কার্পাসডাঙ্গায় নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামে আনছার ট্রেডার্স ও আক্তার ট্রেডার্স নামের দুই সার বিক্রেতার বিরুদ্ধে সরকার নির্ধারিত মূল্যর তোয়াক্কা না করে আরো বেশী মূল্যে ইউরিয়া ও রাসায়নিক সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, ছাতিয়ান তলা গ্রামে আনছার ট্রেডার্সের মালিক সার ও কীটনাশক বিক্রেতা মিয়ারুল কোন প্রকারের লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে সরকারী মূল্যর কোন তোয়াক্কা না করে ইউরিয়া ও বিভিন্ন রাসায়নিক সারে কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা বেশী নিয়ে বিক্রি করছেন। অপরদিকে আক্তার ট্রেডার্সের মালিক আক্তারুলও লাইসেন্স ছাড়া হরহামেশাই ইউরিয়া ও বিভিন্ন রাসায়নিক সার বিক্রি করছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ আনছার ট্রেডার্সের সত্তাধিকারী মিয়ারুল যেনো খুবই বেপরোয়া। সে কারো কোন কিছু তোয়াক্কা করেনা। ইচ্ছেমত গলা কাটা দামে চাষীদের ঠকিয়ে তাদের সাথে চরম প্রতারনা করে বেশী দামে সার বিক্রি করে মুনাফা লুটছে।

আর রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গিয়ে দোতলা বাড়ি সহ অঢেল টাকার মালিক বনে গেছে। এ বিষয়ে মিয়ারুলের সাথে কথা বললে তিনি আমতা আমতা করে দাম বেশী নেবার কথা অকপটে স্বীকার করেন।এ বিষয়ে আক্তারুলের সাথে কথা বললে তিনি জানান কেজি প্রতি ১ টাকা বেশী নেন তিনি।গাড়ি ভাড়া পড়ে একটু বেশী তাই ১ টাকা বেশী নিতে হয়।

স্থানীয় চাষীরা জানান সরকার যেখানে চাষীদের বাঁচাতে সারে প্রচুর পরিমান টাকা ভূর্তুকি দিচ্ছে সেখানে মিয়ারুলের ব্যাবসায়ীদের কারনে কৃষকরা চরম লোকসানের মুখে পড়ছে ও চরম ভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তারা জানান দ্রুত এর প্রতিকার না মিললে প্রয়োজনে চুয়াডাঙ্গায় বিজ্ঞ জেলা প্রশাসক সহ উদ্ধতন কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হবো তবুও এর একটা বিহিত চাই।অবৈধ এসব মুনাফালোভীদের হাত থেকে কৃষকদের বাঁচাতে মিয়ারুল ও আক্তারুলের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নিতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান এ ধরনের অভিযোগ পেলে সরকারী নির্ধারিত মূল্যের চাইতে যে বেশী দাম নেবে তার বিরুদ্ধে আমরা সাথে সাথে ব্যাবস্থা নেবো। এদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সাথে কথা বললে তিনি জানান এ বিষয়ে তদন্ত করে যদি সত্যতা পাওয়া যায় তবে অবশ্যই আমরা কঠোর আইনগত ব্যাবস্থা নেবো। কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা।




দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন

“দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাব” গঠন হয়েছে। উপজেলার সবধরনের পত্রপত্রিকার নিয়মিত সাংবাদিকদের নিয়ে এই প্রেসক্লাব গঠিত।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের বঙ্গবন্ধু মুরালের পাদদেশে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট “দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাব” গঠিত হয়। সভাপতি নির্বাচিত হয় দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান হাবিব।

এসময় নবনির্বাচিত “দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের” সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিলন বলেন, আমাদের এটা “দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাব”। এখানে সবাই সদস্য হতে পারবেন। কোন প্রেসক্লাবের সদস্য থাকলেও এখানে সদস্য হওয়া যাবে। তাতে পূর্বের কোন সংগঠন থেকে অব্যাহতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এটা “দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাব”। দামুড়হুদায় আমাদের একটা উপজেলা শহর আছে। আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। আমাদের কাছে এই উপজেলা খুবই গুরুত্ব বহন করে। আমাদের পাশেই দর্শনা। অনেক বড় সরকারি স্থাপনা থাকা সত্ত্বেও দর্শনা তে কোন উপজেলা নেই। দুইটি থানা নিয়ে গঠিত এই উপজেলা। আমরা কিছু নিয়মিত কলম সৈনিক প্রেসক্লাব করেছি এই উপজেলার সাংবাদিকদের জন্য।

