ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সুযোগ লাভ করা সুমির পাশে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ লাভ করা এক হতদরিদ্র মেয়ের পাশে দাঁড়ালেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের হায়দারপুর গ্রামের মোঃ আলামিন শেখ ও মোছাঃ রুজিনা বেগম দম্পতির মেয়ে মোছাঃ সুমি খাতুন ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সি-ইউনিট এ মেধা তালিকায় ২১২তম স্থান অর্জন করে।

দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সুমি অর্থাভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হতে পারবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। সে খবর শোনামাত্র চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান সুমিকে ১৫০০০/- অর্থ সহায়তা প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতে পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেন । একইসাথে ভালোভাবে পড়াশোনা করে দেশ,জাতি ও সমাজের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সেভাবে নিজেকে যোগ্য করে তোলার পরামর্শ প্রদান করেন।




লাভ নয় নিজের ‘লাস্ট স্টোরি’ শোনালেন বিদ্যা বালান

অভিনেত্রী বিদ্যা বালান বলিউডের প্রযোজক সিদ্ধার্থ রায় কাপুরের সঙ্গে প্রেম করেই গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন। পেশাগত জীবন নিয়ে যতটা খোলামেলা বিদ্যা, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণত জনসমক্ষে আলোচনা এড়িয়েই যান বিদ্যা। কিন্তু এতদিন পর অভিনেত্রী নিজেই ফাঁস করলেন সিদ্ধার্থের সঙ্গে তার প্রেমকাহিনি নাকি আদপে ‘লাভ স্টোরি’ নয়, ‘লাস্ট স্টোরি’! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সিদ্ধার্থ ও বিদ্যার রসায়নের এমন খবরে হইচই শুরু হয়েছে সিনেমা পাড়ায়।

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যা জানান, সিদ্ধার্থ রায় কাপূরের সঙ্গে প্রথম দেখায় তিনি প্রেমে পড়ে যাননি বিদ্যা। সিদ্ধার্থের সঙ্গে তার প্রেমের গল্প বরং অনেকটা ‘লাস্ট স্টোরি’র মতো। বিদ্যা জানান, ‘সিদ্ধার্থের ব্যাপারে আমার মানসিক সংযোগ ছিল। তবে এটি একটি শারীরিক আকর্ষণ দিয়ে শুরু হয়। তিনি দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। আমার চোখে সবচেয়ে সুন্দর পুরুষ সিদ্ধার্থ। সবাই তার জীবনসঙ্গীর মাঝে মা-বাবাকে খুঁজেন। সিদ্ধার্থ ঠিক তেমনই একজন মানুষ। তিনি খুব কেয়ারিং। তার এই বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছিল’।

সম্প্রতি হিউম্যানস অব বোম্বেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিদ্যা বলেছিলেন, ‘আমি আর সিদ্ধার্থ, করণের বাড়িতে একসাথে একটি পার্টিতে গিয়েছিলাম। আমাদের সম্পর্কে মধ্যে করণ কিউপিডের ভূমিকা পালন করেছেন। করণ আমাদের তার বাড়িতে একটি পার্টিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এরপর আমি তার বাড়িতে গেলাম। সে সময় আমি একটু লাজুক প্রকৃতির ছিলাম। কিছুক্ষণ পর সিদ্ধার্থও আসল। আমরা তখন একসাথে আড্ডা দিলাম। এভাবেই আমাদের পরিচয় হয়ে গেল’।

বলিউডের অন্যতম শক্তিশালী অভিনেত্রী বিদ্যা। ‘দ্য ডার্টি পিকচার’, ‘কাহানি’, ‘জলসা’, ‘শেরনি’-র মতো সিনেমায় রয়েছে তার অভিনয় দক্ষতার ছাপ। বলিউডে নারীকেন্দ্রিক সিনেমার জোয়ার আসার অনেক আগে থেকেই বলিষ্ঠ নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিদ্যা বালান। পেশাগত জীবনে তার সিনেমা নির্বাচন নিয়েও একাধিক বার প্রশ্ন উঠেছে। ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ সিনেমার সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে। সহজাত ভঙ্গিতে সব সমালোচনার উত্তরও দিয়েছেন বিদ্যা।

