রেডিটে থার্ড পার্টি অ্যাপের সুবিধা

রেডিটের বিভিন্ন কমিউনিটির মডারেটররা সম্প্রতি কোম্পানির কাছে কিছু খোলা চিঠি পাঠিয়েছে। মূলত বিগত কদিন কমিউনিটির সমস্যাগুলোর সুষ্ঠু সমাধানের প্রত্যাশা করছে তারা। এক্ষেত্রে থার্ড পার্টি অ্যাপ ফেরাতে তারা একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন। এমনকি কোম্পানিতে মডারেটর অ্যাডভোকেট নিয়োগের কথাও উঠেছে।

চলতি মাসে এপিআই এর মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ৮০০০ এর মত সাবরেডিট নিজেদের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল। প্রথমে ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার ঘোষণা দিলেও অধিকাংশ সাবরেটিড আরো বেশিক্ষণ বন্ধ ছিল। এপিআই মূল্যবৃদ্ধির ফলে অ্যাপোলোর মত জনপ্রিয় রেডিট থার্ড পার্টি অ্যাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।

খোলা চিঠিতে সমঝোতার ভিত্তিতে সমাধানের কথা বলা হলেও রেডিট তাদের সিদ্ধান্তে অটল৷




ভুটানের বিপক্ষে নামার আগেই সুখবর পেলো বাংলাদেশ

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আজ ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। সেমি ফাইনালে ওঠার আশা নিয়েই এই ম্যাচে মাঠে নামবে জামাল ভূঁইয়ার দল। তবে এই ম্যাচে মাঠে নামার আগেই ফিফার কাছ থেকে দারুণ এক সুখবর পেয়েছে বাংলাদেশ। সদ্য প্রকাশিত ফিফা র‍্যাংকিংয়ে উন্নতি হয়েছে জামাল তপুদের।

সদ্যি হালনাগাদ করা ফিফা র‍্যাংকিংয়ে এক ধাপ এগিয়ে বর্তমানে ১৯১ নম্বরে অবস্তান করছে লাল সবুজের জার্সিধারীরা। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপককে হারানোর পরই রেটিং পয়েন্ট বেড়ে র‍্যাংকিংয়ে উন্নতি হিয়েছে টাইগারদের। আজকের ম্যাচে ভুটানকে হারাতে পারলেও বাড়বে রেটিং পয়েন্ট, তবে তাতে র‍্যাংকিংয়ে অবশ্য আর উপরে ওঠা যাবে না।

নিজেদের শেষ ম্যাচে ফিফা র‍্যাংকিংয়ে ১৫৪ নম্বর দল মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে হারানোর পরই ৭.৫৯ রেটিং পয়েন্ট বেড়ছে বাংলাদেশের। ৮৯১.৩৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ব্রুনাইকে টপকে র‍্যাংকিংয়ে ১৯১ তম স্থানে উঠে এসেছে জামাল-তপুরা।

আজ ভুটানের বিপক্ষে জিতলে ২.৫৬ রেটিং পয়েন্ট যোগ হবে তবে তাতে র‍্যাংকিংয়ে কোনো পরিবর্তন হবে না বাংলাদেশের।

আজ রাত ৮টায় নিজেদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

সূত্র: ইত্তেফাক




সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে হরিণাকুণ্ডুতে ঈদুল আযহার নামাজ আদায়

সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে পৃথক তিনটি স্থানে পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২৮জুন) সকাল আটটায় উপজেলার পৌর এলাকায় চটকাবাড়িয়া গ্রামের জামে মসজিদে, নিত্যানন্দপুর গ্রামের মসজিদে এবং ভালকী গ্রামের মসজিদে প্রায় একই সময়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চটকাবাড়িয়া গ্রামে অনুষ্ঠিত ঈদের নামাজের ঈমাম, মাওলানা রেজাউল ইসলাম জানান, বৃষ্টির জন্য নামাজ দেরিতে পড়তে হয়েছে, তিনি আরও বলেন পবিত্র সৌদি আরবের সাথে আমাদের নামাজ আদায় করা উচিৎ, কারণ তাদের আমরা অনুসরণ করি এটা সবারই করা দরকার। চটকাবাড়িয়া মসজিদের এই জামাতে প্রায় শতাধিক মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া উপজেলার ভালকী ও নিত্যানন্দপুর গ্রামেও প্রায় শতাধিক মুসল্লীর অংশগ্রহণে ঈদুল আযহা’র নামজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নামাজের পর উপজেলার প্রায় তিনশত পরিবার পশু কোরবানি করেছেন। উল্লেখ, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উদযাপন করে আসছে।




