বন্ধুদের যুক্ত করে পোস্ট রাখা যাবে ইনস্টাগ্রামে

বন্ধুদের যুক্ত করে পোস্ট সংরক্ষণের সুযোগ চালু করেছে ইনস্টাগ্রাম। সংরক্ষিত পোস্টগুলো কালেকশনে জমা হবে। এক টুইটার বার্তায় এ ঘোষণা দিয়েছে মেটার মালিকাধীন প্রতিষ্ঠানটি। ইনস্টাগ্রাম বলছে, ‘কলাবোরেটিভ কালেশন’–এ ব্যবহারকারী ও তাঁর বন্ধুরা আধেয় (কনটেন্ট) সংরক্ষণ করতে পারবেন। তাঁরা সবাই সংরক্ষিত আধেয় দেখতে ও জমা রাখতে পারবেন।

২০১৭ সালে পিনটারেস্টের মতো এই সংরক্ষণ সুবিধা চালু করে ইনস্টাগ্রাম। তখন বিভিন্ন ভাগে (ক্যাটাগরি) পোস্ট সংরক্ষণ ও গুছিয়ে রাখার সুযোগ পেতেন ব্যবহারকারীরা। এখন ব্যবহারকারীরা তাঁদের বন্ধুদের যুক্ত করে কালেকশনে আধেয় যোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন।

ইনস্টাগ্রামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যাডাম মোসেরি বলেন, ব্যবহারকারী ও তাঁর বন্ধুরা ইনস্টাগ্রামের ফিড, এক্সপ্লোর পাতা এবং এমনকি ডিএম (ডাইরেক্ট মেসেজ) থেকে পোস্ট সংরক্ষণ করতে পারবেন। সুবিধাটি ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট পোস্টের নিচের অংশে ডান দিকে থাকা বুকমার্ক অপশনে ট্যাপ করার পর ক্রিয়েট আ নিউ কলাবোরেটিভ অপশন নির্বাচন করে বন্ধুদের যুক্ত করা যাবে। সংরক্ষণের আগে কালেকশনটির নাম দিতে হবে। একটি কলাবোরেটিভ কালেকশনে সর্বোচ্চ ২৫০ জন বন্ধুকে যোগ করা যাবে।

ইনস্টাগ্রাম বলছে, চ্যাট ব্যবহার করেও কলাবোরেটিভ কালেকশন তৈরি করা যাবে। এরপর চ্যাটে যুক্ত থাকা যে কেউ শেয়ার করা কালেকশন থেকে ছবি যোগ করতে বা সরাতে সক্ষম হবেন। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের কোনো পোস্ট কলাবোরেটিভ কালেকশনে যোগ করলে শুধু সেই অ্যাকাউন্টের অনুসারীরা পোস্টটি দেখতে সক্ষম হবেন।

সূত্র: প্রথমআলো




জেনে নিন আইপিএলের ১৬তম আসরের খুঁটিনাটি

আজ শুক্রবার (৩১ মার্চ) গুজরাট লায়নস ও চেন্নাই সুপার কিংসের ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে আইপিএলের ১৬তম আসর। যার পর্দা নামবে আগামী ২৮ মে, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। ১০টি দল নিয়ে শুরু হওয়া এ টুর্নামেন্টে মোট ৭৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচগুলো হবে ভারতের ১২টি ভেন্যুতে।

টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ১০ দলকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ফলে প্রতি গ্রুপে দল থাকছে ৫টি করে। প্রতিটি দল লিগ পর্বে ১৪টি করে ম্যাচ খেলবে। এর মধ্যে নিজ গ্রুপের ৪ দলের বিপক্ষে একটি করে মোট ৪টি ম্যাচ। আর অন্য গ্রুপের ৫ দলের বিপক্ষে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে দুটি করে মোট ১০টি ম্যাচ। প্রতিটি জয়ের জন্য থাকবে ২ পয়েন্ট। অন্যদিকে ড্র বা ফলহীন ম্যাচের জন্য ১ পয়েন্ট।

প্লে–অফে খেলবে লিগ পর্বে পয়েন্ট তালিকায় সেরা চারে থাকা দলগুলো। এর মধ্যে শীর্ষ দুটি খেলবে কোয়ালিফায়ার–ওয়ানে, জয়ী দল উঠে যাবে ফাইনালে। হেরে যাওয়া দল খেলবে কোয়ালিফায়ার টু–তে। লিগ পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা দুই দল প্লে–অফে এলিমিনেটরে খেলবে। হেরে যাওয়া দল বাদ পড়বে, জিতে যাওয়া দল কোয়ালিফায়ার–টুতে উঠে যাবে। কোয়ালিফায়ার–ওয়ান ও কোয়ালিফায়ার–টু জয়ী দল মুখোমুখি হবে টুর্নামেন্টের ফাইনালে।

জেনে নেওয়ান যাক কোন গ্রুপে আছে কোন দল

গ্রুপ–এ
মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস।

গ্রুপ–বি
চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, গুজরাট টাইটানস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংস।

অধিনায়ক হচ্ছেন যারা

১। হার্দিক পান্ডিয়া, গুজরাট লায়নস
২। সঞ্জু স্যামসন, রাজস্থান রয়্যালস
৩। লোকেশ রাহুল, লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস
৪। রোহিত শর্মা, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস
৫। মহেন্দ্র সিং ধোনি, চেন্নাই সুপার কিংস
৬। ফাফ ডু প্লেসি, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু
৭। ডেভিড ওয়ার্নার, দিল্লি ক্যাপিটালস
৮। শিখর ধাওয়ান, পাঞ্জাব কিংস
৯। এইডেন মার্করাম, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ
১০। নীতিশ রানা, কলকাতা নাইট রাইডার্স

কোচের দায়িত্ব থাকবে যাদের কাঁধে

১। স্টিভেন ফ্লেমিং, চেন্নাই
২। ব্রায়ান লারা, হায়দরাবাদ
৩। মার্ক বাউচার, মুম্বাই
৪। রিকি পন্টিং, দিল্লি
৫। আশিষ নেহরা, গুজরাট
৬। অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, লক্ষ্ণৌ
৭। কুমার সাঙ্গাকারা, রাজস্থান
৮। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত, কলকাতা
৯। সঞ্জয় বাঙ্গার, বেঙ্গালুরু
১০। ট্রেভর বেলিস, পাঞ্জাব

বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা কে খেলবেন কোন দলে?

আইপিএলের এবারের আসরে খেলবেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় তিন ক্রিকেটার। তারা হলেন- সাকিব আল হাসান, লিটন দাস এবং মোস্তাফিজুর রহমান। তিনজনের মধ্যে সাকিব ও লিটন খেলবেন কলকাতার হয়ে। অন্যদিকে মোস্তাফিজ মাঠ মাতাবেন দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতে।

বাংলাদেশ থেকে আইপিএলের খেলা দেখতে চাইলে চোখ রাখতে হবে টি–স্পোর্টস চ্যানেলে। এ ছাড়া টি–স্পোর্টস অ্যাপেও খেলা দেখা যাবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে ৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ইউপি মেম্বরের মামলা

প্রথম আলোর সাংবাদিক সামসুজ্জামান শামসকে আটকের জেরে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে যখন নিন্দার ঝড় বইছে ঠিক সেসময়ে মেহেরপুরের মুজিবনগরে সংবাদ প্রকাশের জেরে তিন সাংবাদিককের নামে মানহানি মামলা করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার মুজিবনগরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন মুজিবনগরের বাগোয়ান ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুর রাকিব। মামলায় আসামি করা হয়েছে জবাবদিহির মুজিবনগর প্রতিনিধি শাকিল রেজা, মাথাভাঙ্গার মুজিবনগর প্রতিনিধি শেখ শফি এবং সময়ের সমিকরণের মুজিবনগর প্রতিনিধি সোহাগ মণ্ডলকে।

গত ২৫ মার্চ ঢাকা থেকে প্রকাশিক জবাবদিহি, চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিক মাথাভাঙ্গা ও সময়ের সমিকরণে সাংবাদিকদের নাম ভাঙিয়ে টিসিবি পন্য নিলেন ইউপি সদস্য রাকিব’ শিরোনামসহ ভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদের জের ধরে তিনি ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবী করে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনি এ মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ বিচারক পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বাদীর অভিযোগ, আসামীরা মানহানীকর, মান সম্মানহানীকারী ব্যক্তি। তিনি একজন একজন সমাজপতি এবং স্থানীয় ইউ.পি সদস্য এবং তিনটি স্কুলের সহ- সভাপতি। তিনি বাগোয়ান ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগেরও সভাপতি। এছাড়াও তিনি ১৫টি প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত বলে দাবী করেছেন।
তিনি এজাহারে আরো উল্লেখ করেছেন, আসামীরা তার মান সম্মানের ক্ষতি করার জন্য যে কোন সময় যে কোন স্থানে কটূক্তি ও কুরুচি কথাবার্তা বলে বেড়াচ্ছে। আসামীরা নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মহলে চাঁদাবাজী করে এবং নিরীহ লোকজনের মান সম্মানের ক্ষতি করে। বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড ঢোলমারী ও রতনপুর, বল্লভপুরে ও বাগোয়ান ওবায়দুল ইসলাম (সোনার) আম বাগানে কম মূল্যে টিসিবির মালামাল বিক্রয় করা হচ্ছিল। আমি কখনো টিসিবি’র মালামাল ক্রয় না করা সত্ত্বেও আসামীরা সংবাদ প্রকাশ করে।

যে সংবাদের কারণে মানহানি মামলা তা পাঠকের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো

মুজিবনগরে সাংবাদিকদের নাম করে টিসিবি’র পণ্য উত্তোলন করেছে ইউপি সদস্য রকিব হোসেন। শুক্রবার সকালে বাগোয়ান গ্রামে টিসিবি পণ্য বিতরন চলাকালীন সময়ে কার্ড না দিয়ে সাংবাদিকদের নাম করে ৫টি পণ্য উত্তোলন করেন তিনি। অথচ সেই পণ্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করা হয়নি। পরে সাংবাদিক সোহাগ মন্ডলসহ অন্যান্য সাংবাদিকরা সেখানে গেলে সাংবাদিকদের নামে ইউপি সদস্য রকিব হোসেন ৫ জনের জন্য টিসিবি পণ্য নিয়েছেন বলে জানান টিসিবি’র ডিলার রিপন আলী। ইউপি সদস্যের এমন কর্মকান্ডে নিন্দা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। এছাড়ার দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে থেকেও পণ্য না পাওয়া এবং স্বজনপ্রীতি করে লাইনের বাইরে পণ্য দেওয়ার অভিযোগও অনেকের। অভিযোগ রয়েছে, টিসিবি’র পণ্য নিতে আসা কার্ডধারী নিম্নআয়ের সাধারন মানুষ ভোর রাত থেকে লম্বা দীর্ঘ লাইনে সারাদিন দাড়িয়ে থেকেও পাচ্ছে না একটি পণ্য। যাদের কিনা এই পণ্যটি খুবই প্রয়োজন। বেশি টাকা দিয়ে তেল, চিনি কেনার সক্ষমতা তাদের নেই।

তবুও নিম্নআয়ের ব্যাক্তিদের মিলছে না পণ্য। অথচ পিছন দিক দিয়ে পণ্য পার হচ্ছে অন্যদের হাতে। টিসিবি পণ্য কিনতে আসা নাছিরন নেছা জানান, দোকানে তেল চিনি কিনতে অনেক টাকা লাগে। কিন্তু এখানে সেটা ন্যায্য মূল্যে পাচ্ছি। তবে এখানে পণ্য নিতে এসে সেই ভোর রাত থেকে লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হয়। তারপরেও কিছু কিছু দিন পণ্য না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। আরেকজন পণ্য ক্রেতা জানান, এর আগেরবার টিসিবি পণ্য নিতে এসেছিলাম। সারাদিন লাইনে দাড়িয়ে থাকার পর পণ্য শেষ হয়ে যাওয়ায় বাসায় চলে গিয়েছিলাম। আজকেও এসেছি, সকাল থেকে লাইনে দাড়িয়ে আছি। কিন্তু পাশে থেকে মানুষ এসে ২/৩টা করে টিসিবি’র পণ্য নিয়ে যাচ্ছে।

টিসিবি’র পণ্য নিতে আসা কার্ডধারী নিম্নআয়ের সাধারন মানুষ ভোর রাত থেকে লম্বা দীর্ঘ লাইনে সারাদিন দাড়িয়ে থেকেও পাচ্ছে না একটি পণ্য। যাদের কিনা এই পণ্যটি খুবই প্রয়োজন। বেশি টাকা দিয়ে তেল, চিনি কেনার সক্ষমতা তাদের নেই। তবুও নিম্নআয়ের ব্যাক্তিদের মিলছে না পণ্য, অথচ পিছন দিক দিয়ে পন্য পার হচ্ছে অন্যদের হাতে।

টিসিবি’র ডিলার রিপন আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, রকিব মেম্বার সাংবাদিকদের নামে ৫টি পণ্য নিয়ে গেছে। পরে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে আসলে তাদের কাছ থেকে জানতে পারি তারা পণ্যের নেওয়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না। একজন জনপ্রতিনিধি এধরণের প্রতারণা করে পণ্য নিয়ে যাবে ভাবতে পারিনি।

এবিষয়ে জানতে রকিব মেম্বারের ০১৯৭১৯০১২১০ নম্বরে যোগাযোগ করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।




চুয়াডাঙ্গা জেলায় একইসঙ্গে ৪ থানার ওসিকে রদবদল ৭ টি পদে বদলী

চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশের ৭ টি পদে বদলি ও পদায়নের মাধ্যমে রদবদল করা হয়েছে। জেলার ৫টি থানার মধ্যে ৪ টি থানা আলমডাঙ্গা, জীবননগর, দর্শনা, দামুড়হুদা ও বিশেষ শাখার ওসিকে বদলি ও সংযুক্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৪ থানার ওসি ও বিশেষ শাখার ওসিসহ ৭ কর্মকর্তা রদবদল হওয়ায় সকেলই আগে থেকে এই জেলায় কর্মরত আছেন।

বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ বদলি ও সংযুক্ত করা হয়েছে।

অফিস আদেশে, চুয়াডাঙ্গা অপরাধ শাখার পুলিশ পরিদর্শক বিপ্লব কুমার নাথ আলমডাঙ্গা থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। জীবনগর থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গা লাইন ওআর মো. নাসির উদ্দিন মৃধা। দামুড়হুদা থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদকে বদলি করে দর্শনা থানায় পাঠানো হয়েছে। জীবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেককে সদর সার্কেল অফিসে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামকে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফুল কবীরকে জেলা বিশেষ শাখায় পাঠানো হয়েছে। সদর সার্কেল অফিস থেকে বিপ্লব কুমার সাহাকে সরিয়ে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক সদর কোর্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ১৩ মার্চ চুয়াডাঙ্গা অপরাধ শাখার পুলিশ পরিদর্শক বিপ্লব কুমার নাথকে সদর কোর্টে বদিল আদেশ বাতিল করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, এটি নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ। বদলির সময়পূর্ণ হওয়ায় একইসঙ্গে জেলার ৫ থানায় এমন রদবদলের ঘটনা।




বামন্দীতে গাঁজাসহ আটক ২

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী পশুহাট এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৫০ গ্রাম গাঁজাসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।

আটককৃতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাঙবাড়িয়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে আসলাম উদ্দিন (৪৫) এবং একই গ্রামের রিয়াজুদ্দিনের ছেলে আরশেদ আলী (২৮)।

গাংনী থানাধীন বামন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই ইসরাফিল হোসেন জানান, গোপন সংবাদ ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বামন্দী পশুহাট এবং নওদা ছাতিয়ানের মাঝামাঝি এলাকা থেকে দুজনকে ১৫০ গ্রাম গাঁজা সহ আমরা আটক করি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।




বামন্দী ইউপির চেয়ারম্যান কমলের সহোযোগিতায় ঢেউটিন পেলেন আব্বাস

পাটকাঠির বেড়া দিয়ে ঘেরা ঘরের উপর পলিথিন দিয়ে কোনরকম রোদবৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বসবাস দীর্ঘদিনের অসুস্থতার কারণে চেষ্টা করেও ঘরের জীর্ণশীর্ণতা দূর করতে পারেনি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল জলিলের পুত্র আব্বাস আলী।

কাঠফাটা রোদে পুড়ে আর বৃষ্টি বাদলে ভিজে বসবাস।  যদি কখনো শিলাবৃষ্টি হয় তবে তো কোন কথায় নেই নতুন করে আবার পাটকাঠির ঘরে দিতে হয় পলিথিনের ছাউনি।

এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন কাটানোর কথা শুনে চলতি মাসের গেল (২১শে মার্চ) তারিখে বামন্দী ইউনিয়নের দেবিপুর দক্ষিণ পাড়ায় আব্বাস আলীর ঘর দেখতে যায় ঐ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল।

নিজ চোখে দেখে আসেন অসুস্থ আব্বাস আলীর দুরবস্থা। আশ্বাস দেন আব্বাস আলীর নতুন ঘর করে দেওয়ার। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার আব্বাস আলীকে বামন্দী বাজার থেকে ঘর মেরামত করতে প্রয়োজন পরিমাণ ঢেউটিন কিনে দেন চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল।

ঢেউটিন পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে আব্বাস আলী বলেন, আমি সংসার জীবনে একসময় স্বচ্ছলতা ছিলো কিন্তু দুরারোগ্য ব্যাধীর কারণে এখন অসহায়ত্বর বোঝা বইতে হচ্ছে। অনেকদিন চেষ্টা করেও পাটকাঠির ঘর পরিবর্তন করতে পারিনি। চেয়ারম্যান জানতে পেয়ে আমাকে ঘর মেরামত করতে টিন কিনে দিলেন এবং সবসময় সহোযোগিতা করার কথা বলেছেন।

বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কমল বলেন, আমার ইউনিয়নে আব্বাস আলীর মতো কোন মানুষ যদি অসহায় অবস্থায় থাকে তবে আমি জানলে তার পাশে সার্বিক সহোযোগিতা নিয়ে দাঁড়াবো।




জীবননগরে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা

জীবননগর পৌর শহরে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ৩ টি প্রতিষ্ঠানে ৮ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার সময় জীবননগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রোকনুজ্জামান এ অভিযান পরিচালনা করে।

ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা গেছে, জীবননগর পৌর শহরের বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মাহে রমজান মাসে নিন্মমানের খাবার মুড়ি ও গাছড়া ঔষধ বিক্রয় করছে যার মেয়াদকাল ও উৎপাদনকাল কিছুই নাই এমন অভিযোগের ভিক্তিত্বে জীবননগর পৌর শহরের কাচা বাজারে অভিযান চালিয়ে নুর ভ্যারাইটি স্টোরের মালিক হুসাইনকে ৫ হাজার টাকা, তাজুল স্টোরের মালিক নাজমুল হককে ১ হাজার টাকা এবং ইনসাফ ট্রের্ডাসকে ২ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করে।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, পবিত্র মাহে রমজান মাসে কোন ব্যবসায়ী যাতে ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা করতে না পারে সে জন্য প্রশাসনিক ভাবে সার্বক্ষনিক বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রতিটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সর্তক করা হয়েছে তারপর যদি কেউ আইন অমান্য করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা করে তা হলে অভিযোগ পেলে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কালে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মোঃ আনিছুর রহমান।




কার্পাসডাঙ্গা বাজারে তিন ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা

দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাষনের পক্ষ থেকে কার্পাসডাঙ্গা বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিন ব্যবসায়ীকে ১ হাজার চারশ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) রোকসানা মিতা মনিটরিং করার সময় এ জরিমানা আদায় করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, মূল্য তালিকা দোকানে না টাঙ্গানোর অপরাধে সৈনিক স্টোরের মালিক আ: কাদের উকিলকে ভোক্তা সংরক্ষন আইন ৩৮ ধারা মোতাবেক ১হাজার টাকা অপরিচ্ছন্ন জায়গায় মুরগী বিক্রি করার অপরাধে ৫৩ধারায় জাহাঙ্গীর আলমকে ২শ টাকা ও একই ধারায় মিষ্টি বিক্রেতা আ: ছালামকে ২শ টাকা সহ সর্বমোট ১ হাজার চারশটাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকসানা মিতা কার্পাসডাঙ্গা বাজারে ঘুরে ঘুরে প্রত্যেক মুদি ও কাচামাল ব্যবসায়ীদের মূল্যতালিকা ছাড়া কোনো মালামাল বিক্রি ও রশিদ ছাড়া কোনো মালামাল কেনা যাবে না বলে সতর্ক করেন।

এছাড়াও তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন অধিক লাভের আশায় কোন মালের কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করা যাবেনা। আমাদের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাজার মনিটারিং করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা বাজার দোকান মালিক মালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর রাসেল সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান কচি এবং বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক’রা। অভিযানে সহযোগিতা করে দামুড়হুদা মডেল থানা-পুলিশের একটি দল।




কোটচাঁদপুরে প্রতারকের হাত থেকে রেহাই পেতে ভুক্তভোগী গ্রামবাসীর সংবাদ সম্মেলন 

প্রতারক মাসুদ রানা পারভেজের হাত থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার কোটচাঁদপুরের বহিরগাছি গ্রামের সমাজ কল্যান ভবনে এ সম্মেলন করেন তারা। গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই গ্রামের হাসান তারিখ।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,ওই গ্রামের ভুক্তভোগি রেজাউল করিম,রফিকুল মন্ডল, মামুনুর রশীদ,গোলাম রসুল,আব্দুর রাজ্জাক,মিরাজ হোসেন,সব্দুল মন্ডল,লিমন মন্ডল,ইদু মন্ডল ও পারভেজের চাচা আব্দুর রহমান। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন গ্রামের শতাধিক নারী পুরুষ।

হাসান তারিখ বলেন,মাসুদ রানা পারভেজ (৪০)। সে বহিরগাছি গ্রামের ওসমান গনির ছেলে। পারভেজ পিতা-মাতার বড় সন্তান। লেখা -পড়া করা কালীন থেকে সে প্রতারনা শুরু করেন।

ওই সময় এলাকার কিছু মানুষের কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা নিয়ে চলে যান ঢাকায়। ওখানে অনেক দিন গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকেন। এরপর আগের ঘটনাগুলো চাপা পড়ায় কয়েক বছর ধরে সে গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেছেন। ফিরে গেছেন আগের চেহারায়। এলাকায় কোন ঘটনা ঘটলে চাঁদা দাবি করেন পুলিশের ভয় দেখিয়ে। না হয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে।

এবার প্রতারনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরো দুটি হাতিয়ার। সে নিজেকে সাংবাদিক দাবি করেন। আর এর সুবাদে পুলিশের সঙ্গে তাঁর ভাল জানাশোনা। এ ভয়ে এতকিছুর পরও ভুক্তভোগিরা নিশ্চুপ ছিল।

আর এ সব প্রতারনার স্বীকার হয়েছেন,ওই গ্রামের রেজাউল করিম,রফিকুল মন্ডল, মামুনুর রশীদ,গোলাম রসুল,আব্দুর রাজ্জাক,মিরাজ হোসেন,বিকাশ বিশ্বাস, সাকিব হোসন,বাবু,কালিগঞ্জের অনিল বিশ্বাস, অজয় বিশ্বাস ও কোটচাঁদপুরের তালসার গ্রামের ছায়েরা বেগম।

আর সম্প্রতি শিকার হয়েছেন সরকারি কর্মচারি ইকরামূল হক। গাছ কাটার বিষয় নিয়ে চাঁদা দাবি করেন পারভেজ। ওই টাকা না পেয়ে কথা কাটাকাটি হয় তাদের মধ্যে। একপর্যায় তাকে মেরে হাত ভেঙ্গে দেন মাসুদ রানা। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ ও করেছেন ভুক্তভোগী।

এরপর থেকে মুখ খুলতে থাকেন গ্রামবাসী। আয়োজন করেন সংবাদ সম্মেলনের। বিষয়টি নিয়ে মাসুদ রানা পারভেজের চাচা আব্দুর রহমান বলেন,সকল ভাল কাজের সঙ্গে থাকেন ইকরামুল হক নামের ওই ছেলে। তাকেও সে হয়রানি করেছে। মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, সে আমার ভাইপো হলে কি হবে। তার অপকর্মের দায় কে নিবে। আমিও তাঁর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে মাসুদ রানা পারভেজ বলেন,আমি একটা সরকারি গাছ কাটার ব্যাপারে বাধা দিই। এতে করে তারা আমার উপর রাগান্বিত হয়। মারতে যায়। ওই ঘটনায় আমি কাউকে মারিনি।

গ্রামবাসীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,অভিযোগ একজন করতেই পারেন। তবে সেটা তো প্রমানিত হতে হবে।




ব্যাংক হিসাবের পাসওয়ার্ড চুরি করছে নেক্সাস ম্যালওয়্যার

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা ফোন বা ট্যাবলেট কম্পিউটার থেকে গোপনে ব্যবহারকারীর ব্যাংক হিসাবের পাসওয়ার্ড চুরি করছে নেক্সাস ম্যালওয়্যার। ম্যালওয়্যারটি সাধারণত বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ফোন বা ট্যাবলেট কম্পিউটারে প্রবেশ করে। এরপর ব্যবহারকারীরা অনলাইন অর্থ লেনদেনের জন্য হিসাবের (অ্যাকাউন্ট) নাম ও পাসওয়ার্ড লিখলেই সেসব সংগ্রহ করে সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠিয়ে দেয় বলে জানিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্লিফি।

ক্লিফির সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জনপ্রিয় ব্যাংকিং অ্যাপের আদলে তৈরি ভুয়া অ্যাপের মাধ্যমেও ব্যবহারকারীদের ফোন বা ট্যাবলেট কম্পিউটারে প্রবেশ করে নেক্সাস ম্যালওয়্যার। বিভিন্ন ব্যাংকিং অ্যাপের ছদ্মাবরণে তৈরি হওয়ায় ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ম্যালওয়্যারযুক্ত অ্যাপ নামিয়ে থাকেন। এ কারণে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ম্যালওয়্যারটি।

ফোন বা ট্যাবলেট কম্পিউটারসহ বিভিন্ন অ্যাপের দুই স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থাও এড়াতে পারে ম্যালওয়্যারটি। শুধু তা–ই নয়, অনলাইনে অর্থ লেনদেনের সময় ব্যাংকের পাঠানো খুদে বার্তাও মুছে ফেলে। ফলে ব্যবহারকারীদের অজান্তেই অর্থ চুরি করতে পারে সাইবার অপরাধীরা।

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ক্ষতিকর এ ম্যালওয়্যার সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। শুধু প্লে স্টোর বা নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ নামানোরও পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