মুজিবনগরে মহাজনপুর ইউপি চেয়ারম্যানের পরিবারের পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিল

মুজিবনগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহাজনপুর ইউনিয়নের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার তার নিজ গ্রাম যতারপুর ফুটবল খেলার মাঠে ইফতার মাহফিলের এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সারফরাজ হোসেন মৃদুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল, মোনাখালী ইউনিয়নের সভাপতি রফিকুল ইসলাম গাইন, বাগোয়ান ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেলাল সহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এবং নিজগ্রাম যতারপুরের সাধারণ মুসল্লিগন। ইফতারে পূর্ব দোয়া অনুষ্ঠানে দেশবাসীর মঙ্গলের জন্য দোয়া করা হয়।




গাংনী রিপোটার্স ক্লাবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহিফল অনুষ্ঠিত

গাংনী রিপোটার্স ক্লাবের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ২৬ রমজার বিকেলে গাংনী পাইলট হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-২(গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।

রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি আনারুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী প্রেসক্লাব সভাপতি তৌহিদ উদ দৌলা রেজা, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম।

ইফতার মাহফিলে রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হোসেন, গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ লিংকন, সম্পাদক নুরুজ্জামান পাভেল, দৈনিক সুর্যোদয় পত্রিকার প্রকাশক আবুল কাশেম অনুরাগী, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আতিক স্বপন, ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি এনামুল হক, সম্পাদক মনিরুজ্জামান আতুসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

ইফতার পুর্ববর্তী দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মোঃ জাহিদুর রহমান।




কোটচাঁদপুরে অগ্নিকান্ডজনিত দূর্ঘটনা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা

অগ্নিকান্ডজনিত দূর্ঘটনা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কোটচাঁদপুর অফিসার্স ক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোটচাঁদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোছাঃ শরিফুননেসা মিকি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম, ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি খাতুন সহকারী কমিশনার(ভুমি) নিরুপমা রায়, প্রকৌশলী মিজানূর রহমান,মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় ঘোষ, সমাজ সেবা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা রাজি বসু হাসান ও কোটচাঁদপুর ফায়ার স্টেশনের, স্টেশন মাস্টার আক্কাস আলী।

মতবিনিময় সভার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল অগ্নিকান্ড জনিত দূর্ঘটনা। এ কারনেই পুরো আলোচনা জুড়েই ছিলেন, ফায়ার স্টেশনের, স্টেশন মাস্টার আক্কাস আলী।

এ সময় উপস্থিত বক্তাদের বক্তব্যে বার বার উঠে এসেছেন পানির বিষয়টি। যা অগ্নি নির্বাপনে সব থেকে বেশি প্রয়োজন। যা কোটচাঁদপুর শহরে তেমন নাই।  তবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পৌর সভার পানির পাম্প ব্যবহার করার সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম।

এছাড়া আবাসিক প্রকৌশলি অফিসে মধ্যে থাকা পানির পাম্পও ব্যবহার করার কথা জানান প্রকৌশলি মনোয়ার হোসেন।

পরে স্থানীয় ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা অগ্নিকান্ডে মানুষের করনীয় বিষয় নিয়ে একটি মহড়া উপস্থাপন করেন, অফিসার্স ক্লাবে সামনে।




গাংনীতে পরিবারের প্রতি অভিমানে শরীরে পেট্রোল ঢেলে তরুণের মৃত্যু

মোটরসাইকেল চড়া নিয়ে পরিবারের প্রতি অভিমান করে শরীরে পেট্রোল ঢেলে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম তারিখ হোসেন (১৭)। সে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মোল্লা পাড়ার লাভলু হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মোটরসাইকেল চড়া নিয়ে পরিবারের সাথে ঝামেলা হয় তারিখের। এক পর্যায়ে তার কাছ থেকে মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেয় পরিবারের লোকজন। সেই কারণে তারিখ পরিবারের প্রতি অভিমান করে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ঢাকায় রেফার্ড করে কুষ্টিয়ার কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা।

অগ্নিদগ্ধ হয়ে তারিখের শরীরের অর্ধেকেরও বেশি অংশ পুড়ে গেছে। গত সোমবার (১৭ই এপ্রিল) বিকেলে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য (কাজিপুর ইউনিয়ন) মো: মহিবুল ইসলাম জানান, গত ৬দিন আগে মোটরসাইকেল চড়া নিয়ে পরিবারের সাথে ঝামেলার কারণে ছেলেটি শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েও অবস্থার উন্নতি হয়নি; গতকাল ঢাকায় মারা যায়। গতকাল  মঙ্গলবার দুপুর ২টায় হাড়াভাঙ্গা মোল্লা পাড়ায় তার দাফন সম্পুর্ন হয়েছে।




মেহেরপুরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ট্যাব বিতরণ

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসেবে ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ট্যাব বিতরণ করা হয়। মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ট্যাব বিতরণের আয়োজন করা হয়

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার পিপিএম সেবা মোঃ রাফিউল আলম, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আব্দুল্লাহ আল বাকী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক মোঃ বছির উদ্দিন।

এ সময় মেহেরপুর সদরে ৪১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নবম ও দশম শ্রেণীর প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী কে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপহার হিসেবে সদরে ২৪৬ জন এবং মুজিবনগর উপজেলায় ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নবম ও দশম শ্রেণীর প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী ৮৪ জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে ট্যাব উপহার হিসেবে দেওয়া হয় এবং পর্যায়ক্রমে গাংনী উপজেলায় নবম ও দশম শ্রেণীর প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে ট্যাব উপহার দেওয়া হবে।




লায়লাতুল ক্বদর -এম.এ এস. ইমন

আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠতম রাত্রি। আপনার গন্তব্য কে বেছে নেয়ার রাত্রি। আপনার জীবনের সকল ভুলভ্রান্তি মুছে ফেলার রাত্রি। আপনারই দ্বারপ্রান্তে একটি রাত যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। একটি রাত যা জীবনভর ইবাদাত কারাও চেয়েতে উত্তম।

আমাদের গড় আয়ু ৬০ থেকে ৭০ বছর। এর মধ্যে ১০ থেকে ১৫ বছর কেটে যায় শেশবে। ১০ বছর কেটে যায় কর্মস্থলে। আরো ১০ বছর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে। ৫ বছর যাতায়াত করতে করতে। আরো দশ পনেরো বছর সামাজিকতার বিনোদনে। বাকি ১০-১৫ বছর সময়ের কতটুকু আসলে আমরা পুরোপুরি ইবাদতের পেছনে ব্যয় করতে পারি। অথচ লায়লাতুল ক্বদর এমন একটি রাত যা হাজার মাস অর্থাৎ ৮৩ বছরের চাইতেও উত্তম। এর মানে এই একটি রাত যদি আমরা সম্পূর্ণভাবে আন্তরিকতার সাথে ইবাদত করতে পারি এর মূল্য হবে জীবনভর প্রতিটি মুহূর্তে প্রতিটি ক্ষণে আল্লাহর কথা স্মরণ করে তার ইবাদত করে কাটিয়ে দেয়ার চেয়েও উত্তম এর চাইতেও মর্যাদাপূর্ণ।

লায়লাকুল ক্বদর এমন একটি উপহার যা পেলে মনে হয় আল্লাহতাআলা আসলে আমাদেরকে জান্নাতে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য কারণ খুঁজছেন, অজুহাত খুঁজছেন। আমাদের প্রত্যেকে গুনাগার কেউ নামাজ বাদ দেই, তো কেউ মিথ্যা কথা বলি। কেউ বাবা মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করি। কেউ জিনায় লিপ্ত, কেউ মদ খেয়েছি কেউ মাদকে আসক্ত। কতরকম ভুল-ভ্রান্তিতে আমরা ডুবে আছি। অথচ আল্লাহ তাআলা আমাদের কারোর লায়লাতুল ক্বদরের মত মহিমান্বিত রাত্রির দরজা বন্ধ করে দেননি বরং এই রাত্রটি যেন খাসভাবে আমাদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে আমাদের প্রতি আল্লাহর রহমত ভালোবাসা সত্যিই আমাদের কল্পনাশক্তির বাইরে।

প্রথমত জেনে নেই লায়লাতুল ক্বদর কবে? রসুল (সঃ) বলেছেন, লায়লাতুল ক্বদরকে রমজানের শেষ দশ রাত্রিতে খোঁজ। এটা সত্যি যে এছাড়াও অন্যান্য হাদিসে দশ রাত্রির বেজোড় রাত্রিগুলো ২৭ এর রাত ২৫ এর রাত ২৯ এর রাতসহ বিভিন্ন রাতের কথা এসছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে পুরোপুরি নিশ্চিত ভাবে লায়লাতুল ক্বদর পাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে শেষ দশ রাত্রির প্রতিটি রাতেই এর ইবাদত করা। মনে করুন একটি লটারী হচ্ছে। আপনাকে বলা হলো এক থেকে দশ টিকেটের মধ্যে যে কোন একটি অবশ্যই জিতবে। আপনি কি তখন কোন টিকিট বাদ রাখবেন? টিকিটের দাম যতই হোক না কেন লটারী জেতার পুরষ্কার তার থেকে লক্ষ্যগুনে বেশি। তাই এই বিরাট পুরষ্কারের কথা চিন্তা করে আপনি দশটি টিকিটই কিন্তু কিনে ফেলবেন।

অতএব আমাদের উচিত শেষ দশ রাত্রি প্রতিটি রাতে আমাদের শতভাগ প্রচেষ্ঠা করা। তার পাশাপাশি যে রাত্রিগুলোর কথা বিশেষভাবে এসেছে যেমন ২৭ এর রাত এবং বেজোড় রাতগুলো সে রাত্রিগুলোতে আমরা বাড়তি কিছু আমল করতে পারি। কিন্তু অবশ্যই অন্যান্য রাত্রিগুলিতে বিশেষ করে ২৭ এর পরের রাত্রিগুলিতে যখন খতম তারাবী শেষ হয়ে যায়। তখন যেন আমরা আমাদের এবাদত কোনভাবেই কমিয়ে না দেই। এবার আসি লায়লাতুল ক্বদরে আমাদের করণীয় কি। আয়শা (রা) বলেন রমাদানের শেষ দশ রাত্রিতে রসুল (স:) তার কোমড় বেধে ইবাদত বন্দেগিতে নেমে পরতেন।

অথ্যাৎ অন্যান্য সময় তিনি যতটা ইবাদত করতেন রমাদানের শেষ দশ রাত্রিতে তিনি সেই পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দিতেন। আমাদের উচিত হবে যে যেই অবস্থাতেই আছি আমাদের ব্যক্তিগত ইবাদাতগুলো এই দশ রাত্রিতে বাড়িয়ে দেয়া। এখানে সবা জন্য একই ফর্মূলা কাজ করবে না। যার ফরজ নামার পড়ার অভ্যাস নেই তা অবশ্যই প্রথমে লক্ষ্য রাখতে হবে এই দশ রাত্রিতে যেন ফরজ নামাজ বাদ না হয়। অন্যদিকে যে ফরজ এবং সুন্নত নিয়মিত পড়ে তার উচিত হবে বেশি বেশি করে নফল ইবাদত করা।

লায়লাতুল ক্বদরের রাত্রিকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর জন্য একটি চমৎকার সুযোগ হচ্ছে এশা ও ফজরের নামাজ মসজিদে জামাতের সাথে আদায় করা। কেননা রসূল সাল্লালাহু সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জামাতের সাতে এশা ও ফজরের নামাজ আদায় করবে সে যেন সারারাত নামাজ পড়ল। অর্থ্যাৎ আপনি জামাতের সাথে এশা ও ফজরের নামাজ আদায় করলে আপনি পুরো রাত্রি নামায পড়ার ছেয়াব পেয়ে যাবেন। এরপর আপনি যাই করেন না কেন সেটা হবে বোনাস। অতএব আমাদের প্রতি লক্ষ্য থাকা উচিত, আর কোনো হোক বা হোক রমাদানের শেষ রাত্রিতে যেন অবশ্যই এশা এবং ফজরের নামাজ মসজিদে জামাতের সাথে আদায় করা হয়।

অন্যদিকে তারাবির নামাজ ইমামের পেছনে পুরোটা শেষ করলে অর্থাৎ ইমাম ৮ রাকাত পড়লে ৮ রাকাত ২০ রাকাত পড়লে ২০ রাকাত ১০০ রাকাত পড়লে ১০০ রাকাত ইমাম যত রাকাত নামাজই পড়াননা কেন তার পেছনে পুরো নামাজ শেষ করে করলেও পুরো রাত্রি নামাজ পড়ার ছোয়াব পাওয়া যাবে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে ইবাদতের ক্ষেত্রে রাসুল (স:) এর মনযোগ ছিল সৌন্দর্য্য ও আন্তরিকতার দিকে। তিনি নামাজে লম্বা লম্বা সূরা তেলাওয়াত করতেন এবং রুকু ও সিজদাতে দীর্ঘ সময় নিয়ে দোয়া করতেন। নামাজে দাড়িয়ে সুরা পড়ার সময় জাহান্নামের আয়াত আসলে তিনি তিলাওয়াত থামাতেন।

আমি আল্লাহর কাছে জাহান্নামের আগুন থেকে রেহাই চাইতেন। জান্নাতের আয়াত আসলে আল্লাহর কাছে জান্নাত লাভের জন্য দোয়া করতেন। তাঁর ইবাদতের প্রতিটি উচ্চারণে ছিল আন্তরিকতা। আল্লাহর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি চেষ্টা। আমরা অনেকে ভাবতে পারি। আমাদের তো বড় বড় সূরা মুখস্ত নেই। যা মুখস্থ আছে সেগুলোর মানেও বুঝিনা। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে আমাদের উচিত হবে এখন থেকে যেসব সূরা মুখস্ত আছে সেগুলো শাব্দিক অর্থ নিয়ে পড়াশোনা করা এবং নতুন নতুন সূরা মুখস্ত করা। কিন্তু এই সেই দশ রাত্রি যেহেতু চলে এসেছে আমরা এই সময়টায় রুকু এবং সিজদায় বেশি বেশি দোয়া করার মাধ্যমে আমাদের নামাজকে সুন্দর করে তুলতে পারি। বিশেষ করে সেজদা করার সময় বান্দা আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে নিকটে থাকে। এই সময়ে আমাদের উচিত মন খুলে দোয়া করা। সুবহানা রাব্বিয়াল আলা তিনবার বলার পর আপনার দুনিয়া এবং আখেরাতের যা কিছু প্রয়োজন আল্লাহর কাছে চাইতে থাকুন। আপনি মন খুলে দোয়া করতে পারছেন না, মনটা শক্ত হয়ে আছে অসুবিধা নেই আপনার এই দোয়া না করতে পারার কথাটাই আল্লাহ তাআলাকে বলুন।

তিনি আপনার অন্তর প্রশস্ত করে দিবেন আপনার জিহ্বা খুলে দিবেন। কখনো ৫ মিনিট ১০ মিনিট ১৫ মিনিট ধরে সিজদা করে দেখেছেন কি? না করে থাকলে এই শেষ দশ রাত্রির চমৎকার সুযোগ কি আর হতে পারে। নামাজের পাশাপাশি অন্যান্য এবাদত করার মাধ্যমেও আমরা শেষরাত্রি গুলোকে জাগিয়ে রাখতে পারি।

আয়েশা (রা:) যখন রসুল (স:) জিজ্ঞেস করলেন: আমরা যদি লায়লাতুল ক্বদর পেয়ে যাই তখন আমরা কি দোয়া করব। রসুল (স:) বললেন: বলবে [‘‘আল্লাহুম্মা ইন্নাক আফুউউন, তুহিব্বুল আফোয়া, ফাফু আন্নি’’ হে আল্লাহ আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালোবাসেন, তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন ]। কত সুন্দর সমাধান আল্লাহর রসুল (স:) দশটি জিনিষ চাইতে বলেননি। একশ রাকাত নামজ পড়তে বলেননি। আসলে আমাদের সব ইবাদাতের মূল লক্ষ্য কি। আল্লাহর ক্ষমা লাভ করা। আল্লাহর ক্ষমা পেয়ে গেলে আমাদের দুনিয়া এবং আখেরাতের আর কোন কিছুই লাগবে না। তাই রাসূল (স:) এই দোয়াটাই আমাদেরকে মহিমান্বিত রাত্রিতে বেশী বেশী করে করতে বলেছেন। সেই সাথে বন্দের এই সময় নামাজ থাকবে না তারা অন্যান্য জিকির-আশকার পাশাপাশি আল্লাহর কাছে হাত তুলো এই দোয়াাটি বেশি বেশি করার মাধ্যমে লায়লাতুল ক্বদরের পুরো ফযিলতটাই আদায় করতে পারবেন।

শ্রেষ্ঠ এই মাসে শেষ রাত্রিগুলো আপনার ব্যক্তিগত ক্যানভাস নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া জিকির সদগাহ এইসব ইবাদাতগুলো হলো আপনার রং। হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এই রাতটিকে আপনার মনের মত রং দিয়ে রাঙিয়ে দিন। যদি সারারাত শুধু নামাজ পড়ে কাটিয়ে দিতে চান তাতেও কোনো বাধা নেই। যদি একটু আধটু করে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন এবাদত করতে চান তাতেও কোনো বাধা নেই। এই রাত জুরে গোটা বিশ্বের কানায় কানায় ফেরেশতা দিয়ে ভরে যায়। তারা তাদের রবের এবাদত করতে থাকে। গুনোগান গাইতে থাকে। দশটি রাত তাদের সাথে যোগদিন। অনন্তকাল এর প্রতিদান উপভোগ করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে লায়লাতুল ক্বদর পাওয়ার এবং ইবাদত দিয়ে জাগিয়ে তোলার তৌফিক দিন। আমিন।




মেহেরপুরে রোগী কল্যাণ সমিতির যাকাত মেলা

দরিদ্র রোগীদের কল্যাণার্থে পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে রোগী কল্যাণ সমিতির যাকাত মেলার আয়োজন করা হয়।

আজ মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকালে মেহেরপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গনে এই যাকাত মেলার আয়োজন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জমির মোঃ হাসিবুস সাত্তার, রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের সমাজসেবা অফিসার মাহে জেবিন কেমি, রোগী কল্যাণ সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আলী শামীম, রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আর এম ও ডঃ মোঃ মোখলেছুর রহমান সহ আর রোগী কল্যাণ সমিতির বিভিন্ন সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জমির মোঃ হাসিবুস সাত্তার বলেন অসহায় দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে ঔষধ, পথ্য, বস্ত্র, রক্ত ও পথ্যাদি সরবরাহ, পুষ্টিকর খাবার বিনামূল্যে পরীক্ষা নিরীক্ষা চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার জন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে। তাই সমাজের বিত্তবানদের যাকাতের একাংশ রোগী কল্যাণ সমিতিতে দেওয়ার আহবান জানান।




নতুন দুশ্চিন্তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পাসগান

পাসগান মূলত এক ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অবশ্য হ্যাকারদের জন্য অনেক কার্যকর। নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাটি প্রায় ৫১ শতাংশ পাসওয়ার্ড অল্প সময়ে হ্যাক করতে পারে বলে জানা গেছে।

পাসগান মূলত এক ধরনের কম্বিনেটর অ্যাটাকের সহায়তা নেয়। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রচলিত ব্রুট ফোর্স মেথডের মাধ্যমেই কাজ করে। পাসগান একটি নিরপেক্ষ নেটওয়ার্ক তৈরি করে মেশিনকে প্রশিক্ষণ দিতে থাকে। ফলে ডাটা বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা করা সহজ হয়ে যায়। কারো পাসওয়ার্ড যদি কোথাও উন্মুক্ত করা থাকে তাহলে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তা জেনারেট করে নিতে পারে। অথবা অনুমান করেও একটি পাসওয়ার্ড বসিয়ে নির্ভুলভাবে হ্যাক করার চেষ্টা করে।

সম্প্রতি একটি সাইবারসিকিউরিটি ফার্ম সম্প্রতি ১৫ মিলিয়ন পাসওয়ার্ড দিয়ে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর পরীক্ষা চালিয়েছে। ফলাফল সত্যিই উদ্বেগজনক। মাত্র ১ ঘণ্টায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাটি ৬১ শতাংশ পাসওয়ার্ড বের করেছে এবং ১ দিনে তা ৭১ শতাংশ সফলতা পেয়েছে। এক মাসের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাটির সফলতার হার ৮১ শতাংশ হয়েছে। গবেষণার জন্য ৭ অক্ষরের পাসওয়ার্ড নানা সিম্বল, প্রতীক বা সংখ্যা দিয়ে নির্ধারণ করা হলেও ৬ মিনিটে তা বের করে ফেলছে পাসজ্ঞান। পাসওয়ার্ড যত বড় হবে পাসগানের সময় তত বেশি লাগবে। ১৮ সংখ্যার পাসওয়ার্ড হ্যাক করতে অবশ্য অনেক সময় লাগবে এটির।

তবে ছোটখাট পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে হ্যাক করার এই সময় উদ্বেগের বার্তা দিচ্ছে। যত সময় যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেকে আরও উন্নত করবে। হ্যাকারদের জন্য এটি সাইবার অ্যাটাকের একটি বড় অস্ত্র হয়ে উঠতেই পারে। ২০১৭ সালে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাটি প্রথম উন্মুক্ত হয়। জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই সময়ে এই টুলটি কতটা গুরুত্ব পাবে তা এখন আন্দাজ করা কঠিন কিছুই নয়। ফলে ওয়েবসাইট, পাসওয়ার্ড এমনকি ব্যাংকের ইনফরমেশনও এখন নিরাপদ থাকছে না। তাই এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়াটাই স্বাভাবিক।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায়

তাপদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। কমছেই না তাপমাত্রার পারদ। উল্টো দিন দিন বাড়ছে গরম আর তাপদাহ। একফোঁটা বৃষ্টির আশায় প্রহর গুনছে মানুষ। এ অবস্থায় বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন ঝিনাইদহের মুসল্লিরা।

মঙ্গলার (১৮ এপ্রিল) সকালে শহরের ওয়াজির আলী স্কুল মাঠে জেলা ইমাম পরিষদের আয়োজনে নামাজ আদায় করা হয়। এতে শহরের বিভিন্ন এলাকার কয়েকশ’ মুসল্লি অংশ নেয়।

নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লি ইসলাম মিয়া জানান, সারাদেশ খরায় পুড়ছে। আল্লাহ ছাড়া আমাদের রক্ষা করার কেউ নেই। তাই এ নামায আদায় করলাম।




শাফিন আহমেদের নতুন গান ‘মগ্ন ছিলাম’

নতুন গান নির্মাণ করেছেন সংগীতজ্ঞ শাফিন আহমেদ। গানটির নাম ‘ মগ্ন ছিলাম’। কবি মহাদেব সাহার কবিতা থেকে গানটির রচনা, সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন শাফিন নিজেই।

তবে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন অন্য একজন শিল্পী। তার নাম তাশফী। আগামী ঈদ উপলক্ষে প্রকাশ হচ্ছে গানটি।

গানটি প্রথম রেকর্ড হয়েছিল ৯০ দশকের শেষ দিকে। শাফিন আহমেদ নিজেই গেয়েছিলেন গানটি। সম্প্রতি ক্যান্ডি রেকর্ডিং স্টুডিওতে সম্পন্ন হয়েছে গানটির রেকর্ড। গানটি মুক্তি পাচ্ছে ডাবল বেস প্রোডাকশনস থেকে।

গান সম্পর্কে শাফিন আহমেদ বলেন, ‘তাশফীর চমৎকার গায়কী ও নিজস্বতায় গানটি এক ভিন্ন অনুভূতির সৃষ্টি করেছে, আশা করছি গানটি সবাই পছন্দ করবে। গানটি শোনার আমন্ত্রন রইল।’

জানা গেছে, আগামী ২১ এপ্রিল ইউটিউবে মুক্তি পাবে ‘মগ্ন ছিলাম’ নামের নতুন এই গানটি।

সূত্র: যুগান্তর