গাংনীতে পারিবারিক কলহ, গৃহবধুর বিষপান

পারিবারিক কলহের জের ধরে শিমা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধু বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। শিমা আক্তার গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী।

শিমা আক্তার বর্তমানে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

স্থানীয়রা জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আজ সোমবার সকাল ৮ টার দিকে বিষপান করে ওই গৃহবধু। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক মাসুদ জানান, শিমা আক্তারের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।




গাংনীতে প্রেমিকার আত্মহত্যার খবরে প্রেমিকেরও বিষপান

প্রেমিকা রুবিনার আত্মহত্যার খবর শুনে প্রেমিক রিংকুও বিষপান করে হাজির হলেন মৃত প্রেমিকার বাড়িতে। প্রেমিক রিংকুকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে বামন্দীর স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ও পরে সেখান থেকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।

আজ সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ৯ টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার ব্রজপুর গ্রামের ঈদগাঁহ পাড়ায়।
রুবিনা খাতুন গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের ব্রজপুর গ্রামের ঈদগাঁহ পাড়ার রবিউল ইসলামের মেয়ে। রিংকু একই উপজেলার দেবিপুর গ্রামের ফইমদ্দিনের ছেলে। সে একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আযহার আগের দিন রুবিনা খাতুনের বিয়ে হয় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার নাটনাপাড়া গ্রামের সৈকত আলীর ছেলে সবুজের সাথে।
ঈদের পর দিন স্বামী সহ রুবিনা খাতুন মায়ের বাড়িতে অষ্টমঙ্গলে আসে। বিয়ের ৫ দিনের মাথায় আজ সোমবার সকালে রুবিনা নিজ কক্ষের আড়ের সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।

রুবিনার আত্মহত্যার খবর শুনে দেবিপুর গ্রামের ফইমদ্দিনের ছেলে রিংকুও বিষপান করে রুবিনার বাড়িতে এসে হাজির হন।
জানা গেছে, রুবিনা তার নানা বাড়ি দেবিপুর গ্রামে থেকে লেখাপড়া করতো। রিংকুর কাছে প্রাইভেট পড়ার সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানা জানি হলে রুবিনার পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে জোর করে বিয়ে দেন। বিয়ে মেনে না নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানান স্থানীয়রা।

তবে রুবিনার মা সুমাইয়া খাতুন বলেন, আমার মেয়ে হঠাৎ করেই আত্মহত্যা করেছে। রিংকুর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিনা আমরা আমরা কিছুই জানিনা।

খবর পেয়ে ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।




আলমডাঙ্গার পাঁচলিয়ায় গলাঁয় ফাঁস লাগিয়ে নারীর আত্ন*হত্যা

আলমডাঙ্গার পাঁচলিয়া গ্রামে ডলি খাতুন (৪২) নামের এক গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। প্রচন্ড অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছেলেকে শাসন না করায় স্বামীর উপর অভিমান করে গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন বলে গ্রামবাসী জানিয়েছেন।

আজ রবিবার দুপুরের দিকে জামজামি ইউনিয়নের বিল পাঁচলিয়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। নিহত ডলি খাতুন পাঁচলিয়া গ্রামের গোলাম রসুলের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী।

স্থানীয়রা জানান, গোলাম রসুলের স্ত্রী ডলি খাতুনের দীর্ঘদিন সাংসারিক ঝামেলা চলে আসছে। স্বামী ঢাকায় থাকেন। বাপের অবর্তমানে একমাত্র ছেলে বখে যায়। নেশাসক্ত ও অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। স্বামী ঈদে বাড়ি আসলে এ নিয়ে বিতন্ডা হয় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। ছেলেকে শাসন না করে গোলাম রসুল ঢাকাতে ফিরতে চাইলে স্ত্রীর সাথে বিরোধ বাঁধে। বিরোধ নিয়েই শনিবার দিনগত রাতে স্বামী স্ত্রীতে বেডে যান। ভোর রাতে কোন এক সময় স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে পুকুর পাড়ে অবস্থিত মুরগির সেডে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

