মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতি নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ

মেহেরপুর বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও প্রতীক বরাদ্দ প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাতে বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে এই প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের প্রতিটি পদের প্রার্থীদের নাম ও প্রতীক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আব্দুস সালাম, সদস্য মাহবুবুল হক মন্টু ও মাহাবুব চান্দু এ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও প্রতীক বরাদ্দ করেন। তালিকায় সভাপতি পদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদের প্রার্থীদের নাম এবং তাদের বরাদ্দকৃত প্রতীক উল্লেখ করা হয়েছে।

সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হলেন মো: মনিরুজ্জামান দিপু (প্রতীক: সাইকেল) ও আবু ইউসুফ মিরন (প্রতীক: ছাতা)। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান টোটন (গরুর গাড়ী) ও বাবলু রহমান (টেলিভিশন), সহ-সভাপতি পদে মোঃ শাহিন মল্লিক (মই) ও রায়হান কবির (দেয়াল ঘড়ি), সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ মেহেদী হাসান মিলন (চেয়ার), সোহেল আহম্মেদ (হরিণ) ও শহিদুল ইসলাম (মটর সাইকেল), সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে মোঃ ইবনে সাদাত তুষার (ফুটবল) ও তাজুল ইসলাম (মাছ), যুগ্ম সম্পাদক পদে আলমগীর বাদশা শিল্টন (গোলাপ ফুল) ও মানিক হোসেন (উড়োজাহাজ), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ শাহিনুল ইসলাম শাহীন (তালা চাবি) ও সামসুল আযম লিল্টু (হাতপাখা), কোষাধ্যক্ষ পদে মোহাম্মদ কামাল হোসেন (খেজুর গাছ) ও সাহেদুজ্জামান রিপন (হাতপাখা), দপ্তর সম্পাদক পদে মোঃ শফিউল আলম শিল্টু (মোবাইল) ও আব্দুস সালাম (কুঁড়েঘর), প্রচার সম্পাদক পদে মোঃ সাইদুর রহমান সাঈদ (কবুতর) ও এস. এ খান শিল্টু (বাস), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ রকিবুজ্জামান জনি (প্রজাপতি) ও ইমাদুল হক (ডাব), ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে মোঃ হারুন অর রশিদ হিরা (মিনার) ও আব্দুল লতিফ (ফুলদানি), সাংস্কৃতিক ও নাট্য সম্পাদক পদে মোঃ রেমিম (কুলা) ও এমদাদুল ইসলাম (চশমা), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মোহাম্মদ সাদেকুজ্জামান খান (কাপ পিরিস) ও মাকসুদুর রহমান রুমন (বই) প্রতীক পেয়েছেন। সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ জিয়ারুল ইসলাম ও প্রহরা বিষয়ক সম্পাদক পদে মোঃ আজগর আলী সুমন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়াও সদস্য পদে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিল্টন (সিলিং ফ্যান), মোঃ রাকিব হোসেন (ট্রাক), মোঃ হামিদুল ইসলাম (ক্রিকেট ব্যাট), মোঃ ওবাইদুল ইসলাম (টিউবওয়েল), রাজন আহম্মেদ (কলস), মোঃ জয়নাল আবেদীন (হাঁস), মোঃ হামিদুল ইসলাম (বালতি), মোঃ আব্দুল জব্বার (ঘোড়া), মোঃ নাজমুল ইসলাম (আনারস) ও মোঃ রবিউল ইসলাম (পানির বোতল) প্রতীক পেয়েছেন।

নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যবসায়ী সমিতির নতুন নেতৃত্ব গঠন করা হবে, যা মেহেরপুর বড় বাজারের উন্নয়ন ও ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।




মেহেরপুরে পৌর জামায়েত ইসলামীর শীতবস্ত্র বিতরণ

মেহেরপুরে বড়বাজার কাঁচা বাজার আড়ৎ এর শ্রমিকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। বুধবার ( ২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে মেহেরপুর পৌর শাখা জামাতের ইসলামের আয়োজনে কাঁচা বাজার আসাদ ভান্ডার বড়বাজার কাঁচা বাজার আড়ৎ এর শ্রমিকদের মাঝে শীতবস্তু বিতরণ করা হয়।

