যে অ্যাপগুলো দ্রুত ফোনের চার্জ ক্ষয় করে

আমরা প্রতিদিন অসংখ্য অ্যাপ ব্যবহার করি, যা আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলেছে। তবে কিছু অ্যাপ রয়েছে, যেগুলো আমাদের স্মার্টফোনের ব্যাটারির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এসব অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে, ফোনের প্রসেসর ব্যবহার করে এবং দ্রুত চার্জ শেষ করে দেয়। আসুন, এমন কিছু অ্যাপ সম্পর্কে জেনে নেই।

ইনস্টাগ্রাম: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। তবে এ অ্যাপটি ব্যাকগ্রাউন্ডে বেশ কয়েকটি প্রসেস চালিয়ে যায়, যা ব্যাটারি খরচ বাড়িয়ে দেয়। ছবি ও ভিডিও আপলোড, স্ক্রলিং এবং স্টোরি দেখার ফলে ব্যাটারির ওপর চাপ পড়ে।

ফেসবুক: ফেসবুক এমন একটি অ্যাপ, যা সারা দিন ব্যবহার করা হয়। অনেকেই ব্যাকগ্রাউন্ডে এটি চালু রাখেন, যার ফলে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়। ফেসবুকের লাইভ নোটিফিকেশন এবং ভিডিও কনটেন্টও ব্যাটারির ওপর বাড়তি চাপ ফেলে।

স্ন্যাপচ্যাট: তরুণদের কাছে স্ন্যাপচ্যাট খুবই জনপ্রিয়। এ অ্যাপটি ক্যামেরার মাধ্যমে চ্যাটিংয়ের সুযোগ দেয়, যা ব্যাটারির ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে। বিশেষ করে, লাইভ ফিল্টার এবং ভিডিও কলিং ফিচারগুলো ব্যাটারি দ্রুত শেষ করে দেয়।

হোয়াটসঅ্যাপ: মেসেজিং অ্যাপগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হোয়াটসঅ্যাপ। এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকলে নোটিফিকেশন, অডিও ও ভিডিও কলিং ফিচারের কারণে ফোনের চার্জ দ্রুত কমতে থাকে।

ফিটবিট: ফিটনেস ট্র্যাকিং অ্যাপ ফিটবিট ব্যাকগ্রাউন্ডে বিভিন্ন ডাটা সংগ্রহ করে এবং রিয়েল-টাইম আপডেট দেয়। ফলে এটি স্মার্টফোনের ব্যাটারি খরচ বাড়িয়ে দেয়।

উবার: যে কোনো সময় গাড়ি বুক করার জন্য উবার ব্যবহার করা হয়। তবে এ অ্যাপটি লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাকগ্রাউন্ডে সারাক্ষণ কাজ করতে থাকে, যা ব্যাটারির ওপর বড় প্রভাব ফেলে।

স্কাইপি: ভিডিও কল এবং বিজনেস মিটিংয়ের জন্য জনপ্রিয় স্কাইপি প্রচুর ডাটা ব্যবহার করে, যা ব্যাটারির ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।

এয়ারবিএনবি: ভ্রমণ ও হোটেল বুকিংয়ের জন্য ব্যবহৃত এই অ্যাপও ব্যাকগ্রাউন্ডে বিভিন্ন প্রসেস চালিয়ে রাখে, যা ব্যাটারির স্থায়িত্ব কমিয়ে দেয়।

কীভাবে ব্যাটারি সাশ্রয় করবেন? অপ্রয়োজনীয় ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ রাখুন। প্রয়োজন ছাড়া লোকেশন সার্ভিস বন্ধ রাখুন। ব্যাটারি সেভিং মোড চালু করুন।

ক্যাশ এবং অপ্রয়োজনীয় ডাটা নিয়মিত পরিষ্কার করুন। এ সতর্কতাগুলো মেনে চললে আপনার ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করতে পারবেন।

