গরমে কলা সংরক্ষণের উপায়

বাজার থেকে সবচেয়ে সুন্দর কলাটিই নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু প্রচণ্ড গরমে কলা কালচে হয়ে গেছে। কালচে হওয়াটা হয়তো সমস্যা নয়। তবে কালচে কলা অনেক সময় খাওয়ার যোগ্য থাকে না। তবে তীব্র গরমেও ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতে এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। যেমন:

.কলা বাড়িতে আনলে ঝুলিয়ে রাখবেন। কারণ সমতল জায়গায় রাখলে কলার ভেতর থাকা ইথিলিন যৌগ বেশি কাজ করে। আর ইথিলিন সমসময় কলা দ্রুত পাকাতে ভূমিকা রাখে।
.কালচে হওয়ার ভয় থাকলে এয়ারটাইট ব্যাগে ভরে কলা ফ্রিজে রেখে দিন। তাহলেও হবে।
.অন্যান্য ফল থেকে আলাদা রাখুন কলা। অন্যান্য ফলের সঙ্গে একসঙ্গে রাখলে দেখতে সুন্দর লাগে। কিন্তু এভাবে কলার ওপর কালচে দাগ দ্রুত পড়ে।
.এই পদ্ধতিটি একটু অদ্ভুত। তবে কলা ভিনিগারে চুবিয়ে রাখলে কালচে দাগ দূর হয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গায় দৃগ্ধজাত পণ্য (মাঠা) পরিবহন ট্যাংকার ভ্যানের শুভ উদ্ভোধন

চুয়াডাঙ্গা ঝিনাইদাহ ও মেহেরপুর জেলায় আরএমটিপি প্রকল্পের আওতায় ওয়েভ ফাউন্ডেশন কতৃক বাস্তবায়িত আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল(ইফাদ) ও পিকেএসএফ এর আর্থিক ও কারিগরি সহযোগীতায় ‘‘নিরাপদ মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার উন্নয়ন’’ শীর্ষক ভ্যালূচেইন উপ—প্রকল্প বাস্তবায়িত উদ্ভোধন করা হয়েছে।

আরএমটিপি প্রকল্প থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ সুমন আলীকে ট্যাংকার ভ্যান ক্রয় বাবদ ২৫০০০/— টাকা অনুদান প্রদান করলে অবশিষ্ট টাকা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধীকারী মোঃ সুমন আলী প্রদান করে ট্যাংকার ভ্যান ক্রয় করেন।

দৃগ্ধজাত ট্যাংকার ভ্যান গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে দশটার সময় শুভ উদ্বোধন করা হয় ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের আরএমটিপি প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার কৃষিবিদ আব্দুল বারী, মনিটরিং এন্ড রেজাল্ট মেনেজম্যন্ট অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ইন্টারভেনশন ০৪ এর ভ্যালুচেইন ফ্যাসিলিটেটর মোঃ শরিফুল আলম লিটন, ফাইন্যান্স এন্ড এডমিন অফিসার লাইলাতুল ইসলাম এবং প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ।। চুয়াডাঙ্গা জেলায় এই ট্যাংকার ভ্যান এর ফলে এলাকায় মাঠার প্রচলন হবে এবং নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরী হবে। দুগ্ধজাত পণ্যের বহুমূখীকরনের ফলে এলাকায় দুধের উৎপাদন ও চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।




আলমডাঙ্গায় প্রধান শিক্ষককে মারপিটের ঘটনায় কৃষকলীগ নেত্রী গ্রেপ্তার

আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষককে মারপিটের ঘটনায় সাবেক কৃষকলীগের সভানেত্রী সামসাদ রানুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার রাত ৮ টার দিকে পৌর এলাকার এরশাদপুর চাতাল মোড় থেকে আটক করে পুলিশ।

