মেহেরপুরে প্রবীণদের দিনব্যাপী মিলন মেলা

মেহেরপুরে দিনব্যাপী প্রবীণ মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামবাসীর উদ্যোগে এ মিলন মেলার আয়োজন করা হয়। এতে এলাকার প্রায় ২০০ প্রবীণ অংশ নেন।

মিলন মেলায় আয়োজিত হয় শৈশবের বিভিন্ন খেলাধুলা, যা প্রবীণদের আনন্দে মাতিয়ে তোলে। আয়োজকেরা জানান, ইন্টারনেট আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাবে গ্রামীণ ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে, তাই তারা প্রতিবছর এমন আয়োজন চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।

মিলন মেলায় প্রবীণরা অংশ নেন চেয়ার সিটিং, ফুটবল, বালিশ খেলাসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলায়। অনুষ্ঠানের শুরুতে তরুণরা প্রবীণদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। সকালের নাস্তায় পরিবেশিত হয় গ্রামীণ ঐতিহ্যের চিড়া, মুড়কি, দই, গুড় ও মিষ্টি। দুপুরের খাবারে ছিল ভাত, খাসির মাংস, সবজি ও ডাল।

দিনশেষে খেলাধুলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। মিলনমেলা শেষে সবাই একে অপরের সুস্থতা কামনায় দোয়া করেন।

আয়োজক কমিটির সদস্য রকিবুল ইসলাম বলেন, “গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা গত পাঁচ বছর ধরে এই আয়োজন করে আসছি। আমাদের লক্ষ্য, প্রবীণরা যেন একদিনের জন্য হলেও শৈশবে ফিরে যেতে পারেন এবং সব দুঃখ-ক্লান্তি ভুলে আনন্দে মেতে উঠতে পারেন। ভবিষ্যতেও এই আয়োজন অব্যাহত থাকবে।”




পবিত্র কাবা শরীফে বিয়ে করলেন কুবরা ও গওহর

অবশেষে তিন কবুলের মাধ্যমে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুবরা খান ও অভিনেতা গওহর রশিদ। বুধবার মক্কার পবিত্র কাবা শরিফে তারা এ প্রবিত্র কাজ সারেন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) যৌথ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তারা তাদের বিয়ের সংবাদটি জানান। বিয়ের পাশাপাশি বর্তমানে তারা উমরাহ পালন করছেন।

ইনস্টাগ্রামের যৌথ পোস্টে তারা লিখেছেন, আল্লাহর কুরসির নিচে…৭০ হাজার ফেরেশতা সাক্ষী এবং রহমত আমাদের ওপর বৃষ্টির মতো বর্ষিত হচ্ছে… কবুল।

তাদের শেয়ার করা দুটি ছবির মধ্যে একটি ছিল পবিত্র কাবায় তাদের হাত রাখা, অন্যটি ছিল তারা একে অপরকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখছেন এবং পেছনে মহিমান্বিত কাবা ঘর।

কুবরা ও গওহর তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে, তারা পবিত্র শহর মক্কাতে বিয়ে করবেন।

সম্প্রতি এই তারকা যুগল সবচেয়ে আলোচিত সেলিব্রিটিদের তালিকায় উঠে এসেছেন। এর শুরুটা হয় ২০২৪ সালের শেষের দিকে, যখন তাদের বিয়ে নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তারা তাদের দীর্ঘদিনের জল্পনা-কল্পনার সম্পর্কের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

গত মাসের শেষের দিকে কুবরা ও গওহর একটি কৌতুকপূর্ণ ও হৃদয়গ্রাহী ভিডিও বার্তায় তাদের বিয়ের খবরটি ঘোষণা করেন। আর এখন তাদের বিয়ের উদযাপন শুরু হলো। অনলাইন জগতে জনপ্রিয় এই যুগল তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের নিয়ে সোমবার কুবরার বান্ধবী মোমালের বাসায় উদযাপনে মেতে ওঠেন।

এদিকে ‘রাজ-এ-উলফাত’ খ্যাত অভিনেতা গওহর তার অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বিয়ের অনুষ্ঠানের কিছু ছবি শেয়ার করেছেন।