সূত্র: যুগান্তর




সাবেক মন্ত্রী ফরহাদের স্ত্রী মোনালিসাকে তিন দিনের রিমান্ড

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসাকে দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মেহেরপুরের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার দুটির একটি গ্রেপ্তার ও একটিতে তিন দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করে আদালত।

সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সদর আমলি আদালতের হাকিম শারমিন নাহার এ আদেশ দেন।

আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার ইস্কাটনের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কোর্ট ইন্সপেক্টর মানষ রঞ্জন দাস বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দায়েরকৃত মামলাটিতে মোনালিসার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। পলি খাতুন নামের এক নারীর দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর সাইদুর রাজ্জাক, কোর্ট ইন্সপেক্টর মানষ রঞ্জন দাস এবং আসামি পক্ষে ইব্রাহিম শাহীন আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা ২৬৩/২৪ নম্বর মামলার ১২ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। এ ছাড়াও পলি খাতুন নামে এক নারীর ৫ আগস্ট দায়ের করা একটি জিআর মামলার মামলার প্রধান আসামি মোনালিসা। মামলা নম্বর জিআর ৩৮৭/২৪।




স্থগিত কনসার্ট, অসহ্য পেট ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে শাকিরা

সদ্যই শুরু হয়েছে কলম্বিয়ান খ্যাতিমান শিল্পী শাকিরার Las Mujeres Ya No Lloran ট্যুর। তবে ট্যুর শুরু করার মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন এই গায়িকা। শুধু তাই নয়, প্রচণ্ড পেট ব্যথার কারণে তাকে বাধ্য হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে। পিছিয়ে দিতে হয়েছে পেরুতে অনুষ্ঠিত হতে চলা কনসার্ট।

শনিবার রাতে তাকে হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি পর্যবেক্ষণে আছেন, তার চিকিৎসা চলছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন নিজেই এসব খবর জানিয়েছেন ৪৮ বছরের এই গায়িকা।

এদিন শাকিরা এক্স হ্যান্ডেল এই তারকা লিখেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে গত রাতে আমায় ইমারজেন্সিতে যেতে হয়েছিল পেট ব্যথার জন্য। আমি বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি।’

গায়িকা আরও জানান, ডাক্তাররা তাকে পারফর্ম করতে বারণ করেছেন। ফলে তার এখন সেই অবস্থা নেই যাতে তিনি স্টেজে উঠে পারফর্ম করতে পারেন।

শাকিরা আরও জানিয়ে দেন এভাবে শো পিছিয়ে দেওয়াতে তিনি ভীষণ দুঃখিত। কারণ তিনি মুখিয়ে ছিলেন তার পেরুর অনুরাগীদের জন্য। তাদের সামনে পারফর্ম করার জন্য। তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, তার টিম এবং কনসার্টের প্রচারকরা নতুন ডেট কবে ফেলা হবে শোয়ের জন্য সেটা নিয়ে কাজ করা শুরু করে দিয়েছেন।

এই বিষয়ে তিনি আরও জানান, ‘আমি তোমাদের সবাইকে ভালোবাসি। বিষয়টা বোঝার জন্য ধন্যবাদ।’

তবে যতই স্বাস্থ্য খারাপ হোক, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকুন না কেন, শাকিরা জানিয়েছেন যে তিনি আশাবাদী। তিনি শীঘ্রই স্টেজে ফিরবেন। তিনি আশা করছেন, ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ছাড়া পেয়ে যাবেন। তারপর আবার তিনি তার এই সুরেলা সফর শুরু করে দেবেন। যদিও সবটা ঠিক থাকে তাহলে পুনর্নির্ধারিত সময়ই পেরুতে পারফর্ম করবেন। তারপর কলম্বিয়ায় যাবেন তার পরবর্তী একাধিক শোয়ের জন্য।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে দ্বি-মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর উপজেলা পর্যায়ে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতির বিষয়ে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে দ্বি-মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলা কার্যালয় কনফারেন্স রুমে সমন্বয় সভা আয়োজন করা হয়েছে।

মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলামের সভাপতিত্বে সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর ডিস্ট্রিক্ট  ম্যানেজার মোঃ আসাদুজ্জামান, সদর উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ আলমগীর কবির, গ্রাম আদালত প্রকল্প প্রোগ্রাম এন্ড ফাইনান্স অফিসার মোঃ সাহাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন, ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বারাদি ও সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর প্রমূখ।

এ সময় তারা বলেন, হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটররা তাদের নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং সাধারণ মানুষদের গ্রাম আদালতের সেবা নিশ্চিত করতে তাদের সহযোগিতা করবে। বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করবে এবং গ্রাম আদালতের প্রচার বৃদ্ধি করবে। দাম আদালতের আবেদন গ্রহণ করবে,সরকার গ্রাম  আদালতের  বিশাল ক্ষমতা দিয়েছে তার যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। প্রতিটা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের ব্যানার থাকতে হবে যেখানে বিচার সেবা চলে।

ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের আইন বিষয়ে সাইন বোড থাকতে হবে। আপনাদের মাঝে নিবন্ধন এবং গ্রাম আদালতের মামলা সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকতে হবে এবং প্রতিমাসে অবস্থান ভিত্তিক তথ্য দিতে হবে। গ্রাম আদালতে সহজে অল্প সময়ে বিরোধ নিস্পত্তি করা হয়, এখানে মানুষ হয়রানি হয় না মানুষের মাঝে সুসম্পর্ক তৈরি হয়।




প্রাইভেট জেট নিয়ে কেন ম্যানচেস্টারে এসেছিলেন রোনাল্ডো

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ভুগছে, জয় পেতে ধুঁকছে। এমন অবস্থা অবশ্য দুয়েকদিনের নয়। চলছে গত কয়েক মৌসুম ধরেই। খেলোয়াড় বদল হলো, পাল্টানো হলো কোচ কিন্তু প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ ক্লাবটির অবস্থা ‘যে লাউ সেই কদু’। গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডসে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বড় গলায় বলেছিলেন, এমন সমস্যার সমাধান তার জানা আছে।

এবার সেই সমস্যার সমাধান করতেই বুঝি ম্যানচেস্টারে এসেছিলেন রোনাল্ডো। দুদিন আগে ম্যানচেস্টারের এয়ারপোর্টে দেখা মেলে সিআর সেভেনের প্রাইভেট জেট। এরপর থেকেই জমছে প্রশ্ন আল-নাসর ছেড়ে তবে কি আবার ইউনাইটেডে আসছেন রোনাল্ডো নাকি মালিক হয়ে সমস্যা সমাধান করে দেবেন?

আরও কিছু কথা উঠছে। কিংবদন্তির বিমান দেখে অনেকের ধারনা, শেষ বারের মতো হয়ত রোনাল্ডো প্রিয় ক্লাব ইউনাইটেডের হয়ে খেলবেন। কেউ আবার বলছেন, পর্তুগিজ তারকা মূলত ক্লাবটি কিনতে চাচ্ছেন। কেউ বলছেন, রোনালদো নাকি মধ্যপ্রাচ্য ছেড়ে ইউরোপে ফেরার চুক্তি করতে এসেছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত রোনাল্ডোর ম্যানইউতে যাওয়ার খবরের নেপথ্য জানা যায়নি।

ইউনাইটেডের খারাপ ফর্ম বিশ্লেষণ করতে গিয়ে মাসতিনেক আগে রোনাল্ডো টোটকা দিয়েছিলেন, ‘দেড় বছর আগেও বলেছিলাম, এখনও বলছি (ম্যানইউতে) সমস্যা কোচদের নয়। এটা অনেকটা অ্যাকুরিয়ামের মতো। যদি তোমার অ্যাকুরিয়ামে একটি মাছ থাকে এবং সেটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তুমি তাকে বের করে চিকিৎসা করে আবার ফিরিয়ে আনলেও সে আবার অসুস্থ হবে। ইউনাইটেডের সমস্যা একই। সমস্যাটা সবসময় কোচ নয়, এটা তার থেকেও অনেক বড় কিছু।’