কাঁচামাল ব্যবসায়ী হাজী মোঃ আবু সালেহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন পৌর আমীর সোহেল রানা ডলার। পৌর ৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পৌর সেক্রেটারী মনিরুল ইসলাম, জেলা পেশাজীবী সংগঠনের সভাপতি মোঃ আল আমিন বকুল, সাবেক ছাত্র নেতা ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম, তহ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফি, বিশিষ্ট কাঁচামাল ব্যবসায়ী আকরাম আলী, কাথুলী রোড জামে মসজিদ ইমাম মঞ্জুরুল ইসলামসহ জামায়তের নেতাকর্মীরা।




কোটচাঁদপুর তারুণ্যের উৎসব পালিত

এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ এ প্রতিপাদ্যে কোটচাঁদপুরে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন আয়োজন করেন ভূমি বিষয়ক সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতা।

সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন কোটচাঁদপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, একাডেমি সুপারভাইজার ফারুক হোসেন, সহকারী পাট কর্মকর্তা বাবুল হোসেন, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা শিহাব হোসেন।

এরপর বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী কুইজে অংশ গ্রহন করেন। এ সব স্কুলের মধ্যে কুইজে প্রথম হয়েছেন এলাঙ্গী মফেজ উদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র খাব্বাব বিন আব্বাস। দ্বিতীয় হয়েছেন, কোটচাঁদপুর সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র আরেফিন সিদ্দিকী ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন কোটচাঁদপুর সরকারি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় তাওফিক আহমেদ।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।




ঝিনাইদহে তারুণ্যের ভাবনা শীর্ষক মতবিনিময় সভা

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে পাপিষ্ট এক ফ্যাসিস্ট রেজিম প্রতিষ্ঠা করেছিল। আওয়ামী লীগ ১৬ বছরে দেশে লুটপাট, চাঁদাবাজি, গণহত্যা, গুম-খুনের ভয়াল রাজত্ব কায়েম করেছিল। শেখ মুজিব একবার ৭১ পরবর্তী দেশে গণহত্যা চালিয়েছিলো। জাসদসহ বিভিন্ন দলের ত্রিশ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ২৪ সালে এসে হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার গণহত্যা চালিয়েছে। ফ্যাসিষ্ট আ’লীগ দুই বার দেশে গনহত্যা চালিয়েছে। তাই আমরা আর তৃতীয়বার আওয়ামী লীগকে গণহত্যার সুযোগ দেব না।

তিনি আরো বলেন, দেশে আওয়ামী রেজিমের পতন ঘটেছে। দেশে আর তাদের রাজনীতি চলবে না। জুলাই বিপ্লবে সম্পৃক্ত রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্য ধরে রাখতে না পারে, তাহলে বিপ্লব ব্যর্থ হবে। আর বিপ্লব ব্যর্থ হলে আওয়ামী লীগ আবার দেশে ফিরে কাউকে রেহায় দেবে না, সবাইকে ফাঁসিতে ঝুলাবে। তাই নিজেদের মধ্যে একতা ধরে রাখুন।

ঝিনাইদহের সন্তান রাশেদ খাঁন বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের ফ্যামিলি জোন রেস্টুরেন্টে “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া এবং মাদক দুর্নীতি দুঃশাসন চাঁদাবাজ মুক্ত বৈষম্যহীন সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠনে তারুণ্যের ভাবনা” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি রকিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল রাজন, পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ব্যাংকার রাসেল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিশন আলী, ছাত্র অধিকারের আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আল সোয়াইব মেরাজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
রাশেদ খাঁন অভিযোগ করে বলেন, ঝিনাইদহে দলীয় পরিচয়ে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজী ও দুর্নীতি হচ্ছে। এভাবে দখলদারিত্ব চলতে থাকলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বীর শহিদদের আত্মত্যাগ নসাৎ হবে।

তিনি বলেন, দেশে এখন তারুণ্য নির্ভর পরিবর্তনের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ঝিনাইদহে যারা রাজনীতি করেন, তাদের ভুলে গেলে চলবে না, দেশে এখন আর হাসিনার আমলের রাজনীতি নেই। সম্প্রতি ও ভালোবাসার নজীর তৈরী করে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি জনগনের নেতা হবে নাকি জনগন কর্তৃক গণধিকৃত হবেন। তিনি কতিপয় উপদেষ্টাদের প্রতি হুসিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, আপনারা কেউ কেউ কিংস পার্টি গঠন করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এটা যদি আপনারা করেন তবে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করবে দেশের মানুষ। কিংস পার্টিকে দেশের মানুষ গ্রহন করবে না। কারণ তারা সরকারের সুবিধাভোগী। রাশেদ খাঁন বলেন, জাতীয় সরকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, দেশ চালাতে জাতীয় সরকার লাগবে।

