আলমডাঙ্গায় গাছেই শুকিয়ে ঝরে পড়ছে পানের পাতা, লোকসানের শঙ্কায় কৃষক

তিব্র রোদ ও অনাবৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছে আলমডাঙ্গা উপজেলার পান চাষিরা। পানি সংকটে শুকিয়ে যাচ্ছে আবাদি ফসলের জমি। গাছেই শুকিয়ে ঝরে পড়ছে পানের পাতা । এতে লোকসানের আশঙ্কা করছে স্থানীয় কৃষকেরা।

স্থানীয়রা বলছেন, চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে জেলার উপর দিয়ে টানা ১৭ দিনের মত তিব্র তাপদহ চলমান রয়েছে। গত বছর বৃষ্টির পানি না হওয়ায় এবছর দ্রূত পুকুর ও খাল-বিলের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে সেচ পাম্পেও পানি উঠছে না। পান বরজ সহ বিভিন্ন ফসলের খেতে সেচ দেওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও কিছু অঞ্চলে বসতবাড়িতে সুপেয় পানির সংকটও দেখা মিলেছে। এভাবে চলতে থাকলে হাজারো কৃষককে পথে বসতে হবে।

জেহালা ইউনিয়নের শ্রী বাবু কুমার বলেন, গরমে ভূগর্ভস্থ পানি নিচে নেমে গেছে। সেচ পাম্পেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না।

বাড়াদি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সারোয়ার হোসেন জানান, মাথাভাঙ্গা নদীর পানি নাব্যতা কমেছে। অনেক এলাকায় চর জমে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। নদীর পাশের বাড়িগুলোতে নলকূপে পানি সংকট দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, দাবদহের কারণে অনেক এলাকায় পানি সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন সেচ দিয়েও গাছ স্বাভাবিক আনার চেস্টা করছে কৃষকেরা। আমরাও নিয়মিত পানে পানি দেবার জন্য কৃষকদের অবগতি জানানো হচ্ছে।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সি.সি.টি আনিসুজ্জামান বলেন,- গভীর নলকূপ প্রকল্প চলমান রয়েছে। কোন অঞ্চলে পানি সংকট দেখা দিলে দ্রূতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




মিনিস্টার হাই-টেক পার্কে চাকরির সুযোগ

সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি তাদের সেলস বিভাগে লোকবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা আগামী ১৭ মে পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: কো-অর্ডিনেটর।

পদের সংখ্যা: ৫

আবেদনের যোগ্যতা: কমপক্ষে বিবিএ পাস করতে হবে। পদ সংশ্লিষ্ট কাজে ২-৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। টেলিকমিউনিকেশনে দক্ষ হতে হবে। কম্পিউটার প্রোগ্রাম সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে। যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে। ইন্টারপারসোনাল স্কিল থাকতে হবে। চূড়ান্ত নিয়োগের পর ঢাকায় কাজের আগ্রহ থাকতে হবে। সেলস অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসের বিষয়ে দক্ষ হতে হবে।

বয়স: প্রার্থীর বয়সসীমা ২১-৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

বেতন ও সুযোগ সুবিধা: মাসিক বেতন আলোচনা সাপেক্ষে। মোবাইল বিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুয়েটি, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, উৎসব ভাতা প্রদান করা হবে।

আবেদন যেভাবে: আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে ক্লিক করুন  এখানে।

আবেদনের শেষ তারিখ: ১৭ মে, ২০২৩




ফাইনাল ও অ্যাশেজের জন্য দল ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার

দ্বিতীয় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ও অ্যাশেজের প্রথম দুই টেস্টের জন্য ১৭ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। দলে ফিরেছেন ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, মার্কাস হ্যারিস ও জশ ইংলিশ।

আগামী ৭ জুন ওভালে ভারতের বিপক্ষে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল এবং ১৬ জুন থেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজ শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। ওভালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য ১৫ জনের স্কোয়াড রাখা হবে।

প্রায় সাড়ে তিন বছর পর অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছেন মার্শ। ২০১৯ সালের অ্যাশেজে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন মার্শ। এরপর ইনজুরির কারনে সাদা বলের ক্রিকেট থেকে দূরেই ছিলেন তিনি। গত মাসে শিল্ডে প্রায় দেড় বছর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেন তিনি। ক্যামেরুন গ্রিনের সঙ্গে দলে অলরাউন্ডার হিসেবে রাখা হয়েছে মার্শকে।

অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া আসর শেফিল্ড শিল্ডে ৪টি সেঞ্চুরিতে সর্বোচ্চ ৯৪৫ রান করেও দলে সুযোগ পাননি ব্যাটার ক্যামেরুন বেনক্রফট। এমনকি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়ে দলে সুযোগ পাননি পেসার মাইকেল নেসার।
দলে ফিরেছেন শিল্ডে ২টি সেঞ্চুরিতে ভিক্টোরিয়ার হয়ে ৬০১ রান করা হ্যারিস। গেল বছরের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলেন ৩০ বছর বয়সী এ ব্যাটার। ওয়ার্নার ও উসমান খাজার পর বিকল্প ওপেনার হিসেবে নেওয়া হয়েছে হ্যারিসকে।

সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে সিরিজে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন স্পিনার টড মারফি। ভারতের অভিষেক সিরিজে চার টেস্ট খেলে ১৪ উইকেট নেন তিনি। অভিজ্ঞ নাথান লায়নের সঙ্গে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে দলে আছেন মারফি।

অ্যালেক্স ক্যারির পর বিকল্প উইকেটরক্ষক হিসেবে দলে রাখা হয়েছে জশ ইংলিশকে। ভারতের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজের প্রথম টেস্টে কনুইয়ের ইনজুরিতে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন ওয়ার্নার। সুস্থ হয়ে উঠায় টেস্ট দলে ফেরানো হয়েছে ওয়ার্নারকে। সাম্প্রতিক বাজে ফর্মের কারনে ওয়ার্নারের দলে থাকা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছিলো। এজন্য বিকল্প ওপেনার হিসেবে রাখা হয়েছে হ্যারিস ও ২০২৩-২৪ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকা ম্যাথু রেনশকে।

ইনজুরি কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরছেন পেসার জশ হ্যাজেলউড। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক ও স্কট বোল্যান্ডের সঙ্গে পেস আক্রমনে থাকবেন হ্যাজেলউড।

সর্বশেষ ভারত সফরের দল থেকে বাদ পড়েছেন ব্যাটার পিটার হ্যান্ডসকম, তিন স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগার, ম্যাথু কুনেমান ও মিচেল সোয়েপসন।

অস্ট্রেলিয়া দল: প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স ক্যারি, ক্যামেরন গ্রিন, মার্কাস হ্যারিস, জশ হ্যাজেলউড, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিশ, উসমান খাজা, মার্নাস লাবুশেন, নাথান লিঁও, মিচেল মার্শ, টড মারফি, ম্যাট রেনশ, স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্ক এবং ডেভিড ওয়ার্নার।

সূত্র: ইত্তেফাক




ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন ডিলার ইলিয়াস

গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের সিমা খাতুন নামের এক উপকার ভোগীর সরকারী খাদ্যবন্ধব কর্মসুচি(ওএমএস) এর কার্ড ছিড়ে দেয়ার ঘটনায় করা অভিযোগ অবশেষে ক্ষমা চেয়ে নিষ্পত্তি হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে করা লিখিত আবেদন শুনানি হয়। ভুক্তভোগীর করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওমএমএস ডিলার ইলিয়াসকে ডেকে মধ্যস্থতা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু। এসময় ক্ষমা চাওয়ার ও এমন কর্মকান্ড ভবিশ্যতে যেন না ঘটে তার জন্য শতর্ক করে দেয়া হয় ডিলার ইলিয়াসকে। সেই সাথে সিমা খাতুনকে নতুন কার্ড করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।

জানা গেছে,ওএমএস এর কাথুলী ইউনিয়নের ডিলার ইলিয়াসের বিরুদ্ধে কার্ড ছিড়ে ফেলা ও গালিগালাজ করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গাংনীর কাথুলী ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া গ্রামের সিমা খাতুন নামের এক ভুক্তভোগী ।

ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী করে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী সিমা খাতুন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতুর বরাবর লিখিত আবেদন জমা দেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে উপজেলা খাদ্য অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেন ইউএনও। বিষয়টি ঘটনা স্থলে না গিয়ে অভিযোগকারী সিমা খাতুনকে অফিসে ডেকে নিয়ে অফিসে বসেই তদন্ত শেষ করেন খাদ্য অফিসার। তদন্ত কর্মকর্তার দেয়া তথ্য অভিযোগকারী ও ডিলার ইলিয়াসকে ডেকে নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে।