‘ইউটিভি মোশন পিকচার্স’-এর কর্তা সিদ্ধার্থের সঙ্গে ইতিমধ্যেই এক দশকের বেশি সংসার করে ফেলেছেন বিদ্যা। সিদ্ধার্থকে বিয়ে করার পরে ব্যক্তিগত জীবনে অনেক বেশি গোছানো অভিনেত্রী। পেশাদার জীবনেও এই মুহূর্তে বেশ আত্মবিশ্বাসী অভিনেত্রী। চলতি মাসেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে তার আগামী সিনেমা ‘নিয়ত’।

সূত্র: ইত্তেফাক




কোনো চাপ কি তোকে বাধ্য করেছে, তামিমকে প্রশ্ন মাশরাফির

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তামিম ইকবাল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে হতাশাজনক হারের পর আচমকা ব্যক্তিগত সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। সেই সংবাদ সম্মেলনেই অশ্রুসিক্ত নয়নে ১৬ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ের ইতি টানেন তামিম। তামিমের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছেন অনেকেই। তবে সিরিজের মাঝপথে হুট করে কেনো এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তামিম। কোনো চাপে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন কিনা তামিমকে এমন প্রশ্ন করেছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুর দেড়টায় চট্টগ্রামের হোটেল টাওয়ার ইনে সংবাদ সম্মেলনে তামিম তার অবসরের ঘোষণা দেন। নিজের ঘরের মাঠেই ক্যারিয়ারের ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন বলে জানান চট্টলার বিখ্যাত খান পরিবারের সন্তান। তামিম বলেন, ‘আজ এই মুহূর্ত থেকে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি।’

তামিমের অবসরের ঘোষণার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে মাশরাফি লিখেছেন, ‘তামিম, তোর সিদ্ধান্ত অবশ্যই একান্তই তোর। এটা কারও ভালো লাগলেও তোর, ভালো না লাগলেও তোর। পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কথাই হবে। তবে সবচেয়ে ভালো কোনটা, সেটা তুই ছাড়া কেউই ভালো বুঝবে না। তাই তোর এই সিদ্ধান্তকে আমি ব্যক্তিগতভাবে শতভাগ সম্মান জানাই। তবে কিছু কথা জানতে মন চায়, মাত্র ৩৪ বছর ১০৮ দিনেই বিদায় কেন! আসলেই কি চালিয়ে যেতে পারছিস না? না কি কোনো চাপ তোকে বাধ্য করেছে! তোর অনেক ভক্ত হয়তো খুঁজে ফিরবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর। আজ খুঁজবে, এমনকি ভবিষ্যতও আরও অনেকদিন খুঁজবে।’

তামিমকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে তিনি আরও লিখেন, ‘তোকে প্রথম দেখেছি চট্টগ্রামে তোদের বাসায়, হাফ প্যান্ট পরে খেলছিলি। তোর ভাই, আমার বন্ধু নাফিস ইকবাল তোকে আমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল। পরের বার দেখলাম জাতীয় লীগে ওপেন করতে, খুলনার মাঠে। তারপর ২০০৭ বিশ্বকাপ থেকে একসঙ্গে পথ চলতে চলতে তুই হয়ে গেলি বন্ধুর মতো। কত দিন কত রাত এক সঙ্গে সময় কাটিয়েছি, একসঙ্গে খেতে যাওয়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা, দুষ্টুমি, মজা, তর্ক, খেলা নিয়ে কত কত আলোচনা করেছি, সেসবের কোনও হদিস নেই।’

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আরও লিখেন, ‘যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলাম, তখন তুই ছিল আমার অন্যতম ‘স্নাইপার।’ সেটা তুই নিজেও খুব ভালো করেই জানিস। যেদিন দল থেকে বের হয়ে এলাম, সেদিন তুই আমাকে কাঁধে তুলে নিয়েছিলি। পরে সারারাত একসঙ্গে আড্ডা দিয়েছিলাম। যে কোনও সিরিজ বা সফরে তুই ছিলি আমার রুমে আড্ডার অবধারিত সঙ্গী। আরও কত শত স্মৃতি এখন মনে পড়ছে!’