বিপ্লব পরবর্তী সময়ে জাতীয় সরকার ছাড়া উপয় নেই। তিনি বলেন, জননেতা তারেক রহমান যে ৩১ দফা দিয়েছেন সেটা শুধু বিএনপি’র নয়, আমাদেরও। ৪৫টি দল মিলে এই ৩১ দফা দিয়েছেন। কাজেই জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মান করতে হবে।




সন্তানের চোখ স্মার্টফোন থেকে বইতে ফেরাবেন যেভাবে

গল্পের বই পড়ার অভ্যাস এখন আর নেই বললেই চলে। শিশু থেকে বুড়ো, সবাই এখন ডিজিটাল স্ক্রিনে আটকে গেছে। এই ডিজিটাল স্ক্রিনের নেশা যত বাড়ছে ততই পাল্লা দিয়ে কমেছে বই পড়ার আগ্রহ। এ ছাড়া শিশু সন্তানদের তো এখন জোর করেও পড়তে বসানো যায় না।

তাদের এই অভ্যাস কীভাবে দূর করবেন, কীভাবে তাদের হাতে বই ওঠাবেন, তা নিয়ে চিন্তিত অনেক অভিভাবক।
ডিজিটাল ডিভাইসের নেশার মাঝে বই পড়ার আগ্রহ হঠাৎ করে ফিরিয়ে আনা সহজ কাজ নয়। কিন্তু ছোটরা যাতে বই থেকে একেবারেই মুখ না ফেরায়, তার জন্য চেষ্টা করতে হবে অভিভাবকদেরই। কীভাবে সন্তানদের বইয়ের দিকে মুখ ফেরাবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

স্ক্রিনটাইম বেঁধে দিন

বই পড়াতে চাইলে আগে স্ক্রিনটাইম বেঁধে দিতে হবে। তবে শুরুতেই মোবাইল ফোন নিয়ে নিলে শিশু আরো বেশি জেদ করবে। তাই দিনের কিছুটা সময় বেঁধে দিন। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, সারা দিনে এক ঘণ্টার মতো সময় টিভি দেখা বা মোবাইলে গেম খেলার জন্য দিতে পারেন।

তার বেশি নয়। আর মোবাইলে শিশু কী ধরনের গেম খেলছে বা ভিডিও দেখছে, তাতেও নজর রাখতে হবে। বাকি সময়টা পড়ার বইয়ের বাইরে বিভিন্ন গল্পের বই পড়ানোর অভ্যাস করুন।

গল্প বলুন

এখনকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে গল্প শোনার ধৈর্য কম। অভিভাবকেরাও সে ভাবে সময় দিতে পারেন না।

কিন্তু শিশুর মধ্যে যদি পড়ার আগ্রহ তৈরি করতে হয়, তাহলে ছোট থেকেই গল্প শোনানোর অভ্যাস তৈরি করুন। খাওয়ানোর সময়ে হাতে মোবাইল দেবেন না, গল্প বলুন। নানা রকম গল্প শোনার অভ্যাস তৈরি হলে শিশুর পড়ার আগ্রহও তৈরি হবে।
মা-বাবাকেও পড়তে হবে

শিশু যদি দেখে মা-বাবা মোবাইল ফোনে স্ক্রল না করে সময় পেলেই বই, ম্যাগাজিন, পত্রিকার পাতা উল্টাচ্ছেন, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তার মধ্যেও পড়ার আগ্রহ বাড়বে। কারণ ছোটরা বড়দেরই অনুকরণ করার চেষ্টা করে। তাই আগে মা বা বাবাকে নিয়মিত পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। বাড়িতেও তেমন পরিবেশ যেন থাকে। তাহলেই শিশুর মধ্যে সেটা বুনে দেওয়া সহজ হবে।

লাইব্রেরির সঙ্গে পরিচয়

ছুটির দিনে সন্তানকে নিয়ে শপিং মল বা রেস্তোরাঁয় যাওয়ার পাশাপাশি সময় করে লাইব্রেরিতেও নিয়ে যান। কাছাকাছি লাইব্রেরি না থাকলে বইয়ের দোকানেও নিয়ে যেতে পারেন। নিজে হাতে করে বই নেড়েচেড়ে দেখলে, সেখানেই বসে কিছুটা পড়তে পারলে বই পড়ার নেশা নিজ থেকেই তৈরি হবে।