রোনাল্ডো এরপর এই সমস্যার সমাধানের কথাও বলে দিয়েছেন, ‘যদি ক্লাবের মালিক হতাম, তবে আমি জিনিসগুলো পরিষ্কার করতাম। যেগুলো খারাপ মনে হতো, সেগুলো ঠিক করতাম।’

আগেরবারের মতো এবারও ভালো অবস্থানে নেই ম্যানইউ। ২৫ ম্যাচের ১২টিতে হেরে তারা নেমে গেছে অবনমন অঞ্চলের খুব কাছাকাছি। হারের বৃত্তে থাকা ম্যানইউর হয়ত এমন কিছু সংস্কারই দরকার। সেই কারণেই বুঝি রোনালদো তার ৬.২৮ বিলিয়ন পাউন্ডের বোম্বেডিয়ার গ্লোবাল এক্সপ্রেস ৬৫০০ প্রাইভেট জেট নিয়ে ম্যানচেস্টারে নেমেছিলেন।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেফতার

চলতি অপারেশন ডেভিল হান্টে গত ২৪ ঘন্টায় মেহেরপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও তাঁতী লীগের ৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এদের মধ্যে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের অভিযানে ৩ জন, গাংনী থানা পুলিশ ২ জন ও মুজিবনগর থানা পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছেন।

মেহেরপুর পুলিশ সুপার মকসুদা খানম পিপিএম জানান, গ্রেফতারকৃতদের নামে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে সদর, গাংনী ও মুজিবনগর থানায় মামলা রয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের আজ আদালতে নেওয়া হবে।




ক্যাসিনো সম্রাজ্ঞী সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর স্ত্রী মোনালিসা গ্রেফতার

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন পত্নি ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সৈয়দা মোনালিসাকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রবিবার (১৬ ফেব্রæয়ারী) দিবাগত রাতে ঢাকার ইস্কাটন রোডের একটি বাড়ি থেকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
একটি বিশ্বসস্থ সূত্রের বরাত দিয়ে মেহেরপুর সদর থানার ওসি শেখ মেজবাহ উদ্দীন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সৈয়দা মোনালিসার নামে মেহেরপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার উপর হামলাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে তিনটি মামলা রয়েছে।

প্রশাসনসহ এলাকার মানুষ এতোদিন জানতেন মন্ত্রী পতিœ সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম সরকার পতনের পরপরই কানাডাতে পালিয়ে গেছেন। কানাডাতে পালিয়ে যাওয়ার ভূঁয়া তথ্য মন্ত্রীরর পরিবার ও দোষররা সমাজে ছড়িয়ে দিয়েছিল।
এদিকে সৈয়দা মোনালিসা ইসলামের গ্রেফতারের খবর মেহেরপুর জেলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিতে ভাইরাল হওয়ায় অনেকস্থানে আনন্দ ও উল্লাস প্রকাশ করেছেন জনগণ।

খোদ আওয়ামীলীগের নেতা ও স্থানীয়রা জানান, ফরহাদ হোসেন ও তার স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা মিলে মেহেরপুর জেলার মানুষকে শাসন ও শোষন করেছেন। মন্ত্রী যতটা না ক্ষমতাধর ছিলেন সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম ছিলেন তার চাইতে বেশি ক্ষমতাধর।