উপজেলার সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্হাপনার এবং সব ধরনের সংবাদ প্রচারের জন্যই মূলত এই প্রেসক্লাব। সব ধরনের সংবাদ প্রচারের জন্য আমাদের তথ্যদিন। আমাদের এই উপজেলায় বিভিন্ন প্রেসক্লাব আছে। কিন্তু কোন উপজেলা প্রেসক্লাব নেই। তাই আমরা এর নাম দিয়েছি “দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাব”। এখানে সব প্রেস ক্লাবের সদস্যই দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের” সদস্য হতে পারবেন। এই প্রেসক্লাব স্বাধীন। যারা উপজেলায় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত “কলম সৈনিকের” কাজ করছেন, সাংবাদিকতা করছেন, তারা আমাদের এখানে “দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাব” পড়িবারের সদস্য হতে পারেন। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যেই এই প্রেসক্লাব গঠিত। আমাদের এখানে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের সাংবাদিকদের নিয়ে এই প্রেসক্লাব গঠন করা হয়েছে। আমাদের এই প্রেসক্লাবের সরকারি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াধীন। যাতে সরকারের নিয়মকানুন অনুযায়ী সব কাজ সংঘটিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, “দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি বণি ইয়ামিন, সহ-সভাপতি হায়দার আলী,যুগ্ম সম্পাদক শেখ হাতেম, সহ সম্পাদক শিমুল রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান তোতা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহাম্মেদ,দপ্তর সম্পাদক রবিউল ইসলাম বাবু, সহদপ্তর সম্পাদক ইমরান হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান, কোষাধ্যক্ষ আসহাবুল আলম, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সহ দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সকল সদস্য বৃন্দ।




আলমডাঙ্গায় ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেফতার

আলমডাঙ্গায় ৪ বছরের শিশু ধর্ষণের চেষ্টায় মোজাম্মেল মন্ডল (৬৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামে এঘটনাটি ঘটে।

অভিযুক্ত মোজাম্মেল মন্ডল (৬৫) আসাননগর গ্রামের মৃত মকেল আলী মন্ডলের ছেলে। এঘটনায় শিশুটির পিতা বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় এজাহার দায়ের করেছে।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এজাহার সূত্রে জানায়, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ের ৪ টার দিকে শিশুটি বাড়ির পাশে খেলা করছিলো। খেলার সুযোগে সম্পর্কে দাদা তার বাড়ি ফাঁকা থাকায় ওই শিশুকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। শিশুর খোঁজ না মিললে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে। এসুযোগে শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরিবারের লোকজন খুঁজতে গেলে মোজাম্মেলের বাড়িতে ধর্ষণের চেস্টার ঘটনাটি দেখতে পায়। এসময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসে। শিশুটির পরিবারের লোকজন আলমডাঙ্গা লিখিত অভিযোগে দিলে থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

শিশুরটির মা জানায়, ‘ আমি ও প্রতিবেশীরা বাড়ি বসে গল্প করছিলাম। হঠাৎ মেয়ের খোঁজ পাচ্ছিলাম না’ । মেয়েকে খুঁজতে খুঁজতে মোজাম্মেলের বাড়িতে গেলে সে ধর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছিলো। চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুঁটে আসে।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো.সাইফুল ইসলাম জানায়- খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত মোজাম্মেলকে আটক করেছে পুলিশ। রাতেই এজাহার দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।




চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে বসন্ত বরণ উপলক্ষে র‌্যালি

এসে গেছে বসন্ত ১৪২৯ বঙ্গাব্দ এই প্রতিপাদ্য চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ বসন্ত বরণ ১৪২৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের আয়োজনে বসন্ত বরণ উপলক্ষে র‌্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ বাংলা বিভাগীয় প্রধান ড. আব্দুল আজিজ এর সভাপতিত্বে র‌্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রসেসর ড. এ কে এম সাইফুর রশিদ।

এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে বাসন্তী আমেজ খুবই সমাদৃত। বসন্ত আমাদের জীবন রাঙিয়ে দিয়ে যায়। বসন্তের চমৎকার আবহাওয়া ও প্রকৃতির নব সাজ আমাদেরকে উল্লসিত ও উৎফুল্ল করে। বসন্তের মধ্যদিয়ে আমরা যেনো জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করি। আপনারা সবাই জানেন ফুল ফোঁটে বনে তার শিহরণ লাগে আমাদের মনে। বসন্ত এমনই সুন্দর ও সৌন্দর্যম-িত ঋতু।

বসন্ত বরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রেজাউল করিম, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল হাসান, সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ, সহযোগী অধ্যাপক মারুফা ইয়াছমিন, প্রভাষক আসাদ জামান, আজিম হোসেন সহ চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রছাএী বৃন্দ।




খুলনা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ চুয়াডাঙ্গা সদর থানার মাহাব্বুর রহমান

খুলনা রেঞ্জের ১০ জেলার ৬৪ টি থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হলেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহব্বুর রহমান কাজল।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে দশটার সময় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মইনুল হক, বিপিএম(বার) পিপিএম সভাপতিত্বে জানুয়ারি /২৩ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

উক্ত সভায় ওয়ারেন্ট তামিল, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ,আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, মামলা নিষ্পত্তি সহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহাব্বুর রহমান কাজল কে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসাবে ঘোষণা করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহব্বুর রহমান কাজল তার এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সকল অফিসার ফোর্স সহ জেলার সকল পুলিশ সদস্য, চুয়াডাঙ্গা বাসী ও সকল শুভাকাঙ্খীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।




ইবিতে ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের নবীনবরণ

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ ডিস্ট্রিবিউশন এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সুরেকা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী অজয় সুরেকা বলেছেন, ট্যুরিজম সেক্টরে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এবং নিজেদেরকে দক্ষ করে স্বাবলম্বী হতে হবে।

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের পঞ্চম ব্যাচের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশের ট্যুরিজম সেক্টরে অপার সম্ভাবনার এবং নিজেদেরকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করার বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাের সভাপতিত্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ডক্টর শেখ আব্দুস সালাম, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেইন ভূঁইয়া, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দ্বীন প্রফেসর মোঃ সাইফুল ইসলাম, ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডক্টর মোঃ মাহবুবুল আরফিনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে পিঠা উৎসব

ঝিনাইদহে পিঠা মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে বসন্ত বরণ অনুষ্ঠান।

মঙ্গলবার সকালে শহরের আদর্শপাড়া মর্নিং বেল চিল্ড্রেন একাডেমী চত্তরে আয়োজন করা হয় পিঠা মেলার। ভাপা পুলি, পাটি সাপটা, পাতা নকঁশিসহ বাহারি নামের পিঠার স্টল দেওয়া হয়। আর সেখানে বাসন্তিসহ নানান সাজে সেজে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ অংশ নেয়। সৃষ্টি হয় উৎসবের আমেজ। সাথে সেখানে ছিল বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।

পিঠা মেলায় আশা শিশুরা বলেন, বান্ধবীদের সাথে ঘুরছি, পিঠা খাচ্ছি খুবই মজা হচ্ছে। ভালো লাগছে এবারের বসন্ত।

মেলার আয়োজক শাহীনুর আলম লিটন জানান, বসন্ত উৎসব উপলক্ষে ছোট শিশুসহ সকলের মধ্যে হরেক রকম পিঠার পরিচয় করিয়ে দিতেই এ পিঠা মেলার আয়োজন। আর বসন্ত উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় এখানে বাসন্তি রঙে রঙিন হয়েছে।




যশোর-কুষ্টিয়ার যশ,খেজুরের রস হারিয়ে যেতে বসেছে

যশোর-কুষ্টিয়ার যশ, খেজুরের রস এ প্রবাদ বাক্যটি যেমন হারিয়ে যেতে বসেছে। তেমনি মানুষও ভুলে যেতে বসেছে এ এলাকার শীতের প্রধান আকর্ষন শীতের রস ও গুড়ের স্বাদ। একারনে ওই ছবিটি মানুষকে মনে করিয়ে দিতে কোটচাঁদপুর কৃষি মেলায় স্টোল দিয়েছেন উপজেলার সিঙ্গিয়া গ্রামের কৃষি মৌচ্যার সদস্যরা। এ স্টোলে শোভা পাচ্ছে খেজুরের রস,গুড় ও পাঠালিও।

আগে এ জনপদের মানুষ ধান,পাঠসহ অন্যান্য পণ্যের মত চাষ হিসেবে নিয়ে ছিলেন খেজুরের রস ও গুড়কেও। বর্তমানে ওই সব ফসলের দিকে মানুষ ঝুকে পড়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে শীতের আকর্ষন রস ও গুড়।

এর আগে গ্রামঞ্চলে চোখে পড়তো বিকালে গাছিদের গাছ কাটা,পরের দিন ভোর বেলায় রস সংগ্রহ করা। এরপর তা জ্বালিয়ে গুড় ও পাঠালি বানানোর দৃশ্য।

এ সময় বাড়িতে বাড়তে রস দিয়ে বানানো হত বিভিন্ন ধরনের পিঠা । এছাড়া রসের পায়েসও ছিল গ্রাম বাংলার মানুষের অন্যতম খাবার। কালের বিবর্তনে যা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।

এ কারনে মেলার স্টোলে ওই সব তুলে ধরে মানুষকে হারানো ঐতিহ্য মনে করিয়ে দিয়েছেন তারা। আর স্টোলের এ সব দেখতে যেমন ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ, তেমনি হারানো ঐতিহ্য চোখের সামনে দেখে খুশি ও হচ্ছেন অনেকে।

মেলায় আসা আনোয়ার হোসেন বলেন,আগের দিনের শীতের সকালের প্রধান আকর্ষন ছিল খেজুরের রস। প্রচন্ড শীত করলেও রস খাওয়ার মজায় ছিল আলাদা। বর্তমানে মানুষ তা ভুলতে বসেছে। এখন গ্রাম অঞ্চলে এ দৃশ্য খুব কম চোখে পড়ে। মানুষ ভুলতে বসেছে রস আর গুড়ের স্বাদ।

এ কারনে আজ স্টোল দিয়ে তা মানুষকে মনে দিতে হচ্ছে। তবে এটা একটা ভাল উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। কারন বর্তমান প্রজন্মের বাচ্চারা এটা দেখে অনেক খুশি হয়েছেন।

সিঙ্গিয়া কৃষি মৌর্চার মুকুল বিশ্বাস বলেন,হারানো ঐতিহ্যের সঙ্গে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিতেই আমাদের এ উদ্যোগ। বর্তমান প্রজন্মের বাচ্চারা এ সবের সঙ্গে অনেকে অপরিচিত ছিলেন। তারা এ সব দেখে খুশি হয়েছেন।
তিনি বলেন, এখনও মানুষ খেজুরে রস গুড়ের উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। প্রতিদিন একজন চাষি ১০-১২ কেজি গুড় বিক্রি করতে পারেন। প্রতি কেজি গুড়ের দাম ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এ ছাড়া সকালে অনেকেই খেজুরের রস খেতে আসে। যা বিক্রি করা হয় প্রতি গ্লাস ১০ টাকা। মুকুল বলেন,সব থেকে বড় কথা খেজুরের রস এ এলাকার মানুষের ঐতিহ্য। এটা টিকিয়ে রাখার দায়িত্বও আমাদের। এ কারনে এ কৃষি পণ্যটিকে টিকিয়ে রাখতে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান ওই চাষি।

তিনদিন ব্যাপী কৃষি মেলার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম।

মেলায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মাসুম বিল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মোছাঃ শরিফুননেসা মিকি,ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি খাতুন,কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম।




দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় দালালের খপ্পরে পড়ে যুবক তাহাজুল সৌদি আরবে নিখোঁজ

দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ভিটেবাড়ি বন্ধক রেখে ছেলেকে পাঠান সৌদি আরব, তাহাজুল ইসলাম বিদেশে পৌঁছানোর পর বুঝতে পারেন প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন দরিদ্র দিনমজুর জিন্নাত আলী। বসতঘরটিও হারিয়ে ঠাঁই তখন গোয়াল ঘরে।

জানা গেছে, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লা নুরিতলা পাড়া’র জিন্নাত আলী প্রতারকের খপ্পরে পড়ে ছেলেকে সৌদি আরব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। পীরপুরকুল্লা গ্রামের হানু আলীর ছেলে আদম ব্যাপারী দালাল রফিকুল ইসলাম এর সঙ্গে ৫ লাখ ৮০, হাজার টাকায় চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা জোগাড় করতে বন্দক রাখেন জমি। ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা তুলে দেন আদম ব্যাপারী দালাল রফিকুল ইসলাম হাতে গত (২১এপ্রিল) ২০২২ তারিখে তাহাজুল ইসলামকে সৌদি আরবে পাঠিয়ে দেয়। সৌদি আরবে যাওয়ার পরে এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন সময় পরিবারের সাথে তাহাজুল ইসলাম এর কথা হয়। তার পর থেকে কোনো খোঁজ নেই। এ নিয়ে পরিবারের লোকজন আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশী বৈঠকেও মেলেনি সমাধান জানান ভুক্তভোগী বাবা জিন্নাত আলী।

তাহাজুল ইসলামের স্ত্রী মাবিয়া খাতুন বুঝতে পারার পর প্রতারণার ঘটনাটি জানানো হয় গ্রামের মুরুব্বীদের। তবে সালিশী বৈঠকেও মিললো না সমাধান। উল্টো দালালের পক্ষ থেকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছিল পরিবারটিকে। নিখোঁজ স্বামী ও টাকা ফিরে পেতে অবশেষে বিজ্ঞ আদালতে মামলা ও থানায় জিডি নং ৭২। ও বিষয়টি মৌখিকভাবে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাসকে অবগত করা হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার।

বর্তমানে পরিবারটি সর্বস্বান্ত বিষয়টির প্রতি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছে বিপদগ্রস্ত তাহাজুলের পরিবার। তাহাজুল ইসলামের পিতা জিন্নাত আলী জানান, দালালচক্র যে কোম্পানীর মাধ্যমে আমার ছেলেকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছে ওখানে সে কোম্পানীর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়; জাল ভিসার কারণে আকামা লাগানো যাচ্ছে না বলে আমার ছেলে আমাকে বলেছিলো, তার পর থেকে দীর্ঘ পাঁচ মাস যাবত আমার ছেলের সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারছি না একমাত্র আল্লাহ জানে আমার ছেলে বেঁচে আছে কিনা মরে গেছে।

এসব দালালদের খপ্পরে পড়ে আমার ছেলের মতো এলাকার অনেক মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছে । এসব দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে আমার ছেলের মতো অনেকেই প্রতারিত হয়ে সর্বস্ব হারাবে। রফিকুল ইসলামের মতো দালালদের মুখোশ উন্মোচন হওয়া দরকার। যাতে করে আমার ছেলের মতো আর কেউ প্রতারণার শিকার না হয়।

তবে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে বারবার ফোন দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।




দামুড়হুদা জয়রামপুরে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা

দামুড়হুদা জয়রামপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে মল্লিক ফার্মেসি সহ তিন প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামে ভোক্তা অধিকার এর অভিযান পরিচালনা হয়।

ভোক্তা অধিকার অভিযান পরিচালনা করেন সজল আহমেদ সহকারী পরিচালক জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা। দুপুর একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়। জয়রামপুর স্টেশন বাজার মল্লিক ফার্মেসিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ এর জন্য ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পার্শ্ববর্তী মুদি দোকান আকবর আলী স্টোরে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমল পানি ফ্রেস গুগলি এর জন্য ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আরো একটি কীটনাশক ও ফাস্টফুড এর যৌথ দোকান নজরুল স্টোরে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমল পানি ফ্রিজ আপ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ বিস্কুট পাওয়ায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ বিষয়ে সজল আহমেদ বলেন, আমরা জরিমানা করার জন্য আসিনা। আমরা সাধারণ মানুষের অধিকার ও মানুষকে সচেতন করার জন্য এসেছি। আপনারা মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য কেনাবেচা থেকে বিরত থাকুন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সাথে ব্যবসা করবেন। আপনাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করবেন। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।