ক্যাসিনো সম্রাজ্ঞী সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর স্ত্রী মোনালিসা গ্রেফতার

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন পত্নি ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সৈয়দা মোনালিসাকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রবিবার (১৬ ফেব্রæয়ারী) দিবাগত রাতে ঢাকার ইস্কাটন রোডের একটি বাড়ি থেকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
একটি বিশ্বসস্থ সূত্রের বরাত দিয়ে মেহেরপুর সদর থানার ওসি শেখ মেজবাহ উদ্দীন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সৈয়দা মোনালিসার নামে মেহেরপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে তিনটি মামলা রয়েছে।

প্রশাসনসহ এলাকার মানুষ এতোদিন জানতেন মন্ত্রী পতিœ সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম সরকার পতনের পরপরই কানাডাতে পালিয়ে গেছেন। কানাডাতে পালিয়ে যাওয়ার ভূঁয়া তথ্য মন্ত্রীরর পরিবার ও দোষররা সমাজে ছড়িয়ে দিয়েছিল।
এদিকে সৈয়দা মোনালিসা ইসলামের গ্রেফতারের খবর মেহেরপুর জেলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিতে ভাইরাল হওয়ায় অনেকস্থানে আনন্দ ও উল্লাস প্রকাশ করেছেন জনগণ।

খোদ আওয়ামীলীগের নেতা ও স্থানীয়রা জানান, ফরহাদ হোসেন ও তার স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা মিলে মেহেরপুর জেলার মানুষকে শাসন ও শোষন করেছেন। মন্ত্রী যতটা না ক্ষমতাধর ছিলেন সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম ছিলেন তার চাইতে বেশি ক্ষমতাধর।

প্রশাসন, গোয়েন্দা বিভাগ ও স্থানীয় অনলাইন জুয়াড়িরা জানিয়েছেন, মেহেরপুর জেলায় অনলাইন জুঁয়ার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা অবৈধপথে রাশিয়াতে গেছে। অনলাইন জুঁয়া নিয়ন্ত্রক ছিলেন সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম। জেলার কয়েক হাজার যুবক, তরুণ এই অনলাইন জুঁয়ায় আসক্ত। অনলাইন জুঁয়াড়িদের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাপোর্ট দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। এনিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে বারবার সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। অনলাইন জুঁয়াড়িদের দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ও আইনী সুরক্ষা। সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম ছিলেন অনলাইন জুয়াড়িদের স¤্রাগী। আর এই কথা বলেছেন, সাবেক মন্ত্রীর ছোট ভাই বর্তমানে দুটি মামলায় গ্রেফতার জেলা যুবলীগের আহবায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল। তিনি বলেছেন, মোনালিসা ইসলাম অনলাইন জুয়ার নিয়ন্ত্রক ছিলেন; ‘ক্যাসিনো সম্রাজ্ঞী’ হিসেবে তিনি পরিচিত, মৃদুলের কথা এখন মানুষের মুখে মুখে।

জানা গেছে, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল দুই হাজার কোটি টাকার মালিক; এর সবটাই দুর্নীতিপ্রসূত। কানাডাসহ দেশ-বিদেশে তার অঢেল সম্পদ।

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এবং মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মেহেরপুরে দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। সরকারি ত্রাণের কোটি টাকার মালামাল আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে। ক্ষমতার পালাবদলের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা এলাকায় থাকলেও মন্ত্রী ও তার ভাইবোন-স্বজন সবাই এখন পলাতক। অথচ ক্ষমতাকালে মন্ত্রী বাইরের ভালো লোক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, ‘তার আমলে দল পরিবারতন্ত্রের রূপ নিয়েছিল। জেলা কমিটিতে তার স্ত্রী, ভাই, বোন, আত্মীয়স্বজন মিলে ২৩ জন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। মন্ত্রী পঞ্চপান্ডব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী গ্রেপ্তার হওয়ায় দলে স্বস্তির হাওয়া বইছে, আজকে মন্ত্রী পতিœ গ্রেফতার মানুষের মাঝে ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর মাঝে নতুন সুখবর দিলো। তিনি তিনবার এমপি, প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী হয়ে প্রকৃত নেতাদের ছুড়ে ফেলেছিলেন। কর্মীরা মূল্যহীন হয়ে পড়েছিল। মূল্যবান হয়ে উঠেছিল প্রশাসন, পুলিশ ও হাইব্রিড কিছু তোষামোদকারী নেতা।’