বিষয়টি ছিল ডিলার ও অভিযোগকারি সিমা খাতুনের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও ভুলবোঝাবুঝি। এমন কথা জানিয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সতু দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনকে জানান, সিমা খাতুনের অভিযোগ গুরুত্বের সাথে দেখা হয়েছে। কার্ড ছিড়ে দেয়ার বিষয়টি বিভিন্ন মানুষকে জানতে চাওয়া হলে এবিষয়ে কেউ দেখেনি বলে জানান। তাছাড়া কার্ড ছিড়ে দিলেও ওমএমএস এর চাল নিতে কোন সমস্যা হবেনা। তাই ডিলার ইলিয়াসকে আবেদনকারি ক্ষৃমা করে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ডিলার ইলিয়াসও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।এরপর ডিলার এমন কর্মকান্ডের বিষয়ে অভিযোগ পেলে ছাড় দেয়া হবেনা বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য: বর্তমান সরাকরের বহুল প্রশংসিত খাদ্যবান্ধব কর্মসুচী(ওএমএস) কার্ডে চাউল নিতে গেলে ডিলার ইলিয়াসের বিরুদ্ধে
কার্ড ছিড়ে টুকরো টুকরো করে দেয়ার অভিযোগ ওঠে। বুধবার বেলা ১১ টার সময় খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর কার্ডে চাউল উত্তোলনের সময় কার্ড ছিড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে। পরে ছেড়া কার্ডের টুকরোগুলোও সযতেœ গুছিয়ে নিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বাড়ি ফেরেন অসহায় নারী সিমা খাতুন। সিমা খাতুন গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া গ্রামের মৃত মাহাবুলের স্ত্রী।
সিমা খাতুনের অভিযোগ, আমার স্বামী একমাত্র উপার্জনের ভরসা ছিল। ছোট ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে কোন রকমে সংসার চলতো। এর মধ্যে অসুস্থতার কারনে আমার স্বামী মারা যায়। বিষয়টি জেনে কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাকে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির একটি কার্ড করে দেন। সেই কার্ডের চাউল নিয়ে কোন রকমে আমার ছেলে মেয়েদের খাবার জোগায়। খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর কাথুলী ইউনিয়নের ডিলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সবুর ইলিয়াসের চাউল মাপার কাজ করেন সিমা খাতুনের ছেলে মারুফ হোসেন। বুধবার চাউল ওজনের সময় মারুফ প্রচন্ড গরমে হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে সে বাড়ি চলে যায়। এসময় ইলিয়াস তাকে ডাকতে গেলে অসুস্থ্য এই মুহুর্তে চাউল ওজনের কাজ করতে পারবেনা বলে জানায় মারুফ। সে সময় মারুফের মা সিমা খুতন তার কার্ডে চাউল নেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মারুফ চাউল ওজনের কাজ করবে না এমন ক্ষোভে সিমা খাতুনের হাত থেকে কার্ড কেড়ে নিয়ে ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে দেয় ডিলার ইলিয়াস হোসেন। ছেড়া কার্ডের টুকরো গুলো কুড়িয়ে আচলে ঁেবধে চোখ মুছতে মুছতে বাড়ি যান সিমা খাতুন।

এঘটনায় ওই দিন ভুক্তভোগী সিমা খাতুন বিষয়টি গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর মৌখিক অভিযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানাকে সুরাহা করার নির্দেশনা দেন। বিষয়টি সেখানে নিষ্পত্তি না হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেন সিমা খাতুন নামের ওই ভুক্তভোগী।




মুজিবনগরে মহাজনপুর ইউপি চেয়ারম্যানের পরিবারের পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিল

মুজিবনগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহাজনপুর ইউনিয়নের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার তার নিজ গ্রাম যতারপুর ফুটবল খেলার মাঠে ইফতার মাহফিলের এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সারফরাজ হোসেন মৃদুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল, মোনাখালী ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম গাইন, বাগোয়ান ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেলাল সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এবং নিজগ্রাম যতারপুরের সাধারণ মুসল্লিগন। ইফতারে পূর্ব দোয়া অনুষ্ঠানে দেশবাসীর মঙ্গলের জন্য দোয়া করা হয়।




