বৃষ্টির মধ্যেই সড়কে কার্পেটিংয়ের কাজ করার অভিযোগ

বৃষ্টির মধ্যেই সড়কে কার্পেটিংয়ের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদিন কোটচাঁদপুরের রামচন্দ্রপুর সিঙ্গিয়া সড়কে এ কাজ করেন প্রতিষ্ঠানটি। এক বছরের সিকিউরিটি আছে, সড়ক নস্ট হয়ে গেলে মেরামত করে দেয়া হবে বললেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মিরাজুল হাকিম।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর এন্ড রিজিওনাল এনহ্যান্সমেন্ট প্রোগ্রাম উইকেয়ার ফেস-১ প্রকল্পের আওতায় ঝিনাইদহে ৮৪.৯৯ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এর অধীনে কোটচাঁদপুরেও সড়ক ও মার্কেট নির্মানের কাজ এগিয়ে চলেছে। কাজটি যৌথভাবে করছেন রানা বিল্ডার্স ও মিজানুর রহমান নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

গেল ১৮ জানুয়ারি ২০২৪ সালে কাজটি শুরু হয়। যা সম্পন্ন হবে ১৮ জানুয়ারি ২০২৬ সালে। এর তদারকিতে আছেন কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদিন ছিল বৃষ্টির দিন। ওই বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করেন বলুহর ইউপি অফিস, গোবিন্দপুর বাজার সড়ক ভায়া রামচন্দ্রপুর সিঙ্গিয়া,সড়কে। যা আইডি নাম্বার – ২৪৪৪৪২৩০০৯।

খবর পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলী কাজ বন্ধ করতে লিখিত ভাবে জানান প্রতিষ্টানটিকে। এরপরও বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে ওই সড়কের কাজ করেন তারা।

সিঙ্গিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম, মমরেজ মন্ডল ও আতিয়ার রহমান বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদিনই ছিল বৃষ্টি। ওই বৃষ্টির মধ্যেই দেখলাম বড় বড় ট্র্যাকে পিচ ও মেটেরিয়াল আসছে। এরপর দেখলাম বৃষ্টির মধ্যেই তারা কাজ করছেন। আপনারা বাধা দেননি, এমন প্রশ্নে তারা বলেন, আমরা গ্রামের উমি মানুষ। এ কাজ সম্পর্কে কি জানি, আর বলেই বা কি হবে। তাদের কাজ তারা করেই যাবেন। গ্রামবাসী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তাটি নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এ জন্য অনেক কিছু জানার পরও গ্রামের মানুষ প্রতিবাদ করেনি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মিরাজুল হাকিম বলেন, ১১ টার সময় মেটেরিয়াল সড়কে চলে আসে। আর বৃষ্টির সময় আমরা কাজ বন্ধ রেখে ছিলাম। বৃষ্টির পর পানি পরিস্কার করে,মেশিন দিয়ে ব্যাচমেন্ট শুকিয়ে কাজ করা হয়েছে। বৃষ্টি মধ্যে কাজ করা ঠিক হচ্ছে কি, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বৃষ্টির মধ্যে কাজ করলে কোন সমস্যা নাই। এছাড়া এক বছরের সিকিউরিটি আছে, সড়ক নষ্ট হয়ে গেলে মেরামত করে দেয়া হবে।

প্রজেক্ট ম্যানেজার শামসুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির পানি বেশি হলে সমস্যা হয়। বেশি বৃষ্টি তো হয়নি। এরপরও যদি রাস্তার সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে রাস্তা আবারও করে দেয়া হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদিনই বৃষ্টি হচ্ছিল। এই বৈরী আবহাওয়া মধ্যে কাজ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে লিখিত ভাবে নিশেধ করা হয়। এরপরও তারা কোন কথা না শুনে বৃষ্টির মধ্যেই ওই সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিবেন কি, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঘটনাটি উদ্ধোতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যা ব্যবস্থা নেবার ওনারা নিবেন।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মোবাইল যোগাযোগ করা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম সঙ্গে। তবে ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।




হরিণাকুণ্ডুতে সরকারি জমি দখল!

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার টাওয়ার পাড়া এলাকায় সরকারি ৯৬ শতক জমি জাল দলিলের মাধ্যমে দখল করে নিয়েছে একটি প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্র। অভিযোগ রয়েছে, মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে শিমুল হোসেন ও তার সহযোগীরা এ জমি দখল করে নিয়েছেন।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, হরিণাকুকুণ্ডু মৌজার ১০৯ ও ৮১ নম্বর খতিয়ানের ৯২২ নম্বর দাগে অবস্থিত ওই জমির মধ্যে ৫২ শতক জায়গায় একসময় একটি দাতব্য চিকিৎসালয় পরিচালিত হতো। স্থানীয় প্রবীণদের মতে, ১৯৯০ সালের আগে পর্যন্ত সরকারি চিকিৎসক সেখানে বসতেন এবং এলাকাবাসীকে চিকিৎসা সেবা দিতেন।

পরে উপজেলা সদরে নতুন হাসপাতাল স্থাপিত হলে পুরনো ভবনটি বন্ধ হয়ে যায় এবং তা জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ১৯৯০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের এক সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত হয়, পরিত্যক্ত ওই ভবনটি হরিণাকুন্ডু লালন শাহ কলেজের ছাত্রাবাস হিসেবে ব্যবহৃত হবে। সেখানে একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সভায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসিল্যান্ডসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কয়েক বছর কলেজ শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাস হিসেবে ভবনটি ব্যবহারও করেছেন। তবে পরবর্তীতে ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।

এমন পরিস্থিতিতে অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বদর আলী নামের এক ব্যক্তি ওই জমির ওপর নজর দেন এবং জাল দলিল তৈরি করে জমিটির মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বদর আলীর মৃত্যুর পর মামলা চালান তার ছেলে আফজাল হোসেন। পরে তার মৃত্যুতেও মামলা চালিয়ে যাচ্ছেন আফজালের ছেলে শিমুল হোসেন। আদালতের একতরফা রায় দেখিয়ে বর্তমানে তারা জমিটি দখলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, যেখানে সবার চোখের সামনে সরকারি চিকিৎসালয় ও কলেজের ছাত্রাবাস পরিচালিত হয়েছে, সেখানে হঠাৎ করে কেউ কাগজ দেখিয়ে ব্যক্তিমালিকানা দাবি করতে পারে এটা অবিশ্বাস্য।

স্থানীয় মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা নিজের চোখে দেখেছি এখানে চিকিৎসক বসতেন, রোগী দেখা হতো। পরে কলেজ ছাত্ররা থেকেছে। এখন কেউ কাগজ দেখিয়ে বলছে এটা তাদের জমি, এটা কীভাবে সম্ভব?”

শফি উদ্দিন নামে আরেকজন বলেন, “হাসপাতাল চলে যাওয়ার পর ভবনটি হোস্টেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এখনও দালানের দরজায় ‘কলেজ হোস্টেল’ লেখা রয়েছে। তাহলে এই সম্পত্তি তাদের হলো কীভাবে? সরকার পরিবর্তনের সুযোগে তারা ভুয়া কাগজ দিয়ে আদালতে নিজেদের পক্ষে রায় নিয়েছে। এখন জমি দখল করে নিয়েছে।”

মেহের আলী নামের একজন বাসিন্দা বলেন, “পুরনো সিএস রেকর্ডে অমূল্য কুমার জোয়াদার নামে এক ব্যক্তির নাম রয়েছে। আর নতুন আরএস রেকর্ডে জমিটি কলেজের হোস্টেল ও ডোবা হিসেবে উল্লেখ আছে। যাদের নামে কোনো রেকর্ড নেই, তারাই এখন বলে জমি কিনেছে! যদি কিনেই থাকে, তাহলে রেকর্ডে তাদের নাম নেই কেন? আমরা চাই সরকারি সম্পত্তি সরকারের দখলেই থাকুক।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিমুল হোসেন বলেন, “আমাদের সকল বৈধ কাগজ আছে বলেই তো আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে।” তবে তাদের কাছে দলিল দেখতে চাইলে বলেন, দলিল আদালতে জমা আছে। কোন ফটোকপিও তাদের কাছে নেই।

জমির বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুন্ডু সরকারি লালন শাহ কলেজের অধ্যক্ষ মো. শরিফুজ্জামান বলেন, “বিষয়টি জানার পর কলেজের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। এ নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে।”




মেহেরপুরে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকীতে খাবার বিতরণ

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে গরিব, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) বিকেল ৩টায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানবিক এ উদ্যোগের নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান। খাবার বিতরণকালে তিনি বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অগ্রপথিক। তিনি দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা গরিব-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এভাবেই শহীদ জিয়ার আদর্শকে সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে।”

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইলিয়াস হোসেন, আলমগীর খান ছাতু, ওমর ফারুক, রোমানা আহমেদ, পেশাজীবী আহ্বায়ক নাজমুল হক লিটন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি,র সভাপতি আব্দুল সামাদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি ইয়ারুল হোসেনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

বক্তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার আত্মত্যাগ ও অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং তার রেখে যাওয়া আদর্শকে অনুসরণ করে দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠান শেষে শতাধিক অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। দিনব্যাপী চলা এ কার্যক্রমে বিএনপি’র তৃণমূল পর্যায়ের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।




মুজিবনগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান-এর ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন

মুজিবনগরে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা, শোক পতাকা, আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল এবং দুস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করা হয়েছে।

মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি’র আয়োজনে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭ টার সময় উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয় প্রাঙ্গনে, জাতীয়, দলীয় এবং শোক পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা করা হয়।

পতাকা উত্তোলন শেষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর আত্মার মাগফেরাত এবং বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল শেষে এলাকার অসহায় ও দুস্থ মহিলা-পুরুষদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে পতাকা উত্তোলন ও বস্ত্র বিতরণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাগোয়ান ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম আলী, মোনাখালি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি রায়হান কবির, সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান টুটুল, দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহ্বায়ক সালাউদ্দিন প্রিন্স, মুজিবনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনোয়ারুল ইসলাম, মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আহনাফ লিংকনসহ মুজিবনগর উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল কৃষকদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীবৃন্দ।




১২ বছর পর শনিবার অনার্স ভর্তি পরীক্ষা, অংশ নেবে ১০৬৩ পরীক্ষার্থী

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪-২০২৫ শুরু হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ ১২ বছর পর এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

আগামী ৩১ মে সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রেও এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

মেহেরপুর জেলার একমাত্র কেন্দ্র হিসেবে মেহেরপুর সরকারি কলেজে মুজিবনগর ডিগ্রি কলেজ, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ এবং গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজসহ জেলার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা এখানে অংশ নেবে। এ কেন্দ্রে মোট ১,০৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।

পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত, তবে পরীক্ষার্থীদের এক ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

প্রস্তুতির বিষয়ে মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এ কে এম নজরুল কবীর বলেন, “আমরা ১০০% প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। সিট প্ল্যান, কক্ষ বিন্যাস, প্রশাসনিক কার্যক্রম সব কিছুই শেষ হয়েছে। দীর্ঘ ১২ বছর পর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় এটি আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তবে আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।”

তিনি আরও বলেন, “এই ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা কোয়ালিটি স্টুডেন্ট বাছাইয়ের সুযোগ পাব, যা ভবিষ্যতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। যদি এই ভর্তি পরীক্ষার ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে তা আমাদের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

৩১ মে সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এই ভর্তি পরীক্ষা যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে।




মেহেরপুর সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেছেন, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট, জনবল সঙ্কট রয়েছেে এবং একই চিত্র সারা বাংলাদেশেরই। বিদ্যমান অবস্থায় সমন্বিত চেষ্টায় যাতে স্থানীয়রা ভালো চিকিৎসসেবা পান এ লক্ষ্যে আমি সকলের সাথে কথা বলেছি। আমি চাই হাসপাতালে পরিবেশটা অন্ততপক্ষে সুন্দর থাক । কারণ হাসপাতালে পরিবেশ সুন্দর না থাকলে একজন রোগীর সাথে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়বে।

আজ শুক্রবার (৩০ মে) সকালে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মনির হায়দার বলেন, “সরকারের লক্ষ্য হলো প্রতিটি মানুষ যেন স্থানীয় পর্যায়ে উন্নত চিকিৎসাসেবা পায়। এই পরিদর্শনের মাধ্যমে হাসপাতালের সেবার মান উন্নয়নের প্রয়োজনীয় দিকগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। এখানে যারা কর্তৃপক্ষ আছে তাদের সাথে কথা বলেছি তাদেরকে হাসপাতালের পরিবেশ টা যেন সুন্দর থাকে এবং সুইপারদেরকে নিয়মিত দিনে একবার যেন আবর্জনা গুলো ফেলে দেয় সেগুলোর ব্যপারে কথা হয়েছে। তাহলে কিছুটা পরিবেশ সুন্দর হবে। এটি পৌরসভার কাজ এই হাসপাতালে মাত্র দুইজন সুইপার নিয়োজিত। এই দুইজনের পক্ষে এত বড় একটি হাসপাতাল পরিষ্কার করা সম্ভব না । আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে এই সংকট দূর করা যায়। আমি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেছি এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কিভাবে তারা সমন্বিত প্রচেষ্টায় পরিবেশ সুন্দর রাখার কাজটি চালিয়ে যেতে পারে সেটা যেন করে।

খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ আহমেদ, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, পুলিশ সুপার মাকসুদা খানম, সিভিল সার্জন এ.কে.এম. আবু সাঈদ এবং হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শাহরিয়া শায়লা জাহান পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি হাসপাতালের বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, ওয়ার্ডসমূহ, ওষুধ বিতরণ কেন্দ্র এবং রোগীদের অবস্থা ঘুরে দেখেন। রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সেবার অভিজ্ঞতা জানেন এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা নেন।




মহেশপুরে ইউএনও’র গাড়ির সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষ

ঝিনাইদহের মহেশপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি গাড়ির সঙ্গে যাত্রীবাহী একটি বাসের সংঘর্ষে গাড়িচালক আহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মহেশপুর উপজেলার বারোমাসি ব্রিজের পাশে কালিগঞ্জ -জীবননগর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউএনও খাদিজা আক্তারের ব্যবহৃত সরকারি গাড়িটি সার্ভিসিংয়ের জন্য কোটচাঁদপুরের দিকে যাচ্ছিল। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন এসিল্যান্ডের ড্রাইভার শাওন হোসেন। বারোমাসি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা শাপলা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে গাড়িটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ইউএনও’র গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং চালক শাওন হোসেন আহত হন।

খবর পেয়ে কোটচাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর জানান, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। বাসটিকে আটক করা হয়েছে।’ এই ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি।




ঈদে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মেহেরপুরে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

মেহেরপুরে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে জেলার পশু হাটের ইজারাদার, ব্যাংক কর্মকর্তা ও এজেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা করেছেন পুলিশ সুপার।

আজ বৃহস্পতিবার দুুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলার পুলিশ সুপার জনাব মাকসুদা আকতার খানম, পিপিএম।

সভায় আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহার পশুর হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধা-অসুবিধা ও যানজট নিরসন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় আগত অতিথিরা তাদের বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধার কথা পুলিশ সুপারকে জানান।

পুলিশ সুপার বলেন, আসন্ন ঈদ ও পশুর হাটের জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ হতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হাটে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জাল টাকা সনাক্তকরণে মেশিন এর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান। যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অধিক সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান।

মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জামিনুর রহমান খানসহ সকল থানার ওসি, ডিবি ওসি, টিআইসহ আগত পশু হাটের ইজারাদার ও ব্যাংক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।




তহশিলদার জাকিরের পকেট থেকে ঘুষের ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান চালিয়েছে।

অভিযানকালে উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) জাকির হোসেনের পকেট থেকে ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, যা ঘুষের অর্থ বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে দুদক।

এই অভিযানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্ত কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি দুদক কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

দুদক জানায়, বেলা ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযান পরিচালনা করেন দুদক কুষ্টিয়া সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বুলবুল হাসান রিয়াদ। তার সঙ্গে ছিলেন উপসহকারী পরিচালক সাইদুর রহমানসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা।

অভিযানের বিষয়ে সহকারী পরিচালক বুলবুল হাসান বলেন, “আমরা যথাযথ পরিচয়পত্র দেখিয়ে সরকারি দায়িত্ব পালনের জন্য অফিসে প্রবেশ করি। কিন্তু সহকারী কমিশনার (ভূমি) অহেতুক প্রশ্ন করে আমাদের কার্যক্রমে বারবার বাধা দেন। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্ব ছিল আমাদের সহযোগিতা করা, কিন্তু তিনি উল্টো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা জাকির হোসেনের দেহ তল্লাশি করে বিভিন্ন পকেট থেকে থোকায় থোকায় ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এটি বিভিন্ন জনের কাছ থেকে নেওয়া ঘুষের টাকা বলে আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি।”

সাহারবাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ঘুষ বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। নামজারি, জমাভাগ বা খাজনা দিতে গেলেই ঘুষ দিতে হয়, নইলে কাজ এগোয় না।

এক ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “জমির নামজারি করতে গিয়ে একাধিকবার যেতে হয়েছে। ফাইল এক চুলও নড়ে না, যতক্ষণ না টাকা দেওয়া হয়।”

এক নারী অভিযোগ করে বলেন, “ভূমি অফিসে গেলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ শুধু হয়রানির শিকার হয়। ২০০ টাকার কাজ করতে গিয়ে ২ হাজার টাকা দিতে হয়। আমরা বিচার চাই।”

অভিযানের সময় অভিযুক্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গাংনী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন বলেন, “আমি শুধু দুদক কর্মকর্তাদের পরিচয় নিশ্চিত হতে তাদের আইডি দেখতে চেয়েছিলাম। যেহেতু অফিসে কোনো লিখিত অভিযোগ ছিল না, তাই জানতে চেয়েছিলাম—৩৬ হাজার টাকা কেন জব্দ করা হলো।”

তবে দুদক কর্মকর্তারা জানান, “অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযান পরিচালিত হয়েছে এবং দেহ তল্লাশিতে ঘুষের টাকাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ধরা পড়েছেন।”

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, “দুদক যদি অভিযানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণসহ আমাদের কাছে উপস্থাপন করে, তাহলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন প্রশাসনে পাঠানো হবে। প্রাথমিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”




মুজিবনগরে জমির দখল নিতে রাতে কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মানিকনগর গ্রামে জমির দখল নিতে রাতে ১২ কাঠা জমির প্রায় ২৫০টি কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফরজ আলী ও আরোজ আলী নামের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) মানিকনগর গ্রামের মৃত এরশাদ আলীর ছেলে সাত্তক আলী মুজিবনগর থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে সাত্তক আলী জানান, বুধবার (২৮ মে) ফরজ আলী ও আরোজ আলী বল্লভপুর মৌজার এস.এ ৭৪৭ নং দাগভুক্ত ১ একর ৩৪ শতক জমি জোরপূর্বক মাপজোক করে দখল করেন। তিনি ও তার ছোট ভাই সাদেক এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা অস্ত্র দেখিয়ে খুন ও জখমের হুমকি দেন। পরিস্থিতি খারাপ দেখে তারা ঘটনাস্থল থেকে সরে আসেন।

সাত্তক আলীর দাবি, উক্ত জমিতে তার প্রায় ১৫০০টি কলাগাছ ছিল। রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ২৫০টি কলাগাছ কেটে ফেলায় তার প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবাদ জানাতে গেলে অভিযুক্তরা পুনরায় প্রাণনাশের হুমকি দেন।

সংবাদকর্মী সরেজমিনে গিয়ে দেখেন, মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সের মসজিদের পেছনে প্রায় ১২ কাঠা জমির কলাগাছ গোড়া থেকে কেটে ফেলে রাখা হয়েছে।

অভিযুক্ত ফরজ আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি সরকারি চাকরিজীবী, বর্তমানে বান্দরবানে কর্মরত। কলাগাছ কাটার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। উল্টো তারা আমাদের জমি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে। জমির খারিজ-খাজনা আমাদের নামে। সম্প্রতি জমি মাপজোক করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রমাণিত হয়েছে জমিটি আমাদের। সিদ্ধান্ত হয়, তারা দুই বছর ধরে জমি ব্যবহার করায় ফসলের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দুই লক্ষ টাকা দিতে হবে এবং তা নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখে দিতে হবে। কিন্তু টাকা না দিয়ে উল্টো নিজেরা গাছ কেটে আমাদের নামে দোষ চাপাচ্ছে। আমি যেহেতু দূরে আছি, সেখানে গিয়ে গাছ কাটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”

এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “সাত্তক আলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”