মুজিবনগরে ২ বিঘা জমির কলা গাছ কেটে তসরুপ

মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের বাবুপুর দর্গাতলা মাঠে সদর উপজেলার টেংরামারী গ্রামের মৃত ফকির মহাম্মদ বিশ্বাস এর ছেলে জোয়াদ আলীর ২ বিঘা জমির কলা গাছ কেটে তসরুপ করেছে দুর্বৃত্তরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় এ সমস্ত কলাগাছ কেটে দেওয়া হয়েছে এবং এতে তার ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানান চাষী জোয়াদ আলী।

তিনি জানান উক্ত জমি নিয়ে উপজেলার বাবুপুর গ্রামের মৃত ছয়রদ্দীন এর ছেলে আজাদ, মোনাজাত, আজগর আলী, কামাল হোসেন, তাহাজ আলীদের সাথে বিরোধ আছে তারাই আমার কলা গাছ গুলো কেটে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে আমার জমি জোর পুর্বক দখল করতে চাই।

গত কয়েকদিন আগে ওই জমির ১০/১২ টি কলাগাছ কেটে দেয় তারা এ বিষয়ে মুজিবনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। আজকে মুজিবনগর থানায় বসার কথা ছিল বলে তিনি জানান।

কলা গাছ কাটার বিষয়ে পরিবারের সবার সাথে পরামর্শ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।

দুই বিঘা জমির কলাগাছ কেটে তো তছরুপ করার বিষয়ে অভিযুক্তদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা জানান, জমি নিয়ে জোয়াদ আলীর সাথে তাদের বিরোধ চলছে এবং এই জমি আমাদের। কোন কাগজপত্র না থাকার পরেও জোয়াদ আলী জোরপূর্বক জমি দখল করে আছে কিন্তু আমরা এত পাষন্ড নয় যে আমরা একটা ফলন্ত ফসল কেটে দেব। এ কলা গাছ কাটার বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা আমাদের নামে জোয়াদ আলী যে অভিযোগ দিয়েছে তার সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল জানান, দুই বিঘা জমির কলা গাছ কাটার বিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




বিয়ের দুবছর পর সুখবর দিলেন রাহুল-দিশা

ভারতীয় হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় নায়িকা দিশা পারমার ও গায়ক রাহুল বৈদ্য। বিয়ের দুবছরের মাথায় কোলজুড়ে আসছে তাদের সন্তান। বৃহস্পতিবার এক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে এ সুখবর দেন তারকা দম্পতি। এদিকে ছবি পোস্ট করার পর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রে রাহুল-দিশা।

এর আগে ২০২১ সালের জুলাই মাসে বড়সড় আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন এ দম্পতি। বিয়ের দুবছরের মাথায় দিশার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সুখবর মিলল। অভিনব কায়দায় মাতৃত্বের খবর জানান দিলেন ভক্তদের। স্লেটের ওপর চক দিয়ে লেখা ‘মাম্মি অ্যান্ড ড্যাডি’। হাসি মুখে পোজ দিলেন দম্পতি।

এরই সঙ্গে নিজের আল্ট্রাসোনোগ্রাফির দুটো ছবিও পোস্ট করেন দিশা। সেখানে ধরা পড়ল তার গর্ভস্থ সন্তানের ঝলক। দম্পতিকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন মৌনি রায়, অনিতা হাসনন্দানি, ভারতী সিং, ধৃষ্টি ধামিরা। দিশার ‘বড়ে আচ্ছে লগতে হ্যায়’ কো-স্টার নকুল মেহতা লেখেন, ‘দুর্দান্ত খবর’।

রাহুলের গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন দিশা, ইনস্টাগ্রামে মেসেজ করেন গায়ককে। এর পরই শুরু বন্ধুত্ব। পরে বিগ বস সিজন ১৪-র মঞ্চে দিশাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১-এর ফাইনালিস্ট।




মেসিকে ৫৭৯২ কোটির নতুন প্রস্তাব!

