জীবননগর উপজেলাকে ভূমিহিন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষনা সংক্রান্ত যোথ সভা

জীবননগর উপজেলাকে ভ’মিহিন ও গৃহহিনমুক্ত ঘোষনা সংক্রান্ত যোথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টার সময় জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকুনুজ্জামানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাফিজুর রহমান,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূ’মি তিথি মিত্র, জীবননগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আর বাবু, জীবননগর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জাহিদ বাবু, সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন,বাকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ শাহ, আন্দুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার প্রমুখ ।




জীবননগরে ডাঃ জাহাঙ্গীর আলমের লেখা দুইটি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ জাহাঙ্গীর আলমের লেখা কোকেন কান্ডে কিংস কাইট,তিন গোয়েন্দা ও ভোরের পাখি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়েছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় জীবননগর প্রেস ক্লাবের আয়োজনে প্রেস ক্লাব ভবনে এ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়।

জীবননগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আর বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে তিনটি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন জীভননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকুনুজ্জামান, জীবননগর পৌর মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার, সিনিয়ার সাংবাদিক কামাল সিদ্দিক বাবু, জীবননগর সাংবাদিক সমতিরি সভাপতি জাহিদ বাবু, জীবননগর প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক কাজী শামসুর রহমান চঞ্জল, সাংবাদিক সালাউদ্দিন কাজল, মুন্সী রায়হান উদ্দিন, মাজেদুর রহমান লিটন, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম, পৌর কাউন্সিলার খোকন হোসেন, শিল্পী রানা, কবি আজিজুর রহমান প্রমুখ।

উক্ত অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন সাংবাদিক মিঠুন মাহমুদ ।




জীবননগরে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

জীবননগরে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার ৭ম প্রতিষ্ঠিাবার্ষিকী পালন হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার জীবননগর প্রতিনিধি মহিবুল ইসলাম মুকুলের আয়োজনে জীবননগর প্রেস ক্লাবে কেক কাটার মধ্যে দিয়ে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়।

জীবননগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আর বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকুনুজ্জামান, জীবননগর পৌর মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার, সিনিয়ার সাংবাদিক কামাল সিদ্দিক বাবু, জীবননগর সাংবাদিক সমতিরি সভাপতি জাহিদ বাবু, জীবননগর প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক কাজী শামসুর রহমান চঞ্জল, সাংবাদিক সালাউদ্দিন কাজল, মুন্সী রায়হান উদ্দিন, মাজেদুর রহমান লিটন, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম, পৌর কাউন্সিলার খোকন হোসেন, শিল্পী রানা, কবি আজিজুর রহমান প্রমুখ।




জীবননগরে ৬ ইউপি নির্বাচন ৯ প্রাথী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

আগামী ১৬ মাচ জীবননগর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন। এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া আওয়ামীলীগের ৩ নেতাসহ ৬সদস্য তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়িয়েছেন।

সোমবার জীবননগর উপজেলা নিবাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে।

আগামি ১৬মাচ জীবননগর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন নিবাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন, মনোহরপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রাথী মোঃ রাজা মিয়া, উথলী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রাথী ফৈরদৌস লিমন ও বাকা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান মোঃ শামীম হোসেন এছাড়াও মনোহরপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়াডের মেম্বার প্রাথী আবু সাঈদ কে ডি কে ইউনিয়নের ৩নং ওয়াডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জোসনা খাতুন, ৩নং ওয়াডের মেম্বার প্রাথী আঃ হান্নান, ৪নং ওয়াডের মেম্বার প্রাথী মোঃ বাবলু ,বাকা ইউনিয়নের ১নং ওয়াডের মেম্বার প্রাথী হাফিজুর রহমান, হাসাদহ ইউনিয়নের ৯নং ওয়াডের মেম্বার প্রাথী বোরহান উদ্দিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন থেকে স্বতন্ত্র প্রাথী নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর কারনে বর্তমানে নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ২৮ জন।

প্রার্থীরা হলেন কে ডি কে ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রাথী মোঃ খাইরুল বাশার শিপলু, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ রাজিব হোসেন, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ মুহিবুল হক, মনোহরপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রাথী মোঃ সোহরাব হোসেন খান, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ কামরুজ্জামান, ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রাথী মোঃ আবু নাঈম, উথলী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রাথী মোঃ আব্দুল হান্নান, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ আবুল কালাম আজাদ, স্বতন্ত্র প্রাথী আফজালুর রহমান ধীরু, হাসাদহ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রাথী মোঃ রবিউল ইসলাম বিশ্বাস, স্বতন্ত্র প্রাথী সোহরাব বিশ্বাস, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ মতিয়ার রহমান, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ আলম, রায়পুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রাথী মোঃ তাহাজ্জদ মিজা, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ আব্দুর রশিদ শাহ, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ সাজ্জাদ বিশ্বাস, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, বাকা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রাথী আব্দুল কাদের প্রধান, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ শাহাববুদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রাথী মাওলানা মোঃ হাফিজুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রাথী আবুল কাশেম, স্বতন্ত্র প্রাথী রাজা মালিতা।

জীবননগর উপজেলা নিবাচন অফিসার মোঃ মেজর আহম্মেদ বলেন, আগামী ১৬ মাচ জীবননগর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই নিবাচন অবাধ সুষ্ঠ নিবাচন হবে। ইতোমধ্যেই ৩জন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রাথী সেচ্ছায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রাথীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হবে।




দামুড়হুদায় মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার বার্ষিক মতবিনিময় সভা

নারীর প্রতি সহিংসতা কমিয়ে এনে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা, বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলাসহ নির্যাতিত নারীদের দির্ঘদিন ধরে আইনি সহায়তা দিয়ে আসছে মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা। এরই ধারাবাহিকতায় দামুড়হুদায় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার বার্ষিক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি (অপারেশন) শফিউল আলম, জুড়ানপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সাইফুন নাহার ইপসি, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার হোসেন বকুল, ব্র্যাকের এরিয়াম্যানেজার শংকর মহাজন, সিডিও’র সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সদস্য জয়িতা নাজমা খাতুন প্রমুখ।

শুরুতেই প্রকল্পের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন সংস্থার সহ-সমন্বয়কারী ফরহাদ আলী খান। সংস্থার সার্বিক কার্যক্রম বিষয়ে আলোকপাত করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী উম্মে সালমা। বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংস্থার প্রকল্প কর্মকর্তা দিল তৌহিদা পারভীন।

সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সংস্থার অফিস সহকারী হাবিবুর রহমান।




দামুড়হুদায় পুনর্বাসন সম্পর্কিত যৌথ সভা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদায় ভূমিহীন-গৃহহীন (ক-শ্রেণী) পরিবারের শতভাগ পুনর্বাসন সম্পর্কিত যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার সময় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের শতভাগ পুনর্বাসন সম্পর্কিত যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা বেগম। সভায় স্বগত আলোচনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি অপারেশন সাইফুল আলম, পার কৃষ্ণপুর মদনা ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, জুড়ানপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আ: করিম, কুড়ালগাছি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন,নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী,নাটুদাহ ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান তোতা, হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দিন, প্যানেল চেয়ারম্যান (২) শহিদুল ইসলাম, সদর ইউপি সদস্য ও দামুড়হুদা উপজেলা সিআইজি কৃষক সংগঠনের সভাপতি সামসুল ইসলামসহ সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




কোটচাঁদপুরে পানির কারখানায় অভিযান ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

কোটচাঁদপুরে পানির কারখানায় অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। তিন প্রতিষ্টানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা, বন্ধ করা হয়েছে একটি। সোমবার কোটচাঁদপুর শহরে এ অভিযান চালানো হয়।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর পৌর শহরে কয়েক জন অসাধু ব্যক্তি ফ্রেস পানির নামে অবৈধ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে, তাদের ব্যবসা করে আসছিল। গতকাল সোমবার ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালান কোটচাঁদপুর ব্রীজঘাট হালদার পাড়ার এস এম নুরুল আমীনের আলামিন টেড্রিংয়ের বিশুদ্ধ পানি সাপ্লাই, কলেজ বাসস্ট্যান্ডের আক্তার হোসেনের মিরর ডিংকি ওয়াটার ও হাইস্কুল সড়কের রুহুল আমীনের কোটচাঁদপুর ফ্রেস পানির কারখানায়।

এ তিনটি পানির কারখানাকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। আর বন্ধ করে দিয়েছেন আলামিন ট্রেডিংয়ের ব্যাটারির পানির কারখানাটি।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহের ভোক্তাধিকারের সহকারি পরিচালক মামুনুল হাসান, কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিট্যারি ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান সহ সঙ্গীয় পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খান মাসুম বিল্লাহ বলেন, ভোক্তাধিকারের ৩৭ ধারা অনুযায়ী কোটচাঁদপুরেন তিনটি পানির কারখানাকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে একটি ব্যাপারির পানির কারখানা।

তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে এ জরিমানা করা হয়েছে। এরপরও তারা সংশোধন না হলে, পরবর্তীতে জরিমানা সহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়া হবে।




গাংনীতে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা সংস্কারের অভিযোগ

মেহেরপুরের গাংনীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নে আইআরডি-৩ প্রকল্পে সড়ক সংস্কার কাজের নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার করমদী হতে কল্যানপুর কালিতলা পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যায়ে দেড় (১.৫) কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গার মেসার্স আরএম ব্রিক্স।

জানাগেছে, অনিয়মের অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হয় কাজ। প্রাইম কোড দিলেও নিয়ম না মেনেই সময়ের আগেই কার্পেটিং শুরু করেছে। প্রাইম কোড দেওয়ার পরে ট্যাগকোড দেওয়ার নির্শনা থাকলেও তা সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে না। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাস্তার দুই পাশের কাটা মাটির মিশ্রিত বালি দিয়ে বক্স না করেই নিম্নমানের ইট, খোয়া ও কার্পেটিংয়ে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে রাস্তায়। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করে দিলেও তিনি স্থান ত্যাগ করলেই আবরও কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বিটুমিন ও পাথরের মিশ্রন ঠিক হয়নি তাই মালামাল সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন মেহেরপুর এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী নিঝুম আফরিন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গাংনী উপজেলায় উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকার বছর বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রকল্প গুলোতে নিম্নমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহারের ফলে কিছু দিনের মধ্যেই রাস্তাটি ভেঙ্গে জলে যাচ্ছে সরকারি টাকা। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে এসব সড়ক। ফলে দূর্ভোগের শিকার হতে হয় এলাকাবাসীদের।
স্থানীয় যুবক শামীম হোসেন জানান, রাস্তার কাজে অনিয়মের শেষ নেই। নিম্নমানের পিচ, পাথর দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাস্তা।

তিনি আরো বলেন, বিটুমিন মেশানোর মেশিনের কালো ধোঁয়ায় আমার ১৭দিন বয়সী শিশুর শ্বাসকষ্টসহ আশেপাশে মানুষের অনেক সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করতে মাহস করেনি।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী শিশির আহাম্মেদ জানান, বিটুমিনে অতিরিক্ত তাপ হওয়ার কারনে কিছুটা সমস্যা হয়।পরে ওই বিটুমিন অপসারণ করে নতুন বিটুমিন দিয়ে কাজ চলছে।

তেতুঁলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস জানান, আমি গত তিনদিন আগে রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। একদমই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে।

গাংনী উপজেলা এলজিডির প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন জানান, রাস্তাটি সকালে আমি পরিদর্শন করে এসেছি। তাদেরকে ট্যাগ কোড দিতে বলা হয়েছে। তারা যদি সঠিক কাজ না করে তাহলে আমি কাজ বন্ধ করে দিব।

মেহেরপুর এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি টিম পরিদর্শন করে এর সত্যতা পেয়েছে। বিটুমিনের যে পরিমাণ তাপমাত্রা দেওয়ার কথা ছিল তার থেকে অধিক পরিমাণ তাপমাত্রা দেওয়াই বিটুমিনগুলোকে ফেলে দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।




গাংনীতে ওরিয়েন্টশন কর্মশালা স্বাক্ষরে সীমাবদ্ধ!

ওরিয়েন্টেশনে আমন্ত্রিত অতিথীরা অনুষ্ঠানে আসলেন স্বাক্ষর করলেন সম্মানী নিয়ে কাজের অজুহাতে অনুষ্ঠান ত্যাগ করলেন। এমনি চিত্র দেখা গেছে গাংনীতে আয়োজিত ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিজএবিলিটিজ (এনএএএনডি) এর আয়োজনে কর্মশালা।

সোমবার দিন ব্যাপি এ কর্মশালার আয়োজন করে গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।

জানাগেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম এন্ড নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিজএবিলিটিজ (এনএএএনডি) এর আয়োজনে কর্মশালার আয়োজনের জন্য গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে পত্র প্রেরণ করেন।

পত্রে সরকারি কর্মকর্তা, যুব প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রতিনিধি, অটিজম শিশুর অভিভাবক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, স্কাউট, রেডক্রিসেন্ট, রোভার ও মসজিদের ইমামদের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হয়। যার বরাদ্দ দেয়া হয় এক লাখ চার হাজার টাকা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসার প্রজ্ঞাপন উপেক্ষা করে স্বীয় ইচ্ছায় অতিথী আমন্ত্রন করেন। সেখানে ঈমাম ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কোন কর্মীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের উপস্থিতি ছিল না। তিনি নিজের পছন্দের একজন যুব প্রতিনিধি তৈরী করেছেন। বিভিন্ন সরকারী অফিস ও জনপ্রতিনিধিরা কাজের অজুহাতে নাস্তা ও সম্মানীর প্যাকেট নিয়ে অনুষ্ঠান ত্যাগ করেন। সকাল ৯ টা থেকে কর্মশালা শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলার নিয়ম থাকলেও কর্মশালা শুরু হয় সকাল ১১ টায়। আর শেষ হয় দুপুর ২ টার সময়। প্রশিক্ষক ৫জন থাকার কথা থাকলেও প্রশিক্ষক ছিল মাত্র একজন। অথচ সম্মানী পাঁচ জনেরই দেখানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে মীর হাবিবুল বাসার জানান, প্রতিটি অফিসের কর্মকর্তা নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত আর জনপ্রতিনিধিরাও কাজে ব্যস্ত থাকায় কর্মশালায় পুরো সময় দিতে পারেন নি। আবার অনেকেই এসে স্বাক্ষর করেছেন। কারো কিছু বলার থাকে না। তাছাড়া প্রশিক্ষক যোহর নামাজের বিরতী না নিয়ে টানা প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মশালা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এটি কোন নিয়মের মধ্যে পড়ে কি না জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।




দর্শনায় তিন প্রতিষ্ঠানকে ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা

দর্শনায় পৃথক স্থানে চুয়াডাঙ্গা জেলা ভোক্তাঅধিকার অভিযান পরিচালনা করে ৩ প্রতিষ্ঠানে ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে পরিচালিত এ অভিযানে মুদিখানা, পোল্ট্রি ফিড, ঔষধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয় কর্তৃক দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পুরাতন বাজার ও রুদ্রনগর এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়।

এ অভিযানে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের রুদ্রনগর এলাকায় মেসার্স সোহাগ স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকিকালে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য (পোল্ট্রি ফিড, কীটনাশক ও খাদ্যপণ্য) বিক্রয় ও প্রতিষ্ঠানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোহাগ রানাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৩৮ ও ৫১ ধারায় ১৫ হাজার টাকা, একই এলাকায় মেসার্স লিমা স্টোরের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রতিষ্ঠানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরবর্তীতে দর্শনা পুরাতন বাজার এলাকায় মেসার্স মীম পোল্ট্রি কর্ণার নামক ডিলার প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় প্রতিষ্ঠানে মুরগি ও প্রাণীর মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ, ভিনেগার প্রদর্শন ও বিক্রয় করার অপরাধে মালিক মেহেদী হাসানকে ৫১ ধারায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ অভিযান পরিচালনা কালে অভিযুক্ত সবাইকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য জনসম্মুখে নষ্ট করা হয়।

পরবর্তীতে উপস্থিত জনসাধারণকে এ সকল বিষয়ে সচেতন ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।

এসময় তিনি বলেন জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।

অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন দর্শনা থানা পুলিশের একটি টিম।