জানা গেছে, দলকে হাতের মুঠোয় রেখে মন্ত্রী ফরহাদ মেহেরপুরসহ সারা দেশের টেন্ডার, নিয়োগ, বদলি ও অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা ও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। পুলিশকে ব্যবহার করে অনলাইন জুয়া নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে মাসে ৪-৫ কোটি টাকা কামাতেন তার স্ত্রী মোনালিসা ইসলামের মাধ্যমে।
অনলাইন জুয়ার হোতাদের সঙ্গে মন্ত্রী ও সৈয়দা মোনালিসার সাথে অন্তরঙ্গ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ও অন্যান্য মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।

সারা দেশের শিক্ষা সেক্টরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন মন্ত্রীর ছোট ভাই সরফরাজ হোসের মৃদুল; স্থানীয় সমাজসেবা, হাসপাতাল ও থানা নিয়ন্ত্রণ করতেন তার ভাগ্নে (মন্ত্রীর অর্থরক্ষক হিসেবে পরিচিত) আমিনুল ইসলাম খোকন; গণপূর্ত, সড়ক ও জনপথসহ এলজিইডি নিয়ন্ত্রণ করতেন মন্ত্রীর ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস; সমবায়, কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করতেন তার বড় ভাই শহীদ সাদেক হোসেন বাবুল এবং সারা দেশে সরকারি হাসপাতালের ওষুধ সাপ্লাইবাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন মন্ত্রী-পত্মীর পিএস জোহা। জনশ্রুতি আছে, এ নিয়ন্ত্রকদের হোতা ছিলেন মন্ত্রী ও তার স্ত্রী। এদের মাধ্যমেই অর্থবিত্তে ফুলেফেঁপে ওঠেন তিনি।

সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী, তার স্বর্ণ আগে ছিল ২০ ভরি, সর্বশেষ হয়েছে ৪৫০ ভরি; আয় ও সম্পদ সর্বশেষ ২০০ গুণ বেড়েছে।

মন্ত্রীর দুর্নীতির কথা ফাঁস করেছেন তারই ছোট ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল। তিনি এক অডিও সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ভাইয়ের দুর্নীতির কারণেই আজ আমরা সবাই ঘরছাড়া, পালিয়ে বেড়াচ্ছি এবং মামলার আসামি হয়েছি। ফরহাদ হোসেন নিয়োগ, বদলিবাণিজ্য প্রভৃতি দুর্নীতির মাধ্যমে ন্যূনতম দুই হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কানাডার বেগমপাড়ায় তার বাড়ি আছে। ঢাকায় একাধিক বাড়ি আছে। সবকিছুর নিয়ন্ত্রক ছিলেন মন্ত্রী ও তার স্ত্রী। টাকা ছাড়া টেন্ডার, নিয়োগ, বদলি কিছুই হতো না।’ তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীর স্ত্রী মোনালিসা ক্যাসিনো সম্রাজ্ঞী হয়ে পুলিশের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা কামিয়েছেন। ক্ষমতা হারানোর পর ৫০ কোটি টাকা দিয়েছেন মামলা থেকে রক্ষা পেতে। তাই তার নামে কোনো মামলা হয়নি। স্ত্রীর কারণেই আমার ভাই নষ্ট হয়েছে।’

