তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টিত কালীগঞ্জের পূজা মন্ডপগুলি

কালীগঞ্জে পূজা মন্ডপের নিরাপত্তায় থানা পুলিশ

শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান সারদীয় দূর্গোৎসব। কালীগঞ্জ উপজেলায় মোট ৫৩টি মন্ডপে সার্বজনীন দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে কালীগঞ্জের পূজামন্ডপগুলি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে ২৯টি স্থায়ী ও ২৪টি অস্থায়ী মন্ডপে এ বছর সার্বজনীন দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ১০টি, গুরুত্বপূর্ণ ১১টি ও সাধারণ ৩২টি পূজা মন্ডপ রয়েছে। পূজা মন্ডপ, পূজারী ও আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ৩৩২ জন আনসার, প্রতিটি বিটে একটি করে মোবাইল টিম ও দুইজন ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে ১টি করে ষ্ট্রাইকিং টিম সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করছে।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কালীবাড়ী মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবু নিরঞ্জন চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘দূর্গাপূজা উপলক্ষে আমাদের যাবতীয় কার্যক্রম ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছি। গতকাল শুক্রবার রাত থেকে ষষ্ঠি পূজার মাধ্যমে দূর্গোৎসব আরম্ভ হয়েছে। পূজা উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করা হচ্ছে।’

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ফায়েজুর রহমান বলেন, ‘কালীগঞ্জ থানা এলাকার ৫৩টি পূজামন্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বিরা পূজা অর্চনা করবেন। প্রতিটি মন্ডপই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যেই পূজা মন্ডপ, পূজারী ও আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তাদানে তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি পূজা মন্ডপ সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় একটি কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে।




দর্শনায় গাঁজাসহ গ্রেফতার-২

দর্শনার হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশ মাদক বিরােধী অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ তুহিন হােসেন ও রাজু আহম্মেদকে গ্রেফতার করেছে।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে দর্শনা-হিজলগাড়ী সড়কের জােবালনুর মসজিদের সামনে হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশ মাদক বিরােধী অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ একটি মাটরসাইকেলের গতিরােধ করে আরহীদের দেহতল্লাশী করে ৫শ গ্রাম গাঁজা পেয়ে,নেহালপুর ইউনিয়নের কষ্ণপুর স্কুল পাড়ার শফিকুল ইসলামের ছেলে তুহিন হােসেন (৩০) ও কােটালী গ্রামের আব্দুল মমিনের ছেলে রাজু আহম্মদকে (৩৫) গ্রেফতার করে।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা জানান,  গােপন সংবাদের ভিত্তীতে  হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই শেখ রকিবুল ইসলাম এবং সঙ্গীয় ফাের্স নিয়ে শুক্রবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে  তুহিন ও রাজুকে ৫শ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত মােটরসাইকলটি জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের পূর্বক আদালতে সােপর্দ করা হয়েছে।



চুয়াডাঙ্গায় বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা জেলা পর্যায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭) এর ফাইনাল খেলা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রিয়া সংস্থার আয়োজনে এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
 চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে ফাইনাল খেলা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।  এ সময় তিনি বলেন,,জয়-পরাজয় মিলেই খেলাধুলা। এটা মেনে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা তৈরি করাটাই অত্যন্ত জরুরি। খেলাধুলা শারীরিক গঠন, মানসিক বিকাশ ও নেতৃত্ব গড়ে তুলতে সহায়তা করে। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা একান্তভাবে জরুরি। তিনি বিজয়ী, বিজিত ও খেলায় অংশগ্রহণকারী- সবাইকে অভিনন্দন জানান।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আগামী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট নাগরিকের পাশাপাশি স্মার্ট খেলোয়াড় দরকার।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ছাত্র ছাত্রীদের খেলার জন্য আলাদা কিছু ভাবছে। তাই বেশি বেশি খেলার অনুশীলনী করতে হবে। যারা খেলাধুলা করেন, তাঁদের মন ভালো থাকে, তাঁরা শান্তিতে থাকেন। মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা থেকে দূরে থাকেন। সুন্দর সমাজ গঠন করতে বেশি করে খেলাধুলার আয়োজন করার আহ্বান জানান তিনি।
ফাইনাল খেলা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র  জাহাঙ্গীর আলম মালিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অর্থ ও প্রশাসন) রিয়াজুল ইসলাম , চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন সভাপতি এখলাছ উদ্দিন সুজন সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রিয়া সংস্থার কর্মকর্তা বৃন্দ।



