মেদেনিপুরের ওরশ শেষে বিশেষ ট্রেন ফিরেছে বাংলাদেশে

মেদেনিপুরে ওরশ শেষে বিশেষ ট্রেন বাংলাদেশে ফিরেছে। গতকাল রবিবার দুপুরে দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলপথ দিয়ে মেদেনিপুরের স্পেশাল ট্রেন ওরশের বিশেষ দোয়া শেষে দেশে ফিরেছে।

দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ নাইম শেখ জানান, ভারতের মেদেনিপুরের হযরত আলি আব্দুল কাদের আল হাসানি আলবাগদাদির ১শ২২ তম ওরশ শেষে গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে বারটার দিকে দর্শনা সীমান্ত পার হয়ে আসে। পরে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন শেষে বেলা আড়াইটার দিকে ২৪টি বগিতে ২হাজার ১শ৫২জন যাত্রী নিয়ে দর্শনা ত্যাগ করেন।

আনজুমান -ই-কাদরিয়া সংগঠনের বাংলাদেশ শাখার সাধারন সম্পাদক আব্দুল আজিজ কাদরিয়া খোকন জানান ১৯০২ সাল থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ধর্মপ্রান মুসলমানেরা ভারতের মেদেনিপুরের ওরশে যোগদান করে থাকেন, এবারো দু দেশের রেলওয়ে কতৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বিশেষ ট্রেনটি ভারত ঘুরে আসলেন।




ডায়েট করতে গিয়ে হাসপাতালে জনপ্রিয় অভিনেত্রী

দীর্ঘদিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন ঢালিউড অভিনেত্রী রাহা তানহা খান। এর ফলে তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না এই অভিনেত্রীকে। গত বছর ফিল্ম ক্লাব নির্বাচনে চিত্রনায়ক ওমর সানির নেতৃত্বে গঠিত প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে দাঁড়িয়েছিলেন তানহা।

তখন সবশেষ দেখা গিয়েছিল তাকে। এবার হঠাৎ করে হাসপাতালে ভর্তির ছবি দিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছেন তিনি।

রোববার ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে একটি ছবি পোস্ট করেন রাহা তানহা। ছবিতে তাকে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। এতে শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে নানা প্রশ্নের তৈরি হয়।

অভিনেত্রী একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ডায়েট করতে গিয়ে রক্তচাপ কমে গিয়েছিল। এ কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে বর্তমানে কিছুটা সুস্থ রয়েছেন এবং চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।

জানা গেছে, তানহা দেশের বাইরে ছিলেন। দেশে ফিরে ডায়েট করতে গিয়ে রক্তচাপ কমে যায়। এতে অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে রাজধানীর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। হাসপাতালে শারীরিক সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রোববার সন্ধ্যায় বাসায় ফিরেছেন বলে জানান রাহা তানহা।

সূত্র: যুগান্তর




সভাপতি খাজা আবুল হাসনাত সাধারন সম্পাদক আহম্মদ আলী

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজলার বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গতকাল রবিবার বিকেলে দর্শনা থানা বিএনপি’র দ্বি-বাষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা বিএনপি’র সদস্য আব্দুল জবার সােনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেক বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র আহবায়ক মাহামুদ হাসান খান বাবু।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানা বিএনপি’র প্রধান সম্বয়কারী বীরমুক্তিযােদ্ধাে খাজা আবুল হাসনাত, জীবননগর উপজলা বিএনপি’র সভাপতি আনােয়ার হােসেন খান, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি, দর্শনা পৌর বিএনপি’র প্রধান সম্বয়কারী হাবিবুর রহমান বুলেট, জেলা বিএনপি’র সদস্য আবুল কালাম, দর্শনা থানা বিএনপি’র সদস্য আহম্মদ আলী, জেলা বিএনপি’র সদস্য রফিকুল হাসান তনু, মাহাত্তাব আলী, শাহাজান কবির, আবুল হাসান তুয়া, নজরুল ইসলাম, ফরিদুল ইসলাম শিপলু, আবু বক্কর ছিদ্দিক, আজিজুল হক পিটু।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আ.মমিন মালিথার উপস্পনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা থানা বিএপি’র সম্বনয় টিম সদস্য আকতার হােসেন, স্বেছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিন্টু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছাইফুর রশিদ ঝটু, কুড়ালগাছী ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, মদনা ইউনিয়ন সভাপতি শফিউল্লা শফি,সাধারণ সম্পাদক আজিবর রহমান, বেগমপুর ইউনিয়ন সভাপতি আসাবুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, তিতুদহ ইউনিয়ন সভাপতি মিলন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম টােটন, নেহালপুর ইউনিয়ন সভাপতি ফরজ আলী, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, গড়াইটুপি ইউনিয়ন সভাপতি মহবত আলী, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, দর্শনা থানা যুবদলের আহবায়ক জালাল উদ্দিন লিটন, সদস্য সচিব সাজেদুর রহমান মিলন, দর্শনা পৌর যুবদলের আহবায়ক ফারুক হােসেন, সদস্য সচিব জালাল উদ্দিন, থানা স্বেছাসেবক দলের আহবায়ক মজনুর রহমান, আব্দুর আলী, সামসুল ইসলাম, আজিজুল হক, জিল্লুর রহমান, জালাল উদ্দিন, কুদ্দুস আলী, জামাল, আবু বক্কর, বিএনপি’র অন্যতম নেতা আসলাম উদ্দিন প্রমুখ।