লিওনেল মেসি সৌদি আরবের কোনো এক ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছেন বলে দাবি করেছিলো ফ্রান্সভিত্তিক সংবাদ সংস্থা এএফপি। যদিও সেই দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মেসির বাবা। কিন্তু তাতেও মেসির সৌদি আরবের ক্লাবে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন মিলিয়ে যায়নি। এরই মধ্যে এলো নতুন আরেক খবর।

স্পেনের লা লিগার সম্প্রচারকারী মিডিয়াপ্রোর প্রধান রুবেসের দাবি, সৌদি আরবের পক্ষ থেকে মেসিকে নতুন করে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আর নতুন সেই প্রস্তাবে টাকার অঙ্কটা আরো অনেক বাড়ানো হয়েছে।

সেটা কত? গণমাধ্যমের গুঞ্জন অনুযায়ী, মেসিকে সৌদি আরবের আগের প্রস্তাবের অঙ্কটা ছিল বছরে ৪০০ মিলিয়ন ইউরো। নতুন প্রস্তাবে সৌদি আরব অঙ্কটা বাড়িয়ে নাকি ৫০০ মিলিয়ন বা ৫০ কোটি ইউরো করেছে। মানে নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, চুক্তিটা করলে মেসি প্রতি বছর পাবেন ৫০ কোটি ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় অঙ্কটা ৫ হাজার ৭৯২ কোটি ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার ৩০০ টাকা!

আগামী ৩০ জুনেই শেষ হবে বর্তমান ক্লাব পিএসজির সঙ্গে মেসির চুক্তির মেয়াদ। ফরাসি ক্লাবটির সঙ্গে এখনো চুক্তি নবায়ন করেননি তিনি। যার অর্থ, মৌসুম শেষে নতুন কোনো ঠিকানাই হয়তো খুঁজে নিতে যাচ্ছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তাকে দলে টানার দৌড়ে আছে তার সাবেক ক্লাব বার্সেলোনা, সৌদি আরবের আল হিলাল, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামির মতো ক্লাব। তবে এর মধ্যে সাবেক ক্লাব বার্সেলোনায় গেলে মেসিকে অনেক কম পারিশ্রমিকে খেলতে হবে। অন্যদিকে সৌদি আরবে গেলে টাকায় ঘর ভরে যাবে! এমন অবস্থায় মেসি কী করবেন সেটিই দেখার বিষয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




নিদাঘ দুপুর – জাহাঙ্গীর চৌধুরী

নিদাঘ দুপুর রৌদ্রে ভরপুর
মাঠেঘাটে নেই বায়।
গাছের তলায় বসে সবাই
শীতল বায়ুর আশায়।
কাকেরা সব করিয়া রব
পিয়াসে হয় কাতর।
নিপানগুলো ফেটে চৌচির
দেখতে কঠিন পাথর।
আম কাঁঠালে পাক ধরেছে
মিষ্টি রসের আয়েশ।
যত খাবে মজা লাগবে
মিটবে না তার খায়েশ।
কচি তালশাঁস আর লিচুর রস
করে শুধু টসটস।
খেলে পরে দু-চোখেতে
আসে নিদের পরশ।।




চুয়াডাঙ্গায় ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের রাজনৈতিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়

চুয়াডাঙ্গায় সফররত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার শ্রী মনোজ কুমার জেলার কেরু এ্যান্ড কোম্পানী গেষ্ট হাউস,ও কেরু ডিস্টিলারী বিভাগ রাজনৈতিক, সামাজিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।

গত বুধবার (১৭ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তিনি। এর আগে বিকেল চারটায় চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছান ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার শ্রী মনোজ কুমার।

চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌরসভার মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার সম্পাদক সরদার আল-আমিন, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দীন জোয়ার্দার ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি ও দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জিটিভির জেলা প্রতিনিধি রিফাত রহমান, চ্যানেল ২৪ ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার রেজাউল করিম লিটন, দৈনিক আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মেহরাব্বীন সানভী, ব্যবসায়ী উত্তম কর্মকার প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করে জেলাবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান সহকারী হাইকমিশনার শ্রী মনোজ কুমারকে। তিনি বলেন, কুষ্টিয়ায় ভিসা সেন্টার করার জন্য ধন্যবাদ। এতে চুয়াডাঙ্গাবাসীরা উপকৃত হচ্ছে।

সভায় উপস্থিত রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক নেতারা ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনারের উদ্দেশ্যে বলেন, ভিসায় প্রবেশের জন্য আরও কয়েকটি চেকপোস্টের নাম একসঙ্গে যুক্ত করা বা অনুমতি পাওয়া গেলে সুবিধা হতো। বন্ধু দেশে একটু বেশিই সুবিধার আশা রাখি। চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও ভারতের গেদে ইমিগ্রেশন পর্যন্ত যাত্রীদের পৌঁছুতে আধা কিলোমিটার হেঁটে যেতে হয়। বৃষ্টি ও গরমের সময় এটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক। এই সমস্যা সমাধানে চেকপোস্ট কিছুটা এগিয়ে আনা যায় কিনা সেটা দেখা জরুরী।