দুপুরে মাঠ থেকে ফেরার সময় গ্রামের কয়েকজন ডলি খাতুনের লাশ ঝুলতে দেখেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশে পৌছে সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।




চারুলিয়া শেখপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম খান লাভলুর বিদায়ী সংবর্ধনা

টানা ৩১ বছরের মায়া মমতা ছিন্ন করে বিদায় সংবর্ধনা গ্রহণ করলেন দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের চারুলিয়া শেখপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিম খান লাভলু(৬৫)। তিনি চারুলিয়া গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে। জানা গেছে আজ বিকাল ৪ টার দিকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে এ বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নুর আলম মনির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটুদহ ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফির বক্তব্য বলেন এ বিদায় সে বিদায় নয় হয়তো ভালো কিছু পাবার আশায় এ বিদায় নিতে হয়। দীর্ঘদিন একসাথে চলাফেরার পথে অনেক ভালোবাসার জন্ম হয়। সেসব ভালোবাসা ছিন্ন করে বিদায় লগনে কষ্টের সামিল হতে হয়। আরও বলেন ১৯৯২ সালে স্থপতি কাল থেকে তিল তিল করে সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে গড়ে তুলেছে বিদ্যালয়টি।

বিদায়ী প্রধান শিক্ষক সেলিম খান লাভলু জানান, ৩১ বছর দায়িত্বরত জীবনে আমার হাত দিয়ে মানুষের মতো মানুষ বানিয়েছি অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী। তার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের মায়া ত্যাগ করে বিদায় নিতে অনেকটাই কষ্ট হচ্ছে।

আরও বলেন নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হারুনর রশিদ খান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়টির সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম, সহকারী শিক্ষক মাহফুজুর রহমান খান, কাজী মাসুদ হক, মুসলিমা খাতুন, কানিজ ফাতেমা,সাবেক ছাত্র মুফতি ইকরামুল হক সুজন, লিজন খান সহ গোটা গ্রামবাসী। বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন পরাণ শেখ।




দামুড়হুদায় আদর্শ কৃষক সমবায় সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি আদর্শ কৃষক সমবায় সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ বিকাল ৫টার দিকে কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে একাধিক বার স্বর্ণপদক প্রাপ্ত কুড়ুলগাছি আদর্শ কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুড়ুলগাছির কৃতি সন্তান, উক্ত সমিতির প্রধান উপদেষ্টা কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা, দৈনিক আমার সংবাদ ও ডেইলি পোস্ট পত্রিকার সম্পাদক হাশেম রেজা।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমার শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে এই ঐতিহ্যবাহী কৃষক সমিতির কোন ক্ষতি হতে দিবো না। ঋণে জর্জরিত সমিতির সকল সদস্যদের দেনা পাওনা আমি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পরিশোধ করে, হাজার হাজার কৃষকের মুখে হাসি ফুটাবো, আমি এই মাটির সন্তান, আমি এলাকার প্রতিটি মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে আছি থাকবো আজীবন। আমি চাই প্রায় অর্ধশত বছরের পুরনো এই কৃষক সমিতি আবারো রাষ্ট্রিয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সমিতির মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখুক।

অল্প খরচে সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে চাষীরা জমিতে ফসল ফলিয়ে সোনালী ফসল ঘরে তুলুক, আমি কৃষকদের মুখে হাসি ফুটাতে চাই, এটাই আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি ও তৃপ্তি হয়ে থাকবে।

উক্ত সাধারণ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম, আবু হানিফ, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মিন্টু তরফদার, নাসির উদ্দীন সহ স্থানীয় সুধী জন, সমিতির নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সাধারণ সদস্য, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিক প্রমুখ।

