দর্শনায় ফেনসিডিলসহ মহিলা মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

দর্শনা থানা পুলিশ ৫০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ এক মহিলা মাদক ব্যবসায়ী সেলিনা খাতুন (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে । সে দর্শনা পৌরসভার আজমপুর মাঠ পাড়ার স্বামী মুজিবর রহমান ও খলিলুর রহমানের মেয়ে।

জানাগেছে রবিবার (২১ মে )  ‍দুপুর ১ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদের নেতৃত্বে, অভিযান চালায় দর্শনা হল্ট ষ্টেশন টাওয়ার পাড়ায়।

এ সময় দর্শনা থানার এস আই সোহেল রানা, দর্শনা থানার এসআই স্বপন কুমার সরকার, এএসআই বশির আহম্মেদ, এএসআই মাসুম বিল্যাহ্, নারী এএসআই মোছাঃ রওশন আরা,অভিযান চালায় টাওয়ারপাড়ার মুনাজাতের ছেলে আব্দুস ছাত্তারের দোকানের পিছনে। এ সময় পুলিশ মহিলা মাদক ব্যাবসায়ী সেলিনা কে গ্রেফতার করে।পরে তার কাছে থাকা কাপড়ের ব্যাগ তল্লাশি করে ৫০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় দর্শনা থানার এস আই সোহেল রানা বাদি হয়ে মাদক আইনে মামলাসহ কোট হাজতে প্রেরন করে।




গায়ের রং দেখে পাকিস্তানের কোচ নির্বাচন করা হয় : রাজা

সর্বশেষ কোচ নির্বাচনের সমালোচনা করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ রাজা বলেছেন গায়ের রং দেখে দলের প্রধান কোচ নির্বাচন করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়কের মতে, স্থানীয় কোচদের প্রাপ্য সম্মান না দিয়ে গায়ের রং দেখে দলের কোচিংয়ের গুরু দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিদেশিদের।

সম্প্রতি দুই বছরের জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন। পরিচালক হিসেবে পাকিস্তানের দায়িত্ব পালন করবেন ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল ডার্বিশায়ারের প্রধান কোচ মিকি আর্থার। একইসঙ্গে ডার্বিশায়ার ও পাকিস্তানের সাথে কাজ করবেন আর্থার। এছাড়াও ব্যাটিং কোচ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যান্ড্রু পুটিক ও বোলিং বিভাগে প্রোটিয়া পেসার মরনে মরকেলকে কোচের দায়িত্ব দিয়েছে পিসিবি।

কোচিং প্যানেলে বিদেশিদের নিয়োগ নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে পিসিবির বর্তমান চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি বলেছিলেন, ‘স্থানীয় কোচরা পেশাদার নন। পাকিস্তানের তারকারা খেলোয়াড়দের কোচিং করাতে পারেন না। একজন বিদেশি কোচ স্বজনপ্রীতি ও পছন্দের খেলোয়াড় দলে নেবে না। কিন্তু আমাদের স্থানীয় কোচরা সেটি করবে, কারণ এটি আমাদের সংস্কৃতিতে আছে।’

শেঠির ঐ কথার প্রেক্ষিতে অবশেষে মুখ খুললেন রাজা। পাকিস্তানের নিউজ পোর্টাল ক্রিকেটপাকিস্তান ডটকমকে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি কোচদের ব্যবহার না করাটা অন্যায়। আপনি যদি তাদের কোচ হিসেবে নিয়োগ দিতে না পারেন, অন্তত তাদের সম্মান দেন। আপনি এটা বলতে পারেন না, তারা কাজ পারে না এবং রাজনীতি করে।’

বর্তমান প্রধান কোচ ব্র্যাডবার্নের সমালোচনা করে রাজা বলেন, ‘পিসিবি একজন প্রধান কোচ নির্বাচন করেছে, যার কিনা ক্রিকেট সার্কিটে কোন অভিজ্ঞতা নেই।’

