কেরুজ চিনিকল মিলস গেট আখ চাষি কল্যাণ সংস্থার বিশেষ সাধারন সভা

কেরুজ চিনিকল মিলস গেট আখ চাষি কল্যাণ সংস্থার বিশেষ সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ  শনিবার সকাল ১০ টার দিকে দর্শনা মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল স্বাস্থ্য কেন্দ্র হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কেরুজ চিনিকল মিলস গেট আখচাষী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক ও হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম।

আখচাষি কল্যান সংস্থার সহ-সভাপতি ওমর আলীর সঞ্চালনা বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আখচাষী কল্যান সংস্থার সাধারন সম্পাদক আব্দুল বারী বিশ্বাস, সহ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন নফর, আখচাষী কল্যান সংস্থার উপদেষ্টা হাজী আকমত আলী, হুমায়ুন শাহ, আমির হোসেন সিআইসি, নির্বাহী সদস্য ইউনুচ আলী, শহীদ লতিফ মিল্টন, ফরিদ আহমেদ, বিশিষ্ট আখচাষি আওয়াল হোসেন, নিজাম উদ্দিন।

এসময় উপস্থিত থেকে বক্তব্যে বলেন অর্থাভাবে বর্তমানে হাসপাতালের নাজুক অবস্থা। এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা উন্নত করতে আমরা বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। ইতিমধ্যে এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার বিষয়ে ঢাকা বারডেম হাসপাতালের কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা হাসপাতাল পরিদর্শন করে হাসপাতালের চিকিৎসা আরও উন্নত করতে সম্মতি জ্ঞাপন করছে। এ জন্য এ হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম আধুনিক করতে বলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এজন্য প্রয়োজন অর্থ। যে পরিমান অর্থ প্রয়োজন তা আমাদের তহবিলে নেই। এ হাসপাতাল আখচাষী কল্যাণ সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত। এ অর্থের ফান্ড কেরুজ চিনিকলে মিলসগেটে যাওয়া আখ

চাষীদের ওজনের আখের ঢলতার টাকা থেকে। কিন্ত চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার দেখিয়ে কেরুজ চিনিকলে ঢলতার আখচাষী কল্যান সংস্থার বিগত দিনের ১৬ লাখ ২১৩ টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। যে করণে হাসপতালের উন্নয়ন ও চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছে। একই সাথে দর্শনা ও ফরিদপুর চিনিকলে দুটি আখচাষী কল্যান সংস্থার ধলতার টাকা আটকি দিলেও ফরিদপুর সুগার মিল কর্তৃপক্ষ ফরিদপুর আখচাষী কল্যাণ সংস্থা তাদের সমুদয় টাকা বুঝে পেলেও এখনো পর্যন্ত কেরুজ চিনিকল দর্শনা আখচাষী কল্যাণ সংস্থার সমুদয় টাকা দিচ্ছে না। তাই সমুদয় টাকা না পেলে আইনের সহায়তা নিতে বাধ্য হবে হুশিয়ারী বক্তব্য রাখেন বক্তারা।




আলমডাঙ্গায় বিএনপির ১৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার

গ্রেপ্তারকৃত সহকর্মীদের দেখতে গিয়ে আটক হলেন আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু।  আজ শনিবার সকালে থানা প্রাঙ্গণ থেকে তাকে আটক করা হয় বলে দাবি করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

এছাড়াও ২০২২ সালের নাশকতা মামলায় আটক করা হয়েছে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলামসহ এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের আরো ১৬ নেতাকর্মীকে। এঘটনায় তিব্র নিন্দা জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরিফুজ্জামান শরিফ।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন- জিল্লুর রহমান ওল্টু (৫৬), রফিকুল ইসলাম (৪২), উজ্জ্বল হোসেন (৩৫), আব্দুল আলিম (৩৬), রাজু (৩০), মোখলেস রহমান মিলন (৪৫), সাফায়েত হোসেন (৩৭), ইফতেখারুল ইসলাম (২৯), শফিকুল আজম (৩৭), জহুরুল ইসলাম বেনজির আহমেদ স্বপন (৪৫), নাসির উদ্দিন (৪৫), ওবায়দুর রহমান বেল্টু (৩৩), সাইফুর রহমান (৪৪), ইকতার (৪৫), দেলোয়ার হোসেন ঝন্টু (৪৩), আমিনুল ইসলাম (৫৭) ।

পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গার আসাননগর গ্রামে নাশকতার অভিযোগে অত্র থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকবাল হোসেন বাদি হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গতকাল  শুক্রবার মধ্যরাত থেকে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামীদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একযোগে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নাশকতা সংশ্লিষ্ট মামলায় গতকাল শনিবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। এখন পর্যন্ত এই মামলায় ৩৩ জনের মত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুর ইসলাম।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা রয়েছে। রাতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।




আলমডাঙ্গার এরশাদপুর গলায় ফাঁস লাগিয়ে গৃহবধূর আত্নহত্যা

আলমডাঙ্গার এরশাদপুর গ্রামে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক গৃহবধূ আত্নহত্যা করেছে। আজ শনিবার দিবাগত রাত ১ টায় নিজ ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে। এঘটনায় গৃহবধূর পিতার বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড এরশাদপুর গ্রামের তাঁতিপাড়ার সালামের মেয়ে ইশিতা খাতুন (২৯)। গত ৫ বছর পূর্বে একই এলাকার লিজুর সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বৈবাহিক জিবনে তাদের ৩ বছরের একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (১৯শে মে) রাত ১১ টায় ইশিতা তার শিশু কণ্যাকে খাবার খাওয়াচ্ছিলো। শিশুটি কান্না করায় স্বামীর সাথে তর্কবিতর্ক সৃষ্টি হয়।

এঘটনায় রাতে লিজু পিকনিকে অনুষ্ঠানে গেলে সুযোগ বুঝে নিশিতা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যার চেস্টা করে। পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। আত্নহত্যার ঘটনায় ওই গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে পুলিশ। গতকাল বিকেল ৫ টায় এরশাদপুর গোরস্তানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।




আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউনিয়নে বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউনিয়নে পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বিট পুলিশিং বাড়ি বাড়ি, নিরাপদ সমাজ গড়ি’ তথ্য দিন সেবা নিন- এ শ্লোগানকে সামনে রেখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, নারী নির্যাতন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে বকসিপুর গ্রামে আজ শনিবার বিকেলে থানা পুলিশের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত একরামুল হোসাইনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ।

এসময় তিনি বলেন, ‘ আপনাদের গ্রামের হাতে গুনা কয়েকজন মানুষের কারণে সকলের বদনাম হচ্ছে। আপনাদের থানায় যোগদানের পর থেকে চোর ধরা পড়লেই শুনি বকসিপুরের মানুষ সেই চুরির সাথে জড়িত। সেটা মোটরসাইকেল চুরি, পানির পাম্প চুরি, ভ্যান চুরিসহ অধিকাংশ চুরির সাথেই আপনাদের গ্রামে মানুষের নাম শুনি। এখনই এই চোরদের ধরিয়ে দিন। তা না হলে এক সময় আপনাদের পুরো গ্রামের নাম চোরের গ্রাম হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, মাদকের সাথে যারা জড়িত তাদের কোন ছাড় নেই। বাল্য বিয়ে ও ইভটিজিং রোধে আপনারা অবশ্যই পুলিশকে সাহায্য করবেন।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাউকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম, ডাউকি বিট অফিসার এসআই হাদিউজ্জামান। বকসিপুর গ্রামের শিক্ষক টুটুল হোসেনের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন বকসিপুর গ্রামের মন্ডল শমসের আলী, মসলেম আলী, শাহাদৎ হোসেন, ফারুক, আব্দুল খালেক, মহিরদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা খবির উদ্দিন, রোহনুজ্জামান নাহিদ, আনিস মেম্বার, আব্দুল খালেক, খাইরুল ইসলাম চুন্নু, ডাউকি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নাসিমা খাতুন, মাশুদা খাতুন, সাধারন সদস্য মানোয়ার হোসেন ওল্টু, আবু দাউদ, আব্দুস সালাম, আফাজ উদ্দিন, লাভলুর রহমান, বদর উদ্দিন, আলমডাঙ্গা থানার এসআই দেবাশিষ কুমার, এসআই মারজান, এসআই মাহমুদুল, এএসআই জামির, এএসআই রিয়াজুল ইসলামসহ বকসিপুর গ্রাম ও অন্যান্য গ্রামের কয়েকশ নারী পুরুষ, শিক্ষার্থী প্রমুখ।




চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন ৫ মশলা, মুক্তি পাবেন জটিল রোগ থেকে

অধিকাংশ মানুষই সকালে ঘুম ভেঙে প্রথমেই খোঁজ করেন চায়ের। বলা যায়, সকালে এক কাপ গরম চা না পান করলে চলেই না। অনেকের আবার সারা দিন কাজের ফাঁকে ৩-৪ কাপ চা খাওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে শরীর চাঙা এবং মেজাজ ফুরফুরে রাখতে চায়ের অবদান অনেক।

অনেকেই দুধ ও চিনি দিয়ে চা খেতে পছন্দ করেন। অনেকের আবার পছন্দ লিকার চা। তবে চা আরও সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে রান্নাঘরে থাকা ৫ মশলা মেশাতে পারেন। এতে শুধু স্বাদই বাড়াবে না, মুক্তি দেবে অনেক জটিল রোগের।

দারুচিনি চা যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যকর। দারুচিনিতে রয়েছে— অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল গুণাগুণ। দারুচিনি চা পানে বিপাক হার বাড়ে, হজম ভালো হয়। এর পাশাপাশি এই চা সর্দি-কাশিতেও খুব স্বস্তি দেয়। আপনি চাইলে প্রতিদিন দারুচিনি চা পান করতে পারেন।

লবঙ্গে ঔষধি গুণ ভরপুর। চায়ে লবঙ্গ দিয়ে খেলে তখন পাচনতন্ত্র আরও ভালোভাবে কাজ করে। এটি পেশির ব্যথাও উপশম করে। এ ছাড়া লবঙ্গ চা পানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।

আদা চায়ের গুণাগুণ সম্পর্কে কম-বেশি সবাই অবগত। আদার মধ্যে উপস্থিত ঔষধিগুণ আমাদের অসুস্থ হওয়া থেকে বাঁচায়। আদা চা সর্দি-কাশি ও গলাব্যথা থেকে আরাম প্রদান করে, এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে তোলে। আদার মধ্যে উপস্থিত ঔষধিগুণ আপনাকে অসুস্থ হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে।

তুলসীপাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ তুলসী বিভিন্ন রোগভোগ থেকে আমাদের বাঁচায়। গ্রীষ্ম বা শীত, উভয় ঋতুতেই তুলসী চা পান করতে পারেন।

এলাচ কেবল চায়ের স্বাদই বাড়ায় না, পাশাপাশি স্বাস্থ্যকরও বটে। এলাচ চা পানে হজম ক্ষমতা উন্নত হয়, মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়, গলাব্যথা কমে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ থেকেও মুক্তি মেলে।

সূত্র: যুগান্তর




বামন্দী ইউপির চেয়ারম্যান কমলের উন্মুক্ত ওয়ার্ড সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যােগে এস ডি জি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা শীর্ষক উন্মুক্ত ওয়ার্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২০ই মে) বিকেলে উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের (৭নং ওয়ার্ড) দেবীপুর ডি জে এম সি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও (৪নং ওয়ার্ড) বালিয়াঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দুটি পৃথক ওয়ার্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দেবিপুর গ্রামের ওয়ার্ড সভায় সভাপতিত্ব করেন ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ হীরক আলী এবং বালিয়াঘাট গ্রামের ওয়ার্ড সভায় সভাপতিত্ব করেন গাংনী উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন।

পৃথক দুটি ওয়ার্ড সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বামন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওবায়দুর রহমান কমল।

এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল বাকী,বামন্দী ইউনিয়নের সচিব মোঃ মনিরুল ইসলাম, বামন্দী ইউপির সদস্য আশাদুল হক, ইউপি সদস্য মোছাঃ হাজেরা খাতুন, ইউপি সদস্য মোছাঃ সাগরী খাতুন, বামন্দী ইউপির সাবেক সদস্য হাবিল উদ্দিন ও রবিউল ইসলাম সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ডাকাতির ঘটনায় ২ ডাকাত গ্রেফতার

গাংনীতে ব্যবসায়ীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মোটরসাইকেল ও নগদ টাকা ডাকাতি করার মামলায় ২ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
আজ শনিবার (২০ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গাংনী উপজেলার কাথুলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গাংনী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের কাবরান আলীর ছেলে মো: বেল্টু (৩৫) ও একই গ্রামের মাঠপাড়া এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো: খোকন ওরফে বুদু(৪৫)।
ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত ৯ এপ্রিল দিবাগত রাতে সাড়ে ৮ টার দিকে মাসে গাংনী উপজেলার সাহারবাটি-পুড়াপাড়া রাস্তার হোগলডাঙ্গা এলাকায় গাংনী শহরের ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন ওরফে সবুজকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে মোটরসাইকেল ও নগদ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এঘটনায় ৩৯৫/৩৯৭ প্যানাল কোড এর ধারায় গাংনী থানায় দায়ের করা মামলা নং ৮, তারিখ ৯/৪/২৩ ইং। ঘটনার কয়েক দিন পর এই ডাকাতির সাথে যুক্ত গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের দুলাল হোসেন, সুরজ আলী, কাজিপুর গ্রামের নাসির উদ্দীন ও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার ও মোটরসাইকেল, মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এই ডাকাতির ঘটনায় এখনো ৩ আসামি গ্রেফতার হবে বলে জানিয়েছেন ওসি আব্দুর রাজ্জাক।
গ্রেফতারকৃতদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।
আগামিকাল রবিবার (২১ মে) সকালের দিকে আদালতে নেয়া হবে।