বই বেছে দিন

ঠিক বয়সে ঠিক বই বেছে না দিলে পড়ার অভ্যাস তৈরি তো হবেই না, বরং বিরক্তি আসতে পারে। কেবল রূপকথা বা ছবি দেওয়া বই নয়, বরং ছোট থেকেই বাস্তব জগতের সঙ্গে একটু একটু করে পরিচয় করান। গদ্য, পদ্য, ছোটদের গল্পসমগ্রের মতো বিভিন্ন সাহিত্যিকের বই একটু একটু করে পড়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন। শুরুর দিকে নিজেকেও ওর সঙ্গে পড়তে হবে।

যে সময়টায় সন্তান নিজে পড়তে পারবে না, তখন মা-বাবাকেই গল্পগুলো পড়ে শোনাতে হবে। শুধু পড়ে যাওয়া নয়, বলার মধ্যে খানিকটা অভিনয়ও থাকতে হবে। গল্পের চরিত্রগুলো বাস্তবসম্মতভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। তবেই গল্প শোনার ও নিজে পড়ার আগ্রহ তৈরি হবে।

সূত্র: কালবেলা




মুজিবনগরে বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার

মুজিবনগরে বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট ভুক্ত ৬ আসামিকে গ্রেফতার করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।

বুধবার রাত ১টা হতে ভোর ৫ টা মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান এর নের্তৃত্বে এসআই উত্তম কুমার, এসআই প্রকাশ ঘোষ, এসআই সাইফুল ইসলাম, এএসআই সোহেল রানা, এএসআই সাখাওয়াত হোসেনসহ সংগীয় ফোর্স নিয়ে মুজিবনগর থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এজাহারভুক্ত আসামী ভবের পাড়া গ্রামের মৃত জামাত দফাদারের ছেলে হেকমত দফাদার (৫০), জিআর নং-৭৩২/১১, পি-৬৫/২৫ এর সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী দারিয়াপুর গ্রামের কাশেম এর ছেলে হাফিজুল(৫০) জিআর নং-৭৩২/১১, পি-৬৬/২৫ এর সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী দারিয়াপুর গ্রামে মৃত বশিরের ছেলে কাসেম (৫৫), জিআর-০৬/২০ সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী দারিয়াপুর গ্রামের তাহের আলীর ছেলে হালিম এবং জিআর নং-৭৫/১৯ এর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী জয়পুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে রবিউল (৩৫), জিআর নং-৪৩/২৩ এর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী বাগওয়ান গ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে সাইফুল শেখ (৩৫) কে নিজ নিজ এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।

মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান মেহেরপুর পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম (পিপিএম) সার্বিক দিক নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিনুর রহমান খান (প্রশাসন ও অর্থ) এর তত্ত্বাবধানে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম (সার্কেল) স্যার এর সহযোগিতায় মুমিন মুজিবনগর থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে
আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সে সাথে মুজিবনগর থানা এলাকায় ওয়ারেন্ট মূলে আসামী গ্রেফতার ও মাদক উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।




দর্শনায় ফেনসিডিল ভর্তি পিকাপসহ গ্রেফতার ১

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিল ভর্তি পিকাপসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত ফেনসিডিল ব্যাবসায়ী দর্শনা পৌরসভার আজমপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে সজিবকে ৮০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করেছে।

জানাগেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে অভিযান চালায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের নেহালপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মাঠে।

এ সময় দর্শনা থানার হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশের এএসআই সগীর হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে নেহালপুর পশ্চিম পাড়ার ফাঁকা মাঠের পাকা রাস্তার উপর।সে সময় পুলিশ মাদক বহন কাজে ব্যাবহৃিত পিকআফ তল্লাশি করে ৮০ ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ১ জনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলাসহ ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।




ভূমি মন্ত্রণালয়ে বড় নিয়োগ, আবেদনের শেষ সময় কাল

ভূমি মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব খাতভুক্ত ব্যবস্থাপনা বিভাগে জনবল নিয়োগে পুনঃ সংশোধিত বিজ্ঞপ্তির আওতায় আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এই প্রতিষ্ঠানে একটি পদে মোট ২৩৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: সার্ভেয়ার

পদসংখ্যা: ২৩৮

আবেদনের যোগ্যতা: স্বীকৃত কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন সার্ভে ইনস্টিটিউট থেকে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (সার্ভেয়িং) পাস।

বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

বয়সসীমা

১ মে ২০২৪ তারিখে সব প্রার্থীর ক্ষেত্রে বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩২ বছর হতে হবে।

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। ইতিমধ্যে যাঁরা এই পদে আবেদন করেছেন, তাঁদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।

আবেদন ফি

অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ২০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ২৩ টাকাসহ মোট ২২৩ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা

মেহেরপুরে জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার সংক্রান্ত সেবার পরিধি ও মান উন্নয়নসহ জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯ থেকে ২৫ জানুয়ারি ‘জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ সপ্তাহ’ উদযাপন হচ্ছে।

বুধবার সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে সিভিল সার্জন ডা. মহী উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা উপ-পরিচালক রাশেদুল বশির, মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হযরত আলী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন, সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে কনসালটেন্ট ডা. ইনজামাম উল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ জে এম সিরাজুম মুনির, জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, ডা. সুরাইয়া শারমিন প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় সিভিল সার্জন ডা . মহী উদ্দিন বলেন জরায়ু ও স্তন ক্যান্সার মরণ ব্যাধি, যা প্রাথমিকভাবে সাধারণত কোনো দৃশ্যমান পূর্ব লক্ষণ প্রকাশ করে না। নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করা গেলে এই ক্যান্সারের সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। শুরুতে এ ক্যান্সার নির্ণয় করতে পারলে অনেক মা-বোনের জীবন রক্ষা করা যাবে।




‘চা’ না খেলে শরীরে কী হয়?

চা-প্রেম এক সর্বজনীন বিষয়। মানুষের মধ্যে চা-প্রীতি কতটা গভীর, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করার পর চা পান করাই যেন আমাদের দৈনন্দিন অভ্যাস। সেই অভ্যাস যদি হঠাৎ ছাড়েন, কী হতে পারে শরীরে? জানলে চমকে উঠবেন।

চা পান করার পর আমরা যেন নতুন শক্তি পাই। এই শক্তির উপর ভর করেই সারাদিনের কাজ করি। আমাদের জীবনে চা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দিনে এক-দু’কাপ চা পান করার মধ্যে কোনও দোষ নেই। তবে বেশি পরিমাণ চা পান করলে তা আমাদের শরীরে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা তৈরি করতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে চা একেবারে বর্জন করাই কি ভাল? এক মাস চা না খেলে শরীরে কী ধরনের প্রভাব পড়বে? চলুন জেনে নিই-

চা সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়ার উপকারিতা

এক মাস চা না খেলে আমাদের শরীরে ক্যাফিন গ্রহণের মাত্রা কমে যায়। এর ফলে গভীর এবং উন্নতমানের ঘুম হয় এবং মানসিক চাপ কমে। চায়ের ডাইইউরেটিক প্রভাবের কারণে অতিরিক্ত চা পান আমাদের শরীরের পানিশূন্যতা তৈরি করে। তাই চা পান বন্ধ করলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা কমে।

চায়ের পরিবর্তে কী পান করা যেতে পারে?

যদি আপনি চা পুরোপুরি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তবে চায়ের পরিবর্তে হার্বাল চা, ফলের রস, বা গরম জল পান করতে পারেন। ক্যাফিন-মুক্ত হার্বাল চা যেমন গাঁদা ফুল বা পুদিনার চা শরীরে অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আপেল বা ক্র্যানবেরি রসের মতো ফলের রস প্রাকৃতিকভাবে ক্যাফিনমুক্ত এবং শরীরকে সতেজ করতে সাহায্য করে। এছাড়া লেবু বা মধু মিশিয়ে গরম পানি পান করলেও চায়ের মতোই আরামদায়ক অনুভূতি পাওয়া যায়।

কারা চা একেবারে এড়িয়ে চলবেন?

কিছু মানুষকে একেবারেই চা পান করা উচিত নয়। যাদের পেট সংবেদনশীল বা হার্টবার্নের সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্যাফিন এবং ট্যানিনযুক্ত চা এড়ানো উচিত। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা বা স্তন্যদানকারী মায়েদের চা সীমিত পরিমাণে পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ অতিরিক্ত চা শিশুর ক্ষতি করতে পারে।

যারা আয়রনের অভাবে রক্তাল্পতায় ভুগছেন, তাদের চা পান করা উচিত নয়। চায়ের ট্যানিন শরীরে আয়রন শোষণ বাধাগ্রস্ত করে, যা রক্তাল্পতা বাড়াতে পারে।

উল্লেখ্য, আপনার স্বাস্থ্য বিবেচনা করে দিনে কতটা চা পান করা যেতে পারে বা আদৌ চা পান করা উচিত কিনা, তা জানার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র: যুগান্তর