রাজা আরও বলেন, ‘আমাদের পুরো দল তাকে দিয়েছে পিসিবি। কারন তার গায়ের রং আমাদের থেকে আলাদা। তারা বিশ্বাস করে, সে কোন রাজনীতি করবে না। একজন নিম্নস্তরের মানসিকতার মানুষ এমনটি ভাবতে পারে। সিস্টেম এবং কোচদের সম্মান করুন। কোচের গায়ের রং যদি আপনার মত হয় তাহলে ধরে নিবে রাজনীতি করবে।’

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনী ও মুজিবনগরে ৫ জন গ্রেফতার

গাংনী ও মুজিবনগর থানা পুলিশের ২৪ ঘন্টার নিয়মিত অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৫ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।
এদের মধ্যে গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে ৩ আসামি ও মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে নিয়মিত মামলার ২ আসামি রয়েছে।
শনিবার দিনগত রাতের আজ রবিবার ভোররাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ও মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের পৃথক টিম অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের আজ রবিবার সকালের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে চাকরির সুযোগ

সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। প্রতিষ্ঠানটি সরাসরি কমিশন্ড অফিসার পদে লোকবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: কমিশন্ড অফিসার।

পদের সংখ্যা: নির্ধারিত না।

বিভাগ: ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইলেকট্রিক্যাল শাখা- পুরুষ, শিক্ষা শাখা- পুরুষ ও নারী, শিক্ষা শাখা (ইঞ্জিনিয়ার)-পুরুষ ও নারী। পদ অনুসারে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।

বয়স: প্রার্থীর বয়স ২৮-৩০ বছর।

আবেদন করার আগে অবশ্যই বিজ্ঞপ্তি দেখে নিতে হবে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও প্রাথমিক সাক্ষাৎকার, লিখিত পরীক্ষা, আইসেএসবি কর্তৃক পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকার, চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তর্ণীদের নিয়োগ দেওয়া হবে।

আবেদনের উপায়: আগ্রহীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে ক্লিক করুন  এখানে।

আবেদনের শেষ তারিখ: ৬ জুলাই, ২০২৩

 




চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সাপ্তাহিক মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্স প্যারেড গ্রাউন্ডে বিভিন্ন ইউনিট ইনচার্জ ও অফিসার ফোর্সদের অংশগ্রহণে সাপ্তাহিক মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে আটটার সময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সে এই মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন অভিবাদন মঞ্চ থেকে সালামি গ্রহণ শেষে প্যারেড পরিদর্শন করেন। প্যারেড অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান । এ সময় পুলিশ সুপার প্যারেডে অংশগ্রহণকারী অফিসার ফোর্সদের শারীরিক ফিটনেস ও টার্ন আউটের উপর ভিত্তি করে জিএস (গুড সার্ভিস) মার্ক প্রদান করেন।

পুলিশ সুপার প্যারেড পরিদর্শনান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং জেলা পুলিশের সকল সদস্যের উদ্দেশ্যে আইজিপি রেঞ্জ ডিআইজি প্রদত্ত নির্দেশনার আলোকে বক্তব্য প্রদান করেন।

উক্ত সাপ্তাহিক মাস্টার প্যারেডে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আবু তারেক, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, ডিআইও-(১), সকল অফিসার ইনচার্জগণ, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, টিআই (প্রশাসন), আরআই, পুলিশ লাইন্সসহ চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল থানা, ফাঁড়ি, তদন্তকেন্দ্র ও পুলিশ ক্যাম্পের অফিসার ও ফোর্সবৃন্দ।