বক্তব্য শেষ থানা বিএনপি’র সুপার ফাইভ সদস্যদের ভােটাভুটির মাধ্যমে বীরমুক্তিযাদ্ধা খাজা আবুল হাসনাতকে সভাপতি, আক্তার হােসেনকে সিনিয়র সহসভাপতি, বীরমুক্তিযাদ্ধা সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মদ আলীক সাধারণ সম্পাদক, খাইরুল ইসলামকে যুগসাধারণ সম্পাদক ও মহিদুল ইসলাম জােয়ার্দ্দারকে সাংগাঠনিক সম্পাদক করে সুপার ফাইভ দর্শনা থানা বিএনপি কমিটির নাম ঘােষনা করেন জেলা কমিটি।




‘ফিফার অতি গোপনীয় কথা বলতে পারি না’

সংবাদমাধ্যম এগিয়ে গেলেও কাজী সালাহউদ্দিন লুফে নেন না। দেশের এমন সেলিব্রেটি হয়েও অন্যদের মতো প্রচারের স্রোতে গা ভাসান না। নিজেকে আড়ালে রাখতে গিয়ে সঠিক তথ্যটা আড়ালেই পড়ে গেছে বহুবার। একটু ভিন্নতা এসেছে এবার।

সম্প্রতি ফিফায় বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগসহ চারজনের যাওয়ার ব্যাপারে নানা সমালোচনার গুঞ্জন ডালপালা মেলেছিল। সমালোচনার তীর ছিল বাফুফের সভাপতি সালাহউদ্দিনের দিকে। গতকাল বিকালে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় সালাহউদ্দিন দাবি করলেন ফিফায় যারা গিয়েছেন তাদেরকে কি কারণে ডাকা হয়েছে তার কিছুই তিনি জানেন না।

সালাহউদ্দিন বললেন, ‘ফিফার অতি গোপনীয় কথা বলতে পারি না। পরিষ্কার লেখা ছিল কনফিডেন্সিয়াল। আমি যদি জিজ্ঞেস করি তাহলে ফিফার চোখে আমি বিপদে পড়ব। ফিফা যাদের নামে চিঠি দিয়েছে তাদের সঙ্গেই কথা বলেছে। তারপরও আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম সোহাগকে। সেও আমাকে কিছু বলেনি। এখন কথা হচ্ছে যাদের নামে চিঠি এসেছে তাদের বাইরে এ বিষয়টা কারোরই জানার কথা না। নিশ্চয়ই এদের মধ্য থেকে কেউ প্রকাশ করেছে।’

সোহাগ বললেন, ‘আমরা অনুমান করছি কার কাছ থেকে খবর বেরিয়েছে।’ শুনেই সালাহউদ্দিন বললেন, ‘আমি অনুমান করতে পারছি না। যিনি প্রকাশ করেছেন তিনি ক্রাইম করেছেন।’

সালাহউদ্দিন বললেন, ‘ফিফা এখন এই সব নিয়ে ভাবছে। তারাও বিভিন্ন কমপ্লায়েন্স নিয়ে আছে। একবার বলছিল দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজন করবে, সেটি পারেনি।

