কুষ্টিয়া মুক ও বধির সংঘের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন

দুইজন প্রার্থীকে দাঁড় করানো আছে। বসে রয়েছে প্রায় ৫০ জনেরও বেশি ভোটার। দুই প্রার্থীর মধ্যে কোন পদের বিপরীতে ভোটাররা কাদের নির্বাচিত করবেন সেজন্য আঙুল দিয়ে ইশারা করে দেখাচ্ছিলেন।

সামনে টেবিলে বসা নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সদস্যরা দেখলেন যাকে বেশি ভোটার সমর্থন দিচ্ছে কেবল তিনিই এক বছরের জন্য নির্বাচিত হচ্ছেন। এভাবেই আঙুলের ইশারায় ভোট দিলেন কুষ্টিয়া মুক ও বধির সংঘের সদস্যরা।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের ডিসি কোর্ট চত্বর এলাকায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে আঙুলের ইশারায় এভাবেই ১৩ জনকে নির্বাচিত করা হয়। এতে মোহাম্মদ হিরাউজ্জামানকে সভাপতি ও খন্দকার আব্দুর রহমান সুমনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

এছাড়াও মো: ইফতেখার উদ্দিন বাবু (বধির), মো. জামাল উদ্দিন ও এ কে এম নাজমুল হোসেন (অ-বধির) সহ-সভাপতি, শ্রী পিন্টু কুমার বিশ্বাসকে সহ সম্পাদক, মো. ফয়সাল কোষাধ্যক্ষ, রাজিব খান রকি ক্রীড়া সম্পাদক, হাফিজুর রহমান পাঠাগার সম্পাদক, জেসমিনারা পারভীনকে মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা, শামীম আহমেদ রাজু, হামিদুল ইসলাম ও ওমর শরিফ মো: খৈয়াম কে কার্যনিবাহী পরিষদের সদস্য (অ-বধির) হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কুষ্টিয়া মুক ও বধির তত্বাবধায়ক পরিষদের তত্বাবধায়ক এবং কুষ্টিয়া শহর সমাজসেবা অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম।

কুষ্টিয়া শহর সমাজসেবা অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়া মুখ ও বধির সংঘের সাধারণ কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রায় ৭০ জন সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে এক বছর মেয়াদি এ সাধারণ কমিটির নির্বাচনে ১৩ জন বধিরের মধ্যে সভাপতিসহ চারজন অ-বধির সদস্য রয়েছে।




দর্শনায় এক কসাইকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা

দর্শনা পৌর পিলখানায় পেটে বাছুরসহ গাভী গরু জবাই করায় নাসীর উদ্দিন কসাইকে ভাম্যমান আদালতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে দর্শনা পৌরসভা পিলখানায় একটি গাভীন গরু জবাই করে নাসীর কসাই। এসময় পিলখানা পরিদর্শক মোমিনুল ইসলাম বিষয়টি দেখে পৌরসভার প্রসাশক কে এইচ এম তাসফিকুর রহমান ও পৌর ইঞ্জিনিয়ার সাজেদুল আলম, পৌর কর্মকতা হারুন অর রশিদ ও আব্দুর রাজ্জাককে খবর দেয়।

এরপর পৌরসভার প্রসাশক কে এইচ এম তাসফিকুর রহমান কসাই নাসীর উদ্দিনকে থানায় সোর্পদ করার নির্দেশ দেন।

এরপর সকাল ১১টার দিকে দর্শনা থানায় নিবার্হী ম্যাজিট্রেট দায়িত্ব নিয়ে এইচ এম তাসফিকুর রহমান এক ভাম্যমান আদালত বসিয়ে রামনগর ঘুঘুডাঙ্গা পড়ার বড়োর ছেলে বহুল আলোচিত নাসীর উদ্দিন কসাইকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এবং ঐ গরুর মাংশ বিনষ্ট করে মাটিতে পুতে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন।

