চুয়াডাঙ্গা জেলায় একইসঙ্গে ৪ থানার ওসিকে রদবদল ৭ টি পদে বদলী

চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশের ৭ টি পদে বদলি ও পদায়নের মাধ্যমে রদবদল করা হয়েছে। জেলার ৫টি থানার মধ্যে ৪ টি থানা আলমডাঙ্গা, জীবননগর, দর্শনা, দামুড়হুদা ও বিশেষ শাখার ওসিকে বদলি ও সংযুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৪ থানার ওসি ও বিশেষ শাখার ওসিসহ ৭ কর্মকর্তা রদবদল হওয়ায় সকেলই আগে থেকে এই জেলায় কর্মরত আছেন।

বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ বদলি ও সংযুক্ত করা হয়েছে।

অফিস আদেশে, চুয়াডাঙ্গা অপরাধ শাখার পুলিশ পরিদর্শক বিপ্লব কুমার নাথ আলমডাঙ্গা থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। জীবনগর থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গা লাইন ওআর মো. নাসির উদ্দিন মৃধা। দামুড়হুদা থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদকে বদলি করে দর্শনা থানায় পাঠানো হয়েছে। জীবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেককে সদর সার্কেল অফিসে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামকে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফুল কবীরকে জেলা বিশেষ শাখায় পাঠানো হয়েছে। সদর সার্কেল অফিস থেকে বিপ্লব কুমার সাহাকে সরিয়ে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক সদর কোর্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ১৩ মার্চ চুয়াডাঙ্গা অপরাধ শাখার পুলিশ পরিদর্শক বিপ্লব কুমার নাথকে সদর কোর্টে বদিল আদেশ বাতিল করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, এটি নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ। বদলির সময়পূর্ণ হওয়ায় একইসঙ্গে জেলার ৫ থানায় এমন রদবদলের ঘটনা।




বামন্দীতে গাঁজাসহ আটক ২

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী পশুহাট এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৫০ গ্রাম গাঁজাসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।

আটককৃতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাঙবাড়িয়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে আসলাম উদ্দিন (৪৫) এবং একই গ্রামের রিয়াজুদ্দিনের ছেলে আরশেদ আলী (২৮)।

গাংনী থানাধীন বামন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই ইসরাফিল হোসেন জানান, গোপন সংবাদ ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বামন্দী পশুহাট এবং নওদা ছাতিয়ানের মাঝামাঝি এলাকা থেকে দুজনকে ১৫০ গ্রাম গাঁজা সহ আমরা আটক করি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।




বামন্দী ইউপির চেয়ারম্যান কমলের সহোযোগিতায় ঢেউটিন পেলেন আব্বাস

পাটকাঠির বেড়া দিয়ে ঘেরা ঘরের উপর পলিথিন দিয়ে কোনরকম রোদবৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বসবাস দীর্ঘদিনের অসুস্থতার কারণে চেষ্টা করেও ঘরের জীর্ণশীর্ণতা দূর করতে পারেনি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল জলিলের পুত্র আব্বাস আলী।

কাঠফাটা রোদে পুড়ে আর বৃষ্টি বাদলে ভিজে বসবাস।  যদি কখনো শিলাবৃষ্টি হয় তবে তো কোন কথায় নেই নতুন করে আবার পাটকাঠির ঘরে দিতে হয় পলিথিনের ছাউনি।

এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন কাটানোর কথা শুনে চলতি মাসের গেল (২১শে মার্চ) তারিখে বামন্দী ইউনিয়নের দেবিপুর দক্ষিণ পাড়ায় আব্বাস আলীর ঘর দেখতে যায় ঐ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল।

নিজ চোখে দেখে আসেন অসুস্থ আব্বাস আলীর দুরবস্থা। আশ্বাস দেন আব্বাস আলীর নতুন ঘর করে দেওয়ার। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার আব্বাস আলীকে বামন্দী বাজার থেকে ঘর মেরামত করতে প্রয়োজন পরিমাণ ঢেউটিন কিনে দেন চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল।

ঢেউটিন পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে আব্বাস আলী বলেন, আমি সংসার জীবনে একসময় স্বচ্ছলতা ছিলো কিন্তু দুরারোগ্য ব্যাধীর কারণে এখন অসহায়ত্বর বোঝা বইতে হচ্ছে। অনেকদিন চেষ্টা করেও পাটকাঠির ঘর পরিবর্তন করতে পারিনি। চেয়ারম্যান জানতে পেয়ে আমাকে ঘর মেরামত করতে টিন কিনে দিলেন এবং সবসময় সহোযোগিতা করার কথা বলেছেন।

বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল বলেন, আমার ইউনিয়নে আব্বাস আলীর মতো কোন মানুষ যদি অসহায় অবস্থায় থাকে তবে আমি জানলে তার পাশে সার্বিক সহোযোগিতা নিয়ে দাঁড়াবো।




জীবননগরে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা

জীবননগর পৌর শহরে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ৩ টি প্রতিষ্ঠানে ৮ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার সময় জীবননগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রোকনুজ্জামান এ অভিযান পরিচালনা করে।

ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা গেছে, জীবননগর পৌর শহরের বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মাহে রমজান মাসে নিন্মমানের খাবার মুড়ি ও গাছড়া ঔষধ বিক্রয় করছে যার মেয়াদকাল ও উৎপাদনকাল কিছুই নাই এমন অভিযোগের ভিক্তিত্বে জীবননগর পৌর শহরের কাচা বাজারে অভিযান চালিয়ে নুর ভ্যারাইটি স্টোরের মালিক হুসাইনকে ৫ হাজার টাকা, তাজুল স্টোরের মালিক নাজমুল হককে ১ হাজার টাকা এবং ইনসাফ ট্রের্ডাসকে ২ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করে।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, পবিত্র মাহে রমজান মাসে কোন ব্যবসায়ী যাতে ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা করতে না পারে সে জন্য প্রশাসনিক ভাবে সার্বক্ষনিক বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রতিটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সর্তক করা হয়েছে তারপর যদি কেউ আইন অমান্য করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা করে তা হলে অভিযোগ পেলে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কালে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মোঃ আনিছুর রহমান।




কার্পাসডাঙ্গা বাজারে তিন ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা

দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাষনের পক্ষ থেকে কার্পাসডাঙ্গা বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিন ব্যবসায়ীকে ১ হাজার চারশ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) রোকসানা মিতা মনিটরিং করার সময় এ জরিমানা আদায় করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মূল্য তালিকা দোকানে না টাঙ্গানোর অপরাধে সৈনিক স্টোরের মালিক আ: কাদের উকিলকে ভোক্তা সংরক্ষন আইন ৩৮ ধারা মোতাবেক ১হাজার টাকা অপরিচ্ছন্ন জায়গায় মুরগী বিক্রি করার অপরাধে ৫৩ধারায় জাহাঙ্গীর আলমকে ২শ টাকা ও একই ধারায় মিষ্টি বিক্রেতা আ: ছালামকে ২শ টাকা সহ সর্বমোট ১ হাজার চারশটাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকসানা মিতা কার্পাসডাঙ্গা বাজারে ঘুরে ঘুরে প্রত্যেক মুদি ও কাচামাল ব্যবসায়ীদের মূল্যতালিকা ছাড়া কোনো মালামাল বিক্রি ও রশিদ ছাড়া কোনো মালামাল কেনা যাবে না বলে সতর্ক করেন।

এছাড়াও তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন অধিক লাভের আশায় কোন মালের কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করা যাবেনা। আমাদের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাজার মনিটারিং করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা বাজার দোকান মালিক মালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর রাসেল সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান কচি এবং বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক’রা। অভিযানে সহযোগিতা করে দামুড়হুদা মডেল থানা-পুলিশের একটি দল।




কোটচাঁদপুরে প্রতারকের হাত থেকে রেহাই পেতে ভুক্তভোগী গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলন 

প্রতারক মাসুদ রানা পারভেজের হাত থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার কোটচাঁদপুরের বহিরগাছি গ্রামের সমাজ কল্যান ভবনে এ সম্মেলন করেন তারা। গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই গ্রামের হাসান তারিখ।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,ওই গ্রামের ভুক্তভোগি রেজাউল করিম,রফিকুল মন্ডল, মামুনুর রশীদ,গোলাম রসুল,আব্দুর রাজ্জাক,মিরাজ হোসেন,সব্দুল মন্ডল,লিমন মন্ডল,ইদু মন্ডল ও পারভেজের চাচা আব্দুর রহমান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন গ্রামের শতাধিক নারী পুরুষ।

হাসান তারিখ বলেন,মাসুদ রানা পারভেজ (৪০)। সে বহিরগাছি গ্রামের ওসমান গনির ছেলে। পারভেজ পিতা-মাতার বড় সন্তান। লেখা -পড়া করা কালীন থেকে সে প্রতারনা শুরু করেন।

ওই সময় এলাকার কিছু মানুষের কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা নিয়ে চলে যান ঢাকায়। ওখানে অনেক দিন গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকেন। এরপর আগের ঘটনাগুলো চাপা পড়ায় কয়েক বছর ধরে সে গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেছেন। ফিরে গেছেন আগের চেহারায়। এলাকায় কোন ঘটনা ঘটলে চাঁদা দাবি করেন পুলিশের ভয় দেখিয়ে। না হয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে।

এবার প্রতারনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরো দুটি হাতিয়ার। সে নিজেকে সাংবাদিক দাবি করেন। আর এর সুবাদে পুলিশের সঙ্গে তাঁর ভাল জানাশোনা। এ ভয়ে এতকিছুর পরও ভুক্তভোগিরা নিশ্চুপ ছিল।

আর এ সব প্রতারনার স্বীকার হয়েছেন,ওই গ্রামের রেজাউল করিম,রফিকুল মন্ডল, মামুনুর রশীদ,গোলাম রসুল,আব্দুর রাজ্জাক,মিরাজ হোসেন,বিকাশ বিশ্বাস, সাকিব হোসন,বাবু,কালিগঞ্জের অনিল বিশ্বাস, অজয় বিশ্বাস ও কোটচাঁদপুরের তালসার গ্রামের ছায়েরা বেগম।

আর সম্প্রতি শিকার হয়েছেন সরকারি কর্মচারি ইকরামূল হক। গাছ কাটার বিষয় নিয়ে চাঁদা দাবি করেন পারভেজ। ওই টাকা না পেয়ে কথা কাটাকাটি হয় তাদের মধ্যে। একপর্যায় তাকে মেরে হাত ভেঙ্গে দেন মাসুদ রানা। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ ও করেছেন ভুক্তভোগী।

এরপর থেকে মুখ খুলতে থাকেন গ্রামবাসী। আয়োজন করেন সংবাদ সম্মেলনের। বিষয়টি নিয়ে মাসুদ রানা পারভেজের চাচা আব্দুর রহমান বলেন,সকল ভাল কাজের সঙ্গে থাকেন ইকরামুল হক নামের ওই ছেলে। তাকেও সে হয়রানি করেছে। মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, সে আমার ভাইপো হলে কি হবে। তার অপকর্মের দায় কে নিবে। আমিও তাঁর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে মাসুদ রানা পারভেজ বলেন,আমি একটা সরকারি গাছ কাটার ব্যাপারে বাধা দিই। এতে করে তারা আমার উপর রাগান্বিত হয়। মারতে যায়। ওই ঘটনায় আমি কাউকে মারিনি।

গ্রামবাসীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,অভিযোগ একজন করতেই পারেন। তবে সেটা তো প্রমানিত হতে হবে।




ব্যাংক হিসাবের পাসওয়ার্ড চুরি করছে নেক্সাস ম্যালওয়্যার

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা ফোন বা ট্যাবলেট কম্পিউটার থেকে গোপনে ব্যবহারকারীর ব্যাংক হিসাবের পাসওয়ার্ড চুরি করছে নেক্সাস ম্যালওয়্যার। ম্যালওয়্যারটি সাধারণত বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ফোন বা ট্যাবলেট কম্পিউটারে প্রবেশ করে। এরপর ব্যবহারকারীরা অনলাইন অর্থ লেনদেনের জন্য হিসাবের (অ্যাকাউন্ট) নাম ও পাসওয়ার্ড লিখলেই সেসব সংগ্রহ করে সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠিয়ে দেয় বলে জানিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্লিফি।

ক্লিফির সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জনপ্রিয় ব্যাংকিং অ্যাপের আদলে তৈরি ভুয়া অ্যাপের মাধ্যমেও ব্যবহারকারীদের ফোন বা ট্যাবলেট কম্পিউটারে প্রবেশ করে নেক্সাস ম্যালওয়্যার। বিভিন্ন ব্যাংকিং অ্যাপের ছদ্মাবরণে তৈরি হওয়ায় ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ম্যালওয়্যারযুক্ত অ্যাপ নামিয়ে থাকেন। এ কারণে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ম্যালওয়্যারটি।

ফোন বা ট্যাবলেট কম্পিউটারসহ বিভিন্ন অ্যাপের দুই স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থাও এড়াতে পারে ম্যালওয়্যারটি। শুধু তা–ই নয়, অনলাইনে অর্থ লেনদেনের সময় ব্যাংকের পাঠানো খুদে বার্তাও মুছে ফেলে। ফলে ব্যবহারকারীদের অজান্তেই অর্থ চুরি করতে পারে সাইবার অপরাধীরা।

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ক্ষতিকর এ ম্যালওয়্যার সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। শুধু প্লে স্টোর বা নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ নামানোরও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ




দামুড়হুদা হাউলীতে টিসিবির পণ্য পাচ্ছে না কার্ডধারীরা

দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য পাচ্ছে না কার্ডধারীরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হয় টিসিবির পণ্য বিতরণ। কিন্তু যাদের নামে টিসিবির কার্ড আছে তারা পাচ্ছে না পণ্য।

সরজমিনে জানাগেছে হাউলী ইউনিয়ন পরিষদে গতকাল টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হয়। বিতরণে কার্ডধারীরা পণ্য না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কার্ড থাকতেও নতুন করে করা হয়েছে টোকন ব্যাবস্থা। টোকন গুলো ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ওয়ার্ডের মেম্বারদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা কার্ডধারীদের কাছে টোকন পৌঁছে দেবে এবং সেই টোকনে পণ্য উঠবে। এরকমই ব্যবস্থা করা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে সব কার্ডধারীদের কাছে নতুন টোকন পৌঁছে না দেওয়ার কারণে এমন উদ্ভটতম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে টিসিবির পণ্য পাচ্ছেনা প্রকৃত কার্ডধারীরা।

হাউলী ইউনিয়নে ২২০৬ জনের নামে টিসিবির কার্ড রয়েছে। কিন্তু প্রায় ৩/৪শো গ্রাহক এই পণ্য পায়নি। খোদ হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের আয়া হাজেরা খাতুন এর নামে টিসিবির কার্ড থাকা সত্বেও সে টোকন পায়নি। ফলে তার কার্ডে এমাসে সে পণ্য তুলতে পারেনি। এতো গেলো এক জনের কথা। ইউনিয়নে এরকম অসংখ্য মানুষ টিসিবির কার্ড থাকা সত্বেও টোকন পাইনি, ফলে পণ্য তুলতে পারেনি তারা। সব কিছুর অডিও ভিডিও রেকর্ড সংরক্ষণ আছে এই প্রতিবেদকের কাছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জৈনক ব্যক্তি বলেন, শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে টোকনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে যাকে ইচ্ছা তাকে টোকন দেওয়া যায়। যাদের নামে টিসিবির কার্ড নেই মূলত তাদেরকেই টোকন দেওয়া হয়েছে। ফলে বঞ্চিত হচ্ছে টিসিবির প্রকৃত কার্ডধারীরা। একজন ব্যক্তির চার পাঁচটা কার্ডের পণ্য তুলতে দেখা গেছে। এমন অসংখ্য ব্যক্তি একাধিক কার্ডের পণ্য তুলেছেন। এতে কার্ডের সুষমবন্টন হচ্ছে না। ফলে দারিদ্রতা কমছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি মহৎ উদ্যোগ এই টিসিবির পণ্য বিতরণ। কিন্তু সরকারের কোটি কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য টিসিবির প্রকল্পের লক্ষ্য ব্যাহত হচ্ছে। এবিষয়ে অতি দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।

এবিষয়ে ট্যাগ অফিসার আতিকুর রহমান বলেন, যে টোকন জমা দিচ্ছে তাকে মাল দেওয়া হচ্ছে। আমার মাল বুঝ করে দেওয়ার দায়িত্ব। ইউনিয়নের ২২০৬ জনের টোকনের বিপরিতে মাল দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, শুনেছি কেউ কেউ নাকি টোকন পায়নি। যার যার ওয়ার্ডের টোকন সেই সেই মেম্বারের কাছে বুঝ করে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে যাতে টিসিবির প্রকৃত কার্ডধারীরা শতভাগ পণ্য নিতে পারেন সেই রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এবিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা বলেন, টিসিবির প্রকৃত কার্ডধারীরা যদি পণ্য না পায় তাহলে সরজমিনে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। টিসিবির কার্ড নিয়ে কোনরকম অনিয়ম মেনে নেওয়া হবেনা। সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




হাসারাঙ্গাকে সরিয়ে শীর্ষে ফিরলেন রশিদ

শ্রীলঙ্কার স্পিনার হাসারাঙ্গা ডি সিলভাকে সরিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি বোলিং র‍্যাংকিং তালিকার শীর্ষে ফিরলেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক ও স্পিনার রশিদ খান। গতবছর নভেম্বরের পর আবারও শীর্ষে উঠলেন রশিদ।

সদ্য শেষ হওয়া পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩ উইকেট শিকারে ৭১০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টি-টোয়েন্টি বোলিং র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষে ফিরেন রশিদ। ৬৯৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে নেমে গেছেন হাসারাঙ্গা।

২০১৫ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠেছিলেন রশিদ।

নতুন প্রকাশিত র‍্যাংকিংয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের তালিকার শীর্ষে আছেন ভারতের সূর্যকুমার যাদব এবং অলরাউন্ডারদের তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে সবজির দাম দ্বিগুণ, করলা ও বেগুনে সেঞ্চুরি!

রমজানে ইফতারীর অন্যতম অনুসঙ্গ বেগুনি। আর এটি ছাড়া ইফতার যেন বেমানান। তাই সবজি ব্যবসায়িরাও রমজান মাসটিকে বেশ আশীর্বাদ মনে করে। তবে বেগুন ব্যবসায়িদের জন্য আশীর্বাদ হলেও রমজানে বেগুন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রেতা সাধারনের কাছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে ব্যবসায়িরা বেগুনের দাম হাফ সেঞ্চুরি থেকে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। করলার দাম এখন ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। অন্যান্য সবজির দাম ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা বাড়লেও বেগুনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে জ্যামিতিক হারে। ব্যবসায়িরা বলছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অপ্রতুল তাই দাম বেড়েছে। বাজার মনিটরিংয়ের দাবী ক্রেতা সাধারণের। বেশি দামে কেউ পন্য বিক্রি করলে প্রশাসন আইনী ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেও বিক্রেতারা তাদেও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

রমজানের ৫ম দিন(২৮মার্চ)মঙ্গলবার মেহেরপুরের সবচেয়ে বড় বাজার গাংনীর বাজাওে গিয়ে দেখা গেছে, রমজানের আগের বেগুন ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, করলা ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা,গাজর ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা , শসা ৫৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা, লেবু ২৫ টাকা হালি থেকে বেড়ে ৪৫ টাকা, কলা এক হালি ২৫ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা আর ঢেঁড়স ৮০ টাকা । ক্রেতারা বলছেন কয়েকদিনের ব্যবধানে সবজির আকাশ চুম্বী দাম। এতে বাজারের আগুণে পুড়ছে ক্রেতাদের পকেট।

গাংনী তহবাজার ও ঐতিহ্যবাহী ব্যবসা কেন্দ্র বামন্দী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইফতারী পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। কয়েকদিনের ব্যবধানে কিছু কিছু পন্যের দ্বিগুণ দাম বেড়েছে। আবার কোনটা বেড়েছে অর্ধেক। তবে করলা, বেগুণ ও শসা খিরার দামে ক্রেতারা দিশেহারা। বেগুন ১০০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, শসা ৭৫ টাকা কেজি দরে, লেবু এক হালি ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, পাকা কলা এক হালি ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা, ঢেড়স ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজারের চিত্রও পাল্টেছে রমজানের ব্যবধানে। গাংনীর কয়েকটি বাজারে দেখা গেছে খাসির গোস্ত ৮০০ টাকা ৮৫০ টাকা, গরু ৬৫০টাকা, ব্রয়লার ২৫০ টাকা, সোনালী ৩৩০ টাকা, দেশি ৫৫০ টাকা। মঙ্গলবার সকালে দেখা গেছে, খাসি ৮৫০ টাকা, গরু ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, ব্রয়লার ২৫০ টাকা থেকে ২৭০ টাকা, সোনালী ৩৫০ টাকা আর দেশি মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৫০০টাকা থেকে ৫৫০ টাকা কেজি।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্যও বেড়েছে। ছোলার দাম ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা, চিনি ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য জিনিসের মুল্য রয়েছে অপরিবর্তীত।

মাঠ পর্যায়ের কৃষক ও বাজারে ক্রেতা সাধারণের সাথে আলাপকালে তারা জানান, প্রতি রমজানে ব্যবসায়িরা সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করে। এবার নিত্য পণ্যের দাম কিছুটা স্থীতিশীল হলেও সবজি ব্যবসায়িদের পোয়া বারো। তারা এক সপ্তাহ আগে থেকেই কৃষকদের কাছ থেকে অগ্রীম টাকা দিয়ে বেগুন শসা খিরাসহ অন্যান্য সবজি কিনে রেখেছে। এখন সুযোগ বুঝে অতিরিক্ত দাম হাঁকছেন। এ সময় বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী।

গাংনী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ি মকলেচুর রহমান জানান, রমজান মাসে অন্যান্যবার দাম বাড়লেও এবার নিত্যপণ্যের বাজার স্থীতিশীল। ছোলার দামটা ১০/১৫ টাকা বাড়তি। তবে সবজির দামটা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে যা ক্রেতা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।

স্থানীয় সবজি ব্যবসায়িরা বলছেন, প্রতিবারই রমজান মাস আসলে ইফতারী পণ্যের সংকট দেখা দেয়। বিশেষ করে বেগুন শসা খিরা ও করলা এগুলো যেন সোনার হরিণ। চাষিরা ক্ষেত থেকে তুলে এনে আড়ৎ কিংবা ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করলে খুচরা বাজারে দাম কম থাকে। কিন্তু এ সময়টাতে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়িরা সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে চড়া দামে এসব সবজি কিনে নেয়ায় স্থানীয়ভাবেও দাম বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহ আগেও খুচরা বাজারে বেগুন বিক্রি হতো মাত্র ২০/২৫ টাকা কেজি। কিন্ত্র এখন আর আগের মতো বেগুন পাওয়া যাচ্ছে না তাই দামও আগুণের মতো। রমজানে করলার তরকারি বেশি জনপ্রিয় হওয়ায় তার দামও বেড়েছে দ্বিগুনেরও বেশি।

সবজি ক্রেতা,মাসুম,শামিম,ও মজনুর রহমান জানান, রমজানের আগে আমাদের স্থানীয় বাজারে দুএকশ

টাকার সবজি কিনলে ব্যাগ ভর্তি হয়ে যেত। যা আমাদের পরিবারের এক সপ্তাহের সবজির চাহিদা পুর্ণ হতো। রমজানের প্রথম দিন থেকে ৫০০ টাকার সবজি কিনেও ব্যাগ ভর্তি হচ্ছেনা। সবজির দামে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। প্রশাসনের লোকেরা বাজার মনিটরিং করতে আসছে ঠিকই কিন্তু সবজির দামতো আর সরকার নির্ধারিত না। যার কোন মুল্য তালিতা টানানো নেই। ব্যবসায়ীরা যা বলছেন তা দিয়েই আমাদের কিনে খেতে হচ্ছে। যা করেই হোক সংসারের চাহিদা মেটাতেই হবে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দীকা সেতু জানান, রমজান শুরুর পরপর বাজার মনিটরিং শুরু করা হয়েছে। ব্যবসায়িদের সাথে কথা বলা হয়েছে। বেশি দামে পন্য বিক্রি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে মর্মে সতর্ক করা হয়েছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হবে এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।