আরেক বার বলল, লিগ চালু করবে, সেটাও পারেনি। কোনো ফেডারেশনে কি হয়েছে সেটা নিয়ে ভাবছে। এমন তালিকায় ৪০ দেশ রয়েছে। যারা ফিফার ফান্ড গ্রহণ করে তাদেরকে ফিফার ডাকে দৌড়াতে হচ্ছে। ইউরোপের অনেক দেশ ফান্ড নেয়ও না, দৌড়াতেও হয় না।’

সালাহউদ্দিন চাইছেন যতক্ষণ না পর্যন্ত ফিফা প্রকাশ না করছে তা নিয়ে আমরাও কোনো কিছু বলতে পারব না।

গোটা পৃথিবী সেপ ব্ল্যাটার এবং মিশেল প্লাতিনির বিষয়ে প্রকাশ করা হলে তখন তাদেরকে চোর চোর বলে গাল দেওয়া হলো। সেই খবর সব জায়গায় বড় করে প্রচার হলো। ফিফা যখন ব্ল্যাটার এবং প্লাতিনিকে ক্লিয়ার করে দিল সেই খবর কয়জন জানলো। পত্রিকায় একবার পড়লাম ফুটবলার এমবাপ্পে ৩০০ মিলিয়ন ইউরোতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। আজ একই পত্রিকায় পড়লাম ১০০ মিলিয়ন ইউরোতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এমবাপ্পে।

জেমি ডে বকেয়া পাচ্ছে না কেন?

বাফুফে সভাপতি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন তার পাওনা দিতেই হবে। আমরা তাকে রাখিনি। বকেয়া যা আছে সেটা পাঠাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। ৮৬ হাজার ডলার সঙ্গে আরো কিছু যোগ হয়েছে। এই ডলার পাঠাতে হলে সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজন হয় এবং সেটি ধাপে ধাপে এগিয়ে যায়। পৃথিবীর ৯০ ভাগ কোচ যাওয়া-আসার মধ্যেই থাকে।’

সালাহউদ্দিন বললেন,‘ জেমির কারণে ফান্ড ব্লক করেছে সে রকম চিঠি পাইনি। জেমির সঙ্গে দুই বছরের জন্য চুক্তি করেছিলাম। কিন্তু জেমি বছরের বেশির ভাগ সময় লন্ডনে থাকবে। তাকে আনতে গেলে সে আসতে চাইবে না। এটা তো হয় না।’

বিদেশি কোচ নিয়োগ থেকে বেরিয়ে আসা যায় কি না? সালাহউদ্দিন বললেন, ‘দেশি কোচদের দিয়ে চেষ্টা কম হয়নি। যাকেই দায়িত্ব দিয়েছি সে তো রেজাল্ট দিতে পারেনি।’ যেসব দেশি কোচকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাদের অনেকের নাম উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন।

৬০ ভাগ ফুটবলারই আনফিট

জাতীয় দলে নেওয়া যেতে পারে এমন ফুটবলার খুঁজতে দেওয়া হলে সালাহউদ্দিন কীভাবে বাছাই করবেন। তিনি বললেন, ‘লিগের খেলা দেখলে বুঝা যায় ৬০ ভাগ ফুটবলার আনফিট। জাতীয় দলে খেলার মতো ফিটনেস নেই। খেলোয়াড়রা ক্লাবে থাকেন। সেখান থেকেই গড়ে উঠবেন। কিন্তু এখানে সেটা নেই। খেলোয়াড়রা বছর জুড়ে ক্লাবের কাছে থাকে। তারা তাদের মতো করে ফুটবলারদের গড়ে তুলছেন। আমার কাছে বাজেট থাকলে আমি টাকা খরচ করে ফুটবলার নিয়ে রাখতাম, জাতীয় দলের জন্য।

দুই একটি ক্লাব সঠিকভাবে কাজ করছে। আমরা যেমন মেয়েদেরকে এক জায়গায় রাখছি। ক্লাবের ফুটবলারদের নিয়ে সেভাবে পরিকল্পনা করতে পারছি না। যেটা পারছি মেয়েদের নিয়ে। তাহলে ছেলেদের ফুটবলে রেজাল্ট পাব কীভাবে। ইউরোপের ক্লাবগুলো পেশাদার প্রথায় চলে। তারা সেভাবে খেলোয়াড়দের গড়ে তুলছে। জাতীয় দলে আসলে কোচ শুধু খেলার ছকটা দেখিয়ে মাঠে নামায়। আমাদের এখানে দুই একটা ক্লাব ছাড়া নিজেদের মাঠও নেই।’

প্রিমিয়ার লিগের মান

লিগের মান নিয়ে অসন্তোষ আছে বাফুফে সভাপতির। ক্লাবগুলো সেভাবে অবকাঠামো তৈরি করতে পারেনি। ক্লাব ফুটবলের স্ট্যান্ডার্ড কমলে জাতীয় দলের ব্যর্থতাও বেড়ে যাবে। এখন দেখবেন এক তরফা লিগ হচ্ছে। দুই-একটা ক্লাব ট্রফি জয় করছে। অন্যান্য ক্লাব যদি শক্তিশালী দল না গঠন করে তাহলে লিগের মান বাড়বে না। খেলোয়াড়দের মান বাড়বে না। তার পরও বলব দক্ষিণ এশিয়ার লিগের তুলনায় ভালো।’

সূত্র: ইত্তেফাক




স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদেরের সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থিতা প্রত্যাহার

দর্শনা পৌরসভা উপনির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের(৫৫) দর্শনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছে। তিনি দর্শনা পৌরসভার শ্যামপুর গ্রামের ইউছুফ আলীর ছেলে ও বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি সমর্থীত প্রার্থী ছিলেন। দর্শনা পৌর উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ছিলেন।

গতকাল রোববার দুপুর ১ টার দিকে দর্শনা পেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

আব্দুল কাদের তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,দর্শনা পৌরসভা উপনির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতের দলীয় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করি। গত শুক্রবার রামনগরে আমার দলের নেতা কর্মী সমর্থক নিয়ে গণ সংযোগ করছিলাম। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা ফয়সাল ও ফলেয়ার সহ বেশ কিছু লোকজন তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং বিভিন্ন ভাবে আমার প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এছাড়া গত শনিবার দুপুরে দর্শনা পৌর জামায়াতে আমির সাহিকুল আলম অপু ও ছানোয়ারসহ দুজন নেতাকর্মী কে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে দর্শনা পৌর উপ- নির্বাচনে নির্বাচনীয় পরিবেশ না থকায় আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌরসভার আব্দুল কাদেরের নির্বাচন পরিচালনার পরিষদের আহবায়ক আসকার আলী, পৌর জামায়তের ভারপ্রাপ্ত আমির গোলজার হোসেন।




মেহেরপুরের যাদুখালী স্কুল এন্ড কলেজের ৫টি গাছ কাটার অভিযোগ

মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদুখালী স্কুল এন্ড কলেজের পাঁচটি সেগুন গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে সভাপতি আব্দুস সামাদ ওরফে বাবলু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান।

গত শনিবার এ পাঁচটি সেগুন গাছ কাটা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা। তবে শিক্ষার্থীদের নদী পার করতে নৌকা তৈরি কাজে ব্যবহারের জন্য রেজুলেশ করেই গাছ কাটা হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দুজনেরই কেউই জানেন না রেজুলেশন হয়েছে কি না।

জানা গেছে, যাদুখালী স্কুল এন্ড কলেজের সীমানা প্রাচির সংলগ্ন সেগুন বাগান থেকে ৫টি সেগুন গাছ কাটে গুড়িসহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যার প্রতিটা গাছের মূল্য ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা হবে বলে জানান স্থানীয়রা।

সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ৩১শে অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার ওই সময়ের মধ্যে গাছ কাটা সংক্রান্ত কোনো রেজুলেশন করা হয়নি। আমি শুনেছি ৫টি সেগুন গাছ কাটা হয়েছে। গত শনিবার ছুটি থাকার কারণে আমি প্রতিষ্ঠানে ছিলাম না।

বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজিবুল আলম বলেন, আমি চলতি মাসের ৯ তারিখে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। আজ দশ দিন পূর্ণ হল আমার দায়িত্ব নেওয়ার মধ্যে গাছ কাটার বিষয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

যাদুখালী স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আব্দুল সামাদ বিশ্বাস বলেন, পাশ্ববর্তি যতারপুর গ্রামের ৩শ ছেলে মেয়ে স্কুলে পড়াশোনা করে। ভৈরব নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে এসব শিক্ষার্থীরা পার হয়ে স্কুলে আসে। বর্ষার সময় সাঁকোর অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। সে কারণে পারাপারের জন্য নৌকা একটি ভালো মাধ্যম। স্কুলের গাছ কাটা হয়েছে নৌকা বানানোর জন্য। এটি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাই রেজুলেশন করে গাছ কাটা হয়েছে।

মেহেরপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুর হোসেন বলেন, সরকারি অথবা বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে সরকারি বিধি মোতাবেক কাটতে হবে। এজন্য প্রতিষ্ঠানের রেজুলেশনসহ উপজেলা গাছ কাটা বিষয়ক কমিটি রয়েছে। সে কমিটিতে অবহিত করতে হবে।

মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা গাছ কাটা বিষয়ক কমিটির সভাপতি মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, যাদুখালী স্কুল এন্ড কলেজের গাছ কাটার কাটার বিষয়টি আমি জানিনা। স্কুলের কর্তৃপক্ষ কিভাবে সিদ্ধান্ত নিলো বিষয়টি জেনে বলতে পারবো।




ছবি তুলতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্চিত, মোবাইল ভাংচুর

জাপান টোব্যাকো ইন্ডাষ্ট্রিজ (জেটিআই) এর উদ্যোগে চাষিদের তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করন সভার ছবি তুলতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ওই সাংবাদিকের মোবাইল ফোন ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং সাংবাদিকের সাথে মারমুখি আচরন করেন জাপান টোব্যাকোর কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা। শুধু তাই নয়, অকথ্য ভাষায় কথা বলে সাংবাদিককে অপদস্থ করেন জেটিআই এর লোকজন। গতকাল রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটার সময় গাংনী উপজেলার হিন্দা গ্রামের পশ্চিমপাড়া মাঠে এঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, জাপান টোব্যাকো ইন্ড্রাষ্ট্রির আয়োজনে এবং স্থানীয় তামাক ব্যবসায়ী সিদ্দিক ও ইলিয়াসের সহযোগীতায় হিন্দা পশ্চিমপাড়া মাঠের একটি বাঁশবাগনে স্থানীয় প্রায় শতাধিক চাষি ও ব্যবসায়ীদের একত্রিত করে তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করন সভা করছিলেন। সভায় প্রণোদনা ও প্রচারণা মুলক বিভিন্ন লিফলেট, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করন বক্তব্য দিচ্ছিলেন কুষ্টিয়া জোনের ম্যানেজার। এসময় মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাংলা টিভি ও দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনের সাংবাদিক আকতারুজ্জামান ওই অনুষ্ঠানের একটি ছবি তুলতে গেলে জাপান টোব্যাকো ইন্ড্রাষ্ট্রিজ (জেটিআই) এর মেহেরপুর শাখার ম্যানেজার আরিফ পিছন থেকে এসে মোবাইল ফোনে থাবা মেরে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় মোবাইল ফোনটি মাটিতে পড়ে যায়।

ফোনটি নিয়ে তাদের উদ্বুদ্ধকরণ সভার ধারনকৃত ছবি ডিলিট করে দেয়। পরে কোম্পানীর আরও ৪/৫জন লোক এসে পুনরায় সাংবাদিক আকত্রাুজ্জানের মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এবং বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে । এসমসয় সাংবাদিকের কার্ড দেখতে চাইলে সাংবাদিক আকতারুজ্জামান তার পরিচয়পত্র দেখালেও তা ছিনিয়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলার চেষ্টা করেন তারা। অবস্থা বেগতিক দেখে স্থান ত্যাগ করে সাংবাদিক আকতারুজ্জামান। বিষয়টি গাংনীতে কর্মরত সাংবাদিকদের জানান। সাংবাদিকরা তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে যান। অন্যান্য সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেলে তড়িঘড়ি করে উদ্বুদ্ধ করণ সভা শেষ করে গ্রাম ত্যাগ করেন কোম্পানীর লোকজন । পরে উদ্বুদ্ধ করণ সভার সহায়তাকারি হিন্দা গ্রামের হযরতের ছেলে তামাক ব্যবসায়ী সিদ্দিক ও ঝড়ু মিয়ার ছেলে ইলিয়াস অন্যান্য সাংবাদিকদের না জানাতে বলেন। জানালে দেখা নেয়ার হুমকি দিয়ে বিষয়টি চেপে যেতেন বলেন।

সংবাদ পেয়ে গাংনী প্রেসক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে যান এবং স্থানীয়দের বক্তব্য শোনেন। স্থানীয় তামাক ব্যবসায়ী ছিদ্দিক ঘটনাটি ভিন্ন খাতে নেয়ারও চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তিনি যা ঘটেছে তা অনাকাংিখিত বলেও দাবী করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, সাংবাদিকরা মিটিং এর ছবি তুল্লে তারা কেনো রেগে গিয়ে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন? কেনইবা ছবি তোলাতে তারা রাগান্বিত হন? তারা কি তাহলে আইন বিরোধী কোন কাজ রছিলেন ? এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের মধ্যেও ঘুরপাক খাচ্ছে।

সাংবাদিক লাঞ্চিতের ঘটনায় দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, গাংনী প্রেসক্লাব সভাপতি তৌহিদ উদ দৌলা রেজা, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম, মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দুসহ সকল প্রিন্ট ও ইলেক্ট্র্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দরা তিব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং এঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। সেই সাথে তবে চাষিদের সাথে তারা মাঠে বসে মিটিং করার ছবি তোলার বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা বলেন, কোম্পানীর লোকজন এমন কি করছিলেন যা সাংবাদিকরা ছবি ধারন করলে তাদের আতে ঘা লাগে। নিশ্চয় কোম্পানীর লোকজন এমন বিষয় আলোচনা হচ্ছিল যা সরকার বিরোধী কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখারও দাবী করেন। একই সাথে তামাকের প্রচার ও প্রচারণার বিষয়ে তামাক বিরোধী সংগঠনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

তেঁঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য নাজমুল হক খোকন জানান, জাপান টোব্যাকো’র একটি মিটিং ছিল ,আমাকে যেতেও বলেছিল কিন্তু আমি যায়নি। আমার ওযার্ডে মিটিং বা কোন সমাবেশ করার অনুমতি নেয়নি। তবে সাংবাদিক লাঞ্চিতের ঘটনা শুনে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোম্পানীর শিক্ষিত ব্যাক্তিরা সেখানে একটি চাষিদের নিয়ে সমাবেশ করছিলেন । সেখানকার ছবি ধারন করা তেমন কোন অন্যায় বা নিষেধ থাকার কথা নয়।

তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা বিশ্বাস জানান, জাপান টোব্যাকে কোম্পানী(জেটিআই) বিভিন্ন সময় তাদের মিটিং করে আমি লোকমুখে জানতে পারি। তবে নিয়ম হচ্ছে আমার ইউনিয়নের মধ্যে কোন মিটিং করলে পরিষদকে অবশ্যই অবগত করতে হবে। কিন্তু তারা কোনদিনও জানায়নি।

জাপান টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ (জেটিআই) এর মেহেরপুর শাখা ব্যবস্থাপক আরিফ জানান, সাংবাদিক আমাদের না বলে ছবি তুলেছিল। তাই কথা কাটাটি হয়েছে। এর বেশি কিছূ হয়নি বলে দাবী করেন তিনি।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জাপান টোব্যকো থেকে মিটিং করার কোন অনুমতি নেয়নি। সাংবাদিকের সাথে তারা যে আচরণ করেছে তা অন্যায়। লাঞ্চিত সাংবাদিক অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




গুলশানে বহুতল আবাসিক ভবনে আগুন, একজনের মৃত্যু

রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে একটি বহুতল আবাসিক ভবনে আগুনের ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে তিনজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তবে তিনি আগুনে পুড়ে মারা গেছেন নাকি ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে পুলিশ এখনো কিছু জানায়নি।

আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বনানী ক্লিনিকের কাস্টমার কেয়ারের আশিষ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি রোববার রাত ১০টা ২০ মিনিটে অজ্ঞাত একটি লাশ নিয়ে হাসপাতালে আসেন। গুলশান থানা পুলিশ তার মাধ্যমে লাশটি হাসপাতালে পাঠিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে নিহত ওই ব্যক্তি আগুনে পুড়ে মারা গেছেন না ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে আশিষ বিশ্বাস কিছু বলতে পারেননি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, রোবববার রাত ১০টার দিকে একজন পুরুষের মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে যান ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর রোডের ১২ তলা ভবনের সাততলায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ১৩টি ইউনিট। ভবনটির ১২ ও আটতলায় অনেকেই আটকা পড়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে জীবন বাঁচাতে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের পরিচয়ও জানা যায়নি।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

আবাসিক ওই ভবনে অনেকগুলো পরিবার বসবাস করে। ভবনের বিভিন্ন তলায় অনেকে আটকা পড়েছেন। আগুন থেকে বাঁচতে ব্যালকনি থেকে কয়েকজনকে লাফিয়ে নিচে নামতে দেখা গেছে।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, চারজন নারী ও তিনজন পুরুষকে ওই ভবন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কতজন ভেতরে আটকে আছেন, তা জানা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা খালেদা ইয়াসমিন যুগান্তরকে বলেন, ভবনটি আবাসিক। সাততলায় আগুন লেগেছে। ১২ ও আটতলায় অনেকেই আটকা পড়েছেন বলে খবর পেয়েছি। তবে মৃত্যুর বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

সূত্র: যুগান্তর




দামুড়হুদা জয়রামপুরে দুটি ফার্মাসীতে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা

দামুড়হুদা জয়রামপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান শেখ হারবাল সহ দুই দোকানে জরিমানা করা হয়েছে রবিবার বিকালে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর কাঠালতলা ও জয়রামপুর স্টেশন বাজারে দীর্ঘ সময় ধরে চলে ঔষধ প্রশাসনের অভিযান।

এই অভিযান চলাকালে জয়রামপুর কাঁঠালতলা বাজারে শেখ মেডিকেলে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধের জন্য ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শেখ মেডিকেলের মালিক ইমতিয়াজ হোসেনের বড় ভাই ডাক্তার ইমরানকে চিকিৎসা দেওয়ার কোন অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা দেওয়ার কারণে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া জয়রামপুর রেলস্টেশন বাজারে ফিরোজ মেডিকেলে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ এর জন্য ১৫শত টাকা জরিমানা করা হয়। এ অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সহকারি ঔষধ প্রশাসন কে, এম, মুহনীনিন মাহবুব। এ অভিযানে সহকারী হিসেবে অভিযান পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস।

এই বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সহকারি ঔষধ প্রশাসনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদার একটি হচ্ছে চিকিৎসা। এই দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিরলস কাজ করে চলেছে । আপনারাও সচেতন হন। পরবর্তীতে তারা যেন বিনা অনুমতিতে চিকিৎসা ও মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি না করে সেই দিকে লক্ষ্য রাখবেন। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।




দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড চত্বর যানজট মুক্ত করণের উদ্যোগ মডেল থানা পুলিশের

দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড চত্বর যানজট মুক্ত করণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন মডেল থানা পুলিশ।  রবিবার সকাল ১০টার দিকে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড চত্বর যানজট মুক্ত করণের উদ্যোগে কাজ করে চলছে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের একটি টিম।

জানাগেছে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড চত্বরে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ এর দিকনির্দেশনায় এসআই তাপস কুমারের নেতৃত্বে যানজট মুক্তকণের উদ্যোগে কাজ চলছে।

তিনি বলেন প্রতিদিনের ন্যায় অবৈধ যান পাখিভ্যান, ইজিবাইক, অটো, লেগুনা, নছিমন, করিমন, আলমসাধুসহ বিভিন্ন ফিটনেস বিহীন গাড়ি রোডের উপর এলোমেলোভাবে সিরিয়াল করে থাকে এবং রোডের পরিবেশ নষ্ট করছে। বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এসব অবৈধ গাড়ির জন্য মনে হয় যেন এক বর্জ্যস্তুপ। দিনের পর দিন এক্সিডেন্ট লেগেই থাকে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা যখন স্কুল কলেজে যাওয়া আসার সময় ভোগান্তি পোহাতে হয়।

এমনকি যাত্রী সাধারনের হয়রানির শিকার হতে হয়। রাস্তা আটকে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট হয় পথযাত্রীদের। এতে করে গন্তব্যে যাওয়া খুবই কষ্ট সাধ্য হয়। এসব লাঞ্চিত ভোগান্তি পূর্ণ মানুষের কষ্ট দুঃখ দুরদশা চোখে পড়ে। তাই আমাদের টিম যানজট নিরসনের কাজ করছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কনস্টবল তুষার, মামুন, লাবনী। এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, সরকার রোড বানিয়েছেন জনগণ এর চলাচল সহজ করার জন্য। আর এসব যানজটের জন্য মানুষের চলাচল কষ্টসাধ্য হয়। যানজট নিরসনে আমাদের এই সেবা চলমান থাকবে।