ফিলিস্তিনে গনহত্যার প্রতিবাদে গাংনীতে মানববন্ধন

ফিলিস্তিনি মুসলিমদের  উপর বর্বরোচিত হামলা ও গনহত্যার প্রতিবাদে মেহেরপুরের গাংনীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড চত্বর এলাকায় শহরের বিভিন্ন মসজিদের মুসুল্লী ও ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের অংশগ্রহনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গাংনী উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি ও গাংনী দারুস সালাম জামে মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা রুহুল আমিন এর সভাপতিত্বে এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর-০২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন,গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহিবুল ইসলাম,গাংনী দারুস সুন্নাত জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মহাসেন হাজী,মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছাত্রনেতা শাহিদুজ্জামান শিপু ,পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সারা বিশ্বের মুসলমানদের উপর একের পর এক হামলা করা হচ্ছে। মুসলিম সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় শিশু কিশোর থেকে শুরু করে নানা বয়সী মুসলিম জনতা অংশগ্রহন করে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও ইসরাইলি পণ্য বর্জনের ঘোষণা দেন বক্তারা। শেষে মুসলিম উম্মার জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।



আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুর মাঠপাড়ায় দুর্গাপূজার উদ্বোধন

আলমডাঙ্গা গোবিন্দপুর মাঠপাড়ায় সার্বজনীন কালিমন্দির প্রাঙ্গণে দুর্গাপূজার উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক হারদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে দুর্গাপূজার উদ্বোধন করেন।
এসময় তিনি বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। ধর্মের অজুহাতে অনেকে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করে। তবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সকল ধর্মকে শ্রদ্ধার সাথে দেখেছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন , এম সবেদ আলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ঠান্ডু রহমান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রকাশ কুমার ব্যাধ, সাধারণ সম্পাদক আতিক কুমার ব্যাধ। এছাড়া ব্যাধ সম্প্রদায়ের নেতৃত্বের প্রধান বিধান কুমার ব্যাধ, অচিন্ত কুমার ব্যাধ, লালু কুমার ব্যাধ, শংকর কুমার ব্যাধ, সাগর, সঞ্জিত, অজয়, লিটন, প্রশান, কাঞ্জন, মিঠুন, সওদাগর, বিক্রম, রুবেল, আশিক, সাজিত, অজিত, রাহুল, মিঠুন, হৃদয়, নিশান প্রমূখ।



জয়রামপুরে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের গণসংযোগ

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম গণসংযোগ কালে গাছের চারা এবং কবুতরের বাচ্চা বিতরণ করেছেন।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর বাড়ুইপাড়ায় জাহাঙ্গীর আলমের গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের ভোটারদের কাছে দোয়া চান।
অনুষ্ঠানে আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। এসময় তিনি বলেন আমি যদি এমপি হতে পারি তাহলে আপনাদের সেবক হিসেবে মুরুব্বিদের দিক নির্দেশনায় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এলাকাবাসীর ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে সর্বদাই জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাবো। তাই আপনাদের দোয়া ও সমর্থন কমনা করছি। আমি নির্বাচনী এলাকার অসহায় ও সাধারণ মানুষের পাশে সব সময় আছি এবং থাকবো। সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জয়নাল আবেদীন, মোংলা মন্ডল, সামাদ আলী, তৈয়ব আলী, সেলিম উদ্দীন সহ জয়রামপুর বাড়ুইপাড়া গ্রামবাসী।



ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে জীবননগরে বিক্ষোভ সমাবেশ

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইজরায়েলের হামলার প্রতিবাদে জীবননগরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর জীবননগর শহরের সকল মসজিদের মুসল্লীরা একত্রিত হয়ে জীবননগর বাসস্ট্যান্ডে এই প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জীবননগর বাসস্ট্যান্ড মসজিদের খতিব মাওলানা আখতারুজ্জামান, এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন জীবননগর পৌর কেন্দ্রীয় বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুজার গিফারী। এ সময় বক্তারা বলেন অবিলম্বে ফিলিস্তিনিদের উপর ইজরায়েলের বর্বরোচিত হামলা বন্ধ করতে হবে। এসময় অসহায় ফিলিস্তিনিদের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে দোয়া করে প্রতিবাদ সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।



পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

মেহেরপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও গাংনী উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোকচন্দ্র বিশ্বাসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে গাংনী উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বী মন্দির কমিটির নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার বেলা ১১ টায় গাংনী বাসস্ট্যান্ডে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তারা।

সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কনফারেন্সে মেহেরপুর জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজারীদের কটাক্ষ করে মিথ্যা বক্তব্য প্রদান এবং জেলা প্রশাসক কর্তৃক বরাদ্দকৃত অনুদানের বন্টনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও গাংনী উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোকচন্দ্র বিশ্বাসের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ ও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান বক্তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে গাংনী উপজেলার ২২টি মন্দিরের বরাদ্দকৃত অনুদানের মালামাল অশোক চন্দ্র বিশ্বাস তুলে এনে উপজেলার ৯টি মন্দিরে না দিয়ে চরম অন্যায় করেছে।

অনুদান না পাওয়া ৯টি মন্দির হলো ষোলটাকা দাসপাড়া কালি মন্দির, ষোলটাকা কর্মকার পাড়া দুর্গা মন্দির, আমতৈল দাসপাড়া কালী মন্দির, মটমুড়া দুর্গা মন্দির, বেতবাড়িয়া দাসপাড়া কালী মন্দির, চৌগাছা দাসপাড়া কালি মন্দির, গাংনী দাসপাড়া কেন্দ্রীয় রাম মন্দির, গাংনী কেন্দ্রীয় মন্দির, বাওট দাসপাড়া কালী মন্দির। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা এসময় অশোকচন্দ্র বিশ্বাসের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি করেন।

গাংনী কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতি শ্রী সুশান্ত কুমার পাত্রের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা শাহিদুজ্জামান শিপু। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাহার বাটি দাসপাড়া কালী মন্দিরের সভাপতি গণেশ দাস, মটমুড়া কালী মন্দিরের সভাপতি সুনীল চন্দ্র হালদার, কেন্দ্রীয় রাম মন্দিরের সভাপতি ধীরেন দাস, রায়পুর দাসপাড়া কালী মন্দিরের সভাপতি সুশান্ত চন্দ্র গোসাই প্রমুখ।

এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা পূজা উদযাপন আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব এবং গাংনী উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অশোক চন্দ্র বিশ্বাস মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, ‘ মন্দিরগুলোতে জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে সরাসরি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরপর দলিত শ্রেণীর আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট ২০ টি মন্দিরে জেলা প্রশাসকের দেওয়া অনুদান তালিকা অনুযায়ী মন্দির কর্তৃপক্ষ নিজেরাই উত্তোলন করেছেন।’

অশোক চন্দ্র বিশ্বাস আরো বলেন, ‘সুশান্ত কুমার পাত্র ও ধীরেন দাস সহ কয়েকজন জোটবদ্ধ হয়ে বিলুপ্ত হওয়া আগের কমিটির নেতাদের ইন্ধনে আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অপপ্রচারকারীরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের কৃতকর্মের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে, আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।’




মৃদুলের বিরুদ্ধে আদালতের সমন

দেবাশীষ বাগচীর এনআই এক্টে মামলা

মৃদুলের বিরুদ্ধে আদালতের সমন

মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ঠিকাদার শহীদ শরফরাজ হোসেন মৃদুলের বিরুদ্ধে এক কোটি ৮০ লাখ টাকার চেক ডিজঅনারের মামলা করেছেন ব্যবসায়ীক পার্টনার দেবাশীষ বাগচি।

গত বৃহস্পতিবার দেবাশীষ বাগচী মেহেরপুুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর আমলি আদালত মেহেরপুরে উকিল
নোটিশের সূত্র ধরে নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এক্টে মামলার আবেদন করলে আদালতের বিচারক মোঃ তরিকুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে সমন জারীর আদেশ দেন। যার মামলা নম্বর-৯০৭/২৩ (মেহেরপুর)।

