মুজিবনগর ভূমি অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

মুজিবনগর উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার রবিউল ইসলাম সাগরের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

দৈনিক ইনকিলাবের মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি ও মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ফারুক মল্লিক  এই অভিযোগ দেন।

অভিযোগে জানা গেছে, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) নাম ভাঙ্গিয়ে  চলতি বছরের ১২ জুন মেহেরপুর শহরের চুলকানির মোড়ের মল্লিক ফ্যাশন হাউজ থেকে সর্বমোট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার শীতের গরম পেশাকাদী কেনেন রবিউল ইসলাম সাগর। ওই সময় সাগর তার নিজ নামের ব্যাংক একাউন্টের ৫০ হাজার টাকার একটি চেক দেন।

কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে ওই চেক জমা দিলে কোনো টাকা পয়সা নেই বলে চেকটি ডিজঅনার করেন জনতা ব্যাংক এর ম্যানেজার। পরে ডিজঅনার চেক নিয়ে অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম শাহিনের মাধ্যমে তাকে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়। সেখানে টাকা পরিশোধ করার জোর তাগিদ দেওয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসককে অবহিত করার জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দেন এবং সরাসরি সাক্ষাৎ করেন সাংবাদিক ফারুক মল্লিক। এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম তাকে আশ্বস্ত করেন।

এদিকে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন সাগর। তিনি সাংবাদিক ফারুক মল্লিক ও তার ছেলে ফরহাদ মল্লিককে উচ্চ মহলের ভয় দেখিয়ে নানা ধরনের হুমকী ধামকী দিয়ে আসছেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।

এব্যাপারে সাংবাদিক ফারুক মল্লিক ও তার পরিবারের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। রবিউল ইসলাম সাগরের বিরুদ্ধে ফারুক মল্লিক চেক ডিজঅনারের মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, এর আগেও রবিউল ইসলাম সাগর নানা অপকর্মের কারনে দীর্ঘদিন চাকরী থেকে বরখাস্ত ছিলেন। তারপরেও সে দুর্নীতি অব্যাহত রেখেছে।




মেহেরপুরে ভাগ্নের রামদার কোপে মামা হাসপাতালে;ভাগ্নের বাড়ি পুড়ালো বিক্ষুদ্ধরা  

মেহেরপুর সদর উপজেলার রঘুনাতপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাগ্নের রামদার কোপে মামা আব্দুস সালাম (৬০) ও ছোট ভাই ছামু হোসেন (৫০) মারাত্বক জখম হয়েছেন। এর প্রতিবাদে ক্ষিপ্ত লোকজন ভাগ্নে কামরুল ইসলামের বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ভস্মিভূত করেছে।

আজ রবিবার বিকালের দিকে বাড়ির জমির আম ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে মামা আব্দুস সালাম ও ছামু হোসেনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সৈয়দ কবীর তাদের ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করেন।

এঘটনায় বিকালের দিকে খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে কামরুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরী রামদা ও কিছু লাঠি শোঠা উদ্ধার করেন।

পরে পুলিশ গ্রাম থেকে চলে যাওয়ার পর মাগরিবের নামাজ চলাকালিন সময়ে ক্ষিপ্ত লোকজন কামরুল ইসলামের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।

আমঝুপি ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি সাদ আহম্মেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকৃর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারি কামরুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি রামদা ও কিছু লাঠি শোঠা উদ্ধার করেছি। সন্ধ্যার সময় তার বাড়ি পোড়ানো খব্র পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।




ঝিনাইদহে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে আড্ডা ২৪ শিক্ষার্থী আটক

ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল ও কলেজে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে আড্ডা দেওয়ায় ২৪ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।

আজ রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, শহরে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে বিপথগামী হতে না পারে, সে জন্য স্কুল টাইমে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। সেই কর্মসূচির আওতায় শহরের বিভিন্ন স্থান ও পার্কে অভিযান চালানো হয়। সে সময় বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ২৪ শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় আনা হয়। পরে অভিভাবকদের ডেকে তাদের জিম্মায় দেয়া হয়।