তামিমের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে মাশরাফি লিখেন, ‘তোকে যতটুকু চিনি, তাতে তোর এই সিদ্ধান্তকে আমি অনায়াসে পোস্টমর্টেম করতে পারতাম। কিন্তু তা করব না, কারণ ওই যে, তোর নিজস্ব সিদ্ধান্তকে অবশ্যই সম্মান জানানো উচিত। তোর মানসিক অবস্থা আমি বুঝতে পারছি, সেই সঙ্গে এটাও বলছি যে, তুই বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যা কিছু দিয়েছিস, তা আমরা আজীবন মনে রাখব। একজন তামিম হয়ে উঠতে কতটা পরিশ্রম, কতটা সময়, কতটা মেধা আর কত ত্যাগ থাকতে হয়, তা সময় সব কিছু বুঝিয়ে দেবে।’

সবশেষে তামিমকে শুভকামনা জানিয়ে মাশরাফি আরও লিখেন, ‘তোর প্রতি রইল অফুরন্ত ভালোবাসা। পরবর্তী জীবন পরিবার নিয়ে দারুণ কাটাবি, সেই আশাই করছি। আর একটা কথা, দলের ভেতর নানা পরিসংখ্যান নিয়ে বিশ্লেষণ নির্ভর আলোচনা এখন কে করবে, ঠিক জানি না। হয়তো কেউ করবে। তবে তুই এই জায়গায় সবসময়ই থাকবি সেরাদের সেরা। গুড বাই মি. তামিম ইকবাল খান। একজন কিংবদন্তির বিদায়। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য শুভ কামনা, এগিয়ে চলুক দুর্বার গতিতে। আমাদের এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়।’

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গায় যুব মহিলা লীগের ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিক পালিত

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় যুব মহিলা লীগের ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিক পালন করা হয়েছে। ২১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের পক্ষ থেকে র‍্যালি আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার সময় দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনের কার্যক্রম। বেলা সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের কার্যালয় হতে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি বাহির হয়ে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার মুক্ত মঞ্চে এসে র‍্যালিটি শেষ হয়।

র‍্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভিন। এ সময় তিনি বলেন, ২০০২ সালের ৬ জুলাই বিরোধী দলে থাকতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের একঝাক সাবেক নেত্রীদের নিয়ে যুব মহিলা লীগ গঠন করেন। সেই সময় রাজপথে আওয়ামী লীগের সকল কর্মসূচীতে অংশগ্রহণের পাশাপাশি যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সাহসী আন্দোলন গড়ে তোলে দেশব্যাপী সুপরিচিতি লাভ করে।

র‍্যালি ও আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন , সহ-সভাপতি- পূর্ণিমা হালদার,

সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার , সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন ,আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ




বর্ষা , নুসরাত, বিপাশা কারাগারে

মেহেরপুরে চাঞ্চল্যকর আটলান্টিকা হোটেল কাণ্ড ঘটনায় চাঁদাবাজি ও পর্ণগ্রাফি মামলার আসামি বর্ষা, নুসরাত ও বিপাশার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে বর্ষা, নুসরাত ও বিপাশা জামিন আবেদন করে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলায় আসামি বিপাশার পক্ষে আইনজীবী আলমগীর হোসেন বলেন, আসামীর জামিন আদেশ বৃদ্ধির আবেদন করি। বিজ্ঞ আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

অপর আসামি নুসরাত ও বর্ষার পক্ষে ইয়ারুল ইসলাম আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন। সরকারি পক্ষে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক কৌসুলির দায়িত্ব পালন করেন।