প্রশাসন, গোয়েন্দা বিভাগ ও স্থানীয় অনলাইন জুয়াড়িরা জানিয়েছেন, মেহেরপুর জেলায় অনলাইন জুঁয়ার মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা অবৈধপথে রাশিয়াতে গেছে। অনলাইন জুঁয়া নিয়ন্ত্রক ছিলেন সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম। জেলার কয়েক হাজার যুবক, তরুণ এই অনলাইন জুঁয়ায় আসক্ত। অনলাইন জুঁয়াড়িদের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাপোর্ট দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকা। এনিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে বারবার সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। অনলাইন জুঁয়াড়িদের দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ও আইনী সুরক্ষা। সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম ছিলেন অনলাইন জুয়াড়িদের স¤্রাগী। আর এই কথা বলেছেন, সাবেক মন্ত্রীর ছোট ভাই বর্তমানে দুটি মামলায় গ্রেফতার জেলা যুবলীগের আহবায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল। তিনি বলেছেন, মোনালিসা ইসলাম অনলাইন জুয়ার নিয়ন্ত্রক ছিলেন; ‘ক্যাসিনো সম্রাজ্ঞী’ হিসেবে তিনি পরিচিত, মৃদুলের কথা এখন মানুষের মুখে মুখে।

জানা গেছে, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল দুই হাজার কোটি টাকার মালিক; এর সবটাই দুর্নীতিপ্রসূত। কানাডাসহ দেশ-বিদেশে তার অঢেল সম্পদ।

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এবং মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মেহেরপুরে দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। সরকারি ত্রাণের কোটি টাকার মালামাল আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে। ক্ষমতার পালাবদলের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা এলাকায় থাকলেও মন্ত্রী ও তার ভাইবোন-স্বজন সবাই এখন পলাতক। অথচ ক্ষমতাকালে মন্ত্রী বাইরের ভালো লোক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, ‘তার আমলে দল পরিবারতন্ত্রের রূপ নিয়েছিল। জেলা কমিটিতে তার স্ত্রী, ভাই, বোন, আত্মীয়স্বজন মিলে ২৩ জন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। মন্ত্রী পঞ্চপান্ডব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী গ্রেপ্তার হওয়ায় দলে স্বস্তির হাওয়া বইছে, আজকে মন্ত্রী পতিœ গ্রেফতার মানুষের মাঝে ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীর মাঝে নতুন সুখবর দিলো। তিনি তিনবার এমপি, প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী হয়ে প্রকৃত নেতাদের ছুড়ে ফেলেছিলেন। কর্মীরা মূল্যহীন হয়ে পড়েছিল। মূল্যবান হয়ে উঠেছিল প্রশাসন, পুলিশ ও হাইব্রিড কিছু তোষামোদকারী নেতা।’

জানা গেছে, দলকে হাতের মুঠোয় রেখে মন্ত্রী ফরহাদ মেহেরপুরসহ সারা দেশের টেন্ডার, নিয়োগ, বদলি ও অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা ও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। পুলিশকে ব্যবহার করে অনলাইন জুয়া নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে মাসে ৪-৫ কোটি টাকা কামাতেন তার স্ত্রী মোনালিসা ইসলামের মাধ্যমে।
অনলাইন জুয়ার হোতাদের সঙ্গে মন্ত্রী ও সৈয়দা মোনালিসার সাথে অন্তরঙ্গ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ও অন্যান্য মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।

সারা দেশের শিক্ষা সেক্টরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন মন্ত্রীর ছোট ভাই সরফরাজ হোসের মৃদুল; স্থানীয় সমাজসেবা, হাসপাতাল ও থানা নিয়ন্ত্রণ করতেন তার ভাগ্নে (মন্ত্রীর অর্থরক্ষক হিসেবে পরিচিত) আমিনুল ইসলাম খোকন; গণপূর্ত, সড়ক ও জনপথসহ এলজিইডি নিয়ন্ত্রণ করতেন মন্ত্রীর ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস; সমবায়, কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ বিভাগ নিয়ন্ত্রণ করতেন তার বড় ভাই শহীদ সাদেক হোসেন বাবুল এবং সারা দেশে সরকারি হাসপাতালের ওষুধ সাপ্লাইবাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন মন্ত্রী-পত্মীর পিএস জোহা। জনশ্রুতি আছে, এ নিয়ন্ত্রকদের হোতা ছিলেন মন্ত্রী ও তার স্ত্রী। এদের মাধ্যমেই অর্থবিত্তে ফুলেফেঁপে ওঠেন তিনি।

সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী, তার স্বর্ণ আগে ছিল ২০ ভরি, সর্বশেষ হয়েছে ৪৫০ ভরি; আয় ও সম্পদ সর্বশেষ ২০০ গুণ বেড়েছে।

মন্ত্রীর দুর্নীতির কথা ফাঁস করেছেন তারই ছোট ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল। তিনি এক অডিও সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ভাইয়ের দুর্নীতির কারণেই আজ আমরা সবাই ঘরছাড়া, পালিয়ে বেড়াচ্ছি এবং মামলার আসামি হয়েছি। ফরহাদ হোসেন নিয়োগ, বদলিবাণিজ্য প্রভৃতি দুর্নীতির মাধ্যমে ন্যূনতম দুই হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কানাডার বেগমপাড়ায় তার বাড়ি আছে। ঢাকায় একাধিক বাড়ি আছে। সবকিছুর নিয়ন্ত্রক ছিলেন মন্ত্রী ও তার স্ত্রী। টাকা ছাড়া টেন্ডার, নিয়োগ, বদলি কিছুই হতো না।’ তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীর স্ত্রী মোনালিসা ক্যাসিনো সম্রাজ্ঞী হয়ে পুলিশের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা কামিয়েছেন। ক্ষমতা হারানোর পর ৫০ কোটি টাকা দিয়েছেন মামলা থেকে রক্ষা পেতে। তাই তার নামে কোনো মামলা হয়নি। স্ত্রীর কারণেই আমার ভাই নষ্ট হয়েছে।’

জানা গেছে, মন্ত্রীর উপার্জনের বেশি অংশ পাচার হয়েছে কানাডায়। তার অবৈধ উপার্জনে কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি আছে। দুবাইয়ে শারজা স্টেডিয়ামের পাশে মন্ত্রী বাড়ি কিনেছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ঢাকার মোহাম্মদপুর, উত্তরা ও বনানীতে তিনটি ফ্ল্যাট আছে। কিশোরগঞ্জ ও মেহেরপুরে আছে দুটি বাড়ি। আত্মীয়স্বজনদের নামে-বেনামে কয়েক শত বিঘা জমি ও ব্যাংকে জমা আছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। ক্ষমতা হারানোর কিছুদিন আগে শহরে ১১ কোটি টাকা মূল্যে দেড় বিঘা বাড়ির জমি কিনেছেন তার স্ত্রীর পিএস জোহার নামে। মেহেরপুর শহরের দীঘিরপাড়ায় ৭ কোটি টাকা মূল্যের ৯ বিঘা জমি আছে। শহরের পিটিআইয়ের সামনে তার বাবার নামে সরকারি টেক্সটাইল কলেজ নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণকৃত এক বিঘা জমিটি তিনি ২০ লাখ টাকায় কিনে পরে সরকারের কাছে ৭ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন। সদর উপজেলার বুড়িপোতা, হরিরামপুর, ইছাখালী, মদনা, আমঝুপি, শ্যামপুর ও মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর, মোনাখালী ও আনন্দবাস এলাকায় বাড়ি ও চাষাবাদের শতবিঘা জমি কিনেছেন বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেছেন।




দামুড়হুদায় মাস্টার্স ছাত্রকে কুপিয়ে হ’ত্যা

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বদনপুর গ্রামের মাঠে মাসুদ রানা রঞ্জু (২৩) নামের এক মাস্টার্স পড়া ছাত্রের এলোপাতাড়ি কোপানো মরদেহ উদ্ধার করেছে দামুড়হুদা থানা পুলিশ। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত রঞ্জু বদনপুর গ্রামের আজিজু রহমান মীরের ছেলে। গতকাল রবিবার রাত ৮টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে সংবাদের সত্যতা পান। চুয়াডাঙ্গা সহকারী পুলিশ সুপার কনক কান্তি দাস, দামুড়হুদা সার্কেল এ এস পি জাকিয়া সুলতানা ও দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