সম্মেলনের ১৩ মাস পর মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন

সম্মেলনের ১৩ মাস পর আগামী তিন বছরের (২০২২-২০২৫ সালের) জন্য মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ৭৩ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।

গত শুক্রবার (২৩ জুন) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির অনুমোদন সাপেক্ষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত একটি পত্রে আগামী তিন বছরের জন্য মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ৭৩ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের একাধীক প্রভাবশালী নেতার মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে অনুমোদিত কমিটি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি। তবে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ইন্টারন্যাল কারণে কমিটি প্রকাশ করা যাচ্ছে না। সবাই যখন পাবেন তখন আপনারাও (সাংবাদিকরা) পাবেন।

এর আগে গত ২০২২ সালের ১৬ মে মেহেরপুর সামসুজ্জোহা পার্কে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে সভাপতি, এমএ খালেককে সাধারণ সম্পাদক, আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জিয়া উদ্দীন বিশ্বাস, আব্দুল মান্নান ও অ্যাড. মিয়াজান আলী, অ্যাড. ইয়ারুল ইসলামকে সহসভাপতি ও অ্যাড. ইব্রাহীম শাহীনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীনকে জাতীয় পরিষদ সদস্য ঘোষণা করা হয়।

দীর্ঘ ১৩ মাস অপেক্ষার পর মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদিত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত জেলার নেতাকর্মীরা।

কয়েকটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে নতুন অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যারা রয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা হলেন সভাপতি পদে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, সহ-সভাপতি পদ পেয়েছেন অ্যাড. মিয়াজান আলী, আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জিয়া উদ্দীন বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, সিরাজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম শাহ, আবুল কাশেম মাষ্টার, জহুরুল ইসলাম।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীন, অ্যাড. একেএম শফিকুল আলম, রেজাউল ইসলাম মাষ্টার, কোষাধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. পল্লব ভট্টচার্য, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শহীদুল হক, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের মুন্সি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জিয়াউর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. খোন্দকার আব্দুল মতিন, আশরাফুল ইসলাম স্বপন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শাশ্বত নিপ্পন, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক এএসএম নাজমুল হক সাগর, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এম এ এস ইমন, দফতর সম্পাদক মকলেছুর রহমান, উপ-দফতর সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া বুলু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আরা হিরা, প্রচার সম্পাদক আকবর জালাল, উপ-প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান হিরন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আসলাম শিহির, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রব। এছাড়াও সদস্য হিসেবে কমিটিতে রয়েছে গাংনী আসনের এমপি মোহাম্মদ শাহিদুজ্জামান খোকন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহা: আব্দুস সালাম, প্রফেসর আব্দুল মান্নান (সাবেক এমপি), জয়নাল আবেদীন (সাবেক এমপি), ইকবাল হোসেন বুলবুল, খ ম ইমতিয়াজ হারুন জুয়েল, মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহাফুজুর রহমান রিটন, বোরহান উদ্দীন আহম্মেদ চুন্নু, মোখলেছুর রহমান মুকুল, মোমিনুল ইসলাম, আহম্মেদ আলী, গোলাম মোস্তফা, রুৎ শোভা মন্ডল, গোলাম মোস্তফা, লুৎফুন্নেছা লতা, সৈয়দা মোনালিসা হোসেন, লাভলী ইয়াসমীন, ইদ্রিস আলী মাস্টার, আবুল কাশেম বাবলু, শাহ জামান, কামরুল হাসান চান্দু, আব্দুর রাজ্জাক, গোলাম সাকলায়েন সেপু, সাজেদুল ইসলাম। তবে বাকিদের নাম এখনও জানা সম্ভব হয়নি।

ছিটকে গেলেন হেবিওয়েট নেতারা
জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও বিভিন্ন নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে যেসব হেবিওয়েট নেতা ছিটকে গেলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মেহেরপুর-২ আসনের একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক এমপি মকবুল হোসেন, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক ও বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন, আরেক সাংগাঠনিক সম্পাদক ও আমদহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম, মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম রসুল, জেলা আওয়ামী লীগের দূর্যোগ ও ত্রান সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস পচু।
এ ব্যাপারে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বলেন, যারা পদ পদবী থেকে ছিটকে গেছেন তাদের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিভিন্ন নির্বাচনে তারা দলের বাইরে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দল তাদের মাফ করলেও আপাতত পদ পদবী থেকে বঞ্চিত করেছে। আমরা তাদের নামগুলো পাঠিয়েছিলাম। হয়তো বা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে এসব বিদ্রোহী নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে বলায় তাদের ব্যাপারে সংশোধনী এনে এই শাস্তির আওতায় রেখেছে।

নতুন মুখ যারা
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে নতুন মুখ হিসেবে যারা কমিটি স্থান পেয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক হিসেবে সাবেক ছাত্র নেতা ও কেন্দ্রীয় প্রচার প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য এমএ এস ইমন শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক এএসএম নাজমুল হক সাগর, সাংগাঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম স্বপন, সদস্য পদে, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী পত্নি সৈয়দা মোনালিসা, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান চান্দু, মিজানুর রহমান হিরন, জালাল উদ্দীন, আব্দুর রাজ্জাক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেকের ভাই আবুল খায়ের। জানা গেছে, মেহেরপুর মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যেসব নতুন মুখ যুক্ত হয়েছেন তারা সবাই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এসব নেতাকর্মী তাদের রাজনৈতিক দক্ষতায় আওয়ামী লীগের মুল দলে যায়গা করে নিয়েছেন। এসব নেতা কর্মী স্থান পাওয়ায় আগামীতে আওয়ামী লীগ মেহেরপুর জেলায় একটি শক্তিশালী সংগঠণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।

সভাপতির পরিবারের ৫জনসহ ১০ জনই আত্মীয়
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের পরিবারের ৫ জনসহ নিকট আত্মীয় ১০ জন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।
তারা হলেন-সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি, সভাপতির দুলাভাই আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস সহসভাপতি, তার বোন শামীম আরা হিরা মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, সভাপতির স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা, ভাই ইকবাল হোসেন বুলবুল, চাচা বোরহান উদ্দীন আহম্মেদ চুন্নু, চাচাত ভাই মোমিনুল ইসলাম, চাচাত ভাই আকবর জালাল ও বিয়াই (বোনের ভাসুর) সিরাজুল ইসলাম ও মামা সম্পর্কের রেজাউল হক মাস্টার বিভিন্ন পদ পেয়েছেন। দলের একটি বিশ্বস্থ সূত্র এ দাবী করেছেন কয়েকজন নেতা।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপির সাথে যোগাযোগ করার জন্য ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বলেন, ১০ জন নিকট আত্মীয় জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে নেই। প্রতিমন্ত্রীর যেসব আত্মীয় স্বজন এই কমিটিতে ঠাই পেয়েছেন, তারা সবাই সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এক্ষেত্রে নতুন করে কাউকে কোনো পদ পদবীতে রাখা হয়নি। তারা তাদের নিজের যোগ্যতা বলেই বিভিন্ন পদ-পদবীতে ঠাই পেয়েছেন।




জীবননগরে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন 

জীবননগরে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় জীবননগর খেলোয়ার কল্যাণ সমিতির আয়োজনে জীবননগর হাইস্কুল মাঠে এ খেলার উদ্বোধন করা হয়।

জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবু মোঃ আব্দুল লতিফ অমলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগার টগর।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান, জীবননগর পৌর সভার মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, জীবননগর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মুন্সী নাসির উদ্দিন , সাধারন সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

উক্ত খেলায় অংশ গ্রহন করেন ফরিদপুর চাদেও হাট মহিলা ফুটলব একাডেমী বনাম চুয়াডাঙ্গা মাহাতাব উদ্দিন মহিলা ফুটবল একাডেমী।উক্ত খেলাটির সার্বিক পরিচালনা করেন জীবননগর খেলোয়ার কল্যাণ সমিতির জীবননগর উপজেলা শাখার সভাপতি শাহ আলম শরিফুল ইসলাম ছোট বাবু।




জীবননগরে ড্রেন নির্মান কাজের উদ্বোধন 

জীবননগর পৌর শহরের মেইন বাসষ্ট্রান্ডে ৮৩লাখ১৩হাজার ৮৫৯টাকা ব্যায়ে ড্রেন নির্মান কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টার সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে জীবননগর পৌর শহরের বাসষ্ট্রান্ড মসজিদের সামনে ড্রেন নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগার টগর।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর পৌর সভার মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আবু মোঃ আব্দুল লতিফ অমল, জীবননগর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মুন্সী নাসির উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।




জীবননগরে সানমুন পার্কের শুভ উদ্বোধন

জীবননগরে সানমুন পার্কের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জীবননগর উপজেলার উথলী বাসষ্ট্রান্ডের পাশে এ পার্কের উদ্বোধন করা হয়।

সানমুন পার্কের সত্বাধীকার মোঃ রাজিব হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে সানমুন পার্কের শুভ উদ্বোধন করেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, সাংবাদিক সালাউদ্দিন কাজল, মিঠুন মাহমুদ, মুকুল, এ আর ডাবলু, তুহিন ,সানমুন পার্কের সত্বাধীকার মোঃ জসিম উদ্দিন, মাহাবুব হোসেন প্রমুখ।




গাংনীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশু আহত

গাংনী উপজেলার সহড়াবাড়িয়া গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তামিম হোসেন (১১) নামের এক শিশু মারাত্বক আহত হয়েছে।

তামিম হোসেন সহড়াবাড়িয়া গ্রামের মাহফুজ রহমান ওরফে লালনের ছেলে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৮ টার দিকে নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা ঘটে।

আহত তামিমকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা বর্তমানে আশংকামুক্ত।

তামিমের বাবা লালন জানান, ঘরের গ্রীলের সাথে যাওয়া বিদ্যুতের তার লিক থাকায় গ্রীল বিদ্যুৎ হয়ে ছিল। গ্রীলে হাত দেওয়ার সাথে সাথে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হয়। সাথে সাথে তাকে উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে নিয়ে আসি।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে্্রর জরুরী বিভাগের চিকিৎসক শরীফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে শিশুটি আশংকামুক্ত। তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।




মেহেরপুরে ভৈরব নদে ডুবে মাদরাসা ছাত্র নিহত

ভৈরব নদে গোসল করতে গিয়ে আবু সাঈদ (১২) নামে এক মাদরাসা ছাত্র নিহত হয়েছে।

নিহত আবু সাঈদ মেহেরপুর শহরের বেড়পাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় দারুল কোরআন হাফেজিয়া মাদরাসার হেফজো বিভাগের ছাত্র। (৪ পারার হাফেজ)।

আজ মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকালে এই ঘটনা ঘটে।

পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদরাসা থেকে বাড়ি এসে সাঈদ গোসল করতে ভৈরব নদে যায়। তার পর আর ফিরে আসেনি। ১ ঘন্টা পার হয়ে গেলে বাড়ির লোকজন তাকে খুজতে গিয়ে ভাসতে দেখে। পরে মরদেহ উদ্ধার করেন।




কোটচাঁদপুরে মাইকিং করে বিদ্যুৎ বিল আদায়

মটর সাইকেলের হাতলে ঝোলানো বিদ্যুৎ বিল আদায়ের সরঞ্জাম। পিছনে হ্যান্ড মাইক নিয়ে বসা স্থানীয় এক সহযোগী। গ্রামের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বিদ্যুৎ বিল আদায় লক্ষ্যে মাইকিং করে চলেছেন তারা। এ দৃশ্য দেখা যায় কোটচাঁদপুরের বিভিন্ন গ্রামে। শতভাগ আদায়ের লক্ষ্যে এ ব্যবস্থা নেয়া বললেন সাব- জোন অফিসের এজিএমকম শরিফুল ইসলাম।

জানা যায়,কোটচাঁদপুর সাব- জোন অফিসের আওতায় ৩২ হাজার ৯ শ ৯৮ জন গ্রাহক রয়েছে। প্রতি মাসে অফিসটি বিক্রি করেন,১ কোটি ৫০ লাখ টাকার বিদ্যুৎ। জুন মাসে বকেয়া বিল ছিল ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর বকেয়া বিল তুলতে ও লক্ষ্য মাত্রা পূরন করতে এ পথে হাটছেন অফিসটি।

জুন মাস পড়লে লক্ষ্য মাত্রা বেধে দেয়া হয় বকেয়া বিল আদায়ের। এরপর চলে বকেয়া বিল আদায়ের পরিকল্পনা। সে অনুযায়ী এ কাজ করা।

কোটচাঁদপুর সাব জোন অফিসের লাইন টেকনিশিয়ান খাইরুল আলম বলেন,বিদ্যুৎ বিল আদায়ের জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এতে করে গ্রাহকরা সজাগ হয়ে যান। তারা বিল দিতে চলে আসেন। এ পথে বিল আদায়ের পরিমান ও ভাল হচ্ছে।

তিনি বলেন, সকালে এসে এ গ্রামের একজন হ্যান্ড মাইক হাতে দিয়ে সারা গ্রাম মাইকিং করা হয়েছে। বলা হয়েছে বিল নেয়ার স্থানের নাম। একটু পর থেকে বিল আদায় শুরু করা হবে। এদিকে বাড়িতে বসে বিল দিতে পারায় খুশি গ্রাহকরাও।

ইকড়া গ্রামের গ্রাহক জিয়াউল ইসলাম ও শাহিন আলম বলেন,ব্যাংকে বিল দিতে গেলে সময় অপচয়।এরপর বাড়তি খরচ হয়, লাইনে দাড়াতে হয়।

বাড়ি থেকে বিল দিতে পারায় এ ধরনের ঝামেলা নাই। আবার বাড়তি কোন খরচও হয় না। এমন ব্যবস্থা প্রতি মাসে হলে ভাল হত। তাহলে বিল বকেয়া পড়তো না। গ্রাহকরা সারা বছর ব্যবস্থা চালু করার দাবী ও করেন সংশ্লিষ্টদের নিকট।

ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় কোটচাঁদপুর সাব জোনাল অফিসের এজিএমকম শরিফুল ইসলাম বলেন,জুন মাস পড়লে একটা লক্ষ্য মাত্রা দেয়া হয়। আর সেটি পূরন করতে নেয়া হয় এ ব্যবস্থা। জুন মাস পড়ার উপজেলার সর্বত্র মাইকিং করা হয়।

এর যেদিন যে এলাকায় বিল আদায়ে যান,তারা সেদিন সেই এলাকায় হান্ড মাইকিং নিয়ে গিয়ে বলা হয় বিল দিয়ে যাওয়ার কথা।

এতে করে গ্রাহকরা সজাগ হন বিল দেয়ার ব্যাপারে। আর এভাবে বিল আদায়ে শতভাগ আদায় করাও সম্ভব হয়। অন্যদিকে গ্রাহকদের বিল দেয়ার বাড়তি চাপ থাকে না জুন মাসে। কারন অন্য সব মাসে সময় অপচয় করে ব্যাংকে যেতে হত,এ মাসে যাওয়া লাগে না।

তিনি বলেন, এ অফিসে যোগদানের পর থেকে আমি এ ব্যবস্থায় বিল আদায় করে থাকি জুন মাস পড়লে।এতে বিল শতভাগ আদায় ও হয়। বিল আদায়ে অন্য সব অফিসের তুলনায় আমি এগিয়ে রয়েছি।এ বছরও তাঁর ব্যতয় ঘটবে না বলে আশা করছি।