এর আগে গত পহেলা জুন ঝিনাইদহের বিভিন্ন পার্কে আড্ডা দেয়ায় প্রায় ৬০ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।




মেহেরপুরে কুইজ প্রতিযোগীতায় জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন

৪৪তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলা ২০২৩ উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা পর্যায়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

এছাড়া মেহেরপুর জিনিয়াস এন্ড ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ দ্বিতীয় ও মেহেরপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।

জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্র আরাফাত হোসেন, রিয়ন ও রিদয় প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

এর আগে রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মেহেরপুর জেলা পর্যায়ে কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাস, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্বাস উদ্দিন, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত জাহান উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, জেলার ৩টি উপজেলা থেকে বিজয়ীরা জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে।




গাংনীতে গোরস্থানের ছাদ ভেঙ্গে বুকে পড়ে কলেজ ছাত্র নিহত

গোরস্থানের ছাঁদে ঝুলনে ঝুলে ব্যায়াম করার সময় ছাদ ভেঙ্গে চাপা পড়ে জয় আহমেদ (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্র মারা গেছে।

নিহত জয় গাংনী সরকারী ডিগ্রী কলেজের এইচ,এস,সির প্রথম বর্ষের ছাত্র ও  উপজেলার দেবীপুর গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে।
গতকাল শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। বামন্দী ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামের মেম্বর হিরোক হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল শনিবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় তার অপর বন্ধুদের সাথে বাড়ি ফেরার পথ দেবীপুর গোরস্তানের গেইটের ছাঁদে ঝোলানো ঝুলনে ঝুল দিতে গেলে ছাদ ভেঙ্গে বুকের উপর পড়ে। তাকে সাথে সাথে উদ্ধার করে প্রথমে বামন্দীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে। ও সেখান থেকে রাতেই কুষ্টিয়া মেডিকেলে নিলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজ রবিবার সকাল ১০ টার দিকে জয়ের নামাযে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।




গাংনীতে বাবার কবর নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব; আহত-৩

বাবার কবর নিজ সীমানায় রাখতে দুই ভায়ের মধ্যে বিরোধের জের ধরে একই পরিবারের তিন জনকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে প্রতিপক্ষরা। আজ রবিবার (৪ জুন) দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটেছে গাংনী উপজেলার ব্রজপুর গ্রামে।

আহতরা হলেন, আব্দুল জলিল (৬৫) স্ত্রী পারুলা খাতুন (৫৭) ও ছেলে পারভেজ হোসেন (৩০)। আহতরা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহত পারভেজ জানান, দাদা ও দাদীর কবর আমাদের জমির মধ্যে আছে। আমার চাচা দাদা দাদীর কবরটি নিজেদের দখলে নিতে চাই। আমরা দাদা ও দাদীর কবরটি আমাদের ভাগে রেখে তাদের অন্য জমি দিতে চাইলে তারাও কবর তাদের মধ্যে রাখতে চাই। এনিয়ে চাচা আহারুলের সাথে আমার বাবা আব্দুল জলিলের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আমার চাচা আহারুল ও তার ছেলে রিপন হোসেন আমার উপর হামলা চালায়। তারা ইট ও কোদাল দিয়ে আমাদের তিনজনকে মারধর করে চলে যায়।
এঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সরের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎক ফারুক হোসেন জানান, আহত আব্দুল জলিলের মাথায় সেলাই হয়েছে এবং বাকীদের শরীরে ফোলা জখম হয়েছে। তাদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।




মেহেরপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় গর্ভে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট সোনিয়া আহমেদের দায়িত্ব অবহেলায় প্রসুতির গর্ভে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ সময় উত্তেজিত রোগীর স্বজনদের সাথে চিকিৎসক ও নার্সদের বাকবিতণ্ডা, হাতাহাতি এবং মৃত শিশুর পিতা রনিকে হাসপাতালের একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগও উঠেছে।

এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) মোখলেছুর রহমান পলাশকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে । তদন্ত কমিটিকে ২ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশুটির পিতার বাড়ি মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামে।

রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে জানান, গত বৃহস্পতিবার (০১ জুন) সকাল ৬টার দিকে রিতা খাতুন ওরফে মিতুকে সন্তান প্রসব করানোর জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথম দিকে রোগীর অবস্থা ভাল থাকলেও পরবর্তীতে শিশুটির হার্টবিট পাওয়া যায় না। দুই দিন ধরে রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও গাইনি কনসালটেন্ট ডা. সোনিয়া আহমেদ একবারও রোগী দেখতে আসেননি। শুক্রবার রাতে অবস্থা খারাপ হওয়ায় রোগীর স্বজনরা রোগীকে হাসপাতালের পাশে অবস্থিত এ্যাপোলো নার্সিং হোম নামের একটি ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রোপাচার করান এবং শিশুটি মৃত ভূমিষ্ট হয়। এরপরপরই রোগীর স্বামী রনিসহ স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে ছুটে যান।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এ ঘটনার সময় আমরা ওয়ার্ডেই ছিলাম। শিশুটির পিতা ওয়ার্ডে এসে জানতে চেয়েছিল কি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের স্টাফরা কেউ কিছু না বলাতে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ডাক্তার ও নার্সরা তাকে ঘরে আটকে রেখে মারধর শুরু করে। মারধর ও চিকিৎসা অবহেলার বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনজুরুল হাসান বলেন, ‘রোগীর কোন চিকিৎসার গাফিলতি হয়নি। যারা অভিযোগ করছে তাদের কোন প্রকার মারধরও করা হয়নি।’

কর্তব্যরত নার্স শারমিন আক্তার বলেন, ‘আমাদের ম্যাডামের অনুমতি আছে বাচ্চার হার্ট বিট না পেলে আল্ট্রাসনোগ্রাফী করাতে হবে। আল্ট্রাসনোগ্রাফী রিপোর্ট যখন আমরা পাবো তখন ইমারজেন্সি ডাক্তারকে জানাবো।’ বাচ্চা মারা গেলে দায়ভার কে নেবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাচ্চা মারা গেলে কারো কিছু করার নেই।’

মেহেরপুর সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে জরুরী বিভাগে সমস্যা হয়েছে জানতে পেরে আমাদের টিম সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।’

তবে অভিযুক্ত গাইনি কনসালটেন্ট সোনিয়া আহমেদ বলেন, চিকিৎসায় কোন অবহেলা করা হয়নি। বৃহস্পতিবারে আমার আদালতে মামলার দিন থাকায় হাসপাতালে ডিউটি করতে পারিনি। বাচ্চা সম্পূর্ণ স্স্থু ছিলো। কিন্তু রোগীর হাই রিস্ক ছিলো। যে কারণে রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌখিক রেফার্ড করা ছিলো। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকে জানিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বলা লাগে না। আমাদের রেজ্টিার খাতায় লেখা থাকে।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক জমির মো. হাসিবুস সাত্তার বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হাসপাতালের আরএমও কে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার গাইনি কনসালটেন্ট আদালতে গিয়েছেন বলে ছুটি নিয়েছেন বললেও তিনি হাসপাতাল থেকে কোন ছুটি নেননি কিংবা কাউকে জানাননি।




আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র তৃণমুল মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দিতে আওয়ামীলীগ নেতা এম এ এস ইমনের উদ্যোগে গণ সংযোগ, বুকলেট ও প্রচারপত্র বিলি অব্যাহত রেখেছেন। গত তিন মাসে তৃণমুল পর্যায়ের মানুষের মাঝে প্রায় ৬০ হাজার বুকলেট বিতরণ করা হয়েছে।

বুকলেটে বর্তমান সরকার ও অতীতের বিএনপি সরকারের তুলনামুলক উন্নয়নচিত্র দেওয়া হয়েছে।