এছাড়া দর্শনা পৌরসভার পিলখানায় গরু জবাই করতে হলে প্রানী সম্পদ কর্মকতার্র পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা ছাড়া গরু জবাই করা যাবে না বলে নির্দেশনা প্রদান করেন। এরপর কসাই নাসীর উদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেন।

এ বিষয়ে দর্শনা পৌর প্রশাসক এইচ এম তাসফিকুর রহমান জানান, স্থানীয় বেশ কয়েজন জানান প্রায় প্রায় এ পিলখানায় জবাই করা গরুর বাছুরসহ ফেলে রাখতে দেখা যায়। এছাড়া ঐ মৃতু গরুর বাছুরকে কুকুরে টেনে হেচড়ে খেতে দেখা যায় বলে জানান স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় ক্রেতারা জানান কসাই নাসির প্রায় প্রায় এ রকম গরু জবাই করে।এর আগেও কয়েকবার এরকম ঘটনার জন্য জেল খাটতে হয়েছে।




মানসিক চাপ হলেই কেন মুখে ব্রণ বাড়ে, সমাধান কী?

মুখমন্ডলকে বলা হয়ে থাকে মানুষের মনের আয়না। মনের ভেতর কোনো সমস্যা হলে তার ছাপ পড়ে মুখে। ত্বক তার উজ্জ্বলতা হারায়, চোখের তলায় কালি পড়ে। কিন্তু ব্রণ? সে তো বয়ঃসন্ধির সঙ্গী। মানসিক চাপের সঙ্গে তার আদৌ কোনো যোগসাজশ রয়েছে?

চিকিৎসকেরা বলছেন, আছে। শরীরে ‘কর্টিজল’ হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে মুখ ভরে উঠতে পারে ব্রণে। মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা অবসাদ বৃদ্ধি পেলে এই হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

ভারতের খ্যাতনামা ইয়েল স্কুল অব মেডিসিনের চর্মরোগ বিভাগের চিকিৎসক মোনা গোয়ারা বলেন, কর্টিজলের পরিমাণ বাড়তে থাকলে সেবাম ক্ষরণও বেড়ে যায়। অত্যধিক তেল ত্বকের রন্ধ্র বা ছিদ্র বুজিয়ে দেয়। সেখানেই ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়ারা বাসা বাঁধে।

এমনকি কয়েক রাত না ঘুমোলেও একই রকম সমস্যা হতে পারে। ঋতুস্রাব হওয়ার আগে হরমোনের হেরফের হয়। আবার, গ্লাইসেমিক ইনডেস্ক বেশি এমন খাবার খেলেও কিন্তু ব্রণের উপদ্রব বেড়ে যেতে পারে।

মুখের কোন কোন অংশে ‘স্ট্রেস অ্যাক্নে’ হতে পারে?

চিকিৎসকেরা বলছেন, মুখের যে অংশে তেল বা সেবাম ক্ষরণ বেশি হয়, সেখানে ব্রণ হতে পারে। অনেকের কপাল, নাকের দু’পাশ এবং থুতনির আশপাশে তৈলাক্ত ভাব বেশি থাকে। মানসিক চাপে সেই তেলতেল ভাব আরও বৃদ্ধি পায়। ফলে এই সব জায়গা ব্রণ-প্রবণ হয়ে ওঠে।

কী করলে সমস্যার সমাধান হবে?

