কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ৬ বছরের শিশু ধর্ষন, ধর্ষক আটক

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার পল্লীতে ৬ বছরের এক শিশু ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষনের অভিযোেগ আলিফ হোসেন (৩৮) নামে ধর্ষককে আটক করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকালে ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের উত্তর ভবানীপুর খাঁনপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব সদস্যরা। এরআগে ভেড়ামারা থানায় ১টি ধর্ষন মামলা দায়ের করা হয়।

এলাকাবাসী ও থানা সুত্রে জানা গেছে, ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের উত্তর ভবানীপুর খাঁনপাড়া এলাকার ভ্যানচালক ছোটন আলী ও একই এলাকার ছামু ন্যাংড়ার ছেলে ধর্ষক আলিফ হোসেনের বাড়ি পাশাপাশি। ৬ বছরের শিশু ধর্ষক আলিফ হোসনের সেলুনের দোকানের সামনে খেলা করছিলো। এসময় ধর্ষক আলিফ হোসেন ৬ বছরের শিশুকে চকলেট দেওয়ার নাম করে তার ঘরের ভিতরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। শিশুটি তার পরিবারকে জানালে তাকে প্রথমে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে।

বর্তমানে শিশুটি কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের ৫ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ধর্ষক আলিফ হোসেন কে র‌্যাব গ্রেফতার করেছে। ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ আকিবুল ইসলাম জানান, ধর্ষনের ঘটনায় থানায় ১টি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামী আলিফ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গার কলেজপাড়ায় নির্মাণাধীন খোলা ড্রেনে পড়ে শিশুর মৃত্যু

আলমডাঙ্গা পৌরসভার নির্মাণাধীন ড্রেনে পড়ে সামিয়া নামের সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে।

পৌর এলাকার কলেজপাড়ায় ঢাকনাবিহীন ড্রেনের পানি থেকে গতকাল বুধবার রাত ৯ টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন। সামিয়া কলেজপাড়ার ব্যবসায়ী রোকনুজ্জামানের শিশু কন্যা।

শিশুর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় শিশু সামিয়া কলেজপাড়া সড়কে তার পিতার দোকানের সামনে খেলা করছিলো। সে একা খেলতে গিয়ে সবার অজান্তে বাড়ির সামনে পৌরসভার নির্মাণাধীন ঢাকনাবিহীন ড্রেনে পড়ে যায়। এ সময় তাকে অনেক খুঁজেও না পেয়ে পরিবারের লোকজন হতাশ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে দেখতে পায় সামিয়াকে। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে সড়কের পাশে নির্মাণ করা ড্রেনের ওপরে অধিকাংশ স্থানে দীর্ঘদিন ঢাকনা (স্ল্যাব) দেওয়া হয়নি। আগেও ঢাকনাবিহীন এই ড্রেনের উপর দিয়ে হাঁটতে গিয়ে অনেকেই নিচে পড়ে আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে ড্রেন নির্মাণ কাজের ঠিকাদার মোজাহিদুর রহমান লোটাস জোয়ার্দ্দার জানান, মেয়াদউত্তীর্ণ হওয়ার কারণে শতভাগ স্লাব দেয়া সম্ভব হয়নি। তবুও নির্মাণাধীন ড্রেনের শতভাগ স্লাব দেয়ার চেস্টা চালানো হচ্ছে। তবে ড্রেনে পড়ে আর যেন কোনো প্রাণহানী না ঘটে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।




আলমডাঙ্গায় পৃথক স্থানে অভিযান; মোটরসাইকেল চালকে জরিমানা

আলমডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের বন্ডবিল এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১৫ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।

গতকাল বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ¯স্নিগ্ধা দাস ও উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে।

জানাগেছে, বর্তমানে সড়কে প্রাণহানিকর যত ঘটনা ঘটছে তার বেশির ভাগই মোটরসাকেল দূর্ঘটনায়। হেলমেট ছাড়া, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও মানুষ বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছে।

গতকাল বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি আলমডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গা সড়কের বন্ডবিল এলাকায় যৌথ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী হেলমেটবিহীন গাড়ি চালানো এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ১২টি মামলায় ১৫ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আদায় করেন।




গাংনীতে জমি বিক্রিতে জালিয়াতি, দুই ভাই জেলে

প্রতারনা করে একই জমি দুই বার বিক্রি করার দায়ে গাংনীর ফতাইপুর গ্রামের দুই সহোদর আব্দুর রাজ্জাক ও জাকির হোসেনকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। আবার এ মামলার বাদি হচ্ছেন তাদেরই আপন ভাই।

জানা গেছে, ফতাইপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম বাদি হয়ে মেহেরপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আমলী আদালতে ছয় জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, জিয়ারুল ইসলামের ভাই আব্দুর রাজ্জাক ও জাকির হোসেন এবং আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী আনজুমানারা খাতুন কৃষি ব্যাংক গাংনী শাখা থেকে ২০১০ সালে ৫ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এর বিনিময়ে ফতাইপুর গ্রামের একটি জমি মটগেজ দেন তারা। পরবর্তীতে ২০১১ সালে তারা একই জমি ভোমরদহ গ্রামের আব্দুর রহমানের কাছে বিক্রি করে রেজিস্ট্রি সম্পাদন করে দেন। ২০১৩ সালে আব্দুর রহমান ওই জমি আব্দুর রশিদ নামের একজনের কাছে বিক্রি করেন। ২০২১ সালে আব্দুর রশিদ ওই জমি বিক্রি করেন আব্দর রহমানের কাছে। এর পরে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আব্দুর রহমান জমি বিক্রি করে দেন চৌগাছা গ্রামের রফিকুল ইসলামের কাছে। আব্দুর রাজ্জাক থেকে আব্দুর রহমান, আব্দুর রহমান থেকে আব্দুর রশিদ, আব্দুর রশিদ থেকে আবার আব্দুর রহমান এবং আব্দুর রহমান থেকে রফিকুল ইসলামের কাছে বিক্রির মধ্য দিয়ে দলিলের সংখ্যা দাঁড়ায় চারটি। অর্থাৎ এই চার বার বিক্রির পর তা গাংনী সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে। কৃষি ব্যাংকে যদি জমি প্রকৃতপক্ষে মটগেজ হয় তাহলে কিভাবে চারবার বিক্রি হলো ? অনেকের মনে এই যৌক্তিক প্রশ্ন উদয় হলেও কৃষি ব্যাংক থেকে তার সদুত্তোর মেলেনি।

জানা গেছে, একই জমি চারবার কেনাবেচার সময়ের মধ্যেই কৃষি ব্যাংক থেকে নিলামে ক্রয় করেন আব্দুর রাজ্জাকের আপন ভাই জিয়ারুল ইসলাম।

জানা গেছে, আব্দুর রহমান জমি কেনার পর সেখানে একটি পাকা বাড়ি নির্মান করেন। রফিকুল ইসলামের কাছে বিক্রির পর তা বুঝিয়ে দেন আব্দুর রহমান। রফিকুল ইসলাম বাড়ি দখল নেন এবং খারিজ, খাজনা ও বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করেন তার নামে। পৌরসভা থেকে হোল্ডিংও খোলা হয় রফিকুল ইসলামের নামে। এর পরে জিয়ারুল ইসলাম নিলালের মাধ্যমে জমির মালিক দাবি করে জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

অভিযোগ রয়েছে, কৃষি ব্যাংক থেকে তড়িঘড়ি করে গোপনে নিলাম করা হয়। কাগজপত্রের নিয়মাবলী গোপনে জোড়াতালি দিয়ে নিলাম সম্পন্ন করে মটগেজকারী আব্দুর রাজ্জাকের আপন ভাই জিয়ারুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে কৃষি ব্যাংক। ফলে নিলাম কার্যক্রম হয়ে দাঁড়ায় প্রশ্নবিদ্ধ।

এদিকে রফিকুল ইসলাম ওই জমি ও বাড়ি মটগেজ দিয়ে রুপালী ব্যাংক গাংনী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। কাগজপত্রের বৈধতা আইন অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে জমির মালিকানা নিশ্চিত হয়ে ঋণ দেয় রুপালি ব্যাংক। যা নিশ্চিত করেছেন রুপালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তবে বিষয়টি নিয়ে বাধা সৃষ্টি শুরু করে জিয়ারুল ইসলাম।

এদিকে একই জমি রফিকুল ইসলাম ক্রয় করেন আব্দুর রহমানের কাছ থেকে আর জিয়ারুল ইসলাম কেনেন কৃষি ব্যাংকের নিলামে। ফলে দুই মালিকের মধ্যে চরম বিরোধ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত।

জানা গেছে, জিয়ারুল ইসলাম বাদি হয়ে মেহেরপুর বিজ্ঞ আদালতে যে মামলাটি দায়ের করেন তাতে আসামি করা হয় ৮ জনকে। এরা হলেন- জিয়ারুল ইসলামের আপন ভাই আব্দুর রাজ্জাক ও জাকির হোসেন, আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী আনজুমানারা খাতুন, জমি ক্রেতা আব্দুর রহমান, আব্দুর রশিদ, রফিকুল ইসলাম, রুপালী ব্যাংক ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম, এ্যাডভান্স অফিসার শাহাবুল ইসলাম। ওই মামলার আসামি হিসেবে বেশ কয়েকদিন হাজতবাসে ছিলেন রফিকুল ইসলাম। পরে আব্দুর রাজ্জাক ও জাকির হোসেন আদালতে জামিন নিতে গেলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। বর্তমানে তারা মেহেরপুর জেলা কারাগারে হাজতবাসে রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, আপন দুই ভাইয়ের নামে মামলা দায়ের করলেও জামিনের জন্য জিয়ারুল ইসলাম নিজেই চেষ্ট করেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে জমির এই বিরোধের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে গাংনীর বিভিন্ন মহলে মিমাংসার জন্য ঝুলে ছিল। কোথাও কোন সমাধান পাননি ভুক্তভোগীরা। কৃষি ব্যাংকের নিলাম আর অন্য সব দলিলগুলোর বিষয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ঠরা বিষয়টি দ্রুত সুষ্ট সমাধান করবেন এ প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।




মেহেরপুরে আদালতে মামলা মিথ্যা, বাদীকে জেলে প্রেরণ

মামলা মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় এবার বাদীকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এস এম শরিয়ত উল্লাহ। এছাড়া বাদীর দায়ের করা মিথ্যা মামলাটি কার্যবিধির ২০৩ ধারার বিধান মোতাবেক খারিজ করেছেন তিনি।

আজ  দুপুরের দিকে বিজ্ঞ বিচারক এস এম শরিয়ত উল্লাহ এই আদেশ দেন। যার মামলা নং সি, আর ৮০৬/২২।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী ও বিবাদীগণ একে অপরের পূর্ব পরিচিত। মামলার বাদীর বোন ১নং সাক্ষী মোছাঃ মাবিয়া খাতুন এর সাথে জনৈক ইনাচতুল্লাহ ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। জনৈক ইনাচতুল্লাহ ও বিবাদী আঃ কুদ্দুস একে অপরের আপন ভাই এবং দুই বিবাদী প্রতিবেশী। বাদীর বোনের স্বামী ইনাচতুল্লাহ দীর্ঘ ১৫/১৬ বছর যাবৎ মালয়েশিয়াতে থাকে এবং কয়েক বছর পর পর দেশে আসে। বাদীর বোন ঘর সংসার করাকালে ইনাচতুল্লাহর পাঠানো টাকাতে বাদীর বোনের ছোট ছেলে লিটনকে তফসিল বর্ণিত মোটর সাইকেলটি ক্রয় করে দেয় যা বাদীর বোনের নামে সকল কিছু রেজিট্রেশন করা হয়। বাদীর বোন ইনাচতুল্লাহর ঘর সংসার করাকালে সে গাংনী থানাধীন হিন্দা গ্রামের জনৈক জামাল এর সাথে অবৈধ প্রেম ভালবাসা করে ইনাচতুল্লাহকে তালাক না দিয়ে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাদীর বোন মাবিয়া খাতুন ইনাচতুল্লাহকে তালাক প্রদান করে। যার প্রেক্ষিতে মামলার ২নং বিবাদী আঃ কুদ্দুস ইনাচতুল্লাহ এর ভাই হয়ে বিজ্ঞ আদালতে অত্র মামলার বাদীর বোনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং ১নং ও ৩নং বিবাদী উক্ত মামলায় সাক্ষী হন। উক্ত মামলার জের ধরে বাদী ও বিবাদীদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। যেহেতু মামলার বাদীর বোন ইনাচতুল্লাহ ঘর সংসার করাকালে তার নামে তফসিল বর্ণিত মোটরসাইকেলটি ক্রয় করা হয়ে।