মতবিনিময়ে বক্তারা বলেন, চুয়াডাঙ্গা কৃষি নির্ভর জেলা। বিভিন্ন প্রজাতের নানান ফলের চাষ এ জেলায় হচ্ছে। সে কারনে কৃষি বেজে কোনো বড় প্রতিষ্ঠান এই অঞ্চলে বিনিয়োগ করে কারখানা করলে জীবনমানের উন্নয়ন আরও বাড়বে। এ সময় নেতৃবৃন্দরা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার শ্রী মনোজ কুমার আলোচনায় উঠে আসা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার জন্য আশ্বস্ত করে বলেন, আপনাদের সঙ্গে কথা বলে ভালো লাগলো। অনেক দারুণ দারুণ পরামর্শ পেয়েছি। আমি আমাদের ভারত সরকারকে আপনাদের মতামত গুলো জানাবো।ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী মনোজ কুমার বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় চুয়াডাঙ্গা থেকে দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানী পরিদর্শন করে।

এ সময় তিনি কেরু ডিষ্টিলারী বিভাগ কেরুর পাইপ লাইন পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ, দর্শনা কেরুজ প্রশাসন বিভাগের এ ডি এম ইউসুফ আলী,দর্শনা কেরুজ ষ্টোর কিপার ইনচার্জ লিংকন ঢালী।পরিদর্শন শেষে ডিসি ইকোপার্ক ঘুরে তিনি বিদায় নেন।




সেই রুপার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অবমাননা করায় মেহেরপুর শহরের বির্তকিত নারী নিলুফার ইয়াসমিন রুপার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আ্ইনে আদালতে মামলা দায়ের করেছে আতাউর রহমানের নামের এক ব্যক্তি।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসানের আদালতে ১৪১/১৪২/১৪৯/২২৪/৪১৬/৪১৯/তৎসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১(ক) ধারায় নিলুফার ইয়াসমিন রুপার বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আসামি নিলুফার ইয়াসমিন রুপাকে দূর্দান্ত প্রকৃতির প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য উল্লেখ করে তিনি মামলায় লেখেন, রুপা দেহ ব্যবসায়ীর সাথে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। নিরিহ ব্যক্তিদের ব্লাকমেল করে নগ্ন ছবি তুলে মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকেন।

নিলুফার ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে অপকর্মের বিষয় প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। যার মেহেরপুর সদর থানার মামলা নং ৩২, তারিখ ২/১১/২২ ইং, জিআর মামলা নং ৪২৯/২২ ধারা ৪১৭/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬/পিসি তৎসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ৮(১), ৮(২), ৮(৩), ৮(৪) ।

আতাউর রহমান তার মামলায় আরো অভিযোগ করেন, আসামি নিলুফার ইয়াসমিন মেহেরপুর শহরে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াই। নিরিহ মানুষদের ফাঁদে ফেলে টাকা পয়সা আদায় করে থাকে।
আসামির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ড মামলা ( জিআর ৪২৯/২২ মামলা) থেকে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য নিজে মেহেরপুর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সদস্য না হয়েও মামলার বিচার কার্যক্রম ব্যাঘাত করার জন্য ও পুলিশ প্রশাসনকে চাপে রাখার জন্য আসামি বেআইনিভাবে মানববন্ধন করেছেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে ঘটনার তারিখে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বেআইনি সমাবেশ করে বক্তব্য রাখেন। এ ধরনের বেআইনি সমাবেশ ও বক্তব্য রাখায় আওয়ামীলীগের আমার ও স্বাক্ষীসহ জনগণের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।

তিনি লেখেন, নিলুফার ইয়াসমিন আওয়ামীলীগের কোনো বা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের কোনো সদস্য বা কর্মি নন। তারপরেও অপরের রুপ ধারণ করে প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে নিজেকে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকলীগের মিথ্যা সদস্য দাবী করে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে বেআইনি সমাবেশ করে আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি খুন্নু করেছে।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং প্রধান মন্ত্রীর ছবি সঠিক স্থানে প্রতিস্থাপন না করে যত্রতত্র ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধ চারণ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিধান লংঘন করেছেন।

সময় বাদী পক্ষের আইনজীবি সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, অ্যাডভোকেট একেএম শফিকুল আলম, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, নিলুফার ইয়াসমিন রুপা গত ১১/০৫/২৩ ইং তারিখ বেলা ১১ টার সময় মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভিতরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবী জানিয়ে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের ব্যানারে মানববন্ধন করেন। এসময় দেখা যায় তার পোস্টারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নিলুফার ইয়াসমিন রুপার ছবির নিচে রয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।




