দর্শনায় ৫০ বোতল ফেনসেডিল উদ্ধার

দর্শনায় ৫০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে দর্শনা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পলাতক হিসাবে শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে।

জানাগেছে গত শনিবার দিনগত রাত ২ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদের নেতৃত্বে অভিযান চালায় মদনা গ্রামে।

এ সময় দর্শনা থানার এসআই সোহেল রানা, এএসআই মামুনুর রহমান, সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক বিরোধী অভিযান চালায় মদনা (মাঝপাড়া) গ্রামস্থ জনৈক শাহাবুদ্দীন (৪২) এর পশ্চিম দুয়ারী দো-চালা আধাপাকা টিনশেড গোয়াল ঘরের মধ্যে। পুলিশ গোয়াল ঘরের মধ্যে থেকে পিলাষ্টিকে মোড়ানো ৫০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় পুলিশ পলাতক হিসাবে মদনা গ্রামের মৃত রুহুল আমীনের ছেলে শাহাবুদ্দীনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করেছে।




দামুড়হুদায় ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক উপলক্ষে আলোচনা সভা

দামুড়হুদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর মুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, র্যালী, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ  রবিবার সকাল ৯টায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, দামুড়হুদাৃ সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান, সহকারী ব্যান বেইস অফিসার আব্দুল কাদির, সহকারী শিক্ষা অফিসার ছবির উদ্দিন, যুব উন্নয়ন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ অফিসার ডাক্তার রাকিব, দামুড়হুদা মডেল থানা তদন্ত ওসি শফিউল আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, দামুড়হুদা বাজার কমিটির সভাপতি মাকসুদুর রহমান রতন প্রমূখ।

সভায় সভাপতি দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তির ৫০তম বছর। ১৯৭৩ সালের বঙ্গবন্ধুর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদক তুলে দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালে এই অবিসংবাদিত নেতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এর মাত্র দুই বছর পরে বিশ্বশান্তি পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পদকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করে।

বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বিশ্বের ১৪০টি দেশের প্রায় ২০০ সদস্যের উপস্থিতিতে ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন, আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপট বিবেচনায়, বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদক প্রাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করেন। পরের বছর ১৯৭৩ সালের ২৩ মে, এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেই পদক বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে দেন পরিষদের ততকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র। সেই অনুষ্ঠানে রমেশচন্দ্র বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু। স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রনেতার এটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ।

অনুষ্ঠান শেষে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।




কোটচাঁদপুরের তালসার গ্রামের বোমার বিস্ফোরণ শিশুসহ আহত ৩জন

কোটচাঁদপুরের তালসার গ্রামের বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। ওই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন। তবে ওই ঘটনায় থানায় এখনো কোন মামলা হয়নি।

জানা যায়, গত শনিবার রাতে ১০ টার দিকে ছাদের উপর কিছু একটা পড়ার শব্দ পান সন্টু পাঠান।

আজ রবিবার বেলা ১১ টা দিকে মোবাইলে ফোন করে চাঁদা দাবি করেন ৫ লাখ টাকা। পরে স্মরন করিয়ে দেন বোমার কথা। বলেন,তুই এখনো মরিসনি। কালকে বোমাটা তাহলে বিস্ফোরন হয়নি। এ কথা বলে ফোন কেটে দেন তিনি। এরপর থেকে সারা বাড়ি বোমা খুজতে থাকি। তবে কোথাও পাওয়া যায় না।

তিনি বলেন,তখন বিকাল ৫ টা বাজে। আমার ছেলে বন্ধন পাঠান (৯) ও মেয়ের ছেলে খালিদ হোসেন ৮মাস ও ভাইয়ের মেয়ে মারিয়া খাতুন (১২) বাড়ির উঠানে খেলছিল।

এ সময় হাতে পায় অবিস্ফোরিত সেই বোমাটি। হঠাৎ করে বোমাটি হাত থেকে পড়ে যায়। এরপর বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।

এতে করে শিশু খালিদ হোসেন (৮মাস) ও মারিয়া খাতুন (১২)গুরুতর আহত হন। এছাড়া বোমার পিন্টার আহত হন বন্ধন পাঠান (৯)। আহদের তিনজনের মধ্যে দুইজন কে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রমিজ উদ্দিন (তপু) বলেন,তাদের গায়ে বোমার পিন্টারের চিহ্ন আছে। চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা তেমন গুরুতর না বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী বলেন,খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।




জীবননগরে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পুর্তি উদযাপন

জীবননগরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পুর্তি উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা চত্বর থেকে একটি র‌্যালীবের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের হলরুমে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জীবননগর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্রর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দিন মৃধা, জীবননগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান প্রমুখ।




কোটচাঁদপুর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন করেছেন কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসন।  আজ রবিবার সকালে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে এ অনুষ্ঠান করা হয়।

সহকারী কমিশনা (ভূমি) নিরুপমা রায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কোটচাঁদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মোছাঃ শরিফুননেসা মিকি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারজেল হোসেন মন্ডল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান, প্রাণী সম্পাদক কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, কোটচাঁদপুর পৌর কাশিপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির, কোটচাঁদপুর পৌর মহিলা ডিগ্রি কলেজর অধ্যক্ষ মৃনাল ক্লান্তি সরকার, কোটচাঁদপুর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসাহক আলী।

এর আগে জুলি কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূতিতে বিভিন্ন স্কুল কলেজ আলোচনা সভা ও কুইজ প্রতিযোগিতা করা হয়। পরে প্রতিযোগিদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি।




গাংনীতে ভূমি সেবাসপ্তাহ উপলক্ষে জনসচেতনতামুল আলোচনা সভা

গাংনীতে ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে জনসচেতনতামুল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার বিকেলে গাংনী উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মুনতাজ আলী।

এসময় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান আতু, দলিল লেখক মোকাদ্দেস আলী প্রমুখ।

আয়োজনের শুরুতে ভূমি সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।




বাংলার চাষী – মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ

মাথার ঘাম পায়ে ফেলে
ফসল ফলায় চাষী,
তাইতো মোরা সবাই মিলে
ওদের ভালবাসি।

ওদের গায়ের ঘামে ফলে
সোনালী ফসল,
ফসল দেখে তাদের মনে
বাড়ে মনোবল।

সবুজ বাংলা গড়ে ওঠে
ওদের অবদানে,
জয়গান গাই ওদের তাই
হাসি-খুশী মনে।

সকল দেশের চাইতে সেরা
আমার দেশের চাষা,
প্রাণভরে জানাই তাই
ওদের ভালবাসা।




ব্রাজিলের অভিনেতার রহস্যজনক মৃত্যু

কয়েকমাস নিখোঁজ থাকার পর মাটির নিচে কাঠের বাক্সে পাওয়া গেছে ব্রাজিলের জনপ্রিয় অভিনেতা জেফেরসন মাচাডোর-এর মরদেহ। ৪৪ বছর বয়সী এ অভিনেতার রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে তোলপাড়।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চার মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন জেফেরসন। তার ৮টি কুকুর আছে। বাড়িতে একা খুঁজে পাওয়া যায় সেই কুকুরদের। তাদের মধ্যে দু’টি মারাও গিয়েছে। এটি গত ৯ ফেব্রুয়ারির ঘটনা।

জানা যায়, জেফেরসনের ৭৩ বছর বয়সী মা মারিয়া দাস ডোরেসের এক মেসেজ পেয়েছিলেন। যেখানে একাধিক ভুল বানানে ভর্তি একটা মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। যেখানে জেফেরসনের একটি মেসেজ আসে। সেখানে বলা হয়, তার ফোন কমোডে পড়ে গিয়েছে। তাই তিনি ভিডিও কল করতে পারছেন না। এরপর শেষ কথা হয় গত ২৯ জানুয়ারি। তারপর থেকে তার ফোনের লোকেশন নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। ক্লাউডের পাসওয়ার্ডও বদলে গিয়েছে।

ঘটনার কয়েকদিন পরেই জেফেরসনের রিও ডি জেনেরিওর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে মাটির তলা থেকে কাঠের বাক্সে হাত পা বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহ পাওয়া যায় নায়কের। মাটির ৬.৫ ফুট তলা থেকে বাক্সটি পাওয়া যায়।

সেই বাড়ির মালিক দাবি করেন, তিনি অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তিকে ভাড়া দিয়েছিলেন এই বাড়ি। যে কিনা মাচাডোকে চেনে বলে দাবি করেছে। সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে, গত মাসে সেই বাড়িতে ঢুকছেন ওই ব্যক্তি।




ডর্টমুন্ডের স্বপ্নভঙ্গ করে শিরোপা জিতলো বায়ার্ন

জামাল মুসিয়ালার শেষ মুহূর্তের গোলে কোলনকে ২-১ গোলে হারিয়ে বুন্দেসলিগার শিরোপা ধরে রাখলো বায়ার্ন মিউনিখ। আর এই জয়ে কপাল পড়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের। ঘরের মাঠে মেইঞ্জের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করায় আগের রাতে টেবিলে এগিয়ে থাকা ডর্টমুন্ড শিরোপা বঞ্চিত হয়েছে।

জার্মান ফরোয়ার্ড মুসিয়ালা দীর্ঘদিন দলের এই জয় মনে রাখবেন। কারণ তার গোলেই বুন্দেসলিগায় বায়ার্নের টানা ১১তম শিরোপা নিশ্চিত হয়েছে। মৌসুম শেষে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ডর্টমুন্ডের সঙ্গে সমান ৭১ পয়েন্ট থাকলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শিরোপা ধরে রাখে বাভারিয়ানরা।

জিততে পারলেই ডর্টমুন্ডের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেত। কিন্তু ২৫ মিনিটের মধ্যে তারা ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে। তার উপর স্ট্রাইকার সেবাস্টিয়েন হলার পেনাল্টির সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। নাহলে ১৯ মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারতো সফরকারীরা। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য দুই গোল পরিশোধ করে ডর্টমুন্ড। কিন্তু এই এক পয়েন্ট শিরোপার জন্য যথেষ্ঠ ছিল না।

বায়ার্ন ম্যানেজার থমাস টুখেল গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘শিরোপা জয়ের পর উদযাপনটা কঠিন ছিল। কারণ ক্লাবের পক্ষ থেকে শিরোপা জয় সত্বেও প্রধান নির্বাহী অলিভার কান ও স্পোর্টিং ডাইরেক্টর হাসান সালিহামিডিজের বরখাস্তের ঘোষণা এসেছে। জয়ের উৎসব বাদ দিয়ে এখন আমাদের অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে। গতকালই আমি এই সিদ্ধান্ত জানতে পেরেছি।’

ডর্টমুন্ডের ম্যানেজার এডিন টারজিক বলেছেন, ‘এই ধরনের বিষয় মেনে নেওয়া সত্যিই কঠিন।’ শেষ দিনে মাঠে নামার আগে ডর্টমুন্ড দুই পয়েন্টে এগিয়ে টেবিলের শীর্ষে ছিল। বায়ার্ন জানতো শুধুমাত্র জয়ই তাদের শিরোপা ধরে রাখতে সহায়তা করবে। একইসঙ্গে ডর্টমুন্ডের পরাজয়ের আশাও তারা করেছে।

ফরাসি ফরোয়ার্ড কিংসলে কোম্যান ম্যাচের আট মিনিটে এগিয়ে দেন বায়ার্নকে। ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগে ডিয়ান লুবিসিট পেনাল্টি থেকে কোলনকে সমতায় ফেরান। কিন্তু শেষ মিনিটে মুসিয়ালার গোলে বায়ার্নের শিরোপা নিশ্চিত হয়।

দিনের শুরুতে সিগন্যাল ইদুনা পার্কে ডর্টমুন্ডের শুরুটা দারুণ হয়েছিল। কিন্তু ১৫ মিনিটে কর্ণার থেকে আন্দ্রেস হাঞ্চে-ওলসেনের গোলে পিছিয়ে পড়ে ডর্টমুন্ড। চার মিনিট পর রাফায়েল গুয়েরেইরোকে ফাউলের অপরাধে ডর্টমুন্ড পেনাল্টি আদায় করে নেয়। কিন্তু হলার সেই সুযোগ হাতছাড়া করলে সমতায় ফেরা হয়নি ডর্টমুন্ডের। ২৪ মিনিটে করিম ওনিসিও পোস্টের খুব কাছে থেকে হেডের সাহায্যে বল জালে জড়িয়ে মেইঞ্জের ব্যবধান দ্বিগুন করেন।

আগের তিন ম্যাচে ১৫ গোল করা ডর্টমুন্ডকে এসময় কিছুটা নার্ভাস দেখা গেছে। গোলমুখে গিয়ে বারবার তারা ব্যর্থ হয়েছে। আর এই সুযোগে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে একের পর এক আক্রমণ করে গেছে মেইঞ্জ। ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগে গুয়েরেইরো স্বাগতিকদের লড়াইয়ে ফেরার স্বপ্ন দেখান। ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে নিকোলাস এক গোল করলে ডর্টমুন্ড সমতায় ফেরে। কিন্তু জয় বঞ্চিত হয়ে শিরোপা ছোঁয়া আর হলো না।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে ‘নগদ’ বিড়ম্বনায় উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

উপবৃত্তি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মেহেরপুরের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের কাছে উপবৃত্তির তালিকায় নাম থাকা সত্বেও টাকা পাওয়া যায়নি। আবার অনেকের অভিযোগ শিক্ষকদের বারবার বলার পরে কয়েকজন পেলেও তা সঠিক সময়ে পাচ্ছেনা। আবার অনেকেই উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ার বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো সত্বেও সুরাহা না হওয়ায় তারা দুশ্চিন্তাই পড়েছেন। শিক্ষার্থীরা টাকা না পাওয়ায় শিক্ষকরাও নানা সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছেন।

জানাগেছে, মেহেরপুর জেলার তিনটি উপজেলায় ৩০৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এ সকল বিদ্যালয়ে এবছর প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীতে ১১ হাজার ৯৯৮জন, প্রথম শ্রেনীতে ১৪ হাজার ২১৫জন, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ১৩ হাজার ৯৩৫জন, তৃতীয় শ্রেণীতে ১৩ হাজার ৫৯১জন, চতুর্থ শেণীতে ১৩ হাজার ১৮৭জন এবং পঞ্চম শ্রেণীতে ১২ হাজার ৭৬০জন শিক্ষার্থী লেখাপাড়া করে।

এসকল শিক্ষার্থীদের প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীতে ৭৫ টাকা এবং অন্যান্য শ্রেনীতে মাসিক ১৫০ টাকা করে সরকার বছরে দুইবার প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মোবাইলের মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান করে থাকেন। প্রাথমিক ভাবে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে প্রদান করা হলে টাকা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে তা পরিবর্তন হয়ে ‘বিকাশ’ একাউন্টের মাধ্যমে প্রদান করা হতো। বিকাশের মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদানের সময় একটি ম্যাসেজের মাধ্যমে উপকারভোগীতে নিশ্চয়তা বার্তার মাধ্যমে তা জানানো হতো। পরে বিকাশ পরিবর্তন করে বর্তমানে ‘নগদ’ একাউন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে। ‘নগদ’ একাউন্টের মাধ্যেমে টাকা প্রদানের পর উপকারভোগীদের মোবাইলে কোন নিশ্চয়তা বার্তা(ম্যাসেজ) না দেয়ায় অনেকেই ধুয়াশায় পড়ে থাকেন। টাকা না পাওয়া শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কাছে জবাব দিহিতার মধ্যে পড়েন বিদ্যালয় শিক্ষকরা।

গাংনী উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রযেছে ১৬২টি। এখানে শতভাগ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির আওতায় নিয়েছে বর্তমান সরকার। অথচ সরকারের এই প্রচেষ্টা বাস্তবায়নে নিয়োজিতদের অবহেলায় অনেক শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।

গাংনী সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভেজ সাজ্জাদ রাজা বলেন, তার বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ১৫৮জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে ২৯জন শিক্ষার্থী এবছর উপবৃত্তির টাকা পায়নি। বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানানো হলেও কোন সুরাহা মেলেনি। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাইম, আলজারির, রাধিকা জানায়, তাদের সহকর্মীরা অনেকেই উপবৃত্তির টাকা পেয়েছে। আমরা আজও পাইনি। স্যারদের মাঝে মধ্যে বলি কিন্তু কোন কাজ হয়নি।

বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুন্নাহার জানান, উক্ত বিদ্যালয়ে ১৪০জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। এদের মধ্যে ১০জন শিক্ষার্থী এবছর উপবৃত্তির টাকা পায়নি। উপবৃত্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা আমাদের কাছে আসলেও কোন উত্তর দিতে পারিনা এমনকি আমরা কোথায় অভিযোগ করবো তাও জানিনা। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আছিয়া, তাছিম, উম্মে সালমা, হাবিবা, লিমা এমন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, শিক্ষকরা বলে তোমাদের নাম উপবৃত্তির তালিকায় আছে, কিন্তু আজও টাকা আসেনি। আমাদের কয়েকবার মোবাইল নাম্বার সঠিক আছে কিনা তা দেখা হয়েছে। সব ঠিক আছে কিন্তুু টাকা আসেনা।

জানা গেছে ২০০১ সালে শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য কর্মসুচীর পরিবর্তন করে প্রথমে ছাত্র প্রতি মাসিক ২০ টাকা হারে এবং ২০০২ সালের জুলাই হতে শতকরা ৪০ ভাগ শিক্ষার্থীকে মাথাপিচছু ১০০ টাকা করে উপবৃত্তি প্রদান কার্যক্রম চালু করা হয়। বিভিন্ন চড়াই উৎরায় পেরিয়ে ২০১৯ সালের দিকে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিং ‘নগদ’ মাধ্যমে প্রদান করা হয়। যে মাধ্যমে টাকা আদান প্রদানে গ্রাহক কে কোন ম্যাসেজ দেয়া হয়না।

শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ার বিষয়ে গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দীন জানান, উপবৃত্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা আমাকে মৌখিক অবহিত করেছেন। আমি তাদের তালিকা করে পাঠাতে বলেছি। তালিকা পেলে বিষয়টি নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভুপেশ রঞ্জন রায় বলেন, গত বছর মেহেরপুর জেলায় প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর উপবৃত্তিতে সমস্যা হয়েছিল। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি আমরা টাকা প্রদান কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে পরে সকলেই টাকা পেয়েছিল। এ বছরের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে উপবৃত্তির টাকা না পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।