গাংনী রিপোটার্স ক্লাবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহিফল অনুষ্ঠিত

গাংনী রিপোটার্স ক্লাবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ২৬ রমজার বিকেলে গাংনী পাইলট হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-২(গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।

রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি আনারুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী প্রেসক্লাব সভাপতি তৌহিদ উদ দৌলা রেজা, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম।

ইফতার মাহফিলে রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হোসেন, গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ লিংকন, সম্পাদক নুরুজ্জামান পাভেল, দৈনিক সুর্যোদয় পত্রিকার প্রকাশক আবুল কাশেম অনুরাগী, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আতিক স্বপন, ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি এনামুল হক, সম্পাদক মনিরুজ্জামান আতুসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

ইফতার পুর্ববর্তী দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মোঃ জাহিদুর রহমান।




কোটচাঁদপুরে অগ্নিকান্ডজনিত দূর্ঘটনা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা

অগ্নিকান্ডজনিত দূর্ঘটনা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কোটচাঁদপুর অফিসার্স ক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোটচাঁদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোছাঃ শরিফুননেসা মিকি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম, ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি খাতুন সহকারী কমিশনার(ভুমি) নিরুপমা রায়, প্রকৌশলী মিজানূর রহমান,মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় ঘোষ, সমাজ সেবা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা রাজি বসু হাসান ও কোটচাঁদপুর ফায়ার স্টেশনের, স্টেশন মাস্টার আক্কাস আলী।

মতবিনিময় সভার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল অগ্নিকান্ড জনিত দূর্ঘটনা। এ কারনেই পুরো আলোচনা জুড়েই ছিলেন, ফায়ার স্টেশনের, স্টেশন মাস্টার আক্কাস আলী।

এ সময় উপস্থিত বক্তাদের বক্তব্যে বার বার উঠে এসেছেন পানির বিষয়টি। যা অগ্নি নির্বাপনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন। যা কোটচাঁদপুর শহরে তেমন নাই।  তবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পৌর সভার পানির পাম্প ব্যবহার করার সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম।

এছাড়া আবাসিক প্রকৌশলি অফিসে মধ্যে থাকা পানির পাম্পও ব্যবহার করার কথা জানান প্রকৌশলি মনোয়ার হোসেন।

পরে স্থানীয় ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা অগ্নিকান্ডে মানুষের করনীয় বিষয় নিয়ে একটি মহড়া উপস্থাপন করেন, অফিসার্স ক্লাবে সামনে।




গাংনীতে পরিবারের প্রতি অভিমানে শরীরে পেট্রোল ঢেলে তরুণের মৃত্যু

মোটরসাইকেল চড়া নিয়ে পরিবারের প্রতি অভিমান করে শরীরে পেট্রোল ঢেলে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম তারিখ হোসেন (১৭)। সে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মোল্লা পাড়ার লাভলু হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মোটরসাইকেল চড়া নিয়ে পরিবারের সাথে ঝামেলা হয় তারিখের। এক পর্যায়ে তার কাছ থেকে মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেয় পরিবারের লোকজন। সেই কারণে তারিখ পরিবারের প্রতি অভিমান করে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ঢাকায় রেফার্ড করে কুষ্টিয়ার কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা।

অগ্নিদগ্ধ হয়ে তারিখের শরীরের অর্ধেকেরও বেশি অংশ পুড়ে গেছে। গত সোমবার (১৭ই এপ্রিল) বিকেলে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য (কাজিপুর ইউনিয়ন) মো: মহিবুল ইসলাম জানান, গত ৬দিন আগে মোটরসাইকেল চড়া নিয়ে পরিবারের সাথে ঝামেলার কারণে ছেলেটি শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েও অবস্থার উন্নতি হয়নি; গতকাল ঢাকায় মারা যায়। গতকাল  মঙ্গলবার দুপুর ২টায় হাড়াভাঙ্গা মোল্লা পাড়ায় তার দাফন সম্পুর্ন হয়েছে।




মেহেরপুরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ট্যাব বিতরণ

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসেবে ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ট্যাব বিতরণ করা হয়। মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ট্যাব বিতরণের আয়োজন করা হয়

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার পিপিএম সেবা মোঃ রাফিউল আলম, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আব্দুল্লাহ আল বাকী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক মোঃ বছির উদ্দিন।

এ সময় মেহেরপুর সদরে ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নবম ও দশম শ্রেণীর প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী কে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসেবে সদরে ২৪৬ জন এবং মুজিবনগর উপজেলায় ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নবম ও দশম শ্রেণীর প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী ৮৪ জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে ট্যাব উপহার হিসেবে দেওয়া হয় এবং পর্যায়ক্রমে গাংনী উপজেলায় নবম ও দশম শ্রেণীর প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে ট্যাব উপহার দেওয়া হবে।




লায়লাতুল ক্বদর -এম.এ এস. ইমন

আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠতম রাত্রি। আপনার গন্তব্য কে বেছে নেয়ার রাত্রি। আপনার জীবনের সকল ভুলভ্রান্তি মুছে ফেলার রাত্রি। আপনারই দ্বারপ্রান্তে একটি রাত যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। একটি রাত যা জীবনভর ইবাদাত কারাও চেয়েতে উত্তম।

আমাদের গড় আয়ু ৬০ থেকে ৭০ বছর। এর মধ্যে ১০ থেকে ১৫ বছর কেটে যায় শেশবে। ১০ বছর কেটে যায় কর্মস্থলে। আরো ১০ বছর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে। ৫ বছর যাতায়াত করতে করতে। আরো দশ পনেরো বছর সামাজিকতার বিনোদনে। বাকি ১০-১৫ বছর সময়ের কতটুকু আসলে আমরা পুরোপুরি ইবাদতের পেছনে ব্যয় করতে পারি। অথচ লায়লাতুল ক্বদর এমন একটি রাত যা হাজার মাস অর্থাৎ ৮৩ বছরের চাইতেও উত্তম। এর মানে এই একটি রাত যদি আমরা সম্পূর্ণভাবে আন্তরিকতার সাথে ইবাদত করতে পারি এর মূল্য হবে জীবনভর প্রতিটি মুহূর্তে প্রতিটি ক্ষণে আল্লাহর কথা স্মরণ করে তার ইবাদত করে কাটিয়ে দেয়ার চেয়েও উত্তম এর চাইতেও মর্যাদাপূর্ণ।

লায়লাকুল ক্বদর এমন একটি উপহার যা পেলে মনে হয় আল্লাহতাআলা আসলে আমাদেরকে জান্নাতে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য কারণ খুঁজছেন, অজুহাত খুঁজছেন। আমাদের প্রত্যেকে গুনাগার কেউ নামাজ বাদ দেই, তো কেউ মিথ্যা কথা বলি। কেউ বাবা মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করি। কেউ জিনায় লিপ্ত, কেউ মদ খেয়েছি কেউ মাদকে আসক্ত। কতরকম ভুল-ভ্রান্তিতে আমরা ডুবে আছি। অথচ আল্লাহ তাআলা আমাদের কারোর লায়লাতুল ক্বদরের মত মহিমান্বিত রাত্রির দরজা বন্ধ করে দেননি বরং এই রাত্রটি যেন খাসভাবে আমাদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে আমাদের প্রতি আল্লাহর রহমত ভালোবাসা সত্যিই আমাদের কল্পনাশক্তির বাইরে।

প্রথমত জেনে নেই লায়লাতুল ক্বদর কবে? রসুল (সঃ) বলেছেন, লায়লাতুল ক্বদরকে রমজানের শেষ দশ রাত্রিতে খোঁজ। এটা সত্যি যে এছাড়াও অন্যান্য হাদিসে দশ রাত্রির বেজোড় রাত্রিগুলো ২৭ এর রাত ২৫ এর রাত ২৯ এর রাতসহ বিভিন্ন রাতের কথা এসছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে পুরোপুরি নিশ্চিত ভাবে লায়লাতুল ক্বদর পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে শেষ দশ রাত্রির প্রতিটি রাতেই এর ইবাদত করা। মনে করুন একটি লটারী হচ্ছে। আপনাকে বলা হলো এক থেকে দশ টিকেটের মধ্যে যে কোন একটি অবশ্যই জিতবে। আপনি কি তখন কোন টিকিট বাদ রাখবেন? টিকিটের দাম যতই হোক না কেন লটারী জেতার পুরষ্কার তার থেকে লক্ষ্যগুনে বেশি। তাই এই বিরাট পুরষ্কারের কথা চিন্তা করে আপনি দশটি টিকিটই কিন্তু কিনে ফেলবেন।

অতএব আমাদের উচিত শেষ দশ রাত্রি প্রতিটি রাতে আমাদের শতভাগ প্রচেষ্ঠা করা। তার পাশাপাশি যে রাত্রিগুলোর কথা বিশেষভাবে এসেছে যেমন ২৭ এর রাত এবং বেজোড় রাতগুলো সে রাত্রিগুলোতে আমরা বাড়তি কিছু আমল করতে পারি। কিন্তু অবশ্যই অন্যান্য রাত্রিগুলিতে বিশেষ করে ২৭ এর পরের রাত্রিগুলিতে যখন খতম তারাবী শেষ হয়ে যায়। তখন যেন আমরা আমাদের এবাদত কোনভাবেই কমিয়ে না দেই। এবার আসি লায়লাতুল ক্বদরে আমাদের করণীয় কি। আয়শা (রা) বলেন রমাদানের শেষ দশ রাত্রিতে রসুল (স:) তার কোমড় বেধে ইবাদত বন্দেগিতে নেমে পরতেন।

অথ্যাৎ অন্যান্য সময় তিনি যতটা ইবাদত করতেন রমাদানের শেষ দশ রাত্রিতে তিনি সেই পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দিতেন। আমাদের উচিত হবে যে যেই অবস্থাতেই আছি আমাদের ব্যক্তিগত ইবাদাতগুলো এই দশ রাত্রিতে বাড়িয়ে দেয়া। এখানে সবা জন্য একই ফর্মূলা কাজ করবে না। যার ফরজ নামার পড়ার অভ্যাস নেই তা অবশ্যই প্রথমে লক্ষ্য রাখতে হবে এই দশ রাত্রিতে যেন ফরজ নামাজ বাদ না হয়। অন্যদিকে যে ফরজ এবং সুন্নত নিয়মিত পড়ে তার উচিত হবে বেশি বেশি করে নফল ইবাদত করা।

লায়লাতুল ক্বদরের রাত্রিকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর জন্য একটি চমৎকার সুযোগ হচ্ছে এশা ও ফজরের নামাজ মসজিদে জামাতের সাথে আদায় করা। কেননা রসূল সাল্লালাহু সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জামাতের সাতে এশা ও ফজরের নামাজ আদায় করবে সে যেন সারারাত নামাজ পড়ল। অর্থ্যাৎ আপনি জামাতের সাথে এশা ও ফজরের নামাজ আদায় করলে আপনি পুরো রাত্রি নামায পড়ার ছেয়াব পেয়ে যাবেন। এরপর আপনি যাই করেন না কেন সেটা হবে বোনাস। অতএব আমাদের প্রতি লক্ষ্য থাকা উচিত, আর কোনো হোক বা হোক রমাদানের শেষ রাত্রিতে যেন অবশ্যই এশা এবং ফজরের নামাজ মসজিদে জামাতের সাথে আদায় করা হয়।

অন্যদিকে তারাবির নামাজ ইমামের পেছনে পুরোটা শেষ করলে অর্থাৎ ইমাম ৮ রাকাত পড়লে ৮ রাকাত ২০ রাকাত পড়লে ২০ রাকাত ১০০ রাকাত পড়লে ১০০ রাকাত ইমাম যত রাকাত নামাজই পড়াননা কেন তার পেছনে পুরো নামাজ শেষ করে করলেও পুরো রাত্রি নামাজ পড়ার ছোয়াব পাওয়া যাবে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে ইবাদতের ক্ষেত্রে রাসুল (স:) এর মনযোগ ছিল সৌন্দর্য্য ও আন্তরিকতার দিকে। তিনি নামাজে লম্বা লম্বা সূরা তেলাওয়াত করতেন এবং রুকু ও সিজদাতে দীর্ঘ সময় নিয়ে দোয়া করতেন। নামাজে দাড়িয়ে সুরা পড়ার সময় জাহান্নামের আয়াত আসলে তিনি তিলাওয়াত থামাতেন।

আমি আল্লাহর কাছে জাহান্নামের আগুন থেকে রেহাই চাইতেন। জান্নাতের আয়াত আসলে আল্লাহর কাছে জান্নাত লাভের জন্য দোয়া করতেন। তাঁর ইবাদতের প্রতিটি উচ্চারণে ছিল আন্তরিকতা। আল্লাহর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি চেষ্টা। আমরা অনেকে ভাবতে পারি। আমাদের তো বড় বড় সূরা মুখস্ত নেই। যা মুখস্থ আছে সেগুলোর মানেও বুঝিনা। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে আমাদের উচিত হবে এখন থেকে যেসব সূরা মুখস্ত আছে সেগুলো শাব্দিক অর্থ নিয়ে পড়াশোনা করা এবং নতুন নতুন সূরা মুখস্ত করা। কিন্তু এই সেই দশ রাত্রি যেহেতু চলে এসেছে আমরা এই সময়টায় রুকু এবং সিজদায় বেশি বেশি দোয়া করার মাধ্যমে আমাদের নামাজকে সুন্দর করে তুলতে পারি। বিশেষ করে সেজদা করার সময় বান্দা আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে নিকটে থাকে। এই সময়ে আমাদের উচিত মন খুলে দোয়া করা। সুবহানা রাব্বিয়াল আলা তিনবার বলার পর আপনার দুনিয়া এবং আখেরাতের যা কিছু প্রয়োজন আল্লাহর কাছে চাইতে থাকুন। আপনি মন খুলে দোয়া করতে পারছেন না, মনটা শক্ত হয়ে আছে অসুবিধা নেই আপনার এই দোয়া না করতে পারার কথাটাই আল্লাহ তাআলাকে বলুন।

তিনি আপনার অন্তর প্রশস্ত করে দিবেন আপনার জিহ্বা খুলে দিবেন। কখনো ৫ মিনিট ১০ মিনিট ১৫ মিনিট ধরে সিজদা করে দেখেছেন কি? না করে থাকলে এই শেষ দশ রাত্রির চমৎকার সুযোগ কি আর হতে পারে। নামাজের পাশাপাশি অন্যান্য এবাদত করার মাধ্যমেও আমরা শেষরাত্রি গুলোকে জাগিয়ে রাখতে পারি।

আয়েশা (রা:) যখন রসুল (স:) জিজ্ঞেস করলেন: আমরা যদি লায়লাতুল ক্বদর পেয়ে যাই তখন আমরা কি দোয়া করব। রসুল (স:) বললেন: বলবে [‘‘আল্লাহুম্মা ইন্নাক আফুউউন, তুহিব্বুল আফোয়া, ফাফু আন্নি’’ হে আল্লাহ আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালোবাসেন, তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন ]। কত সুন্দর সমাধান আল্লাহর রসুল (স:) দশটি জিনিষ চাইতে বলেননি। একশ রাকাত নামজ পড়তে বলেননি। আসলে আমাদের সব ইবাদাতের মূল লক্ষ্য কি। আল্লাহর ক্ষমা লাভ করা। আল্লাহর ক্ষমা পেয়ে গেলে আমাদের দুনিয়া এবং আখেরাতের আর কোন কিছুই লাগবে না। তাই রাসূল (স:) এই দোয়াটাই আমাদেরকে মহিমান্বিত রাত্রিতে বেশী বেশী করে করতে বলেছেন। সেই সাথে বন্দের এই সময় নামাজ থাকবে না তারা অন্যান্য জিকির-আশকার পাশাপাশি আল্লাহর কাছে হাত তুলো এই দোয়াাটি বেশি বেশি করার মাধ্যমে লায়লাতুল ক্বদরের পুরো ফযিলতটাই আদায় করতে পারবেন।

শ্রেষ্ঠ এই মাসে শেষ রাত্রিগুলো আপনার ব্যক্তিগত ক্যানভাস নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া জিকির সদগাহ এইসব ইবাদাতগুলো হলো আপনার রং। হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এই রাতটিকে আপনার মনের মত রং দিয়ে রাঙিয়ে দিন। যদি সারারাত শুধু নামাজ পড়ে কাটিয়ে দিতে চান তাতেও কোনো বাধা নেই। যদি একটু আধটু করে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন এবাদত করতে চান তাতেও কোনো বাধা নেই। এই রাত জুরে গোটা বিশ্বের কানায় কানায় ফেরেশতা দিয়ে ভরে যায়। তারা তাদের রবের এবাদত করতে থাকে। গুনোগান গাইতে থাকে। দশটি রাত তাদের সাথে যোগদিন। অনন্তকাল এর প্রতিদান উপভোগ করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে লায়লাতুল ক্বদর পাওয়ার এবং ইবাদত দিয়ে জাগিয়ে তোলার তৌফিক দিন। আমিন।