মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন, নতুন নাম ‘মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়’

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে জানান, শেখ পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ দিয়ে দেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নামকরণ করা হয়েছে।

পরিবর্তিত নামগুলোর তালিকায় রয়েছে:

মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মেহেরপুর → মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়

শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা → নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ → কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ →নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর → গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় → শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ → বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর → জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর → পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ → নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ → গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিনেইম ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রাম → মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যরোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় → অ্যাভিয়েশন এন্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ




ডাক অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, আবেদন করুন দ্রুত

পোস্টমাস্টার জেনারেলের কার্যালয়, উত্তরাঞ্চল, রাজশাহী জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ বিজ্ঞপ্তির আওতায় ১৮ ক্যাটাগরির পদে ১৪ থেকে ১৬তম গ্রেডে মোট ৩৬৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অন্তর্গত সব জেলার (কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী ও চর রাজিবপুর উপজেলা এবং সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা ছাড়া) স্থায়ী বাসিন্দারা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

১. পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর (স্টেনোটাইপিস্ট)

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা এবং সাঁটলিপিতে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে ৭০ শব্দ ও বাংলায় ৪৫ শব্দ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে ৩০ শব্দ ও বাংলায় ২৫ শব্দ থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

২. পদের নাম: উচ্চমান সহকারী

পদসংখ্যা: ৭

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা; কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে ৩০ শব্দ ও বাংলায় ২৫ শব্দ থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৩. পদের নাম: ক্যাশিয়ার

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।

বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৪. পদের নাম: কম্পাউন্ডার/ফার্মাসিস্ট

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত হেলথ ইনস্টিটিউট থেকে ফার্মাসিস্ট কোর্সে সার্টিফিকেটধারী।

বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৫. পদের নাম: পোস্টাল অপারেটর

পদসংখ্যা: ১২৬

যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)

৬. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক

পদসংখ্যা: ৮

যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে ২০ শব্দ ও বাংলায় ২০ শব্দ থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৭. পদের নাম: প্লাম্বার

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত বোর্ড/ইনস্টিটিউট/প্রতিষ্ঠান থেকে প্লাম্বিংয়ে ট্রেড কোর্সধারী।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৮. পদের নাম: ইঞ্জিন ড্রাইভার

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত বোর্ড/ইনস্টিটিউট/প্রতিষ্ঠান থেকে দুই বছর মেয়াদি মেকানিক্যাল ট্রেড কোর্সধারী।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৯. পদের নাম: পোস্টম্যান

পদসংখ্যা: ৪২

যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএ নিয়ে এসএসসি বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল: ৯,০০০-২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)

১০. পদের নাম: স্ট্যাম্প ভেন্ডার

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। সংশ্লিষ্ট কাজে তিন বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা (গ্রেড-১৮)

১১. পদের নাম: ওয়্যারম্যান

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত বোর্ড/ইনস্টিটিউট/প্রতিষ্ঠান থেকে ইলেকট্রিক ট্রেড কোর্সে বি/সি ক্যাটাগরি লাইসেন্সধারী হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯)

১২. পদের নাম: আর্মড গার্ড

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯)

১৩. পদের নাম: প্যাকার কাম মেইল ক্যারিয়ার

পদসংখ্যা: ৬০

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯)

১৪. পদের নাম: অফিস সহায়ক (এমএলএসএস)

পদসংখ্যা: ২০

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

১৫. পদের নাম: গার্ডেনার

পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি বা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। বাগান পরিচর্যায় অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

১৬. পদের নাম: পরিচ্ছন্নতাকর্মী (সুইপার)

পদসংখ্যা: ৬

যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি বা জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

১৭. পদের নাম: রানার

পদসংখ্যা: ৮১

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

১৮. পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী

পদসংখ্যা: ৯

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।

আবেদন ফি

অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ থেকে ৮ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা, টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা; ৯ থেকে ১৮ নম্বর পদের জন্য ৫০ টাকা, টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা এবং সব গ্রেডে অনগ্রসর নাগরিকের (ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ) জন্য ৫০ টাকা, টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুর সরকারী মহিলা কলেজে নবীনবরণ

মেহেরপুর সরকারী মহিলা কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল্লাহ আল আমিনের সভাপতিত্বে এবং গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ সারোয়ার হোসেন ও ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক রেক্সোনা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডঃ এ কে এম নজরুল কবীর।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নবীনবরণ উৎযাপন কমিটির আহবায়ক বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক কাজী আশরাফুল আলম, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল হামিদ, মেহেরপুর সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক খেজমত আলী মালিথ্যা, মেহেরপুর সরকারী কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক খসরু ইসলাম, সরকারী মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মিরাজ উদ্দীনসহ কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে এ অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করা হয়। দিনব্যাপী কলেজের এ নবীনবরণ উপলক্ষ্যে কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। কলেজ ক্যাম্পাস আজ রঙ্গিন সাজে সজ্জিত হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা তাদেরকে বরণ করে নেয়ায় খুব খুশী ও আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছিল। নবীন শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয়া হয়। এছাড়া শিক্ষা ক্যাডার থেকে যোগদান করা শিক্ষকদের ও বরণ করে নেয়া হয়। কলেজের বিএনসিসি ও গার্ল ইন রোভার স্কাউটস গ্রুপের সার্বিক শৃঙ্খলায় অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিবেশ চমৎকার ও দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠেছিল।

প্রধান অতিথির বক্তব্য মেহেরপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নজরুল কবীর বলেন, শিক্ষাকে আনন্দময় করতে সহপাঠ্য হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাঠে মনোযোগী ও আকর্ষনীয় করতে এবং শিক্ষায় আগ্রহী করতে এ জাতীয় অনুষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। শিক্ষাকে আনন্দময় করে তুলতে শিক্ষার্থীদের পাঠে আগ্রহী করতে এবং সামনের দিকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষার কোন শর্টকাট পদ্বতি নাই। অনুশীলন ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীদের সাফল্য আমাদের গর্ব করে আমাদের আনন্দ দেয় বলে তিনি জানান। সুন্দর বাংলাদেশ গঠনে, রাস্ট্র ও সমাজের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠতে সবাইকে লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান। তিনি জানান শিক্ষাকে উপভোগ করতে হবে। সত্যিকারের মানবিক মানুষ হওয়ার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে কলেজের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে নাচ, গান, কবিতা আবৃতিসহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্বে মনোমুগ্ধকর নাচ ও গানে শিক্ষার্থীরা আনন্দ উপভোগ করে।




চুল পড়া বন্ধে জাদুকরি ফল পাবেন টমেটো রসে

চুল পড়া বা টাক হয়ে যাওয়া একটি খুব সাধারণ সমস্যা। তবে, বর্তমানে এ সমস্যা যেন একটু বেশিই দেখা যায়। এর পেছনে দূষণ, নিম্নমানের খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক চাপ অন্যতম কারণ।

তবে কারণ যাই হোক না কেন, চুল পড়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ভোগেন না এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। আর এ কারণে ব্যয়বহুল চিকিৎসাও গ্রহণ করে থাকেন বহু মানুষ। কিন্তু এর পেছনে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ না করে আপনার রান্নাঘরে থাকা সবজিতেই পেতে পারেন জাদুকরি সমাধান। সবজিটি হলো টমেটো।

টমেটোর রস চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। পুষ্টিতে ভরপুর টমেটোতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, বায়োটিন এবং জিঙ্ক; যা চুলের ফলিকলগুলোকে পুষ্ট করতে এবং চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। টমেটোতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টগুলো চুলকে ঘন এবং স্বাস্থ্যকর রাখে এবং ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক চুল পড়া রোধে কীভাবে ব্যবহার করবেন টমেটোর রস-

অ্যালোভেরা ও টমেটোর রস

টমেটোর পেস্ট এবং অ্যালোভেরা জেলের মাস্কও চুলের জন্য জাদুকরি কাজ করতে পারে। মাস্কটি চুলে লাগিয়ে ৪৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং তারপর ধুয়ে ফেলুন। মিশ্রণটি চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে এবং চুলকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে।

নারকেল তেল ও টমেটোর রস

চুল পড়া বন্ধের আরেকটি কার্যকর প্রতিকার হল টমেটোর রস নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা। মিশ্রণটি হালকা গরম করে সারারাত মাথার ত্বকে লাগিয়ে রেখে, পরের দিন সকালে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের বৃদ্ধি বাড়ায় এবং মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায়।

টমেটো ও পেঁয়াজের রস

যাদের চুল দ্রুত বড় হয় না, তাদের জন্য পেঁয়াজ এবং টমেটোর রসের মিশ্রণ খুবই উপকারী হতে পারে। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য, সপ্তাহে দুবার এসব প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুর আইনজীবী সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ৯

মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদে সভাপতি হিসেবে মারুফ আহম্মেদ বিজন, সহ-সভাপতি হিসেবে রফিকুল ইসলাম-১, সাধারণ সম্পাদক এ এস এম সাইদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সম্পাদক ইহান উদ্দিন (মনা), কোষাধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম সাহেব, লাইব্রেরি ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শফিউল আযম খান (বকুল) নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া সিনিয়র সদস্য হিসেবে আরিফুজ্জামান এবং সদস্য হিসেবে আয়েশা সিদ্দিকা ও আ.ন.ম. আল মামুন (অনল) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।




ইংল্যান্ডে হামজার সঙ্গে বাফুফে সভাপতি, কী কথা হলো

ডিসেম্বরে ফিফার সবুজ সংকেত পাওয়ার পরপরই খুশির খবরটি দেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন— লাল-সবুজের জার্সিতে খেলবেন হামজা চৌধুরি। সব ঠিক থাকলে বাংলাদেশি বংশদ্ভুত ইংলিশ তারকার অভিষেকও হয়ে যাবে আগামী ২৫ মার্চ। তার আগে হামজার সঙ্গে ইংল্যান্ডে দেখা করেছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।

ইংল্যান্ডের কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে হামজা ও তার পরিবারের সঙ্গে বেশ খানিকটা সময় কাটিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে সেখানে লেস্টার সিটির ম্যাচও উপভোগ করেছেন। বাফুফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে আজ তাদের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বাফুফে সভাপতির সঙ্গে পোজ দিয়েছেন হাস্যজ্জ্বল হামজা। ভাইরাল হওয়া ছবির ক্যাপশনে জানানো হয়, হামজার সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক গড়ার লক্ষ্যেই এই সাক্ষাৎ।

ডিসেম্বরে বাফুফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, হামজা দেওয়ান চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে খেলার অনুমতি পেয়েছেন। ফিফার ফুটবল ট্রাইব্যুনালের প্লেয়ার স্ট্যাটাস চেম্বার এ সদ্ধিান্ত জানিয়েছে।

পরে ফুটবলার হামজা চৌধুরী নিজেও তার ফেসবুকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তা দেন, ‘সব কিছু ঠিকমতো চলছে। বাংলাদেশের হয়ে খেলতে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি। আশা করছি শিগগিরই দেখা হবে।’

হামজা আগেই বাংলাদেশি পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) তাকে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার ব্যাপারে অনাপত্তিপত্র দেয়। পরের পদক্ষেপ হিসেবে ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে আবেদন করে বাফুফে। এই কমিটির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিও পেয়েছে বাফুফে। এবার অপেক্ষা লাল-সবুজের জার্সি পরে মাঠে নামার।

বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চড়ানোর আগেই ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটি ছাড়তে চলেছেন হামজা। লেস্টার ছেড়ে মৌসুমের বাকি অংশে খেলতে যোগ দিতে পারেন ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডে। ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত। শেফিল্ড খুব করে চাচ্ছে হামজাকে।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে মহিলা দলের লিফলেট বিতরণ

“সবার আগে বাংলাদেশ” তারেক রহমানের এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেছে মেহেরপুর জেলা মহিলা দল।

বৃহস্পতিবার (১৬ই জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের বোসপাড়া বিএনপি অফিস প্রাঙ্গণ থেকে জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাইয়েদাতুন নেছা নয়নের নেতৃত্বে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট বিতরণ করেন তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পলি আক্তার বেদানা, জেলা বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সহ সম্পাদিকা নাজমুন নাহার রিনা, মহিলা দলের অর্থ বিষয়ক সম্পাদিকা রুপালি খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদিকা ও শ্যামপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বার ফাহিমা খাতুনসহ জেলা মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ।




সংকট ও সম্ভাবনার দোলাচলে চিত্রনাট্যকাররা

চলচ্চিত্র, নাটক কিংবা ওয়েব কনটেন্ট—যেকোনো কনটেন্ট তখনই দর্শকপ্রিয় হয়, যখন এর চিত্রনাট্যে থাকে নতুনত্ব। চিত্রনাট্যের গুণে একটি সাধারণ গল্পও হয়ে ওঠে অনন্য, মুগ্ধকর। স্বর্ণালি সময় বলতে এখনো সবাই যেমন ঘুরেফিরে গত শতকের সত্তর, আশি ও নব্বইয়ের দশকে ফিরে যায়, তখন কিন্তু গল্পকার-চিত্রনাট্যকারদের কদর ছিল। তাঁদের নামেই নাটক-সিনেমার প্রতি বাড়ত দর্শকের আগ্রহ।

চিত্রনাট্য লিখে অনেকে সম্মানের পাশাপাশি সচ্ছল জীবনও যাপন করেছেন। সেই অবস্থা যে এখন আর নেই, তা বলাই বাহুল্য। একদিকে পেশাদার চিত্রনাট্যকারের সংখ্যা কমছে, অন্যদিকে বাড়ছে ‘একাই এক শ’ পন্থা! অর্থাৎ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গল্প-চিত্রনাট্যের কাজটা সেরে নিচ্ছেন পরিচালক। এতে প্রযোজক খুশি, কারণ বাজেট কমছে।
কিন্তু সামগ্রিক অর্থে যে অবনতি হচ্ছে, তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই কারো। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে একটি চলচ্চিত্র বা নাটকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ অর্থাৎ গল্প-চিত্রনাট্য যাঁর সৃষ্টি, তিনি অধিকতর অবহেলিত, বঞ্চিত হন। মর্যাদা তো দূরের কথা, কখনো কখনো সম্মানি পর্যন্ত মেলে না, আবার কখনো নামটাই হয়ে যায় উধাও। আবার অনেকে লিখছেন বটে, কিন্তু তা নাটক, সিনেমা নাকি ওয়েব কনটেন্ট, সম্ভবত তিনি নিজেও পরিষ্কার নন।

এসব সংকটের ভিড়েও সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বিশেষ করে ওটিটি প্ল্যাটফরমগুলোতে যেসব কনটেন্ট আসছে, সেগুলোর জন্য দীর্ঘ সময় নিয়ে গবেষণা করে লেখা হচ্ছে চিত্রনাট্য। এতে চিত্রনাট্যের মান যেমন বাড়ছে, সম্ভাবনাও হচ্ছে প্রকট। চার চিত্রনাট্যকারের সঙ্গে কথা বলে সার্বিক হাল-হকিকত জানার চেষ্টা করেছেন কামরুল ইসলাম।
চিত্রনাট্যের কদর বাড়বে কবে

নাটক যেভাবে চলছে—বাজেট, আয়োজন সব মিলিয়ে হয়তো প্রয়োজনও হয় না। তবে চিত্রনাট্য লেখার আলাদা যে ধারা তৈরি হয়েছে, সেটা আশাব্যঞ্জক। ওটিটিতে যারা লিখছে, তারা গবেষণা করে, নতুন ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। সমালোচনা থাকতে পারে, তবে আমার মতে ইতিবাচক দিকটাই বেশি। টেলিভিশনে ডিটেইলে কিংবা নিজের ইচ্ছামতো কাজ করার সীমাবদ্ধতা আছে; যেহেতু ড্রয়িংরুম মিডিয়া, পরিবারের সবাই মিলে দেখে। ওটিটিতে সেই স্বাধীনতা পাওয়া যায়। টিভিতে যেমন আমি আঞ্চলিক ভাষার একটি নাটক করলাম, সেটা খুব জনপ্রিয় হলো। এরপর ওটারই শর্টকাট রাস্তা খোঁজে অনেকে। ওই গল্প কিংবা গল্পের কোনো চরিত্র নিয়ে এদিক-সেদিক করে নাটক বানিয়ে ফেলল! এই নকলবাজি করে আসলে হয় না। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং তার সতীর্থরা একটা ধারা শুরু করেছিল, আবার আমরা গ্রামীণ গল্পের নাটকের একটা ধারা নিয়ে এলাম। তখন টেলিভিশনের দুয়ার খুলে গেল, বিটিভির পাশাপাশি অনেক চ্যানেল পেলাম। কাজের সুযোগ হলো। নতুন ভাবনাও তুলে ধরলাম। আরেকটা বিষয় হলো, এখনকার নাটক দিনশেষে ইউটিউবে যাচ্ছে। ফলে অনেকের মধ্যেই ভিউ বাড়ানোর চিন্তা। এখন চিত্রনাট্য লেখার সময়ই যদি ভাবেন, ভিউয়ের জন্য লিখব, তাহলে আসলে চর্চাটা থাকে না। চিত্রনাট্যকার কিংবা নাট্যকার হিসেবে আগে হুমায়ূন আহমেদ, আবদুল্লাহ আল মামুন, মামুনুর রশীদ, ইমদাদুল হক মিলনের মতো মানুষদের চিনতাম। তাঁদের পরে অনেকে হয়তো মাসুম রেজা কিংবা আমার নাম বলেন। কিন্তু এখন কি এমন কেউ আছেন, যাঁকে নাট্যকার হিসেবে স্বতন্ত্রভাবে চেনা যায়? আলাদা কিছু না করতে পারলে স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি হবে না। টেলিভিশনের বাজেট তো একদম তলানিতে। ফলে সম্মানিও তেমনই। আমরা যারা সিনিয়র, তাদের মোটামুটি চলে যায়। জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী বাদে অন্য সবার অবস্থা হলো—কাজ করলে আছি, না করলে নেনই। চিত্রনাট্যকারদের অবস্থাও তেমনই। নতুনদের অনেকে অভিযোগ করেন, সম্মানি পান না ঠিকঠাক। অনেকের নামও উল্লেখ করা হয় না। জাতিগতভাবে আমরা অন্যের মেধা বা সাফল্যকে স্বীকৃতি দিতে চাই না। ব্যক্তিগতভাবে আমি এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হইনি। আমি হয়তো ভাগ্যবান। আর ভালো ভাবনা নিয়ে, সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে কেউ যদি লিখতে চান, খুব বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না, এটা নিশ্চিত। কেউ যদি অর্থই চান, সেটার পথও খোলা আছে। সে ক্ষেত্রে শুধু টাকাই অর্জন হবে, নাম-যশ আসবে না। আমি মনে করি, লেখালেখির ক্ষেত্রে অর্থ ও সম্মান দুটি একসঙ্গে হয় না।

শুধুই চিত্রনাট্য লেখেন, বাংলাদেশে এ রকম মানুষের খুব অভাব। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, পরিচালক নিজেই কাজটি করেন। আবার অন্য কাউকে দিয়ে কিছুটা চিত্রনাট্য করিয়ে তাঁর সঙ্গে নিজের নাম যুক্ত করে দেন পরিচালক। ফলে বাংলাদেশে চিত্রনাট্যকার ব্যাপারটাই পরিষ্কার নয়। সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’ ছবির চিত্রনাট্য আমি লিখেছি এবং শুধু আমার নামটিই চিত্রনাট্যকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। চিত্রনাট্যের সম্মানি নির্ভর করে নানা বিষয়ের ওপর। তবে আমার মতে, চিত্রনাট্যকারদের ন্যূনতম সম্মানি হওয়া উচিত দুই লাখ টাকা। সম্ভাবনা নিয়ে বললে, আমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রনাট্যের ওপর পড়াই। অনেকের মধ্যেই আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। যদিও বেশির ভাগের ঝোঁক ফিল্মমেকিংয়ে। তবে আলাদা করে চিত্রনাট্য লিখতে চায়, এমনও অনেক আছে। আর নতুনদের জন্য জায়গা সব সময় খোলা। যিনি চিত্রনাট্য করবেন, তাঁর নিজস্ব সৃজনশীলতা, নিষ্ঠা ও ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে তিনি কতটুকু এগোতে পারবেন।

এখন কাজ একটু কম। ফলে চিত্রনাট্যকাররা বিপদেই আছেন। আর যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের মধ্যে কোনটা চলচ্চিত্র, কোনটা নাটক, কোনটা ওয়েব কনটেন্ট—এসব গুলিয়ে ফেলছেন। যেটাকে আমরা সিনেমা বলছি, সেটা আদৌ সিনেমা হচ্ছে না; যেটাকে সিরিজ বলা হচ্ছে, সেটা আদতে ধারাবাহিক নাটক হয়ে যাচ্ছে! যেহেতু কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জায়গা নেই, ফলে নতুন চিত্রনাট্যকাররা এগুলোর পার্থক্য করতে পারছেন না। প্রতিটি দৃশ্যমাধ্যমের গুরুত্ব ও পরিধি সম্পর্কে জানা জরুরি। এ ক্ষেত্রে কিছু কর্মশালা থাকলে ভালো হতো। যেমন—আমি বঙ্গর সঙ্গে কাজ করেছি ২০১৯ সাল পর্যন্ত, শুধু শেখার জন্য—ওয়েব সিরিজ কী, ওয়েব ছবি কী? একজন চিত্রনাট্যকারকে অবশ্যই নির্দেশনা জানতে হবে। তিনি কোন দৃশ্য কেমন চান, কিভাবে দৃশ্যটা ধারণ করা হবে, সেটা জানা জরুরি। এখানে চিত্রনাট্যকারদের সম্মানি পর্যাপ্ত নয়। ধরুন, ‘বরবাদ’ ছবির বাজেট প্রায় ২০ কোটি টাকা। সেখান থেকে চিত্রনাট্যকারকে কতই বা দিচ্ছেন? পুরো বাজেটের ১ শতাংশও চিত্রনাট্যকারের জন্য বরাদ্দ থাকে না। একটি ভালো দিক আছে, চিত্রনাট্যকাররা টাকা আগেই পেয়ে যান। বেশির ভাগ সময়ই টাকার অঙ্কটা খুব কম। আমরা যারা সিনিয়র, তাদেরই অনেক ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হয়। নবীনদের কী অবস্থা, বোঝেন! চিত্রনাট্য লেখাকে পেশা হিসেবে নেওয়া আমাদের দেশে এখনো খুব রিস্কি ব্যাপার। যদি একটি কমন প্ল্যাটফরম থাকত, তাহলে সংকটের কিছুটা সমাধান আসত। সিনেমার চিত্রনাট্যকারদের একটি সংগঠন আছে—ফোয়াব; নাটকেরও আলাদা সংগঠন আছে। তবে সম্মিলিত একটি প্ল্যাটফরম থাকা দরকার, যেখান থেকে চিত্রনাট্যকারদের বিভিন্ন গ্রেড করা হবে। সেই গ্রেড অনুসারে তাঁরা সম্মানি চাইতে পারবেন।

একসময় নাট্যকারদের নামেই নাটক দেখতাম আমরা। এখন সেই চিত্র নেই। এমন অনেক দর্শকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে যিনি ভাবতেন, অভিনেতা যে সংলাপটি বলছেন এটি বুঝি তাঁরই লেখা। একজন নাট্যকার যে ঘটনাক্রম সাজিয়ে চিত্রনাট্য দাঁড় করান, এটা তাঁরা জানেনই না। একবার ঘুরতে গিয়ে হোটেলে উঠেছি। যখন বললাম, আমার পেশা নাট্যকার। তিনি বুঝলেন না। আরেকটু সহজ করে বললাম, লেখক। বললেন, দলিল লেখক? বুঝতে পারছেন চিত্রনাট্যকারদের সার্বিক অবস্থা! সাধারণের কথা বাদ দিই, নাটকের লোকজনের মধ্যেও চিত্রনাট্যকারের ব্যাপারে এক ধরনের উদাসীনতা দেখি। কিছুদিন আগে এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী আমার লেখা নাটক থেকে পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচালক, চিত্রগ্রাহক থেকে শুরু করে কয়েকজনকে কৃতজ্ঞতা জানালেও নাট্যকারের নাম সেখানে অনুপস্থিত। অথচ একটি নাটকের স্রষ্টা চিত্রনাট্যকার। তাঁরা বলেন, ভালো গল্প পেলে কাজ করেন। ভালো গল্পটি যিনি লেখেন, তাঁকে সম্মান দিতে কুণ্ঠা দেখে অবাক হই। তাই বলি, সম্মানির আগে সম্মান দেওয়াটা জরুরি। সম্মানির বিষয়টি আসলে আপেক্ষিক। প্রথমত একজন চিত্রনাট্যকারের মেরুদণ্ড থাকাটা খুব দরকার। কারণ তিনি চিত্রনাট্যের মাধ্যমে একটি দর্শন প্রকাশ ও প্রচার করেন। সেটা মূল্যায়নের মাধ্যমেই তাঁর সম্মানি নির্ধারিত হয়। বিনয়ের সঙ্গে বলছি, প্রায় ২০ বছর ধরে লিখছি। আমি বলব, অবশ্যই মোটামুটি সচ্ছল জীবন যাপন করা সম্ভব। তবে নিত্যনতুন ভাবনা নিয়ে কাজ যথেষ্ট কঠিন। আমরা আশা করি ভালো গল্প, কিন্তু চিত্রনাট্যকারকে যে যথার্থ মূল্যায়ন ও সম্মানি দেওয়া দরকার, সেটা হয় না। এত সস্তায় পৃথিবীর কোথাও চিত্রনাট্য পাওয়া যায় না।

সূত্র: কালের কন্ঠ




মেহেরপুরে বিএনপি নেতা কামরুল হাসানের ব্যক্তি উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ‍্যাড. কামরুল হাসানের ব্যক্তি উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

“এসো দূর করি শীতার্ত মানুষের কষ্টের কালো রাত, তাদের হাতে রাখি সহানুভূতির আপন হাত” স্লোগানে বৃহস্পতিবার (১৬ই জানুয়ারি ) সকাল ৯ টার দিকে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের টিএনটি রোডের সামনে মন্ডল পাড়া এলাকায় পাঁচ শতাধিক মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা।

জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি রুহুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস‍্য সচিব অ‍্যাড. কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ।

এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুমানা আহমেদ, জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি ছাবিহা সুলতানা, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজি মিজান মেনন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মিন্টু প্রমুখ।

এছাড়াও এসময় জেলা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, জেলা যুবদলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনি, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি নাহিদ মাহাবুব সানি, জেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, মোঃ রাকিবুল ইসলাম সজল, ছাত্রনেতা সৌরভ হোসেন, সজীব রেমীম , চঞ্চল, পৌর ছাত্রনেতা ফুর্তি হাসান, নাহিদ আহমেদ, জনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে হার পাওয়ার প্রকল্পের স্থানীয় পর্যায় কর্মশালা

মেহেরপুরে হার পাওয়ার প্রকল্পের স্থানীয় পর্যায় কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার (১৫ই জনুয়ারি) সকালে দশটার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ৬ মাস মেয়াদী কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়।

জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজী মূয়ীদুর রহমান, সদর উপজেলায় আইসিটি কর্মকর্তা সুব্রত কুমার বিশ্বাস, হার পাওয়ার প্রকল্পের সহকারী প্রোগ্রামার এনাম আহমেদ, প্রশিক্ষনার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস, কানিজ ফাতেমা, ফেরদৌস সুবর্ণা নাসরিন প্রমূখ।