অভিনেতা এর ক্যাপশনে লিখেছেন, মাশাআল্লাহ… বিশাল ভালোবাসা এবং আলিঙ্গন।

পোস্টে তিনি মোমাল ও নাদের নওয়াজকে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের ‘উষ্ণ আয়োজন’র জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তখন শেয়ার করা ছবিগুলোতে কুবরা ও গওহরকে সাদামাটা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, অভিনেতা গওহর তার সহকর্মী ও বন্ধু উষনা শাহের শো’তে বলেছিলেন, তিনি আর সিঙ্গেল নন। এরপর থেকেই কুবরাকে ঘিরে অভিনেতার সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জনের সূচনা হয়।

কুবরা এবং গওহর তাদের শেয়ার করা ছবি এবং উষ্ণ বন্ধুত্বের মাধ্যমে সম্পর্কটি সবসময়ই স্পষ্ট করেছিলেন; যা তাদের ভক্তরা অনেকদিন ধরেই লক্ষ্য করে প্রশংসা করেছেন।

এই তারকা যুগল একাধিক প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করেছেন, তবে ‘জান্নাত সে আগায়’ নাটকে দম্পতি হিসেবে দেখা যায় দুজনকে।

যদিও কিছু মানুষ তাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়েছে। তবে অনেকেই তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বকে চিরস্থায়ী বন্ধনেই দেখতে চেয়েছিলেন।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরের আমঝুপিতে জামায়েতে ইসলামীর গণসংযোগ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর-১ আসনের প্রার্থী মাওলানা তাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে মেহেরপুরে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পাঁচটার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নে তার নেতৃত্বে এই গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় মেহেরপুর জেলা সেক্রেটারি মোঃ ইকবাল হুসাইন, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওলানা কাজী রুহুল আমিন, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাব্বারুল ইসলাম মাস্টার, আমঝুপি ইউনিয়নের আমীর আলমগীর কবির এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা গণসংযোগে অংশগ্রহণ করেন।




ওয়ানডেতে বোলিংয়ে সেরা যারা

সেরা বোলার হতে কি লাগে বেশি উইকেট, গতি, আগ্রাসন নাকি দুর্দান্ত অ্যাভারেজ? বিবেচনায় আসতে সবকয়টিই। কোনো ক্ষেত্রে আবার দুয়েকটি কম। কিন্তু সেরা হতে হলে তো সেরাটাই দিতে হবে। ক্রিকেট ইতিহাসে কে পেয়েছেন ‘সর্বকালের সেরা বোলারের’ তকমা। এখন অবধি নির্দিষ্ট কেউ নন, তবে প্রায়ই ওঠে সেরাদের সেরা খোঁজার প্রশ্ন।

এই তালিকায় সম্ভাব্যদের নিয়েই এই আয়োজন। যারা চোখে চোখ রেখে প্রতিপক্ষকে পড়ে ফেলতেন। গতি বা স্পিনে ভড়কে দিতেন। দলকে সাফল্য এনে দিয়ে মাততেন উল্লাসে।

মুত্তিয়া মুরালিধরন: একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির রেকর্ডটি এই লঙ্কানের দখলে। সাদা বলের ক্রিকেটে তার সময়ে সেরা স্পিনার বিবেচনায় নিয়ে মুরালি থাকতেন সবার ওপরে। ২০১১ সালে ক্যারিয়ার শেষ করার আগে নিজেকে উইকেট শিকারির তালিকায় রেখেছেন শীর্ষে। এক যুগ পেরিয়ে গেলেও সেই রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারেনি। ৩৫০ ম্যাচে ৫৩৪টি উইকেট নিয়েছেন মুরালি। ২৩.০৮ গড়ে উইকেট তুলতেন এই লঙ্কান।

ওয়াকার ইউনিস: সর্বকালের সেরা বোলার কিংবা পেসার খুঁজতে গেলে সবার আগে দুটি নাম আসবে ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিস। দুজনই সেরাদের সেরা হওয়ার যোগ্যতা রেখেছে। তবে ম্যাচের মোড় ঘোরানো, গতি, সুইং, উইকেট কিংবা অ্যাভারেজের বিচারে ওয়াসিমের চেয়ে ওয়াকার এগিয়ে থাকবেন। বাকিদের মাঝেও ওয়াকারকে সেরার স্থানে বসাতে অনেকেই বাজি ধরবেন। ওয়াসিম ৩৫৬ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৫০২টি। ওয়াকার সেখানে ২৬২ ম্যাচেই পুরেছেন ৪১৬টি উইকেট। ২৩.২৮ গড়ে উইকেট তোলা ওয়াকার বসেছেন বাকিদের ছাপিয়ে সেরা হওয়ার অবস্থানে।

শন পোলক: দক্ষিণ আফ্রিকার এই তারকা নিজেকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন। তার সমসাময়িকদের মাঝে তাকে মানা হতো সেরাদের একজন। ২০০৮ সালে অবসর নেওয়া প্রোটিয়া এই তারকা এখনও বহু রেকর্ডে সবার ওপরে। ৩০৩ ম্যাচে পোলক নিয়েছেন ৩৯৩ উইকেট। আছেন সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারীদের তালিকায় সেরা ছয়ে।

অনিল কুম্বলে: ভারতের এই স্পিনারের গড় দেখেই যে কেউ সেরাদের দৌড়ে তাকে রাখবেন। ২৭১ ম্যাচে ভারতে হয়ে ৩২৭ উইকেট নিয়েছেন কুম্বলে। ভারতকে আজকের পরাশক্তিতে রূপ দিতে তার অবদান ছিল অন্যতম। কিংবদন্তি এই ভারতীয় আছেন সেরা উইকেট শিকারির তালিকায় সেরা ১১ নম্বরে।

মিচেল স্টার্ক: এখনও ক্রিকেট খেলছে, এমনদের তালিকায় স্টার্ক সবার ওপরে। তার সময়ে বাকিদের চেয়ে তিনি অনেক এগিয়ে। কখনও তাই প্রশ্ন ওঠে, অস্ট্রেলিয়ার সেরাদের মাঝে ব্রেট লি, ম্যাকগ্রা নাকি স্টার্ক কে সেরা। সেই সেরার প্রশ্নে স্টার্ক উতরে যাবে। কখনও কখনও তাকে নিয়ে আলোচনা ওঠে স্টার্কই কি তবে সর্বকালের সেরা। ২০১০ সাল থেকে ক্রিকেট খেলা স্টার্কের ঝুলিতে ১২৭ ওয়ানডেতে আছে ২৪৪ উইকেট। গড়, পরিসংখ্যান আর ম্যাচের পরিস্থিতিতে বোলিং করার দারুণ দক্ষতা নিয়ে স্টার্ক সর্বকালের সেরার দৌড়ে বেশ ভালো করেই আছেন।

সূত্র: যুগান্তর




দামুড়হুদায় একই পরিবারের দুইজন আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

দামুড়হুদায় ডেভিল হান্ট অভিযানে একই পরিবারের দুইজন আওয়ামীলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ।

শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিষ্ণুপুর বাজার থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মাস্টার পাড়ার মৃত মাদার বক্স মিয়া’র ছেলে মোঃ মহিদুল ইসলাম (৫৩) এবং মোঃ মতিয়ার রহমান (৫৮)। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হুমায়ূন কবির।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, আজ দিনভর দামুড়হুদা থানা এলাকায় বর্তমান চলমান অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানে দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের একই পরিবারের মৃত মাদার বক্স মিয়া’র ছেলে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী মোঃ মহিদুল ইসলাম এবং মোঃ মতিয়ার রহমান কে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ডেভিল হান্ট অভিযানে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে গতকালই বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।




মেহেরপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়কসহ ৮ নেতাকর্মী গ্রেফতার

সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের দমনে সারাদেশব্যাপী পরিচালিত অপারেশন ডেভিল হান্টের পঞ্চম দিনে মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোঃ আরিফুল এনাম বকুল (৬০), মুজিবনগর উপজেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতিসহ আওয়ামীলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

মেহেরপুর পুলিশ সুপার মাকসুদা খানম পিপিএম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে ৪ জন, গাংনী থানা পুলিশ ৩ জন ও সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আওয়ামীলীগের ১ জনকে গ্রেফতার করেছেন।

সদর থানায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মোঃ আরিফুল এনাম বকুল(৬০), মুজিবনগর উপজেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি ও শিবপুর গ্রামের শরিয়ত শেখের ছেলে আরজ আলী(৫০), বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের তিন নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাগোয়ান গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে মোঃ আলতাফ হোসেন(৪৮), মহাজনপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও একই গ্রামের মৃত খেদের আলীর ছেলে মোঃ রাসেল আহমেদ(৩১)। গ্রেফতারকৃতরা মুজিবনগর থানার মামলা নং ০১, তারিখ ৬/০৯/২৪ ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৪১/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭/৫০৬/১১৪/৩৪ পেনাল কোড, মামলার এজাহার নামীয় আসামি। মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুর গ্রামের সুরোজ মিয়া বাদী হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।

