মেহেরপুর পৌরসভার ৯ ও ২ নং ওয়ার্ডের সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

মেহেরপুর পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড ও ২ নম্বর ওয়ার্ডে ড্রেন ও কংক্রিট রাস্তার উদ্বোধন করা হয়। আজ রবিবার বিকেলে উদ্বোধনের সময় মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন মেহেরপুর পৌরসভাকে যারা বিগত দিনে এই উন্নয়নকে বাধা গ্রস্ত করেছে মেহেরপুর পৌরবাসীকে পিছিয়ে রেখেছে আজকে সেই সমস্ত কালো ছায়া থেকে ইনশাল্লাহ আমরা আলোর পথে পা রেখেছি।

তিনি আরো বলেন আগামী দুই বছরের ভেতর মেহেরপুর পৌরবাসীর কোন রাস্তা কোন ড্রেন চাওয়া পাওয়া থাকবে না ইনশাআল্লাহ সব কমপ্লিট হবে।

মেহেরপুর পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী (সিভিল) আবুহেনা মোস্তফা কামাল বলেন মেহেরপুর পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড আলিয়া মাদ্রাসা পাড়ায় ড্রেন সহ কংক্রিট রাস্তার দৈর্ঘ্য ২০৫ মিটার ও মেহেরপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থানা রোডে ড্রেন ও কংক্রিট রাস্তার দৈর্ঘ্য ৮২ মিটার এর উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌরসভা ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সদর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, মেহেরপুর পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল রানা ডলার, ৭ ও ৮ এবং ৯ নাম্বার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রোকসানা কামাল, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম, মহাজনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান নান্নু, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বাসিন্দা এডভোকেট আব্দুল জব্বার সহ বিভিন্ন নেতা কর্মীর উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগরে অজ্ঞাত লাশের পরিচয় মিলেছে

মুজিবনগরে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত মরদেহের ব্যক্তির নাম সোহেল রানা। সে মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের ইমাদুল হকের ছেলে।

মুজিবনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমারের ফেইসবুকে এই অজ্ঞাত ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করার পর সোহেল রানার পরিবারের লোকজন মুজিবনগর গিয়ে পরিচয় সনাক্ত করেন।

এসআই উত্তম কুমার বলেন, দারিয়াপুর কবরস্থানে অজ্ঞাত হিসেবে দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। কবর খোড়া হয়ে গিয়েছিল। এসময় তার পরিবারের লোকজন এসে সনাক্ত করেন। বুড়িপুতা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর ইমাদুল হক, তার পিতা ইমাদুল ইসলামসহ পরিবারের অন্যান্য লোকজনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

পরিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে উত্তম কুমার বলেন, সোহেল রানা বহুবিদ প্রতিবন্ধী। গতকাল শনিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে যায়নি।

এঘটনায় মুজিবনগর থানায় একটি অপমৃত্য দায়ের করা হয়েছে।




যাতায়াত অবস্থান রেকর্ড রাখছে আইফোন

‘নিয়মিত যাতায়াত করেন এমন সব জায়গার একটি গোপন তালিকা রাখে আপনার আইফোন। অর্থাত্, ঘনঘন যাওয়া সমস্ত অবস্থান যেমন, আপনার কাজের ক্ষেত্র, প্রিয় রেস্টুরেন্ট কিংবা নিয়মিত আড্ডাস্থলের গোপন তালিকা আছে আপনার আইফোনের কাছে।

আইফোনের এই ফিচারটিকে বলা হয় ‘সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস’। যদিও কিছু আইফোন ব্যবহারকারী মনে করেন এটি বেশ কাজের। আবার অনেকে মনে করেন এটি ব্যাক্তিগত নিরাপত্তার জন্যে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস ফিচারটি সম্পর্কে; এটি কীভাবে কাজ করে এবং এটি নিয়ে চিন্তার কিছু আছে কি না।

আইওএস-এর সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস ফিচার আসলে কী?
সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস নামটি থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এটি আপনার গুরুত্বপূর্ণ সব অবস্থানগুলো খোঁজ রাখে। অর্থাত্, এই ফিচারটি আপনার প্রায়শই যাওয়া হয় এমন সমস্ত স্থানের একটি তালিকা রাখে। যাতে করে আপনি কোন কোন জায়গায় যেতে পছন্দ করেন, তার ওপর ভিত্তি করে আইফোন আপনাকে প্রাসঙ্গিক তথ্য এবং পরামর্শ প্রদান করতে পারে।

আপনি একটি নির্দিষ্ট দিনে কোথায় যাবেন তা অ্যাপল সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস ফিচারের মাধ্যমে অনুমান করার চেষ্টা করে। আপনি যদি প্রতি শনিবার কোনো আত্মীয়ের বাড়িতে যান, তাহলে আপনি দেখতে পাবেন সেই অবস্থানটি ওই দিনের জন্য আপনার অ্যাপল ম্যাপের সাজেশনসের শীর্ষে রয়েছে। পাশাপাশি আপনি সেই অবস্থানের ট্র্যাফিক এবং আবহাওয়া সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিও পেতে পারেন।

যেভাবে কাজ করে
সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস আপনার আইফোনে জিপিএস ব্যবহার করে কাজ করে। এই জিপিএসের সাহায্যে এটি আপনার কর্মস্থলের মতো ঘন ঘন অবস্থান করা জায়গাগুলোকে ট্র্যাক করতে পারে।

এটি এমন জায়গাগুলোও খুঁজে বের করতে পারে যেগুলোয় আপনি ঘন ঘন যেতে চাইবেন, যেমন ধরুন আপনার প্রিয় রেস্তোরাঁ বা আত্মীয়ের বাড়ি। আপনি কোনো একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে কতবার যাচ্ছেন এবং কত সময়ের জন্য থাকছেন তার ওপর ভিত্তি করে অ্যালগরিদমটি এটি নির্ধারণ করে। এটি করার জন্যে আপনাকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে না এবং এটিও আপনাকে কোনো প্রকার বিজ্ঞপ্তি দেবে না। যা হওয়ার সব ব্যাকগ্রাউন্ডে সয়ংক্রিয়ভাবে হবে।

যেভাবে সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস দেখবেন এবং বন্ধ করবেন
আপনার আইফোনের সেটিংস অপশনে এটি পাবেন। আপনি যদি আপনার অবস্থানগুলোর তালিকা দেখতে চান এবং এটি বন্ধ করতে চান তাহলে, সেটিংস > প্রাইভেসি > লোকেশন সার্ভিসেস > সিস্টেম সেটিংস > সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস-এ যান

সেখানে আপনি আপনার সাম্প্রতিক রেকর্ডগুলো দেখতে পারবেন। আপনি একটি নির্দিষ্ট স্থানে কতক্ষণ ছিলেন এবং সেই অবস্থানটির নাম আপনার ম্যাপস অ্যাপে আছে কি না তা আপনি দেখতে পারবেন। মোট কতগুলো রেকর্ড আছে তাও আপনি দেখতে পারবেন।

পৃষ্ঠার নীচে ক্লিয়ার হিস্ট্রিতে ট্যাপ করে আপনি চাইলে আপনার সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনগুলো মুছে ফেলে আবার নতুন করে শুরু করতে পারবেন। আর আপনি যদি এটি বন্ধ করতে চান, তাহলে একবারে ওপরের সবুজ বোতামটি টগল করুন।

সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস কী নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ?
অ্যাপলের তথ্য অনুসারে, সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস তথ্যগুলো ব্যক্তিগত রাখতে উন্নত এনক্রিপশন ব্যবহার করে। তাদের মতে, এমনকি অ্যাপলও আপনার অবস্থান দেখতে পারে না। অ্যাপল দাবি করে, আপনার কাছে কোন অবস্থানগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা জানার জন্য আইফোন এটি করে।

এ ছাড়া অবস্থানগুলো শুধু আপনার ডিভাইসে সংরক্ষিত করা হয়। আই ক্লাউডে করা হয় না। আর আপনি যদি মনে করেন যে, এটি আপনার গোপনীয়তার লঙ্ঘন করছে। তাহলে আপনি চাইলে যেকোনো সময়ই সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস ফিচারটি বন্ধ করে দিতে পারবেন।

তবে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, আপনি চাইলে তো অ্যাপল ম্যাপসে আপনার বাসা, অফিসের ঠিকানার পাশাপাশি আপনার প্রিয় জায়গাগুলোর ঠিকানাও যুক্ত করতে পারেন। তাহলে আলাদা করে এটির প্রয়োজন কী? এর উত্তরে বলা হচ্ছে যে, এর মাধ্যমে আইফোন আপনাকে আরও প্রাসঙ্গিক তথ্য দেখাতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আপনার প্রতিদিনের যাতায়াতের রাস্তা জানার মাধ্যমে, অ্যাপল আপনাকে ট্র্যাফিক বিষয়ক আরও প্রাসঙ্গিক তথ্য দিতে পারে।

যদিও এটি কারও কারও জন্য বেশ সহায়ক। আবার অনেকে মনে করেন এ সব তথ্য ট্র্যাকিং ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তবে আপনি যদি এটি নিয়ে শঙ্কায় ভুগেন, তাহলে আপনি চাইলে এটি বন্ধ করে রাখতে পারেন।

এটি কি বন্ধ করে রাখা উচিত?
এখন পর্যন্ত সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনসকে নিরাপদ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এতে এযাবত্ কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি পাওয়া যায়নি। তবে আপনার আইফোনে যদি কারও এক্সেস থাকে কিংবা কেউ যদি আপনার অজান্তে আপনার আইফোনে প্রবেশ করে, সে ক্ষেত্রে তারা আপনার প্রায়শই অবস্থান করা জায়গাগুলো দেখে ফেলতে পারে। যা একটি গোপনীয়তা এবং ক্ষেত্রবিশেষে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

তবে আপনি যদি এটি নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন, তাহলে যেকোনো সময় সিগনিফিক্যান্ট লোকেশনস বন্ধ করে দিতে পারেন। তাই এটি নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গায় ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ও হুইল চেয়ার বিতরণ 

রুপান্তরের অভিযাত্রায় সবার জন্য নিউরোবান্ধব অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্বগঠন এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় পালিত হলো বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০ টার সময় ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয় ও বেলা ১১টার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমান সরকার অটিজমসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধী ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সরকার প্রদত্ত সেবার মধ্যে অন্যতম।

আমাদের সকল সচেতন জনগোষ্ঠীকে অটিজম বৈশিষ্টসম্পন্ন ব্যক্তিদের স্বার্থ সংরক্ষণে সোচ্চার হতে হবে। মাতৃগর্ভে কিংবা জন্মের পরপর শিশুর অটিজম হওয়ার সম্ভাবনাকে রোধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ, অটিজম বৈশিষ্টসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্রতি সমব্যথী হওয়া এবং তাদের প্রতিভা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করার উপর বক্তারা গুরুত্ব আরোপ করেন।

১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এবং স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গার আয়োজনে অটিজম ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মাঝে ১৩ টি হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সভাপতি জেলা সমাজ কল্যাণ কমিটি মুন্সি আলমগীর হান্নান সহ উক্ত আয়োজনে সমাজসেবা কার্যালয়, চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধিগণ, বিভিন্ন প্রতিবন্ধী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবকবৃন্দ এবং ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।




আইপিএল থেকে ছিটকে গেলেন উইলিয়ামসন

হাটুঁর ইনজুরির কারণে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৬তম আসর থেকে ছিটকে গেলেন গুজরাট টাইটান্সের কিউই ব্যাটার কেন উইলিয়ামসন। চলমান আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে আহমেদাবাদে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ফিল্ডিং করার সময় হাঁটুর ইনজুরিতে পড়া উইলিয়ামসন আসর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

আগামী সপ্তাহেই নিউজিল্যান্ড ফিরে যাবেন এবং নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (এনজেডসি) পরিকল্পনা অনুসারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাবেন উইলিয়ামসন। এক বিবৃতিতে উইলিয়ামসনের ছিটকে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুজরাটের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট বিক্রম সোলাঙ্কি। তিনি বলেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরুতেই ইনজুরির কারণে উইলিয়ামসনকে হারানোটা দুঃখজনক। আমরা তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি ও আশা করি যত দ্রুত সম্ভব সে মাঠে ফিরবে।’

চেন্নাই ইনিংসের ১৩তম ওভারে ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াডের হাওয়ায় ভাসানো শট ডিপ স্কয়ার লেগ বাউন্ডারির সীমানায় লাফিয়ে ছক্কা বাঁচাতে গিয়ে মাটিতে পড়ে হাঁটুতে ব্যাথা পান উইলিয়ামসন। পরে গুজরাট টাইটান্সের মেডিক্যাল স্টাফদের কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার পরিবর্তে ফিল্ডিংয়ে নামেন সাই সুদর্শন। পরবর্তীতে উইলিয়ামসনের জায়গায় ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার নামায় গুজরাট।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে জোড়া হত্যা মামলায় ৯ জনের ফাঁসি রায়

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামের বর্ডার পাড়ায় চাঞ্চল্যকর আবুজেল ও রফিকুল ইসলাম দুই সহদর কে হত্যার দায়ে ৯ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডিতরা হলেন- একই গ্রামের আব্দুল হালিম, আতিয়ার রহমান, জালাল উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, শরিফ হোসেন, দবির উদ্দিন, আজিজুল হক, ফরিদ হোসেন ও মনিরুল ইসলাম মনি। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জালাল উদ্দীন পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরনে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৫ জুন গাংনীর কাজিপুর এলাকায় ফেনসিডিলের একটি বড় চালান ধরা পড়ে। ওই ঘটনায় একই গ্রামের কিয়ামুর্দ্দীনের ছেলে আবুজেল(৩৫) ও রফিকুল ইসলাম(৪০) ফেনসিডিল ধরিয়ে দেওয়ার সঙ্গে তাদের হাত রয়েছে এমন অভিযোগ তোলা হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১২ সালের ১৫ জুন রাতে বিষয়টি মীমাংসা করবে বলে দুই ভাইকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেই আসামিরা। পরদিন সকালে কাজিপুর গ্রামের মন্ডল পাড়া এলাকার ভারতীয় সীমান্ত পিলার ১৪৫ নং/এস-৬ এর কাছ থেকে বাংলাদেশ সীমানার ভেতরে ৭০/৭৫ গজ দক্ষিনে জনৈক লাল্টুর মরিচ ক্ষেত থেকে তাদের দুই ভাইয়ের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরে দুই সহোদর হত্যার ঘটনায় নিহতদের বোন জরিনা বেগম বাদী হয়ে ৩০২ও ৩৪ ধারায় গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। মামলার অপর আসামি আরিফ, রাজিব, আলমেস, হারুন ও ফারুকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে বেকসুর খালাস দেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজী শহিদুল হক এবং আসামি পক্ষে আতাউল হক, এ কে এম শফিকুল আলম এবং কামরুল হাসান আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।

মামলার রায় ঘোষণার পর অতিরিক্ত পিপি কাজী শহিদুল হক বলেন, এটা মেহেরপুরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রায় হলো। এই রায় ঘোষণার মধ্যে দিয়ে আবারো আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মামলার বাদি জরিনা বেগম সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আদালতের এই রায় অনতিবিলম্বে কার্যকরের দাবী জানান তিনি।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।




মুজিবনগরে অজ্ঞাত ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার

মুজিবনগরে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ। রবিবার সকালে উপজেলার সোনাপুর মাঝপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে আজিমদ্দীনে জমিতে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় কৃষকরা। এ সময় তারা মুজিবনগর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ হেফাজতে নেয়।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল আলীম এর উদ্ধৃতি দিয়ে সেকেন্ড অফিসার এসআই উত্তম কুমার জানান, স্থানীয়দের মারফতে খবর পেয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যাই এবং লাশ হেফাজতে নেয়। প্রাথমিক তদন্তে মৃত ব্যাক্তির বয়স ৩০/৩৫ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার কোন আলামত পাওয়া যায়নি স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে হচ্ছে তবে ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ সময় স্থানীয় জনসাধারণকে জিজ্ঞাসা বাদ করেও লাশের পরিচয় উদ্ধার করা যায়নি। তবে তার পোশাক পরিচ্ছদ ও চেহেরা দেখে ধারণা করা হচ্ছে যে মৃত ব্যক্তি ইন্ডিয়া থেকে এসেছে এবয মানসিক ভারসাম্য হীন বা পাগল হতে পারে।

মেহেরপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মুজিবনগর থানা পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে লাশ পোস্টমর্টেম এর জন্য প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে।




আলমডাঙ্গার ওসমানপুরে ৪২ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ আটক ২

আলমডাঙ্গার ওসমানপুর বাজার থেকে ৪২ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ দুজনকে আটক করেছে ফাঁড়িপুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ৮ টার দিকে ফাঁড়িপুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদি ইউনিয়নের ওসমানপুর বাজারের হাসান ট্রেডার্সের সামনে থেকে ওসমানপুর গ্রামের জামাত আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৫) ও মৃত তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মানিক (৩৫)কে আটক করে পুলিশ। তাদের নিকট থেকে ৪২ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ।




মুজিবনগরে গাঁজাসহ পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী আটক

১৫০ গ্রাম গাঁজাসহ নুরুজ্জামান ওরফে আগুন (৩২) নামের এক পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।

নুরুজ্জামান ওরফে আগুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কেদারগঞ্জ এলাকার নতুন বাজার এলাকার মতিয়ার রহমানের ছেলে।

শনিবার ভোররাতের দিকে মুজিবনগর উপজেলার মুজিবনগর-দর্শনা রাস্তার বাগোয়ান গ্রামের মধ্যে থেকে তাকে গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়।

মুজিবনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অতুল জোয়াদ্দার সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।

গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় শনিবার সকালের দিকে ১৯১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এবং ১৯(ক) ধারায় মুজিবনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, নুরুজ্জামান একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে এর আগেও কয়েকটি মাদকের অভিযোগে মামলা রয়েছে।  শনিবার বেলা ১১ টার দিকে আটক নুরুজ্জামানকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় থানায় নতুন ওসি বিপ্লব কুমার নাথের যোগদান

আলমডাঙ্গা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (পরিদর্শক) নতুন ওসি হিসেবে যোগদান করেছেন বিপ্লব কুমার নাথ। এসময় (ওসি) সাইফুল ইসলামকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

নবাগত ওসি বিপ্লব কুমার নাথ আলমডাঙ্গা থানায় যোগদানের পূর্বে তিনি মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানা, শালিখা থানা, ঝিনাইদহ জেলার ঝিনাইদহ সদর থানা, কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া মডেল থানা, যশোর জেলার মনিরামপুর থানা, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানা, আশাশুনি থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ইতোমধ্যে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার বিশেষ শাখার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসির পদে যোগ দেন।  শনিবার সকালে তিনি থেকে আলমডাঙ্গা থানায় আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন।

যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন- জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনের জন্য আলমডাঙ্গা থানা এলাকার সম্মানিত সমগ্র আলমডাঙ্গা বাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন ওসি বিপ্লব কুমার নাথ, আইজিপি ব্যাজ (বার)।

আইন-শৃংখলা সংক্রান্ত যেকোন ইস্যুতে সমগ্র আলমডাঙ্গা বাসীর সুচিন্তিত পরামর্শকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি চারপাশের প্রতিনিয়ত ঘটমান অপরাধ সম্পর্কে তথ্য প্রদানকে তিনি উৎসাহিত করেছেন। তথ্যদাতার নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা শতভাগ রক্ষা করা হবে।