এর আগে গত ২১ জুন একই আদালত এই আসামিদের ৬ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নুসরাত, বর্ষা রহমান, বিপাশা খাতুন, বাংলাভিশনের সাংবাদিক তুহিন আরন্য, ডিবিসি চ্যানেলের সাংবাদিক আবু আক্তার করণ, দেশ টিভির সাংবাদিক রেক্সোনা আরা, নিলুফার ইয়াসমিন রুপাসহ ১৭ আসামিকে অভিযুক্ত করে হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ড মামলায় পুলিশ আদালতে চার্জশিট দেয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪১৭/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারাসহ ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১),৮(২), ৮(৩), ৮(৪) ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রমানিত হওয়ায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন- বাংলাভিশনের মেহেরপুর প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে তুহিন আরন্য, ডিবিসি টেলিভিশনের মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু আক্তার করন, দেশ টিভির প্রতিনিধি রোকসানা আরা, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি মিজানুর রহমান জনি, কথিত সাংবাদিক নাজনিন খান প্রিয়া, ছন্দা খাতুন, আটলান্টিক হোটেল মালিক মতিয়ার রহমান, তার ছেলে মামুন জোয়ার্দার, আব্দুস সালাম, হাসিবুল হক জয়, নেহাল আল মুকিত, শাহাজান আলী, মোছা. রুপা, নুসরাত, বর্ষা, সুমন রহমান বিমান ও বিপাশা।

পুলিশের চার্জশিট থেকে জানা যায়, একটি নারী চক্র গড়ে তুলে মেহেরপুর শহরের আভিজাত শ্রেনীর হোটেল আটলান্টিকার মালিক মতিয়ার রহমান ও তার ছেলে মামুন বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা বা অভিজাত শ্রেনীর মানুষকে সুন্দরী নারী দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে তা ভিডিও ধারণ করেন। এবং সেই ভিডিও দিয়ে ব্লাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। এই চক্রে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ডজনখানেক সুন্দরী নারী জড়িত ছিলো।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ নভেম্বর মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের মনোয়ার হোসেন নামের এক এনজিও কর্মী সদর থানায় নারী চক্রের প্রধান হোতা প্রিয়া খানকে আসামি করে দণ্ডবিধির ৪১৭/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারায় একটি মামলা করেন।




“আমার চোখে বঙ্গবন্ধু” ভিডিও চিত্র নির্মাণ প্রতিযোগীতার প্রস্তুতি সভা

১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন, আদর্শ, কর্মজীবনের অনুপ্রেরণা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে ও তাদের অংশগ্রহনে জেলা বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে “আমার চোখে বঙ্গবন্ধু” বিষয়ে ১ মিনিটের ভিডিও চিত্র তৈরীর প্রতিযোগীতার প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল ১০ টার সময় মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এই প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লিংকন বিশ^াস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লিওজা উল জান্নাহ, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ^াস, মেহেরপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্বাছ উদ্দীন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভূপেশ রঞ্জন রায়, জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেহেরপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পল্লব ভট্টাচার্য, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষনা পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক, মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক হোসেন প্রমুখ। প্রস্তুতি সভায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা এবং উপজেলার স্কুল কলেজ ও তদুর্ধ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ৩ টি গ্রুপে (ক)প্রাথমিক বা সমপর্যায়ে(খ) মাধ্যমিক বা সমপর্যায়ে ও (গ) উচ্চ মাধ্যমিক ও সমপর্যায়ে।
ভিডিওটি প্রস্তুত করে মেইল/ পেন ড্রাইভ/ড্রাইভ বা লিংকের মাধ্যমে আগামি ১৬ জুলাই এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর জমা দিতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে তিন জন প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হবে। সেখান থেকে জেলা পর্যায়ে যাবে একজন প্রতিযোগী। জেলা পর্যায়ে থেকে একজন নির্বাচিত হয়ে যাবে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগীতার জন্য।




মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত খালেক মারা গেছেন

দুর্ঘটনায় আহত আব্দুল একদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আব্দুল খালেক গাংনী উপজেলার ঢেপা গ্রামের পূর্বপাড়ার মৃত মহাম্মদ আলীর ছেলে।

গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল ৯ টার দিকে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের বারাদী নামক স্থানে বিপরীতগামী দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আব্দুল খালেক মারাত্বক আহত হন। আহত খালেককে উদ্ধার করে প্রথমে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ও পরে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে নিহত আব্দুল খালেকের ময়না তদন্ত করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে জানা গেছে।




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার -৫

মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানা পুলিশের ১২ ঘন্টার নিয়মিত অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৫ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।

এদের মধ্যে সদর থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর মামলায় ২, সিআর মামলায় ১ জন এবং গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে জিআর মামলায় ২ আসামি রয়েছে।

মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানা পুলিশের জরুরী বিভাগ থেকে এই নিউজের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পুলিশের পৃথক টিম বুধবার দিবাগত রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকালের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




কুষ্টিয়ায় বিজিবি’র অভিযানে ১ কেজি হেরোইন উদ্ধার

কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ১ কেজি হেরোইন উদ্ধার করেছে। গতকাল বুধবার দুপুর সোয়া ১২টায় কুষ্টিয়া-প্রাগপুর সড়কের কদমতলা বাজারে যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশী অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় বিপুল পরিমাণ এ হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া সেক্টরের ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. রকিবুল ইসলাম পিএসসি’র নেতৃত্বে বিজিবি’র টহল দল প্রাগপুর থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়াগামী যাত্রীবাহী তানভির রোহান (চাঁদপুর জ-১১-০০১৫) পরিবহনে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালায়।

এসময় বাসে তল্লাশি চালিয়ে মালিকবিহীন অবস্থায় ভারতীয় এক কেজি হেরোইন উদ্ধার করে বিজিবি। মাদক উদ্ধার অভিযানের ঘটনায় মিরপুর থানায় জিডি এন্ট্রি করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজিবি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।




কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু উত্তোলন: লাখ টাকা জরিমানা

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সীমান্তবর্তী পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী দুই ব্যক্তিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল বুধবার পদ্মা নদীর হাডিঞ্জ ব্রিজ ও সাঁড়া এলাকায় যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকাশ কুমার কুণ্ডু।

অভিযানে ভেড়ামারার ফয়েজুল্লাহপুর গ্রামের ইদ্রিস প্রামাণিকের ছেলে আরিফুল ইসলামকে ৫০ হাজার এবং রাইটা গ্রামের বজলু মহলদারের ছেলে রফিকুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকাশ কুমার কুণ্ডু বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তারা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে, কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় অভিযান চালিয়েছে সদর ও মিরপুর উপজেলা প্রশাসন।

গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন স্পটে এই অভিযান পরিচালিত হয়। তবে একই সময়ে কুষ্টিয়া সদর ছাড়াও ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
সম্প্রতি মিডিয়ায় কুষ্টিয়ার পদ্মা নদী থেকে ১১ পয়েন্টে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে ১১ প্রভাবশালী। ওই সংবাদের পর নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন।

ভ্রাম্যমাণ অভিযান সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীর ১১টি স্পট থেকে প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সরকারের শতকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে এই বালুখেকো প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। তারই অংশ হিসেবে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বুধবার সকাল থেকেই এই অভিযান শুরু করে প্রশাসন।

উপজেলা প্রশাসন ছাড়াও অভিযানে যৌথভাবে নেতৃত্ব দেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ও নৌ পুলিশ সদস্যরা। অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান নিজ নিজ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে নৌ-পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা বলেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুরে পদ্মার পাড়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে দুইজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও অন্যান্য উপজেলায় ‘যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে এই অভিযান চলাকালে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের নদীতে পাওয়া যায়নি। কোনোভাবে হয়ত অভিযানের কথা জানতে পেরে তারা পালিয়েছে, চলমান এই অভিযানে স্পটে বালু উত্তোলনরত অবস্থায় পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে’।

অভিযান শেষে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে। সেজন্যই মূলত আজকের এই অভিযান। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে যৌথভাবে গঠিত মনিটরিং টিম এই অভিযান পরিচালনা করছেন। চলমান এই অভিযান নিয়মিত চলতে থাকবে।’