উল্লেখ্য প্রায় অর্ধশত বছরের পুরনো কুড়ুলগাছি আদর্শ কৃষক সমবায় সমিতিটি কয়েক বছর ধরে একটি দুষ্ট চক্রের কবলে পরে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা লোকসানের কবলে পরে সমিতিটিতে নানান অনিয়ম ও দূর্নীতির কবলে পরলে বর্তমান কমিটি হাশেম রেজাকে প্রধান উপদেষ্টা করার পর পরই নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অর্থ সহযোগিতা করেন, এবং সমিতি সফলতার দিকে এগুতে থাকে। কিন্তু একটি দুষ্ট চক্র সকল সময় বিভিন্ন ভাবে চক্রান্ত চায়িয়ে যাচ্ছে জানান সমিতির সভাপতি সহ একাধিক সদস্য। অপরদিকে সমিতির সাধারণ সভা পন্ড করতে কয়েকবার উক্ত দুষ্ট চক্রটি হামলা চালাতে গেলেও হাশেম রেজার দৃঢ় মনোবল ও জনসমর্থনের রোষানলে পরে সভাস্থল ত্যাগ করেন।

সভা শেষে কুড়ুলগাছি আদর্শ কৃষক সমবায় সমিতির সকল সদস্যের মাঝে নগদ ১০০০/ (এক হাজার) টাকা করে দেন উক্ত সমিতির প্রধান উপদেষ্টা হাশেম রেজা।




আলমডাঙ্গায় একদিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম কমেছে ১২০ টাকা

ঈদের ছুটি শেষ হতেই কাঁচা মরিচের দাম খুচরা বাজারে কমতে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বাজারে প্রতি কেজিতে ১২০ টাকা কমেছে। একদিন আগেও শনিবার প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ পাইকারি ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়।

আজ রবিবার দাম কমে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিন দুপুরে আলমডাঙ্গা পৌর কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, গত ১ সপ্তাহ হু-হু করে বেড়েই চলেছে কাঁচা মরিচের দাম। গত সপ্তাহের বুধবার ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় কাঁচা মরিচ। ঈদের ছুটি ও চাহিদা বাড়ায় প্রত্যেক দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে দাম । বাজার মনিটরিয়ের কোন ব্যবস্থা না থাকায় এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ক্রেতাদের । শনিবার পর্যন্ত আলমডাঙ্গা পৌর কাঁচামালের দোকান গুলোতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা কেজি। একদিনের মধ্যেই রবিবার ১২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকায়।

পৌর শহরের কাঁচা-মাল বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, ঈদুল আজহার দুদিন আগেই হঠাৎ কাঁচামরিচের চাহিদা বেড়ে যায়। অনেক কৃষক গবাদিপশু বিক্রিতে ব্যস্ত থাকায় উৎপাদন কম হয়। একারণে আকাশ চুম্বী দাম পৌছাই কাঁচামরিচের।

বিক্রেতা নায়েব আলী জানান, ঈদের ছুটি শেষ হতেই কাঁচা ঝাঁলের দাম কমতে শুরু করেছে। বাজারে স্থানীয় কৃষকের উৎপাদিত সবজি ও কাঁচামরিচ মিলছে। শনিবারের তুলনায় অনেকটা দাম কমেছে। তবে, আগামি দিনগুলোতে কাঁচামরিচ সহ সবজির দাম আরো কমার আশা করছে ব্যবসায়ীরা।

বাড়াদী ইউনিয়নের অনুপনগর গ্রামের কৃষক আজগার আলী জানান, এবছর ১ বিঘা জমিতে ঝাঁল চাষ করছি। অনাবৃষ্টি ও তীব্র দাবদহে ১০ কাঠা জমির ঝাঁল গাছ মারা গেছে। কোরবানির পশু নিয়ে ব্যস্ততায় কেউ ফসলের খোঁজ রাখতে পারেনি। ঝাঁলের দাম বেড়েছে ১০ গুন। এঅঞ্চলের সকল কৃষকই গাছ থেকে এখন ঝাঁল সংগ্রহ করছে।

