিনাইদহ সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক আব্দুল লতিফ শেখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও সিনিয়র সাংবাদিক বিপুল আশরাফ।

বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলা কার্যালয় থেকে একযোগে সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। ইতিমধ্যে বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থা থেকে বিভিন্ন সময়ে ২ মাসের কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন কোর্স সম্পন্ন করেছেন প্রায় দুই হাজার আটশত শিক্ষার্থী। এর মধ্যে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারিতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষায় অংশ নেয় ৯০৮ শিক্ষার্থী। পাশ করেছে ৭৪০ জন। পাসের হার ৮০ ভাগ। কম্পিউটার ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই চাকুরী করছেন। আবার কেউবা দোকান দিয়ে ব্যবসা করছেন। প্রশিক্ষন নিয়ে যারা এখনো বেকার বসে আছেন তাদেরকে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্হা করছেন বলে জানালেন সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান আহমেদ পিপুল। এদিকে যারা ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিয়ে বিআরটিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেয়া হয়।

“দুস্হ, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে আর্থ সামাজিক অবস্হার উন্নয়ন” প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থা।




মুজিবনগরের মোনাখালী গ্রামে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন উপলক্ষে আলোচনা সভা

মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নের মোনাখালী গ্রামে এক বিরাট ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন উপলক্ষে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মোনাখালী ফুটবল খেলার মাঠে।

মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের ০১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান।

উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে অনন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জসীমউদ্দীন,উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিম রেজা মিঠু ,উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক ,মোনাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল খালেক। ইট ভাটা মালিক ফারুক হোসেন ও চপল , আবদার আলী, লাভলু ,আহাসান উল্লাহ , মনসুর আলী রোকনুজ্জামান, সেলিম রেজা, চান্দ আলী, ফকিরসহ আরো অনেকে।

আলোচনা সভা থেকে খেলা পরিচালনা কমিটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই টুর্নামেন্টে মোট ৩২ টি দল অংশগ্রহণ করবে এবং প্রত্যেককেই নকআউট পর্ব হিসেবে খেলবে বলে নিশ্চিত করেছে খেলা পরিচালনা কমিটি।

ফাইনাল খেলায় বিজয়ী কে মোনাখালী ফুটবল টুর্নামেন্টের স্মরণকালের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করবে বলে জানিয়েছে খেলা পরিচালনা কমিটি।




টেলিগ্রামে চালু হচ্ছে স্টোরি ফিচার

প্রায় সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই স্টোরি ফিচারটি যুক্ত হচ্ছে। কারো সঙ্গে আলোচনার উপলক্ষ গড়ার জন্য স্টোরি ফিচারটি কাজের। সম্ভবত সেকথা ভেবেই টেলিগ্রামেও স্টোরি ফিচার চালু হতে চলেছে। টেলিগ্রামের সিইও পাভেল দুরভ অন্তত একথাই জানিয়েছেন।

পাভেল দুরভ জানান, ‘প্রথমে আমরা স্টোরি ফিচার যুক্ত করার বিরুদ্ধে ছিলাম। কিন্তু টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীরাই বহুদিন ধরে এই ফিচারের দাবি জানিয়ে আসছে। আমরা চাইনি কারণ স্টোরি ফিচার অন্য সবখানেই আছে। টেলিগ্রাম তো টেলিগ্রাম হতো না যদি ব্যবহারকারীদের দাবি পূরণ করতে না পারতো।’

অর্থাৎ ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখেই তারা নতুন ফিচারটি চালু করছে। নতুন এই ফিচার সম্পর্কে আরও তথ্য দিয়েছেন তিনি। এখন আরও নিখুঁতভাবে কারা কারা স্টোরি দেখতে পারবে তা নির্ধারণ করা যাবে। আর স্টোরি একটা বাড়তি অংশে দেওয়া হবে। ফলে টেলিগ্রামে কোনো বাড়তি জায়গা দখল না করেও স্বাভাবিকভাবে স্টোরি দেখা যাবে। এমনকি হিডেন লিস্টে স্টোরি নিয়ে গেলে কোনো কন্টাক্ট যাতে স্টোরি দেখতে না পারে তাও নিশ্চিত করা যাবে।

টেলিগ্রামের স্টোরিতে অনেকগুলো সুবিধা থাকবে। ভিডিও বা ছবি পোস্ট করা যাবে। সেগুলোতে ক্যাপশন দেয়া যাবে৷ সবচেয়ে মজার বিষয় এসব স্টোরি কতদিন নাগাদ দেখা যাবে তাও ব্যবহারকারীরা নির্ধারণ করতে পারবেন। ১২, ২৪, ৪৮ ঘণ্টা এভাবে সময় সেট করা যাবে। টেলিগ্রামের স্টোরি সেভ করে রাখা যাবে। পাভেল দুরভের মতে, ‘টেলিগ্রাম স্টোরিজ যখন প্রোফাইলে সেট করে রাখতে পারবেন তখন আপনার প্রোফাইল আরও বর্ণিল ও সুন্দর হবে। ফলে পরিচিত কন্টাক্টের বাইরেও আপনি আরও এক্সপ্লোর করতে পারবেন।’

সূত্র: লাইভমিন্ট




বর্ষায় বাড়ে হেপাটাইটিস-এ এর শঙ্কা

হেপাটাইটিস বি নিয়ে সবার মনে যত আতঙ্ক হেপাটাইটিস এ নিয়ে অতটা নয়। তবে বর্ষার সময় হেপাটাইটিস-এ এর মতো রোগের শঙ্কা অনেক বেড়ে যায়।

হেপাটাইটিস-এ আসলে কি?

হেপাটাইটিস-এ একটি ছোঁয়াচে রোগ। তবে এই রোগ হেপাটাইটিস-বি এর মতো দীর্ঘমেয়াদী কোনো সমস্যা তৈরি করে না। এক সপ্তাহ কিংবা মাস-খানেকের মধ্যে রোগ নিরাময় হয় ও রোগীর সুস্থতা দ্রুতই হয়।

ডেঙ্গুর যেসব উপসর্গ দেখলেই হাসপাতালে যাবেনডেঙ্গুর যেসব উপসর্গ দেখলেই হাসপাতালে যাবেন
কাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি?
এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়া না থাকলে আর আগে যদি কখনো আক্রান্ত না হয়ে থাকেন তাহলে হেপাটাইটিস-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। আজকাল এমন ভ্যাকসিনও আছে যা একইসঙ্গে হেপাটাইটিস-এ ও হেপাটাইটিস-বি প্রতিরোধে সাহায্য করে। মূলত দূষিত পানির মাধ্যমে আমাদের ইমিউনিটি ক্ষতিগ্রস্ত করে এই ভাইরাস। বর্ষায় রাস্তায় বৃষ্টিতে ময়লা পানির সংস্পর্শে আসলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

হেপাটাইটিস-এ রোগের লক্ষণ

হেপাটাইটিস-এ রোগের লক্ষণগুলো সাধারণ। মৌসুমি জ্বরের সঙ্গে অনেকে তুলনা করে ফেলেন। হেপাটাইটিস-এ রোগের লক্ষণগুলো হলো:

.জ্বর আসার পাশাপাশি বমি হওয়া।
.পেটে তীব্র ব্যথা।
.চুলকানি বাড়া ও ক্লান্তি ভর করে।
.জন্ডিস হতে পারে তবে রোগের শেষ পর্যায়ে। আর জন্ডিস হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
.চুলকানির সঙ্গে সঙ্গে প্রদাহজনিত সমস্যাও বাড়ে।
.অধিকাংশ রোগী নিজে নিজেই সুস্থ হয়ে যান। তবে জন্ডিস হলে লিভারের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই গাফিলতি করা যায় না।

হেপাটাইটিস-এ সন্দেহে করণীয়

সন্দেহ হচ্ছে আপনার হেপাটাইটিস-এ? তাহলে এই পরামর্শগুলো মেনে চলুন:

.হেপাটাইটিস এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই তবে আপনি একটু আরামের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে যাবেন।
.এই সময় স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে চলতে হবে ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এক সপ্তাহ বা মাসেই সুস্থ হবেন।
.নিজে নিজে জ্বরের বা চুলকানির ওষুধ খাবেন না।
.ধূমপান বা মদ্যপান এসময় ত্যাগ করতে হবে।
.প্রচুর পানি পান করুন।
.নিয়মিত হাত ধোবেন, বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে হাত-পা ধোবেন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস