জীবননগরে ৩৭টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে টিউবওয়েল বিতরণ

জীবননগরে ৩৭টি অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে টিউবওয়েল বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টার সময় জীবননগর উপজেলার মাধবপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার মাঠে দোস্ত এইড বাংলাদেশ সোসাইটির পক্ষ থেকে এসব টিউবওয়েল বিতরণ করা হয়।

দোস্ত এইড বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাহী সদস্য সাব্বির আহমেদ মুহিতের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দুস্থ পরিবারগুলোর মাঝে টিউবওয়েল বিতরণ করেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকুনুজ্জামান ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকুনুজ্জামান বলেন, গ্রামের অসহায় মানুষের জন্য সুপেয় নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে কাজ করছে দোস্ত এইড বাংলাদেশ। এ জেলায় অনেকদিন ধরে কাজ করছে সংস্থাটি, রমজানের শুরুতে মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী ও ফুড প্যাকেট বিতরণ করেছে, তাদের কাজগুলো প্রশংসনীয়।

আগামীতে অসহায় মানুষের সেবায় এ ধরনের কাজগুলোকে অব্যাহত রাখা হোক, এ প্রত্যাশা করি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক মো. শাহ আলম শরিফুল ইসলাম, দোস্ত এইড সদস্য সাংবাদিক মিথুন মাহমুদ, দোস্ত এইডের সদস্য সাংবাদিক চাষী রমজান, দোস্ত এইডের ব্রাঞ্চ ইনচার্জ হোসাইদ আহমেদ প্রমুখ।




জীবননগরে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ

জীবননগরে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে সার, বীজ ও গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১১টার সময় জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে উপজেলা চত্বরে এ সব উপকরণ বিতরণ করা হয়।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে জীবননগর উপজেলার ৩ হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ধানের বীজ, সার, গাছের চারা বিতরণ করেন
চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগর।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাফিজুর রহমান,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম,সাধারন সম্পাদক আবু মোঃ আব্দুল লতিফ অমল,জীবননগর পৌর সভার মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম ,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী,জীবননগর পৌর সভার সাবেক মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,জীবননগর থানার অফিসার ইনচাজ (ওসি)মোঃ নাসির উদ্দিন মৃধা,মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান,কে,ডি,কে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বাশার শিপলু ,উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার প্রমুখ।

এ সময় প্রধান অতিথি বলেন,বাংলাদেশ আজ কৃষিতে উন্নয়নশীল ,বাংলাদেশের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিশ্বের বেশ কিছু দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।বতমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার ,কৃষকরা যাতে লাভবান সে বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।

কৃষকরা আজ বিভিন্ন ধরনের বিদেশী ফল উৎপাদন করছে এই বাংলাদেশের মাটিতে এবং তারা সফলও হচ্ছে ।দেশ যাতে আরো উন্নয়ন হয় দেশের কৃষকরা যাতে লাভবান হয় ।সে বিষয়ে সরকারি ভাবে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে এবং আগামিতেও দেওয়া হবে।উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মোঃ আব্দুর জব্বার।




১০ বছরের ভিক্ষা জীবন ছেড়ে ব্যবসায়ী প্রতিবন্ধী সাগর

ভিক্ষা করে পাওয়া হাজার টাকার চেয়ে ব্যবসা করে দুইশ টাকা রোজগার অনেক সম্মানের ঠেলা গাড়িতে গ্রাম ও শহর ঘুরে ভিক্ষা করে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা রোজগার করতাম। সে রোজগারে কোন বরকত ছিলনা। ছিলনা সম্মান। অনেক সময় পরিচিত লোক দেখে লজ্জায় মাথা নুইয়ে যেতো। ভিক্ষা করা খুবই লজ্জার একটি পেশা। ধর্মীয় ভাবেও এ পেশায় স্বীকৃতি নেই। ভিক্ষার টাকা থেকে সংসার চালিয়ে কিছু টাকা সঞ্চয় করে রাখতাম । আমি এখন আর ভিক্ষা চাইনা। এখন আমি ব্যবসা করি জীবন বদলের কথা গুলি বলছিলেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের মৃত পিয়ারুল ইসলামের প্রতিবন্ধী ছেলে সাগর আহম্মেদ। তিনি ১৫ বছরের ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে এখন ব্যবসা করে সংসার চালাচ্ছেন। তার জীবন বদলের কথা শুনে অনেকেই বাহবা দিচ্ছেন আবার সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই।