জানা গেছে, মন্ত্রীর উপার্জনের বেশি অংশ পাচার হয়েছে কানাডায়। তার অবৈধ উপার্জনে কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি আছে। দুবাইয়ে শারজা স্টেডিয়ামের পাশে মন্ত্রী বাড়ি কিনেছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ঢাকার মোহাম্মদপুর, উত্তরা ও বনানীতে তিনটি ফ্ল্যাট আছে। কিশোরগঞ্জ ও মেহেরপুরে আছে দুটি বাড়ি। আত্মীয়স্বজনদের নামে-বেনামে কয়েক শত বিঘা জমি ও ব্যাংকে জমা আছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। ক্ষমতা হারানোর কিছুদিন আগে শহরে ১১ কোটি টাকা মূল্যে দেড় বিঘা বাড়ির জমি কিনেছেন তার স্ত্রীর পিএস জোহার নামে। মেহেরপুর শহরের দীঘিরপাড়ায় ৭ কোটি টাকা মূল্যের ৯ বিঘা জমি আছে। শহরের পিটিআইয়ের সামনে তার বাবার নামে সরকারি টেক্সটাইল কলেজ নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণকৃত এক বিঘা জমিটি তিনি ২০ লাখ টাকায় কিনে পরে সরকারের কাছে ৭ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন। সদর উপজেলার বুড়িপোতা, হরিরামপুর, ইছাখালী, মদনা, আমঝুপি, শ্যামপুর ও মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর, মোনাখালী ও আনন্দবাস এলাকায় বাড়ি ও চাষাবাদের শতবিঘা জমি কিনেছেন বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন।




দামুড়হুদায় মাস্টার্স ছাত্রকে কুপিয়ে হ’ত্যা

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বদনপুর গ্রামের মাঠে মাসুদ রানা রঞ্জু (২৩) নামের এক মাস্টার্স পড়া ছাত্রের এলোপাতাড়ি কোপানো মরদেহ উদ্ধার করেছে দামুড়হুদা থানা পুলিশ। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত রঞ্জু বদনপুর গ্রামের আজিজু রহমান মীরের ছেলে। গতকাল রবিবার রাত ৮টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে সংবাদের সত্যতা পান। চুয়াডাঙ্গা সহকারী পুলিশ সুপার কনক কান্তি দাস, দামুড়হুদা সার্কেল এ এস পি জাকিয়া সুলতানা ও দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

নিহতর পিতা আজিজুর মীর বলেন, গতকাল রবিবার সকাল ৯টার দিকে মাঠে ভুট্টা খেতে পানি দিতে যায় রঞ্জু। দুপুর দুইটার দিকে আমি রঞ্জুর জন্য খাবার নিয়ে মাঠে গিয়ে তাকে খুঁজে পায়নি। এসময় তার মোবাইলে কল দিলেও রিসিভ না হওয়ায় আমি বাড়ি ফিরে আসি। সন্ধ্যায় মাগরিবের পরেও যখন রঞ্জু বাড়ি না আসে তখন আমি কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ছেলেকে মাঠে খুঁজতে যায়। জমির আসপাশে খুঁজে না পেয়ে ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে খোঁজা খুঁজির এক পর্যায় তাকে মাটিতে পরে থাকতে দেখি।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রাত ৮টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বার থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল বদনপুর গ্রামের ভোলার বাগানের মাঠে একটি ভুট্টা ক্ষেতে মাস্টার্স এর ছাত্র রঞ্জুর লাশ দেখতে পায়। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের ক্ষত দেখতে পাওয়া গেছে। আমরা এখনো (রাত সাড়ে ১০ টা) ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি। পিবিআইকে সংবাদ দেওয়া হয়েছে।

পিবিআই সদস্যরা এসে আলামত সংগ্রহ করার পর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হবে।




দামুড়হুদায় অপারেশন ডেভিল হান্টে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

দামুড়হুদায় অপারেশন ডেভিল হান্টে নাটুদাহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল রবিবার রাত ১০টার সময় তাকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত হলো দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রবাস গ্রামের বাজার পাড়ার মৃত ওয়াজ্জেদ আলী বিশ্বাস এর ছেলে যুবলীগ নেতা মোঃ হাসানুজ্জামান পিন্টু (৪৯)। বিষয় টি নিশ্চিত করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হুমায়ূন কবির।

পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, জমির চাষাবাদ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বাদীর সহিত আসামীদের বিরোধ চলে আসছিলো। উক্ত বিরোধের কারণে কিছু দিন ধরে আসামীরা বাদীকে মারধরসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকী ধামকি দিয়ে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৮/০২/২০২৫ইং তারিখ সকাল ১১টার দিকে দামুড়হুদা থানাধীন হাতিভাঙ্গা গ্রামের কই মারির মাঠে বাদী কৃষি কাজ করা অবস্থায় আসামীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো হাসুয়া দিয়ে বাদীর মাথা লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি কোপ মারিলে তা ঠেকাতে গিয়ে তার বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও মধ্যমা আঙ্গুলে কেটে রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম হয়। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এরই প্রেক্ষিতে মামলার ঘটনার সহিত জড়িত থাকায় তাকে অপারেশন ডেভিল হান্ট উপলক্ষ্যে গ্রেফতার করা হয়।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকালই আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।