আলমডাঙ্গার বৃহত্তর ব্যবসায়ী সংগঠন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন জানান, নিয়মিত কাঁচা-বাজার আড়ৎদার ও ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ঝাঁল সহ উর্ধমূখী সবজির দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বর্তমানে চাহিদার তুলনায় বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঝাঁল ওসবজি সরবরাহ রয়েছে। এতেই দাম নিম্নমূখী।

আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার স্নিগ্ধা দাস বলেন, কাঁচামরিচ সংকটের কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে ঝাঁল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। আশানুরূপ দ্রুত বাজার দর স্বাভাবিক হয়ে আসবে।




দামুড়হুদার সুবুলপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা 

দামুড়হুদার সুবুলপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার বিকালে ভৈরব নদীর পাড়ে গ্রামবাসীর আয়োজনে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠার তালে তালে বর্ণিল সাজে সজ্জিত নৌকা বাইচ দেখতে নদীর তীরে ভীড় জমায় হাজার হাজার নারী পুরুষ।

হাজার হাজার দর্শকের উপচে পড়া ভীড়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগীতায় ১০টা নৌকা অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করে দৌলত হোসেনের দলের নৌকা, দ্বিতীয় ডালিম হোসেন দলের নৌকা এবং তৃতীয় আব্দুল খালেকের দলের নৌকা। বাঘাডাঙ্গা-কাঞ্চনতলার মোড় থেকে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কয়েক রাউন্ডে চলে এ বাইচ। এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখতে হাজার হাজার দর্শনার্থী ভৈরব নদীর পাড়ে এসে হাজির হন।

নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম ফুরুই এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, সদাবরি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার তছিম উদ্দিন,কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইমরান হোসেন, এএসআই মসলেম উদ্দিনসহ সাংবাদিকবৃন্দ ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শহিদুল ইসলাম বলেন এমন উচ্ছাসপূর্ণ আয়োজনে অংশ নিয়ে খুশি এলাকাবাসী। কোন কিছু প্রাপ্তির আশায় নয়, দর্শকদের আনন্দ দিতেই বাইচে অংশ নিয়েছেন তারা। বাঙ্গালীর শত বছরের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক নৌকা বাইচ আয়োজনে প্রয়াস অব্যাহত রাখার প্রত্যয় জানান তিনি।




আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়ায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু

আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ডলি খাতুন (৫৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ রবিবার বিকেল ৪ টায় ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়বোয়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ডলি খাতুন ওই গ্রামের কৃষক মো. আক্কাস আলীর স্ত্রী।

আক্কাস আলী বলেন, তার স্ত্রী অসতর্কতাবশত ঘরের মধ্যে থাকা টেবিল ফ্যানের লাইন দিতে যায়। তার হাত দেয়ালের বৈদ্যুতিক সকেটে ঢুকে গেলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। স্থানীয় চায়ের দোকান থেকে ফিরে ঘরের ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসে। তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিলে তিনি মৃত বলে জানান।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. সোহানুর রহমান সোহান এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পল্লী বিদ্যুৎ হাটবোয়ালিয়া সাব-জোনাল অফিসের এজিএম আলমঙ্গীর হোসেন বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কারো মুত্যুর খবর তাদের জানা নেই।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে।




আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মুল্যায়ন করতে হবে—বক্তারা

প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের হাত থেকে আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে হবে। উড়ে এসে জুড়ে বসা এমপি বা মন্ত্রী নয় আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের যারা মুল্যায়ন করবে, তাদের পাশে থাকবে এমন নেতাকে মনোনয়ন দিতে হবে। সামনে পুলিশ পেছনে পুলিশ নিয়ে নয়, ত্যাগী নেতা কর্মীদের পাশে নিয়ে চলবে সেই নেতাকে আমরা চাই। মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কর্তৃক আয়োজিত ঈদ শুভেচ্ছা মিটিং এ এসব কথা বলেন বক্তারা।

জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে হাইব্রীড নেতাকর্মীদের মুল্যায়ন করা ও তাদের দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করানোর তীব্র সমালোচনা করা হয়।

আজ রবিবার (২ জুলাই) বিকালে দারিয়াপুর হাট প্রাঙ্গনে এই ঈদ শুভেচ্ছা মিটিং এর আয়োজন করা হয়।

দারিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই শুভেচ্ছা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম রসুল, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক ঢাবি ছাত্রনেতা এমএএস ইমন, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মোল্লা, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টনিক বিশ্বাস, মুজিবনগর উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা পরিষদের সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন মিরন, বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দীন, বুড়িপোতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক রেজা, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের সদস্য ইয়ানুস আলী, মুজিবনগর উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান টিটো, দারিয়াপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আহসানুল হক।

সমাবেশে মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তুরের নেতা কর্মী ছাড়াও যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান চান্দু।




মুজিবনগরে স্থানীয় সাংবাদিকের সহযোগিতায় মানসিক প্রতিবন্ধী খুঁজে পেল পরিবার

মেহেরপুরের মুজিবনগরে দীর্ঘ চার বছর ধরে নিখোঁজ মানসিক প্রতিবন্ধী মিন্টু বাগচি মুজিবনগরের স্থানীয় সাংবাদিক হাসান মোস্তাফিজুর রহমান(শের খান) ও সানোয়ার হোসেন ডালিম এর সহযোগিতার মাধ্যমে ফিরে পেয়েছে তার পরিবার।

মিন্টু বাগচি গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার হাইসুর গ্রামের নারায়ণ বাগচির ছেলে।

এ সম্পর্কে স্থানীয় সাংবাদিক হাসান মুস্তাফিজুর রহমান (শের খান) জানান, গত শনিবার সহকর্মী ডালিমের মাধ্যমে জানতে পারি যে শুক্রবার রাতে মুজিবনগর থানার টহল পুলিশ একজন মানসিক প্রতিবন্ধীকে আহত অবস্থায় মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেছে।

গতকাল শনিবার সকালে আমরা হসপিটালে গিয়ে তাকে সেখানে ভর্তি অবস্থায় পাই এবং বিভিন্নভাবে তার সাথে কথা বলে তার পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা করি এবং জানতে পারি যে তার নাম মিন্টু বাগচি তার বাড়ি হাইসূর যেহেতু নামটা আমাদের অপরিচিত সেহেতু আমরা অনেক চেষ্টার পর জানতে পারি যে গ্রামটি গোপালগঞ্জ জেলায় এবং কাশিয়ানী উপজেলায়। পরে আমি আমার ভোরের কাগজের কাশিয়ানী উপজেলা প্রতিনিধি মামুন ভাই কে ফোন দিলে তিনি সেখানকার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং হাইসূর গ্রামের একটি বৃদ্ধাশ্রমের পরিচালক কে জানান। বেলা চারটার দিকে মিন্টু বাগচীর পরিবার আমার সাথে যোগাযোগ করে এবং তার চাচাতো ভাই পার্থ বাগচী শনিবার রাত দশটার সময় মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ আসেন তার কাছ থেকে আমরা জানতে পারি যে মিন্টু বাগচী ২০১৮ সাল থেকে মানসিক সমস্যায় ভুগছে তার চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তার মা তাকে ইন্ডিয়ায় নিয়ে গিয়েছিল ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সেখান থেকে সে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি সে কিভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে তা আমরা বলতে পারব না। ঈশ্বরকে অনেক ধন্যবাদ যে দীর্ঘ চার বছর পরে আমরা আমাদের ভাইকে ফেরত পেয়েছি।

পার্থ বাগচি আজ রবিবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে দীর্ঘ চার বছর পর তার ভাই মিন্টু বাগচিকে নিয়ে সে নিজ গ্রাম গোপালগঞ্জের হাইসূরের রওনা হয়।