জানাযায়, বুধবার সকালে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণীর পর্যন্ত ছাত্রদের অর্ধ বার্ষিকী পরিক্ষা চলছিলো। একই দিন ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিক্ষার দিন ছিল। অর্ধ বার্ষিকী পরিক্ষার জন্য সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিক্ষা নিতে দেরি হচ্ছিলো। সে সময় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান করছিলো। এরমধ্যে সামসাদ রানুর ছেলে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অর্ক ছিলো। তার গায়ে রোদ লাগার কারণে সে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসতেই কলার চেপে ধরে টানতে টানতে বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে কিলঘুষি সহ পায়ের স্যান্ডেল খুলে শিক্ষককে মারপিট করে। ভুক্তভোগী স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার বিকেল ৫ টায় আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন ।

প্রত্যক্ষদর্শী সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, আমি অফিসের ভেতরেই ছিলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্যারকে মারধর শুরু করা হয়।

প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যা ঘটেছে তা অত্যন্ত অপমানকর। আমি হতবিহ্বল হয়ে পড়েছি। স্কুলের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার আমাকে ডেকেছিল। তার সাথে পরামর্শ করে আইনগত ভাবে বিকেলে থানায় মামলা দায়ের করেছি।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, শিক্ষকের দায়েরকৃত মামলায় সামসাদ রানুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মামলায় আজ (বৃহস্পতিবার) কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।




সরকারের সকল উন্নয়ন মানুষের কাছে তুলে ধরুন – জেলা প্রশাসক

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের বলেন,” সরকারের সকল উন্নয়ন কার্যক্রম মানুষের কাছে তুলে ধরুন। সরকারের টানা মেয়াদে আপনাদের নিজ নিজ এলাকায় কি পরিমান ভাতা দেওয়া হয়েছে, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট করা হয়েছে, আর্থিক ও খাদ্য সহায়তাসহ অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে তথ্য প্রমণসহ জনগণের মাঝে তুলে ধরুন।

গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি) এর আয়োজন ও গাংনী উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ইউনিয়ন পরিষদ মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, গাংনী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আপনারা জনপ্রতিনিধি আপনার এলাকায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। নিজ নিজ এলাকার আইন শৃংখলার উন্নয়নে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন।

তিনি বলেন, এলাকার সামাজিক সম্প্রীতি সুরক্ষায় চেয়ারম্যানদের ভূমিকা রাখতে হবে। এসব কাজে প্রশাসন আপনাদের সাথে নিয়ে ও জনগণের পাশে থেকে সরকারের উন্নয়ন ও সুফল জনগণের কাছে পৌছে দিতে বদ্ধ পরিকর।”

জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি) এর আয়োজন ও উপজেলা প্রশাসন, গাংনী এর ব্যবস্থাপনায় তিন দিন ব্যাপি ইউনিয়ন পরিষদ মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করা হয়।

গাংনী উপজেলার ৯টি ইউপি চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য, সংরক্ষিত নারী সদস্য ও ইউপি সচিববৃন্দ তিনদিন ব্যাপি এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।




আলমডাঙ্গায় প্রধান শিক্ষককে জুতা পেটা করলো আওয়ামীলীগের নেত্রী

স্কুলের ছাত্ররা রোদ্রে বাহিরে দাড়িয়ে থাকায় ক্ষোভে প্রধান শিক্ষককে জুতা পেটা করলেন আওয়ামীলীগ নেত্রী সামসাদ রানু। তিনি সাবেক আলমডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র। ঘটনাটি আলমডাঙ্গা সরকারি বহুমুখী পাইলট বালক বিদ্যালয়ে ঘটেছে। প্রধান শিক্ষককে অফিসে প্রবেশ করে জুতা পেটা করার ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।

এঘটনায় রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত আইনগত ব্যবস্থার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খাঁন।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সামসাদ রানু ওরফে রাঙা ভাবি। গত কয়েক দিনে তীব্র দাবদহে অতিষ্ঠ জনজিবন। প্রাথমিক স্কুল গুলো বন্ধ থাকলেও মাধ্যমিক পর্যায়ে সকল স্কুল চলমান রয়েছে। সামসাদ রানুর ছেলে অর্ক সে ওই স্কুলে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। বুধবার সকালে সামসাদ রানু তার ছেলের কাজের বিষয়ে স্কুলে আসেন। স্কুল সাড়ে সকাল ৯ টার বাজলেও কোন কক্ষ খোলা হয়নি। কিছুক্ষণ পর স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রবেশ করলে হঠাৎ চড়াও হয় সামসাদ রানু। ধাক্কা দিতে দিতে অফিস কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে প্রধান শিক্ষকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে একপর্যায়ে তার পায়ের স্যান্ডেল খুলে মারতে থাকে। এতে প্রধান শিক্ষক শারীরিক ও মানসিক ভাবে লাঞ্ছিত হয়। ঘটনার পরপরই স্কুলের শিক্ষকেরা চড়াও হলে সামসাদ রানু ছটকে পড়ে। মুহুর্তে এঘটনাটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

ভুক্তোভোগী প্রধান শিক্ষক রবিউর ইসলাম খান বলেন, বিদ্যালয়ের মধ্যেই সবার সামনে সামসাদ রানুর আমাকে লাঞ্চিত করেছেন। মারধর করেছেন।

তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অর্ধ বার্ষিকী পরিক্ষা নেয়া হচ্ছিল। একই দিন ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিক্ষার দিন ছিল। অর্ধ বার্ষিকী পরিক্ষার জন্য সামষ্টিক মূল্যায়ন পরিক্ষা নিতে দেরি হচ্ছিল। সেই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান করছিল। এরমধ্যে সামশাদ রানুর ছেলে সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অর্ক ছিল। তার গায়ে রোদ লাগার কারণে আমি বিদ্যালয়ে আসতেই আমাকে কলার চেপে ধরে টানতে টানতে বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষের দিকে নিয়ে যান। আমাকে কিলঘুষি মারতে থাকেন। তার পায়ের জুতা খুলেও মারধর করে।

আকস্মিক মারধরে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। আমি বয়স্ক মানুষ। এমনিতেই শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছি। পরিক্ষার শেষে আমি বাড়ি চলে এসেছি। বিষয়টি মোবাইলে ইউএনওকে জানিয়েছি।

অভিযুক্ত সামসাদ রানু বলেন, বিদ্যালয়ের কক্ষ না খোলায় আমার ছেলে সহ প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী সকাল ৯টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান করছিল। তীব্র তাপদহে শিক্ষার্থীরা হাসফাস অবস্থা। সোয়া ১০টার পর প্রধান শিক্ষকের বিদ্যালয়ে আসলে আমি তার নিকট গিয়ে কক্ষের তালা খোলার কথা বলি। তিনি জানান, এই দায়িত্ব আমার না, সহকারি প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস ও কর্মচারি সিদ্দীকের। তিনি আমাকে উলটো বলেন, সহকারি প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্যরা আপনাকে আমার পিছনে লেলিয়ে দিয়েছে। আমি তার জবাবে বললাম আমি এখানে কোন নেত্রী হিসেবে না, আমি অভিভাবক হিসেবে এসেছি। এরপরই আমি তার জামার কথা চেপে ধরে টেনে নিয়ে “তালা খোল” কক্ষের তালা খুলাইছি। তখন শিক্ষার্থীরা স্কাসে বসে।

প্রত্যক্ষদর্শী সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, আমি অফিসের ভেতরেই ছিলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্যারকে মারধর শুরু করা হয়।

আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রনি আলম নূর বলেন, এই বিষয়টি লোক মারফতে জেনেছি। প্রধান শিক্ষকও আমার নিকট মোবাইল করেছিল। আমি তাকে আমার কার্যালয়ে আসতে বলেছি। কেউ যদি অন্যায় করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারেন। তবে কাউকে মারধর করাটা এটা চরম অন্যায়। অভিযোগ প্রমানিত হলে ওই নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




গাংনীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু

গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মোস্তফা (৩০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (৭ই জুন) বিকেল ৪ টার দিকে করমদি গ্রামের বিলপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তফা ওই গ্রামের আজগর আলীর ছেলে। এসময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর আহত হয়েছে আরেক শ্রমিক করমদি বিলপাড়ার মৃত ছহিউদ্দিনের ছেলে আব্দুল হালিম (২৬)।