ঝিনাইদহে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে রানা মণ্ডল (৩৫) নামের এক যুবকের গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার সড়াতলা গ্রামের নিজ ঘরের আড়া থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

রানা মন্ডল ওই গ্রামের মঈনুদ্দিন মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রানার স্ত্রী শম্পা খাতুনকে আটক করেছে।

প্রতিবেশীরা জানান, স্ত্রীর সাথে বেশ কিছুদিন ধরে বনিবনা হচ্ছিল না রানার। প্রতিনিয়ত তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো।

এ ব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি এম এ রউফ খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।’




ঝিনাইদহে ঘোড়া জবাই করে মাংস চুরি

ঝিনাইদহ সদরের হাটগোপালপুরে রাতের আঁধারে ঘোড়া জবাই করে চামড়া ফেলে রেখে মাংস নিয়ে গেছে কে বা কারা।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থানীয়দের নজরে আসে বিষয়টি। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে হাটগোপালপুর বাজারে একটি ঘোড়া আসে। সেই থেকে ওই ঘোড়াটি বাজারের আশপাশে ঘুরে বেড়াতো। পাশের স্কুল মাঠে অধিকাংশ সময় থাকতো। গতকাল শনিবার রাতের আঁধারে ওই ঘোড়াটিকে জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে কে বা কারা। সে সময় চামড়া, মাথা ও ভুঁড়ি স্কুলমাঠে ফেলে রেখে যায়।

স্থানীয়রা ধারণা করছেন, ঘোড়াটি জবাই করে মাংস নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে কেউ নিয়ে যেতে পারে। ওই বাজারের ব্যবসায়ী রইচ উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাজারে ঘোড়াটি ঘোরাঘুরি করতো। ঘোড়াটির কোনো মালিক ছিল না। আমরা স্থানীয় মাঝেমধ্যে তাকে খাবার খেতে দিতাম।
আজ সকালে বাজারে এসে ঘোড়াটি কোথাও দেখতে পাইনি। পরে স্কুলমাঠে ঘোড়ার মাথা, চামড়া ও ভুঁড়ি পড়ে থাকতে দেখি। রাতের অন্ধকারে ঘোড়াটি কেউ জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে।’ রবিউল ইসলাম নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ওই ঘোড়ার মাংস অন্য মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে আমাদের এখানে বিক্রি করা হবে না, এর কোনো নিশ্চয়তাও দেখছি না।’

সদর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘ঘোড়ার মাংস মানুষের খাওয়ার উপযোগী না। ঘোড়ার মাংসে মাত্রাতিরিক্ত অ্যাসিড থাকে। ফলে ঘোড়ার মাংস খেলে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।’

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো।’




কোটচাঁদপুরে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা

কোটচাঁদপুর পৌর মহিলা কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের প্রধান অতিথি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) শরিফুজ্জামান তুুহিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠাতা এডহক কমিটির সদস্য কামরুন্নাহার, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সাবেক মেয়র এস.কে.এম সালাহ উদ্দীন বুলবুল সিডল,এডহক কমিটি বিদ্যোৎসাহী সদস্য রবিউল ইসলাম।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন অত্র কলেজের প্রভাষক সাইফুল ইসলাম মিন্টু, জাহাঙ্গীর হোসেন,নজরুল ইসলাম মিন্টু, সাইদুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, মমতাজুর রহমান, সাংবাদিক মঈন উদ্দিন খান, জামাল সরদার ।

উদ্বোধনের আগে অনুষ্ঠিত হয় দলীয় নিত্য ও আলোচনা সভা। এরপর অতিথিবৃন্দ উদ্বোধন করেন বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২৫। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রভাষক হাসিনা ফেরদৌস।