সাগর আহাম্মেদের বয়স এখন ৩০ বছর। জন্ম থেকেই শারীরীক প্রতিবন্ধী। দুটি পা একেবারেই অকেজো। হাত দিয়ে ঠেলা গাড়ি চড়ে চলাফেরা করতে হয় তাকে।

চার মাস বয়সে সাগররের বাবা মারা যায়। দুই বছর বয়সে মা মুনজিরা খাতুন অন্যত্র বিয়ে করে চলে যান অন্যের সংসারে। নানির সংসারে সাগর আহাম্মেদ বড় হয়ে ওঠে। সাগরকে লালন পালন করে বড় করেছেন বৃদ্ধা নানি মদিনা বেগম। ১৫ বছর বয়সে জীবন জীবীকার তাগিদে ঠেলা গাড়িতে করে গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করতেন। ভিক্ষাবৃত্তি করে কোনদিন ৪০০ টাকা আবার কোনদিন ৫০০ টাকা রোজগার হতো। এ দিয়েই বৃদ্ধা নানিকে নিয়ে সংসার চালাতো সাগর আহাম্মেদ। ভিক্ষা করতে যেয়ে নানা প্রতিকুলতার মধ্যে পড়তে হতো তাকে। দু’টি পা তার অকেজো হওয়ায় দুই হাত দিয়ে পায়ের কাজটি করতে হয় তাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাসিপান্তা খেয়ে সাগরকে ঠেলা গাড়িতে তুলে দিতেন নানি মদিনা বেগম। সারাদিন ভিক্ষা শেষে বাড়ি ফিরতেন সন্ধে হলে। এভাবে ১৫ বছর ভিক্ষার ঝুলি বইতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে ওঠে সাগর আহাম্মেদ। অবশেষে স্থানীয়দের পরামর্শে নিজের কিছু জমানো টাকায় গ্রামেই একটি ছোট দোকান দিয়ে বসেছেন তিনি। দোকানে বাইসাইকেলের পার্টসপাতি বিক্রি করেন। নানি ও তার দুজনের সংসারে ব্যবসায় তাদের জীবীকার একমাত্র মাধ্যম্।

সাগর আহাম্মেদ জানায়, ছোট বেলায় বাবা মারা গেলে মা অন্যত্র বিয়ে করে আমাকে নানির কাছে রেখে চলে যায়। নানা বেঁচে না থাকায় নানিও বৃদ্ধা বয়সে কাজ কর্ম করতে পারতো না। বাধ্য হয়ে আমাকে ভিক্ষা পেশায় নামতে হয়েছে। ভিক্ষা করে ৫০০ টাকা রোজগার করতাম। এখন আমি ভিক্ষাবৃতি করিনি।গাংনী শহর থেকে একটি দোকান থেকে বাইসাইকেলের পার্টসপাতি পাইকারি কিনে নিয়ে খুচরা বিক্রি করি।

এখন দোকানদারি করে দুএকশো টাকা যা লাভ হয় তা দিয়েই সম্মানের সাথে জীবন চালাতে পারছি। এখন মনে হয় ৫০০ টাকার চেয়ে আমার এখনকার ২০০ টাকা অনেক বরকতের।

সাগর আহাম্মেদের নানি মদিনা বেগম জানান, ছোট বেলায় সাগররের বাবা মারা যায়। তখন সাগরের মা মুনজিরার বয়স খুবই অল্প। বিধবা মেয়ে ঘরে রাখা খুবই কষ্টের। তাই তার ইচ্ছে না থাকা সত্বেও অন্যত্র বিয়ে দিতে হয়েছে। ছোট বেলা থেকেই সাগরকে আমি মা বাবার আদর স্নেহ দিয়ে বড় করেছি। পরের বাড়িতে কামলার কাজ করে আমরা দুজন সংসার চালাতাম। পরে আমার অনেক বয়স দেখে কেউ কাজে নিতে চাইতানা। বাধ্য হয়েই সাগরকে ভিক্ষার ঝুঁলি হাতে নিতে হয়েছিল। এখন সাগর আর ভিক্ষা করেনা। গ্রামের একটি মোড়ে বাইসাকেলের পার্টসপত্র বিক্রি করে। এখান থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই আগের চেয়ে অনেক ভাল আছি।

সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাঃ মশিউর রহমান জানান, সাগর আহাম্মেদ অগে ভিক্ষা করতো জানতে পেরে তাকে ভিজিডি ও ভিজিএফ এর সুবিধা দেয়া হচ্ছে। মাঝে মধ্যে তার খোজ খবর নিই। তবে এমন পরবির্তন খুবই ভাললাগার বিষয়। ৩০ বছরের যুবক তার পেশা পরিবর্তন করে নিয়ে নিজেকে অত্ননির্ভশীল করে সংসার চালাচ্ছে এটি একটি উদাহরণও বটে।

গাংনী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আরশাদ আলী জানান, সাগর আহাম্মেদকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিভিন্ন সহযোগীতা দেয়া হয়। তবে ১৫ বছর ধরে যে সাগর ভিক্ষা করেছে। সেই সাগর নিজেকে পরিবর্তনের জন্য সমাজে মাথা উচিয়ে বাঁচার জন্য এখন ব্যবসা করছে। এমন উচ্ছা শক্তি সকলের মধ্যে তৈরী হলে ভিক্ষুকের সংখ্যা থাকবেনা। এর পরেও সরকারি কোন সুবিধা এলে সাগার আহাম্মেদরে কথা আমাদের মনে থাকবে। শুধু সাগর নয়, অন্যরাও ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে ব্যবসায় আসলে তাদের পুনর্বাসন করা হবে।




চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখার অভিযানে ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ১

চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার বিশেষ অভিযানে ৭২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার সহ একজনকে গ্রেফতার করেছে চুয়াডাঙ্গা ডিবি পুলিশ।

রবিবার বিকেল সাড়ে চারটার সময় গোপন সংবাদের চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন ডিঙ্গেদাহ টু হিজলগাড়ি রোডের পাশে শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের জালশুকা ঈদগাঁহ পাড়া থেকে ফেনসিডিলসহ মোছাঃ সালমা বেগম (৫০) আটক করে ডিবি।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের সার্বিক দিকনির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ শেখ সফিকুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, এএসআই (নিঃ) শ্রী বিজন ভট্টাচার্য, এএসআই (নিঃ) মোঃ আবেদুর রহমান, এএসআই (নিঃ) শ্রী রমেন কুমার সরকার, কং/৩১৪ সাদ আহামেদ,কং/৬৪০ সাকিব আহম্মেদ, কং/৪০৭ শামিম হোসেন, নারী কং/৯৩১ মোছাঃ সুরভী খাতুন গোপন সংবাদের ভিওিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন ডিঙ্গেদাহ টু হিজলগাড়ি রোডের পাশে শংকর চন্দ্র ইউনিয়নের জালশুকা ঈদগাঁহ পাড়া মোছাঃ সালমা বেগম (৫০), স্বামী মোঃ আব্দুল মালেক, পিং-মৃতঃ আব্দুল কুদ্দুস বিশ্বাস, থানা ও জেলা-চুয়াডাঙ্গার একতলা বিশিষ্ট বসত বাড়ির শোবার ঘরের ভিতর থেকে একটি প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে হতে বিশেষ কায়দায় মোড়ানো অবস্থায় ৭২ (বাহাত্তর) বোতল আমদানি নিষিদ্ধ অবৈধ মাদকদ্রব্য ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।




মেহেরপুর পৌরসভার ৯ ও ২ নং ওয়ার্ডের সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

মেহেরপুর পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে ড্রেন ও কংক্রিট রাস্তার উদ্বোধন করা হয়। আজ রবিবার বিকেলে উদ্বোধনের সময় মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন মেহেরপুর পৌরসভাকে যারা বিগত দিনে এই উন্নয়নকে বাধা গ্রস্ত করেছে মেহেরপুর পৌরবাসীকে পিছিয়ে রেখেছে আজকে সেই সমস্ত কালো ছায়া থেকে ইনশাল্লাহ আমরা আলোর পথে পা রেখেছি।

তিনি আরো বলেন আগামী দুই বছরের ভেতর মেহেরপুর পৌরবাসীর কোন রাস্তা কোন ড্রেন চাওয়া পাওয়া থাকবে না ইনশাআল্লাহ সব কমপ্লিট হবে।

মেহেরপুর পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী (সিভিল) আবুহেনা মোস্তফা কামাল বলেন মেহেরপুর পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড আলিয়া মাদ্রাসা পাড়ায় ড্রেন সহ কংক্রিট রাস্তার দৈর্ঘ্য ২০৫ মিটার ও মেহেরপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থানা রোডে ড্রেন ও কংক্রিট রাস্তার দৈর্ঘ্য ৮২ মিটার এর উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সদর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, মেহেরপুর পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল রানা ডলার, ৭ ও ৮ এবং ৯ নাম্বার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রোকসানা কামাল, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম, মহাজনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান নান্নু, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বাসিন্দা এডভোকেট আব্দুল জব্বার সহ বিভিন্ন নেতা কর্মীর উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগরে অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলেছে

মুজিবনগরে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত মরদেহের ব্যক্তির নাম সোহেল রানা। সে মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের ইমাদুল হকের ছেলে।

মুজিবনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমারের ফেইসবুকে এই অজ্ঞাত ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করার পর সোহেল রানার পরিবারের লোকজন মুজিবনগর গিয়ে পরিচয় সনাক্ত করেন।

এসআই উত্তম কুমার বলেন, দারিয়াপুর কবরস্থানে অজ্ঞাত হিসেবে দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। কবর খোড়া হয়ে গিয়েছিল। এসময় তার পরিবারের লোকজন এসে সনাক্ত করেন। বুড়িপুতা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর ইমাদুল হক, তার পিতা ইমাদুল ইসলামসহ পরিবারের অন্যান্য লোকজনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

পরিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে উত্তম কুমার বলেন, সোহেল রানা বহুবিদ প্রতিবন্ধী। গতকাল শনিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে যায়নি।

এঘটনায় মুজিবনগর থানায় একটি অপমৃত্য দায়ের করা হয়েছে।




যাতায়াত অবস্থান রেকর্ড রাখছে আইফোন

‘নিয়মিত যাতায়াত করেন এমন সব জায়গার একটি গোপন তালিকা রাখে আপনার আইফোন। অর্থাত্, ঘনঘন যাওয়া সমস্ত অবস্থান যেমন, আপনার কাজের ক্ষেত্র, প্রিয় রেস্টুরেন্ট কিংবা নিয়মিত আড্ডাস্থলের গোপন তালিকা আছে আপনার আইফোনের কাছে।

আইফোনের এই ফিচারটিকে বলা হয় ‘সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস’। যদিও কিছু আইফোন ব্যবহারকারী মনে করেন এটি বেশ কাজের। আবার অনেকে মনে করেন এটি ব্যাক্তিগত নিরাপত্তার জন্যে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস ফিচারটি সম্পর্কে; এটি কীভাবে কাজ করে এবং এটি নিয়ে চিন্তার কিছু আছে কি না।

আইওএস-এর সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস ফিচার আসলে কী?
সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস নামটি থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এটি আপনার গুরুত্বপূর্ণ সব অবস্থানগুলো খোঁজ রাখে। অর্থাত্, এই ফিচারটি আপনার প্রায়শই যাওয়া হয় এমন সমস্ত স্থানের একটি তালিকা রাখে। যাতে করে আপনি কোন কোন জায়গায় যেতে পছন্দ করেন, তার ওপর ভিত্তি করে আইফোন আপনাকে প্রাসঙ্গিক তথ্য এবং পরামর্শ প্রদান করতে পারে।

আপনি একটি নির্দিষ্ট দিনে কোথায় যাবেন তা অ্যাপল সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস ফিচারের মাধ্যমে অনুমান করার চেষ্টা করে। আপনি যদি প্রতি শনিবার কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে যান, তাহলে আপনি দেখতে পাবেন সেই অবস্থানটি ওই দিনের জন্য আপনার অ্যাপল ম্যাপের সাজেশনসের শীর্ষে রয়েছে। পাশাপাশি আপনি সেই অবস্থানের ট্র্যাফিক এবং আবহাওয়া সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিও পেতে পারেন।

যেভাবে কাজ করে
সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস আপনার আইফোনে জিপিএস ব্যবহার করে কাজ করে। এই জিপিএসের সাহায্যে এটি আপনার কর্মস্থলের মতো ঘন ঘন অবস্থান করা জায়গাগুলোকে ট্র্যাক করতে পারে।

এটি এমন জায়গাগুলোও খুঁজে বের করতে পারে যেগুলোয় আপনি ঘন ঘন যেতে চাইবেন, যেমন ধরুন আপনার প্রিয় রেস্তোরাঁ বা আত্মীয়ের বাড়ি। আপনি কোনো একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে কতবার যাচ্ছেন এবং কত সময়ের জন্য থাকছেন তার ওপর ভিত্তি করে অ্যালগরিদমটি এটি নির্ধারণ করে। এটি করার জন্যে আপনাকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে না এবং এটিও আপনাকে কোনো প্রকার বিজ্ঞপ্তি দেবে না। যা হওয়ার সব ব্যাকগ্রাউন্ডে সয়ংক্রিয়ভাবে হবে।

যেভাবে সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস দেখবেন এবং বন্ধ করবেন
আপনার আইফোনের সেটিংস অপশনে এটি পাবেন। আপনি যদি আপনার অবস্থানগুলোর তালিকা দেখতে চান এবং এটি বন্ধ করতে চান তাহলে, সেটিংস > প্রাইভেসি > লোকেশন সার্ভিসেস > সিস্টেম সেটিংস > সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস-এ যান

সেখানে আপনি আপনার সাম্প্রতিক রেকর্ডগুলো দেখতে পারবেন। আপনি একটি নির্দিষ্ট স্থানে কতক্ষণ ছিলেন এবং সেই অবস্থানটির নাম আপনার ম্যাপস অ্যাপে আছে কি না তা আপনি দেখতে পারবেন। মোট কতগুলো রেকর্ড আছে তাও আপনি দেখতে পারবেন।

পৃষ্ঠার নীচে ক্লিয়ার হিস্ট্রিতে ট্যাপ করে আপনি চাইলে আপনার সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনগুলো মুছে ফেলে আবার নতুন করে শুরু করতে পারবেন। আর আপনি যদি এটি বন্ধ করতে চান, তাহলে একবারে ওপরের সবুজ বোতামটি টগল করুন।

সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস কী নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ?
অ্যাপলের তথ্য অনুসারে, সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস তথ্যগুলো ব্যক্তিগত রাখতে উন্নত এনক্রিপশন ব্যবহার করে। তাদের মতে, এমনকি অ্যাপলও আপনার অবস্থান দেখতে পারে না। অ্যাপল দাবি করে, আপনার কাছে কোন অবস্থানগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা জানার জন্য আইফোন এটি করে।

এ ছাড়া অবস্থানগুলো শুধু আপনার ডিভাইসে সংরক্ষিত করা হয়। আই ক্লাউডে করা হয় না। আর আপনি যদি মনে করেন যে, এটি আপনার গোপনীয়তার লঙ্ঘন করছে। তাহলে আপনি চাইলে যেকোনো সময়ই সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস ফিচারটি বন্ধ করে দিতে পারবেন।

তবে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, আপনি চাইলে তো অ্যাপল ম্যাপসে আপনার বাসা, অফিসের ঠিকানার পাশাপাশি আপনার প্রিয় জায়গাগুলোর ঠিকানাও যুক্ত করতে পারেন। তাহলে আলাদা করে এটির প্রয়োজন কী? এর উত্তরে বলা হচ্ছে যে, এর মাধ্যমে আইফোন আপনাকে আরও প্রাসঙ্গিক তথ্য দেখাতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আপনার প্রতিদিনের যাতায়াতের রাস্তা জানার মাধ্যমে, অ্যাপল আপনাকে ট্র্যাফিক বিষয়ক আরও প্রাসঙ্গিক তথ্য দিতে পারে।

যদিও এটি কারও কারও জন্য বেশ সহায়ক। আবার অনেকে মনে করেন এ সব তথ্য ট্র্যাকিং ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তবে আপনি যদি এটি নিয়ে শঙ্কায় ভুগেন, তাহলে আপনি চাইলে এটি বন্ধ করে রাখতে পারেন।

এটি কি বন্ধ করে রাখা উচিত?
এখন পর্যন্ত সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনসকে নিরাপদ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এতে এযাবত্ কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি পাওয়া যায়নি। তবে আপনার আইফোনে যদি কারও এক্সেস থাকে কিংবা কেউ যদি আপনার অজান্তে আপনার আইফোনে প্রবেশ করে, সে ক্ষেত্রে তারা আপনার প্রায়শই অবস্থান করা জায়গাগুলো দেখে ফেলতে পারে। যা একটি গোপনীয়তা এবং ক্ষেত্রবিশেষে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

তবে আপনি যদি এটি নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন, তাহলে যেকোনো সময় সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস বন্ধ করে দিতে পারেন। তাই এটি নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গায় ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ও হুইল চেয়ার বিতরণ 

রুপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্বগঠন এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় পালিত হলো বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০ টার সময় ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয় ও বেলা ১১টার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমান সরকার অটিজমসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধী ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সরকার প্রদত্ত সেবার মধ্যে অন্যতম।

আমাদের সকল সচেতন জনগোষ্ঠীকে অটিজম বৈশিষ্টসম্পন্ন ব্যক্তিদের স্বার্থ সংরক্ষণে সোচ্চার হতে হবে। মাতৃগর্ভে কিংবা জন্মের পরপর শিশুর অটিজম হওয়ার সম্ভাবনাকে রোধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ, অটিজম বৈশিষ্টসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রতি সমব্যথী হওয়া এবং তাদের প্রতিভা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করার উপর বক্তারা গুরুত্ব আরোপ করেন।

১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এবং স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গার আয়োজনে অটিজম ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মাঝে ১৩ টি হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সভাপতি জেলা সমাজ কল্যাণ কমিটি মুন্সি আলমগীর হান্নান সহ উক্ত আয়োজনে সমাজসেবা কার্যালয়, চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধিগণ, বিভিন্ন প্রতিবন্ধী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকবৃন্দ এবং ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।




আইপিএল থেকে ছিটকে গেলেন উইলিয়ামসন

হাটুঁর ইনজুরির কারণে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৬তম আসর থেকে ছিটকে গেলেন গুজরাট টাইটান্সের কিউই ব্যাটার কেন উইলিয়ামসন। চলমান আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে আহমেদাবাদে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ফিল্ডিং করার সময় হাঁটুর ইনজুরিতে পড়া উইলিয়ামসন আসর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

আগামী সপ্তাহেই নিউজিল্যান্ড ফিরে যাবেন এবং নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (এনজেডসি) পরিকল্পনা অনুসারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাবেন উইলিয়ামসন। এক বিবৃতিতে উইলিয়ামসনের ছিটকে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুজরাটের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট বিক্রম সোলাঙ্কি। তিনি বলেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরুতেই ইনজুরির কারণে উইলিয়ামসনকে হারানোটা দুঃখজনক। আমরা তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি ও আশা করি যত দ্রুত সম্ভব সে মাঠে ফিরবে।’

চেন্নাই ইনিংসের ১৩তম ওভারে ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াডের হাওয়ায় ভাসানো শট ডিপ স্কয়ার লেগ বাউন্ডারির সীমানায় লাফিয়ে ছক্কা বাঁচাতে গিয়ে মাটিতে পড়ে হাঁটুতে ব্যাথা পান উইলিয়ামসন। পরে গুজরাট টাইটান্সের মেডিক্যাল স্টাফদের কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার পরিবর্তে ফিল্ডিংয়ে নামেন সাই সুদর্শন। পরবর্তীতে উইলিয়ামসনের জায়গায় ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার নামায় গুজরাট।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে জোড়া হত্যা মামলায় ৯ জনের ফাঁসি রায়

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামের বর্ডার পাড়ায় চাঞ্চল্যকর আবুজেল ও রফিকুল ইসলাম দুই সহদর কে হত্যার দায়ে ৯ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডিতরা হলেন- একই গ্রামের আব্দুল হালিম, আতিয়ার রহমান, জালাল উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, শরিফ হোসেন, দবির উদ্দিন, আজিজুল হক, ফরিদ হোসেন ও মনিরুল ইসলাম মনি। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জালাল উদ্দীন পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরনে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৫ জুন গাংনীর কাজিপুর এলাকায় ফেনসিডিলের একটি বড় চালান ধরা পড়ে। ওই ঘটনায় একই গ্রামের কিয়ামুর্দ্দীনের ছেলে আবুজেল(৩৫) ও রফিকুল ইসলাম(৪০) ফেনসিডিল ধরিয়ে দেওয়ার সঙ্গে তাদের হাত রয়েছে এমন অভিযোগ তোলা হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১২ সালের ১৫ জুন রাতে বিষয়টি মীমাংসা করবে বলে দুই ভাইকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেই আসামিরা। পরদিন সকালে কাজিপুর গ্রামের মন্ডল পাড়া এলাকার ভারতীয় সীমান্ত পিলার ১৪৫ নং/এস-৬ এর কাছ থেকে বাংলাদেশ সীমানার ভেতরে ৭০/৭৫ গজ দক্ষিনে জনৈক লাল্টুর মরিচ ক্ষেত থেকে তাদের দুই ভাইয়ের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরে দুই সহোদর হত্যার ঘটনায় নিহতদের বোন জরিনা বেগম বাদী হয়ে ৩০২ও ৩৪ ধারায় গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। মামলার অপর আসামি আরিফ, রাজিব, আলমেস, হারুন ও ফারুকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে বেকসুর খালাস দেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজী শহিদুল হক এবং আসামি পক্ষে আতাউল হক, এ কে এম শফিকুল আলম এবং কামরুল হাসান আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।

মামলার রায় ঘোষণার পর অতিরিক্ত পিপি কাজী শহিদুল হক বলেন, এটা মেহেরপুরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রায় হলো। এই রায় ঘোষণার মধ্যে দিয়ে আবারো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মামলার বাদি জরিনা বেগম সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আদালতের এই রায় অনতিবিলম্বে কার্যকরের দাবী জানান তিনি।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।