রানার্সআপ হওয়ার সম্ভাবনা বাংলাদেশের সামনে

উয়েফার অ্যাসিস্ট প্রোগামের আওতায় চলমান সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ হচ্ছে আজ। শেষ দিনে চার দলের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে। কমলাপুর স্টেডিয়ামে বিকাল সোয়া ৩টায় উখোমুখি হবে বাংলাদেশ-নেপাল আর সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাশিয়া-ভারত।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে এখন অনেক দূর এগিয়ে রাশিয়া। ৩ খেলায় ৯ পয়েন্ট নিয়ে এগিয়ে রয়েছে ফেবারিট রাশিয়া। গোল গড়ে ১৪ প্লাস। বাংলাদেশ ৩ খেলায় ২ জয়ে ৬ পয়েন্ট এবং ভারতও ৩ খেলায় ২ জয়ে ৬ পয়েন্ট পেয়েছে। আর নেপাল ৩ খেলায় ১ জয়ে ৩ পয়েন্ট পেয়ে চার দলের মধ্যে এখন চতুর্থ স্থানে। লিগ পদ্ধতির খেলা ফাইনাল নেই। সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দল চ্যাম্পিয়ন হবে।

রাশিয়া এগিয়ে রয়েছে। ভারতের বিপক্ষে আজ ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন হবে। হেরে গেলে দুই দলের সমান ৯ পয়েন্ট করে হবে। আর প্রথম ম্যাচে যদি বাংলাদেশ জিতে যায় তাহলে বাংলাদেশেরও ৯ পয়েন্ট হবে, তবে কত গোলে জিতেছে সেটার ওপর নির্ভর করবে চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে কি না।

বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ খুবই কম। রানার্সআপ হতে পারে কিনা সেটাও নির্ভর করছে রাশিয়া ভারতকে কত গোলে হারায় (ভারত ১১ প্লাস) এবং নেপালকে বাংলাদেশ (৫ প্লাস) কত গোলে হারায়, তার ওপর। এই অঙ্কের জটিলতায় যেতে চান না বাংলাদেশের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। তিনি নিজের ম্যাচ নিয়ে ভাবছেন। নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের পাল্লাই ভারী।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় দুইটি চোরাই গরুসহ আটক ১

দামুড়হুদায় চোরাইকৃত গরু পুড়াপাড়া গ্রাম থেকে গরুর মালিকের সহায়তায় উদ্ধার করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ। থানায় শাহাবুদ্দিন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রনির বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে একটি গাভী গরু ও পাশের মাঠ থেকে একটি এড়ে গরু উদ্ধার করা হয়।

জানাযায়,দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম হোসেনের গত মঙ্গলবার রাতে একটি গাভী গরু চুরি হয়ে যায়। একই উপজেলার দলকালক্ষীপুর গ্রামের আলম মণ্ডলের ছেলে সাজিমের গত ২৩/০১ তারিখে একটি গাভী গরু চুরি হয়ে যায়, মুক্তারপুর গ্রামের জমাত আলীর ছেলে মতিয়ার রহমানের গত ২৩/০২ ইং তারিখে একটি এঁড়ে বাছুর চুরি হয়,কেশবপুর গ্রামের আজাদ আলী খানের ছেলে হোসাইন খানের প্রথম রোজার দিন আকিকার দুইটা বড় খাসি ছাগল রাতের আধারে চুরি হয়। তারা সকলেই দামুড়হুদা মডেল থানায় জিডি করেন।

পরে দামুড়হুদা সদরে পার দামুড়হুদার মৃত নিক্সন মণ্ডলের ছেলে জাহিদুল ইসলামের গত শনিবার রাতে এঁড়ে বাছুর চুরি হয়।এরপর থেকেই গরুর মলিকেরা হন্যে হয়ে বিভিন্ন গ্রামে খুঁজতে থাকে তাদের চুরি হয়ে যাওয়া গরু।একপর্যায়ে হোগলডাঙ্গা গ্রামের সাদ্দাম হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে সদর ইউনিয়নের পুড়া পাড়া গ্রামে রনির বাড়িতে একটি চোরাই গরু আছে। সেই মোতাবেক সাদ্দাম হোসেন পুড়া পাড়া গ্রামের রনির বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই তার চুরি হওয়া গাভী গরুটি।পরে দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই শেখ তৈহিদুর রহমান দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলি ও সদস্য জহিদুল ইসলাম,সদস্য সামসুল ইসলাম এর সহযোগিতায় একটি গাভি গরু ও একই গ্রামের মাঠ থেকে একটি এঁড়ে বাছুর উদ্ধার করেন।
পরে উদ্ধারকৃত গরু দুটি থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাদ্দাম হোসেন বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে আমার একটি গাভী গরু চুরি হয়ে যায়। তার পর থেকেই বিভিন্ন গ্রামে খুঁজতে থাকে। গতকাল সোমবার দুপুরে জানতে পারি পুড়াপাড়া গ্রামে আমার চোরাইকৃত গরুটি আছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা মিলে গেলে রনির গোয়ালঘর থেকে পুলিশের সহযোগিতায় গরুটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলি বলেন, চোরাই গরু উদ্ধার হওয়ার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌয়ছায় পরে পুলিশকে খরব দিলে দুটি গরু উদ্ধার করা হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, দুইটি চোরায় গরু উদ্ধার করা হয়েছে। থানার মামলা হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়েছে।বাকিদের আটক করার জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।




দর্শনায় বিদেশী সিগারেটসহ গ্রেফতার ১

দর্শনায় চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে অবৈধ চোরাই পথে আসা বিদেশী সিগারেট সহ নয়ন (২০) নামের এক চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার বিকাল ৪ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এ,এইচ,এম লুৎফুল কবীরের নেতৃত্বে থানার এসআই তারিফুজ্জামান, এএসআই ফিরোজ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন গড়াইটুপি ইউনিয়নে।

এসময় ইউনিয়নের গড়াইটুপি মেলার মাঠ সংলগ্ন সুরুজ মিয়ার বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর একটি ইজিবাইকে চ্যালেঞ্জ করে পুলিশ। পরে ইজিবাইকে থাকা অবৈধ বিদেশী ১৩ শ ৯০ প্যাকেট মালবরো সিকারেট সহ নয়ন (২০) নামের এক চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সেই সাথে চোরাচালান কাজে ব্যাবহৃত ব্যাটারী চালিত একটি ইজিবাইক আটক করে। সে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন তিতুদহ ইউনিয়নের লিয়াকত আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এ এইচ এম লুৎফুল কবীর বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ভারত থেকে অবৈধ পথে মালবোরো সিগারেট পাচার হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিত্বে থানার অফিসার ও ফোর্স অভিযান চালায় দর্শনা থানাধীন গড়াইটুপি মেলার মাঠ সংলগ্ন সড়কে।

এসময় সেখান হতে অবৈধ পথে দেশে আসা সিগারেট ও একটি ইজিবাইক সহ চোরাকারবরীকর আটক করি।সিগারেটগুলো সুইজারল্যান্ড কোম্পানীর। গতকালই তাকে দর্শনা থানায় মামলাসহ তাকে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।




কোটচাঁদপুরে সার বীজ ও ঐচ্ছিক তহবিল থেকে চেক বিতরণ

বিএনপি সরকারের আমলে সার বীজের জন্য কৃষক কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুলি খেয়ে মরতে হয় না। ঘরে বসে সার,বীজ পাই কৃষক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিকল্প নেই বাংলাদেশে। কৃষকের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এ দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিন। কোটচাঁদপুরে সার বীজ ও ঐচ্ছিক তহবিল থেকে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঝিনাইদহ ৩ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল।

কোটচাঁদপুরে ২০২২-২৩ অর্থবছরে খরিপ-১ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসুচির আওতায় পাট ও রোপা আউশ ধানের উৎপাদন ও আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

কৃষি সম্পসারন অধিদপ্তরের আয়োজনে গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে সার বীজ ও চেক বিতরণ করা হয়।

বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে। উপজেলা কৃষি সম্পসারন অফিসার হুমায়ূন কবিরের সঞ্চালনায়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মহাসীন আলী।

এ সময় সার বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাজান আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি খাতুন, উপজেলা আওয়ামিলীগের সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম খান বাবলু, সহ-সভাপতি ফারজেল হোসেন মন্ডল, সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান, বীর মুক্তি যোদ্ধা সাবেক কমান্ডার তাজুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মীর কাশেম, জেলা পরিষদের সদস্য রাজিবুল কবির, এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, সাফদারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, সাবেক কুশান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

এ সময় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল এর ঐচ্ছিক তহবিল থেকে ২৩ জন দুস্ত মানুষের মাঝে চেক ও উপজেলার ২৫ শত চাষীর মাঝে ১০কেজি ডিএপি, ১০ কেজি পটাশ, ৫ কেজি ধানের বীজ ও ৩ শত চাষির মাঝে পাট বিজ প্রদান করা হয়। সে সময় কৃষক, উপকার ভোগী, চেক গ্রহিতা, উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী, সহ বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীর গাঁড়াডোবে রাস্তায় বাঁশের বেড়া এক পরিবারকে ঘরবন্দী রাখার অভিযোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের গাঁড়াডোব গ্রামের মাঠপাড়ার এক প্রভাবশালী পরিবার যাতায়াতের রাস্তার বাঁশের বেড়া দিয় ঘিরে দেয়ায় একটি হতদরিদ্র পরিবার প্রায় গৃহ বন্দি হয়ে পড়েছে। কোন উপায় না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্ত হতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগি আনোয়ার হোসেন নামের ওই ব্যাক্তি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গাঁড়াডোব গ্রামের মাঠপাড়ার ইউসুফ মালিথার ছেলে দরিদ্র আনোয়ার হোসেন দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত একটি জমি ক্রয় করে বসবাস করে আসছেন। আনোয়ার হোসেনের পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছে দির্ঘদিন। ওই রাস্তাটি খাস জমি হিসাবে ব্যবহার করে আসছেন তিনি। হঠাৎ রবিবার বিকেলে প্রতিবেশী মৃত জবেদ আলীর ছেলে শেমাইল ও তার লোকজন রাস্তাটি কাঁটার বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়। এনিয়ে আনোয়ার হোসেন প্রতিবাদ করতে গেলে,শেমাইল ও তার লোকজন পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে ওই গ্রামের শেমাইল,আজগর আলী ও বাবর আলীর নামে গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন জানান,রাস্তাটি ঘিরে দেয়ায় আমার পরিবার-পরিজন নিয়ে রাস্তা দিয়ে বেরাতে পারছিনা। আমার প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তান রয়েছে। মাঝে মাঝে সে অসুস্থ্য হয় । অসুস্থ্য হলে তো রাস্তা দিয়ে বেরাতে হবে। সে সুযোগ টুকুও নেই।

এদিকে,শেমাইল পরিবারের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে,তারা জানায় হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। রাস্তা ঘেরা হয়েছে ক্ষোভের কারণে। তবে রাস্তায় দেয়া বেড়া তুলে নেয়া হবে।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান ,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




কেরাত হামদ না’ত ও আযান প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠন

দামুড়হুদায় মাহে রমজান উপলক্ষে কেরাত হামদ না’ত ও আযান প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টার সময় দামুড়হুদা মডেল থানার আয়োজনে থানা কোরিডরে এই প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ এর সভাপতিত্বে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বিচারক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা মডেল মসজিদের ঈমান হাফেজ মাও: মুফতী মো: মামুন হোসেন,
অক্সফোর্ড সোলার টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাফেজ মাও: মুফতী মো: বনি ইয়ামিন, দামুড়হুদা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপারভাইজার মারিয়া মাহবুবা। বিভিন্ন ইভেন্টে প্রায় দেড়শত প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্য থেকে ২৭ জন বিজয়ী কে পুরস্কার ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অংশগ্রহণকারী সব প্রতিযোগীকে বিশেষ পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়। তিনজন বিচারক মন্ডলীকে দামুড়হুদা মডেল থানা’র পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মডেল থানার তদন্ত ওসি শফিকুল ইসলাম, অপারেশন ওসি সফিউল আলমসহ বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এসআই মঞ্জুরুল হক।




গাংনীতে প্রবাসী স্বামীর পরকীয়ার বলী স্ত্রী

মেহেরপুরের গাংনীতে স্বামীর নির্যাতনে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে স্ত্রী জেনিয়ারা খাতুন (২২)। আজ সোমবার দুপুরে জোড়পুকুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্বামীর পরকীয়া প্রেমের জের সৃষ্ট দাম্পত্য কলহের জেরে এ দুর্ঘটনা বলে জানায় স্থানীয়রা।

জেনিয়ারা জোড়পুকুরিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী শরিফুল ইসলামের স্ত্রী। তবে প্রবাসী স্বামীর নির্মম নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।

অভিযোগে জানা গেছে, শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফ বেশ কয়েক বছর পর সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছেন। তার বাড়ির পাশের এক মেয়ের সাথে পরকিয়া সম্পর্ক ছিল। এতে প্রায়ই দাম্পত্য কলহে স্ত্রীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো শরিফ। এর জের ধরে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। তাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়ায় শরিফের বিচার দাবি করেছেন নিহতের মা।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, দুপুরে স্বামীর বাড়িতে বিষপান করে এক সন্তানের জননী জেনিয়ারা খাতুন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে থাকে। উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কুষ্টিয়া নেওয়ার পথে বামন্দী এলাকায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত গৃহবধুর মা শরিফা খাতুন এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে সংশয় থাকার কথা উল্লেখ করেছেন অভিযোগে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে

ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া করছে। মেয়ের মৃত্যুর জন্য জামাই শরিফের পরকিয়া দায়ী করে তিনি বলেন, প্রায়ই শরীফ তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে শরিফ।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। নিহত গৃহবধুর মায়ের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




গাংনীতে শিশু ধর্ষণ মামলা কিশোর গ্রেফতার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামে শিশু ধর্ষণ মামলায় নাসিম (১৬) নামের এক কিশোরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে গাংনী থানা পুলিশ।

গতকাল রবিবার রাতে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় আজ সোমবার সকালে ওই শিশুর নানি জরিনা খাতুন গাংনী থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। গাংনী থানায় মামলা নং-৩৬,তারিখ-২৭/০৩/২০২৩ইং। গ্রেফতারকৃত কিশোর নাসিম গাংনীর ছাতিয়ান গ্রামের কামার পাড়ার নজির হোসেনের ছেলে।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গতকাল রবিবার সন্ধায় গাংনীর সম্পুর্ণা বিউটি পার্লারে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিল ১৪ বছর বয়সি বালিয়াঘাট গ্রামের এক শিশু। ওই সময় তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ হয় কিশোর নাসিমের। রাত ৯টার দিকে দুজুনের দেখা হয় বামন্দী আল ফালাহ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে। সেখানে একটু কথা বলার জন্য একটি নির্মানাধীন ভবনের তৃতীয় তলায় নিয়ে যায় নাসিম। নাসিমের দুই বন্ধুকে পাহারায় রেখে সেখানে ওই শিশুকে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে।

পরে ছাড়া পেয়ে স্থানীয় লোকজনকে ঘটনা খলে বল্লে স্থানীয়রা বিষয়টি বামন্দি পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেয়। খবর পেয়ে বামুন্দি ক্যাম্পের এসআই ইসরাফিল হোসেন ওই শিশুকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত কিশোরকে মধ্যরাতে আটক করে। পরে শিশুটির নানি বাদি হয়ে সোমবার সকালে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি ) আব্দুর রাজ্জাক জানান,কিশোরের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে অভিযুক্ত নাসিমকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি দুই সহযোগীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।




চুয়াডাঙ্গায় সাত প্রতিষ্ঠানকে ৮হাজার ৫শ টাকা জরিমানা

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বেলা সাড়ে ১২টার সময় চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারে মুরগি, তরমুজ, ফলমুল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের অপরাধে ০৭ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয় কর্তৃক সদর উপজেলার বড়বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালিত হয়।

এসময় চুয়াডাঙ্গা বড়বাজারে অবস্থিত মুরগির বাজারে তদারকিকালে মেসার্স নিউ ব্রয়লার হাউস নামক প্রতিষ্ঠানে মুরগির ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করা, অধিক মুনাফায় মুরগি বিক্রয় ও মূল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো: সাইফুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন- ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় ১,০০০/- টাকা, মেসার্স হাসান ব্রয়লার কর্নার এর মালিক মোঃ মজনু মিয়াকে একই অপরাধে ও ধারায় ১,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া মুদি দোকান মেসার্স কাউছার স্টোর এর মালিক মো: কাউছার আলীকে দোকানে তেল চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ২,০০০/- টাকা এবং মেসার্স কৃষি বাণিজ্যালয় এর মালিক মো: শহিদুল হককে মুল্যতালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করা ও ক্রয় বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করার অপরাধে ৪৫ ধারায় ৫০০/- টাকা, মেসার্স রাজধানী ভান্ডার এর মালিক মো: রবিউল হককে একই অপরাধ ও ধারায় ১,০০০/- টাকা, মেসার্স অর্জুন স্টোরের মালিক শ্রী অর্জুন সাহাকে পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ১,০০০/- টাকা, চৌরাস্তা মোড়ে মেসার্স হামিদ ফল ভান্ডারের মালিক মো: আব্দুল হামিদকে তরমুজের ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করে অধিক মুনাফায় তরমুজ বিক্রয় ও ফলের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ৩৮ ধারায় ২,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয় এবং সবাইকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে নির্দেশনা দেয়া হয়। অভিযানে ০৭টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৮,৫০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।

অভিযানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: সহিদুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।

জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।




গাংনীর সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রত্যাহার

গাংনীর সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মধ্যে সৃষ্ট ভুলবোঝাবুঝি ও অভিযোগের অবশেষে অবসান হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উভয়দের মধ্যেকার ভুলবোঝাবুঝির অবসান হওয়া বিষয়ে নিশ্চিত করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেললনে ইউপি সদস্য আনারুল ই্সলাম আকালি সংবাদ সম্মেলনে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ও আমরা যারা ১২জন ইউপি সদস্য রয়েছি তাদের সাথে একটু মতানৈক্য তৈরী হয়। আমরা কতিপয় সদস্যরা এবিষয়ে চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। চেয়ারম্যান ও আমাদের সাথে একটু দুরুত্ব তৈরী হয়। এতে ইউনিয়নবাসীরা তাদের সেবা থেকে অনেকটা বঞ্চিত হচ্ছিল।

এমন বিষয় চিন্তা করে আমাদের মধ্যেকার দুরুত্বের অবসান করে নিলাম। ইউনিয়নের উন্নয়ন ও ইউনিয়নবাসীর সেবার স্বার্থে আমরা আবার এক সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে চলতে চাই। সকলে একত্রিত হয়ে ইউনিয়নের মানুষের কাংখিত সেবা দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের মধ্যেকার জমে থাকা ক্ষোভ ও দুরুত্ব আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে নিষ্পত্তি হয়ে গেল। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্ব্হী অফিসার বরাবর যে অভিযোগ জমা দেয়া ছিল তা প্রত্যাহার করে নিয়েছি বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।

ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দিন জানান, এক সাথে চলতে গেলে একাধপু দোষত্রুটি থাকতেই পারে। এবিষয়ে আমাদের মধ্যেকার ভুলবোঝাবুঝির আনুষ্ঠানিক অবসানের জন্য আমরা সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের মধ্যেকার তৈরী হওয়া দুরুত্বের অবসান হলো। আগামী দিন থেকে আমরা ইউনিয়নের উন্নয়নের একত্রে কাজ করার পথ সুদৃড় হবে।

সংরক্ষিত নারী সদস্য আসমা আক্তার জানান, একটি ইউনিয়ন মানে আমাদের একত্রে থাকার একটি পরিবার। সেখানে তেম কিছুই ঘটেনি। সামান্য ভুলবোঝাবুঝির কারনে বিষয়ে এতোদুর গড়িয়েছে। আমাদের মধ্যে পৃথক করে দিয়ে তৃতীয় একটি পক্ষ ফায়দা লুটার চেষ্টা করছিল। এমন বিষয় আমরা বুঝতে পেরে নিজেদের সমস্য নিজেরাই মিমাংসা করে একত্রে মিলে ইউনিয়নের উন্নয়ন করতে চাই। এক সাথে চার বছরের পথ চলা আজকের এই অবসানের মধ্য দিয়ে সুগম একটি প্লাটফর্ম তৈরী হলো।

আব্বাস আলী জানান, আমরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। এবিষয়ে আমাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার চেষ্টা করছিল একটি পক্ষ। আমরা আমাদের বিষয়টি বুঝতে পেরে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছি।

ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছিল তা ভিত্তিহীন ও মনগড়া। সামাজিক ভাবে আমাকে হেয় করার জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে আমাদের সদস্যদের মধ্যে দুরুত্ব তৈরী করে দিয়েছিল। এটি সদস্যরা বুঝতে পেরে তারা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগে যে স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছিল তা ভুয়া। অন্যকাজের জন্য করা স্বাক্ষরিত কাগজ আমার বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এবং একসাথে ইউনিয়নের উন্নয়নে কাজ করা প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন তিনি।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু জানান, সাহারবাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য লিখিত আবেদন করেছেন ইউপি সদস্যরা। তারা সরাসরি অফিসে এসে প্রত্যাহার পত্র দিয়ে গেছেন। এতে তাদের ভুলবোঝুছি ছিল বলেও প্রত্যাহার পত্রে উল্লেখ করেছেন তারা।