ছবিতে বামে মৃদুল ও ডানে বাগচী

মামলার এজহারে দেবাশীষ বলেছেন, পারিবারিক সূত্রে বহু বছর যাবৎ ঠিকাদারি ব্যবসা করে আসছি। সে ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুলের সঙ্গে যৌথভাবে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করি। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গণপূর্ত, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা  প্রকৌশলী, এলজিইডিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টা নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করেছি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৫ থেকে ২৭ কোটি টাকা। ২০২১ সালের প্রথম দিকে যৌথ ঠিকাদারি ব্যবসা পরিসমাপ্তি ঘটালে তার সঙ্গে আমার মূলধন ও লভ্যাংশসহ আনুমানিক দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি পাওনা হয়। প্রাপ্য টাকা না পেয়ে আমি, আমার ও তার পরিবারের লোকজনসহ জেলা যুবলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে অবহিত করি। এক সময় সবার হস্তক্ষেপে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আমার সঙ্গে হিসাব করতে রাজি হয়। আমি হিসাবে বসতে বললে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করে একপর্যায়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললে তখন সে মৌখিকভাবে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মীমাংসা করে এবং আমাকে চলতি বছরের জুলাই মাসের ১৬ তারিখে ঢাকায় যেতে বলে। ঢাকার আদাবরে তার বাসার সামনে গেলে রিংরোড সাহাবুদ্দিন প্লাজার ওসিস কফিশপে বসে আমাকে ২৪ জুলাই তারিখ দিয়ে রূপালি ব্যাংক মেহেরপুর শাখার এক কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করে।

আমি চেকে দেওয়া তারিখ অনুযায়ী ২৪ জুলাই টাকা উত্তোলনের জন্য অগ্রণী ব্যাংকে চেক জমা করি। এক সপ্তাহ পর ব্যাংক থেকে চেক ডিজঅনার দেখিয়ে সার্টিফিকেট প্রদান করে। যেখানে লেখা আছে, গত ৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। ১ আগস্ট ২০২৩ তারিখে ব্যাংক চেক ডিজাঅনার সার্টিফিকেট দেয়। আমি বিষয়টি আসামীকে জানালে সে আমাকে আজকাল করে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াতে থাকে। অতঃপর আমি বিজ্ঞ এ্যাডভোকেট সাহেবের মাধ্যমে গত ৩০ আগস্ট আসামী বরাবর এন আই এক্ট ১৮৮১ এর বিধান মতে ডাকযোগে নোটিশ প্রদান করিয়া চেকে উল্লেখিত ১,৮০,০০,০০০/- (এক কোটি আশি লক্ষ) টাকা পরিশোধ করিয় চেকটি ফেরত অথবা বাতিল করার অনুরোধ করি।

ইতোপূর্বে গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় মেহেরপুরের সোডাপ মিলনায়তনে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহীদ
সরফরাজ হোসেন মৃদুলের বিরুদ্ধে করা সংবাদ সম্মেলনে পাওনা টাকা ও ন্যায়বিচার না পেলে পরিবারসহ আত্মহত্যার হুমকি
দিয়েছিলেন মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য দেবাশীষ কুমার বাগচি মনু। অপরদিকে, চেক ডিজঅনার হওয়া‌তে উ‌কিল নো‌টিশ পাঠা‌নো দেবাশীষ কুমার বাগ‌চির বিরু‌দ্ধে উ‌ল্টো চেক চু‌রির মামলা ক‌রে‌ছিলেন শহীদ স‌রফরাজ হো‌সেন মৃদুল।




গাংনী পৌর মেয়রসহ ৭ জনের বিরদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা

ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইনের প্রথম মামলায় মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার মেয়র আহমেদ আলী, গাংনী কৃষি ব্যাংক শাখা সাবেক ব্যবস্থাপক শামসুল আলম, রুপালি ব্যাংক ব্যবস্থাপক আমিরুল ইসলামসহ ৭ জনের বিরদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। পরোয়ানাভুক্ত অন্যরা হলেন- গাংনীর ফতাইপুরের জিয়ারুল ইসলাম, জাকির হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক, ভোমরদহ গ্রামের আব্দুর রহমান।

মঙ্গলবার মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো: তরিকুল ইসলাম আদেশ জারী করেন।

সদ্য পাশ হওয়া ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ আইন ২০২৩ এর সংশ্লিষ্ঠ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন রফিকুল ইসলাম। দেশের বহুল আলোচিত ও কাঙ্খিত এ আইনে মেহেরপুর জেলার প্রথম মামলা এটি।