প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সদর ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের মধ্যে সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরছেন ও নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছেন।

আওয়ামীলীগ নেতা এমএএস ইমন বলেন, ‘মানুষ সুখে থাকলে দুঃখের কথা ভুলে যায়। তাই উন্নয়নের কথা তাদের কাছে গিয়ে বলছি। দেশের উন্নয়নে ও জনগণের কল্যাণে আওয়ামীলীগ সরকার যেসব কর্মসূচি নিয়েছে, সেগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরছি।’

‘আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতেও কাজ করছেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

তিনি বলেন, এসব কাজের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগের জনসমর্থনও বাড়ছে। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে এই কথাটি সবার মাঝে তুলে ধরছি।

তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগের শক্তি। সারাদেশে গৃহহীনদের জন্য সরকার ঘর করে দেওয়ার যে উদ্যোগ হাতে নিয়েছে ও যে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে, তা তাদের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছায় একইসঙ্গে বিধবা ও বয়স্কসহ যেসব ভাতা দেওয়া হয় সেগুলোও তুলে ধরছি।

গ্রামে-গঞ্জে সবার কাছে মাদকের কুফল তুলে ধরতে হবে। আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর খুনি, স্বাধীনতাবিরোধী, দুর্নীতিবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীরা যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে।

সরকারের আমলে আমাদের ‘গ্রামের রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সেগুলোও মানুষের মাঝে তুলে ধরছি।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের লক্ষ্য দেশের সার্বিক উন্নয়ন। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছে বলেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোলমডেল হয়েছে।’

এদিকে, এম এ এস ইমনের অনুপস্থিতেও তার বুকলেট ও তার পক্ষে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বেলাল হোসেন, ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, মাসুদ রানা, ফারুক হোসেন, সানারুল ইসলাম, ফাহিম, শিশির, সাজিদ, দেলোয়ারসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।




গাংনীতে পুলিশ কনস্টেবলের মরদেহ উদ্ধার

মেহেরপুরের গাংনী থানার এলাঙ্গী ক্যাম্পের কনস্টেবল আবু সাহেদ (২৫) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আবু সাহেদ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে। সে গাংনী থানার এলাঙ্গী পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। তার কনেস্টাবল নং ৭১৬।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৮ টার সময় তার কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গাংনী থানার ওসি আব্দির রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এলাঙ্গী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সুফল কুমার বলেন, রাতে নাইট ডিউটি শেষে তার কক্ষে যায় কনস্টেবল আবু সাহেদ। কিছুক্ষণ পর এক কনস্টেবল খবর দেন সাহেদের মুখে দিয়ে ফ্যাপড়ানি জাতীয় বের হচ্ছে। পরে সেখানে গিয়ে তার হাত পা নেড়ে দেখি শরীর ঠান্ডা শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ। ওসি স্যারের সাথে যোগাযোগ করলে তখনি হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন মনে হচ্ছে কেমিকেল জাতীয় কিছু খেয়েছে। তবে, পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।




মেহেরপুরে ৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

মেহেরপুর- কুষ্টিয়া সড়কের জোড়পুকুর চোখতোলার মাঠ নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ কেজি ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ এক জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে র‌্যাব সিপিসি মেহেরপুর ক্যাম্পের কমাণ্ডার সিনিয়র এএসপি গোলাম ফারুকের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। আটক আলফাজ শেখ(৫৩) গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান শেখের ছেলে। এ সময় তার নিকট থেকে মাদক-ক্রয় বিক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি পুরাতন বাই সাইকেল, ১টি মোবাইল ফোন এবং ৩০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

র‌্যাব জানায় জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, দীর্ঘদিন যাবৎ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে মেহেরপুর জেলাসহ পাশ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য বিভিন্ন মাদকসেবীর নিকট ক্রয় বিক্রয় করে আসছিল আলফাজ। গ্রেফতারকৃত আসামীকে গাংনী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।