গাংনী থানায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার সানঘাট গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ জাকিরুল ইসলাম(৩০), তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৬(২)/৭(৫)/ ৭(৬)/১০/১১/১২/১৩ ধারায় গাংনী থানার মামলা নং ১১, তারিখ- ১৯/০৮/২৪, একই উপজেলার যুবললীগ নেতা রাধাকৃষ্ণপুর ধলা গ্রামের সহিব উদ্দীনের ছেলে মোহাম্মদ আসিম উদ্দিন(৩৫) ও খেদমত আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা মো: সাগর (৪৫)। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৬(২)/৭(৫)/৭(৬)/১০/১১/১২/১৩ ধারায় দায়ের করা গাংনী থানা মামলা নাম্বার ১১, তারিখ- ১৯/০৮/২৪ রয়েছে।

এছাড়া সদর থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারকৃত হলেন, মেহেরপুর শহরের মল্লিকপাড়ার হারু শেখের ছেলে মোঃ সোহেল শেখ। তার বিরুদ্ধে সদও থানার মামলা নং ২২, তারিখ ২০/০৩/২০ ইং, জিআর মামলা নং ৭০/২০ ইং, ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) সারনীর ১৯ (ক)।

গ্রেফতারকৃতদের আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।




মুজিবনগরে ট্রাফিক পুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

মুজিবনগরে সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত ও ট্রাফিক পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ মন্ডল মুজিবনগর মেহেরপুর প্রধান সড়কের পুরন্দরপুর বাজারে এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে মোটরসাইকেল প্রাইভেট কার সহ ভারী যানবাহন আটক করা হয়।

এ সময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৭টি গাড়িকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করেন ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ ঘোষসহ ট্রাফিক পুলিশ ও মুজিবনগর থানা পুলিশের একটি টিম।




মেহেরপুরে এসিআই সীডসের উদ্যোগে মাঠ দিবস

মেহেরপুর জেলার কুলবাড়িয়া গ্রামে এসিআই সীডসের উদ্যোগে “স্কার্লেট টমেটো” নিয়ে মেগা মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে অনুষ্ঠানে কৃষকদের সঙ্গে স্কার্লেট টমেটোর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসিআই সীডসের জোনাল সেলস্ ম্যানেজার মোঃ আনোয়ার হোসেন। এছাড়াও স্থানীয় ডিলার মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান রুবেল ও মোঃ নাহারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। মাঠ দিবসটি পরিচালনা করে নমেহেরপুর টেরিটোরির মার্কেটিং অফিসার মোঃ পারভেজ আলী।

কৃষক শমশের আলী জানান, তিনি স্কার্লেট টমেটোর চাষ করে অত্যন্ত খুশি এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি কৃষক এই জাতের টমেটো চাষে আগ্রহী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

এ ধরনের মাঠ দিবস কৃষকদের উন্নত প্রযুক্তি ও চাষাবাদের আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা জানান।




মুজিবনগরে পেঁয়াজ চাষীদের মানববন্ধন

পেঁয়াজের ভরা মৌসূমে পার্শ্ববর্তি দেশ ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ও কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে মানববন্ধন করেছেন মুজিবনগরের পেঁয়াজ চাষীরা। এসময় এলাকার প্রায় শতাধিক পেঁয়াজ চাষী উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর মাঠে শতাধিক পেঁয়াজ চাষী এই মানববন্ধন করেন।

চাষীরা বলেন, পেঁয়াজ মসলা জাতীয় ফসল। এখন আমাদের দেশে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে তাঁতে আমাদের দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব। কিন্তু পেঁয়াজের এই ভরা মৌসুমে সরকার ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে থাকেন। ভরা মৌসুমে বাইরের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে চাষির উৎপাদিত পেঁয়াজের মূল্য নিশ্চিত না করলে আগামীতে পেঁয়াজ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে কৃষক। আবারও মানুষকে চারশ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনতে হবে। তারা আরও বলেন, পেঁয়াজের বর্তমান বাজার দরে চাষীরা এক বিঘা জমির পেঁয়াজ চাষ করে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

বক্তব্য রাখেন, পেঁয়াজ চাষী মনিরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, সোহরাব হোসেন, বায়োজিদ হোসেনসহ অন্যান্যরা।

পেঁয়াজ চাষী মিনারুল ইসলাম বলেন, এবছর আমি ৬ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। ছয় বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করতে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে যে বাজার দর তাতে পেঁয়াজ বিক্রি করে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা উঠবে। আমরা চাই, পেঁয়াজের এই ভরা মৌসুমে বাইরের দেশ থেকে আমাদানি বন্ধ করে আমাদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করুক সরকার।

চাষি সামিদুল ইসলাম জানান, এবছর আমি ১০ বিঘা জমিতে সুখসাগর পেঁয়াজ চাষ করেছি। বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের কাছ থেকে ফঁড়িয়ারা ২০/২২ টাকা করে কিনে নিচ্ছেন। অথচ, এক কেজি পেঁয়াজ উৎপাদন করতে কৃষকের খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ টাকা। কৃষক তাঁর উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য না পেলে আগামীতে পেঁয়াজ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তখন বাইরের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে। মানুষকে তিন চার শ টাকা কেজি দরে কিনতে হবে। তাই পেঁয়াজের এই ভরা মৌসুমে বাইরের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করতে হবে। এছাড়া কৃষকের পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।

জানা গেছে, দারিয়াপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী লাল্টু হোসেন ৮ বিঘা, সোহরাব হোসেন ৭ বিঘা, লোটন হোসেন ৬ বিঘা, মধু মিয়া ১০ বিঘা, একরামুল হোসেন ৫ বিঘা, স্বপন মিয়া ১০ বিঘা, সামিদুল ইসলামের ৯ বিঘাসহ এলাকার কয়েক হাজার কৃষক সুখ সাগর পেঁয়াজের চাষ করেছেন।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে জেলায় এবছর পাঁচ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৫ হাজার ২৮০ মেট্রিকটন।




ঝিনাইদহে বাড়ছে ঝুকিঁপূর্ণ তামাক চাষ

ঝিনাইদহে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে স্বাস্থ্যঝুকি পূর্ণ তামাক চাষ। তামাক চাষিদের সাথে প্রতিযোগিতায় গিয়ে প্রর্যাপ্ত সার পাচ্ছেন না পেঁয়াজ চাষিরা। জেলার শৈলকুপা ও হরিণাকুণ্ডুতে পেঁয়াজ ও অন্যান্য চাষিরা সার সংকটের অভিযোগ করেছেন।

অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভজনক হওয়াই প্রতিবছর সর্বনাশা তামাক চাষে আগ্রহী হচ্ছে এই অঞ্চলের চাষিরা। তামাকজাত পণ্যে বেশি ভ্যাট আরোপ ও বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহীত করা যাচ্ছে না। ফলে কমে যাচ্ছে খাদ্যজাত, ডাল ও মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন। বিগত ৪ বছরে জেলায় তামাক চাষ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন।

জেলার শহরতলীতে ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকোর তামাক ক্রয় কেন্দ্র থাকায় হাতের কাছে একটি নিশ্চিত বাজার তৈরি হয়েছে। সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োগ ও মনিটরিং নেই বলেই বেশি লাভের আশায় কৃষক তামাক চাষে ঝুকছে এমন অভিযোগ সচেতন মহলের। তামাকের বেশি ফলন পেতে অতিরিক্ত সারের ব্যবহারে জেলার বিভিন্ন জায়গায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে। জেলার ৬টি উপজেলায় কম-বেশি তামাক চাষ হলেও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা, শৈলকুপা, সদর ও মহেশপুরে বেশি হয়।

ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ বলছে, ব্রিটিশ-অ্যামেরিকান টোব্যাকো, জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য তামাক বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো চাষিদের তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। তারা তামাকের চারা রোপণ থেকে শুরু করে সার-কীটনাশক কেনার জন্য কৃষকদের অগ্রিম টাকা প্রদান করে ও উৎপাদিত তামাক কেনার নিশ্চয়তা দেয়। এই কারণে খাদ্যজাতীয় ফসল বাদ দিয়ে এই অঞ্চলের কৃষকরা তামাক চাষের দিকে ঝুকছে। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংগৃহীত তথ্যমতে, জেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৬০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়। পরের বছর ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৫১ হেক্টর জমিতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৯৩ হেক্টর ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২২৪ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে জেলার মহেশপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৮৪ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে ১২৪ হেক্টর, ১০২ ও এবছর সর্বচ্চো ১৫৫ হেক্টর জমিতে তামাকের চাষ করা হয়েছে।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর বলেন, উপজেলায় সবচেয়ে বেশি চাঁদপুর ইউনিয়নে তামাক চাষ করা হয়েছে। তামাক চাষিরা তামাক বাজারজাতকারী কোম্পানির নিকট থেকে অগ্রিম আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে। একারণে চাষিরা তামাক চাষে ঝুকছে। তামাক চাষিদের চাহিদার কারণে অন্যান্য চাষিরা চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছে না। ফলে অন্যান্য ফসলের আবাদ ব্যহত হচ্ছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উদয়পুরের তামাক চাষি বিপ্লব বলেন, আলু-পেয়াজ চাষ করলে বাজারে কতদামে বিক্রি হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু তামাক চাষ করলে দেশে যুদ্ধ বাধুক বা দুর্ভীক্ষ হোক বিঘা প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ দেয় কোম্পানি। একারণে তামাক চাষ করা। তিনি বলেন, গতবছর আমার ১০ বিঘা জমিতে তামাকের চাষ ছিল, এবছরও ১০ বিঘা করেছি।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এক বিঘা জমিতে ৫০০-৬০০ কেজি তামাক উৎপাদন হয়। গতবছর কোম্পানি ২২৬ টাকা দরে প্রতিকেজি তামাক কেনে কৃষকের কাছ থেকে। উৎপাদিত তামাকের বিক্রি নিয়ে কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না। তামাকের বাজার স্থীর। কোম্পানিই কৃষকের কাছ থেকে সব তামাক কিনে নেয়। তামাক চাষে নিশ্চিৎ লাভ দেখে কৃষকরা অন্যান্য ফসল বাদ দিয়ে তামাক চাষে আগ্রহী হচ্ছে।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বড়-ভাদড়া গ্রামের কৃষক লিটন মোল্লা বলেন, এবছর এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছিলাম কিন্তু পরিপক্ক করে ক্ষেত থেকে তুলে বাজারে নিয়ে গিয়ে যে দামে বিক্রি করেছি তাতে বীজের দামই ওঠেনি। পানের বরজ আছে। বাকি টাকায় সার-কিনতে গেলে সারের ডিলাররা আমাদেরকে দিচ্ছে না। তামাক চাষিরা নগদ টাকায় সার কিনে ক্ষেতে দিচ্ছে। তামাকের ক্ষেতে সার লাগে বেশি। যেকারণে আমাদের ইউনিয়নে ঢ্যাপ সারের সংকট দেখা দিয়েছে।

সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে কাজ করা এনজিও পদ্মা সমাজ কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, তামাক চাষিদের বাজারের একটা নিশ্চয়তা রয়েছে যা অন্যান্য ফসল চাষিদের বেলায় নেই। তামাক চাষিদের কোম্পানি থেকে অগ্রিম অর্থ প্রদান করা হয় কিন্তু অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া খুব কষ্টের বিষয়। অন্যান্য ফসলের বাজারের অনিশ্চয়তা থেকেই মানুষ তামাক চাষে আগ্রহী হচ্ছে। তাছাড়া সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সঠিক প্রয়োগ ও মনিটরিং করেনা। কৃষি বিভাগও চাষের সঠিক পরিমাণ প্রকাশ না করে গোপন রাখে। তামাক যে একটি ক্ষতিকারক আবাদ এটা কৃষকরা জানেই না। যেকারণে তারাও নির্দিধায় চাষ করে যাচ্ছে। সরকার তৎপর হলেই ক্যাবল তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্য কৃষিবিদ ষষ্টি চন্দ্র রায় বলেন, আমরা তামাক চাষিদের বিকল্প ফসল চাষে উৎসাহিত করছি। তামাক কোম্পানিগুলো চাষিদের অগ্রিম অর্থ দেয় বলে জেনেছি। সরকার তামাক চাষ নিষিদ্ধ করেনি। কিন্তু আমরা নিয়মিত বিকল্প চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করা যায় আগামীতে তামাক চাষ এই জেলায় কম হবে।