আগে জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুমেরও প্রয়োজন রয়েছে। ‘স্ট্রেস অ্যাকনে’ দূর করতে শারীরিক কসরত এবং মানসিক শান্তি দুই-ই গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে জেলা বিএনপির জনসভা

মেহেরপুরে জেলা বিএনপির উদ্যোগে বুড়িপোতা ইউনিয়নে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার (১৪ই জানুয়ারি) বিকেল চারটার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলা বুড়িপোতা ইউনিয়নে এ জনসভার আয়োজন করা হয়।

বুড়িপোতা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ।

এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়ার সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু, আনছা-উল -হক, হাফিজুর রহমান হাফি, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ও পাবলিক প্রসিকিউটর আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুমানা আহমেদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মিন্টু, সাবেক পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সদর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি হাসিবুজ্জামান স্বপ্নন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনিসুল হক লাভলু, জেলা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মীর আলমগীর ইকবাল (আলম), জেলা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ফিরোজুর রহমান, জেলা যুবদলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনি, জেলা যুবদলের সদস্য মেহেদী হাসান রোলেক্স, জেলা জিয়া মঞ্চে আহবায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি, আব্দুল লতিফ, মোশিউল আলম দিপু, নাহিদ আহম্মেদ, ইসমাইল শাহ, দবির, জনিসহ বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




যার দেখা মেলে ১ লাখ ৬০ হাজার বছরে মাত্র একবার

মহাকাশে দেখা যেতে পারে এক উজ্জ্বল ধূমকেতু। বিরল এই ধূমকেতুটি ১ লাখ ৬০ হাজার বছরে মাত্র একবারই দেখা যায় বলে জানিয়েছে মহাকাশ গবেষকরা।

গতকাল সোমবার ধূমকেতুটি সূর্যের সবচেয়ে নিকটবর্তী বিন্দু পেরিহেলিয়নে অবস্থান করছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোমবার রাত থেকেই এটি দেখা যেতে পারে। তবে ধূমকেতুটি কোন কোন স্থান থেকে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তা এখনো অজানা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি শুক্র গ্রহের মতো উজ্জ্বল হতে পারে আর সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যেতে পারে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলেছে, কোনো ধূমকেতু কতটা উজ্জ্বল হয়ে দেখা দেবে, তা আগেই ধারণা করা খুব কঠিন। কিন্তু ‘সি/২০২৪ জি৩ (আটলাস)’ নামের এ ধূমকেতু খালি চোখে দেখার মতো যথেষ্ট উজ্জ্বল হতে পারে।

নাসার ‘টেরেস্ট্রিয়াল–ইমপ্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেম’–এ গত বছর ধূমকেতু ‘সি/২০২৪ জি৩ (আটলাস)’ শনাক্ত হয়।

কিংস কলেজ লন্ডনের অ্যাস্ট্রোপার্টিকল ফিজিকস ও কসমোলজির গবেষক শ্যাম বালাজি বলেন, ধূমকেতটির বর্তমান গতিপথের হিসাব–নিকাশ এ ইঙ্গিত দিচ্ছে, এটি সূর্য থেকে প্রায় ৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন (৮৩ লাখ) মাইল দূর থেকে অতিক্রম করবে; যা একে ‘সান–স্কার্টিং’ ধূমকেতু হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ বলেছে, ১ লাখ ৬০ হাজার বছরে মাত্র একবারই এ ধূমকেতু দেখা যায়।

শ্যাম বালাজি বলেন, এ ধূমকেতু দেখার সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে স্থানীয় পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও এটির আচরণের ওপরে। তিনি আরও বলেন, ‘অন্য সব ধূমকেতুর সঙ্গে তুলনা করলে এর দৃশ্যমানতা ও উজ্জ্বলতা অননুমেয় হতে পারে।’

এই গবেষক বলেন, দক্ষিণ গোলার্ধে বসবাসকারী লোকজন সূর্যোদয়ের আগে পূর্ব দিগন্তে এ ধূমকেতু দেখতে পাবেন। আর পেরিহেলিয়নের পর সূর্যাস্ত শেষে পশ্চিম দিগন্তে দেখা যাবে এই ধূমকেতু। এটি এ গোলার্ধ থেকেই সবচেয়ে ভালোভাবে দৃশ্যমান হতে পারে।

বালাজি বলেন, ধূমকেতুটি ‘বেশ উজ্জ্বল’ হবে বলে ধারণা করা হলেও কোনো ধূমকেতু কতটা উজ্জ্বল হবে, তা অনুমান করা খুবই কঠিন। এর আগে যেসব ধূমকেতু উজ্জ্বল হবে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, সেসবের অনেকগুলো ছিল ক্ষীণ আলোসম্পন্ন।

বিশ্লেষকেরা জানান, যুক্তরাজ্যসহ উত্তর গোলার্ধের অন্যান্য দেশ থেকে এ ধূমকেতু দেখা কঠিন হতে পারে।

যারা এ ধূমকেতু দেখতে চান, তাদের আলোর দূষণমুক্ত স্থান বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বালাজি। আর এটি দেখতে হলে বাইনোকুলার বা ছোট টেলিস্কোপ ব্যবহারের পরামর্শও দেন তিনি।

এ ধূমকেতু দেখার ক্ষেত্রে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের ক্ষণ বিশেষভাবে স্মরণে রাখতে বলেন এই বিশেষজ্ঞ। বলেন, ধূমকেতুর অবস্থান নির্ণয় করা ও তা দেখার জন্য সময় গুরুত্বপূর্ণ।

জ্যোতির্বিদেরা এরই মধ্যে ধূমকেতুটির যাত্রাপথের ওপর নজর রাখতে শুরু করেছেন। গত শনিবার নাসার নভোচারী ডন পেটিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধূমকেতুর একটি ছবি শেয়ার করেন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে তোলা হয়েছে এটি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ডন পেটিট লেখেন, ‘কক্ষপথ থেকে ধূমকেতু দেখতে পাওয়া দারুণ বিস্ময়ের। আটলাস সি২০২৪–জি৩ আমাদের এখানে সফর করছে।

সূত্র: যুগান্তর




ঝিনাইদহে সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে মামলা

ঝিনাইদহ জেলা সদর হাসপাতালে টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ এনে এক ঠিকাদার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্বাবধায়ককে বিবাদি করা হয়েছে।

আদালত বিষয়টি আমলে নিয়েছে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধীকারি মিনা মোহাম্মদ নবী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ২৫০ শয্যা ঝিনাইদহ জেলা সদর হাসপাতালের ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে রোগীদের ঔষুধ, যন্ত্রপাতি, ব্যান্ডেজ, গজ কাপড়, লিলেন কাপড়, কেমিক্যাল ও আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য প্রায় ৬ কোটির টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দেয়। শর্ত অনুযায়ী সাধারন ঠিকাদারেরা অংশ নিতে অযোগ্য হয়ে পড়েন।

এ নিয়ে এমএস এন্টারপ্রাইজের মালিক মৌসুমি আক্তার মিথিলা বাদী হয়ে সিভিল সার্জন ও তত্বাবধায়ককে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন। লিগ্যাল নোটিশে কাজ না হওয়ায় মঙ্গলবার ঝিনাইদহের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মেসার্স বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মিনা মোহাম্মদ নবী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন (যার নাম্বার- ৩১/২৫)।

মামলায় ঝিনাইদহের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা.মিথিলা ইসলাম ও হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমানকে ৩ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বিষয়ে জানতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে ঝিনাইদহের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মিথিলা আক্তার বলেন, হাসপাতালের টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়ে আমার কোনো দায় দায়িত্ব নেই। তাই এ নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।




জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ৪২ পদে চাকরি

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ১১টি পদে মোট ৪২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আবেদন জমার সময় শেষ হচ্ছে আগামীকাল বুধবার।

এই প্রতিষ্ঠানে আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে সরাসরি বা ডাকযোগে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।

পদের বিবরণ ও পদসংখ্যা

১. সেক্রেটারি/প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ফেডারেশন)

পদসংখ্যা: ৪

গ্রেড: ৯ম

বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা

২. প্রশিক্ষক

পদসংখ্যা: ২৬

গ্রেড: ১০ম

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা

৩. আলোকচিত্রশিল্পী

পদসংখ্যা: ১

গ্রেড: ১০ম

বেতন স্কেল: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা

৪. ইনস্ট্রাক্টর

পদসংখ্যা: ১

গ্রেড: ১১তম

বেতন স্কেল: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা

৫. ইনস্ট্রাক্টেস

পদসংখ্যা: ১

গ্রেড: ১১তম

বেতন স্কেল: ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা

৬. সাঁটলিপিকার

পদসংখ্যা: ৩

গ্রেড: ১৩তম

বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা

৭. স্টোরকিপার

পদসংখ্যা: ১

গ্রেড: ১৪তম

বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা

৮. কম্পাউন্ডার

পদসংখ্যা: ১

গ্রেড: ১৪তম

বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা

৯. প্রচার সহকারী

পদসংখ্যা: ১

গ্রেড: ১৬তম

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

১০. প্রুফরিডার

পদসংখ্যা: ১

গ্রেড: ১৬তম

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

১১. কার্যসহকারী

পদসংখ্যা: ২

গ্রেড: ১৬তম

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই লিংকে প্রতিটি পদে আবেদনের জন্য যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও বয়সসীমার শর্তসহ নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওয়েবসাইট থেকে চাকরির নির্ধারিত ফরম ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্র সরাসরি বা ডাকযোগে পাঠাতে হবে। খামের ওপর পদের নাম ও জেলা উল্লেখ করতে হবে।

আবেদন ফি

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুকূলে পরীক্ষার ফি বাবদ যেকোনো তফসিলি ব্যাংক থেকে ২০০ টাকার ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার করে রসিদ আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।

আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, ৬২/৩, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।

আবেদনের শেষ সময়: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫।

সূত্র: যুগান্তর




মামলায় আটকে হকি লিগ

হকি ফেডারেশনের নতুন অ্যাডহক কমিটি বিজয় দিবস টুর্নামেন্ট করেছে। সামনে মেয়েদের হকি করতে যাচ্ছে তারা। এরপর শহীদ স্মৃতি হকি হবে। কিন্তু হকির মূল যে আসর, সেই লিগ নিয়ে ভাবতে গিয়ে থমকে যেতে হচ্ছে তাদের।

কারণ জানতে ফিরে যেতে হবে সেই ২০২৩ সালে হওয়া নির্বাচনে, যে নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে দ্বিতীয়বারের মতো কমিটি গঠন করেছিলেন এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ। তিনি ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে নিরুদ্দেশ হয়েছেন এবং এরই মধ্যে তাঁর সেই কমিটি ভেঙে অ্যাডহক কমিটিও গড়া হয়েছে।

কিন্তু সেই নির্বাচনেই দুটি ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে করা মামলায় এখন প্রথম বিভাগ লিগ করতে গিয়ে আটকে যেতে হচ্ছে বর্তমান কমিটিকে। ‘প্রথম বিভাগের দুটি ক্লাব হকি ঢাকা ইউনাইটেড ও কম্বাইন্ড স্পোর্টিং নিয়ে আদালতে মামলা থাকায় লিগের কার্যক্রম এখনো আমরা শুরু করতে পারছি না।

ফেডারেশনের সঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদও মামলার বাদী। আমরা ক্রীড়া পরিষদকে অনুরোধ করেছি ওই দুই ক্লাবের মালিকানাসংক্রান্ত বিষয়টি যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করে দেওয়ার জন্য’, বলেছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসান।
ওই দুটি ক্লাবেরই সভাপতি ছিলেন সাজেদ এ আদেল। তাঁর অভিযোগ ছিল, মমিনুল হক সাঈদ ভুয়া কমিটি দেখিয়ে ওই দুটি ক্লাবে তাঁর মনমতো কাউন্সিলর দেন।

ওই সময়েই সাজেদ নির্বাচন কমিশনকে এসংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে গেলে সাঈদের লোকজন ক্রীড়া পরিষদ থেকে তাঁকে জোরপূর্বক বের করে দেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন। নির্বাচনের প্রজ্ঞাপন জারি হলে সাজেদ মামলা করেন। আদালত নির্বাচন কেন অবৈধ হবে না জানিয়ে রুলও জারি করেছিলেন। সর্বশেষ গত নভেম্বরে ওই দুটি ক্লাবের নাম ব্যবহার করে লিগ আয়োজনের ওপরও ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ফেডারেশন আটকে গেছে সেখানেই।
সাজেদ বলেছেন, ‘দুটি ক্লাব আমার দুটি সন্তানের মতো। আমি আমার সেই দুটি সন্তানকে তো ফেরত চাইবই।’ এদিকে ফেডারেশন বা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সাজেদের দাবি মেনে নিলে আগের কাউন্সিলরশিপ অবৈধ হয়ে যায়, সেই সঙ্গে নির্বাচনও। এই মুহূর্তে যদিও সেই নির্বাচিত কমিটির আর অস্তিত্ব নেই। এদিকে আবার প্রথম বিভাগ আটকে যাওয়ায় থমকে আছে প্রিমিয়ার লিগও।

সূত্র: কালের কন্ঠ




ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষকে বিদায়ী সংবর্ধনা

ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ ও শিশুকুঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি কর্ণেল এস এম রাকিব ইবনে রেজওয়ানকে বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদাণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে শিশুকুঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদায়ী সভাপতি কর্ণেল এস এম রাকিব ইবনে রেজওয়ান।

এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ক্যাডেট কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল শফিক উদ্দিন, এ্যাডজুট্যান্ট সরফরাজ নেওয়াজ, মেডিকেল অফিসার মেজর ডা: নুরুজ্জামান তুর্য। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, শিশুকুঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্বাস উদ্দিন, শিশু কুঞ্জ স্কুলের শিক্ষক মৃনালিনী সরকার, মিজানুর রহমান।

আলোচনা সভার শুরুতে সভাপতিকে সংবর্ধণা প্রদাণ করা হয়। এর আগে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিদায়ী অতিথিকে সম্মাননা দেওয়া হয়।




আলোচিত ‘বিতর্ক’, ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়েছে যেসব তারকার

বলিউড মানেই ঝলমলে দুনিয়া, তারকাখ্যাতি, আর অভিজাত জীবন। তবে এই গ্ল্যামারের আড়ালে লুকিয়ে থাকে এমন অনেক কেলেঙ্কারি, যা অনেক তারকার অভিনয় জীবনের ইতি টেনে দেয়। বলিউডের তারকারা শুধু অভিনয় নয়, তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও সবসময় আলোচনায় থাকেন। তবে বিতর্ক এবং কেলেঙ্কারি অনেক সময় তাদের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার ম্লান করে দেয়।

এসব ঘটনাগুলো শুধু তাদের জন্য নয়, বলিউড ইন্ডাস্ট্রির জন্যও একটি শিক্ষা। নীচে এমন কিছু কেলেঙ্কারি তুলে ধরা হলো, যা বলিউডের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রয়েছ। যেসব বিতর্কে জড়িয়ে ক্যারিয়ারই ধ্বংস হয়েছে অনেক তারকার। কেউ কেউ এখনও ভুগছেন ক্যারিয়ারে।

শক্তি কাপুরের স্টিং অপারেশন
২০০৫ সালে ইন্ডিয়া টিভির একটি স্টিং অপারেশনে শক্তি কাপুরকে কাস্টিং কাউচে জড়িত অবস্থায় দেখানো হয়। ভিডিওতে তাকে একজন উঠতি অভিনেত্রীকে কাজের সুযোগের বদলে আপত্তিকর প্রস্তাব দিতে দেখা যায়। ঘটনাটি তার ক্যারিয়ারে ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলেছিল এবং বলিউডে তার গ্রহণযোগ্যতা কমে যায়।

মধুর ভান্ডারকরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
খ্যাতিমান পরিচালক মধুর ভান্ডারকরের বিরুদ্ধে উঠতি অভিনেত্রী প্রীতি জৈন ধর্ষণের অভিযোগ আনেন।

যদিও আদালতে প্রমাণিত হয়নি সেই অভিযোগ, তবে এই কেলেঙ্কারি তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে বিশাল ঝড় তোলে।
মনিকা বেদির কারাদণ্ড
অভিনেত্রী মনিকা বেদির ক্যারিয়ার ধ্বংসের পেছনে তার গ্যাংস্টার আবু সালেমের সঙ্গে সম্পর্ক বড় ভূমিকা পালন করে। তার জাল পাসপোর্টের মামলায় গ্রেপ্তার ও কারাদণ্ড তার ক্যারিয়ারের ইতি ঘটায়।

সঞ্জয় দত্তের অস্ত্র মামলার কেলেঙ্কারি
১৯৯৩ সালের মুম্বাই বোমা বিস্ফোরণে বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে সঞ্জয় দত্ত গ্রেপ্তার হন। যদিও তিনি তার ক্যারিয়ারে ফিরে এসেছেন, তবে এই কেলেঙ্কারি দীর্ঘদিন তার ইমেজ কলঙ্কিত করেছে।

আরো পড়ুন
সুদিন ফেরাতে যে ১০ সিনেমায় নজর হলিউডের
সুদিন ফেরাতে যে ১০ সিনেমায় নজর হলিউডের

বিবেক ওবেরয় ও সালমান খানের দ্বন্দ্ব
২০০৩ সালে অভিনেতা বিবেক ওবেরয় সালমান খানের বিরুদ্ধে একাধিক হুমকির অভিযোগ আনেন। এর ফলে বলিউডে সালমানের অনুগতরা বিবেককে একঘরে করে দেয়। এই দ্বন্দ্বের কারণে বিবেকের ক্যারিয়ার বড় ধাক্কা খায়। বলিউড থেকে ছিটকে যান এ অভিনেতা।

রাজ কুন্দ্রার পর্নোগ্রাফি কাণ্ড
২০২১ সালে শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে পর্নোগ্রাফি প্রোডাকশন ও ডিস্ট্রিবিউশনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। যদিও শিল্পার ক্যারিয়ারে তেমন প্রভাব পড়েনি, তবে রাজ কুন্দ্রার সঙ্গে তার নাম জড়ানোর কারণে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় অভিনেত্রীকে। এখনও সেই মামলায় প্রায়ই শিরোনামে উঠে আসে শিল্পার নাম।

শাইনি আহুজার ধর্ষণের অভিযোগ
২০০৯ সালে অভিনেতা শাইনি আহুজার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন তার গৃহকর্মী। যদিও তিনি পরে জামিনে মুক্তি পান, তবে সেই ঘটনায় তার ক্যারিয়ার পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়।

মি-টু আন্দোলন ও নানা পাটেকর
মি-টু আন্দোলনের সময় অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। অভিযোগের পর নানা পাটেকরের ইমেজ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তিনি বেশ লম্বা সময়ের জন্য বলিউড থেকে দূরে সরে যান।

রিয়া চক্রবর্তী ও সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু
সুশান্ত সিং রাজপুতের আকস্মিক মৃত্যুর পর রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মাদক মামলায় নাম জড়ানো হয়। মিডিয়া ট্রায়াল এবং সমালোচনার মুখে তার ক্যারিয়ার প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। যদিও এখন বিভিন্ন শোয়ের মাধ্যমে প্রত্যাবর্তন করেছেন রিয়া। তবে বলিউডে তার জায়গা হারিয়েছেন। নতুন কোনো কাজে দেখা মিলছে না অভিনেত্রীর।

সূত্র: কালের কন্ঠ