সেহেতু উক্ত মোটরসাইকেলটি পাওয়ার জন্য মামলার বাদী অত্র মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। প্রকৃতপক্ষে বাদীর নালিশী দরখাস্তে বর্ণিত কোন ঘটনা, ঘটনার তারিখের আগে বা পরে ঘটেনি। অর্থাৎ নালিশকারী মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে মর্মে তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা নালিশকারী ও তার মানিত সাক্ষীদেরকে সঠিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি বা ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করে আসামিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে একটি মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন মর্মে দাবী করলেও নথি দৃষ্টে দেখা যায় ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬১ ধারা অনুযায়ী সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।

নালিশকারী ও সাক্ষীদের প্রদত্ত বক্তব্য, তদন্তকারী কর্মকর্তার দাখিল প্রতিবেদন এবং নথি পর্যালোচনায় মিথ্যা মামলাটি দায়ের করিয়েছেন মর্মে আদালতের পর্যালোচনায় সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। এমতাবস্থায় মিথ্যা মামলা দায়েরের দায়ে নালিশকারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারী আইন অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন আদালত।




দামুড়হুদার তারিনিপুরের হারুন ১কেজি গাঁজা সহ গ্রেফতার

দামুড়হুদার তারিনিপুরের হারুণ আলী(২৯) কে ১কেজি গাঁজা সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে তারিনিপুর ঈদগাপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ১কেজি গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।

থানা সূত্রে জানাগেছে, দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই (নিঃ) মনজুরুল ইসলাম, এএসআই (নি:) বিপ্লব দাস সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দামুড়হুদা মডেল থানাধীন তারিনীপুর ঈদগাঁ পাড়া সাকিনাস্ত আসামীর বসতভিটায় অভিযান চালায়। এসময় তারিনীপুর গ্রামের বরকত আলীর ছেলে হারুন আলী কে ১কেজি গাঁজা সহ গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানাগেছে।




জীবননগরে বৃক্ষ রোপন কমসূচির উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

জীবননগরে বৃক্ষ রোপন কমসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকাল ৩টার সময় জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজেনে এ বৃক্ষ রোপন কমসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে জীবননগর পৌর শহরের নয়ন জলির ধারে বৃক্ষ রোপনের মধ্যে এ কমসূচির উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাফিজুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র প্রমুখ।




জীবননগর আন্দুলবাড়ীয়া ইউপি নির্বাচনে আচরণ বিধি সংক্রন্ত মত বিনিময় সভা

জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধি সংক্রন্ত মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার সময় জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাফিজুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র, চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মোতাওয়াক্কিল রহমান, জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মেজর আহম্মেদ, জীবননগর থানার অফিসার ইনচাজ(ওসি)মোঃনাসির উদ্দিন মৃধাসহ আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী সকল প্রাথীগন উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে মোবাইল কোর্ট, নিজেরা সরিয়ে নিলো যত্রতত্র রাখা বাস

মেহেরপুর শহরের যানজট কমাতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শহরের হোটেল বাজার মোড় থেকে কলেজ মোড় এবং সার্কিট হাউজ সড়কে পার্কিং করা সব গাড়ি মেহেরপুর বাস টার্মিনাল সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রাব্বানী সোহেল ও দেবাংশু বিশ্বাসের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ ও বিআরটিএ এর সহযোগিতায় শহরে অভিযান চালান। এই অভিযানের সময়ে মালিকপক্ষ নিজেরা বাসগুলো টার্মিনালে সরিয়ে নেন।

এর আগে গত ২২ জুন, জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আঞ্চলিক সড়ক পরিবহণ কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় শহরের যানজট নিরসন, দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ, শিশু পার্কে আগত শিশুদের নিরাপত্তা এবং জেলা প্রাণিসম্পদ ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে আগত সেবা প্রত্যাশীদের দুর্ভোগ লাঘবে হোটেল বাজার মোড় থেকে কলেজ মোড় পর্যন্ত গাড়ি পার্কিং না করার সিদ্ধান্ত হয়।

সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকারি কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রাব্বানী সোহেল ও দেবাংশু বিশ্বাসের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ ও বিআরটিএ এর সহযোগিতায় শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বলেছেন, দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ ও যানজট নিরসনে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকরা সহযোগিতা করেছেন। এখন থেকে জেলাপ্রশাসন থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে এবং ট্রাফিক বিভাগ সবসময় সক্রিয় থাকবে।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর শহরকে যানজট ও পরিবহণ খাতে সুষ্ঠুু পরিবেশ তৈরিতে ২০১০ সালের ১৫ জুন মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে শহরের উপকণ্ঠে ৮ দশমিক ৪০ একর জমির ওপর মেহেরপুর পৌরসভা টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়।




ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত পৌর মেয়র রিটন

নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন।

আবেগ আপ্লত মেয়র মাহফুজুর রহমান বললেন পৌরবাসির ভালবাসা ও সহযোগীতা ছিল বলে আজ আমি সম্মানিত হয়েছি। এজন্য পৌরবাসির কাছে আমি কৃতজ্ঞ। যে আশা আকাংখা নিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন আমি আশা আকাংখার প্রতিফলন ঘটিয়ে পৌরসভাকে সাজিয়ে তুলবো। আমার আজকের সব অর্জন পৌরবাসিকে উৎসর্গ করলাম। আগামী দিন সুখে দুখে পৌরবাসির পাশে থেকে তাদের ভালবাসার ঋণ শোধ করবো”।

মেয়র এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ম্যাবস) এর সাংগাঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় খুশি—আনন্দিত ও উচ্ছ্বাসিত পুরো মেহেরপুরবাসী। তাইতো নাগরিক সংবর্ধনায় দলে দলে লোক এসেছেন, আর প্রিয় নেতা মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন সবাই।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মেহেরপুর পৌর টাউন হলে মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটনকে দেওয়া হয় এই নাগরিক সংবর্ধণা। মেহেরপুর পৌর সভার নাগরিকবৃন্দ এই বিরাট সংবর্ধনার আয়োজন করেন।

আয়োজনস্থলে মেয়র পৌছানোর আগেই জমায়েত হয় অগনিত নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ ও বিপুল পরিমান নারী। আয়োজনস্থলে মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন পৌছালে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সমাগত মানুষেরা। ফুল দিয়ে বরণ করেন নেন প্রিয় মেয়রকে।

মেহেরপুর পৌর সভার টিএলসির সভাপতি প্রফেসর নুরুল আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংবর্ধিত মেয়র মো: মাহফুজুর রহমান রিটন।

এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও সাবেক মেহেরপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের আরেক সহসভাপতি মো: আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম রসুল, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবি সাবেক ছাত্র নেতা এমএএস ইমন, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান।

যুবলীগ নেতা নিসান সাবেরের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর পৌর সভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান রিটন, মেহেরপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর পৌর সভার ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আল মামুন, সাবেক ছাত্র নেতা মফিজুর রহমান, জেলা যুবলীগের সদস্য সাজিদুর রহমান সাজু প্রমুখ।

এসময় পৌরসভার কাউন্সিলর মীর জাহাঙ্গীর আলম, বাপ্পী, আব্দুর রহিম, মোস্তাকিম হোসেন, রাজীব আহম্মেদ, সোহেল রানা ডলারসহ সংরক্ষিত নারী সদস্যা, পৌর কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ, সমর্থক, নেতাকর্মী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবধির্ত মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটনকে পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ক্রেষ্ট ও ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন। এছাড়া অরণী থিয়েটারের পক্ষ থেকে তাকে উত্তোরিও পরিয়ে দেওয়া হয়।

এরপর মেহেরপুর পরিবেশক সমিতি, নারী কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে, অটো চালক সমিতি, ফুল ব্যবসায়ী সমিতি, বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, পৌরসভা চালক সমিতি, ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ,বিভিন্ন ওয়ার্ডের নারীদের পক্ষ, মেহেরপুর তহ বাজার কমিটি, মেহেরপুর জেলা ছাত্র লীগ, সদর থানা ছাত্রলীগ, জেলা যুবলীগ, বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগ, গাংনী থানা যুবলীগ, বিভিন্ন ইউনিয়ন যুবলীগ, বাস শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের পৌর নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন যুবলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান রিটন। এর আগেও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।