হোয়াটসঅ্যাপে অটো অনুবাদ হবে মেসেজ, জেনে নিন কীভাবে

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন ফিচার নিয়ে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ। টেনশনমুক্ত আর কোনো বিড়ম্বনা ছাড়াই কাজ করবে সাবলীল। ট্রান্সলেশন সুবিধা আরও উন্নত হওয়ায় বদলে দেবে আপনার জীবনের গতিপথ। এবার চ্যাট করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুবাদ হবে মেসেজ। অদ্ভুদ, তাই নয় কি।

হোয়াটসঅ্যাপ সূত্রে জানা গেছে, ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা ও সুরক্ষা বজায় রেখে বিভিন্ন ভাষায় যোগাযোগ সহজ করে তুলবে। স্বয়ংক্রিয় ভাষা শনাক্তকরণ সিস্টেমে চ্যাট অনুবাদ করার আগে ব্যবহারকারীদের কথোপকথনের ভাষা ম্যানুয়ালি নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করার প্রয়োজন হবে না। নতুন সিস্টেমটি সম্পূর্ণরূপে ব্যবহারকারীর ডিভাইসে ডাউনলোড করা যাবে— এমন ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাকের মাধ্যমে কাজ করবে।

 

এই ফিচারের একটি প্রধান সুবিধা হলো— গ্রুপ চ্যাটে যোগাযোগ উন্নত করা যাবে। সাধারণত গ্ৰুপ চ্যাটে প্রায়ই একাধিক ভাষা ব্যবহার করা হয়। অনুবাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট ভাষা নির্বাচন করার বদলে হোয়াটসঅ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিটি বার্তার ভাষা শনাক্ত করবে এবং সেই অনুযায়ী অনুবাদ করবে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা নিরবচ্ছিন্ন ও ভালো অভিজ্ঞতা পাবেন।

 

আর ল্যাঙ্গুয়েজ প্যাকগুলোর ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে ব্যবহারকারীর কাছে। স্টোরেজ সেটিংসের মাধ্যমে সেগুলো মুছে ফেলতে পারবেন অথবা পুনরায় ডাউনলোড করার অপশন পাবেন।

ব্যবহারকারীদের চ্যাট অনুবাদের জন্য ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হবে না। হোয়াটসঅ্যাপ নিশ্চিত করবে যে কোনো ডেটা বহিরাগত সার্ভারে যেন না যায়। ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন বজায় রাখবে হোয়াটসঅ্যাপ।

সূত্র: যুগান্তর




দর্শনা কেরুজ চত্বরে যৌথ চিরুনি অভিযানে ৪টি বোমা উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গার অন্যতম বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানি-তে একের পর এক বোমা উদ্ধারের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশে প্রশাসনের যৌথ চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

রবিবার দুপুর ১২:৩০ মিনিটে, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলার সার্কেল এএসপি জাকিয়া সুলতানার নেতৃত্বে কেরু এলাকার ১৩৮ একরজুড়ে তল্লাশি শুরু করা হয়।

অভিযানে অংশ নেন চুয়াডাঙ্গা ডিআইওয়ান মোঃ শফিকুর রহমান খান, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি মশিউর রহমান, ৫৫ পদাতিক ডিএডি হুমায়ুন আহমেদ (সেনাবাহিনী), কেরুজ আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

অভিযান চলাকালে বেলা ২টার দিকে দর্শনা কেরুজ ক্যাথলিক গির্জার পাশে একটি ব্যাগের মধ্যে লাল কসটেপ মোড়ানো ৪টি শক্তিশালী বোমা পাওয়া যায়।

কেরুজ সিকিউরিটি অফিসার মোজাহিদুল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, কেরুজ সিকিউরিটি গার্ড ও ডিবি পুলিশ সকাল থেকেই যৌথভাবে তল্লাশি চালাচ্ছিল। এ সময় জয়নাল আবেদীন নফর সংগঠনের অফিসের পেছনে একটি পলিথিনের ব্যাগে বোমাগুলো দেখতে পান।

সঙ্গে সঙ্গে পুরো এলাকা ফিতা দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় এবং সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ ও ডিবি বাহিনী বোমার চারপাশ পাহারা দিতে থাকে।

দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর জানিয়েছেন, রাজশাহী বোমা ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। টিম আসার আগ পর্যন্ত সেনাবাহিনী, পুলিশ ও কেরুজ সিকিউরিটি বাহিনী পুরো এলাকা পাহারায় থাকবে।

এর আগে, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ কেরুজ ক্লাবের পাশে একটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে রাত ৮:৩২ মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ কেরুজ ক্লাবের সামনে পুকুরে কালো টেপ মোড়ানো বোমা পাওয়া যায়। র‍্যাব-৫ এর বোমা ডিসপোজাল টিম এসে রাত ৮:২৪ মিনিটে বিস্ফোরণ ঘটায়।

৯ অক্টোবর ২০২৪ দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের এনজিও অফিস ডাকাতির সময় একটি বোমা ফেলে যায় ডাকাত দল। সেটিও কেরুজ ক্লাব মাঠে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

চার মাসে কয়েক দফা সিরিজ বোমা উদ্ধার ও বিস্ফোরণের ঘটনায় কেরু এলাকার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর জানান, বোমাগুলো কারা রেখে যাচ্ছে, কেন রাখা হচ্ছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। রাজশাহী বোমা ডিসপোজাল টিম এসে নতুন উদ্ধার হওয়া বোমাগুলোর বিস্ফোরণ ঘটাবে।




দামুড়হুদায় প্রাথমিক জাতীয় শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা

দামুড়হুদায় দুই দিনব্যাপী প্রাথমিক জাতীয় শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতার জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার সকাল ১০ টার সময় “সুস্থ দেহ সুন্দর মন”স্লোগানকে সামনে রেখে খেলাধুলা শিশুর মনকে বিকশিত করে এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করে এই ধারাবাহিকতায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে দামুড়হুদা স্টেডিয়াম মাঠে এই প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করা হয়।

প্রধান অতিথি থেকে জাতীয় শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ মহল।

এসময় তিনি বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আমার সন্তানের মত, লেখা পড়ার পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের যেসব সন্তানরা লেখাপড়া করে, তাদেরকে আগামীর সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পাশাপাশি আমরা যারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের দায়িত্ব নিয়ে শিক্ষা দিচ্ছি। আমাদেরকে তাদের নিজ সন্তানের মত মনে করে লেখাপড়ার পাশাপাশি মেধাবৃত্তিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। আমরা এখন যারা বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দিচ্ছি এই নেতৃত্বকে আরও বেগবান করার জন্য সঠিক গুণাবলীর মাধ্যমে আগামীর প্রজন্ম হিসাবে তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে আমরা দেশের জন্য কিছু করে যেতে পারবো।

উপজেলার ১১৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে জাতীয় শিক্ষা পদক প্রযোগিতায় ৫৪ টি ইভেন্টে অ্যাথলেট, ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসানের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, উপজেলা জামায়াত ইসলামের সহকারি সেক্রেটারি আবেদ-উদ-দৌলা টিটন, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি শামসুজোহা পলাশ, সাধারণ সম্পাদক তানজির ফয়সাল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক তানভীর অনিক প্রমুখ।




ঝিনাইদহে জাতীয় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভা

ঝিনাইদহ জাতীয় নাগরিক কমিটির এক বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় নাগরিক কমিটি জেলা শাখার আয়োজনে শহরের নতুন হাটখোলা এলাকায় সংগঠনটির জেলা কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।

এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা নাগরিক কমিটির প্রধান সংগঠক নাসির আল সাদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা তারিক রেজা। আরও উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা নাগরিক কমিটির নেতা তারেক বাবু, আরেফিন কায়সার, আলাউদ্দিন জোয়ারদার, শাম্মী পারভিন, হাবিবুর রহমান, মুজাহিদুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন।

এছাড়াও কোটচাঁদপুর উপজেলার জাতীয় নাগরিক কমিটির মামুন, মোকলেসুর, হাবিবুর, মহেশপুর উপজেলার আবুল কালাম আজাদ, হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আলমগীরসহ বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দ সভায় অংশ নেন।

সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ নাগরিক অধিকার ও সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে মতামত প্রদান করেন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেণ।