আলমডাঙ্গা পৌরবাসীয় সাপ্লাই সুপেয় পানির উদ্বোধন

স্বল্প মূল্যে সারা বছর নিরবিচ্ছিন্ন সুপেয় পানি পাচ্ছে আলমডাঙ্গা পৌরবাসী। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় এক যোগে তিনটি পানির পাম্প উদ্বোধন করেন মেয়র হাসান কাদির গনু। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর সুপেয় সাপ্লাই পানি পেয়ে খুশি এলাকাবাসী।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে পাম্প বসানো, পাম্প হাউজ নির্মাণ, সংযোগ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের বরাদ্দকৃত অর্থের মাধ্যমে পৌর এলাকার ৪১ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন শেষ হয়। এছাড়াও প্রথম পর্যায়ে ৩ হাজার বাসিন্দাদের সাপ্লাই পানির আওতাধীন সংযোগ দিয়েছে পৌরকতৃপক্ষ।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক যোগে তিনটি পাম্প হাউজের উদ্বোধন করেন মেয়র হাসান কাদির গনু। এই সুপেয় পানি প্রথম পর্যায়ে ৮ টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সুবিধা ভোগ করলেও পর্যায়ক্রমে বন্ডবিল ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জনগণ পরবর্তীতে সুপেয় পানির আওতাধীন আসবে বলে জানান পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু। বসতবাড়িতে সুপেয় পানির সংযোগ লাইনে মিটার করা হয়েছে । পানির ব্যবহার অনুযায়ী অনলাইনের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করতে পারবে ভুক্তভোগীরা।

পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিরণ বেগম বলেন, পৌরসভা স্থাপনের প্রায় ৩০ বছর পর সুপেয় পানি পাচ্ছি। বেলা ১২ টার দিকে হঠাৎ বাড়ির পাইপ দিয়ে পানি বের হচ্ছে।

৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলি আজগার জানান, দুপুর থেকে সহজেই মিলছে সুপেয় পানি। গভীর নলকূপের পানি অনেকটা শীতল। সাপ্লাই পানি পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত।

পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু জানান, পানি সরবরাহ চালুর কারণে পৌরবাসীদের ব্যক্তিগত মোটরে পানি তোলায় বিদ্যুৎ বিলের অতিরিক্ত খরচ কমে যাবে। অনলাইনের মাধ্যমে পানির বিল পরিশোধ করা যাবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শেখ ফরিদ আহমেদ, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ, পৌর নির্বাহি কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম, পৌর প্যানেল মেয়র মজিবুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্নসাধারণ সাধারণ সম্পাদক কাজি রবিউল হক, পৌর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান, সিএ হাফিজুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা হাজি ঠান্ডুর রহমান, কাউন্সিলর আলাল উদ্দিন,আশরাফুল ইসলাম বাবু, বাপ্পি হোসেন, জহুরুল ইসলাম স্বপন, আব্দুল গাফ্ফার প্রমূখ।




কোটচাঁদপুর কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ ;এক লাখ টাকা জরিমানা

কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগে তোয়াক্কেল হোসেন কে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট নিরুপমা রায়। গতকাল মঙ্গলবার কোটচাঁদপুরের মুরুটিয়ার ঘোষের মাঠে এ জরিমানা করেন তিনি।

কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুচ আলী বলেন, কোটচাঁদপুরের বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের মুরুটিয়া গ্রামের ঘোষের মাঠ থেকে কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছিল তোয়াক্কেল হোসেন। এমন খবর পেয়ে ওই স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট নিরুপমা রায়।

এদিকে অভিযানের খবরে ভেকু ফেলে পালিয়ে যান ভেকু ড্রাইভার, হেলফার আর ট্র্যাক্টর ড্রাইভাররা। পরে তিনি ভেকুর ব্যাটারি জব্দ করেন। ভেকুটি জিম্মায় দিয়ে আসেন ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফারুক হোসেনের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,বলুহর ভূমি অফিসের নায়েব হারুন অর রশিদ।




কোটচাঁদপুরের পল্লীতে বর্জ্যপাতে এক যুবকের মৃত

বর্জ্যপাতে সাজিদ উদ্দিন (৪৭) নামে এক যুবকের মৃত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের দয়ারামপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।

পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সাজিদ উদ্দিন দয়ারামপুর মাঠে কাজ করছিল। এ সময় বর্জ্যপাতের ঘটনা ঘটে। এতে করে সে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

এ সময় কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমন ঘোষ,তাকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বর্জ্যপাত ঘটে, সে ঘটনাস্থলে মারা যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।

সাজিদ উদ্দিন কোটচাঁদপুর উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।
এ দিকে তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে,কান্নার রোল পড়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে। ভারি হয়ে ওঠে বাতাস। খবর পেয়ে কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) ইদ্রিস আলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। মৃত দেহের সুরতহাল হাল করে,মৃত দেহটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। তিনি বলেন,এটা তো অপমৃত্যু। থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে।




তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ

মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের আশুরা খাতুনের দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মফিজকে আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পনমুলক লিখিত ব্যাখ্যা দাখিলের নির্দেশ, মামলার তদন্ত অফিসার পরিবর্তন করতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ ও অত্র মামলার সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তার উক্তরুপ কার্যকলাপ তদন্তপূর্বক আগামী ১৬/০৭/২০২৩ ইং তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেলকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মেহেরপুর সদর আমলী আদালতের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট মো: তরিকুল ইসলাম।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর সদর আমলী আদালতের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেনীর ম্যাজেস্ট্রিট মো: তরিকুল ইসলাম এই নির্দেশ দেন।

আদেশে আরও বলা হয়েছে, মামলার বাদী মোছা: আশুরা খাতুন তার মামলায় উল্লেখ করেছেন, রাজনগর গ্রামের মৃত আদম আলীর ছেলে মুক্তি (৫০) নারী লোভী সন্ত্রাসী ও দলীয় প্রভাবশালী লোক। আসামি ইতোপূর্বে জোরপূর্বক একাধিক নারী ধর্ষণের সময়ে জনগনের নিকট ধরা পড়েছে। আমি তার বিরুদ্ধে ক্যাম্পে ও থানায় একাধিকবার অভিযোগ দায়ের করতে ব্যার্থ হয়েছি।

অবশেষে বিগত ১১/০৬/২৩ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে পিটিশন দায়ের করি।বিজ্ঞ আদালত এই পিটিশন আমলে নিয়ে মেহেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়ে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। আসামি দূর্দান্ত, দুধর্ষ ও দলীয় প্রভাবশালী হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ভয়ভীতির উর্দ্ধে উঠে স্বাক্ষীদের সাথে ও আমার কোনো বক্তব্য যথাযথভাবে শ্রবণ করেনি। এছাড়া আসামি তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে গত ১৭/০৬/২৩ তারিখ সকাল ৯ টার সময় আমার ভাই জামায়াতুল ইসলামের বাড়ি উপস্থিত হয়ে তার গলায় গামছা পেছিয়ে শ্বাসরোধ করে জোর করে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।

আসামি মুক্তি আমার আত্মীয় স্বজনকেও নানাভাবে হুমকী ধামকী দিচ্ছে মামলা যাতে আমি উঠিয়ে নিই। আশুরা খাতুন আরও উল্লেখ করেছে ২০১৫ সাল থেকে আমাকে শারীরিক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছে। তার অত্যাচার নির্যাতনের হাত থেকে বাচতে ও মান সম্মানের ভয়ে আমি মেহেরপুর শহরে চলে আসি। এই মামলার এক নং আসামি মুক্তি, দুই নম্বর আসামি কালু ও তিন নম্বর আসামি ওমর আলী স্বাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। এছাড়া আশুরার স্বামী জয়নাল আবেদীনকে একাধিকবার শারীরিক নির্যাতন করে পঙ্গুপ্রায় করেছে। প্রধান আসামি মুক্তি দলীয় প্রভাবশালী হওয়ায় সাধারণ জনগণ ও প্রশাসন তার কথা মত চলতে বাধ্য হচ্ছেন। আমার সাংসারিক জীবন প্রধান আসামির জন্য দুর্র্বিষহ হয়ে উঠেছে।

উল্লেখ্য যে, মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রাম আওয়ামীলীগ নেতা ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মুক্তি একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী আশুরা খাতুনকে ২০১৫ সাল থেকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার কথা মেনে না নেওয়ায় আশুরার স্বামী জয়নাল আবেদীনের উপর নানাভাবে নির্যাতন ও অত্যাচার করে পঙ্গুপ্রায় করে রেখেছে। সম্প্রতি আশুরা খাতুন তার নিজ বাড়ি গেলে একা পেয়ে কালু ও ওমর আলীর সহযোগীতায় মুক্তি আশুরাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে চিৎকার দিয়ে উঠলে মুক্তি সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে পালিয়ে যায়।এই ঘটনায় আশুরা খাতুন বাদী হয়ে মেহেরপুরের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল একটি পিটিশন মামলা করেন। যার পিটিশন নং ৯০/২৩, তারিখ ৬/৬/২৩ইং।

মেহেরপুর সদর থানার মামলা নং ২০, তারিখ ১২/০৬/২৩ ইং, ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(৪)(খ)/৩০।




মেহেরপুরের রাজনগরের আ. লীগ নেতা মুক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা

মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছে একই গ্রামের মোছা: আশুরা খাতুন নামের এক নারী।

মামলার প্রধান আসামি মুক্তি গ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি মুক্তি বিভিন্ন সময়ে মোছা: আশুরা খাতুনকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এছাড়া তিনি ওই গ্রামের বিভিন্ন নারীদের চাল, গম, টাকা পয়সা বা ভাতা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে থাকেন। কোনো নারী তার কথায় রাজি না হলে বিভিন্ন কৌশলে ফাঁদে ফেলে তাকে ধর্ষণ করেন। ইতোপূর্বে গ্রামের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা অবস্থায় লোকজন তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তা মিমাংসা করা হয়।

মামলায় আরো বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন যাবৎ কু প্রস্তাব দিয়ে ব্যার্থ হন মুক্তি।পরে গত ০১/০৬/২৩ তারিখ দিবাগত রাত আনুমানিক রাত সাড়ে ৮ টার সময় ঘরে প্রবেশ করে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক আমার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। স্পর্শকাতর স্থানে সে কামড়িয়ে ও হাঁচড়িয়ে জখম করেছে। পরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে চিৎকার দিয়ে উঠে। এসময় প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বাইরে থেকে দরজার শিকল তুলে দেন। সে হাতে নাতে ধরা পড়ে। পরে স্থানীয়রা এসে বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়।

মামলার বাদী আশুরা খাতুন বলেন, ছোট বেলা থেকেই মুক্তি আমাকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার কথায় আমি রাজি না হওয়ায় আমার স্বামী জয়নাল আবেদীনকে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে দফায় দফায় মারপিট করে পঙ্গু করে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস নেই এলাকার মানুষের। সবাই তাকে ভয় পায়। আশুরা আরও বলেন, আমি কয়েক বছর হলো মুক্তির অত্যাচার থেকে বাঁচতেই মেহেরপুর শহরে এসে ঘর ভাড়া করে থাকি। মাঝে মধ্যে গ্রামে গেলেও চুরি করে যায়। আবার গোপনে ফিরে আসি। সে এলাকার অনেক নারীকেই ধর্ষণ করেছে। ভাতা কার্ড, টিসিবি কার্ডসহ বিভিন্ন অনুদান পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মেয়েদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে ধর্ষণ করে থাকে। তিনি বলেন, আমি তার হাত থেকে বাঁচতে চাই। আমি আমার বাড়িতে নিরাপত্তার সাথে থাকতে চাই।

প্রতিবেশী তাসলিমা খাতুন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তি এলাকার বহু নারীর কাছে জোর করে যাওয়ার প্রমাণ আছে। এলাকার নারীদের বিভিন্ন জিনিস দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সে অনৈতিক কাজ করে থাকেন। তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহষ নেই। অনেক মেয়ে মুখ বুঝে এই মুক্তির অত্যাচার সহ্য করছেন।

এদিকে মামলার প্রধান আসামি মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মুক্তি জানান, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। আমি তাকে ধর্ষণ করতে যায়নি। জমি নিয়ে প্রতিবেশীর সাথে আশুরার গ্যানজাম চলছে। আমি সেই সালিশ বৈঠকের বিচারক ছিলাম। আমার সাথে শত্রুতা করে সে এই মামলা দিয়েছে। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, সে এবার গ্রামে আসুক। তারপর তার বিচার হবে।




এফসিবি’র প্রতিপক্ষ মোনাখালি ইউনিয়ন একাদশ

মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর সেমিফাইনাল খেলায় বাওট শাপলা ক্লাবকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে মোনাখালি ইউনিয়ন একাদশ।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মেহেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে এই উত্তেজনাপূর্ণ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।

উত্তেজনাপূর্ণ খেলার প্রথম অর্ধের ১৩ মিনিটের সময় মোনাখালি ইউনিয়ন একাদশের পক্ষে দলীয় স্ট্রাইকার গাফ্ফারের দৃষ্টিনন্দন গোলে এগিয়ে যায় দলটি। এরপর দ্বিতীয় অর্ধের ২৮ মিনিটের সময় আরেকটি গোল দেন মোনাখালি ইউনিয়ন একাদশের ফরোয়াড শোভন।

তবে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটিতে উভয় দলই একাধিক করে গোল সুযোগ হারান।

খেলায় বিচারকদের দৃষ্টিতে সেরা খেলোয়াড়ের হিসেবে নির্বাচিত হন মোনাখালি ইউনিয়ন ফুটবল একাদশের পক্ষে ফরোয়াড আব্দুল গাফ্ফারকে। তাকে টুর্নামেন্টের পক্ষ থেকে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়।

তার হাতে সেরা খেলোয়াড়ের পুরুস্কার তুলে দেন মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্টের পরিচালনা কমিটির সভাপতি এমদাদুল হক, মেহেরপুর সকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শারীরিক শিক্ষক ও প্রাক্তন খেলোয়াড় রমজান আলী, অবসরপ্রাপ্ত কৃতি ফুটবলার ও মেহেরপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ও প্রাক্তন খেলোয়া আব্দুস সালাম, মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্টের সদস্য সচিব মাহাবুব চান্দু, প্রাক্তন খেলোয়াড় আমিরুল ইসলাম অল্ডাম।

এসময় মেহেরপুর ফুটবল টুর্নামেন্টের আহবায়ক সাবেক কৃতি ফুটবলার এমদাদুল হক, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, খেলা পরিচালনা কমিটির নির্বাহী সদস্য, মনিরুজ্জামান মনি, মুস্তারুল ইসলাম মঞ্জা, শামীম জাহাঙ্গীর সেন্টু, সেলিম রেজা, হাসানুজ্জামান বাবু, জাহাঙ্গীর আলম, শামসুজ্জামান শামীম, মাহাবুব হাসান ডালিম ।

রেফারি হিসেবে মাঠে খেলা পরিচালনা করেন সোহেল রানা। তাকে সহযোগীতা করেন আব্বাছ উদ্দীন ও মনিরুল ইসলাম। চতুর্থ রেফারি হিসেবে ছিলেন ইয়ারুল ইসলাম। খেলার ধারাভাষ্যে ছিলেন আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন। উত্তেজনাপূর্ণ খেলাটি দেখতে এলাকার ফুটবল প্রেমি দর্শকরা উপস্থিত ছিলেন।

আগামীকাল ১ জুলাই ফাইনাল খেলা একই মাঠে মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালি ইউনিয়ন একাদশ ও ফাস্ট ক্যাপিট্যাল আব বাংলাদেশ (এফসিবি) মধ্যে লড়াই হবে।




মেহেরপুরে আটলান্টিকা হোটেল কাণ্ড মামলায় সাংবাদিক তুহিন আরন্য জেলে

মেহেরপুরে চাঞ্চল্যকর আটলান্টিকা হোটেল কাণ্ড মামলায় বাংলািভশেনর বিশেষ প্রতিনিধি, দেশ রুপান্তর ও বিডিনিউজ২৪ এর মেহেরপুর প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন ওরফে তুহিন আরন্যকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার বিকাল ৩ টার দিকে মেহেরপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের আদালতে জামিন আবেদন করে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। তুহিন আরন্য এর আগে প্রথম আলো, এনটিভি ও নিউজ ২৪ চ্যানেলের মেহেরপুর প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।

মামলায় আসামির পক্ষে মারুফ আহমেদ বিজনের নেতৃত্বে একদল আইনজীবী  এবং সরকারি পক্ষে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক কৌসুলির দায়িত্ব পালন করেন।

এর আগে একই আদালত একই মামলায় ডিবিসির মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু আক্তার করণ, দেশটিভির প্রতিনিধি রেক্সোনা আরা, ও কথিত সমাজকর্মী নিলুফার ইয়াসমিন রুপাকেও জেল হাজতে পাঠায় আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাংলাভিশনের সাংবাদিক তুহিন আরন্য, ডিবিসি চ্যানেলের সাংবাদিক আবু আক্তার করণ, দেশ টিভির সাংবাদিক রেক্সোনা আরা, ও নিলুফার ইয়াসমিন রুপাসহ ১৭ আসামিকে অভিযুক্ত করে হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ড মামলায় পুলিশ আদালতে চার্জশিট দেয়।

এরপর তারা উচ্চ আদালতে চার্জশিটের তথ্য গোপন করে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। উচ্চ আদালতের জামিনাদেশ শেষ হলে বৃহস্পতিবার ওই তিনজন এবং মঙ্গলবার তুহিন আরন্যকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন মেহেরপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক।

এর আগে গত ১১ এপ্রিল মেহেরপুরের চার সাংবাদিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪১৭/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারাসহ ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১),৮(২), ৮(৩), ৮(৪) ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রমানিত হওয়ায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন- বাংলাভিশনের মেহেরপুর প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে তুহিন আরন্য, ডিবিসি টেলিভিশনের মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু আক্তার করন, দেশ টিভির প্রতিনিধি রোকসানা আরা, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি মিজানুর রহমান জনি, কথিত সাংবাদিক নাজনিন খান প্রিয়া, ছন্দা খাতুন, আটলান্টিক হোটেল মালিক মতিয়ার রহমান, তার ছেলে মামুন জোয়ার্দার, আব্দুস সালাম, হাসিবুল হক জয়, নেহাল আল মুকিত, শাহাজান আলী, মোছা. রুপা, নুসরাত, বর্ষা, সুমন রহমান বিমান ও বিপাশা।

এদের মধ্যে মিজানুর রহমান জনি, নাজনিন খান প্রিয়া, ছন্দা খাতুন, মতিয়ার রহমান, মামুন জোয়ার্দার, হাসিবুল হক জয়, শাহাজান আলী, নেহাল আল মুকিত পুলিশের হাতে আটক হয়ে হাজতবাস করেছেন। বর্তমানের তারা জামিনে আছেন। বাকিরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। এদের মধ্যে চারজন পৃথক দিনে মেহেরপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

পুলিশের চার্জশিট থেকে জানা যায়, একটি নারী চক্র গড়ে তুলে মেহেরপুর শহরের আভিজাত শ্রেনীর হোটেল আটলান্টিকার মালিক মতিয়ার রহমান ও তার ছেলে মামুন বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা বা অভিজাত শ্রেনীর মানুষকে সুন্দরী নারী দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে তা ভিডিও ধারণ করেন। এবং সেই ভিডিও দিয়ে ব্লাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। এই চক্রে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ডজ্জনখানেক সুন্দরী নারী জড়িত ছিলো। তাদের পৃষ্ঠপোষক করতো অভিযুক্ত মেহেরপুরের চার সাংবাদিকও।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ নভেম্বর মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের মনোয়ার হোসেন নামের এক এনজিও কর্মী সদর থানায় নারী চক্রের প্রধান হোতা প্রিয়া খানকে আসামি করে দণ্ডবিধির ৪১৭/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারায় একটি মামলা করেন।




গাংনীতে জমিজমা সংক্রান্ত মারামারিতে দুই নারীসহ আহত-৭

মেহেরপুরের গাংনীর নিত্যানন্দনপুর গ্রামে সরকারি খাস জমি দখল নিয়ে বিরোধে সৃষ্ট সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ মোট ৭জন আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত হলেন হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী আনজিরা খাতুন(৩৫) আজিজুলের স্ত্রী রুপালী খাতুন (৪২) আব্দুর রহমানের ছেলে আজিজুল ইসলাম(৪৫) আব্দুল গণির ছেলে হাফিজুল ইসলাম(৩৫),মসলেম এর ছেলে তৌহিদুল ইসলামস(৩৮)এবং আসলামের ছেলে দেলোয়া হোসেন(৩০)।

আহতের মধ্যে তৌহিদুল ইসলামের অবস্থা আশংক জনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকীদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মেহেরপুর জেলারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়সুত্রে জানাগেছে, আব্দুর রহামানের ছেলে আজিজুল ইসলাম তার পুরাতন বসত বাড়ি ভেঙ্গে ২৪ শতক জমিতে নতুন বাড়ি নির্মাণ করছিল। ওই জমির মধ্যে সরকারি তিন শতক খাস জমি রয়েছে বলে দখল দাবী করেন স্থানীয় প্রতিবেশি এলাহি বকসের ছেলে সাহাবুদ্দিন । খাস জমির মধ্যে এক শতক জমি পাওয়া যাবে বলে দাবী করলে তখনই দুপক্ষের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের সাথে মারামারি শুরু হয়। উভয় পক্ষয় দেশিয় অস্ত্রস্স্ত্র দিয়ে মারারিতে অন্তত দুই নারী সহ ৭জন আহত হয়।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক এমদাদুল হক আহত তৌহিদুল ইসলামের অবস্থা আশংকা জেনে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন,বাকীদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেন।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেলে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে উভয় পক্ষকে শান্ত করা হয়েছে। কারো পক্ষে এখনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।




গাংনীতে গাঁজাসহ যুবক আটক

১০০ গ্রাম গাঁজাসহ আশিক হাসান মুন্না (২১) নামের এক যুবককে আটক করেছে গাংনীর ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল।
আশিক হাসান গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের হকছেদ আলীর ছেলে।

সোমবার দিবাগত রাতে গাংনীর ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম আযাদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে তার বাড়িতে অভিযান তাকে আটক করেন।

আটক মুন্নার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গাংনী থানায় মামলা দিয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




গাংনীতে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

গাংনীর পল্লী জালশুকা গ্রামে আলতাব হোসেন (৫২) নামের এক ঝুলন্ত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আলতাব হোসেন জালশুকা গ্রামের বালিয়াপাড়া এলাকার হোসেন আলীর ছেলে।

সোমবার দিবাগত রাতে তার নিজ ঘরের আড়ার সাথে তার মরদেহ ঝুলতে দেখেন তার স্ত্রী। পরে গাংনী থানা পুলিশকে খবর দিলে রাত ১০ টার দিকে গাংনী থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেন।

পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তার স্ত্রী চুয়াডাঙ্গার এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে এসে তার মরদেহ ঝুলতে দেখেন। তবে, কি কারনে সে আত্মহত্যা করেছে কিছুই বলতে পারেনি তার পরিবার। আলতাব হোসেন পেশায় একজন কৃষক।
মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে।