মাইক্রোসফটের নিজস্ব গেমস স্টোর তৈরির পরিকল্পনা

আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের জন্য একটি মোবাইল গেমস অ্যাপ স্টোর তৈরি করছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। আগামী বছরের শুরুর দিকে এই স্টোর উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাইক্রোসফট ইতিমধ্যে ভিডিও গেম কোম্পানি অ্যাকটিভিশন ব্লিজার্ড কিনে নিচ্ছে। মাইক্রোসফটের সাড়ে সাত হাজার কোটি (৭৫ বিলিয়ন) ডলারের অ্যাকটিভিশন ব্লিজার্ড অধিগ্রহণ এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে মাইক্রোসফটের গেমিং প্রধান ফিল স্পেনসার বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ডিজিটাল মার্কেট অ্যাক্ট (ডিএমএ) ২০২৪ সালের মার্চে কার্যকর হবে। এই আইন মাইক্রোসফটের মোবাইল অ্যাপ স্টোর তৈরির লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। অ্যাপল ও গুগলকে ডিএমএ অনুরোধ করবে তাদের সিস্টেম উন্মুক্ত করে আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ফোনে মাইক্রোসফটের অ্যাপ স্টোরকে জায়গা দিতে।

ফিল স্পেনসার বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো মানুষ খেলতে চায়, এমন যেকোনো পর্দায় আমাদের তৃতীয় পক্ষের অংশীদারদের কাছ থেকে এক্সবক্স ও আধেয় (কনটেন্ট) সরবরাহ করা। আমরা মুঠোফোনে এখন তা করতে পারি না। কিন্তু আমরা এমন একটা বিশ্বের দিকে যেতে চাই, যেখানে সেটা করা সম্ভব হবে। আমরা মনে করি, সামনের দিনে তা হবে।’

যদিও যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রকেরা অ্যাকটিভিশন ব্লিজার্ডকে মাইক্রোসফটের অধিগ্রহণের ফলে এই বাজারে প্রতিযোগিতায় যে প্রভাব পড়বে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ফলে মাইক্রোসফট বর্তমানে এই নিয়ন্ত্রকদের মোকাবিলা করছে।

এই ব্যাপারে ফিল স্পেনসারের অভিমত হলো, মাইক্রোসফটের এই অধিগ্রহণ গেমিংয়ে প্রভাবশালী প্ল্যাটফর্মে বরং প্রতিযোগিতা বাড়াবে।

সূত্র: লাইভ মিন্ট ডটকম




 ব্রাজিলকে হারাল মরক্কো

কাতার বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় চমক দেখানো মরক্কো এবার ২-১ গোলে হারাল পাঁঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে।

রোববার (২৬ মার্চ) ভোর ৪টায় তাঞ্জিয়ারে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয় দু’দল। এই ম্যাচ উপলক্ষ্যে তরুণ নির্ভর দল ঘোষণা করে ব্রাজিলের অভ্যন্তরীণ কোচ র‌্যামন মেনেজেস।

এরপরই তিনি বিশ্বকাপ দলের অনেককে বাদ দিয়ে দল গড়ায় সমালোচনার ‍মুখে পড়েন। টানা দুই বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায় নিয়ে কাতার থেকে দেশে ফিরেই পদত্যাগ করেন দলটির কোচ তিতে।

এর আগেই পুরো মৌসুমের জন্য ছিটকে গেছেন নেইমার। ইনজুরির কারণে নেই দলের নিয়মিত অধিনায়ক ডি সিলভা। নতুন দলে রাখা হয়নি সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মে থাকা বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া, আর্সেনালের গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি ও মিডফিল্ডার ব্রুনো গুইমারেস। তবুও ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ভালো ফলের আশা নিয়েই নতুন শুরু করতে চেয়েছিল।

আরেকটা কারণেও মরক্কোর বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল বিশেষ। কিংবদন্তি পেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম ব্রাজিলের মাঠে নামা। ম্যাচের শুরুতে তাই পেলেকে স্মরণ এবং প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জার্সির পেছনেও ছিল ফুটবল-রাজার নাম। এসব উপলক্ষ্যও যেন ব্রাজিলকে উজ্জীবিত করতে পারেনি!

ম্যাচের শুরু থেকেই তুলনামূলক বেশি গতিসম্পন্ন ছিল মরক্কো। ব্রাজিলিয়ানদের থেকে বল কেড়ে নিয়ে দ্রুতই তারা আক্রমণে উঠছিল বারবার। ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করে ব্রাজিল। ১৩ মিনিটে লুকাস পাকুয়েতার থ্রু বল পেয়ে কাছ থেকেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি রনি।

মিনিট দশেক পর মরক্কো গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনুর ভুলে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল ব্রাজিল। আন্দ্রে সান্তোসের শট এগিয়ে আসা বুনুর হাত ফসকে পেছনে গোলমুখের দিকে চলে যাচ্ছিল। শেষমুহূর্তে পেছনে গিয়ে বল নিয়ন্ত্রনে নেন তিনি। এর দুই মিনিট পরই অবশ্য বল জালে পাঠান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। তবে আক্রমণ তৈরির সময় অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হয়।

২৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে এগিয়ে যায় মরক্কো। বিলাল এল খাননুসের কাছ থেকে বল নিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন বুফাল। ৩৬ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ ছিল রদ্রিগোর সামনে। নেইমারের অনুপস্থিতিতে দশ নম্বর জার্সি পরা এই ফরোয়ার্ড শট লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন।

২-১ গোলে হারের একরাশ হতাশা নিয়েই শেষপর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয়েছে সেলেসাওদের। অধিনায়ক ক্যাসেমিরো এবং ভারপ্রাপ্ত কোচ মেনেজেসের আপাত অধ্যায়টাও শুরু হল বিবর্ণতায়।

কাতার বিশ্বকাপে আফ্রিকার দেশ হিসেবে প্রথমবারের মতো মরক্কো নকআউট পর্বে ওঠে। শুধু তাই নয়, সেমিফাইনাল পর্যন্ত ওঠার যাত্রাপথে তারা বেলজিয়াম, স্পেন ও পর্তুগালের মতো দেশকে হারায়।

যার মাধ্যমে তারা ফুটবল বিশ্বের নতুন জায়ান্ট দল গড়ারই ইঙ্গিত দেয়। অন্যদিকে, বিশ্বকাপে হতাশাজনক বিদায়ের ঘোর এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাঁঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। বিশ্বকাপের পর প্রথমবার মাঠে নেমেও তারা মরক্কোর কাছে হোঁঁচট খেয়েছে।

সূত্র: যুগান্তর




গাংনীর ওসির ওপর বেআইনি ক্ষোভ ঝাড়লেন উপজেলা চেয়ারম্যান

একটি ট্র্রাক উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশি সহায়তা না পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের ওপর বেআইনি ক্ষোভ ঝাড়লেন গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক।

গতকাল শনিবার বেলা ১১ টার দিকে ২৫মার্চ আলোচনা সভা শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে দাঁড়িয়ে গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাককে উদ্দেশ্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তবে ওসি আব্দুর রাজ্জাক ট্রাক উদ্ধারের বিষয়টি আইনি জটিলতায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে দাবী করে জানান, ট্রাকের বিষয়ে আদালতে মামলা রযেছে। আদালত পর্যন্ত যে বিষয়টি গড়িয়ে যায় সেই বিষয়টি আদালত সুরাহা না দেয়া পর্যন্ত পুলিশের কিছুই করা থাকেনা।

গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক জানান, তার নিজ নামীয় একটি ১০ চাকা বিশিষ্ট ট্রাক যার রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ঝিনাইদাহ ট-১১-১২-৮১। খলিশাকুন্ডি গ্রামের হাজি আবুল হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেনের কাছে ৩০,২৪,০০০ টাকা মুল্য নির্ধারন করে ৪৮ কিস্তিতে বিক্রির চুক্তিপত্র করা হয়। প্রতি কিস্তি ৬৩ হাজার টাকা হিসাবে ৩০২৪০০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে এমন শর্ত দেয়া হয় চুক্তিপত্রে।

চুক্তি অনুযায়ী ফারুক হোসেন ৩১ কিস্তির মাধ্যমে ২০,০৩০০হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকী ১০ লক্ষ ২১ হাজার টাকা কিস্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও পরিশোধ করতে না পারায় বাকী কিস্তির টাকা প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা করে পরিশোধ করার নতুন শর্তে আরও একটি চুক্তি নামা সম্পাদন করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী পরপর তিন কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যার্থ হলে দাতা তার মালিকানা ফিরে পাবেন বলেও চুক্তিপত্রে উল্লেখ রয়েছে । ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসের মধ্যে সমস্ত টাকা পরিশোধ করার শর্তে ফারুক হোসেন ট্রাকটি গ্রহন করেন। এবং সমস্ত টাকা পরিশোধ হওয়ার পর ফারুক হসোনে তার নামে কাগজপত্র হস্তান্তর করে নেবেন। অথচ ৩ বছর পার হলেও চুক্তি অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করেনি ফারুক হোসেন। এমনকি আমার সাথে কোন যোগাযোগ রাখেনি। বরং ট্রাকটি চুরি হয়ে গেছে বলে আমাকে লোক মারফত সংবাদ দেয় ফারুক হোসেন।

এবিষয়ে ট্রাকটি উদ্ধারের জন্য গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাকের পরামর্শে আমি গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ করা সত্বেও ট্রাকটি খূঁজে পেতে ব্যার্থ হয় গাংনী থানা পুলিশ। অন্যদিকে আমার লোকজনকে দিয়ে ট্রাকটি খোঁজ করার চেষ্টা করি। অবশেষে গতকাল শুক্রবার ভোর রাতে খোঁজ পাই ট্রাকটি শেরপুরের লালিতাবাড়িতে রয়েছে। আমার লোকজন সেখান থেকে ট্রাকটি উদ্ধার করে খুলিশাকুন্ডি বাজারে নিয়ে আসে। ট্রাকটি পুলিশি সহায়তায় উদ্ধারের দাবী জানালে শনিবার সকালে গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক তার একজন এসআই আতিককে খলিশাকুন্ডিতে পাঠায়। সেখান থেকে ট্রাকটি উদ্ধার না করে আমার লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয় এসআই আতিক। পরে আমি শনিবার ২৫ মার্চের আলোচনা শেষে ওসি আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা বল্লে তিনিও বিষয়টি আমলে না নিয়ে টালবাহানা করেন। আমি এর আগে একটি উকিল নোটিশ করেছি। কিন্ত তাতেও কাজ হয়নি।

তিনি আরও জানান, একজন মানুষ যখন বিপদে পড়েন তখন পুলিশের কাছে সাহায্য চাই। পুলিশ সেই সাহায্যের পরিবর্তে যদি বিবাদির সাথে দহরমমহরম তৈরী করে তখনই আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। আমার বেলাতে ঠিক এমনটাই ঘটেছে বলেও সাংবাদিকদের সামনে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। আমি একজন জনপ্রতনিধি হিসেবে পুলিশের কাছ থেকে যদি এই সহায়তা থেকে বঞ্চিত হই তাহলে সাধারণ মানুষ কত টুকু সেবা পাচ্ছে গাংনী থানায় এ নিয়েও সাংবাদিকদের সামনে প্রশ্ন তোলেন এমএ খালেক।

এদিকে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, আদালতে মামলা রয়েছে। আদালতে মামলা থাকায় আদালতের নির্দেশনা না পেলে আমি ট্রাকটি উদ্বার করতে পারিনা। এখানে আইনি অনেক জটিলতা রয়েছে। তাছাড়া ট্রাকের সন্ধান পাওয়ার সাথে সাথে থানা থেকে একজন এসআইকে খলিশাকুন্ডিতে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে ট্রাকের চালককে পাইনি। তিনি আরও জানান, খলিশাকুন্ডি আমার থানার বাইরে। এক থানার সমস্যা অন্য থানায় পড়লে আইনি সহায়তা ছাড়া একটি ট্রাক উদ্ধার করা সম্ভব না। উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব ভুল বুঝে আমার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আমরা আইনের মানুষ সব সময় আইনের মধ্যে থেকেই আমাদের চলতে হয়।




দামুড়হুদায় ঋণের বোঝা সহ্য করতে না পারায় কৃষকের আত্ম*হত্যা

দামুড়হুদা উপজেলার মোক্তারপুর গ্রামে ঋণের বোঝা সহ্য করতে না পারায় আইনাল হক (৫৫) নামে এক কৃষক গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

শনিবার সকালে দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়নের মোক্তারপুর মোল্লাপাড়ার নিজ পান বরজের মধ্যে মেহগনি গাছে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পরিবারের লোকজন। নিহত কৃষক আইনাল হক মোক্তারপুর গ্রামের মৃত পুটে আলীর বড় ছেলে।

নিহতের ভাই মতিয়ার রহমান বলেন, তিনি আমার বড় ভাই অনেক আগেই আলাদা জায়গায় (মোক্তারপুর মাঝপাড়ায়) বাড়ি করে পরিবার নিয়ে থাকতেন। বিভিন্ন এনজিও সমিতি থেকে অনেক টাকা ঋণ করেছেন। এনজিও, সমিতির প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ ঋণের টাকা পরিশোধ করা নিয়ে প্রায় সময়ই দুশ্চিন্তার ভিতর থাকতেন। ঋণের টাকা পরিশোধ না করতে পেরে হতাশায় ভুগছিলেন। সেখান থেকেই অভিমান করে গলায় ফাঁস নিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

নিহতের মা নিহারুন খাতুন জানান, শনিবার সকাল ৮ টার দিকে নিজ পানের বরজে কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। পানের বরজে গিয়ে দেখি আইনাল পানের বরজের মেহগনি গাছের ডালের সাথে গলায় নসিমন দড়ি দিয়ে ঝুলছে। আমি চিৎকার করলে আশ পাশের লোকজন ছুটে এসে গাছ থেকে নিচে নামিয়ে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। এটি অপমৃত্যু হিসেবে ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভা

চুয়াডাঙ্গা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৩টার সময় হোটেল সাহিদ প্যালেসে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন নবনির্বাচিত সভাপতি এখলাছ উদ্দীন সুজন। উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি রেজাউল হক জোয়ার্দার কোষাধ্যক্ষ নাসির আহাদ জোয়ার্দারসহ কমিটির নির্বাহী সদস্যগণ।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে সভা শুরু হয়। সভায় বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন প্রেরিত অভিনন্দন পত্র পাঠ করে শোনানো হয়। নবনির্বাচিত কমিটির পক্ষ থেকে বাফুফে সভাপতিকে ধন্যবাদ জানানো হয়। সেই সাথে বাফুফে সভাপতিকে ধন্যবাদ পত্র পৌঁছে দেয়ার জন্য নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি এখলাছ উদ্দীন সুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সভায় সকল সদস্যগণ নিজ নিজ অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ তুলে ধরেন। সকল সদস্য অতিদ্রুত জেলা ফুটবল লীগ শুরু করার তাগিদ দেন এবং কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

আলোচনা শেষে সভাপতি উপজেলা ভিত্তিক ফুটবল লীগ চালু করার জন্য প্রস্তুতি কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন ও সমাজের খেলা প্রিয় আর্থিক সচ্ছল প্রতিষ্ঠান গুলোকে এগিয়ে আশার আহবান জানান।

পরিশেষে এবং সভায় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন নবনির্বাচিত সভাপতি এখলাছ উদ্দীন সুজন।




দামুড়হুদায় ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

দামুড়হুদায় ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার সময় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, বাংলার সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা আসির উদ্দিন, রুস্তম আলী। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকী সালাম, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জল হক, উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রসিদ, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফয়জুল ইসলামসহ উপজেলার সব দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ।




গাংনীতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কবর সংরক্ষণের দাবীতে ছেলে আমরণ অনশন

মেহেরপুরের গাংনীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হারেজ উদ্দীনের সমাধিস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়নের অগ্রগতি ও বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরণ অনশনে বসেছেন তার বড় ছেলে বুলু মন্ডল।

আজ শনিবার (২৫মার্চ) সকাল থেকে গাংনী উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনার চত্বরে তিনি কাফনের কাপড় নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন । শহীদ হারেজ উদ্দীনের সমাধিস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কাজ তিন বছরেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় অবশেষে আমরণ অনশনে বসেছেন বলে দাবী করেন বুলু মন্ডল।

জানাগেছে, মেহেরপুর জেলার ৩১টি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষণ ও উন্নয়ন (১ম পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় ডিপিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তালিকাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর/সমাধিগুলি সনাক্ত করে তা সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য একটি গেজেট কপি প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। উক্ত গেজেটে মেহেরপুর সদর ১৬টি, মুজিবনগর ৮টি এবং গাংনী উপজেলায় ৭টি কবর / সমাধিস্তল সংরক্ষণের জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করনের জন্য প্রত্র পেরণ করা হয়।

গত ২২/১২/২-১৯ ইং তারিখে অনুরোধ লিপি প্রেরণ করা হয় স্বস্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর। কাজ বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গণপুর্ত বিভাগকে দায়িত্ব প্রদান করে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়। পত্রে ঠিকাদার নিযুক্ত করনের মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়ন করবে গণপূর্ত বিভাগ এবং তদরকি সহ জায়গা নির্ধারণ করবে উপজেলা প্রশাসন। অন্যান্য জেলা ও উপজেলার সমাধিস্থল সংরক্ষণের কাজ শেষ হলেও তিন বছরেও জায়গা নির্ধারন জটিলতায় শহীদ হারেজ উদ্দীনের কবর সংরক্ষণ কাজ আজও বাস্তবায়ন হয়নি।

শহীদ হারেজ উদ্দীনের বড় ছেলে বুলু মন্ডল জানান, আমি যখন ১৩ বছরে শিশু ,তখন পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর নির্মম অত্যাচারে নিহত হন আমার পিতা হারেজ উদ্দীন। আমার ছোট ভাই হাফিজুলকে নিয়ে আমার মা আমাদের প্রাণ বাঁচাতে গাংনীর চৌগাছা গ্রামের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরের দিন পাক হানাদার বাহিনীর লোকজন এলাকা ত্যাগ করলে আমরা আবার বাড়িতে ফিরে আসি। আমার পিতার মরদেহটি খুঁজে পেলে একটি সরকারি খাস জমিতে আমার পিতাকে কবর দেয়া হয়। স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হয়েছে। অনেক সরকার এসেছে।

আমরা আবেদন করেছি আমার পিতার কবরটি সংরক্ষণ করার জন্য। কেউ দাবী পুরুন করেনি। অবশেষে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারদের সম্মিলিত দাবীর প্রেক্ষিতে সরকার সারা দেশের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল সংরক্ষনের পরিকল্পনা হাতে নেন। কাজও বাস্তবায়ন হয়েছে। অথচ আমার পিতার নাম উক্ত তালিকায় থাকা সত্বেও আজও সে কাজ বাস্তবায়ন হয়নি। আমি কাগজপত্র হাতে নিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে যাওয়া আসা করতে করতে ক্লান্ত হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, গাংনীর চৌগাছা মৌজার ৬৬৯১ দাগের সরকারি জমিতে আমার পিতার কবর রয়েছে। উক্ত ২একর ২৬ শতক জমির মধ্যে স্থানীয় মতলেব শেখকে ৪২ শতক,নইমুদ্দিনকে ২৪ শতক,কিয়ামুদ্দিনকে ৩০ শতক,আইনুদ্দিনকে ১৬ শতক, আফছার আলীকে ১৫ শতক ও শুকুর আলীকে ১৫ শতক জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়। সেখানে আরও প্রায় ৮৫ শতক জমি অবশিষ্ট রয়েছে। সে জমিও স্থানীয় প্রভাবশালীরা জোর দখল নিয়েছে। এমনকি আমার পিতার কবরটিও তারা জোর দখল নিয়ে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে নিয়েছে। আমরা আমার পিতার কবরে যেতে পারছিনা। আবার কবর সংস্কার ও সংরক্ষণের কাজও বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। আমার পরিবারের আর ক্উে বেঁচে নেই। আমি একমাত্র বেঁচে আছি। আমি এখন হতাশায় পড়েছি আদৌ কি আমার শহীদ পিতার কবরটি সংরক্ষণ ও উন্নকাজ হবে? এমন হতাশা নিয়ে আমি অমরণ অনশনে বসেছি। কাজ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অনশনে থাকবেন বলেও জানান এই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হারেজ উদ্দীনের বড় ছেলে বুলু মন্ডল।

বীর মুক্তিযোদ্ধা পাতান আলী জানান, একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হোক এটা আমাদের প্রত্যাশা। মুক্তিযোদ্ধা বান্ধব সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের মুল্যায়ন করেছেন। এবং কবর সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছেন তা যে কোন ভাবে বাস্তবায়ন করা উচিৎ। এখানে প্রশাসনিক ব্যার্থতার বিষয়টি উঠে আসছে বারবার। শহীদ হারেজ উদ্দীনের কবরটি অযত্নে অবহেলায় পড়ে না থেকে সংস্কার করার দাবী জানান তিনি।

সরকারি প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহেলায় তিন বছরেও শহীদ হারেজ উদ্দীনের কবরটি সংরক্ষনের কাজ শুরু হয়নি। কোন অশুভ শক্তির ইশারায় কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে তা দেখে দ্রত কাজ বাস্তবায়ন করার দাবী জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার(দায়িত্বপ্রাপ্ত) সাজিদা সিদ্দিকা সেতু জানান, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হারেজ উদ্দীনের বড় ছেলে বুলূ মন্ডলের অনশন করার কথা জানতে পেরে সেখানে গিয়েছি। কাজ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিলে তিনি আপাতত অনশন ভঙ্গ করেছেন। গাংনীতে ইউএনও হিসেবে আমি নতুন যোগদান করেছি । বিষয়টি জানা ছিলনা। দ্রত সুরাহা হবে বলেও জানান তিনি।




অভিনয় জীবনের ৩০ বছর মৌসুমীর, যা বললেন ওমর সানী

ঢাকাই সিনেমার অন্যতম সফল চিত্রনায়িকা আরিফা জামান মৌসুমী। ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় কেয়ামত থেকে কেয়ামত। সোহানুর রহমান সোহানের এই ছবির মাধ্যমে দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষেরা মৌসুমীর পাশাপাশি পেয়েছিল আরেকটি নতুন মুখ সালমান শাহ। প্রথম ছবিতেই তারা বাজিমাত করেন। জায়গা করে নেন মানুষের মনের মণিকোঠায়।

শনিবার মৌসুমীকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন তার স্বামী ওমর সানি। এতে তিনি লিখেছেন, অভিনন্দন মৌসুমী তোমাকে। তোমার কর্মজীবনের ৩০ বছর উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা। আজ তুমি সবার কাছে প্রিয়দর্শিনী। চলচ্চিত্রের কাছে প্রিয়দর্শিনী এবং আমার পরিবারের কাছে তুমি প্রিয়দর্শনী। অভিনন্দন।

‘৯০ দশকে আনন্দ বিচিত্রায় ফটোসুন্দরী নির্বাচিত হয়েছিলেন মৌসুমী। এর পর টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক তার। প্রথম সিনেমাতে সবার প্রশংসা লাভ করেন মৌসুমী।

মৌসুমীর তিন দশকের অভিনয়জীবনে দুই শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি ২০০৩ সালে ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ এবং ২০০৬ সালে ‘মেহের নিগার’ চলচ্চিত্র দুটি পরিচালনাও করেছেন মৌসুমী।

উল্লেখ্য, ওমর সানী ও মৌসুমী ১৯৯৫ সালের ২ আগস্ট বিয়ে করেন। এ জুটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আদর্শ তারকা দম্পতি বলে পরিচিত। তাদের সংসারে রয়েছে দুই সন্তান ফারদিন ও ফাইজাহ।

সূত্র: যুগান্তর




গাংনীতে বাসের ধাক্কায় শিক্ষক নিহত

মেহেরপুরের গাংনীতে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় স্কুল শিক্ষক শরিফুল ইসলাম (৫০) নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৫মার্চ) দুপুরে গাংনী উপজেলা শহরের কাথুলী মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত স্কুল শিক্ষক মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের রফাতুল্লার ছেলে। তিনি মেহেরপুর সদরের শোলমারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয়রা  জানান, গাংনী শহরের কাথুলী মোড় হয়ে কুতুবপুরে যাওয়ার সময় দ্রুতগামী পরিবহন হাজি রাবেয়া (যার নং মেহেরপুর-জ-১১০০৬) সামনে পড়লে তাকে জোরে ধাক্কা দেয়। এতে  মারাত্মক আহত হয় শিক্ষক শরিফুল ইসলাম। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে বামন্দি নামক স্থানে পৌছালে তার মৃত্যু হয়।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।  বাসটি আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে চালক ও তার সহকারি পলাতক রয়েছে তাদের আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানায় ওসি।।



গাংনী উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফার ইন্তেকাল

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা (৬০) ইন্তেকাল করেছেন(ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

গতকাল শুক্রবার বিকেল পাঁচটার সময় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে , এক মেয়েসহ অসংখ্যা গুণাগ্রাহী রেখে গেছেন।

গত বৃহস্পতিবার তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।