দামুড়হুদায় হাউলীতে ভিজিএফের চাউল বিতরণ

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নে দরিদ্র অসহায় ও দূস্থ পরিবারের মাঝে সুন্দর ও সুষ্ঠ পরিবেশে ভিজিএফ এর চাউল বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল রোববার সকাল ৯ টার দিকে পরিষদ চত্বরে চাউল বিতরণ করা হয়।

হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন নিজে উপস্থিত থেকে চাউল বিতরনের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খোকন, ট্যাগ অফিসার আতিকুর রহমান, ইউপি সচিব নাঈম হোসেন, ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম, শাহজামাল, আব্দুল হান্নান পটু, সেলিম উদ্দিনসহ সকল সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ২ হাজার ৬শত ১৬ জন অসহায় ও দূস্থ পরিবারের মাঝে মাথাপিছু ১০কেজি করে চাউল বিতরন করা হয়।




দামুড়হুদায় গণউপদ্রবের অপরাধে ঔষধ ব্যবসায়ীকে ৫ দিনের কারাদণ্ড

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গণউপদ্রবের অপরাধে অভিযুক্ত এক ঔষধ ব্যবসায়ীকে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস।

গতকাল রবিবার দুপুর ৩ টার দিকে উপজেলার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সামনে এঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তি দামুড়হুদা উপজেলার সদরে চিৎলা গ্রামের মোঃ হারুন সরদারের ছেলে মোঃ রিপন মাহমুদ (৩১)। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মা মেডিক্যালের স্বত্বাধিকারী ঔষধ ব্যবসায়ী।

জানাগেছে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রিপনের নিয়মিত গণউপদ্রবের কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে অভিযোগ করেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সজল কুমার দাসের কাছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আসেন তিনি। অভিযোগ যাচাইয়ের পর সত্যতা মিললে অভিযুক্ত রিপনকে দণ্ডবিধির ১৮৬০ এর ২৯১ (গণউপদ্রব) ধারা অনুযায়ী ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

এতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থাকা ঔষধ ব্যবসায়ীরা অবরোধ করলে দ্রুততম সময়ে দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম ও দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী আসেন। একপর্যায়ে ঔষধ ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন ও স্বাভাবিকভাবে সবাইকে দোকানপাট খুলে ব্যবসা করার আহ্বান জানান।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, আসািমকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতাল ও আশেপাশের এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।




দামুড়হুদায় পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা সুষ্ঠুভাবে উৎযাপন উপলক্ষে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রবিবার বিকাল ৩ টার সময় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা’র প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রস্তুতিমূলক সভায় যথাযথ মর্যাদায় উপজেলায় পবিত্র ঈদুল আযহা উৎযাপন উপলক্ষে ঈদের জামায়াতে সময়সূচি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, যত্রতত্র গরু জবাই যাতে না করা হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার বিষয়ে এবং ঈদগাহে কোন ইমাম ঈদের নামাজ পড়াবে তা আগে থেকেই নির্ধারণ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ঈমান হাফেজ মাও মো: মামুনুর রশীদ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমামগণ এবং বিভিন্ন ঈদগাহ কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ।




হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের ৩৯ কোটি ২৫ লাখ ২৭ হাজার ৮১২ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেটে রাজস্ব খাত থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৭৬ হাজার ২’শ ৪০ টাকা। উন্নয়ন খাত থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৭১ হাজার ৫’শ৭২ টাকা। গত অর্থ বছরের চেয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা বেশি আয় ও ব্যয় ধরা হয়েছে এই বাজেটে।

গতকাল রবিবার সকালে পৌরসভা কার্যালয়ে উন্মুক্ত বাজেট আলোচনা শেষে এই বাজেট ঘোষণা করেন পৌরসভার মেয়র ফারুক হোসেন। বজেট আলোচনা সভায় প্রধান আতিথি হিসেবে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহা বক্তব্য দেন।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, প্যানেল মেয়র সিদ্দিকুর রহমান, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) রাশেদ আলী খান, পৌর আ‘লীগের সভাপতি খাইরুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রাফেদুল হক সুমন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুসাইন প্রমূখ।

পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর এটিই সবচেয়ে বড় অংকের বাজেট হওয়ায় বক্তারা এর সফল বাস্তবায়নের ওপর আলোকপাত করে বাস্তবায়নের জন্য মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহব্বান জানান।




চুয়াডাঙ্গা সদরের পদ্মবিলা ইউনিয়নে ভিজিএফ চাউল বিতরণ

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নে পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে গরীব আসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে ভিজিএফ চাউল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চত্বরে সকাল আটটার সময় পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম মন্ডল এর সভাপতিত্বে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলম মন্ডল বলেন, পদ্মবিলা ইউনিয়নের মোট ৯টি ওয়ার্ডে জনপ্রতি ১০কেজি চাউল গরীব আসহায় ও দুস্থ মানুষের জন্য মোট ১৬৭৮ জনের মাঝে এই চাউল বিতরণ করা হচ্ছে।

ভিজিএফ চাউল বিতরণ কার্যক্রম আরও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের সভাপতি খাঁজা শাহাবুদ্দিন, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোশারফ হোসেন, ইউপি সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মফিজউদ্দীন, রবিউল ইসলাম,জালাল উদ্দিন, সুৃমন আলী,আজিবার মালিতা,ইনদাদুল হক,হুমায়ুন কবির,আব্দুর রাজ্জাক, ফেরদৌস আরা, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ১,২,৩ নং ওয়ার্ড শরিফা খাতুন, ৪,৫,৬ ইউপি সদস্য হাসিনা খাতুন, ৭,৮,৯ ইউপি সদস্য আঞ্জুমান আরা লায়েলা সহ বায়েজিদ জোয়ার্দ্দার ও শান্তি হোসেন উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে ৫২ ছাত্রী পেলো নতুন বাইসাইকেল

মেহেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫২ জন ছাত্রীকে বাইসাইকেল বিতরণ করেছে সদর উপজেলা পরিষদ।

গতকাল রবিবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়।২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিবি) এর অর্থায়নে মেহেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়।

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাইসাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভাইসচেয়ারম্যান আবুল হাসেম ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান লতিফন নেছা লতাসহ বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে ঈদুল আযহা উদযাপনে প্রস্তুতি সভা

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন এবং আইন শৃংখলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল কাদির মিয়া, অতি: পুলিশ সুপার কামরুল আহসান, গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ খালেক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম ও মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া সিদ্দিকা সেতু মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস অফিসারবৃন্দ, মেহেরপুর পৌর সভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, গাংনী পৌর সভার মেয়র আহম্মেদ আলী, ও সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় কুরবানির পশু চামড়া সংরক্ষণ, জালনোট প্রতিরোধ, আনলাইন পশু কেনাবেচার ব্যবস্থা, পশুবাহী ট্রাকের চাঁদাবাজিমুক্ত নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিতকরণ, সড়ক/মহাসড়কের পাশে পশুর হাট নিয়ন্ত্রণ, পশুরহাটে অস্থায়ী ভেটেরিনারি মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন, সীমান্ত দিয়ে পশুর অবৈধ অনুপ্রবেশ জিরো রাখা, শহরের পরিচ্ছন্নতা, ঈদগাহ ময়দান প্রস্তুতকরণ, প্রতিটি ওয়ার্ডে পৌরসভার উদ্যোগে কুরবানির জন্য জায়গা প্রস্তুত করে দেয়া, মোটর সাইকেলের বেপরোয়া চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ আইন শৃংখলা বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় ঈদগাহ জামাতসমূহের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়।




গাংনীতে অপহরণ ও চুরির মামলার ২ আসামি গ্রেফতার

গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চুরির মামলার ১ আসামি ও অপহরণ মামলার ১ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের মৃত দুলাল হোসেনের ছেলে মো: রানা (২০) ও বাওট গ্রামের জোয়াদ আলীর ছেলে সাগর (২১)।

গতকাল রবিবার দুপুরের দিকে গাংনী থানা ও ভবানীপুর পুলিশ ফাঁড়ি পৃথক অভিযান চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেফতার করেন।

গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিন জানান, গাংনী থানার অপহরণ মামলা নং ২৩(৬)২৩ নং মামলার এজাহার নামীয় আসামি সাগরকে সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তি¦তে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের আইসি উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে কাজিপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই গ্রামের মৃত দুলাল হোসেনের ছেলে মো: রানাকে গ্রেফতার করা হয়। তার নামে গাংনী থানার মামলা নং ১৯(৫)২৩।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত দুজনকে গতকাল রবিবার বিকালের দিকে আদালতে সোপদর্ করা হয়েছে।




মেহেরপুর ট্রেজারি শাখা পরিদর্শন করলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট

মেহেরপুর ট্রেজারি শাখা পরিদর্শন করলেন মেহেরপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।

আজ রবিবার সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম ট্রেজারি শাখা পরিদর্শন করেন।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম ট্রেজারি শাখায় এসে পৌঁছালে ট্রেজারি শাখায় কর্মরত পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম সালাম গ্রহণ করেন।

পরিদর্শন কালে সাথে ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাস, নিউজা-উল জান্নাহ, আব্দুল কাদির মিয়া, গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস, আরডিসি মোছা: রনী খাতুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল বাকী, এনডিসি গোলাম রাব্বানী সোহেল প্রমুখ।




গাংনীতে কোরবানি পশু হিসেবে ছাগলের চাহিদা দ্বিগুণ

মাত্র কয়েক দিন বাদেই আসছে ঈদুল আজহা।ঈদকে ঘিরে গাংনীতে কোরবানির পশু কেনাবেচায় ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা। পশুর হাটগুলোতে ছাগল, গরু, ভেড়া, মহিষ নিয়ে আসছেন বেপারীরা কেনার জন্য ভীড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। কোরবানিযোগ্য পশু হিসেবে ছাগল ও গরুর চাহিদা সবসময় বেশি। তবে গাংনীর বাজারে কোরবানির পশু হিসেবে গরুর চেয়ে দ্বিগুণ চাহিদা রয়েছে ছাগলের। পশু হাটগুলোতে ছাগলের আমদানি এবং কেনাবেচাও বেশি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবমতে কোরবানিযোগ্য পশু হিসেবে গাংনী উপজেলায় ৯৩ হাজার ৯১৪টি ছাগল রয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকার কোরবানি পশুর চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নিরাপদ ও প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে পশু উৎপাদন করা হয় গাংনীতে। তাই এ উপজেলার ছাগল ও গরুর প্রচুর চাহিদা দেশের বাজারে রয়েছে। স্থানীয় হাটগুলোতে কোরবানিযোগ্য একেকটি ছাগল বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। দাম নাগালের মধ্যে হওয়ায় ছাগলের দিকেই ঝুঁকছেন ক্রেতারা। এ অঞ্চলের ছাগল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

সাধারণত যারা কম টাকার মধ্যে কোরবানির পশু কিনতে চান এবং ছোট পরিবারে কোরবানি দেন তাদের পছন্দ তালিকায় শীর্ষে থাকে ছাগল। এছাড়াও ঈদের সময়ে ঔষধ কিংবা ইনজেকশনের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করার আশঙ্কা থেকেও অনেকেই কোরবানির পশু হিসেবে ছাগল বেছে নেয়।

গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামের আব্দুল হামিদ পারিবারিক ভাবে ৫টি ছাগল লালনপালন করেছেন কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য। তিনি বলেন, আমি গতবছর থেকে এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য ছাগলগুলো লালনপালন করেছি; সম্পুর্ন নিরাপদ ও প্রাকৃতিক খাদ্য খাইয়েছি। কাঁচা ঘাস, বিচালি, ভুট্টা ও ছোলা মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়াতাম। এখন একেকটা ছাগলের দাম চেয়েছি ১৭ হাজার করে। আরেকটা বড় ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল রয়েছে যার দাম চেয়েছি ২৬ হাজার টাকা।

একই উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের শামীম রেজা বলেন, আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রতিবছর ২টি করে ছাগল পালন করি। ঈদ সামনে বিক্রি করি। এবারের ঈদ সামনে একটি ছাগল বিক্রি করেছি ২৩ হাজার টাকায়। আরেকটা ছাগলের দাম চেয়েছি ৩৪ হাজার টাকা। আশানুরূপ দাম পেলেই বিক্রি করে দিবো।

হাড়াভাঙ্গা গ্রামের ছাগলের বেপারী সাহারুল ইসলাম বলেন, সারাবছর টুকটাক ছাগল বেচাকেনা হয়। স্থানীয় বামন্দী পশুহাটে নিয়ে গিয়ে আমরা বিক্রি করি। তবে ঈদ সামনে ছাগলের সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয়। গত দুই হাটে প্রচুর ছাগল আমদানি ছিলো এবং বেচাকেনা খুব ভালো হয়েছে।

বালিয়াঘাট গ্রামের ছাগলের বেপারী সৈকত আলী বলেন, হাটে গরুর চেয়ে ছাগলের দিকে মানুষের ঝুঁকি বেশি। গ্রামঞ্চলে অধিকাংশ মানুষ অল্প টাকার মধ্যে কোরবানি দেয় সেজন্য ছাগলের চাহিদা বেশি। দেখা যাচ্ছে একটা গরু কিনতে সর্বনিম্ন ৪০থেকে৫০ হাজার টাকা লাগবে কিন্তু ১০থেকে১৫ হাজার টাকার মধ্যে একটা ভালো ছাগল কেনা হয়ে যায়।