নিহতর পিতা আজিজুর মীর বলেন, গতকাল রবিবার সকাল ৯টার দিকে মাঠে ভুট্টা খেতে পানি দিতে যায় রঞ্জু। দুপুর দুইটার দিকে আমি রঞ্জুর জন্য খাবার নিয়ে মাঠে গিয়ে তাকে খুঁজে পায়নি। এসময় তার মোবাইলে কল দিলেও রিসিভ না হওয়ায় আমি বাড়ি ফিরে আসি। সন্ধ্যায় মাগরিবের পরেও যখন রঞ্জু বাড়ি না আসে তখন আমি কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ছেলেকে মাঠে খুঁজতে যায়। জমির আসপাশে খুঁজে না পেয়ে ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে খোঁজা খুঁজির এক পর্যায় তাকে মাটিতে পরে থাকতে দেখি।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রাত ৮টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নাম্বার থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল বদনপুর গ্রামের ভোলার বাগানের মাঠে একটি ভুট্টা ক্ষেতে মাস্টার্স এর ছাত্র রঞ্জুর লাশ দেখতে পায়। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের ক্ষত দেখতে পাওয়া গেছে। আমরা এখনো (রাত সাড়ে ১০ টা) ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি। পিবিআইকে সংবাদ দেওয়া হয়েছে।

পিবিআই সদস্যরা এসে আলামত সংগ্রহ করার পর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হবে।




দামুড়হুদায় অপারেশন ডেভিল হান্টে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

দামুড়হুদায় অপারেশন ডেভিল হান্টে নাটুদাহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল রবিবার রাত ১০টার সময় তাকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত হলো দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রবাস গ্রামের বাজার পাড়ার মৃত ওয়াজ্জেদ আলী বিশ্বাস এর ছেলে যুবলীগ নেতা মোঃ হাসানুজ্জামান পিন্টু (৪৯)। বিষয় টি নিশ্চিত করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি হুমায়ূন কবির।

পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, জমির চাষাবাদ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বাদীর সহিত আসামীদের বিরোধ চলে আসছিলো। উক্ত বিরোধের কারণে কিছু দিন ধরে আসামীরা বাদীকে মারধরসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকী ধামকি দিয়ে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৮/০২/২০২৫ইং তারিখ সকাল ১১টার দিকে দামুড়হুদা থানাধীন হাতিভাঙ্গা গ্রামের কই মারির মাঠে বাদী কৃষি কাজ করা অবস্থায় আসামীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো হাসুয়া দিয়ে বাদীর মাথা লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি কোপ মারিলে তা ঠেকাতে গিয়ে তার বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও মধ্যমা আঙ্গুলে কেটে রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম হয়। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এরই প্রেক্ষিতে মামলার ঘটনার সহিত জড়িত থাকায় তাকে অপারেশন ডেভিল হান্ট উপলক্ষ্যে গ্রেফতার করা হয়।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকালই আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।




ঝিনাইদহে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে রানা মণ্ডল (৩৫) নামের এক যুবকের গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার সড়াতলা গ্রামের নিজ ঘরের আড়া থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

রানা মন্ডল ওই গ্রামের মঈনুদ্দিন মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রানার স্ত্রী শম্পা খাতুনকে আটক করেছে।

প্রতিবেশীরা জানান, স্ত্রীর সাথে বেশ কিছুদিন ধরে বনিবনা হচ্ছিল না রানার। প্রতিনিয়ত তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো।

এ ব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি এম এ রউফ খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।’