মুজিবনগরে পূর্ব শত্রুতার জেরে সংঘর্ষ আহত-৩

পূর্ব শত্রুতার জেরে মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালি ইউনিয়নের রসিকপুর গ্রামের রসিকপুর ব্রিজে সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় রসিকপুর ব্রীজে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো রসিকপুরের খোকন শেখের ছেলে মানিক(১৬), শামসুদ্দোহা শেখের ছেলে, মোঃ শানমন (১৮) এবং মজিদুলের ছেলে টোকন (২১)। গুরুতর আহত টোকনের মাথায় ৯ টা সেলাই দিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তারা মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা জানা যায়, আহত তিনজন মোটরসাইকেল যোগে রশিদপুর ব্রিজে পৌঁছালে আগে থেকে উৎপাতে থাকা বাগবান গ্রামের বাবলুর ছেলে বনি আমিন (২০), কাউস উদ্দিনে ছেলে লুৎফর (১৭), সবুজ(১৮), আলতাফের ছেলে কাউস উদ্দিন (৩৫) এবং সাকিব(১৬) দেশীয় অস্ত্র লাঠি ও রড নিয়ে আক্রমন করে। এ সময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আক্রমণকারী বনি আমিনও আহত হয়। তার মাথায় ৫ টি সেলাই দিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

বাগোয়ানের সাবেব ইউপি সদস্য কমরউদ্দিন ও রশিকপুরের ইউপি সদস্য পানু শেখ ঘটণার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান করোনা কলীন সময়ে স্কুলে পড়া অবস্থায় এক সংঘর্ষের জেরে আজকে পুনরায় রসিকপুর ব্রীজে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল বলেন , ‘ঘটনাটি সম্পর্কে পুলিশ অবগত আছে, উভয়পক্ষের দুইজন গুরুতর আহত হয়েছে, তবে এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি । লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।’




চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল ঘোষিত কর্মসূচির নির্দেশনা অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গায় শান্তি সমাবেশ করেছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

আজ শনিবার বিকেল ৪ টায় জেলা যুবলীগের কার্যালয়ে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের ‘সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে’ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে দেশবিরোধী ‘ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় যুবলীগ নেতাকর্মীদের সজাগ ও সতর্ক থেকে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে স্বাধীনতা বিরোধীরা।

ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হলে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ঐক্যবদ্ধ যুবলীগকে শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে।

নঈম জোয়ার্দ্দার বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা ও নৌকাকে বিজয় করতে যুবলীগকে কাজ করতে হবে। পরিচ্ছন্ন, মেধাবী, পরিশ্রমী ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত স্বাধীনতার স্বপক্ষের যুবকদের তৃণমূল পর্যায় থেকে আরও সুসংগঠিত-শক্তিশালী করে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগকে স্মার্ট যুবলীগ হিসেবে রূপান্তর করা হবে।’

এসময় তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের সাংগঠনিক দিকনির্দেশনাসহ দেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে দেশরত্ন শেখ হাসিনার সকলজনকল্যাণমূলক কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানান সমাবেশে বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের সদস্য আলমগীর আজম খোকা, যুবলীগ নেতা পলেন, যুবলীগ নেতা মাসুদুর রহমান মাসুমের সঞ্চালনায় শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রামীম হোসেন সৈকত, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সামিউল শেখ সুইট, যুবলীগ নেতা তানভীর রেজা টুটুল, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি রানা, সাধারণ সম্পাদক খান জাহান ও সুজন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, দিপু বিশ্বাস, লোকমান,আলীম ,মিঠুন ,সুমন ,সজল ,কবির, সজীব, হাসান, লিপ্টন, সজীব, আতিয়ার ,সুজন জনি, লপু,ফিরোজ,মিতুল,শান্ত,রুবেল,ইমরান, তানজিল,আলামিন,চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা উপ-সম্পাদক শেখ আনোয়ার, ইমরান, সৌরভ,তানিন,রফিক, রাকিব ,সজিব ,হিলাল ,সাইদুল, শাকিল, সুজন, রকি, স্বপন ,তানজিল, সোহেল ,কালু, তামিম, রাশিদুল ,তারিকুল প্রমুখ।




চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের আয়োজনে মধু মাস উৎসব অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে মধু মাস বাংলার ঘরে পাকা ফলের ছড়াছড়ি দাওয়াত দিলাম বন্ধু তোমায় এসো মোদের বাড়ি’ প্রতিপাদ্যে ‘মধু মাস উৎসব ২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন।

উক্ত আয়োজনে আরোও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান ,চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মানিক আকবর, সভাপতি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিট সভাপতি নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ চুয়াডাঙ্গাসহ প্রিন্ট ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং সদর কেন্দ্রিক সকল পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ।




মেহেরপুরের খোকসায় শস্য কর্তন ও কৃষক সমাবেশ

মেহেরপুর সদর উপজেলায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে বোরো ধানের সমলয়ে চাষাবাদের শস্য কর্তন ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার খোকসা মাঠে এই শস্য কর্তন ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শংকর কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন কামরুল আহসান। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজামান, শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, আমদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রওশন আলী টোকন, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম শান্তি প্রমূখ।




চুয়াডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা নদী দখল-দুষণমুক্ত করতে সচেতনতামূলক পরিচ্ছন্নতা ও বৃক্ষরোপন অভিযান

মাথাভাঙ্গা নদী দখল-দুষণমুক্ত করতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ পার্ক থেকে বড় বাজার পর্যন্ত সচেতনতামূলক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম ও বৃক্ষরোপণ অভিযান করা হয়েছে।

আজ শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ পার্কের নিচে মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে বৃক্ষরোপন ও নদীর কচুরিপানা অপসারণের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।

‘যদি বাঁচে মাথাভাঙ্গা, হবে চমৎকার চুয়াডাঙ্গা’ গানে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন, সদর উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবীদ সমিতি (বেলা), মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার যৌথ আয়োজনে এ কার্যক্রম করা হয়।

সচেতনতামূলক কার্যক্রমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম ভূইয়া, মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল।

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাঁদের পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবির হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলনের উপদেষ্টা অ্যাড. সেলিম উদ্দীন খান, চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেটের সিনিয়র সহকারী কমিশনার শেখ মো. রাসেল, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেটের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর সাদাত হোসেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী বিশ্বাস, সহসভাপতি শাহ আলম সনি, প্রগতি লেক সংঘ চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক কাজল মাহমুদ, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র সুলতানা আঞ্জু রন্তা, কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, মুনসুর আলী মনো, মুন্সি আলাউদ্দীন, উজ্জ্বল হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলনের সহ সম্পাদক হেমন্ত কুমার সিংহ রায়, প্রচার সম্পাদক মেহেরাব্বিন সানভী, দপ্তর সম্পাদক জিসান আহমেদ, সদস্য হাবিবি জহির রায়হান, অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, আহসান আলম, পারভিন লায়লা, আব্দুস সালাম সৈকত, আলাউদ্দীন ওমরসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সচেতনতামূলক কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, মাথাভাঙ্গা চুয়াডাঙ্গা শহর তথা চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রাণ। এই নদীর সাথে এই জেলার মানুষের নারীর সম্পর্ক। দুঃখজনক হলেও আমরা দেখছি নদীটি দূষণ এবং দখলের স্বীকার হচ্ছে। এই নদীকে দূষণমুক্ত, দখলমুক্ত রাখতে হবে। এই নদীতে যেন ময়লা আবর্জনা না ফেলে এজন্য আমরা নিয়মিত বলছি। নদীর পাড়েই চুয়াডাঙ্গার সবথেকে বড় বাজার। আমরা বাজার সমিতিকে বার বার বলছি, ময়লা যেন নদীতে না ফেলা হয়। মাথাভাঙ্গা বাঁচাতে এই সামাজিক আন্দোলন এক দিনের না। আমরা এই নদীকে নিয়ে একটি একশন প্লান করছি। কিভাবে এই নদীতে দূষণ ও দখলমুক্ত করা যায়। নদীর পানি এখন প্রায় ব্যবহার অনপযোগী হয়ে গেছে। কয়েক মাস আগে পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমে মাছ মরে ভেসে উঠছিলো। এই নদীকে বাঁচাতে আমাদের সকলের কানেক্টিভিটি প্রয়োজন। আমাদের আন্দোলনে আমরা সবাইকে চাই আমাদের পাশে। আমরা আশা করবো, সবাইকে নিয়ে অতীতের মতো এই নদীকে আবারো সুন্দর ও চমৎকার করে তুলবো।

জেলা প্রশাসক পানি উন্নয়ন বোর্ডকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি নদী কখন হয়েছে। মাথাভাঙ্গা নদী খননের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে। মাথাভাঙ্গা নদী একটি সুন্দর নদী হোক এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি। এ সময় তিনি মাথাভাঙ্গা নদী সংরক্ষণে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।

মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি বলেন, আমি আশা করি, এই পরিচ্ছন্ন অভিযান ও সচেতনতামূলক অভিযানে প্রশাসন সচেতন হবে, মৎস্য অধিদপ্তর সচেতন হবে, ওয়াপদা সচেতন হবে, বিশেষ করে নদীর দুই পারের মানুষ সচেতন হবে। এই সচেতনতা যদি সৃষ্টি করতে পারি, ভবিষ্যতে এই নদীর পানি আমরা খাওয়ার টেবিলে দিতে পারবো।

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গির আলম মালিক বলেন, এই ভালো কাজে আমরা পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে সকলের সহযোগীতা চাই। আজকে জেলা প্রশাসকসহ আমরা সকলে এখানে এসছি আমি মনে করি সকলের সহযোগীতায় এই কাজে গতি পাবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল বলেন, আমি খুলনা থেকে এসছি। মাথাভাঙ্গা নদী নিয়ে আমার মাথাব্যাথা কেন! সেটা যদি বলতে হয়, আপনারা জানেন এই মাথাভাঙ্গা নদীর সাথেই আমাদের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ভৈরব, কুমার, চিত্রা ও নবগঙ্গাসহ সকল নদী জড়িয়ে আছে। যদি মাথাভাঙ্গা নদী না বাঁচে আমাদের ওই অঞ্চলের নদীও বাঁচবে না। সেই জন্যই মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাথে বেলা কাজ করছে। আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আপনারা একটি ভালো মানসিকতা নিয়ে নেমেছেন। আপনাদেও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাথাভাঙ্গা নদীতে বাঁচাতে পারবো।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামিম ভূঁইয়া বলেন, আমাদের জেলা প্রশাসক স্যার বার বার তগিদ দেন মাথাভাঙ্গা নদী নিয়ে। স্যারের একটি মাস্টার প্লানও আছে। সেটি আপনারা খুব দ্রæতই দেখতে পাবেন। মাথাভাঙ্গার নিজস্ব ঝরনা আছে। ঝরনার কারণেই মাথাভাঙ্গাতে পানি থাকে। ঝরনা না থাকলে পানি থাকতো না। মাথাভাঙ্গা নদীতে বালিশ, তোষক থেকে শুরু এমন কিছু নাই, যে মাথাভাঙ্গা নদীর মধ্যে নাই। ময়লা আবর্জনার কারণেই তলদেশে একটি লেয়ার পড়েছে। এবং পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, মাথাভাঙ্গা নদী নিয়ে পৌরসভার একটি বদনাম আছে। আমরা স্বীকার নিচ্ছি। কিন্তু পৌরসভার আসলে সামর্থ নাই, ময়লা পানি শোষণ কওে আমরা নদীতে ফেলবো। তবে আমরা সবাই সচেতন আছি। আমরা বড় বাজাওে একটি বায়ো গ্যাস ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করেছি। ময়লা নেওয়ার জন্য দুটি ওয়ার্ডে আমাদেও ভ্যান কার্যক্রম চালু হয়েছে। আমরা সবাই মিলে নদীটিকে বাঁচাবো। পরে, দুটি নৌকায় জেলা প্রশাসকসহ সরকারি কর্মকর্তা, মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ চুয়াডাঙ্গা পুলিশ পার্ক থেকে বড় বাজার ব্রিজের নিচ পর্যন্ত সচেতনতামূলক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক নদী থেকে সকল কোমড় অপসারণ করার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট্য প্রতিষ্ঠানকে।

এ সময় মাথাভাঙ্গা নদী নিয়ে প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি ও মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলনের সহসভাপতি শাহ আলম সনির কথা ও সুরে ‘যদি বাঁচে মাথাভাঙ্গা, হবে চমৎকার চুয়াডাঙ্গা’ গান পরিবেশন করা হয়।