গাংনীর কাজীপুরে জমি নিয়ে বিরোধ প্রতিপক্ষের হামলায় বাবা-ছেলে জখম

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামে শরিকানা জমি দখল নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাবা ও তার ছেলে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। জখমকৃতরা হলেন-কাজীপুর গ্রামের হাজীপাড়ার মৃত হেকমত আলীর ছেলে আবুল কালাম (৫০) ও তার ছেলে সাগর আলী (১৭)।

তবে অন্যপক্ষের একই পাড়ার আব্দুল খালেক এর স্ত্রী আসমা খাতুন (৪৫) আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে তার পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কাজীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আহত আবুল কালাম জানায়, কাজীপুর গ্রামের আব্দুল খালেক শরিকানা সােয়া ১ শতক ও ক্রয়কৃত ২শতক জমি মিলে সােয়া ৩শতক জমিতে বসবাস করার জন্য ঘর নির্মাণ করছেন। শরিকদের কাছ থেকে একদাগে জমি বুঝে ও ক্রয় করে ঘর নির্মাণ করে আসছিলেন খালেক । ইতােমধ্যে ওই দাগের আরাে কয়েক শতক জমি অন্যের কাছে গােপনে বিক্রি করেন খালেক। বিক্রি করা জমি ক্রেতাকে বুঝে দেয়ার সময় খালেক এর ভাই আবুল কালাম তাতে বাঁধা দেয়। এসময় খালেক ও তার ছেলেসহ ভাড়াটিয়া লােক দিয়ে কালাম ও তার ছেলে সাগরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। এসময় রক্তাক্ত বাবা-ছেলেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আহত আবুল কালাম আরও জানান,খালেক তার গুন্ডা দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছিলেন। আমি ও আমার ছেলে কােন রকম প্রাণে বেঁচে গিয়েছি । এলাকার কিছু ক্যাডার দ্বারা খালেক জােরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করছেন।

এদিকে, আহত আবুল কালাম মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আব্দুল খালেক এর পরিবার জানায়,আমাদের শরিকানা জমি বিক্রি করেছি। যার বৈধ্যতা রয়েছে। এবং কালামের লােকজনই আমাদের উপর হামলা করেছে।




গাংনীর সাহারবাটিতে পুত্রের হামলায় পিতাসহ আহত-৩

মেহেরপুরের গাংনীর সাহাবাটি গ্রামে জমি ভাগাভাগি করে না দেয়ায় দুই পুত্রের হামলায় পিতা রেজাউল হক (৭০) তার ছেলে ইসরাফিল(৪৬) ও সামসুজ্জোহা (৪৪) আহত হয়েছেন।

আজ বুধবার সকালে সাহারবাটি পোড়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃদ্ধ রেজাউল চিকিৎসা নিচ্ছেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

আহত বৃদ্ধ রেজাউল হক জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে আমার একটি জমিতে কাজ করছিলাম। এসময় আমার বড় ছেলে নজরুল মাঠে গিয়ে আমাকে জমি থেকে বের করে দেয় এবং ওই জমি আমাকে তার নামে লিখে দিতে বলে। আমি বাড়ি চলে এসে আমার অন্য ছেলেদের বিষয়টি বল্লে আমার অন্য দুই ছেলে ইসরাফিল ও সামসজ্জোহাকে জানায়।

তারা বিষয়টির প্রতিবাদ করলে বড় ছেলে শরিফুল ও ছোট ছেলে নজরুল আমাকে ও আমার দুই ছেলে ইসরাফিল ও সামসজ্জোহাকে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারতে থাকে। এতে আমি ও আমার দুই ছেলে মারাত্নক আহত হলে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে আমাদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আমার দুই ছেলের পায়ে ও পেটের আঘাত মারাত্বক ও আশংকা জনক হওয়ায় তাদের কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

অন্যদিকে হামলাকারি নজরুল ও শরিফুলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদেও পাওয়া যায়নি।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, পিতা পুত্রের মারামারির বিষয়টি শুনেছি।এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযৈাগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




এইচএসসি পাসে চাকরির সুযোগ

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। প্রতিষ্ঠানটিতে জিএসই অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

জিএসই অপারেটর।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে ন্যূনতম এইচএসসি পাস হতে হবে। বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছর। প্রার্থীদের অবশ্যই বি আর টি কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। কমপক্ষে পাঁচ বছরের অটো এবং ম্যানুয়াল গাড়ি চালানোর বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সর্বোচ্চ ২৫-৩৫ বছর। অভিজ্ঞ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য। উচ্চতাঃ ন্যূনতম ৫.৩ ইঞ্চি। জি এস ই অপারেটর হিসেবে যেকোনো এয়ারলাইন্সে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রার্থীর দৃষ্টিশক্তি ৬/৬ হতে হবে। চশমা গ্রহণযোগ্য নয়। প্রার্থীদের অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট থাকতে হবে। প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট এলাকার নাগরিকত্ব সনদ পত্র থাকতে হবে।

কর্মস্থল

চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট, নীলফামারী (সৈয়দপুর)

বেতন

ঢাকা- ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার টাকা), চট্টগ্রাম- ২৮,০০০/- (আটাশ হাজার টাকা), সিলেট- ২৮,০০০/- (আটাশ হাজার টাকা)।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীদেরকে পূর্নাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট এর কপি, ড্রাইভিং লাইন্সেসের কপি, অভিজ্ঞতার সনদসহ এইচ আর ডিপার্টমেন্ট, ইউ-এস বাংলা এয়ারলাইন্স লিমিটেড, ষষ্ঠতলা, বাসাঃ ০১, রোডঃ ০১, সেক্টরঃ ০১, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ বরাবর এই ঠিকানায় আবেদন করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে। খামের উপরে অবশ্যই পদের নাম এবং কর্মস্থলের নাম উল্লেখ করতে হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ

২৬ এপ্রিল, ২০২২।

সূত্র : বিডিজবস




পুরোনো আইফোন ও আইপ্যাডের জন্য অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ করল অ্যাপল

অ্যাপল সচরাচর পুরোনো মডেলের আইফোন ও আইপ্যাডের জন্য অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ করে না। কিন্তু সম্প্রতি সাফারি ব্রাউজারের ওয়েবকিটে ভয়ংকর নিরাপত্তা ত্রুটির সন্ধান পেয়েছে অ্যাপল। শনাক্ত হওয়া ত্রুটিটি হ্যাকাররা ব্যবহার করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তাই তড়িঘড়ি করে নতুন মডেলের আইফোন ও আইপ্যাডের জন্য অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে সংস্করণটি পুরোনো আইফোন ও আইপ্যাডে ব্যবহার করা যায় না। এ সমস্যা সমাধানে পুরোনো আইফোন ও আইপ্যাডের জন্য ‘আইওএস ১৫.৭.৪’ ও ‘আইওপ্যাডওএস ১৫.৭.৪’ উন্মুক্ত করেছে অ্যাপল।

অ্যাপলের তথ্যমতে, সাফারি ব্রাউজারের ওয়েবকিটের নিরাপত্তা ত্রুটি কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা চাইলেই ব্যবহারকারীদের যন্ত্রে নতুন কোড যুক্ত করে সাইবার হামলা চালাতে পারেন। এরই মধ্যে বেশ কিছু আইফোনে এমনটি করা হয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। আর তাই সতর্ক না হলে যেকোনো সময় সাইবার হামলার কবলে পড়তে পারেন অন্য ব্যবহারকারীরা।

আইফোন৬এস, আইফোন৬এস প্লাস, আইফোন৭, আইফোন৭ প্লাস, আইফোন এসই, আইপ্যাড এয়ার২, আইপ্যাড মিনি৪ ও আইপড টাচ ৭জি ব্যবহারকারীরা নতুন সংস্করণটি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। নিরাপদ থাকতে পুরোনো আইফোন ও আইপ্যাড ব্যবহারকারীদের দ্রুত হালনাগাদ সংস্করণটি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে অ্যাপল।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া




মেহেরপুরে মের্সাস আলেয়া স্টোরে ভোক্তা অধিদপ্তরের জরিমানা

মেহেরপুর কোর্ট রোড এলাকায় মের্সাস  আলেয়া স্টোরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

বুধবার সকালে মের্সাস আলেয়া স্টোরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ কোর্ট রোড এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে।

ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন দ্রব্য এক্সপায়ারি সহ অনুমোদনহীন স্যালাইন ও অতিরিক্ত দামে বিক্রয়ের অভিযোগে ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৫ ও ৫১ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এসময় অভিযান পরিচালনায় সহোযোগিতা করে সদর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তরিকুল ইসলাম ও র‌্যাব-১২ মেহেরপুর ক্যাম্পের একটি দল।




পেঁয়াজ কেনাবেঁচা নিয়ে বিরোধ, আদালতে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা

মুজিবনগর উপজেলার শিবপুরে গত ৪ মার্চ দুপুরের দিকে গ্রামের সাইফুল ইসলাম ওরফে কালুর সাথে তার এক ভাইয়ের শিবপুর টেংরামারী বাইপাস সড়কের পাশে কৃষি জমিতে পেঁয়াজ কেনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির সূত্র ধরে উভয়পক্ষের মধ্যেই এক ধরনের হাতাহাতি হয় উভয়পক্ষেই কম বেশি শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

কৃষি জমিতে সেই হাতাহাতি স্থানীয় ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে সাময়িক মীমাংসা হয়। মীমাংসা কারীদের মধ্যে ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম। এবং উভয় পক্ষকে তিনি ডেকে বলেন যে, ছোটখাটো বিষয়ে থানায় অভিযোগে না করে স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করলে ভালো হয় কিন্তু সন্ধ্যা না হতেই দুই পক্ষই থানার দ্বারস্থ হয় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ নিয়ে।

মুজিবনগর থানায় পরদিন উভয়পক্ষ অভিযোগ করেন একে অপরের প্রতি দোষারোপ করে। কিন্তু ৭ মার্চ সাইফুল ইসলাম কালুর মা রুহুলা খাতুন (৪০) বাদী হয়ে মেহেরপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ চেষ্টার একটি মামলা দায়ের করেন। এবং এজাহারে থানার কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে মুজিবনগর থানা তাদের মামলা গ্রহণ না করে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়।

তবে এ বিষয়ে রুহুলা খাতুনের অভিযোগের পক্ষের সাক্ষীগনের কথার মধ্যেও গোঁজামিল পাওয়া যায়।

স্থানীয় সূত্রে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম বলেন, তাদের মাঠের হাতাহাতির বিষয়টি তিনি জানেন এবং আপোসের চেষ্টাও করেন কিন্তু ধর্ষণ চেষ্টা বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে মনে করেন।

স্থানীয় অন্য আরেকজন অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, এটি ব্যক্তিগত আক্রোশেরই প্রতিফলন।

ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা সচরাচর রাত বারোটা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত রুহুলা খাতুনের বাড়ির পাশের আলমগীরের চায়ের দোকানে আড্ডা দিই। কিন্তু এই ধরনের কোন ঘটনা আমরা শুনিনি ও জানিনা।

তবে অভিযুক্ত জিনারুল গাজী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ষড়যন্ত্র করে মামলা করা হয়েছে। তবে আদালত ও পিবিআই এর প্রতি আস্থা আছে আমার। তাই আমি বিশ্বাস করি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হব।




রাজপুত্রের ছবি প্রকাশ করে যা বললেন মাহি

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ছেলেসন্তানের মা হয়েছেন। মঙ্গলবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রাত ১১টা ২০ মিনিটে রাজপুত্রের জন্ম দেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজ অ্যাকাউন্টে বুধবার ভোররাত ৪টা ৩ মিনিটে নবজাতকের একটি ছবি প্রকাশ করেন মাহি। এর ক্যাপশনে তিনি লেখেন— ‘আলহামদুলিল্লাহ’।

ছবিতে দেখা যায়, ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন মাহি। সন্তানের দিকে তাকিয়ে আছেন মাহির স্বামী রাকিব সরকার।

কমেন্ট বক্সে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। মা-ছেলের জন্য দোয়াও করেছেন তারা।

মাহি-রাকিব দম্পতিকে অভিনন্দন জানিয়ে অভিনেত্রী শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি লিখেন— ‘অভিনন্দন সুইটহার্ট। ছোট্ট রাজপুত্রের জন্য প্রার্থনা ও ভালোবাসা। মা ও বাবার জন্য শুভেচ্ছা।’

আরেক অভিনেত্রী সাবরিনা সুলতানা কেয়া লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, অনেক দোয়া…অভিনন্দন।’

অভিনেতা শিপন মিত্র লাভ চিহ্ন দিয়ে লিখেন, ‘অভিনন্দন’।




সিরিজ নিশ্চিতের ম্যাচেও ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জিতলেন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক। আগেরবারের মতোই আবরও আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। এখন আগের ম্যাচের মতো আজও বাইশ গজে টাইগার ব্যাটারদের ঝড় তোলার অপেক্ষা।

আজ দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ । টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং।

সাগরিকায় সিরিজের প্রথম ম্যাচে আইরিশদের ওপর রীতিমত তাআন্ডব চালিয়েছিলো টাইগার ব্যাটাররা। বৃষ্টিবাধায় না আটকালে হতে পারতো টি-টোয়েন্টিতে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও। ব্যাটিংয়ের পর টাইগার বোলারদের সামনেও যেন অসহায় হয়ে পড়েছিলো আইরিশরা। এক তাসকিন আহমেদের তোপের মুখে পড়েই ডি/এল মেথডে ২২ রানে হারতে হয়েছে আয়ারল্যান্ডকে। আজ দ্বিতীয় ম্যাচেই আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলতে চায় বাংলাদেশ।

এদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুড়ে দাঁড়িয়ে সিরিজে টিকে থাকার ব্যাপারে আশাবাদী আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক পল স্টার্লিং।

সিরিজ নিশ্চিতের লক্ষ্যে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দল মাঠে নামছে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই। তবে সিরিজে টিকে থাকার লক্ষ্যে একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে আইরিশরা।

বাংলাদেশ একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।

আয়ারল্যান্ড একাদশ: পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), রস অ্যাডায়ার, লরকান টাকার (উইকেটরক্ষক), কার্টিস ক্যাম্ফার, গ্যারেথ ডিলানি, হ্যারি টেক্টর, জর্জ ডকরেল, মার্ক অ্যাডায়ার, গ্রাহাম হিউম, বেন হোয়াইট ও ফিওন হ্যান্ড।

সূত্র: ইত্তেফাক




বারাদিতে টিসিবির কার্ড জালিয়াত চক্রের হাতে!

মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদি ইউনিয়নে স্বল্পমূল্যের টিসিবির কার্ড জালিয়াত চক্রের হাতে। জেলা প্রশাসন থেকে ইউনিয়নে প্রথমে ১৩০০টি কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়। করোনাকালীন সময়ে যারা প্রণোদনাভাতা পেয়েছিলেন সেই ১৩০০ জনকে টিসিবি কার্ড দেওয়া হয়। পরে নতুন করে আরো ২০৩টি কার্ডের বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই সময়ে নবগঠিত বারাদি ইউনিয়নের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আপিল উদ্দিন। তাঁর স্বাক্ষরে ওই কার্ডগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর স্বাক্ষরযুক্ত সিলমোহর জাল করে প্রায় দ্বিগুণ কার্ড তৈরি করেছে একটি জালিয়াতি চক্র। কিছু কার্ডে কোনও সিল দেখা মেলেনি। যারা ওই কার্ডগুলো নিয়ে পন্য নিতে আসছেন তারা নিজেরাও কার্ডের মালিক নন।

গতকাল বিভিন্ন মাধ্যমে মেহেরপুর প্রতিদিনে খবর আসে বারাদি ইউনিয়নে টিসিবি পন্য দেওয়ার পর কার্ড নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এমন খবরের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে বারাদি ইউনিয়নে টিসিবি পন্য বিতরণ সরেজমিনে খোজ নেওয়া হয়। খোঁজ নিতে গিয়ে মেলে ভিন্ন অবস্থা। প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ কার্ড হাতে লাইনে দাড়িয়ে রয়েছেন পন্য নিতে। সকলের মুখে মুখে এক কথা কার্ডগুলো নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। চেয়ারম্যানের একজন প্রতিনিধি কার্ডগুলো নিয়ে নিচ্ছেন।

কথা হয় চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি রুহুল আমিনের সাথে। তিনি কার্ড নেওয়ার কথা স্বীকার করে কার্ড সংরক্ষন করা বক্সটি তুলে দেখিয়ে বলেন। এখানে যারা পন্য নিতে এসেছেন এদের মধ্যে অনেকে আমঝুপি, পিরোজপুর ইউনিয়ন ও চুয়াডাঙ্গার কুলপালা গ্রামের বাসিন্দাও এই ইউনিয়নের কার্ড নিয়ে পন্য নিতে এসেছেন। আবার অনেক কার্ডে কোন স্বাক্ষর নেই সিল কিছু নেই। ফলে নির্দিষ্ট পন্য শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু মানুষের ভিড় কমছে না। এর আগে যারা পন্য দিতেন তারা এসব কার্ডেই পন্য দিয়েছেন। ফলে বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে।

বারাদি ইউনিয়নের টিসিবি ডিলার নাজবুল হোসেন বলেন, এই ইউনিয়নের পণ্য দিতে এসে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট পরিমাণ এর থেকেও অনেক পরিমাণ মানুষ এসে পণ্য নিতে আসেন বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান সাহেবকে জানালে তারা এবার কার্ডগুলো জমা নিচ্ছেন।

ইউনিয়নের শিমুল তলা গ্রামে ফজলুল হকের স্ত্রী সাহারবানুসহ তার দুই ছেলে আবুল কালাম ও জামাল হোসেনের ৩টি কার্ড নিয়ে এসেছিলেন টিসিবি পণ্য নিতে। সাহারবানু বলেন, প্রতিবার পন্য দেওয়ার পর কার্ড ফেরত দেয়। কিন্তু এবার চেয়ারম্যানের নাম করা ওরা কার্ডগুলো নিয়ে নিলো বললো কি ভুল হয়েছে পরে ঠিক করে দেবে।

কথা হয় পন্য নিতে আসা প্রায় জনা দশেক কার্ডধারী মানুষের সাথে। তারাও অভিন্ন অভিযোগ তোলেন। ইউনিয়নের ৮ নম্বর সদস্য জাকির হোসেন লিটন বলেন, ইউনিয়নের ১৩০০ কার্ড হওয়ার কথা কিন্তু নকল করে ২৬০০ কার্ড বানানো হয়েছে। যার ফলে দ্বিগুন লোক আসছে পণ্য নিতে। দেখা যাচ্ছে আসল কার্ডধারীরা পন্য না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। যে কারণে চেয়ারম্যান সাহেব কার্ডগুলো নিয়ে নিচ্ছেন। তবে তালিকা আছে কিনা চেয়ারম্যান বলতে পারবে।

বারাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন নবগঠিত ভাড়াটি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আপিল উদ্দিন। ওই সময় শিবির কার্ড গুলো তৈরি করা হয়েছে। উনার স্বাক্ষর সিলমোহর যুক্ত সিল তৈরি করে হয়তো অনেক শিক্ষক এবং কম্পিউটার দোকানদাররা জাল কার্ড তৈরি করে দিয়েছেন। যার ফলে ১৩শ কার্ডের স্থলে আড়াইহাজারের অধিক কার্ড হয়েছে। ফলে এ নিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গতবার টিসিবির কার্ড দেওয়ার সময়ও একই ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ ধরনের ভোগান্তি এড়াতে ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেছি। উনি বলেছেন একটি উপায় বের করতে। তাই আমরা এবার কার্ডগুলো জমা নিচ্ছি এবং এই কার্ডগুলোর মধ্য থেকে সুষ্ঠুভাবে ১৩০০ কার্ড তৈরি করা হবে যাতে করে এই ভোগান্তি থেকে সাধারণ মানুষ রেহাই পায়। আপনারা সাংবাদিক হিসেবেও এ কাজে আমাদেরকে সহযোগিতা করবেন।

তিনি আরো বলেন শুধু বারাদি ইউনিয়নের নয় নয় পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর ইউনিয়ন, আমঝুপি ইউনিয়ন এমনকি চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকেও নকল কার্ড তৈরি করে টিসিবির পণ্য নেওয়ার সুবিধা নিচ্ছেন কিছু দুষ্ট চক্র। ফলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকার সঠিক মানুষগুলো টিসিবি পন্য থেকে সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, রমযান উপলক্ষে টিসিবি কার্ডধারীরা এক কেজি ছোলা, এক কেজি চিনি, ২ কেজি ডাল এবং ২ লিটার সয়াবিন তেল নিতে পারছেন ৪৭০ টাকায়।




চুয়াডাঙ্গার নেহালপুরে বিষপানে আত্ম*হত্যা

চুয়াডাঙ্গার নেহলপুরে জুমার আলী (৬০) নামে এক বৃদ্ধ বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে বিষপান করে।

তিনি বিষপান করেছে পরিবারের লোকজন বুঝতে পেয়ে তাকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথের মধ্যে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের পূর্বপাড়ার মৃত কাটু মন্ডলের ছেলে জুমার আলী (৬০) প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে নিজ বাড়ি হতে বের হয়ে জীবিকার তাগিদে ভিক্ষাবৃত্তির উদ্দেশ্যে যায়।

বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে নিজ বাড়িতে ফিরে আসলে গুঙরানি শুরু করেন। তখন বাড়ি ও আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে বুঝতে পারেন তিনি বিষপান করেছে। তাকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথের মধ্যে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এসময় পরিবারের লোকজন তার মৃতদেহ নিজ বাড়িতে ফেরত নিয়ে আসেন।

তার মৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের লোকজনের কোন অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে সংসারে অভাব-অনটনের কারণে সে আত্মহত্যা করতে পারে বলে পরিবার ও স্থানীয়দের দাবী।