বাড়িসহ জমি জবর দখলের অভিযোগে গাংনীর ফতাইপুরের জিয়ারুল ইসলাম, জাকির হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক,ভোমরদহ গ্রামের আব্দুর রহমান, এ কাজে সহায়তা করার জন্য কৃষি ব্যাংক সাবেক ব্যবস্থাপক শামসুল আলম, রুপালী ব্যাংক ব্যবস্থাপক আমিরুল ইসলাম এবং একই সাথে ওই জমির হোল্ডিং বিধি সম্মতভাবে বাতিল না করায় গাংনী পৌর মেয়রের নামেও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জিয়ারুল ইসলামের ভাই আব্দুর রাজ্জাক ও জাকির হোসেন এবং আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী আনজুমানারা খাতুন কৃষি ব্যাংক গাংনী শাখা থেকে ২০১০ সালে ৫ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এর বিনিময়ে ফতাইপুর গ্রামের একটি জমি মটগেজ দেন তারা। পরবর্তীতে ২০১১ সালে তারা একই জমি ভোমরদহ গ্রামের আব্দুর রহমানের কাছে বিক্রি করে রেজিস্ট্রি সম্পাদন করে দেন। ২০১৩ সালে আব্দুর রহমান ওই জমি আব্দুর রশিদ নামের একজনের কাছে বিক্রি করেন।

২০২১ সালে আব্দুর রশিদ ওই জমি বাড়িসহ বিক্রি করেন সেই আব্দুর রহমানের কাছেই। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বাড়িসহ জমি বিক্রি করে দেন চৌগাছা গ্রামের রফিকুল ইসলামের কাছে। রফিকুল ইসলাম বাড়ি দখল নেন এবং পৌরসভা থেকে হোল্ডিংও খোলা হয়, খারিজ, খাজনা পরিশোধ করে ও নিজ নামেই বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপন করেন।

এদিকে ঋণ খেলাপির দায়ে কৃষি ব্যাংক তড়ি ঘড়ি করে আব্দুর রাজ্জাকের জমি গোপনে নিলাম করে। কৃষি ব্যাংক কাগজপত্রের নিয়মাবলী গোপনে জোড়াতালি দিয়ে নিলাম সম্পন্ন করে দেন মটগেজকারী আব্দুর রাজ্জাকের আপন ছোট ভাই জিয়ারুল ইসলামের কাছে। কৃষি ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপক শামসুল আলম একটি ভূয়া দলিলের মাধ্যমে অবৈধভাবে নিলাম করেন।

সম্প্রতি রফিকুল ইসলাম ওই জমি ও বাড়ি মটগেজ দিয়ে রুপালী ব্যাংক গাংনী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। কাগজপত্রের বৈধতা আইন অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে জমির মালিকানা নিশ্চিত হয়ে ঋণ দেয় রুপালি ব্যাংক। যা নিশ্চিত করেছেন রুপালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে রুপালী ব্যাংক ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম কৃষি ব্যাংকের কাছ থেকে নিলামে নেওয়া জিয়ারুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে জমি দখলের কাজে সহায়তা করেন।

এদিকে একই জমি রফিকুল ইসলাম ক্রয় করেন আব্দুর রহমানের কাছ থেকে আর জিয়ারুল ইসলাম কেনেন কৃষি ব্যাংকের নিলামে। জিয়ারুল ইসলাম নিলালের মাধ্যমে জমির মালিক দাবি করে জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন ও রফিকুল ইসলামের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। অপরদিকে ওই জমির হোল্ডিং বাতিল করে পৌরসভা।

প্রতিকার পেতে রফিকুল ইসলাম ৭ জনকে আসামী করে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে চলতি মাসে মামলাটি দায়ের করেন।

যার নং- সিআর ৬৮০/২৩। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সাত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, বিধি সম্মতভাবেই হোল্ডিং বাতিল করা হয়েছে। পৌরসভার আইন বিধি মোতাবেক প্রত্যেকটি হোল্ডিং ব্যবস্থাপনা করা হয়। বিষয়টি মেয়রের ব্যক্তিগত নয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করে বিজ্ঞ আদালতে বিষয়টির সুরাহা চাওয়া হবে।