ফের কোয়াব সভাপতি দুর্জয়, সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত

ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন ছিল আজ। প্রায় ১০ বছর পর ক্রিকেটারদের জন্য গঠিত এ সংগঠনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। তবে নির্বাচন প্রক্রিয়া ছাড়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংগঠনটির ফের সভাপতি হলেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়, সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কোয়াবের প্রথম এজিএম শুরু হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন বিসিবি পরিচালক।

অনুষ্ঠানে বর্তমান ও সাবেক মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ক্রিকেটার উপস্থিত ছিলেন। তবে ছিলেন না তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। এর আগেও সংগঠনটির সভাপতি ছিলেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়। আর সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল।

সূত্র: ইত্তেফাক




ডিবি কার্যালয়ে নোবেলের সাবেক স্ত্রী, করলেন গুরুতর অভিযোগ

প্রতারণার মামলাসহ একাধিক অভিযোগে ‘সারেগামাপা’ খ্যাত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন নোবেলের সাবেক স্ত্রী সালসাবিলও। সেখানে নোবেলের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করেছেন তিনি।

শনিবার (২০ মে) দুপুরে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালসাবিল বলেন, আজ ডিবি পুলিশ থেকে আমাকে ডাকা হয়েছে। আমি তাদের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি। তারা পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

ডিবি কার্যালয়ে থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমে তিনি বলেন, আমি যখন নোবেলের সঙ্গে সংসার শুরু করি, তখন সে ভীষণ ভালো একজন মানুষ ছিলেন। কিন্তু হুট করে একটি চক্রের মধ্যে পড়ে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে সে। এতে নোবেলের আচার-আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। অন্য এক নোবেলে পরিবর্তন হয় সে। এখন পর্যন্ত যত সমালোচিত কাজ নোবেল করেছে তার সবই নেশাগ্রস্ত হওয়ার পর।

এক নারী এয়ার হোস্টেস নোবেলকে মাদক সরবরাহ করে দাবি করে সালসাবিল বলেন, এই চক্রের একজন নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। সে তাকে মাদক সাপ্লাই দেয়। এমনকি তাদের এই সকল বিষয় নিয়ে আমি কথা বলায় আমাকে বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি দেওয়া হতো, তবে আমি নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছি না।

তিনি বলেন, নোবেল মাদক সেবন করে বাসায় এসে আমাকে নির্যাতন করত। একদিন ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশ ডাকি। তারা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। নোবেল সেই পুলিশ সদস্যদের সামনে স্বীকার করেছে মাদক সেবনের কারণে আমাকে মারধর করে। এরপর আমি গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।’

অনুষ্ঠানে না গিয়েও এক লাখ ৭২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নোবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

‘পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স পুলিশসহ অংশীদারি সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটদের সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে। সংশ্লিষ্ট সবার পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। বিচার বিভাগের সব অংশীদারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা সহজ হবে।’

শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় মেহেরপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত ‘পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি সম্মেলন-২০২৩’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মেহেরপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক।

মেহেরপুরে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি সম্মেলনে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট  এস এম শরিয়ত উল্লাহ, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসান, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটতরিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেন। এ সময় জেলার সর্বশেষ আইন শৃঙ্খলার সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা সভা ও দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।

পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি সম্মেলনে পুলিশ সুপার মেহেরপুরের প্রতিনিধি হিসাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেন, সিভল সার্জন’র প্রতিনিধি হিসেবে মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্হ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাশ, ডা.জামির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার তত্বাবধায়ক মেহেরপুর ২৫০ সয্যা জেনারেল হাসপাতাল, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, মেহেরপুরের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, জেল সুপার, মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামসহ গাংনী ও মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জগন এবং মেহেরপুর জেলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের প্রতিনিধি, জেলা ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধি সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।