হরিণাকুণ্ডুতে হেলমেট বিহীন বাইক চালকের জরিমানা

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকায় তিন জন মোটরসাইকেল চালকের জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ( ১৮ মে) বিকালের দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমেদ এই জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫ নং কাপাশাটীয়া ইউনিয়নের শিতলী বাজার সংলগ্ন ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট বিহীন মোটরযান চালানোয় তিন অভিযুক্তকে সড়ক পরিবহন আইন,২০১৮ এর ৪৬ ও ৯২ ধারার আলোকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এবং অভিযুক্তদের তিনটি মামলায় সর্বমোট ১ হাজার ৫০০ শত”টাকা নগদ অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমেদ বলেন,রাস্তায় শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং সড়ক দূর্ঘটনার নিয়ন্ত্রণ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট বিহীন মোটরযান চালনা করায় তিন অভিযুক্তকে এক হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা করা হয়। এ ধরনের অভিযান আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কাজে থানা পুলিশ ও ভূমি কার্যালয়ের কর্মচারীরা সহযোগিতা করে।




মেহেরপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরকে আদালতের স্বপ্রণোদিত আদেশ

পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য মতে মেহেরপুর জেলায় মোট ৯৩ টি ইটভাটা আছে। এর মধ্যে একটি বাদে সবগুলো ইটভাটা অবৈধ। বছরের পর বছর এটা নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হলেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। গত ১৭ মে, ২০২৩ খ্রি তারিখ দৈনিক কালের কন্ঠ   ১১ মে মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকায় “ইট ভাটায় ভ্রাম্যমাণ করাতকল, গাছ উজার” শিরোনামে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সংবাদটি মেহেরপুর পরিবেশ সংক্রান্ত স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ্ এর নজরে এলে তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ বিষয়ে আদেশ প্রদান করেন।

আদালতের আদেশে উল্লেখ করা হয় যে, প্রকাশিত সংবাদ দৃষ্টে ৯৩ টির মধ্যে একটি ব্যতীত সকল ইটভাটা অবৈধভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং আবাসিক এলাকা ও আবাদী কৃষি জমির পাশে ইট ভাটা স্থাপন, কৃষি জমির উর্বর মাটি দিয়ে ইট প্রস্তুত, এমনকি প্রকাশ্যে ইট ভাটার মধ্যে নিষিদ্ধ করাত কল স্থাপন করে বেআইনিভাবে কয়লার পরিবর্তে গাছ-কাঠা দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে মর্মে দেখা যায়।

এমতাবস্থায়, উক্ত সংবাদটি সঠিক হয়ে থাকলে তা পরিবেশ সংরক্ষন আইন, ১৯৯৫, ইট পোড়ানো (নিয়ন্ত্রন) আইন, ১৯৮৯, সহ পরিবেশ সংরক্ষন বিধিমালা ও ইট পোড়ানো (নিয়ন্ত্রন) বিধিমালার সুস্পষ্ট লংঘন এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

আদালত তার আদশে আরও উল্লেখ করেন যে, মেহেরপুর একটি কৃষি প্রধান অঞ্চল। এই জেলায় প্রচুর পরিমান শাক-সব্জি, ফল-মূল এবং ফসল উৎপাদিত হয়। আবাসিক এবং ফসলী জমির পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইট ভাটার কারনে শুধু যে সাধারন মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে তা নয় বরং কৃষি ও পরিবেশের ব্যপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত এবিষয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে লেখালেখি এবং আলোচনা সমালোচনা হলেও প্রশাসন কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তর কোন দৃশ্যমান ও কার্যকর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেনি মর্মে আদালতের গোচরীভূত হয়েছে।

এমনকি আদালত হতে পরিবেশ অধিদপ্তর, কুষ্টিয়াকে ইতিপূর্বে অবৈধ এবং পরিবেশের দূষণকারী ইটভাটাসমূহের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ প্রদান সত্বেও অদ্যাবধি কোন ইটভাটা বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরিবেশ আদালতে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। আদালতের আদেশের পর কয়েকটি ভাটায় অভিযান পরিচালনা করে সামান্য জরিমানার করা হলেও কঠোর ও কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। আদালতের আদেশের পর কয়েকটি ভাটায় অভিযান পরিচালনা করে সামান্য জরিমানার করা হলেও কঠোর ও কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি মর্মে দেখা যায়। ফলে জরিমানা পরিশোধ করে পুনরায় সেসকল ভাটা আইনের বিধান লংঘন করে পরিবেশ দূষণ এবং মানুষের জীবন ও সম্পদের জন্য ক্ষতিকর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

অথচ পরিবেশ অধিদপ্তর, কুষ্টিয়ার উপপরিচালকের স্বীকৃতমতেই মেহেরপুরের একটি ব্যতীত সকল ইট ভাটা অবৈধ। মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট এবং সরকার পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহন করেছে। পরিবেশ সংরক্ষনের জন্য সরকার পরিবেশ সংরক্ষন আইন, ১৯৯৫ সহ অনেকগুলো বিশেষ আইন ও বিধি প্রনয়ন করেছে। উক্ত আইনের ধারা ৩ এর বিধান অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তর গঠন করা হয়েছে।

অধিদপ্তরকে পরিবেশ সংরক্ষন, পরিবেশগত মানোন্নয়ন এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রন ও প্রশমনের গুরুত্বপুরন দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। বৃহত্তর জেলা পর্যায়ে অধিদপ্তরের কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পরিবেশ সংক্রান্ত আইন ও বিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের ক্ষমতা অধিদপ্তরকে প্রদান করা হয়েছে।

সরকার উক্ত আইন ও বিধি সমূহ লংঘনের ক্ষেত্রে কঠোর সাজার বিধান এবং দ্রুত বিচারের নিমিত্ত পরিবেশ আদালত আইন, ২০০০ প্রনয়ন করেছে। উক্ত আইন দ্বারা পরিবেশ সংক্রান্ত অপরাধ দ্রুত বিচারের জন্য পরিবেশ আদালত এবং স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অথচ বিগত ২৩ বছরে মেহেরপুরের পরিবেশ আদালত ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি মর্মে আদালত তার পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন।

ইতিপূর্বে আদালতের নির্দেশ এবং স্বীকৃতমতে প্রায় শতভাগ অবৈধ ইটভাটা থাকা সত্বেও কোন ইটভাটার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের না করার ঘটনাটি বেশ বিস্ময়কর ও আশ্চর্যজনক। যৌক্তিক কোন কারণ ছাড়া জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সব জেনেশুনেও অবৈধ প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করার ঘটনাটি স্পস্টতই দায়িত্ব অবহেলা বলে আদালত অভিমত প্রদান করেন।

বিধায় জনস্বার্থে The Code of Criminal Procedure, 1898 এর ধারা ১৯০ (১) (গ) অনুযায়ী পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি বিবেচনায় নিয়ে উপপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, কুষ্টিয়াকে এ বিষয়ে তদন্ত ও উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক আগামী ১ জুন আদালতে হাজির হয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করে আদালত।




চুয়াডাঙ্গায় মাদক ব্যবসায়ীর এক বছরের জেল

চুয়াডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে ২ এ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন বাবুল শেখ নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক বছরের জেল ও১০০ টাকা জরিমানা করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটার সময় চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক আকবর হোসেন ও উপ পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে সদর উপজেলার দৌলতদিয়ার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান তার বসত ঘর থেকে ২ এ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন জব্দ করে তাকে আটক করা হয়।
পরে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার শামীম ভূঁইয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাবুল শেখকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডিত বাবুল শেখ দৌলতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার মৃত দাউদ আলী শেখের ছেলে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।




এইচএসসি পাসে নিয়োগ দেবে স্কয়ার টয়লেট্রিজ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘সেলস অফিসার ’ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

সেলস অফিসার।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস হতে হবে। বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর। বিক্রয়ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থীদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। দেশের যেকোনো স্থানে চাকরি করা এবং ব্যাপক ভ্রমণের মানসিকতা থাকতে হবে।

কর্মস্থল

বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে।

আবেদনের নিয়ম

আগ্রহী প্রার্থীরা উপরোক্ত পদে সম্প্রতি তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি, শিক্ষাগত এবং অভিজ্ঞতার যাবতীয় সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, জীবনবৃত্তান্ত সহ আগামী ২রা জুন ২০২৩ তারিখ সকাল ৮:৩০ মিনিটের এর মধ্যে নিম্নোক্ত ঠিকানায় লিখিত পরীক্ষার জন্য উপস্থিত থাকতে হবে।

পরীক্ষার স্থান: স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড, স্যামসন সেন্টার, ৪৩ সাউথ অ্যাভিনিউ, রোড-১২৬, প্লট-সিইএস (জি) ৫এ, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।

আবেদনের শেষ তারিখ

২ জুন, ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস