কুমিল্লার জয়রথ থামিয়ে শিরোপা জিততে উন্মুখ সিলেট

বিপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে প্রথমবারের মত টুর্নামেন্টটির শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সিলেট স্ট্রাইকার্স।

মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের নবম আসরের ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে প্রথমবার ফাইনালে ওঠা সিলেট স্ট্রাইকার্স। বিপিএলের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে নাগরিক টেলিভিশন।

অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই শুধুমাত্র ঈর্ষনীয় রেকর্ড নেই মাশরাফির। বিপিএলেও অধিনায়ক হিসেবে সেরা সাফল্য আছে তার। বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ চারবার বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মাশরাফি। প্রথম পাঁচ আসরের মধ্যে চারটিতে অধিনায়ক হিসেবে ট্রফি তুলে ধরেছেন ম্যাশ।

২০১২ ও ২০১৩ সালে বিপিএলের প্রথম দুই আসরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে শিরোপা জেতেন মাশরাফি। এরপর ২০১৫ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে সেরার মুকুট মাথায় তোলেন দেশসেরা অধিনায়ক। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক হিসেবে চতুর্থবারের মত চ্যাম্পিয়ন হন মাশরাফি।

মাশরাফির পর অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুইবার বিপিএলের শিরোপা জয় করেছেন ইমরুল কায়েস। ২০১৮ ও ২০২২ সালে কুমিল্লার হয়ে দু’বার শিরোপা জিতেছেন ইমরুল।

অধিনায়ক হিসেবে একবার করে বিপিএলের শিরোপা জিতেছেন সাকিব আল হাসান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল। ২০১৬ সালে ঢাকা ডায়নামাইটসকে শিরোপার স্বাদ দেন সাকিব। একমাত্র বিদেশি অধিনায়ক হিসেবে ২০১৯ সালে রাজশাহী রয়্যালসকে শিরোপা এনে দেন রাসেল।

এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের ফাইনালে কখনও হারেননি মাশরাফি। এজন্য প্রথমবারের মত ফাইনাল খেলার সুযোগ পাওয়া সিলেট মাশরাফির নেতৃত্বে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে।
প্লেয়ার ড্রাফটের পর শিরোপা দৌঁড়ের তালিকায় নাম না থাকলেও মাশরাফির নেতৃত্বে যেভাবে ফাইনালে উঠেছে তাতে শিরোপা জেতার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী সিলেট।

অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের সমন্বয়ে দল গড়েছিলো সিলেট। দলের তরুণ খেলোয়াড়দের বড় কোন টুর্নামেন্টে বলার মত সাফল্য ছিলো না। কিন্তু মাশরাফি ম্যাজিকে ম্যাচ জয়ী খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসান, তানজিম হাসান সাকিবরা। দলকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তারা।

তরুণদের এমন সাফল্য নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আমার কোন জাদুর ছোঁয়া নেই, সব আল্লাহর রহমত। খেলোয়াড়রা তাদের সেরাটা খেলার চেষ্টা করেছে, তাই এমনটা হয়েছে।’

আগে চারবার ফাইনালে উঠে শিরোপা জিতলেও, নবম আসরের ফাইনাল নিয়ে সতর্ক মাশরাফি। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত কোন ফাইনাল হারিনি বলে এর মানে এই নয়, প্রতিটি ফাইনালেই জয়ী হব।

তিনি বলেন, ‘এটি ফাইনাল, আমরা কোন ঝুঁকি নিতে পারি না। মাশরাফি কোন ফাইনাল হারেনি এটি ভেবে আমরা আত্মতুষ্ট হতে পারি না। আমাদের সেরাটা দিতে হবে।’

ফাইনালে মাশরাফির দলের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা দুর্দান্ত ফর্মে আছে। প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর টানা ১০ ম্যাচে জয় পায় কুমিল্লা। এ সময় সিলেটকে দু’বার হারায় তারা। দ্বিতীয় লেগে ও প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে জয় তুলে নিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে কুমিল্লা।
মাশরাফির মতো কোন ফাইনালে হারেননি কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও। যদিও দু’বার ফাইনাল ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

মাশরাফি বলেন, ‘কুমিল্লা এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, আমরা তাদের বিপক্ষে কোন ম্যাচেই পারবো না। আমরা যদি আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলি, এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এগিয়ে থাকতে পারি তাহলে আমরা শিরোপা জিততে পারবো। কিন্তু আবারও বললাম, আমার কাছে কোন জাদুর ছোঁয়া নেই। ছেলেরা এখন পর্যন্ত ভালো খেলেছে এবং আমি চাই আর একটি ম্যাচের জন্য তারা আবারও জ্বলে উঠুক।’

এদিকে, কুমিল্লাও জানে টানা ১০ ম্যাচ জয়ের পরও একটি খারাপ দিন সব কিছু নষ্ট করে দিতে পারে। তারা আশা করছে, টুর্নামেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কোন অঘটন না ঘটুক।

কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বলেন, ‘আমরা আমাদের সেরাটা খেলার চেষ্টা করবো। আমরা এখন পর্যন্ত যেভাবে খেলেছি সেভাবে খেলতে পারলে আশা করি শিরোপা জিততে পারবো।’

আজ শিরোপা জিতলে, বিপিএলের সবচেয়ে সফলতম দলের তকমা পাবে কুমিল্লা। ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সরিয়ে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি হবে কুমিল্লা। গ্ল্যাডিয়টর্স এবং ডায়নামাইটস নামে তিনবার শিরোপা জিতেছে ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুলের ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের নিয়ে অরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় মেহেরপুর সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সিভিল সার্জন ডাক্তার জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী এর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক মন্টু, চ্যানেল ২৪ এর সাংবাদিক রাশেদুজ্জামান, বাসস প্রতিনিধি দিলরুবা খাতুন, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মুমিন ।

মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মোঃ ইনজামুল হক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সিভিল সার্জন ডাক্তার জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী বলেন আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুর জেলাতেও ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

মেহেরপুর জেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮৫৪১ জন শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৬১ হাজার ৯৭৮ জন শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

তিনি আরো বলেন জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে শিশুদের রাতকানা রোগ এবং ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে যে কারণে প্রতিবছর দুইবার ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।

মেহেরপুর জেলার প্রায় ৪০ জন সাংবাদিক ওয়ারেন্টেশন সভায় অংশগ্রহণ করে।




শ্যামপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

মেহেরপুরের শ্যামপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ফ্রি চক্ষু, চর্ম ও দাঁত সেবা ২০২৩ এর আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে মেহেরপুরে শ্যামপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

অবসরপ্রাপ্ত লেঃ কর্নেল প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল ওহাবের নেতৃত্বে রংধনু বন্ধু পরিষদ ফ্রি চক্ষু, চর্ম ও দাঁত সেবা ক্যাম্প পরিচালনা করেন।

ফ্রি সেবা কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর আব্দুল মজিদ, শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, শ্যামপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।

শ্যামপুরের বাসিন্দা সাবান বলেন, আমি এখানে চোখের ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম আমি এই সেবাতে খুশি না হলেও খুশি। ঝাউবাড়ির শাহিদা বলেন, চোখ দেখানোর জন্য এসেছি ডাক্তার ঔষধ সহ চোখের ড্রপ দিয়েছে অন্তত একটা ড্রপ দেওয়ার দরকার ছিল কারণ টাকা নাই পয়সা নাই বলে এখানে এসেছি টাকা থাকলে এখানে আসতাম না।
আলমপুরের রহিমা খাতুন বলেন, আমি চোখের জন্য এখানে এসেছিলাম ডাক্তার আমাকে চশমা দেয়নি ঔষধ দিয়েছে আমি এই ফ্রি সেবা পেয়ে খুব খুশি।

ফ্রি চক্ষু, চর্ম ও দাঁত সেবা ক্যাম্পের মিডিয়া পার্টনার মেহেরপুর প্রতিদিন।




বিকাশকর্মী থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক আনোয়ার,নেপথ্যে অনলাইন জুয়া

বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার (ডিএসও) পদে চাকরিকালীন মাসে বেতন পেতেন সাড়ে ১১ হাজার টাকা। করোনার অতিমারিতে অনলাইন জুয়ার কার্যক্রম শুরু হলে জুয়াড়িদের কাছে বিকাশের এজেন্ট সিম সরবরাহ করতে আবিষ্কার করে তিনি নিজেই অনলাইন জুয়ার হোতা বনে যান। আর এই দুই বছরে সাড়ে ১১ হাজার টাকা বেতনের সেলস প্রতিনিধি এখন কোটি কোটি টাকার মালিক।

আরব্য রজনির রুপকথা আলাদিনের চেরাগকে হার মানানোর গল্প এটি। এবারের গল্পের নায়কের নাম আনোয়ার হুসাইন। বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের কিয়াম উদ্দিনের ছেলে। ইতোমধ্যে গাড়াডোব অনলাইন জুয়ার দ্বিতীয় দূর্গ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। যে গ্রামে ৩০ থেকে ৪০ জন তরুন অনলাইন জুয়ার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।

মুলত ২০২০ সালে করোনার সময় তিনি অনলাইন জুয়ার এজেন্ট মাদার আলীকে সিম সরবরাহ করতে গিয়ে অনলাইন জুয়ায় জড়িয়ে পড়েন। যখন কোনমতে বিকাশের বেতন থেকে সংসার চালাতেন। মাত্র দেড়বছর যেতে না যেতেই কোটি কোটি টাকার মালিক হতে থাকেন তিনি। অনলাইন জুয়ার আয় থেকে শুরু সম্পদ কেনা ও ব্যবসা বাণিজ্য। তবে বদরুদ্দোজা রয়েল প্রথম আটক হওয়ার পর সে পুলিশের কাছে আনোয়ার হোসেনের নাম জড়িয়ে দিলে তারপর থেকে পলাতক জীবন যাপন শুরু করে। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে এলাকায় আসেন। কাজ শেষ করে আবার আত্মগোপনে থাকেন।

আনোয়ার হোসেনের সম্পদ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে, আনোয়ার হোসাইন অনলাইন জুয়া থেকে আয় করা টাকা দিয়ে ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর মেহেরপুর শহরের তাহের ক্লিনিকের সামনে সড়কের (মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়ক) পাশে চার কাঠা জমি কিনেছেন। যার দলিল মূল্য করা হয়েছে ৯৪ লাখ টাকা। যে জমি রেজিষ্টি করত্রে ও মহুরী খরচ লেগেছে আরো ১০ লাখ টাকা। যার দলিল নম্বর ৬৯৮২/২১।

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের কাটাইখানার সামনে আজিজুল হকের মেয়ে সুমনা হকের কাছে থেকে চলতি ২০২২ সালেল ১৯ জুলাই ৯ শতক জমি কিনেছেন। যার দলিল মূল্য করা হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা। দলিল নম্বর-৪২৭০/২২।

শহরের পিয়াদা পাড়ায় সুমনা হকের ভাই রাসেল হকের কাছে থেকে ২০২২ সালের ২৮ জুন তারিখে সাড়ে ১৪ শতক জমি কিনেছেন। যার দলিল মূল্য করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। যার দলিল নম্বর-৩৮৪১/২২। রেজিস্ট্রি ও মহুরী খরচ লেগেছে আরো ৬ লাখ টাকা।
২০২১ সালের ২২ জুন তারিখে ফৌজদারি পাড়ার আশরাফুল ইসলাম ও তার ভাইদের সাথে ৬ কাঠা জমি কিনেছেন। যার দলিল মূল্য করা হয়েছে ৬০লাখ টাকা। যার দলিল নম্বর-৩৫৬৬/২১।

গাংনীর গাড়াডোব গ্রামের কাঁচারি বাজারে মরিয়ম হার্ডওয়ার এন্ড ইলেকট্রনিক্স নামে চারটি দোকান নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন। ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করেছেন চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর। চারটি দোকানের জন্য জামানাত দিয়েছেন সাড়ে ১১ লাখ টাকা। মালামাল তুলেছেন প্রায় এক কোটি টাকার। দোকানটি পরিচালনা করেন তার এক ভাইরা।

জানা গেছে, গত বছরের ২৫ আগষ্ট বদরুদ্দোজা ওরফে রয়েলকে আটক করে মেহেরপুরের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। রয়েল সাইবার ক্রাইমের কাছে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে স্বীকারোক্তি দেন। ওই ১৫ জনের মধ্যে আনোয়ার হোসাইনের নামও ছিল। কিন্তু এখনো আনোয়ার হোসাইন অধরা রয়েছে।

আরো জানা গেছে, অনলাইনে জুয়া খেলা পরিচালনার জন্য (ওয়ানএক্সবিট, বেট ৩৬৫ ডটকম, প্লেবেট ৩৬৫ ডটকম, বিডিটি ১০ ডটকম, উইনস ৬৫ ডটকম ও বেটস্কোর২৪ ডটকমসহ ২৩০ টি সাইটের মাধ্যমে এই জুয়া খেলা পরিচালিত হচ্ছে। মেহেরপুর জেলার অনলাইন জুয়ার এই চক্রটির মাধ্যমে প্রতিমাসে ৩৮০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। সে হিসেবে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ পাচার হচ্ছে। যেটি অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে যাচ্ছে বিদেশে।

মেহেরপুর জেলা থেকে দুই শতাধিক এজেন্ট অনলাইন জুয়া সাইটের মাধ্যমে রাশিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছেন প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। দেদারছে জুয়া খেলে কোটিপতি বনে যাচ্ছেন এসব এজেন্টরা। আর পথে বসছেন হাজার হাজার তরুণসহ জুয়া খেলার জড়িত ব্যক্তিরা। সঠিক নজরদারি না থাকায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতিদিনই কোটি টাকা পাচার হচ্ছে দেশের বাহিরে। এতে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি বিপথে যাচ্ছেন তরুণ ও যুবকরা।

এ ব্যাপারে অনলাইন জুয়ার এজেন্ট আনোয়ার হোসাইন অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, অভাবের তাড়নায় এ জুয়া খেলা শুরু করেছিলাম। একসময় খেলেছি, অনেক টাকা আয়ও করেছি। কিন্তু এখন এ কাজের সাথে জড়িত নয়।
তবে মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধানে এখনো তার জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে।

মেহেরপুরের পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, পিপিএম (সেবা), সম্প্রতি বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। অনলাইন জুয়া নিয়েও পুলিশ কাজ করছে। ইতোমধ্যে অর্ধশত অনলাইন জুয়াড়িকে আটক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টতা পেলে কেউ ছাড় পাবে না।
(আনোয়ার হোসেনের বাকি তথ্য নিয়ে আরেকটি পর্বে বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে। )

 




দর্শনা পৌর উপ নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক পেলেন আতিয়ার রহমান হাবু

সকল জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে দর্শনা পৌর উপ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক পেলেন আতিয়ার রহমান হাবু।

গতকাল বুধবার বিকাল ৪ টায় গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপির সরকারী বাসভবন গণ ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা (এমপি)। সভায় সম্মতিক্রমে দর্শনা পৌর উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আতিয়ার রহমান হাবুকে।

এ দলীয় মনোয়নপত্র দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগার টগর, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আ.লীগের সাধারন সম্পাদক আলী মুনছুর বাবু সহ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, দর্শনা পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান মৃত্যু বরণ করায় মেয়র পদ শূন্য হয়ে পড়ে। এ শূন্য মেয়র পদের জন্য উপ-নির্বাচনের ঘোষণা দেন নির্বাচন অফিস। সে লক্ষে আগামী ১৬ মার্চ দর্শনা পৌর সভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে

গত রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেন দর্শনা ইসলাম পাড়ার প্রয়াত শামসুল ইসলামের ছেলে ও সদ্য প্রয়াত মেয়র মতিয়ার রহমানের সহদর আতিয়ার রহমান হাবু।




মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে দামুড়হুদা ইউএনওকে ফুলেল শুভেচ্ছা

মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।

গতকাল বুধবার সকালে সংস্থার পক্ষ থেকে নবাগত ইউএনওকে ফুলেল শুভেচছা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার প্রকল্প সমন্বয়কারী উম্মে সালমা ও সংস্থার প্রকল্প কর্মকর্তা দিল তৌহিদা। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা সংস্থার সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং সম্মৃদ্ধি কামনা করেন।




দামুড়হুদায় জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সভাপতি কে ফুলের শুভেচ্ছা

দামুড়হুদায় চুয়াডাঙ্গা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন(ডিএফএ) নবনির্বাচিত সভাপতি এখলাছ উদ্দিন সুজন কে ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত করলেন দামুড়হুদা ব্যাডমিন্টন ক্লাবের সদস্যরা।  রাত ১০টার দিকে দামুড়হুদা শিল্পকলা একাডেমির সামনে নবনির্বাচিত সভাপতি কে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা ব্যাডমিন্টন ক্লাবের সভাপতি হয়দার আলী, সহসভাপতি এ্যাড: নয়ন, সাধারণ সম্পাদক জনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন, কোষাধক্ষ আব্দুল মোমিন, দপ্তর সম্পাদক রাসিব সহ ক্লাবের সদস্য বৃন্দ।

এসময় নবনির্বাচিত সভাপতি এখলাছ উদ্দিন সুজন বলেন চুয়াডাঙ্গা ফুটবলের হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে নির্বাচিত কমিটি প্রতিশ্রুতি বদ্ধ।




জীবননগরে অস্ত্র, ম্যাগজিন, ৫ রাউন্ড গুলিসহ আটক -১

জীবননগর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান একটি অস্ত্র, ম্যাগাজিন ও ৫রাউন্ড গুলিসহ একজন আটক হয়েছে।

বুধবার বিকাল পোনে ৫টার সময় জীবননগর থানার অফিসার ইনচাজ (ওসি) মোঃ আব্দুল খালেকের নিদেশে জীবননগর থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া বাজার শিমুল হোটেলের মধ্যে হতে জীবননগর পৌর শহরের আশতলা পাড়ার মোঃ মুন্নার ছেলে মোঃ আনোয়ার হোসেন মিন্টুর (৪০) শরীর তল্লাশী করে তার মাঝায় গুজা সাদা পলিথিনের মধ্যে নিল রংয়ের কাপড়ে জড়ানো একটি মেড ইউ,এস,এ,নং (৬২) পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও ০৫ (পাচ) রাউন্ড গুলি সহ তাকে আটক করে। আটককৃত আসামীকে জীবননগর থানা পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে ।এ বিষয়ে জীবননগর থানায় মামলা পক্রিয়াধীন ।




দামুড়হুদা মদনা গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া হতদরিদ্র পরিবারকে সহায়তা

দামুড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া হতদরিদ্রের নগত অর্থ ও ঢেউ টিন দিলেন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস,এ,এম জাকারিয়া আলম।

জানা গেছে দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের মদনা গ্রামে গত ১৯/০১/২০২৩ তারিখ রাত সাড়ে ৯টার দিকে মদনা বাজারের নাইট গার্ড শরিফুদ্দীনের বাড়িতে হঠাৎ আগুন লাগে তার সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেলে পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্তনে আনে, শরিফউদ্দীনের পরিবারের ৭ সদস্যদের নিয়ে প্রচন্ড শিতে খোলা আকাশের নিচে জীবন যাপন করে আসছিলো এবং শরিফউদ্দীন দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যা জনিত কারনে ভুগছে, এই খবর শুনে পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এ.এম জাকারিয়া আলম,  বুধবার বিকালে নিজ উদ্যোগে নগদ অর্থ ও ঢেউ টিন প্রদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি মুন্তাজ হোসেন, ইউপি সদস্য শামসুল ইসলাম জামসুর, আবু সাঈদ মিন্টু, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাঈদ, আবু জুবায়ের বিশ্বাস, ডাঃ আনারুল ইসলাম, তুতা মিয়া সহ মদনা গ্রামের স্থানীয় লোকজন এসময় উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে পৌর শহরের সিসি ক্যামেরা উদ্বোধন

আলমডাঙ্গা পৌর শহরকে নিরাপত্তার আওতায় আনতে থানাপুলিশ ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন বণিক সমিতির উদ্যোগে স্থাপন করা হয়েছে ৫৪টি সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা। সম্প্রতি পৌর এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থানে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।

বুধবার সকাল ১১ টায় আলমডাঙ্গা থানা চত্বরে আয়োজিত উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিঞা মিলনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে সিসি ক্যামেরা উদ্বোধন করেন এমপি সেলুন জোয়াদ্দার।

বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমঙ্গীর হান্নান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, সম্পাদক ইয়াকুব আলি, সাবেক সহ-সভাপতি লিপু মোল্লা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান সালমুন আহমেদ ডন, প্রমূখ।