গাংনীর সাহেবনগরে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু

গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের সাহেবনগর গ্রামের উত্তর পাড়ায় ফাহিম হোসেন (৮) নামের এক শিশু পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছে। শিশু ফাহিম সাহেবনগর গ্রামের উত্তরপাড়ার কৃষক আরিফুল ইসলামের ছেলে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সাহেবনগর গ্রামের দামুস বিলের একটি পুকুরে ফাহিম সহ তার ২জন বন্ধু গোসল করতে যায়। গোসলের এক পর্যায়ে মাছধরার চেষ্টা করার সময় পুকুরের গভীরে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়। পরে ফাহিমের বন্ধুদের চিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

সাহেবনগর গ্রামের বাসিন্দা সুজন হোসেন জানান, ফাহিম সহ তার আরো দুই বন্ধু গ্রামের দামুস বিলের পুকুরে গোসল করতে যায়। এক পর্যায়ে সে আকস্মিক ভাবে পানির নিচে ডুবে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পর তার মরদেহ পানি থেকে উদ্ধার করা হয় ।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ফাহিমের জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী।




মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করলেন প্রধান বিচারপতি

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং স্মৃতিসৌধ চত্বরে একটি সফেদা চারা রোপণ করেন।

এ সময় তিনি বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার মেহেরপুর জেলার ঐতিহাসিক মুুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স এর বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন। বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টার সময় মেহেরপুর জজকোর্ট চত্তরে বিচারপ্রার্থীদের জন্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন “ন্যায় কুঞ্জে”র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে বেলা ১২টার দিকে মুুজিবনগর পৌছালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এসময় তিনি মুুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে অবস্থিত স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি স্মৃতিসৌধ চত্বরে একটি সফেদার চারা রোপন করেন।

পরে তিনি মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্হাপনা ঘুরে-ঘুরে দেখেন এ সময় তার সাথে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার মোঃ সাইফুর রহমান, হাই কোর্ট বিচার বিভাগের রেজিস্টার এস কে এম তোফায়েল হাসান, মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শহিদুল্লাহ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোঃ রফিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস, জেলা ও দায়রা জজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোঃ তহিদুল ইসলাম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এইচএম কবির হোসেন, সিনিয়র সরকারি জজ বেল্লাল হোসেন, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সেলিম রেজা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম, বর্ণালী রানী, মেহেরপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খ ম ইমতিয়াজ বিন হারূন জুয়েল, মুুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম,মুুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মেহেদী রাসেলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।




মাঝারি তাপদাহে পুড়ছে মেহেরপুর

মেহেরপুরে প্রায় এক সপ্তাহের বেশী তীব্র তাপদাহে মানুষ থেকে শুরু সকল প্রাণীকুল হাসফাঁস শুরু হয়েছে। জেলাতে প্রতিদিনই বাড়ছে তাবদাহের দাপট। কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস চারদিক। সেই সঙ্গে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। তাপদাহ ও প্রচন্ড গরমে রোজাদারদের কাছে ইফতারিতে ডাব, বেল, আনারস, আখের রসের চাহিদা বেড়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১২ টার সময় চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানিয়েছেন, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩ টার সময় মেহেরপুর জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ০৯ শতাংস। এর আগে বেলা ১২ টার সময় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দতা ছিল ১২ শতাংস। আরও এক সপ্তাহ যাবৎ এই তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, ২০ তারিখের পর তাপমাত্রা কমতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে জেলার তাপমাত্রা বেড়ে ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়ে তাপপ্রবাহ তীব্র হতে পারে। একই সঙ্গে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

এদিকে প্রচন্ড গরম ও তীব্র তাপদাহে মেহেরপুর জেলা শহর, গাংনী উপজেলা শহর ও মুজিবনগর উপজেলা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে ও হাটবাজারে আখের রস, বেল, তরমুজসহ অন্যান্য সরবত জাতীয় পানীয়র বিক্রি বেড়েছে।

জানা গেছে, গত ৯ দিন ধরে এ জেলায় তাবদাহের দাপট দিন দিন বাড়ছে। সকাল থেকেই সূর্য্যের প্রচণ্ড তাপে প্রকৃতি হয়ে উঠেছে রুক্ষ। সেই সঙ্গে রোদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। সূর্য্যের প্রখর তাপে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ এক প্রকার যেন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ঘর থেকে বের হলেই গরম বাতাস বিধছে আগুনের হুংকারের মতো।

অনেকে সামান্য স্বস্তির জন্য ছুটে চলেছেন গাছের ছায়া তলে। গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকুলও। তবে এ তাপদাহের কারণে অনেকটাই বিপাকে পড়ছে রোজাদারসহ নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া লোকজন।

গাংনী বাজারের ক্রেতা আব্দুর রহিম ও জালাল উদ্দীন এসেছিলেন বেল ও আখের রস কিনতে। তারা দুজনেই জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে এখন বেলের দামও বেড়েছে আকাশচুম্বি। ছোট ছোট বেল পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকা, মাঝারী বেল ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং বড় সাইজের বেল কিনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। তারপরেও ঠিকমত পাওয়া যাচ্ছেনা।

জেলা শহরের বড় বাজার এলাকায় ডাব কিনতে আসা তাইজেল হোসেন জানালেন, এই তীব্র গরমে ইফতারের সময় একটু আখের রস খেতে পারলে ভাল লাগে। কিন্তু আখের রস আগে এক গ্লাস ১০ টাকা ছিল। এখন সেটা বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে। এছাড়া এক একটা ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।

গাংনী হাসপাতাল বাজার এলাকার ডাব বিক্রেতা শিশিরপাড়া এলাকার আমিরুল ইসলাম ও রুহুল আমিন বলেন, একটা ছোট সাইজের ডাব ৮০ থেকে ৯০ টাকা এবং বড় সাইজের একটা ডাব ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি করছি। এই প্রচন্ড গরমে ডাবের চাহিদা বাড়ায় আমরা বেশি দাম দিয়ে গাছ মালিকদের কাছ থেকে ডাব কিনে আনছি। তাই ডাবের বাজার অন্যান্য সময়ের চেয়ে এই সময় বেশী।

আনারস ব্যবসায়ী শামীম জানান, এই সময়ে আনারসের চাহিদা বাড়ছে। প্রচন্ড গরমে মানুষ যখন আলসে হয়ে পড়ে। তখন আনারুস খেয়ে শরীরের ক্লান্তিতা দুর করেন।

আখের রস বিক্রেতা জাহারুল ইসলাম বলেন, বছরজুড়ে আখের রস বিক্রি হলেও রোজা আসার পর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই সবের ভালো চাহিদা বেড়েছে। দৈনিক ভালো বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন ৪/৫ হাজার টাকার রস বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন তিনি। জাহারুল ইসলাম আরও বলেন, এমনিতেই পাড়া মহল্লায় আখের রসের ভালো চাহিদা রয়েছে। তবে রোজা আসায় তার বিক্রি আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। প্রতি গ্লাস আখের রস ৩০ টাকায় বিক্রি করছেন। আর এক লিটার রস বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। দৈনিক ২ হাজার টাকা বিক্রি করছেন বলে জানান।

সরবত বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, রোজার শুরুতে স্বাভাবিকভাবে অন্য সময়ের মতো সরবত বিক্রি হয়না। ইফতারির সময় সারাদিনের বিক্রি একবারে হয়ে যায়। তারপরেও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।




৩০ এপ্রিল হত্যা করা হবে সালমানকে, ফোনে হুমকি!

ফের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলিউড ভাইজান সালমান খানকে। মার্চ মাসেই ই-মেইলে এ তারকাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য হুমকি এসেছিল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং থেকে। কিন্তু এবার নিজেকে রকি ভাই দাবি করে সরাসরি মুম্বাই পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে বলিউড তারকাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সালমানকে হত্যার হুমকি দেওয়ার পর চিন্তিত মুম্বাই পুলিশ। তারা অভিনেতাদের নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি রাখছে না।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রকি যোধপুরের বাসিন্দা। সে স্বঘোষিত গোরক্ষক। আগামী ৩০ এপ্রিল খুন করা হবে সালমানকে, এমনই হুমকি দিয়েছেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে একটি ফোন আসে। তখন ফোন করা ব্যক্তি নিজেকে রাজস্থানের যোধপুরের রকি ভাই পরিচয় দিয়ে সালমান খানকে ৩০ এপ্রিল প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।

এদিকে অনেক আগেই পুলিশ কাছে প্রমাণ এসেছে, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং অভিনেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। এ কারণে তারকাকে ওয়াই প্লা ক্যাটাগরির সুরক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। অন্যদিকে সালমানের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীরাও তৎপর হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে যোধপুরে সিনেমার শুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠে সালমানের বিরুদ্ধে। তখন থেকেই বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাঁটা হয়ে আছেন বলি নায়ক। এর আগে একাধিকবার তাকে শার্প শ্যুটার দিয়ে হত্যার জন্য চেষ্টা করেছে লরেন্স বিষ্ণোই। ২০১৮ সালে সে প্রকাশ্যে বলেছিল, যোধপুরে সালমানকে হত্যা করব আমরা।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস




বাবরকে অধিনায়ক থেকে সরানোর অভিযোগে যা বললেন আফ্রিদি

বিতর্ক আর পাকিস্তান ক্রিকেট যেন একে অন্যের পিছু ছাড়তেই পারে না। এবার তো অধিনায়ক বাবর আজম আর সাবেক কিংবদন্তি শহীদ আফ্রিদিকে নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন স্বয়ং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি নাজাম শেঠি। পিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, আফ্রিদি নাকি বাবরকে অধিনায়কের পদ থেকে ছেঁটে ফেলতে চেয়েছিলেন। এদিকে নাজাম শেঠির এমন বক্তব্যের পরই আফ্রিদি অবশ্য জানিয়েছেন, পিসিবি সভাপতি তার কথা বলেননি।

একটি ইউটিউব চ্যানেলে নাজাম শেঠি বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার সময় একটি অন্তবর্তীকালীন নির্বাচন কমিটি করেছিলাম। নির্বাচকরা বোর্ডে আসার আগে, আমাদের তারা বলেছিলো কিছু পরিবর্তন করা দরকার এবং অধিনায়ক হিসেবে বাবরকে বদলাতে হবে।’ তবে নিয়োগ পাওয়ার পর নাকি বাবরের বদলির কোনও প্রয়োজন নেই, বলে বলেছিলো তারা, এমন কথাও যোগ করেন শেঠি।

নাজাম শেঠির বক্তব্যের পর পাকিস্তানজুড়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন আফ্রিদি। সমালোচনা বন্ধ করতে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক টুইট বার্তায় আফ্রিদি জানান, আমি পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠির সঙ্গে কথা বলেছি। বাবর আজমের অধিনায়কত্বের বিষয়ে তিনি আমাকে ইঙ্গিত করে কিছু বলেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। এই আলোচনা তাই শেষ হয়ে গেছে। নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য বাবর ও দলের জন্য শুভকামনা।

নাজাম শেঠিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে লিখেছেন, অনেক মাস ধরেই দেশের সংবাদমাধ্যম ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের অনেকেই সব সংস্করণে বাবরকে অধিনায়ক রাখা নিয়ে কথা বলছিল। আর যেহেতু এটা চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত, তাই আমি শহীদ আফ্রিদি ও হারুন রশিদের নির্বাচক কমিটির কাছে তাদের মতামত জানতে চেয়েছিলাম।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে দুস্থ কম্পিউটার প্রশিক্ষানার্থীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ

বহুমুখী মানবকল্যান সংস্থা ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে “দুস্থ, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সর্মসংস্থানমূলক কাজের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন “শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় “কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন”  প্রশিক্ষানার্থীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ করা গয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে সংগঠনের মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ে মুজিবনগর উপজেলার  প্রথম ব্যাচের ৩০  প্রশিক্ষনার্থীদের এ উপকরণ বিতরণ করা হয়।

এতে বহুমুখী মানবকন্যান সংস্থার জেলা শাখার সভাপতি নুরুল আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ প্রফেসর রফিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক। এসময়  প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর  জয়নুল আবেদীনসগ  প্রশিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




বাংলাদেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লক্ষ মামলা বিচারাধীন—-প্রধান বিচারপতি

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের সমস্ত কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লক্ষ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এই মামলার জট কমাতে বিচারক এবং আইনজীবিগণ এক সাথে চেষ্টা করা হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টার সময় মেহেরপুর জজকোর্ট চত্তরে বিচারপ্রার্থীদের জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন “ন্যায়কুঞ্জে”র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।

এসময় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার মো: তোফায়েল হাসান, মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মো: শহিদুল্লাহ, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, মেহেরপুর পুলিশ সুপার মো: রাফিউল আলম, জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আরও বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে গত বছর ৮২ হাজার মামলা ফাইল হয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে ৭৯ হাজার মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। অর্থাত নিস্পত্তি হয়েছে শতকরা ৯৫ ভাগ। জেলা পর্যায়ের জুডিসিয়ারীতেও যে মামলা ফাইল হয়েছে, অর্ধেকেরও বেশী জেলাতে কেস নিস্পত্তির সংখ্যা মামলা ফাইল যত হয়েছে তার চেয়ে বেশি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এই দেশের ৪০ লক্ষ মামলার জন্য জাজের সংখ্যা মাত্র দুই হাজার। এট খুবই অপ্রতুল। আমরা চেষ্টা করছি, নতুন বিচারক নেওয়ার। ইতোমধ্যে ১০২ জন বিচারক নেয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পুলিশী তদন্তে আছেন তারা। আমরা এই বছরের মধ্যেই তাদের নিয়োগ দিতে পারবো। এছাড়া ১০০ জাজ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আরও বলেন, আমরা আশাবাদি, বিচারকগণ পরিশ্রম করেই মামলাজট সুরাহা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আইনজীবীগণকে আদালতকে সহায়তা করার আহবান জানান। যাতে করে সবাই এক সাথে মামলাজটকে রিমুভ করতে পারি।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, এই দেশের মালিক জনগণ। প্রতিদিন আদালত প্রাঙ্গণে শত শত লোক বিচারের আশায় আসেন। তাদের বসার কোনো যায়গা নেই। এইসব চিন্তা ভাবনা করেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিচারপ্রার্থীরা যাতে আদালতে এসে একটু স্বস্তিতে বসতে পারেন। সেটাই আজকের এই “ন্যায় কুঞ্জে”র কনসেপট।

সেই বিবেচনা থেকেই সরকার আদালত প্রাঙ্গণে বিচাারপ্রার্র্থীদের বিশ্রামাগারের জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। সে টাকাতেই এই ন্যায় কুঞ্জ নির্মাণ। ৬৪ টি জেলায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে, যেখানে লোকজন বেশী সমাগম হবে সেখানে একটু বেশী বরাদ্দ দেওয়া হবে। তুলনামুলক ছোট জেলাতে একটু কম বরাদ্দ হবে।

ঠিকাদারদের এবং প্রকৌশলীকে উদ্দ্যেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য বিশ্রামাগার “ন্যায় কুঞ্জ” তৈরী করা হচ্ছে। তাই লক্ষ রাখবেন যেনো এই বরাদ্দের টাকাটা যাতে মিসইউস না হয়। এইসব অসহায় সাধারণ মানুষের দিকে তাকিয়ে দ্রুত এর নির্মাণ কাজ শেষ করারও আহবান জানান তিনি।

এর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী মেহেরপুর সার্কিট হাউজে পৌছালে প্রথমে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, মেহেরপুর পুলিশ সুপার মো: রাফিউল আলম, প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম ও জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, আইনজীবী সমিতির পক্ষে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, মেহেরপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)’র পক্ষে অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্যসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা জজকোর্টের বিচারকগণ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এসময় মেহেরপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি চৌকস দল প্রধান বিচারপতিকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন। পরে আদালত চত্তরে একটি কৃষ্ণচুড়া বৃক্ষরোপন করেন প্রধান বিচারপতি।

সকাল ৯ টার দিকে দিক মেহেরপুর জজ আদালতের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিভিন্ন নির্দেশনামুলক বক্তব্য রাখেন তিনি।

পরে তিনি মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন এবং চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।




যুবলীগ নেতা সুইটসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী মামলা

মেহেরপুরে চাঁদাবাজীর অভিযোগে যুবলীগ নেতা সাহিদুজ্জামান সুইটসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন আব্দুর বারী ফারুখ নামে এক ব্যক্তি। মামলার অপর আসামীরা হলেন সুইটের ভাই মো. লিভু ও মো. রানা।

গত ৭ এপ্রিল শুক্রবার মেহেরপুর সদর থানায় বাদী এ মামলা দায়ের করেন। আসামী সহিদুজামান সুইট (৩৬) ও মো. লিভু (৪০) শহরের পুরাতন বাসস্ট্যাণ্ড পাড়াার মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে এবং মো. রানা (৩৫) একই পাড়ার মো. নজুর ছেলে।

লিখিত এজাহারে বাদীর অভিযোগ, আসামীগন মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। তারা এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজী করে জীবিকা নির্বাহ করে। বাদী মোদীখানার পাইকারী ব্যবসায়ী। বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম আফিল ট্রেডার্স। বাদীর পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি উক্ত জমি বিক্রয়ের জন্য ঘোষণা করিলে আসামীগন বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সময় বাদীকে বলে জমি বিক্রয় করিলে আসামীকে চাঁদা দিতে হইবে নইলে জমি বিক্রয় করিতে পারবেন না জানায়।

গত ৩০ মার্চ অনুমান সকাল ১০টার দিকে আসামীগন বাদীর দোকানে ‘যান এবং বাদীকে এবং বাদীর পরিবারের লোকজনদের খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া নগদ দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। বাদী মোদীখানার দোকান আফিল ট্রেডার্সের মধ্যে মোঃ সিরাজ ও মোঃ আঃ কুদ্দুস মেঘা উপস্থিতে ১নম্বর আসামী সহিদুজামান সুইট ও ৩ নম্বর আসামী মোঃ রানার হাতে নগদ এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা চাঁদা দেন।

বাদী এজাহারে আরো বলেন, আসামীরা জমি ক্রয়ের জন্য বিভিন্ন সময় ক্রেতারা আসলে তাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাড়িয়ে দেয়। জমি বিক্রয়ের সংবাদ পেয়ে আসামীগন বাদীকে এবং বাদীর ম্যানেজার সিরাজকে ৪এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সময় বাস ষ্ট্যান্ড পাড়ায় বাদীর জমির উপর মারতে যায় ও হুমকি দিয়ে বলে যে চার লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে আসামীগন ভয়ভীতি হুমকী দিয়া চলে যায়।




দর্শনা সীমান্তে বিজিবির চোরাচালান বিরোধী অভিযানে

দর্শনা সীমান্তে বিজিবি অভিযান পরিচালনা করেছে। এ অভিযানে মালিকবিহীন অবস্থায় ২০ হাজার ইউএস ডলার ও রুপার গহনাসহ মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনস্থ জেলার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী ফুলবাড়ি সীমান্ত ফাঁড়ি অভিযান পরিচালনা করে এ ডলার উদ্ধার করে।

বিজিবি জানায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার অধিনস্থ দর্শনা সদর থানার অন্তর্গত ফুলবাড়ী সীমান্ত এলাকা দিয়ে ইউএস ডলার পাচার করা হবে মর্মে প্রাপ্ত বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসি এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় ফুলবাড়ী সীমান্ত ফাঁড়ীর কমান্ডার নাঃ সুবেদার এনামুল কবিরের নেতৃত্বে ফুলবাড়ি সীমান্ত এলাকায়।

এসময় বিজিবি সশস্ত্র টহল দল সীমান্তের সীমান্ত পিলার ৮৬ হতে ১.৫ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফুলবাড়ি গ্রামের ফুলবাড়ী মাঠের মধ্যে এ্যাম্বুশ করে।

এরই একপর্যায় গতকাল সোমবার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে একজন ব্যাক্তিকে একটি ব্যাগ হাতে ফুলবাড়ী মাঠের মধ্যে দিয়ে পার্শ্বের গ্রামের দিকে যেতে দেখলে বিজিবি টহলদল তার গতিরোধের চেষ্টা করে। ফলে বিজিবি সদস্যদেরকে উপস্থিতি টেরপেয়ে তার হাতে থাকা ব্যাগটি ফেলে দৌড় দেয়। পরবর্তীতে বিজিবি টহলদল পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির ফেলে যাওয়া ব্যাগটি জব্দ করে ব্যাগের মধ্যে থাকা ২ টি ব্যান্ডেলে ১০০ ইউএস ডলার মানের ২০০টি নোট উদ্ধার করতে সক্ষম করতে হয়।

এ বিষয়ে দর্শনা থানায় মামলা করতঃ ইউএস ডলার চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানায় ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান। গত রবিবার দর্শনা সীমান্তে বিজিবির চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। এ অভিযানে চোরাকারবারীর ফেলে যাওয়া মোটরসাকেলে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা স্থান থেকে প্রায় ৫ কেজি রুপার গহনা উদ্ধার করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি।

বিজিবি জানায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার অন্তর্গত সুলতানপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ঝাঝাডাঙ্গা গ্রামের মধ্যে দিয়ে রুপা পাচার করা হবে। এমন প্রাপ্ত বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সুলতানপুর বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ আব্দুল মান্নান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্ত পিলার ৭৮/৬-আর হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঝাঝাডাঙ্গা মাঝাপাড়া পুরাতন মসজিদের সামনে পাঁকা রাস্তার পার্শ্বে এ্যাম্বুশের জন্য অবস্থান করে। সময় আনুমানিক সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে অজ্ঞাত একজন ব্যক্তি ১টি মোটরসাইকেলযোগে দর্শনা এলাকার দিকে যেতে দেখে এবং বিজিবি সশস্ত্র টহলদল উক্ত মোটর সাইকেলটি গতিরোধ করলে মোটরসাইকেল আরোহী টহলদলকে দেখতে পেয়ে দ্রুত মোটর সাইকেলটি ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল মোটরসাইকেলটি জব্দ করে তাতে তল্লাশি করে মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাংকির উপর সুতির গামছা দিয়ে মোড়ানো ৪ টি পলিথিনের ব্যাগ হতে ৪ কেজি ৯৮৫ গ্রাম (৪২৭.৩৮ ভরি) ওজনের রুপা এবং ১ টি মোটর সাইকেল আটক করতে সক্ষম হয়।

এ ব্যাপারে হাবিলদার মোঃ আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করতঃ আটককৃত রুপাগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




গাংনীতে বিদ্যুত লাইনের তারে জড়িয়ে শিশু আহত

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের পশু হাসপাতাল পাড়ায় বিদ্যুত লাইনের তারে বেধে যাওয়া ঘুড়ি পাড়তে (নামাতে) গিয়ে জুবায়ের হােসেন (১০) নামের এক শিশু বিদ্যুত স্পৃষ্টে আহত হয়েছে। শিশু জুবায়ের পশু হাসপাতাল পাড়ায় বসবাসকারি ও টায়ার ব্যবসায়ি মহব্বত আলীর ছেলে।

আজ সােমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিজ বাড়ির পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান,শিশু জুবায়ের এদিন বিকেলে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। ঘুড়িটি হঠাৎ বিদ্যুত লাইনের মেইন তারে জড়িয়ে যায়। জুবায়ের একটি লােহার রড দিয়ে খােঁচা দিয়ে ঘুড়িটি নামাতে যায়।

এসময় বিদ্যুত স্পৃষ্টে সে গুরুতর আহত হয়। পরিবার ও প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।