স্থানীয় ইউপি (তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন) সদস্য তৌহিদুল ইসলাম জানান, মোস্তফা বুধবার (৭ জুন) বিকেলের দিকে উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের করমদি গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে উলজার হোসেন এর বাড়ির টিনের বেড়া বাঁধাইয়ের কাজ করছিল। এ সময় অসাবধানতায় টিনে বিদ্যুতায়িত হয়ে মোস্তফা ও হালিম ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ে।

স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় করমদি গ্রামের সন্ধানী সংস্থা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুর আলম খাঁ মোস্তফাকে মৃত ঘােষণা করেন এবং সহযোগী আব্দুল হালিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিদ্যুতায়িত হয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।




ঝাঁজাল জৈষ্ঠ্য – হাফিজুর রহমান

করছেটা কী সূর্য কাকা
তাপে ঝড়াচ্ছে ঘাম,
জল দিতে চাইলে মেঘ
রেগে বলে থাম।

ফল পাকে জৈষ্ঠ্যমাসে
তাপ ছড়ানো গরমে,
পশুপাখি হাঁপাচ্ছে সব
জনজীবন চরমে।

সুনসান নীরবতার রাতে
গোমড়া মুখের চাঁদ,
বুড়ি-কে বলে জ্যোৎস্নায়
বের কর না দাঁত।




মেহেরপুর বঙ্গবন্ধু আন্ত: কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু আন্ত: কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭ টার সময় জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।

অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) লিংকন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল আহসান ও জেলা ক্রীড়া অফিসার আরিফ আহমেদ।

উদ্বোধনী খেলায় মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ দল কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিজয়ী হয়।
প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ খেলা উপহার দেওয়ার জন্য বিজয়ী এবং রানার্সআপ উভয় দলের খেলোয়ারদের অভিনন্দন জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।

আগামী ৯ জুন শুক্রবার বিকাল ৫:৩০ মিনিটে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, চলমান তাপদাহ বিবেচনায় রেখে প্রতিটি খেলা সকালে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। মাঠে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা ছাড়াও জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে এম্বুলেন্সসহ মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।




মুজিবনগরে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন

মেহেরপুরের মুজিবনগরে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ- ২০২৩ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আসাদুজ্জামান এর অফিস কক্ষে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

মুজিবনগর উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর প্রতিনিধি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)নাজমুস সাদাত এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান, মহিলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্ত ডা:হারিসুল আবিদ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ডা: খন্দকার সানজিদা আক্তার, উপজেলা কৃষি অফিসের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার প্রতিনিধি ফজলুল হক, ইম্প্যাক্ট মুজিবনগর প্রতিনিধি সোহেল আহমেদ, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ শফিউদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মোস্তাফিজুর রহমান।

পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় এর মধ্যে আছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা উপস্থিত বক্তৃতা বিভিন্ন এতিমখানাতে পুষ্টিকর খাবার বিতরণ এবং মহিলাদের কে নিয়ে পুষ্টি বিষয়ে আলোচনা সভা।




মেহেরপুরে মাদক সেবনকারীর ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড

হেরোইন সেবনের অভিযোগে মোঃ জহুরুল ইসলাম (৪২) নামের এক মাদকসেবনকারীকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান হয়েছে।

দণ্ডিত জহুরুল ইসলাম মেহেরপুর শহরের পোষ্ট অফিসপাড়া এলাকার মিয়ারুল ইসলামের ছেলে।

আজ বুধবার (৭ জুন) দুপুরের দিকে মেহেরপুর জেলা শহরের স্টেডিয়াম পাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এই রায় দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: রনী খাতুন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: রনী খাতুন বলেন, নিজের দোষ স্বীকার করলে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (৫) ধারায় মাদক সেবনকারী জহুরুল ইসলামকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

এর আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন উপপরিদর্শক ভ্রাম্যমান আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি নেওয়ার পর তাকে কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডিত জহুরুল ইসলামকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।